12.06.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা সেই রথে আসেন, যিনি সবার প্রথমে ভক্তি শুরু করেছিলেন, যিনি এক নম্বর পূজ্য ছিলেন, তারপর পূজারী হয়েছেন, এই রহস্য সবাইকে স্পষ্ট করে শোনাও"

প্রশ্নঃ -
বাবা তাঁর ওয়ারিশ ( উত্তরাধিকারী) বাচ্চাদেরকে কোন্ উত্তরাধিকার দিতে এসেছেন?

উত্তরঃ  
বাবা হলেন সুখ, শান্তি, প্রেমের সাগর । এই সমস্ত সম্পদ তিনি তোমাদের উইল করে দেন । তিনি এমন উইল করে দেন যে, একুশ জন্ম পর্যন্ত তোমরা তা ভোগ করতে থাকো, এ সম্পদ নষ্ট হতে পারে না । তিনি তোমাদের কড়ি থেকে হীরে তুল্য করে তোলেন । তোমরা বাবার এই সমস্ত সম্পদ যোগবলের দ্বারা প্রাপ্ত করো । যোগ ছাড়া এই সম্পদ প্রাপ্ত করা সম্ভব নয় ।

ওম্ শান্তি ।
শিব ভগবান উবাচঃ । এখন নিরাকার শিব ভগবানকে তো সবাই মানে । নিরাকার শিব হলেন একজনই, যাঁকে সবাই পূজা করে । বাকি দেহধারী যারাই আছে, তাদের সাকার রূপ আছে । প্রথমে নিরাকার আত্মা ছিলো তারপর সাকার হয়েছে । যখন সাকার হয়, শরীরে প্রবেশ করে, তখন তাদের পার্ট শুরু হয় । মূলবতনে তো কোনো পার্টই নেই । অ্যাক্টর্স যখন বাড়ীতে থাকে তখন যেমন তাদের কোনো পার্ট থাকে না । স্টেজে এলেই তারা তাদের পার্ট প্লে করে । আত্মারাও এখানে এসে শরীরের দ্বারা পার্ট প্লে করে । এই পার্টের উপরেই সব নিহিত আছে । আত্মার মধ্যে তো কোনো তফাৎ নেই । বাচ্চারা, তোমাদের যেমন আত্মা আছে, তেমনি এনারও আত্মা আছে । পরমাত্মা বাবা কি করেন? তাঁর কাজ কি, সেটা জানতে হবে । কেউ প্রেসিডেন্ট, কেউ রাজা, এ তো আত্মারই কাজ, তাই না । এনারা হলেন পবিত্র দেবতা, তাই এঁদের পূজা করা হয় । এখন তোমরা বুঝতে পারো যে, এই পড়া পড়ে লক্ষ্মী - নারায়ণ এই বিশ্বের মালিক হয়েছেন । কে তাঁদের এমন বানিয়েছেন? পরম আত্মা । তোমরা আত্মারাও এই পড়া পড়ো । এ হলো অনেক বড় বিষয় যে, বাবা এসেই তোমাদের পড়ান আর রাজযোগও শেখান । আর তা কতো সহজ । একে বলা হয় রাজযোগ । বাবাকে স্মরণ করলে আমরা সতোপ্রধান হয়ে যাই । বাবা তো হলেনই সতোপ্রধান । তাঁর কতো মহিমা করা হয় । ভক্তিমার্গে কতো ফল - দুধ ইত্যাদি অর্পণ করা হয় । মানুষ কিছুই বোঝে না । দেবতাদের পূজা করে, শিবের মাথায় দুধ, ফুল ইত্যাদি অর্পণ করে, কিছুই জানে না । দেবতারা রাজত্ব করেছিলেন । আচ্ছা, শিবের মাথায় কেন অর্পণ করা হয়? তিনি কি কর্তব্য করেছিলেন যে, মানুষ এতো তাঁর পুজা করে? দেবতাদের কথা তবুও তো জানা আছে, তাঁরা স্বর্গের মালিক ছিলেন । তাঁদের কে এমন বানিয়েছিলেন, এও কেউ জানে না । শিবের পূজাও করে কিন্তু খেয়ালই করে না যে ইনিই ভগবান । ভগবানই দেবতাদের এমন বানিয়েছেন । মানুষ কতো ভক্তি করে কিন্তু সকলেই অজ্ঞানতার অন্ধকারেই থেকে যায়। তোমরাও শিবের পুজো করেছিলে, এখন তোমরা বুঝতে পারো, আগে কিছুই জানতে না । তাঁর কাজ কি, তিনি কি সুখ দেন, কিছুই জানতে না । এই দেবতারা কি সুখ প্রদান করে? যদিও রাজা - রানী তাদের প্রজাদের সুখ প্রদান করেন, কিন্তু তাদের তো শিববাবাই এমন বানিয়েছেন । সকল মাহাত্ম্য শিববাবার । এরা তো কেবল রাজত্ব করেন, প্রজাও তৈরী হয়ে যায় । বাকি আর কোনো কল্যাণ করেন না । যদি করেনও তাও অল্পকালের জন্য । এখন বাচ্চারা, তোমাদের বাবা বসে পড়াচ্ছেন । তাঁকে বলা হয় কল্যাণকারী । বাবা তাঁর নিজের পরিচয় দেন, তোমরা আমার লিঙ্গের পুূজা করো, তাঁকেই তোমরা পরম আত্মা বলে থাকো । পরম আত্মা-ই পরমাত্মা । কিন্তু এ কথা জানতে না যে, ইনি কি বলেন । ব্যস, কেবল বলে দেয় যে, তিনি সর্বব্যাপী । তিনি নাম - রূপ থেকে পৃথক । এরপর তাঁর উপর দুধ ইত্যাদি অর্পণ করা শোভা দেয় না । আকার আছে, তাই তো তাঁর উপর অর্পণ করা হয়, তাই না । তাঁকে নিরাকার তো বলা যাবে না । তোমাদের সঙ্গে মানুষ অনেক তর্ক করে, বাবার সামনে গিয়েও তর্কই করবে । অকারণে মাথা খাবে । লাভ কিছুই নেই । বাচ্চারা, একথা বোঝানো তোমাদের কাজ । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, বাবা আমাদের কতো উঁচু বানিয়েছেন । এ হলো পড়া । বাবা টিচার হয়ে তোমাদের পড়ান । তোমরা মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য পড়ছো । দেবী - দেবতা থাকে সত্যযুগে । তাঁরা কলিযুগে থাকে না । সেই রাম রাজ্যই নেই যেখানে পবিত্র থাকতে পারে । দেবী - দেবতারা ছিলেন তারপর তাঁরা বামমার্গে চলে যান । বাকি যেমন চিত্র দেখানো হয়েছে, তেমন কিছু নয় । জগন্নাথের মন্দিরে তোমরা দেখবে, কালো মূর্তি আছে । বাবা বলেন, মায়াকে জয় করো, জগৎজিত হও । তো ওরা জগন্নাথ নাম রেখে দিয়েছে । ওপরে সব খারাপ চিত্র দেখানো হয়েছে, দেবতারা বাম মার্গে গিয়ে কালো হয়ে গিয়েছে । তাঁদেরও পুজা করতে থাকে । মানুষ তো কিছুই জানে না - কবে আমরা পূজ্য ছিলাম? ৮৪ জন্মের হিসাব কারোরই বুদ্ধিতে নেই । প্রথমে পূজ্য সতোপ্রধান, তারপর ৮৪ জন্ম নিতে নিতে তমোপ্রধান পূজারী হয়ে গেছে । রঘুনাথ মন্দিরে কালো মূর্তি দেখানো হয়, তার অর্থ তো কিছুই বুঝতে পারে না । বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের বসে বোঝান । জ্ঞান চিতায় বসে তোমরা সুন্দর হও আর কাম চিতায় বসে কালো হয়ে যাও । দেবতারা বাম মার্গে গিয়ে বিকারী হয়ে গেলে তাঁদের নাম তো আর দেবতা রাখা যায় না । তোমরা বাম মার্গে গিয়ে কালো হয়ে গেছো, এর নিদর্শন দেখানো হয়েছে । কৃষ্ণ কালো, রামও কালো, শিবকেও কালো বানিয়ে দিয়েছে । তোমরা জানো যে, শিববাবা তো কালো হনই না । তিনি তো হীরা, যিনি তোমাদেরও হীরের তুল্য বানান । তিনি তো কখনো কালো হনই না তাহলে তাঁকে কেন কালো বানিয়ে দিয়েছে ! কেউ নিজে কালো হয়েছিলো, সে বসে কালো বানিয়ে দিয়েছে । শিববাবা বলেন, আমি কি দোষ করেছি যে আমাকে কালো বানিয়ে দিয়েছে । আমি তো আসিই তোমাদের সব সময়ের জন্য সুন্দর (গৌর) বানাতে, আমি তো সর্বদাই সুন্দর (গৌর) । মানুষের এমন বুদ্ধি হয়ে গেছে যে, কিছুই বুঝতে পারে না । শিববাবা তো সকলকেই সুন্দর বানান । আমি তো চির সুন্দর মুসাফির । আমি কি করেছি যে আমাকে কালো বানিয়ে দিয়েছে । এখন আমি তোমাদের সুন্দর বানাবো উঁচু পদপ্রাপ্তির জন্য । এই উঁচু পদ কিভাবে পেতে হবে? সে কথা তো বাবা বুঝিয়েছেন যে, ফলো ফাদার । ইনি (ব্রহ্মা বাবা ) যেমন সবকিছুই বাবাকে দিয়ে দিয়েছিলেন । বাবাকে দেখো যে কিভাবে তিনি সব দিয়ে দিয়েছিলেন । যদিও তিনি সাধারণ ছিলেন, না গরীব আর না বিরাট বিত্তশালী ছিলেন । বাবা এখনো বলেন যে, তোমাদের খাওয়া - দাওয়া মাঝামাঝি সাধারণ হওয়া উচিত । না অনেক উঁচু আর না নিচু । বাবাই এইসব শিক্ষা দেন । ইনিও তো দেখতে সাধারণই । বলে থাকে, কোথায় ভগবান দেখাও । আরে, আত্মা তো বিন্দু, তাকে আবার দেখা যায় নাকি ! এ তো তোমরা জানোই যে এই খালি চোখে আত্মার সাক্ষাৎকার হয় না । তোমরা বলো যে, ভগবান যখন পড়ান তাহলে নিশ্চয় কোনো শরীরধারী হবেন । নিরাকার কিভাবে পড়াবেন? মানুষ তো কিছুই জানে না । তোমরা যেমন আত্মা, এই শরীরের দ্বারা অভিনয় করো । আত্মাই অভিনয় করে । আত্মাই এই শরীরের দ্বারা কথা বলে । তাই আত্মা উবাচঃ, কিন্তু আত্মা উবাচঃ, এই কথা শোভা পায় না । আত্মা তো বাণপ্রস্থ অবস্থায়, বাণীর ঊর্ধে, বাণী তো শরীরের দ্বারাই বলবে । বাণীর ঊর্ধ্বে তো একমাত্র আত্মাই থাকতে পারে । আর বাণীতে আসতে গেলে শরীর তো অবশ্যই চাই । বাবাও জ্ঞানের সাগর, তাই অবশ্যই কারও শরীরের আধার নেবেন, তাই না । তাকে রথ বলা হয় । না হলে তিনি কিভাবে শোনাবেন? বাবা পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য শিক্ষা দেন । এখানে প্রেরণার কোনো ব্যাপার নেই । এ তো হলো জ্ঞানের কথা । তিনি কিভাবে আসেন? কার শরীরে আসেন? তিনি তো অবশ্যই মানুষের শরীরেই আসবেন । কোন্ মানুষের শরীরে আসবেন? তোমরা ছাড়া এ কথা কেউই জানে না । রচয়িতা নিজে বসেই নিজের পরিচয় দেন । তিনি বলেন, আমি কিভাবে এবং কোন্ রথে আসি । বাচ্চারা তো জানেই যে, বাবার রথ কোন্ জন । অনেক মানুষই দ্বিধায় রয়েছে । কাকে - কাকেই না রথ বানিয়ে দেয় । জানোয়ার ইত্যদির মধ্যে তো আর আসতে পারেন না । বাবা বলেন যে, আমি কোন্ মানুষের মধ্যে আসবো, এ তো বুঝতেই পারে না, আমাকে এই ভারতেই আসতে হয়, ভারতবাসীদের মধ্যেই আমি কারোর শরীরে আসবো, আমি কি প্রেসিডেন্ট বা সাধু - মহাত্মার রথে আসবো? এমনও নয় যে আমাকে পবিত্র রথে আসতে হবে । এ তো হলোই রাবণ রাজ্য । এমন গানও আছে - দূর দেশের অধিবাসী...।

বাচ্চারা এও জানে যে, ভারত হলো অবিনাশী খণ্ড । তার কখনোই বিনাশ হয় না । অবিনাশী বাবা অবিনাশী ভারত খণ্ডেই আসেন । তিনি কোন্ শরীরে আসেন, তা তিনি নিজেই বলে দেন। আর তো কেউই তা জানতে পারে না । তোমরা এও জানো যে, তিনি কোনো সাধু - মহাত্মার মধ্যেও আসতে পারেন না । ওনারা হলেন নিবৃত্তি মার্গের হঠযোগী । বাকি রইলো ভারতবাসী ভক্তরা । এখন ভক্তদের মধ্যেও কোন ভক্তের মধ্যে আসবেন? দীর্ঘদিনের ভক্ত প্রয়োজন। যিনি অনেক ভক্তি করেছেন । ভক্তির ফল তো ভগবানকে দিতে আসতেই হবে । ভারতে ভক্ত তো অনেকই আছে । বলবে, ইনি অনেক বড় ভক্ত, এনার মধ্যে আসা উচিত । এমন তো অনেক ভক্ত হয় । কালই যদি কারোর বৈরাগ্য আসে তাহলে ভক্ত হয়ে যাবে । সে তো এই জন্মের ভক্ত হয়ে গেলো, তাই না । তার মধ্যে আসবেন না । আমি তাঁর মধ্যেই প্রবেশ করি যিনি সবার প্রথমে ভক্তি শুরু করেছিলেন । দ্বাপর থেকে এই ভক্তি শুরু হয়েছে । এই হিসেব - নিকেশ কেউই বুঝতে পারে না । এ কতো গুপ্ত কথা । আমি তাঁর মধ্যেই আসি যিনি সর্ব প্রথমে ভক্তি শুরু করেন । এক নম্বর যিনি পূজ্য ছিলেন তিনিই আবার এক নম্বর পূজারীও হবেন । তিনি নিজেই বলেন, এই রথই প্রথম নম্বরে যায় । এরপর ৮৪ জন্ম ইনিই নেন । আমি এনারই অনেক জন্মের অন্তেরও অন্তিম সময়ে প্রবেশ করি । এনাকেই আবার এক নম্বর রাজা হতে হবে । ইনি অনেক ভক্তি করতেন । ভক্তির ফলও এনার পাওয়া উচিত । বাবা দেখান যে, তোমরা দেখো, ইনি কিভাবে আমার প্রতি সমর্পণ করেছেন । সবকিছু দিয়ে দিয়েছেন । এতো বাচ্চাদের শেখানোর জন্য অর্থেরও প্রয়োজন । ঈশ্বরের এই যজ্ঞ রচিত হয়েছে । খুদা এনার মধ্যে অবস্থান করে রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের রচনা করেন, একে পড়াও বলা হয় । রুদ্র শিববাবা, যিনি জ্ঞানের সাগর, তিনি জ্ঞান দান করার জন্য এই যজ্ঞের রচনা করেছেন । এই অক্ষর সম্পূর্ণ সঠিক । রাজস্ব, স্বরাজ্য লাভের জন্য এই যজ্ঞ । একে যজ্ঞ কেন বলা হয় ? যজ্ঞে তো ওরা আহুতি ইত্যাদি দেয় । তোমরা তো ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ো, তাহলে কি আহুতি দাও? তোমরা জানো যে, আমরা এই পড়া পড়ে বুদ্ধিমান হয়ে যাবো । এরপর এই সম্পূর্ণ দুনিয়া এতে স্বাহা হয়ে যাবে । যজ্ঞে পরের দিকে যা কিছু সমগ্রী আছে সবই দিয়ে দেওয়া হয় ।

বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে, আমাদের বাবা পড়াচ্ছেন । বাবা তো খুবই সাধারণ । মানুষ কি জানবে! ওই বড় - বড় মানুষদের তো অনেক বড় মহিমা হয় । বাবা তো খুব সাধারণ ভাবে বসে আছেন । মানুষ তা কি করে জানবে? এই দাদা তো জহুরি ছিলেন । শক্তি তো কখনো দেখা যায় না । কেবল একথা বলা যায়, এনার মধ্যে কিছু শক্তি আছে । ব্যস্ । ইনি বুঝতেনই না যে, এনার মধ্যে সর্বশক্তিমান বাবা আছেন । এনার মধ্যে শক্তি আছে, সেই শক্তি কোথা থেকে এলো? বাবা তো প্রবেশ করেছেন, তাই না । যা তাঁর সম্পদ, তা তিনি এমনি কেন দেবেন । তোমরা যোগবলের দ্বারা তা প্রাপ্ত করো । তিনি তো সর্বশক্তিমান আছেনই । তাঁর শক্তি কোথাও চলে যায় না । পরমাত্মাকে কেন সর্বশক্তিমান বলা হয়, এও কেউ জানে না । বাবা এসে সব কথা বুঝিয়ে বলেন । বাবা বলেন যে, আমি যাঁর মধ্যে প্রবেশ করি, তাঁর মধ্যে সম্পূর্ণ জং ধরে ছিলো - পুরানো দেশ, পুরানো শরীর, তাঁর অনেক জন্মের অন্তে আমি তাঁর মধ্যে প্রবেশ করি, যে জং ধরেছিল তা আর কেউই দূর করতে পারবে না । এই জং একমাত্র সদ্গুরুই দূর করেন, তিনি হলেন এভার পিওর । এ কথা তোমরা বুঝতে পারো । এইসব কথা বুদ্ধিতে বসানোর জন্যও সময়ের প্রয়োজন । বাচ্চারা, বাবা তোমাদের সবকিছু উইল করে দেন । জ্ঞানের সাগর, শান্তির সাগর বাবা তাঁর বাচ্চাদের সম্পূর্ণ উইল করে দেন । তিনি আসেনও এই পুরানো দুনিয়ায় । তিনি প্রবেশও তাঁরই মধ্যে করেন, যিনি হীরে তুল্য ছিলেন, পরে কড়ি তুল্য হয়েছিলেন । যদিও তিনি এইসময় কোটিপতি কিন্তু তাও অল্পকালের জন্য । সবই শেষ হয়ে যাবে । তোমরাই পাউন্ড তুল্য মূল্যবান হবে । এখন তোমরাও স্টুডেন্ট । ইনিও স্টুডেন্ট, ইনিও তাঁর অনেক জন্মের অন্তিমে আছেন । এনার উপরও জং লেগে আছে । যে খুব ভালোভাবে পড়ে তার মধ্যেও অনেক জং থাকে । সে-ই সবার থেকে বেশী পতিত হয়, তাকেই আবার পবিত্র হতে হয় । এই নাটক আগে থেকেই বানানো আছে । বাবা তো আসল কথাই বলেন । বাবাই হলেন সত্য । তিনি কখনোই উল্টো কথা বলেন না । এ সব কথা মানুষ বুঝতে পারে না । তোমরা বাচ্চারা ছাড়া অন্য মানুষ কিভাবে জানতে পারবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) উচ্চ পদ লাভের জন্য সম্পূর্ণ ফলো ফাদার করতে হবে । সবকিছু বাবাকে সমর্পণ করে ট্রাস্টি হয়ে রক্ষা করতে হবে, সম্পূর্ণ বলিহারি যেতে হবে । খাওয়া - দাওয়া, জীবনযাপন মাঝামাঝি সাধারণ রাখতে হবে । না অনেক উঁচু না অনেক নিচু ।

২ ) বাবা যে সুখ - শান্তি, জ্ঞানের খাজানা তোমাদের উইল করেছেন, তা অন্যদেরও দিতে হবে, কল্যাণকারী হতে হবে ।

বরদান:-
পবিত্রতার গূহ্যতাকে (গভীরতা) জেনে সুখ-শান্তি সম্পন্ন হওয়া মহান আত্মা ভব

পবিত্রতার শক্তির মহানতা-কে জেনে পবিত্র অর্থাৎ পূজ্য দেব আত্মা এখন থেকে হও। এমন নয় যে অন্তিম সময়ে হয়ে যাবে। এই অনেক সময়ের জমা হওয়া শক্তি অন্তিম সময়ে কাজে আসবে। পবিত্র হওয়া কোনও সাধারণ কথা নয়। ব্রহ্মচারী থাকে, পবিত্র হয়ে গেছে... কিন্তু পবিত্রতা হলো জননী, তা সে সংকল্পের দ্বারা বা বৃত্তির দ্বারা কিম্বা বাণীর দ্বারা অথবা সম্পর্কের দ্বারা সুখ-শান্তির জননী হওয়া - একে বলা হয় মহান আত্মা।

স্লোগান:-
উঁচু স্থিতিতে স্থিত হয়ে সকল আত্মাদেরকে কৃপার দৃষ্টি দাও, ভাইব্রেশন ছড়িয়ে দাও।