12.07.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের সাহেবজাদা থেকে শাহজাদা হতে হবে, তাই স্মরণের যাত্রায় নিজের বিকর্ম ভস্ম করো"

প্রশ্নঃ -
কোন্ বিধিটির দ্বারা তোমাদের সব দুঃখ দূর হয়ে যায়?

উত্তরঃ  
তোমরা যখন তোমাদের দৃষ্টি বাবার দৃষ্টির সঙ্গে মেলাও, তো এই দৃষ্টি বিনিময়ে তোমাদের সব দুঃখ দূর হয়ে যায়, কেননা নিজেদের আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করলে সব পাপ মুক্ত হয়ে যায় । এ হলো তোমাদের স্মরণের যাত্রা । তোমরা দেহের সব ধর্ম ত্যাগ করে বাবাকে স্মরণ করো, যাতে আত্মা সতোপ্রধান হয়ে যায়, তোমরা সুখধামের মালিক হয়ে যাও ।

ওম্ শান্তি ।
শিব ভগবানুবাচঃ, নিজেকে আত্মা মনে করে বসো । বাবা নির্দেশ দেন, শিব ভগবানুবাচঃ এর অর্থই হলো, শিববাবা বোঝান - বাচ্চারা, তোমরা নিজেদের আত্মা জ্ঞানে বসো। কেননা তোমরা সকলেই হলে ভাই - ভাই । তোমরা একই বাবার সন্তান । তোমাদের এক বাবার থেকেই অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে হবে, হুবহু যেমন পাঁচ হাজার বছর পূর্বে বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিয়েছিলে । তোমরা আদি সনাতন দেবী - দেবতার রাজধানীতে ছিলে । বাবা বসে তোমাদের বোঝান, তোমরা কিভাবে সূর্যবংশী অর্থাৎ বিশ্বের মালিক হতে পারো । আমি তোমাদের বাবা, তোমরা আমাকে স্মরণ করো । তোমরা সকল আত্মারাই হলে ভাই - ভাই । উঁচুর থেকে উঁচু ভগবান হলেন একজনই । সেই প্রকৃত সাহেবের সন্তান, তোমরা হলে সাহেবজাদা । একথা বাবা বসেই তোমাদের বোঝান, তোমরা তাঁর শ্রীমতে চলে তাঁর সঙ্গে যদি বুদ্ধি যোগ যুক্ত করো, তাহলে তোমাদের সব পাপ দূর হয়ে যাবে । তোমাদের সব দুঃখ দূর হয়ে যাবে । বাবার সঙ্গে যখন আমাদের দৃষ্টির মিলন হয়, তখন আমাদের সব দুঃখ দূর হয়ে যায় । এই দৃষ্টি মিলনের অর্থও তিনি বুঝিয়ে বলেন । নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো, এ হলো স্মরণের যাত্রা । একে যোগ অগ্নিও বলা হয় । এই যোগ অগ্নিতে তোমাদের জন্ম - জন্মান্তরের যতো পাপ, সব ভস্ম হয়ে যাবে । এ হলো দুঃখধাম । এখানে সকলেই নরকবাসী । তোমরা অনেক পাপ করেছো, তাই একে বলা হয় রাবণ রাজ্য । সত্যযুগকে বলা হয় রামরাজ্য । তোমরা এভাবে সবাইকে বোঝাতে পারো । যত বড়ই সভা হোক না কেন, ভাষণ দেওয়াতে তোমরা সংকোচ করবে না । তোমরা তো ভগবান উবাচঃ বলতে থাকো । শিব ভগবানুবাচঃ - আমরা সকল আত্মারা তাঁর সন্তান, সকলেই ভাই - ভাই । বাকি শ্রীকৃষ্ণের কোনো সন্তান ছিল, এমন কথা বলা হবে না । না তাঁর এতো রানী ছিল । কৃষ্ণের যখন স্বয়ম্বর হয়, তখন তাঁর নাম পরিবর্তন হয়ে যায় । হ্যাঁ, এমন কথা বলা হবে যে, লক্ষ্মী - নারায়ণের সন্তান ছিল । রাধা - কৃষ্ণের স্বয়ম্বরের পরে যখন লক্ষ্মী - নারায়ণ হন, তখন একজন সন্তান হয় । তারপর তাঁর সাম্রাজ্য চলতে থাকে । বাচ্চারা, তোমাদের এখন মামেকম্ স্মরণ করতে হবে । তোমরা দেহের সব ধর্ম পরিত্যাগ করো এবং বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের সব পাপ দূর হয়ে যাবে । তোমরা সতোপ্রধান হয়ে স্বর্গে যাবে । স্বর্গে কোনো দুঃখ থাকে না । নরকে অথৈ দুঃখ । এখানে সুখের নাম - নিশান নেই । এমন কথা যুক্তি সহকারে বুঝিয়ে বলা উচিত । শিব ভগবানুবাচঃ - হে বাচ্চারা, তোমরা আত্মারা এইসময় হলে পতিত, এখন তোমরা কিভাবে পবিত্র হবে? আমাকে তো ডাকাই হয়েছে - হে পতিত পাবন, এসো । পবিত্র মানুষ থাকে সত্যযুগে, আর পতিত থাকে কলিযুগে । কলিযুগের পরে অবশ্যই সত্যযুগ হতে হবে । নতুন দুনিয়ার স্থাপনা আর পুরাতন দুনিয়ার বিনাশ হয় । এমন মহিমাও আছে যে, ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা । আমরা ব্রহ্মাকুমার - কুমারীরা হলাম বাবার অ্যাডপ্টেড সন্তান । আমরা হলাম ব্রাহ্মণের শিখা । বিরাট রূপও তো আছে, তাই না । প্রথমে অবশ্যই ব্রাহ্মণ হতে হবে । ব্রহ্মাও হলেন ব্রাহ্মণ । দেবতারা থাকেন সত্যযুগে । সত্যযুগে সদা সুখ থাকে । দুঃখের কোনো নাম থাকে না । কলিযুগে অপরম্ অপার দুঃখ, সবাই দুঃখী । এমন কেউই নেই, যার দুঃখ নেই । এ হলো রাবণ রাজ্য । এই রাবণ হল ভারতের এক নম্বর শত্রু । প্রত্যেকের মধ্যেই পাঁচ বিকার বর্তমান । সত্যযুগে কোনো বিকার থাকে না । সে হল পবিত্র গৃহস্থ ধর্ম । এখন তো দুঃখের পাহাড় ভেঙ্গে পড়েছে, আরো ভেঙ্গে পড়বে । এই যে এত বম্বস্ ইত্যাদি বানানো হয়, রেখে দেওয়ার জন্য তো নয় । অনেক রিফাইন করা হচ্ছে, এরপর রিহার্সাল হবে, তারপর ফাইনাল হবে । এখন খুব অল্প সময়ই আছে, ড্রামা তো নিজের সময় অনুযায়ী সম্পূর্ণ হবে, তাই না ।

সবার প্রথমে শিববাবার সম্বন্ধে জ্ঞান জ্ঞান হওয়ার প্রয়োজন । কোনোকিছু ভাষণ ইত্যাদি শুরু যদি করো তখন সবসময় প্রথমে বলতে হবে - শিবায় নমঃ - কেননা শিববাবার যে মহিমা, তা আর কারোরই হতে পারে না । শিব জয়ন্তী হল হীরে তুল্য । কৃষ্ণের চরিত্র বা কর্তব্যের বিষয়ে তেমন কিছুই নেই । সত্যযুগে তো ছোটো বাচ্চারাও সতোপ্রধানই হয় । বাচ্চাদের মধ্যে কোনো প্রকারের চঞ্চলতা ইত্যাদি থাকে না । কৃষ্ণের জন্য দেখানো হয় - মাখন খেতো, এই করতো, ওই করতো, এ তো মহিমার পরিবর্তে গ্লানি করে । ওরা কতো আনন্দের সাথে বলে, ঈশ্বর সর্বব্যাপী । তোমার মধ্যেও আছে, আমার মধ্যেও আছে । এ অনেক বড় গ্লানি, কিন্তু তমোপ্রধান মানুষ এই কথা বুঝতে পারে না । তাই প্রথমদিকে বাবার পরিচয় দেওয়া উচিত - সেই নিরাকার বাবা, যাঁর নামই হলো কল্যাণকারী শিব, তিনি সকলের সদগতিদাতা । সেই নিরাকার বাবা সুখের সাগর, শান্তির সাগর । এখন এত দুঃখ কেন? কেননা, এ হলো রাবণ রাজ্য । রাবণ হলো সকলের শত্রু, তাকে মারাও হয় কিন্তু মরে না । এখানে কোনো একটা দুঃখ নেই, এখানে অপরম্ অপার দুঃখ । সত্যযুগে হলো অপরম্ অপার সুখ । তোমরা পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এই অসীম জগতের পিতার সন্তান হয়েছিলে আর এই অবিনাশী উত্তরাধিকার বাবার থেকে নিয়েছিলে । শিববাবা তো অবশ্যই আসেন, আর তিনি এসে কিছু তো করেন, তাই না । তিনি তো সঠিকই করেন, তাই তো তাঁর মহিমা করা হয় । শিবরাত্রি বলা হয়, এরপর কৃষ্ণের রাত্রি । এখন এই শিবরাত্রি আর কৃষ্ণের রাত্রিকেও বোঝা উচিত । শিব তো আসেনই অসীম জগতের অজ্ঞান রূপী অন্ধকার রাতে । কৃষ্ণের জন্ম অমৃতবেলায় হয়, নাকি রাত্রিতে? শিবের রাত্রি পালন করা হয় কিন্তু তার কোনো তিথি - তারিখ নেই । কৃষ্ণের জন্ম হয় অমৃতবেলায় । অমৃতবেলাকে সবথেকে শুভ মুহূর্ত মনে করা হয় । ওরা কৃষ্ণের জন্ম তো রাত ১২ টায় বলে কিন্তু সেইসময় তো সেই প্রভাব আসে না । প্রভাব হয় ভোর ২ - ৩ টের সময় যখন স্মরণও করা যেতে পারে । রাত ১২ টায় কেউ বিকার থেকে উঠে ভগবানের নাম নেবেই না, একদমই না । রাত ১২ টাকে অমৃতবেলা বলা হয় না । ওইসময় তো মানুষ পতিত হয় । সম্পূর্ণ বায়ুমণ্ডলই খারাপ থাকে । আড়াইটের সময়ও কেউই ওঠে না । ৩ টের থেকে ৪ টের সময় অমৃতবেলা হয় । সেই সময় বসে মানুষ ভক্তি করে, এই সময় তো মানুষই বানিয়েছে, কিন্তু ওই সময় কোনো সময় নয় । তাহলে তোমরা কৃষ্ণের সময় বের করতে পারো । শিবের সময় কিন্তু কিছুই বের করতে পারো না । এ তো তিনি নিজে এসেই বোঝান । তাই প্রথমে শিববাবার মহিমা করা হয় । গীত পরের দিকে নয়, প্রথমে বাজানো উচিত । শিববাবা হলেন সবথেকে মিষ্টি বাবা, তাঁর থেকে এই অসীম জগতের অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়া যায় । আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে শ্রীকৃষ্ণ সত্যযুগের প্রথম যুবরাজ ছিলেন । সেখানে অপরম্ অপার সুখ ছিলো । এখনও সবাই স্বর্গের মহিমা করে । কেউ মারা গেলে সবাই বলে, উনি স্বর্গে গেছেন । আরে, এখন তো নরক । স্বর্গ থাকলে তো স্বর্গে পুনর্জন্ম নেবে ।

এ কথা বোঝা উচিত যে, আমাদের কাছে তো এতো বছরের অনুভব আছে, ওরা তো কেবল ১৫ মিনিটেই সবকিছু বুঝতে পারবে না, এতে তো সময়ের প্রয়োজন । প্রথমে তো এক সেকেণ্ডের কথা শোনানো হয়, অসীম জগতের পিতা, যিনি দুঃখহর্তা, সুখকর্তা, তাঁর পরিচয় দেওয়া হয় । তিনি আমাদের সকল আত্মাদের বাবা । আমরা বি.কেরা সব শিববাবার শ্রীমতে চলি । বাবা বলেন যে, তোমরা সব ভাই - ভাই, আমি তোমাদের বাবা । আমি পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এসেছিলাম, তাই তো তোমরা শিব জয়ন্তী পালন করো । স্বর্গে কিছুই পালন করা হয় না । শিব জয়ন্তী হয়, ভক্তিমার্গে যার স্মরণ করা হয় । এখন গীতা এপিসোড চলছে । নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হচ্ছে ব্রহ্মার দ্বারা আর পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হচ্ছে শঙ্কর দ্বারা । এখন এই পুরানো দুনিয়ার বায়ুমণ্ডল তো তোমরা দেখছো, এই পতিত দুনিয়ার বিনাশ অবশ্যই হতে হবে, তাই বলতে থাকে, আমাদের পবিত্র দুনিয়ায় নিয়ে চলো । এখানে অত্যন্ত দুঃখ - লড়াই, মৃত্যু, বৈধব্য, জীবঘাত করা....। সত্যযুগে তো অপার সুখের রাজ্য ছিল । এই এইম অবজেক্টের চিত্র তো অবশ্যই ওখানে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ বিশ্বের মালিক ছিলেন । বাবা পাঁচ হাজার বছরের কথা শোনান - কিভাবে এনারা এমন জন্ম পেয়েছিলেন? এনারা কোন্ কর্ম করেছিলেন যে, এমন হয়েছিলেন? কর্ম - অকর্ম এবং বিকর্মের গতি বাবাই বুঝিয়ে বলেন । সত্যযুগে কর্ম, অকর্ম হয়ে যায় । এখানে তো রাবণ রাজ্য হওয়ার কারণে কর্ম বিকর্ম হয়ে যায়, তাই একে পাপাত্মাদের দুনিয়া বলা হয় । দেওয়া - নেওয়াও এখানে পাপাত্মাদেরই সঙ্গে । গর্ভবতী অবস্থায় বিয়ে দেওয়া হয় । মানুষের দৃষ্টি কতো অপরাধের । এখানে সকলের দৃষ্টিতেই অপরাধ । সত্যযুগকে বলা হয় সভ্য জগৎ । এখানে দৃষ্টি অনেক পাপ কাজ করে ফেলে । ওখানে কেউই পাপ করে না । সত্যযুগ থেকে শুরু করে কলিযুগের অন্তিম পর্যন্ত হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি রিপিট হয় । এ কথা তো জানা উচিত, তাই না । দুঃখধাম, সুখধাম কেন বলা হয়? সমস্ত কিছুই নির্ভর করে পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার উপর। তাই বাবা বলেন, কাম হল মহাশত্রু, একে জয় করতে পারলে তোমরা জগৎজিত হতে পারবে । অর্ধেক কল্প ছিল পবিত্র দুনিয়া, যেখানে শ্রেষ্ঠ দেবতারা ছিলেন । এখন তো ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া । একদিকে বলে, এ হলো ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া, আবার তারা সবাইকে শ্রী - শ্রী বলতে থাকে, যারা আসে তারাই বলে দেয় । এ সবই বুঝতে হবে । এখন তো মৃত্যু সামনে উপস্থিত । বাবা বলেন যে, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তাহলেই পাপ মুক্ত হবে । তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে । সুখধামের মালিক হয়ে যাবে । এখন তো দুঃখই । যতই ওরা কনফারেন্স করুক, সংগঠন করুক, কিন্তু এতে কিছুই হবে না । সিঁড়ি অবতরণের পথে নামতেই থাকে । বাবা তাঁর নিজের কার্য বাচ্চাদের দ্বারা করছেন । তোমরা আমাকে ডেকেছিলে, হে পতিত পাবন এসো, তাই আমি আমার সময় মতো এসেছি । "যদা যদাহি ধর্মস্য..." এর অর্থও কেউ জানে না । যখন বাবাকে ডাকে, তখন অবশ্যই নিজে পতিত । বাবা বলেন যে, রাবণ তোমাদের পতিত বানিয়েছে, এখন আমি তোমাদের পবিত্র বানাতে এসেছি । সেই দুনিয়া ছিল পবিত্র । এখন হল পতিত দুনিয়া । সকলের মধ্যেই পাঁচ বিকারের উপস্থিতি, অপরম্ অপার দুঃখ । চারিদিকে অশান্তি আর অশান্তি । তোমরা যখন সম্পূর্ণ তমোপ্রধান, পাপাত্মা হয়ে যাও, আমি তখন আসি । যারা আমাকে সর্বব্যাপী বলে আমার অপকার করে, আমি এমন লোকেদেরও উপকার করতে আসি । আমাকে তোমরা নিমন্ত্রণ জানাও যে, এই পতিত রাবণের দুনিয়ায় এসো । পতিত শরীরে এসো । আমারও তো রথের প্রয়োজন, তাই না । পবিত্র রথের তো প্রয়োজন নেই । রাবণ রাজ্যে সবাই হলো পতিত । কেউই পবিত্র নেই । সকলের জন্ম বিকারের মাধ্যমেই হয় । এ হলো ভিশস ওয়ার্ল্ড (বিকারী দুনিয়া), সে হলো ভাইসলেস (নির্বিকারী) । এখন তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান কিভাবে হবে? আমিই তো পতিত - পাবন । তোমরা আমার সঙ্গে যোগযুক্ত হও, ভারতের প্রাচীন রাজযোগ হলো এটাই । তিনি তো অবশ্যই গৃহস্থ মার্গেই আসবেন । তিনি কতো ওয়ান্ডারফুল ভাবে আসেন, তিনি বাবাও, আবার মা-ও, কারণ অমৃত নির্গত হওয়ার জন্য গোমুখের তো প্রয়োজন । তাই ইনি মাতা - পিতা, আবার মায়েদের সামলানোর জন্য সরস্বতীকে প্রধান রেখেছেন, তাঁকে বলা হয় জগদম্বা । কালী মাতা বলা হয় । এমন কালো কোনো শরীর হয় কি! কৃষ্ণকে কালো করে দিয়েছে, কেননা তিনি কাম চিতায় বসে কালো হয়ে গেছেন । কৃষ্ণই অসুন্দর (কালো) থেকে আবার সুন্দর হন । এইসব কথা বোঝার জন্যও সময়ের প্রয়োজন । কোটিতে কয়েকজন, কয়েকজনের মধ্যেও আবার সমান্য কয়েকজনের বুদ্ধিতে এইকথা বসবে। কেননা সকলের মধ্যেই পাঁচ বিকার বিদ্যমান । তোমরা এইকথা সভাতেও বুঝিয়ে বলতে পারো, কেননা তোমাদের প্রত্যেকেরই বলার অধিকার আছে, এমন সুযোগ কাজে লাগানো উচিত । অফিসিয়াল সভাতে কেউ মাঝখানে কোনো প্রশ্ন করে না । শুনতে না চাইলে শান্তির সঙ্গে চলে যাও, কোনো আওয়াজ কোরো না । তোমরা এমনভাবে বসে বোঝাও - এখন তো অপার দুঃখ । আরো দুঃখের পাহাড় ভেঙ্গে পড়বে । আমরা বাবাকে আর তাঁর রচনাকে জানি । তোমরা তো কারোরই কর্তব্য সম্বন্ধে জানো না, বাবা ভারতকে কিভাবে এবং কবে প্যারাডাইস বানিয়েছিলেন - একথা তোমরা জানো না, এসো আমরা বুঝিয়ে বলি । ৮৪ জন্ম গ্রহণ কীভাবে করে? তোমরা সাত দিনের কোর্স করো, তাহলে তোমাদের ২১ জন্মের জন্য পাপাত্মা থেকে পুণ্যাত্মা বানিয়ে দেবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) বাবা কর্ম, অকর্ম এবং বিকর্মের গুহ্য গতি যা বুঝিয়েছেন, সেই কথা বুদ্ধিতে রেখে এখন পাপাত্মাদের সঙ্গে কোনও প্রকারের লেন-দেন করবে না ।

২ ) শ্রীমৎ অনুযায়ী চলে বুদ্ধিযোগ এক বাবার সাথে যুক্ত করতে হবে । সতোপ্রধান হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে । দুঃখধামকে সুখধাম বানানোর জন্য পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে । ক্রিমিনাল দৃষ্টি পরিবর্তন করতে হবে ।

বরদান:-
নলেজফুল হয়ে সকল ব্যর্থের প্রশ্নগুলিকে যজ্ঞে স্বাহা করে নির্বিঘ্ন ভব

যখন কোনো বিঘ্ন আসে তখন কী-কেন র প্রশ্নে চলে যাও তোমরা, প্রশ্নচিত্ত হওয়া অর্থাৎ হয়রান হওয়া। নলেজফুল হয়ে যজ্ঞে সকল ব্যর্থ প্রশ্নগুলিকে স্বাহা করে দাও, তবে তোমাদেরও টাইম বাঁচবে আর অন্যদেরও টাইম বেঁচে যাবে। এর দ্বারা সহজেই নির্বিঘ্ন হয়ে যাবে। নিশ্চয় আর বিজয় হলো জন্মসিদ্ধ অধিকার - এই নেশায় থাকো তাহলে কখনও হয়রান হবে না।

স্লোগান:-
সদা উৎসাহে থাকা আর অন্যদেরকে উৎসাহ দেওয়া - এটাই হলো তোমাদের অক্যুপেশন।