13.09.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা হলে সর্ব আত্মাদের কর্মবন্ধন থেকে স্যালভেজ করা স্যালভেশন আর্মী (উদ্ধারকারী
সৈন্যদল), তোমাদের কোনোরকম কর্মবন্ধনে ফেঁসে যাওয়া উচিত নয়"
প্রশ্নঃ -
কোন্
প্র্যাক্টিসটি করতে থাকলে আত্মা অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে যাবে?
উত্তরঃ
যখনই সময় পাবে
তখন শরীর থেকে ডিট্যাচ হওয়ার প্র্যাক্টিস করো। ডিট্যাচ থাকলে আত্মায় শক্তি সঞ্চিত
হয়, বল ভরবে। তোমরা হলে আন্ডার গ্রাউন্ড মিলিটারি, তোমরা ডাইরেকশন পেয়েছো -
অ্যাটেনশন প্লিজ অর্থাৎ একমাত্র বাবার স্মরণে থাকো, অশরীরী হয়ে যাও ।
ওম্ শান্তি ।
ওম্ শান্তির
অর্থ তো বাবা ভালো ভাবে বুঝিয়েছেন। যেখানেই মিলিটারি দাঁড়িয়ে যায় তখন তারা বলে -
অ্যাটেনশন। তাদের অ্যাটেনশন এর অর্থ হলো সাইলেন্স। এখানেও বাবা তোমাদের বলেন
অ্যাটেনশন, অর্থাৎ এক বাবার স্মরণে থাকো। তোমরা তো মুখ দিয়েই কথা বলো, বাস্তবে না
হলে বাকি সময় বাণীর ঊর্ধ্বেই থাকা উচিত । অ্যাটেনশন - বাবার স্মরণে আছো? বাবার
ডাইরেকশন বা শ্রীমৎ প্রাপ্ত হয়, তোমরা আত্মাকেও চিনেছো, বাবাকেও চিনেছো। অতএব বাবার
স্মরণ ব্যতীত তোমরা বিকর্মাজিৎ বা সতোপ্রধান পবিত্র হতে পারবে না। মুখ্য কথা হলো,
বাবা বলেন মিষ্টি মিষ্টি প্রিয় বাচ্চারা! নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো।
এইসব কথা হলো বর্তমান সময়ের, যা তারা অন্য দিকে নিয়ে গেছে। তারাও হলো মিলিটারী,
তোমরাও হলে মিলিটারী। আন্ডারগ্রাউন্ড মিলিটারীও থাকে, তাইনা। অদৃশ্য হয়ে যায়।
তোমরাও হলে আন্ডারগ্রাউন্ড। তোমরাও অদৃশ্য হয়ে যাও অর্থাৎ বাবার স্মরণে লীন (মগ্ন)
হয়ে যাও। একেই বলে আন্ডারগ্রাউন্ড হওয়া। কেউ তোমাদের চিনতে পারে না। কারণ তোমরা তো
হলে গুপ্ত, তাইনা। তোমাদের স্মরণের যাত্রা হলো গুপ্ত, বাবা শুধু বলেন আমাকে স্মরণ
করো, কারণ বাবা জানেন, স্মরণের দ্বারাই বেচারাদের কল্যাণ হবে। এখন তোমাদের বেচারা
বলা হবে, তাইনা। স্বর্গে তো কেউ গরিব বা বেচারা হয় না। বেচারা তাদের বলা হয় যারা
কর্মবন্ধনে জড়িয়ে থাকে। এই কথাও তোমরা বুঝেছ, বাবা বুঝিয়েছেন - তোমাদের লাইট হাউসও
বলা হয়। বাবাকেও লাইট হাউস বলা হয়। বাবা ক্ষণে ক্ষণে বোঝান - এক চোখে শান্তিধাম,
অন্য চোখে সুখধাম রাখো। তোমরা হলে যেন লাইট হাউস। উঠতে, বসতে, চলতে ফিরতে তোমরা
লাইট হয়ে থাকো। সবাইকে সুখধাম-শান্তিধামের পথ বলে দাও। এই দুঃখধামে সবার নৌকো আটকে
আছে, তাই তো তারা বলে - আমার নৌকো পার করাও। হে মাঝি, সবার নৌকো আটকে আছে, তাদের
স্যালভেজ (উদ্ধার) করবে কে? প্রকৃত অর্থে তারা কোনো স্যালভেশন আর্মী তো নয়, কেবল
নামই রেখেছে। বাস্তবে উদ্ধারকারী আর্মী হলে তোমরা, যারা প্রত্যেককে স্যালভেজ করে
থাকো। সবাই ৫ বিকারের শৃঙ্খলে আটকে আছে, তাই তারা বলে আমাদের লিবারেট করো, স্যালভেজ
করো। তাই বাবা বলেন, এই স্মরণের যাত্রার দ্বারা তোমরা পার হয়ে যাবে। এখন তো সবাই
ফেঁসে আছে। বাবাকে বাগানের মালিকও বলা হয়। এই সময়েরই সব কথা। তোমাদের ফুল হতে হবে,
এখন তো সবাই হলো কাঁটা, কারণ সবাই হলো হিংসক। এখন অহিংসক হতে হবে। পবিত্র হতে হবে।
যারা ধর্ম স্থাপন করতে আসে সেই আত্মারা তো পবিত্র আত্মা-ই আসে। তারা তো অপবিত্র হতে
পারে না। সর্ব প্রথম যখন আসে তখন পবিত্র হওয়ার দরুন তাদের আত্মা বা শরীর কোনো দুঃখ
প্রাপ্ত করে না। কারণ তাদের কোনও পাপ কর্ম নেই। আমরা যখন পবিত্র তখন কোনও পাপ থাকে
না, সুতরাং অন্যদেরও থাকে না। প্রতিটি কথা বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে। সেখান থেকে
আত্মারা আসে ধর্ম স্থাপন করার জন্য। যাদের বংশ বিস্তার হয়। শিখ ধর্মেরও বংশ আছে।
সন্ন্যাসীদের বংশ থোড়াই চলে, তারা রাজা হয় না। শিখ ধর্মে মহারাজা ইত্যাদি হয়, তাই
যখন তারা আসেন স্থাপনা করতে তখন আত্মা নতুন থাকে। খ্রাইষ্ট এসে খ্রীস্টান ধর্ম
স্থাপন করেন, বুদ্ধ স্থাপন করেন বৌদ্ধ ধর্ম, ইব্রাহিম করেন ইসলাম ধর্ম - সবার নামে
রাশির মিল আছে। দেবী-দেবতা ধর্মের নাম পাওয়া যায় না। নিরাকার পিতা এসে দেবী-দেবতা
ধর্মের স্থাপনা করেন। তিনি দেহধারী নন। অন্য ধর্ম স্থাপকদের দেহের নাম আছে, ইনি তো
দেহধারী নন। দেবী-দেবতা ধর্মের বংশ নতুন দুনিয়ায় চলে। তাই বাবা বলেন - বাচ্চারা,
নিজেকে রূহানী মিলিটারী অবশ্যই নিশ্চয় করো। জাগতিক মিলিটারী ইত্যাদির কমান্ডার
ইত্যাদি এসে বলে অ্যাটেনশন, তখন সবাই চট করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে যায়। এবারে তারা তো
প্রত্যেকে নিজের নিজের গুরুকে স্মরণ করবে বা শান্ত হয়ে থাকবে। কিন্তু সেটা তো মিথ্যা
শান্তি। তোমরা জানো আমরা হলাম আত্মা, আমাদের ধর্ম হল শান্তি। তাহলে স্মরণ কাকে করবে।
এখন তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করেছ। জ্ঞান যুক্ত হয়ে স্মরণে থাকলে পাপ বিনষ্ট হয়। এই
জ্ঞান অন্য কারো নেই। মানুষ এই কথা বোঝে না যে - আমরা আত্মা, আমরা শান্ত স্বরূপ।
আমাদের শরীর থেকে ডিট্যাচ হয়ে বসতে হবে। এখানে তোমরা সেই শক্তি প্রাপ্ত করো যার
দ্বারা তোমরা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবার স্মরণে বসতে পারো। বাবা বোঝান - কিভাবে
নিজেকে আত্মা ভেবে ডিট্যাচ হয়ে বসো।
তোমরা জানো যে আমরা
আত্মা, আমাদের ফিরে যেতে হবে। আমরা পরমধামের নিবাসী। এত দিন নিজের গৃহ ভুলে থেকেছি,
অন্য কেউ কি বুঝবে - আমাদের ঘরে ফিরতে হবে। পতিত আত্মারা তো ফিরে যেতে পারবে না। না
কেউ এমন করে বোঝাবে যে অমুককে স্মরণ করো। বাবা বোঝান - স্মরণ একজনকেই করতে হবে।
অন্য কাউকে স্মরণ করে কি লাভ হবে ! ধরো, ভক্তি মার্গে শিব-শিব বলে, জ্ঞান তো নেই যে
লাভ কি হবে । শিবকে স্মরণ করলে পাপ বিনষ্ট হবে -এই কথা কেউ জানে না। তোমরা আওয়াজ
শুনতে পাবে। শব্দ তো অবশ্যই ধ্বনিত হবে, কিন্তু সেসব কথায় কোনো লাভ নেই। বাবা (ব্রহ্মা
বাবা) তো হলেন এইসব গুরুদের নিয়ম কায়দার অনুভাবী, তাই না।
বাবা বলেছেন না - হে
অর্জুন, এই সব ত্যাগ করো.... সদ্গুরুকে যখন পেয়েছো, তখন এই সবের আর দরকার নেই।
সদ্গুরু উদ্ধার করেন। বাবা বলেন, আমি তোমাদের অসুরী জগৎ থেকে পার করে নিয়ে যাই।
বিষয় সাগর পার করতে হবে। এই সব হলো বোঝানোর বিষয় । মাঝি তো হলো নৌকো চালক, কিন্তু
তোমাদের বোঝানোর মাঝি শব্দটা নেওয়া হয়েছে। তাঁকে বলা হয় প্রাণেশ্বর বাবা অর্থাৎ
প্রাণ দান করেন এমন বাবা, তিনি অমর করেন। প্রাণ বলা হয় আত্মাকে। আত্মা বেরিয়ে গেলে
বলা হয় প্রাণ বেরিয়ে গেল। তখন শরীরটাকে একদম রাখতে দেয় না। আত্মা আছে তো শরীরও
সুস্থ থাকে। আত্মা ব্যতীত শরীরে দুর্গন্ধ হয়। তখন সেই শরীর রেখে কি করবে। পশুরাও
এমন করে না। শুধু একমাত্র বানর এমন প্রাণী যার সন্তানের মৃত্যু হলেও, তাতে দুর্গন্ধ
হওয়া সত্ত্বেও সেই শব দেহ নিয়ে ঘুরে বেড়ায়, ত্যাগ করে না। সে তো হলো পশু, তোমরা তো
মানুষ, তাই না। শরীর ত্যাগ করলেই বলা হয় শীঘ্র বাইরে বের করো। মানুষ বলে স্বর্গে
গেছে। যখন শব দেহ তোলা হয় তখন প্রথমে পা থাকে শ্মশানের দিকে, তারপরে যখন সেখানে
ভিতরে ঢোকে, পূজা ইত্যাদি করে বুঝতে পারে এখন স্বর্গে যাচ্ছে তখন তার মুখ ঘুরিয়ে
দেওয়া হয় শ্মশানের দিকে । তোমরা কৃষ্ণকেও সঠিক দেখাও, নরককে লাথি মারছে। কৃষ্ণের এই
শরীর তো নয়, তাঁর নাম রূপ তো পরিবর্তন হয়। কত রকমের কথা বাবা বোঝান তারপরে বলেন - "মন্মনাভব"
।
এখানে এসে যখন বসো
তখন অ্যাটেনশন । বুদ্ধি যেন বাবার দিকে থাকে। তোমাদের এই অ্যাটেনশন হলো ফর এভার ।
যত দিন জীবন আছে, বাবাকে স্মরণ করতে হবে। স্মরণের দ্বারা জন্ম-জন্মান্তরের পাপ
বিনষ্ট হয়। স্মরণ করবে না তো পাপও নষ্ট হবে না। বাবাকে স্মরণ করতে হবে, স্মরণের সময়
চোখ বন্ধ করবে না। সন্ন্যাসীরা চোখ বন্ধ করে বসে। কেউ আবার স্ত্রী-র মুখ দর্শন করে
না। চোখ বেঁধে রাখে। তোমরা যখন এখানে বসো, তখন রচয়িতা ও রচনার আদি-মধ্য-অন্তের
স্বদর্শন চক্র ঘোরানো উচিত। তোমরা হলে লাইট হাউস, তাই না। এটা হল দুঃখধাম, এক চোখে
দুঃখধাম, অন্য চোখে সুখধাম। উঠতে বসতে নিজেকে লাইট হাউস নিশ্চয় করো। বাবা বিভিন্ন
দৃষ্টান্ত দিয়ে বোঝান। তোমরা নিজেদেরও খেয়াল রাখো। লাইট হাউস হলে নিজেদের কল্যাণ কর।
বাবাকে অবশ্যই স্মরণ করতে হবে, কারো সঙ্গে পথে দেখা হলে তাকেও বলতে হবে। পরিচিত
অনেকের সঙ্গেই দেখা সাক্ষাৎ হয়, তারা তো একে অপরকে রাম-রাম বলে। তাদের বলো, তোমরা
কি জানো এটা হলো দুঃখধাম, ওটা হলো শান্তিধাম ও সুখধাম । তোমরা শান্তিধাম - সুখধাম
যেতে চাও? এই তিনটি চিত্র বোঝানো খুবই সহজ। তোমাদের ইঙ্গিত দেওয়া হয়। লাইট-হাউসও
ইঙ্গিত দেয়। এই নৌকো যা রাবণের জেলখানায় আটকে আছে। মানুষ, মানুষকে উদ্ধার করতে পারে
না। সেসব তো হল আর্টিফিসিয়াল দৈহিক জগতের কথা। এই হল অসীম জগতের কথা। সোশ্যাল
সোসাইটির সেবাও নয়। বাস্তবে প্রকৃত সত্য সেবা হল - সকলের নৌকো পার করা। তোমাদের
বুদ্ধিতে আছে মানুষের কীরূপ সেবা করা যায়।
প্রথমে তো তাদেরকে
বলতে হবে যে - তোমরা তো গুরুর কাছে দীক্ষিত হও - মুক্তিধাম যাওয়ার জন্য, বাবার সঙ্গে
মিলিত হওয়ার জন্য। কিন্তু কেউ মিলিত হয় না। মিলনের পথ এক বাবা-ই বলে দেন। তারা ভাবে
- এই শাস্ত্র ইত্যাদি পাঠ করলে ভগবান প্রাপ্ত হয়, আশায় থাকলে শেষে কোনো এক রূপে
প্রাপ্ত হবে। কবে হবে - এই সব কথা বাবা তোমাদের বুঝিয়েছেন। তোমরা চিত্রে দেখিয়েছ
একের স্মরণে থাকতে হবে। ধর্মস্থাপকরাও ইঙ্গিত করেন, কারণ তোমরা শিক্ষা দিয়েছ অতএব
তারাও ইঙ্গিত দেয়। সাহেবকে জপ করো, উনি হলেন পিতা সদগুরু। বাকি তো অনেক রকমের শিক্ষা
প্রদান করার অনেকে আছে। তাদের বলা হয় গুরু। অশরীরী হওয়ার শিক্ষা কেউ জানে না। তোমরা
বলবে শিববাবাকে স্মরণ করো। তারা শিবের মন্দিরে যায়, তাই সর্বদা শিবকে বাবা বলার
অভ্যাস আছে অন্য কাউকে বাবা বলে না, কিন্তু তিনি তো নিরাকার নন। তিনি তো হলেন
শরীরধারী । শিব তো হলেন নিরাকার, প্রকৃত সত্য পিতা, তিনি হলেন সকলের পিতা। সব
আত্মারা হলো অশরীরী।
তোমরা বাচ্চারা যখন
এখানে বসো, তখন এই ধুন-এই (চিন্তনে) বসো - তোমরা জানো আমরা কীরূপ ফেঁসে ছিলাম। এখন
বাবা এসে পথ বলেছেন, বাকিরা সবাই ফেঁসে আছে, মুক্তি নেই। দন্ড ভোগ করে তারপরে সবাই
মুক্তি পাবে। বাচ্চারা, তোমাদের বোঝানো হয় সাজা ভোগ করে ছোটখাটো পুরস্কার পেতে চাও
নাকি? অনেকে সাজা ভোগ করে তখন পদ ভ্রষ্ট হয়ে যায়, পুরস্কার অর্থাৎ পদ মর্যাদা
প্রাপ্তিও কম হয়ে যায়। সাজা কম থাকলে প্রাপ্তি বেশি হয়। এটা হলো কাঁটার জঙ্গল। সবাই
একে অপরকে কাঁটা বিদ্ধ করতেই থাকে। স্বর্গকে বলা হয় - গার্ডেন অফ আল্লাহ।
খ্রীষ্টানরা বলে - প্যারাডাইজ ছিল। কখনও কারো সাক্ষাৎকার হতে পারে। এখানকার ধর্মের
আত্মা হলে নিজের ধর্মে ফিরে আসতে পারে। বাকি শুধু দেখলে কি হবে ! শুধু দেখলে কেউ
যেতে পারবে না। যদি এসে বাবার পরিচয় জানে, নলেজ গ্রহণ করে। সবাই তো আসতেও পারবে না।
দেবতাদের সংখ্যা তো খুব কম সেখানে। এখন এত জন হিন্দু আছে, আসলে তো ছিল দেবতা, তাই
না। কিন্তু তারা ছিল পবিত্র, এখন হল পতিত। পতিতকে দেবতা বলা শোভনীয় নয়। এই একটি
ধর্ম, যাকে ধর্মভ্রষ্ট, কর্মভ্রষ্ট বলা হয়। আদি সনাতন হিন্দু ধর্ম বলে দেয়। দেবতা
ধর্মের কোনো শ্রেণী রাখেনি।
তিনি হলেন আমরা
আত্মারূপী বাচ্চাদের মোস্ট বিলাভেড বাবা, তিনি তোমাদের কিরূপ পরিবর্তন করে দেন।
তোমরা বোঝাতে পারো, বাবা কীভাবে আসেন, যদিও দেবতাদের চরণ পুরানো তমোপ্রধান সৃষ্টিতে
পড়ে না তো বাবা আসবেন কিভাবে? বাবা তো হলেন নিরাকার, তাঁর তো নিজের পা নেই, তাই
এনার মধ্যে প্রবেশ করেন।
এখন তোমরা বাচ্চারা
ঈশ্বরীয় দুনিয়ায় বসে আছো, তারা সবাই রয়েছে আসুরী দুনিয়ায়। এটা হলো খুব ছোট
সঙ্গমযুগ। তোমরা বুঝেছো যে, আমরা না আছি দৈবী সংসারে, না রয়েছি আসুরী সংসারে। আমরা
রয়েছি ঈশ্বরীয় সংসারে। বাবা এসেছেন আমাদের গৃহ পরমধাম ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। বাবা বলেন
পরমধাম হলো আমার নিবাস স্থান। তোমাদের জন্য আমি নিজের ধাম ত্যাগ করে নেমে আসি। ভারত
যখন সুখধামে পরিণত হয় তখন আমি আসি না। আমি বিশ্বের মালিক হই না, তোমরা হও। আমরা
হলাম ব্রহ্মাণ্ডের মালিক। ব্রহ্মাণ্ডে সব এসে যায়। এখনো সেখানে মালিক রূপে বসে আছে,
যাদের আসা বাকি। কিন্তু তারা এসে বিশ্বের মালিক হয় না। অনেক বোঝানো হয়। কোনো কোনো
স্টুডেন্ট খুব তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন হয়, স্কলারশিপ নিয়ে নেয়। কিন্তু এটাই আশ্চর্য
যে, এখানে বলে আমরা পবিত্র হব আর গিয়ে পতিত হয়ে যায়। এমন কাঁচা মস্তিষ্কের মানুষদের
আনবে না এখানে । ব্রাহ্মণীদের কর্তব্য হল পরীক্ষা করে নিয়ে আসা। তোমরা জানো যে আত্মা-ই
শরীর ধারণ করে পার্ট প্লে করে, তাদের অবিনাশী পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী সন্তানদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
লাইট হাউস হয়ে সবাইকে শান্তিধাম, সুখধামের পথ বলে দিতে হবে। সবার জীবন নৌকো
দুঃখধাম থেকে বের করার সেবা করতে হবে। নিজেরও কল্যাণ করতে হবে।
২ ) নিজের শান্ত
স্বরূপ স্থিতিতে স্থির হয়ে শরীর থেকে ডিট্যাচ হওয়ার অভ্যাস করতে হবে, স্মরণ করতে বসে
চোখ খুলে বসতে হবে, বুদ্ধি দ্বারা রচয়িতা ও রচনাকে স্মরণ করতে হবে।
বরদান:-
নিজের
সংকল্পগুলিকে শুদ্ধ, জ্ঞান স্বরূপ আর শক্তি স্বরূপ বানিয়ে সম্পূর্ণ পবিত্র ভব
বাবার সমান হওয়ার
জন্য পবিত্রতার ফাউন্ডেশন পাক্কা করো। ফাউন্ডেশনে ব্রহ্মচর্যের ব্রত ধারণ করা এটা
তো হলো কমন কথা, কেবলমাত্র এতেই খুশী হয়ে যেও না। দৃষ্টি বৃত্তির পবিত্রতাকে আরও
আন্ডারলাইন করো সাথে-সাথে নিজের সংকল্পগুলিকে শুদ্ধ, জ্ঞান স্বরূপ আর শক্তি স্বরূপ
বানাও। সংকল্পে এখনও অনেক দুর্বল আছো। এই দুর্বলতাকেও সমাপ্ত করো তখন বলা হবে
সম্পূর্ণ পবিত্র আত্মা।
স্লোগান:-
দৃষ্টিতে সকলের প্রতি দয়া আর শুভ ভাবনা থাকলে অভিমান আর অপমানের অংশও আসতে পারবে
না।