13-10-2024 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 11-03-2002 মধুবন


"বিশেষত্ব গুলি হলো পরমাত্মা প্রদত্ত উপহার - একে বিশ্ব সেবায় অর্পণ করো"


আজ গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার ব্রহ্মা বাবা আর শিববাবা বিশ্বের চতুর্দিকে নিজের শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান ব্রাহ্মণ কুলকে অনেক অনেক কোটি কোটি বার দিব্য অলৌকিক জন্মের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সেইসঙ্গে অতি স্নেহের, হৃদয়ের ভালবাসার অধ্যাত্ম পুষ্পের দ্বারা জন্মের শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মার বিশেষত্ব দেখে আনন্দিত হচ্ছেন। অন্তর্মনে গীত গাইছেন - বাঃ বাচ্চারা বাঃ! আজকে অমৃতবেলার থেকে সকলের হৃদয়ে এই খুশির তরঙ্গ দেখা যাচ্ছে - বাঃ বাবার আর আমার অলৌকিক জন্ম! বাবাও অমৃতবেলা থেকে সব বাচ্চার শুভেচ্ছার মালা দেখে খুশি হচ্ছেন। এই বার্থডে সারা কল্পে এই সঙ্গম যুগেই উদযাপিত হয়। সত্যযুগেও এমন অলৌকিক জন্মদিন উদযাপন করবে না। ওখানেও এমন বিচিত্র জন্মদিন হবে না, যা বাবা আর বাচ্চাদের একই সাথে জন্ম হওয়া। এখনো পর্যন্ত শুনেছো কি যে বাবা আর বাচ্চাদের জন্ম একই দিনে হয়েছে? যতই হোক, আজ তোমরা সব বাচ্চার এবং বাপদাদার জন্ম একই দিনে উদযাপন করছো। তো বাঃ বাঃ-এর গীত তোমরা গাইছো তো না!

আজ বাপদাদা অমৃতবেলায় একটা মালা বানাচ্ছিলেন। কোন্ মালা? ১০৮-এর ফাইনাল মালা বানাচ্ছিলেন না, যাতে তোমরা ভাবতে পারো আমার নাম ছিল, আমার নাম ছিল... কিন্তু আজ স্থাপনের আদি সময় থেকে এখন বিনাশের সমীপ সময় পর্যন্ত কোন্ কোন্ বাচ্চারা অমর ভব-র বরদানী ছিল, তাদের মালা বানাচ্ছিলেন। এটাও ড্রামা অনুসারে সেই আত্মাদের উঁচু হতে উঁচু ভগবানের সাথে সর্ব চরিত্র দেখার, শোনার পার্ট, কিন্তু তারা কত অল্প! তোমাদের সবারও পার্ট রয়েছে, কেন? বাপদাদা ব্রাহ্মণ বংশাবলী বানাচ্ছেন। সেইজন্য বিশ্বের হিসেবে যারাই ব্রাহ্মণ আত্মা তারা অনেক অনেক অনেক ভাগ্যবান, কেন? তোমরা কোটির মধ্যে কিছু-র লাইনে রয়েছো আর কেউ কেউ এর মধ্যেও কতিপয়। একদিকে বিশ্বের কোটি কোটি আত্মা, আরেকদিকে, তোমরা সব ব্রাহ্মণ অবিচ্ছিন্ন। তো জন্মদিনে বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চাকে, কিছু কিছুকে নয়, সব বাচ্চাকে জন্মপত্রিকা দেখে প্রত্যেকের বিশেষত্বের মালা গলায় পরছিলেন। হতে পারে তোমরা সবাই নতুন, অথবা আদির, কিংবা মধ্য সময়ের কিন্তু তোমরা বিশেষ আর বিশেষ থাকবেও। সারা কল্প বিশেষ থাকবে। সারা কল্প তোমরা সব শ্রেষ্ঠ আত্মার মহত্ত্বের উপর বিশ্বের সর্ব আত্মার নজর থাকে। তো প্রত্যেকে তোমরা নিজের বিশেষত্বকে জানো? যদি হ্যাঁ হয় তবে এক হাত তোলো। খুব ভালো। সেই বিশেষত্ব গুলিকে কী করো? জানো খুব ভালো, মানো খুব ভালো কিন্তু সেই বিশেষত্বের কী করো? (সেবাতে লাগাই) অন্য রীতি দ্বারা ইউজ তো করো না, তাই না? এই বিশেষত্ব গুলি হলো পরমাত্মার দান। পরমাত্ম-উপহার সদা বিশ্ব সেবায় অর্পণ করতে হবে। বিশেষত্ব যদি নেগেটিভ রূপে ইউজ করেছো তবে সেটা অভিমানের রূপ হয়ে যায়। কারণ জ্ঞান আসার পর, ব্রাহ্মণ জীবনে বাবার দ্বারা অনেক বিশেষত্ব প্রাপ্ত হয়, কেননা, তোমরা বাবার হওয়াতে বিশেষত্বের ভান্ডারের অধিকারী হয়ে যাও। দুয়েকটি বিশেষত্ব নয়, অনেক বিশেষত্ব। যা স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেও তোমাদের বিশেষত্বের বর্ণনা রয়েছে - ১৬ কলা সম্পন্ন, শুধু ১৬ নয়, ১৬ মানে সম্পূর্ণ। সর্বগুণ সম্পন্ন। সম্পূর্ণ নির্বিকারী হওয়ার ডিটেল। এককথায় বলতে গেলে বলা হয় সম্পূর্ণ নিবিকারী কিন্তু সম্পূর্ণ হওয়ার মধ্যে অনেক ডিটেল রয়েছে । সুতরাং বিশেষত্ব তো বাবার দ্বারা প্রত্যেক ব্রাহ্মণের প্রাপ্ত হয়। কিন্তু সেই বিশেষত্ব গুলিকে ধারণ করো আর তারপর সেবাতে লাগাও। এটা হলো আমার বিশেষত্ব, না, পরমাত্ম-উপহার। পরমাত্ম-উপহার মনে করলে বিশেষত্ব গুলি পরমাত্ম-শক্তিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আমার বলাতে অভিমান আর অপমান দুইয়েরই মোকাবিলা করতে হয়। কোনও রকমের অভিমান, হতে পারে তা' জ্ঞানের, অথবা কোনো গুণের - যার মধ্যেই অভিমান থাকবে তার লক্ষণ হবে - তার অপমান খুব তাড়াতাড়ি ফিল হবে। সুতরাং তোমরা হলে বিশেষ আত্মা অর্থাৎ পরমাত্ম- উপহারের অধিকারী।

আজ তোমরা সবাই বাপদাদার বার্থডে উদযাপন করতে এসেছো তো না! আর বাপদাদা তোমাদের সবার বার্থডে উদযাপন করতে এসেছেন। তোমরা তো শুধু বাপদাদার বার্থডে উদযাপন করবে, কিন্তু বাপদাদা সমগ্র ব্রাহ্মণ কুলের বার্থডে উদযাপন করতে এসেছেন। হতে পারে তারা কেউ দূরে বসে আছে, অথবা বিদেশে দূরে কোনো কোণে বসে আছে কিন্তু যে ব্রাহ্মণ আত্মা ব্রাহ্মণ কুলের হয়ে গেছে, তাদের সবার বার্থডে বাপদাদাও উদযাপন করছেন, তোমরাও উদযাপন করছো। সবারই উদযাপন করছো, নাকি শুধু এখানে যারা বসে আছে তাদের বার্থডে উদযাপন করছো? তো সবারই উদযাপন করছো। সবাইকে অভিনন্দন, অভিনন্দন, অভিনন্দন। উদযাপন করা অর্থাৎ উৎসাহ উদ্দীপনায় থাকা। তাহলে, হৃদয়ে উৎসাহ আছে, আছে তো না! বাঃ! আমাদের অলৌকিক জন্মদিন!

তো আজ অমৃতবেলা থেকে জন্মদিনের উৎসাহ-উদ্দীপনা সবার মধ্যে অনেক ছিল, তাই না! বাপদাদা কার্ডও দেখেছেন, তোমরা এই চোখ দ্বারা দেখ, বাপদাদা তো সূক্ষ্ম ভাবে তোমাদের আগেই দেখে নেন। কিন্তু বাপদাদা দেখেছেন সবাই নিজের হৃদয়ের আগ্রহ দেখানোর জন্য কত উৎসাহ-উদ্দীপনা বজায় রাখে। আজকাল ই-মেইল খুব সস্তা তো না! তাইতো সবাই খুব ই-মেইল করে। বাপদাদার কাছে সব পৌঁছে যায়; তা' সেটা ই-মেইল হোক বা কার্ড হোক অথবা পত্র কিংবা হৃদয়ের সংকল্প। অমৃতবেলা থেকে বতনে যদি চতুর্দিকের কার্ড, পত্র, ই-মেইল, সংকল্প সব একত্র করো তবে সেসব দেখে দেখে বড়ই আনন্দ হবে। এই এক্সিবিশন বিচিত্র। তাইতো বার্থডে-তে ভবিষ্যতের জন্য সংকল্প করা হয়। তোমাদের বার্থডেতে বয়সের নম্বর বাড়ে, যেমন ৬৫ থেকে ৬৬ হয়, তাই তো! তো এক বছর যেভাবে বেড়ে যায়, সেইভাবেই তোমাদের পুরুষার্থে বা নিজের অমূল্য জীবনে, মনে অর্থাৎ সংকল্পে, বুদ্ধির নির্ণয় শক্তিতে, বাণীতে, সেকেন্ডে সফলতা মূর্ত বানানোর শক্তিতে, সম্বন্ধ-সম্পর্কে যারা তোমাদের সম্পর্কে রয়েছে, তাদের সকলের কোনো না কোনো প্রাপ্তির অনুভূতি হতে দাও, এইরকম নিজের ভবিষ্যৎ বর্ষের জন্য দৃঢ় সংকল্পের ব্রত নিয়েছো? কেননা, শিব জয়ন্তীর দিন ব্রাহ্মণ আত্মাদের বিশেষ দু'টি লক্ষ্য থাকে - এক নিজের কাছে প্রতিজ্ঞা আর দুই, বাবার প্রত্যক্ষতার পতাকা উত্তোলিত হওয়ার, এই দুই বিশেষ লক্ষ্য এই দিনে প্রত্যেকের ভিতরে থাকে। তো বাপদাদা তোমাদের সবার করা প্রতিজ্ঞার (বিগত সময়ে করা প্রতিজ্ঞা) পোতামেল দেখেছেন। প্রতি বছর প্রত্যেকে বিধিপূর্বক সংকল্পের দ্বারা, বাণীর দ্বারা প্রতিজ্ঞা করেছো। খুব ভালো করেছো। কিন্তু এখন আজকের পরে অর্থাৎ জন্মদিন উদযাপন করার পরে এককি শব্দের উপরে বিশেষ আন্ডারলাইন করো। কমন শব্দ, নতুন নয়। সেই শব্দ হলো - নিরন্তর দৃঢ়তা। কখনো দৃঢ়তা আর কখনো দৃঢ়তায় অমনোযোগিতা, এটা না। যদি নিরন্তর দৃঢ়তা থাকে তবে তার লক্ষণ হবে - নিরন্তর প্রতিটি সংকল্প, বোল, কর্মের দ্বারা নিজের মধ্যে, সেবাতে আর সম্বন্ধে ১০০% সফলতা। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সব বিষয়ে ব্রাহ্মণদের মধ্যে সদা সফলতা কম হয়, ড্রামা অনুসারে ততক্ষণ প্রত্যক্ষতা আটকে থাকে।

সফলতা হলো প্রত্যক্ষতার আধার। প্রতিটি বোল সফলতা-পূর্বক হোক, প্রতিটি সংকল্প সফলতা-পূর্বক হোক। সেইজন্য স্মৃতিচিহ্নতেও আজ তাদেরকে সত্য বচন মহারাজ বলা হয়ে থাকে, যারা নিজেদের গুরু আখ্যা দেয়। এমনকি তারা যদি মিথ্যাও বলে, তাদের ভক্তরা বলে সত্য বচন। তো এটা তোমাদের বচনের গায়ন। মহারাজ এবং মহান তোমরাই তো হও, তাই না! সুতরাং সত্য বচন মহারাজ মানে মহান আত্মা। এইরকম কখনো ভেবো না যে, আমার অভিপ্রায় তো এমন ছিল না কিন্তু আমি বলে ফেলেছি, বের হয়ে গেছে। অভিপ্রায় ব্যতীত ভাবনার বোল বের হয় না, এটা তো চালিয়ে নেওয়ার ব্যাপার। কখনো বলছো বের হয়ে গেছে, কেন বের হয়ে গেছে? কেন? কন্ট্রোলিং পাওয়ার নেই যে বের হয়ে গেছে? হয়ে গেছে, তাহলে রাজা নও? কোনো কোনো কর্মেন্দ্রিয়ের বশীভূত হয়ে গেছো, তাই না - যার জন্য বেরিয়ে গেছে, হয়ে গেছে!

তো এই বছরে অভিনন্দনের সাথে নিরন্তর সব বিষয়ে দৃঢ়তায় আন্ডারলাইন করো। আজ বার্থডে, সেইজন্য বাপদাদা আজ কিছু বলছেন না, কিন্তু সবার চার্ট থেকে বাপদাদা একটা বিষয় নোট করেছেন, যেমনই হোক, তিনি লাস্ট বারে বলবেন। আজ তো উদযাপন করতে হবে, সেইজন্য আজ বাপদাদা কিছু বলেন না। তিনি ১৫ দিন পরে বলবেন। (যদি বাপদাদা আমাদের জানান, তাহলে ১৫ দিনে সব ঠিক হয়ে যাবে) আচ্ছা, আগে বলো যে ১৫ দিনে কারেকশন হয়ে যাবে, তবে তো বাবার বলা ঠিক হবে! যদি ১৫ দিনের মধ্যে পরিবর্তন হয়ে যায়, তবে তো বাপদাদা কি করবেন জানা হয়নেই! তাহলে বলবেন কি? তবে কি ১৫ দিনের মধ্যে ৮০ অব্যক্ত সন্দেশ পরিবর্তন হয়ে যাবে? সংকল্প করবে তোমরা? আচ্ছা পান্ডব করবে? বাবা শোনাবেন তোমাদের? শোনা তো সহজ, সেটা করবে তোমরা? করতে হবে। (পিছনে বসা মাতাদের, টিচারদের, ডবল ফরেনারদের সবাইকে বাবা জিজ্ঞাসা করেছেন, সবাই হাত নাড়িয়েছে) হাত তো সবাই খুব ভালো তুলেছো!

ডবল ফরেনার্স-এর তিন গ্রুপ আছে তো, তাই না?

(অন্তর্মুখী, মস্তানা, শক্তি গ্রুপ)

আচ্ছা, অন্তর্মুখী গ্রুপ হাত তোলো। অন্তর্মুখী গ্রুপে অল্প আছে। দ্বিতীয় গ্রুপ হলো মস্তানা, আচ্ছা যারা মস্তানা গ্রুপের তারা উঠে দাঁড়াও। সদা আনন্দ-অভিভূত হয়ে থাকো, তাই না! মস্তানার অর্থ কী? যারা সদা আনন্দ-অভিভূত থাকে, তাই তো! তৃতীয় গ্রুপ - শক্তি। শক্তি গ্রুপ শক্তিশালী তো না! নাম তো খুব ভালো রেখেছো। দেখ শুরু শুরুতে যখন ভাট্টি ছিল তখন তোমাদের গ্রুপের নাম কী ছিল? (ডিভাইন ইউনিটি, মনোহর পার্টি, সুপ্রিম পার্টি) নাম তো সুন্দর, সুন্দর তো না! তো এই গ্রুপও ভালো তৈরি হয়েছে। নাম স্মরণে যদি থাকে তবে নামের সাথে কর্তব্যও স্মরণে থাকবে। আচ্ছা ডবল ফরেনার কুমাররা ওঠো। আচ্ছা, এটা কুমারদের গ্রুপ। ভালো করেছ, বাপদাদা ডবল ফরেনার্সের রিফ্রেশমেন্টের খুব ভালো সমাচার শুনেছেন। বাপদাদা হৃদয়ের অভিনন্দনও জানাচ্ছেন, কিন্তু যা আজ আন্ডারলাইন করেছো, সব গ্রুপকে তা' স্মরণও করাচ্ছেন।

ডবল ফরেনের অনেক টিচার আছে। টিচার হওয়া অনেক অনেক শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের লক্ষণ, কেননা বাপদাদা টিচার্সকে গুরু-ভাই রূপে দেখেন, তিনি তোমাদের এতটাই সমান রূপে দেখেন, কেননা তোমরা বাবার আসনে বসো, টিচারদের এই অধিকার প্রাপ্ত হয়। গুরুর যেমন গদি হয়, তেমন এটা মুরলীর সিংহাসন, অন্যদের মুরলী ধারণ করানোর এবং মুরলী শোনানোর। তোমরা শুধু মুরলী শোনাও না, বরং অন্যদের মুরলী ধারণ করতে এবং মুরলী শোনাতে উৎসাহিত করো। এটা গুরু-ভাইয়ের আসন, বাপদাদা তোমাদের সব টিচারকে দিয়েছেন এবং ফরেনে তো দেখা যায় যে খুব তাড়াতাড়ি তাড়াতাড়ি সিংহাসনাসীন হয়ে যায়। বাপদাদা খুশি হন, দায়িত্বের মুকুট ধারণ করা, সাহস রাখা, এটাও কোনো কম ব্যাপার নয়। যতই হোক, গুরুভাই অর্থাৎ বাবা সমান। কার্যত, সবাইকে বাবা সমান তো হতেই হবে। কিন্তু তবুও টিচারদের বিশেষ দায়িত্বের মুকুট রয়েছে। বাপদাদারও টিচারদের সংগঠন খুব ভালো লাগে। কিন্তু আজকের বিশেষ শব্দ "নিরন্তর অ্যাটেনশন।"

আচ্ছা - ভারতের টিচার্স ওঠো, ভারতের টিচার্সও কম নয়। তো শুনেছো, টিচারদের বাবা কোন্ নজরে দেখেন! এই ক্লাসের, মুরলী শোনানোর সিট... অনেক ভাগ্যবান তোমরা! অনেক অনেক অনেক লাকি, কারণ সাকার রূপে নিমিত্ত কে? আচ্ছা দাদিদের একজন তো ফরেনে থাকে, একজন মধুবনে থাকে কিন্তু প্রতিটি স্থানে সাকার রূপে নিমিত্ত টিচাররা আছে, নাকি পান্ডবও আছে। এমন নয় যে শুধু টিচার্স (বোনেরা) আছে, পান্ডবও আছে, যাকে তোমরা বড় ভাই বলে থাকো, তাই তো না! পান্ডব তো আবশ্যক বটেই। শক্তি আর পান্ডব উভয়ের সাথ দ্বারাই আদি থেকে কার্য চলেছে, হতে পারে পান্ডব সংখ্যায় অল্প ছিল কিন্তু বিশ্বকিশোর ছিল তো না! আনন্দকিশোর, বিশ্বকিশোর এরা শুরু থেকে আছে। সুতরাং পান্ডবদের সাথ তো আছেই, তাই না! কিন্তু মেজরিটি টিচার্স বেশি আছে যারা নিমিত্ত হয়ে যায়। তুমি ব্যাকবোন, টিচারদেরও ব্যাকবোন। প্রত্যেকের পার্ট আছে। কিন্তু বিদেশে এই বিশেষত্ব আছে, পান্ডবও টিচার হয়, ভারতে কম হয়। তাইতো, টিচারদের বাপদাদা সদা বলে থাকেন, টিচার অর্থাৎ নিজের ফিচার্স (বৈশিষ্ট্য) দ্বারা বাবার সাক্ষাৎকার করায়। ফিচার্স দ্বারা ফিউচার স্পষ্ট রূপে দেখায়। তোমরা এমনই টিচার্স তো না? তোমাদের দেখে বাপদাদার পরিপালন-এর যেন অনুভূতি হয়। পরমাত্ম-গুণ, পরমাত্ম-শক্তি তোমাদের মুখমন্ডল থেকে যেন প্রতীয়মান হয়, বোল দ্বারা দৃশ্যমান হতে দাও। এইরকম নয় অমুক টিচার বলেছে, না। বাপদাদা টিচার্স-এর ফিচার্স দ্বারা অনুভব করিয়েছেন। বাবার সাথে প্রত্যেকের কানেকশন জুড়ে দেওয়া - এটাই টিচারদের কর্তব্য। প্রত্যেকের হৃদয় থেকে সবসময় "বাবা" শব্দ নিঃসৃত হতে দাও।

এই গ্রুপও খুব ভালো তৈরি হয়েছে কেননা, যখন তারা পার্সোনাল রিফ্রেশমেন্ট পায় তখন তারা ভালো অনুভব করে। গ্রুপ্স-এর রেজাল্ট ভালো বেরিয়েছে তো না! এটা ভালো।

চতুর্দিকের জন্মোৎসব উদযাপনকারী শ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ আত্মাদের, সদা অলৌকিক জন্মের অলৌকিক দিব্য কর্তব্য করে এমন শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, সদা এক বাবা দ্বিতীয় কেউ নয়, এমন একনামি এবং সর্ব ভান্ডারের ইকনমির অবতার বাচ্চাদের সদা বরদান আর উত্তরাধিকার জীবন দ্বারা প্রত্যক্ষ করা, উৎসাহ- উদ্দীপনায় থাকা বাচ্চাদের বাপদাদার অলৌকিক জন্মের অভিনন্দন সহ স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

দাদিদের সাথে - দাদিজী বাপদাদাকে বার্থডে-র অনেক অনেক আনন্দ-শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন। আজ মালাতে তোমরা সবাই এসেছো। বাবা মালা স্মরণ করেছেন তো না! স্থাপনের আদিকাল, প্রত্যেকে নিজেকে মুক্ত করো, অন্যকে দেখো না কে রত্ন, তোমরাও ওই মালাতে দানা ছিলে। এটা ভালো যে স্থাপনেও নিমিত্ত হয়েছ, পালনাতেও নিমিত্ত হয়েছ, এখন বাবার সাথে চলতেও নিমিত্ত হবে। দরজা কী বাপদাদা একলা খুলবেন? (না) তোমাদের জন্য আটকে আছে। আসবে তবে তো দরজা খুলব! কিন্তু সেবা সম্পূর্ণ করতে হবে তো না, কেননা সাকারে তোমাদের নিমিত্ত বানানো হয়েছে। সুতরাং সাকারের কার্য সম্পূর্ণ তো করতে হবে, তাই না। আজকাল সবাই কাকে দেখে? সবার নজর কোনদিকে যায়? তোমাদের দিকেই তো যায়! বাবা তাঁর নজরে তো সবাইকে বসিয়েছেন, কারণ বাবার নজর কোনভাবেই তো ছোট নয়ই, তাঁর অসীম নজর। তাইতো সবাই নজরের মধ্যে আছ। সবাই আলোক রত্ন। খুব ভালো। প্রত্যেকে নিজের নিজের পার্ট প্লে করছে, প্লে করতেই হবে। ড্রামাতে বেঁধে আছ। মজা তো হয়, তাই না! খুব ভালো!

বরদান:-
অল্পকালের অবলম্বন সরিয়ে এক বাবাকে সহায় বানিয়ে যথার্থ পুরুষার্থী ভব

পুরুষার্থের অর্থ এই নয় যে একবারের ভুল বারবার করতে থাকবে আর পুরুষার্থকে নিজের সহায়ক বানাবে। যথার্থ পুরুষার্থী অর্থাৎ পুরুষ (আত্মা) হয়ে রথ (শরীর) দ্বারা যে কার্য করায়। এখন অল্পকালের অবলম্বন সরিয়ে দাও। কিছু বাচ্চা বাবার পরিবর্তে সীমিত পরিসরের অবলম্বনকে সহায় বানিয়ে নেয়। হতে পারে তা' নিজের স্বভাব সংস্কারকে, কিংবা সমস্ত পরিস্থিতিকে... এই সব অল্পকালের, শুধু জাহির করার জন্য, প্রতারক তারা। এক বাবার সহায়ই হলো ছত্রছায়া।

স্লোগান:-
পাওয়ারফুল সে, যে দূর থেকে মায়াকে চিনে নিজেকে সমর্থ বানায়।