13.02.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা যা, তিনি ঠিক যেমন, সেই যথার্থ ভেবে জেনে স্মরণ করা, এটাই হলো মুখ্য বিষয়,
মানুষকে এই কথা অনেক যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে"
প্রশ্নঃ -
সমগ্র
ইউনিভার্সের জন্য কি এমন পাঠ রয়েছে যেটা তোমরা এখানেই পড়ো?
উত্তরঃ
সমগ্র
ইউনিভার্সের জন্য এটাই হলো পাঠ যে, তোমরা সবাই হলে আত্মা। নিজেকে আত্মা মনে করে
বাবাকে স্মরণ করো, তো পবিত্র হয়ে যাবে। সমগ্র বিশ্বের যিনি বাবা, তিনি একবারের
জন্যই সবাইকে পবিত্র বানাতে আসেন। তিনি এসে রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান প্রদান করেন, এই
জন্য বাস্তবে এটাই হলো একমাত্র ইউনিভার্সিটি, এই সমস্ত কথা বাচ্চাদের স্পষ্ট করে
বোঝাতে হবে।
ওম্ শান্তি ।
ভগবানুবাচ -
এখন এটা তো আত্মিক বাচ্চারা বুঝে গেছে যে, ভগবান কে । ভারতের মধ্যে কেউই যথার্থ ভাবে
তা জানে না। তিনি বলেন যে - আমি যা, আমি যেমন, আমাকে যথার্থ ভাবে কেউ জানে না।
তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার আছে। নম্বরের ক্রমে পুরুষার্থ অনুসার জানে। হয়তো
এখানেই থাকে, কিন্তু যথারীতি দিয়ে জানেনা। যথার্থ রীতি জেনে বাবাকে স্মরণ করা,
এটাই হলো খুব পরিশ্রমের কাজ। যদিও বাচ্চারা বলে, এটা খুবই সহজ, আমাকে নিরন্তর বাবাকে
স্মরণ করতে হবে, বুদ্ধিতে এই যুক্তি থাকে। আমি আত্মা হলাম অতীব ছোট্ট বিন্দু। আমার
বাবাও হলেন ছোট্ট বিন্দু। অর্ধকল্প তো ভগবানের কোনো নামই নেওয়া হয় না। দুঃখ হলেই
স্মরণ করে - হে ভগবান। এখন ভগবান কে, এটা তো কোনো মানুষ বোঝে না। এখন মানুষকে কিভাবে
বোঝাবে - এর উপরে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। নামও লেখা আছে - প্রজাপিতা
ব্রহ্মাকুমারীজ ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এর দ্বারাও বোঝেনা যে, এটা হলো আত্মিক
অসীম জগতের বাবার ঈশ্বরীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখন কী নাম রাখলে মানুষ খুব শীঘ্রই বুঝে
যাবে? কিভাবে মানুষকে বোঝাবে যে, এটা হল ইউনিভার্সিটি? ইউনিভার্স থেকে ইউনিভার্সিটি
শব্দ এসেছে। ইউনিভার্স অর্থাৎ সমগ্র ওয়ার্ল্ড, তার নাম রাখা হয়েছে - ইউনিভার্সিটি,
যেখানে সমস্ত মানুষ পড়াশোনা করতে পারবে। ইউনিভার্সের পড়াশোনার জন্য ইউনিভার্সিটি
রয়েছে । এখন বাস্তবে ইউনিভার্সের জন্য তো এক বাবা-ই আসেন, তাঁর এই একটিই
ইউনিভার্সিটি আছে। এইম অব্জেক্ট হলো এক। বাবা-ই এসে সমগ্র বিশ্বকে পবিত্র বানান,
যোগ শেখান। এটাতো সমস্ত ধার্মিক আত্মাদের জন্যে আছে। বলেন যে, নিজেকে আত্মা মনে করো,
ইনি হলেন সমগ্র বিশ্বের পিতা - নিরাকারী গডফাদার, তাহলে কেন না এর নাম "স্পিরিচুয়াল
ইউনিভার্সিটি অফ স্পিরিচুয়াল ইনকর্পোরিয়াল গডফাদার" রাখা যায়? ভেবে দেখার মতো,
তাই না। মানুষ তো এইরকমই হয়, যাদের মধ্যে সমগ্র বিশ্বের একজনও কেউ বাবাকে জানে না।
রচয়িতাকে জানলে রচনাকেও জানতে পারবে। রচয়িতার দ্বারাই রচনাকে জানা যায়। বাবা
বাচ্চাদেরকে সবকিছু বুঝিয়ে দেবেন। আর কেউই এসব কথা জানে না। ঋষি-মুনিরাও নেতি নেতি
বলে গেছেন। তাই বাবা বলেন, তোমাদের মধ্যে প্রথমে এই রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান ছিল না।
এখন রচয়িতা সবকিছু বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাবা বলেন, আমাকে সবাই আহ্বানও করে যে, এসে
আমাদেরকে সুখ-শান্তি দাও, কেননা এখন চারিদিকে কেবলই দুঃখ আর অশান্তি। তাঁর নামই হলো
দুঃখ হর্তা সুখকর্তা। তিনি কে? ভগবান। তিনি কিভাবে দুঃখ হরণ করে সুখ প্রদান করেন,
এটা কেউ জানে না। তাই এইরকম পরিষ্কার করে লেখো, যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে, নিরাকার
গডফাদারই এই জ্ঞান প্রদান করেন। এইরকম-এইরকম বিচার সাগর মন্থন করতে হবে। বাবা বুঝিয়ে
দেন যে, মানুষ এখন সবাই পাথরবুদ্ধি হয়ে গেছে। এখন তোমাদেরকে পারস বুদ্ধি বানাচ্ছি।
বাস্তবে পারস বুদ্ধি তাদেরকে বলা যাবে, যারা ন্যূনতম ৫০ এর অধিক নাম্বার নেবে। যারা
অসফল হয়ে যাবে তাদেরকে পারস বুদ্ধি নেই। রামও কম নম্বর নিয়েছিলেন, তাই তাকে
ক্ষত্রিয় দেখানো হয়েছে। এটাও কেউ বোঝেনা যে, রামের হাতে তীর-ধনুক কেন দেখানো
হয়েছে? শ্রীকৃষ্ণের হাতে স্বদর্শন চক্র দেখানো হয়েছে যে, তিনি সবাইকে হত্যা
করেছেন আর রামকে বাণ দেখানো হয়েছে। একটা খুব ভালো ম্যাগাজিন বের হতো যেখানে লেখা
ছিল যে, কৃষ্ণ কিভাবে স্বদর্শন চক্রের দ্বারা অকাসুর-বকাসুরকে হত্যা করেছিল।
দু'জনকেই হিংসক বানিয়ে দিয়েছে আবার পুনরায় ডবল হিংসক বানিয়ে দিয়েছে। বলে যে,
তাদেরও তো বাচ্চা হয়েছে, তাই না। আরে, তাঁরা তো হলেনই নির্বিকারী দেবী-দেবতা।
সেখানে তো রাবন রাজ্যই নেই। এই সময় সবাইকে রাবণ সম্প্রদায়ের বলা হয়।
এখন তোমরা সবাইকে
বোঝাও যে, আমরা যোগবলের দ্বারা বিশ্বের রাজত্ব গ্রহণ করছি, তাহলে কেন যোগবলের দ্বারা
বাচ্চা হতে পারেনা। সেটা তো হলোই নির্বিকারী দুনিয়া। এখন তোমরা শূদ্র থেকে
ব্রাহ্মণ হচ্ছো। এইরকম ভালো রীতিতে বোঝাতে হবে, যার দ্বারা মানুষ বুঝতে পারে যে এর
কাছে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে। অল্প একটুও যদি জ্ঞান বুঝে যায়, তাহলে বোঝা যাবে যে এই
আত্মা ব্রাহ্মণ কুলের আছে। আবার কয়েকজনকে দেখে বোঝাই যায় যে, এ ব্রাহ্মণ কুলের নয়।
অনেক রকমের আত্মাই তো আসে, তাইনা। তাই তোমরা "স্পিরিচুয়াল ইউনিভার্সিটি অফ
স্পিরিচুয়াল ইনকরপোরিয়াল গডফাদার" লিখে দেখো, কি হয়? বিচার সাগর মন্থন করে শব্দ
মেলাতে হয়। লেখার জন্য যথাযথ যুক্তি চাই। যার দ্বারা মানুষ বুঝতে পারে যে, এখানে
এই জ্ঞান গডফাদার বোঝান অথবা রাজযোগ শেখান। এই শব্দ হলো সাধারণ। জীবনমুক্তি হল এক
সেকেন্ডে দৈব সার্বভৌমত্ব ক্ষমতা লাভ। এইরকম-এইরকম শব্দ লেখ, যেটা মানুষদের বুদ্ধিতে
ধারণা হয়ে যায়। ব্রহ্মার দ্বারা বিষ্ণুপুরীর স্থাপনা হয়। মন্মনা ভব - এর অর্থ হলো
বাবা আর বাবার বরদানকে স্মরণ করো। তোমরা হলে - ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ
কুলভুষণ, স্বদর্শন চক্রধারী। এখন সেই স্বদর্শন চক্র তো বিষ্ণুর হাতে দেখানো হয়।
কৃষ্ণকেও চার হাত দেখানো হয়। এখন, তাঁর চার হাত কীভাবে হতে পারে? বাবা কত
সুন্দরভাবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাচ্চাদেরকে বোঝার জন্য বিশাল বুদ্ধি এবং পারস
বুদ্ধি সম্পন্ন হতে হবে। সত্যযুগে যথা রাজা-রানী তথা প্রজা পারস বুদ্ধি বলে, তাই
না। সেটা হল পারস দুনিয়া আর এটা হলো পাথরের দুনিয়া। তোমাদের এই জ্ঞান প্রাপ্ত
হয়েছে - মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য। তোমরা শ্রীমতে চলে নিজেদের রাজ্য পুনরায়
স্থাপন করছো। বাবা আমাদেরকে যুক্তি বলে দেন যে, রাজা-মহারাজা কিভাবে হওয়া যায়?
তোমাদের বুদ্ধিতে এই জ্ঞান ভরে যায় অন্যদেরকে বোঝানোর জন্য। সৃষ্টি চক্রের উপর
বোঝানোও খুব সহজ আছে। এই সময় জনসংখ্যা দেখো, কত বেশী হয়ে গেছে। সত্যযুগে খুব অল্প
সংখ্যাই হয়। এটাতো সঙ্গম আছে তাই না। ব্রাহ্মণ তো খুব কমসংখ্যকই হবে তাই না।
ব্রাহ্মণদের যুগই হলো ছোট। ব্রাহ্মণদের পর হল দেবতা, তারপর আস্তে আস্তে জনসংখ্যা
বৃদ্ধি হয়। ডিগবাজি খেলা হয় তাই না। তাই সিঁড়ির চিত্রের সাথে সাথে বিরাট রূপেরও
চিত্র হলে তো বোঝানো পরিষ্কার হয়ে যাবে। যে তোমাদের কুলের হবে তার বুদ্ধিতে রচয়িতা
আর রচনার জ্ঞান সহজেই ধারণা হয়ে যাবে। তার মুখ দেখেই বোঝা যাবে যে, এ আমাদের কুলের
আছে বা নেই। যদি না হয়, তাহলে গরম চাটুতে জলের ছিঁটা পড়লে সাথে সাথেই যেমন উবে যায়,
তেমন জ্ঞানও তাদের বুদ্ধি থেকে উবে যাবে। যে বুঝদার হবে, সে মন দিয়ে শুনবে। একবার
কাউকে সম্পূর্ণভাবে তীর লেগে গেলে সে আসতেই থাকবে। কেউ কেউ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবে,
আবার কেউ ভালোভাবে বোঝার জন্য প্রতিদিন আসতে থাকবে। চিত্রের দ্বারা যে কেউ তো সহজেই
বুঝে যেতে পারে। এই দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা বাবা করছেন। কেউ না জিজ্ঞাসা করেও
নিজে নিজেই বুঝে যেতে পারবে। কেউ কেউ তো আবার অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে থাকে,
কিছুই বোঝে না। তবুও তাদেরকে বোঝাতে হবে, রেগে গেলে তো হবে না। আবার বলে যে, ঈশ্বর
তোমাদের রক্ষাও করেন না! এখন, তিনি কিভাবে যে তোমাদের রক্ষা করেন, সেটা তোমরাই জানো।
কর্মের হিসেব-নিকেষ তো সবাইকেই সমাপ্ত করতেই হবে। এইরকম অনেক আছে যে, শরীর খারাপ
হলেই তো বলে যে, রক্ষা করো। বাবা বলেন যে, আমি তো আসিই তোমাদের পতিত থেকে পবিত্র
বানাতে। সেই ধান্ধাটা তোমরাও শেখো। বাবা পাঁচ বিকারের উপর জয় করতে শেখান, তাই আরো
তীব্র গতি দিয়ে তারা মোকাবিলা করতে আসে। বিকারের তুফান খুব জোরে আসে। বাবা তো বলেন
যে, বাবার হয়ে গেলে এইসব অসুখ-বিসুখ আরো উতাল-পাতাল করবে, তুফান খুব জোরে আসবে।
এটাই তো হলো বক্সিং। ভালো ভালো শক্তিমান বাচ্চাদেরকেও পরাজিত করে। বলে যে - না
চাইতেও কুদৃষ্টি চলে গেছে, রেজিস্টার খারাপ হয়ে যায়। কুদৃষ্টি আত্মার সঙ্গে কথাই
বলা উচিত নয়। বাবা সকল সেন্টারের বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন যে, কুদৃষ্টি সম্পন্ন আত্মা
অনেকে আছে, নাম নিলে আরো তারা বিশ্বাসঘাতক হয়ে যাবে। নিজের সর্বনাশ (সত্যানাশ) করে
খারাপ কাজ করতে লেগে যাবে। কাম বিকার নাক দিয়ে ধরে নেবে। মায়া ছাড়বেই না, কুকর্ম,
কুদৃষ্টি, কুবচন বেরিয়ে আসবে, কুচলন হয়ে যাবে, এইজন্য খুব খুব সাবধান থাকতে হবে।
বাচ্চারা, যখন তোমরা
প্রদর্শনী আদি করতে থাকো তখন এই রকম যুক্তি বের করো, যে কেউ খুব সহজেই বুঝে যেতে
পারে। এই গীতা জ্ঞান স্বয়ং বাবা পড়াচ্ছেন। এতে কোনো শাস্ত্রাদির কথা নেই। এটা তো
হলো পড়াশোনা। গীতা বই তো এখানে নেই। বাবা পড়াচ্ছেন। তিনি কি বই হাতে নিয়ে
পড়াবেন? তাছাড়া এই গীতা নাম কোথা থেকে এসেছে? এইসব ধর্মশাস্ত্র তৈরিই হয় পরবর্তী
সময়ে। কত সব মঠ-পন্থা আছে। প্রত্যেকেরই নিজের নিজের শাস্ত্র রয়েছে । শাখা-প্রশাখা
যা কিছু আছে, ছোট ছোট মঠ, পন্থা অনেক আছে, তাদেরও শাস্ত্রাদি নিজের নিজের আছে।
সেগুলো হয়ে গেল সব ছোট বাচ্চা। তার থেকে তো কখনো মুক্তি পাওয়া যায়না। সকল
শাস্ত্রের শিরোমণী গীতা গাওয়া হয়। গীতারও জ্ঞান শোনানোর জন্য কেউ থাকেন, তাইনা।
এই জ্ঞান বাবা এসে প্রদান করেন। তাঁর হাতে কোন শাস্ত্র আদি থাকে না। আমিও শাস্ত্র
পড়িনা, তোমাদেরকেও পড়াই না। তিনিও শেখেন এবং শেখান। এখানে শাস্ত্রের কোন কথা নেই।
বাবা হলেনই নলেজ ফুল। আমি তোমাদেরকে সমস্ত বেদ-শাস্ত্রের সার-সংক্ষেপ বোঝাই। মুখ্য
হলই চার ধর্মের চার ধর্মশাস্ত্র। ব্রাহ্মণ ধর্মের কোন শাস্ত্র আছে কি? এগুলোই হলো
বোঝার বিষয়। এইসব কথা বাবা বসে বিস্তারিতভাবে বোঝাচ্ছেন। মানুষ তো সব পাথর বুদ্ধি
হয়ে গেছে তাই তো এত কাঙ্গাল হয়ে গেছে। দেবতারা ছিলেন সুবর্ণ যুগে। সেখানে সোনার
মহল তৈরী হয়। সোনার খনি থাকে। এখন তো সত্যিকারের সোনাও নেই। এসমস্ত কথা ভারতের
মধ্যেই প্রচলিত আছে। তোমরা দেবী-দেবতারা পারসবুদ্ধি ছিলে, বিশ্বের উপর রাজত্ব
করেছিলে। এখন স্মৃতিচারণা হয়েছে, আমরাই স্বর্গের মালিক ছিলাম তারপর এখানে এই নরকের
মালিক হয়ে গেছি। এখন পুনরায় পারসবুদ্ধি তৈরি হচ্ছি। এই সমস্ত জ্ঞান বাচ্চারা,
তোমাদের বুদ্ধিতে আছে, যেটা পুনরায় অন্যদেরকে বোঝাতে হবে। ড্রামা অনুসারে পার্ট
চলতে থাকে। যে সময় অতিক্রান্ত হয়ে যায় সেটা একদম সঠিক থাকে, তবুও পুরুষার্থ তো
করতেই হয়, তাই না। যে বাচ্চাদের নেশা থাকে যে, স্বয়ং ভগবান আমাদেরকে স্বর্গের
মালিক বানানোর জন্য পুরুষার্থ করাচ্ছেন, তার মুখের ওপর ফার্স্ট ক্লাস খুশির প্রভা
মন্ডল দেখা যায়। বাবা আসেনই বাচ্চাদেরকে পুরুষার্থ করিয়ে প্রারদ্ধ করানোর জন্য।
এটাও তোমরা জানো যে, এসমস্ত কথা দুনিয়াতে খুব অল্প সংখ্যাই জানে। স্বর্গের মালিক
বানানোর জন্য ভগবান পুরুষার্থ করাচ্ছেন, তাই খুশি থাকা চাই। মুখমন্ডলে খুব সুন্দর
খুশির প্রভা মন্ডল থাকা চাই। বাবার স্মরণেই তোমরা সব সময় হাসিমুখে থাকো। বাবাকে
ভুলে গেলেই হতাশা বা নিরাশা এসে যায়। বাবা আর বাবার উত্তরাধিকারকে স্মরণ করলে
খুশিময় চেহারা হয়ে যায়। প্রত্যেকের সেবা দ্বারা বোঝা যায়। বাবার কাছে বাচ্চাদের
সুগন্ধ তো আসে, তাইনা। সুপুত্র বাচ্চাদের থেকে সুগন্ধ আছে, কুপুত্রদের থেকে
দুর্গন্ধ আসে। বাগান থেকে সুগন্ধী ফুলকেই তোলার জন্য মন চায়। আকন্দ ফুলকে তো কেউ
তুলতে চায়না। বাবাকে যথার্থ রীতিতে স্মরণ করলেই, বিকর্ম বিনাশ হবে। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
মায়ার সাথে যুদ্ধে হেরে যেও না। খেয়াল থাকে যে, কখনো মুখ থেকে কুবচন না বেরিয়ে
যায়, কুদৃষ্টি, কুচলন, কুকর্ম না হয়ে যায়।
২ ) ফার্স্ট ক্লাস
সুগন্ধি ফুল হতে হবে। নেশা থাকে যে, স্বয়ং ভগবান আমাদেরকে পড়াতে এসেছেন। বাবার
স্মরণে থেকে সবসময় হাসিমুখে থাকতে হবে, কখনো হতাশ বা নিরাশ হয়ে পড়ো না।
বরদান:-
চ্যালেঞ্জ আর প্র্যাক্টিক্যালের সমতা দ্বারা নিজেকে পাপকর্ম করা থেকে মুক্ত রাখা
বিশ্ব সেবাধারী ভব
বাচ্চারা, তোমরা যে
চ্যালেঞ্জ করো সেই চ্যালেঞ্জ আর প্র্যাক্টিক্যাল জীবনের মধ্যে যেন সমতা থাকে, নাহলে
তো পুণ্যাত্মার পরিবর্তে বোঝা বহনকারী আত্মা হয়ে যাবে। এই পাপ আর পূণ্যের গতিকে জেনে
নিজেকে সেফ রাখো কেননা সংকল্পেও কোনও বিকারের দুর্বলতা, ব্যর্থ কথা, ব্যর্থ ভাবনা,
ঘৃণা বা ঈর্ষার ভাবনা পাপের খাতা বৃদ্ধি করে এইজন্য পূণ্যাত্মা ভব-র বরদান দ্বারা
নিজেকে সুরক্ষিত রেখে বিশ্ব সেবাধারী হও। সংগঠিত রূপে একমত, একরস স্থিতির অনুভব
করাও।
স্লোগান:-
পবিত্রতার আলো চারিদিকে জ্বালাও তাহলে বাবাকে সহজে দেখতে পাবে।
অব্যক্ত ঈশারা -
একান্তপ্রিয় হও, একতা আর একাগ্রতাকে ধারণ করো
প্রত্যক্ষতার ঝান্ডা
ওড়ানোর পূর্বে শুধু দুটো শব্দ প্রত্যেক কর্মে নিয়ে এসো। এক হল সর্ব সম্বন্ধ আর
সম্পর্কে নিজেদের মধ্যে একতা। অনেক সংস্কার থাকা সত্ত্বেও অনেকের মধ্যে একতা আর
দৃঢ়তা, এটাই হল সফলতার সাধন। কখনও কখনও একতা নড়ে যায়। এ করলে, আমি করবো... এরকম না।
তোমাদের স্লোগান হল স্ব পরিবর্তনের দ্বারা বিশ্ব পরিবর্তন, বিশ্ব পরিবর্তনের দ্বারা
স্ব পরিবর্তন নয়।