13.10.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদেরকে দেবতা হতে হবে, তাই মায়ার অবগুণ গুলিকে ত্যাগ করো, রাগারাগি করা, মারধর
করা, বিরক্ত করা, খারাপ কাজ করা, চুরি-চামারি করা এসব হলো মহাপাপ"
প্রশ্নঃ -
এই জ্ঞানের
দ্বারা কোন্ বাচ্চারা তীব্রতার সাথে এগিয়ে যেতে পারে? কাদের ক্ষতি হয়?
উত্তরঃ
যারা নিজের
কর্মের চার্ট রাখতে পারে, তারা এই জ্ঞানের দ্বারা খুব তীব্রতার সাথে এগিয়ে যেতে পারে।
ক্ষতি তাদের হয়, যারা দেহী-অভিমানী থাকে না। বাবা বলেন ব্যবসায়ীদের হিসেবের চার্ট
রাখার অভ্যাস থাকে, তারা এখানেও তীব্রগতিতে এগিয়ে যেতে পারে ।
গীতঃ-
মুখটি দেখে নে
প্রাণী মন রূপী দর্পণে....
ওম্ শান্তি ।
আত্মারূপী
পার্টধারী বাচ্চাদেরকে বাবা বোঝান, কারণ আত্মাই পার্ট প্লে করছে এই অসীম জাগতিক
নাটকে। এটা তো হলোই মানুষের। বাচ্চারা এই সময় পুরুষার্থ করছে। যদিও বেদ-শাস্ত্র পড়ে,
শিবের পূজা করে কিন্তু বাবা বলেন এইসবের দ্বারা আমাকে কেউ প্রাপ্ত করতে পারে না
কারণ ভক্তি হলো অবতরণ কলা। জ্ঞানের দ্বারা সদগতি হয় তো নিশ্চয়ই কারণ অবনতিরও থাকবে।
এই হলো একটি খেলা, যা কেউ জানে না। শিবলিঙ্গের পুজো করে তো তাঁকে ব্রহ্ম বলবে না।
তাহলে কে যাকে পুজো করে। তাঁকেও ঈশ্বর ভেবেই পুজো করে। তোমরা যখন প্রথমে ভক্তি
আরম্ভ কর তখন হীরার শিবলিঙ্গ বানাও। এখন তো গরীব হয়েছো তাই পাথরের বানাও। হীরের
শিবলিঙ্গের দাম তখন ৪-৫ হাজার হবে। এই সময় দাম ৫-৭ লক্ষ হবে। এমন হীরে এখন খুব
মুশকিল পাওয়া যায়। পাথর বুদ্ধি হয়েছে তাই পূজাও পাথরের করে, জ্ঞান বিহীন। যখন জ্ঞান
থাকে তখন তোমরা পুজো করো না। চৈতন্য সামনে বসে আছেন, তাঁকেই তোমরা স্মরণ কর। জানো
স্মরণের দ্বারা বিকর্ম বিনাশ হবে। গানেও বলা হয় - হে বাচ্চারা, প্রাণী বলা হয়
আত্মাকে। প্রাণ বেরিয়ে গেলে তো মৃত। আত্মা বেরিয়ে যায়। আত্মা হলো অবিনাশী। আত্মা
যখন শরীরে প্রবেশ করে তখন হয় চৈতন্য। বাবা বলেন - হে আত্মারা, নিজের অন্তরে চেকিং
করো কতখানি দিব্যগুণ ধারণ হয়েছে? কোনও বিকার নেই তো? চুরি ইত্যাদি করার কোনও আসুরিক
গুণ নেই তো? আসুরিক কর্তব্য করলে পতন হবে। উচ্চ পদমর্যাদা প্রাপ্ত হবে না। খারাপ
স্বভাব অবশ্যই দূর করতে হবে। দেবতারা কখনও কারো প্রতি ক্রোধ করেন না। এখানে অসুরের
মার খেতে হয় কারণ তোমরা দৈবী সম্প্রদায়ে পরিণত হও তাই মায়া শত্রু হয়ে যায়। মায়ার
অবগুণ গুলি কাজ করে। মারধর করা, বিরক্ত করা, খারাপ কাজ করা এইসব হলো পাপ। বাচ্চারা
তোমাদের তো খুব শুদ্ধ থাকা উচিত। চুরি ইত্যাদি করা তো মহান পাপ। বাবার কাছে তোমরা
প্রতিজ্ঞা করেছো - একমাত্র বাবা আমার, অন্য কেউ নয়। আমরা তোমাকেই স্মরণ করবো। যদিও
ভক্তিমার্গে গান গায় কিন্তু তারা জানে না স্মরণ করলে কি হয়। তারা তো বাবাকে জানে
না। একদিকে বলে নাম-রূপবিহীন, অন্যদিকে লিঙ্গ রূপে পূজা করে। তোমাদের তো ভালো করে
বুঝে অন্যদের বোঝাতে হবে। বাবা বলেন এই কথা বিচার করো যে মহান্ আত্মা কাকে বলা হবে?
শ্রীকৃষ্ণ যিনি শিশু, স্বর্গের প্রিন্স, তিনি মহাত্মা নাকি আজকালকার কলিযুগের মানুষ?
তিনি বিকার দ্বারা জন্ম নেন না। ওই হলো নির্বিকারী দুনিয়া। এই হল বিকারী দুনিয়া।
নির্বিকারী কে অনেক টাইটেল দেওয়া যেতে পারে। বিকারী কে কি টাইটেল দেওয়া হবে?
শ্রেষ্ঠাচারী তো একমাত্র বাবা বানান। বাবা হলেন সর্বোচ্চ এবং সব মানুষ হলো পার্টধারী
অতএব পার্ট প্লে করতে তো অবশ্যই আসতে হবে। সত্যযুগ হলো শ্রেষ্ঠ মানুষের দুনিয়া। পশু
পাখি সবাই শ্রেষ্ঠ। সেখানে মায়া রাবণ নেই। সেখানে কোনও তমোগুণী পশু থাকে না। তোমরা
কি জানো - ময়ূর পাখির বিকার দ্বারা সন্তান জন্ম হয় না। ময়ূরের অশ্রু ময়ূরী ধারণ করে।
রাষ্ট্রীয় পক্ষী বলা হয়। সত্যযুগেও বিকারের নাম নেই। ময়ূরের পালক, প্রথম নম্বরের
প্রিন্স হলেন শ্রীকৃষ্ণ, তাঁর মাথায় লাগানো হয়। কিছু তো রহস্য আছে, তাইনা। সুতরাং
বাবা এইসব কথা রিফাইন করে বোঝান। সেখানে সন্তান জন্ম হবে কীভাবে, সে কথা তো তোমরা
জানো। সেখানে বিকার নেই। বাবা বলেন তোমাদের দেবতায় পরিণত করি তাই নিজের সম্পূর্ণ
চেকিং করো। পরিশ্রম না করলে বিশ্বের মালিক হতে পারবে না।
যেমন তোমাদের আত্মা
হলো বিন্দু, তেমন বাবাও হলেন বিন্দু। এতে সংশয়ের দরকার নেই। কেউ বলে দেখবো। বাবা
বলেন যারা দেখেছে তোমরা তো তাদের পুজো কর। লাভ তো কিছুই হয় নি। এখন যথার্থ রীতি আমি
বুঝিয়ে দিচ্ছি। আমার মধ্যে সম্পূর্ণ পার্ট ভরা আছে। আমি সুপ্রীম সোল, সুপ্রীম ফাদার।
কোনো সন্তান নিজের লৌকিক পিতাকে এমন বলবে না। একজনকেই বলা হয়। সন্ন্যাসীদের তো
সন্তান নেই যে কেউ পিতা বলবে। ইনি হলেন সর্ব আত্মাদের পিতা, যিনি অবিনাশী
উত্তরাধিকার প্রদান করেন। তাদের তো কোনও গৃহস্থ আশ্রম নেই। বাবা বসে বোঝান - তোমরাই
৮৪ জন্ম ভোগ করেছো। সর্ব প্রথমে তোমরা সতোপ্রধান ছিলে, পরে নীচে নেমেছো। এখন কেউ
নিজেকে সুপ্রীম বলবে না, এখন তো সবাই নীচ ভাবে। বাবা বার বার বোঝান মুখ্য কথা হলো
যে নিজের মনের অন্তরালে দেখো যে আমার মধ্যে কোনও বিকার নেই তো? রোজ রাতে কর্মের
চার্ট লেখো। ব্যবসায়ী রা নিয়মিত চার্ট লেখে। সরকারি কর্মচারী চার্ট লিখতে পারবে না।
তাদের তো মাসে নির্দিষ্ট বেতন থাকে। এই জ্ঞান মার্গেও ব্যবসায়ীরা তীক্ষ্ণ হয়ে যায়,
শিক্ষিত অফিসাররা অত হয় না। ব্যবসায় আজ ৫০, তো কাল ৬০ রোজগার হবে। কখনও ক্ষতিও হবে।
সরকারি কর্মচারীদের ফিক্স থাকে। এই উপার্জনে দেহীঅভিমানী হয়ে না থাকলে ক্ষতি হয়ে
যাবে। মাতা-রা ব্যবসা ইত্যাদি করে না। তাদের জন্য তো খুবই সহজ। কন্যাদের জন্যেও খুব
সহজ কারণ মাতাদের তো সিঁড়ি বেয়ে নীচে নামতে হয়। তাদের বলিহারী যারা এমন পরিশ্রম করে।
কন্যারা তো বিকার গ্রস্ত হয়ই না তাহলে ত্যাগ করার প্রশ্ন নেই। পুরুষদের পরিশ্রম করতে
হয়। পরিবারের রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়। সিঁড়ি বেয়ে যেমন উঠে থাকে ততটাই নীচে নামতে হয়।
ক্ষণে ক্ষণে মায়া চড় মেরে ফেলে দেয়। এখন তোমরা বি.কে. হয়েছো। কুমারীরা হয় পবিত্র।
সবচেয়ে বেশি থাকে স্বামীর সঙ্গে প্রেম। তোমাদেরকে তো স্বামীদের স্বামীকে (পরমাত্মা)
স্মরণ করতে হবে, অন্য সবকিছু ভুলে যেতে হবে। মা বাবার মোহ থাকে সন্তানের প্রতি।
সন্তান তো জানে না। বিবাহ ইত্যাদির পরে মোহ হওয়া শুরু হয়। প্রথমে স্ত্রী প্রিয়
অনুভব হয় তারপরে বিকার গ্রস্ত হওয়া শুরু হয়। কুমারী নির্বিকারী থাকলে পুজো করা হয়।
তোমাদের নাম হলো বি.কে. । তোমরা মহিমার যোগ্য হয়ে পূজনীয় হয়ে যাও। তোমাদের শিক্ষকও
হলেন বাবা। তাই বাচ্চারা তোমাদের কতখানি নেশা থাকা উচিত, আমরা হলাম স্টুডেন্ট।
ভগবান নিশ্চয়ই ভগবান-ভগবতী বানাবেন। শুধু বোঝানো হয় - ভগবান হলেন এক। বাকি সবাই হলো
ভাই-ভাই। অন্য কোনো কানেকশন নেই। প্রজাপিতা ব্রহ্মা দ্বারা রচনা হয় তারপরে বৃদ্ধি
হয়। আত্মাদের বৃদ্ধি বলা হবে না। বৃদ্ধি তো মানুষের হয়। আত্মাদের তো সীমিত সংখ্যা
আছে। অনেকে আসতে থাকে। যতক্ষণ ওইখানে আছে, আসতেই থাকবে। বৃক্ষ টি বাড়তেই থাকবে। এমন
নয় শুকিয়ে যাবে। বট বৃক্ষের সঙ্গে এই বৃক্ষের তুলনা করা হয়। ফাউন্ডেশন নেই। যদিও
সম্পূর্ণ বৃক্ষটি দাঁড়িয়ে আছে। তোমাদেরও এমনই আছে। ফাউন্ডেশন নেই। যদিও কিছু কিছু
চিহ্ন আছে। এখনও পর্যন্ত মন্দির নির্মাণ করতেই থাকে। মানুষ জানে না দেবতাদের রাজ্য
কবে ছিল? তারপরে কোথায় গেল? এই নলেজ শুধুমাত্র মাত্র তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের আছে।
মানুষ জানে না পরমাত্মার স্বরূপ হলো বিন্দু। গীতায় লেখা আছে ভগবান হলেন অখন্ড জ্যোতি
স্বরূপ। পূর্বে অনেকের সাক্ষাৎকার হতো ভাবনা অনুসারে। লালে লাল হয়ে যেতো। আর সহ্য
করতে পারছি না। সেসব ছিল সাক্ষাৎকার। বাবা বলেন সাক্ষাৎকার দ্বারা কারো কল্যাণ হয়
না। এখানে তো মুখ্য হলো স্মরণের যাত্রা। যেমন ভাবে পারদ সরে যায়। স্মরণও ক্ষণে ক্ষণে
সরে যায়। সবাই কত চেষ্টা করে বাবাকে স্মরণ করার তবুও অন্য চিন্তা এসে যায়। এতেই
তোমাদের রেস করতে হবে। এমন তো নয় ফট করে পাপ নষ্ট হবে। সময় লাগবে। কর্মাতীত অবস্থা
হয়ে গেলে তো এই শরীরও থাকবে না। কিন্তু এখন কেউ কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করতে পারবে
না। তাহলে তো তাদের সত্যযুগী শরীর চাই। সুতরাং বাচ্চারা এখন তোমাদের বাবাকে ই স্মরণ
করতে হবে। নিজেকে চেক করতে থাকো - আমার দ্বারা কোনো খারাপ কাজ হয় না তো ? কর্মের
চার্ট নিশ্চয়ই রাখতে হবে। এমন ব্যবসায়ী খুব শীঘ্র ধনী হতে পারে।
বাবার কাছে যা নলেজ
আছে তিনি প্রদান করছেন। বাবা বলেন আমার আত্মায় এই জ্ঞান ভরা আছে। তোমরা সব কথা
সেরকমই বলবে যা কল্প পূর্বে জ্ঞান প্রদান করেছিলাম। বাচ্চাদেরকে ই বোঝাবেন, অন্যরা
কিছু জানে না। তোমরা এই সৃষ্টিচক্রের কথা জানো, এতে সব অ্যাক্টরদের পার্ট ফিক্স আছে।
কোনো পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়। কোনও ছাড়ও নেই। হ্যাঁ, অন্য সময়ে মুক্তি পাওয়া যায়।
তোমরা তো হলে অলরাউন্ডার। ৮৪ জন্ম গ্রহণ করো। বাকিরা সবাই নিজ ধামে থাকবে তারা পরে
আসবে। যারা মোক্ষ প্রাপ্তি করতে চায় তারা এখানে আসবে না। তারা সব শেষের দিকে চলে
যাবে। জ্ঞান কখনও শুনবে না। মশার মতন আসে আর যায়। তোমরা তো ড্রামা অনুযায়ী পড়াশোনা
কর। জানো যে বাবা ৫ হাজার বছর পূর্বেও এমন রাজযোগের শিক্ষা দিয়েছিলেন। তোমরা আবার
অন্যদের বোঝাও যে শিববাবা এমন বলেন। এখন তোমরা জানো আমরা কতখানি উঁচুতে ছিলাম,
বর্তমানে কতখানি নীচে নেমে গেছি। বাবা পুনরায় উচ্চ স্বরূপ প্রদান করেন অতএব এমন
পুরুষার্থ করা উচিত তাইনা। এখানে তোমরা আসো রিফ্রেশ হতে। এর নামই হলো মধুবন।
তোমাদের কোলকাতা বা মুম্বাইতে তো মুরলী পড়ানো হয় না। মধুবনেই মুরলী বাজে। মুরলী
শোনার জন্য বাবার কাছে আসতে হবে রিফ্রেশ হতে। নতুন নতুন পয়েন্টস বাবা দিতে থাকেন।
সামনে বসে শুনলে তোমরা অনুভব করো, অনেক তফাৎ আছে। ভবিষ্যতে অনেক কিছু পার্ট দেখতে
হবে। বাবা আগেই যদি সব বলে দেন তাহলে তো টেস্ট থাকবে না। ধীরে ধীরে ইমার্য হতে থাকে।
এক সেকেন্ডের মিল নেই অন্যের সাথে। বাবা এসেছেন রূহানী সেবা করতে তাই বাচ্চাদেরও
কর্তব্য হলো রূহানী সেবা করা। এইটুকু তো বলো - বাবাকে স্মরণ করো এবং পবিত্র হও।
পবিত্রতায় ফেল হয়ে যায় কারণ স্মরণে থাকে না। বাচ্চারা তোমাদের অনেক খুশীতে থাকা
উচিত। আমরা অসীমের পিতার সম্মুখে বসে আছি যাঁকে কেউ চেনে না। জ্ঞানের সাগর তো হলেন
শিববাবা। দেহধারীদের সঙ্গে বুদ্ধি যোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া উচিত। ইনি হলেন শিববাবার
রথ। ব্রহ্মাবাবার রিগার্ড না করলে ধর্মরাজের দন্ডভোগ করতে হবে। বড়দের রিগার্ড তো
করতে হয় তাইনা। আদি দেবকে অনেক রিগার্ড করা হয় । জড় চিত্রের এতো রিগার্ড রয়েছে,
তাহলে চৈতন্যের প্রতিও কতখানি রিগার্ড থাকা উচিত ! আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের ভিতরে নিজের চেকিং করে দিব্য গুণ ধারণ করতে হবে। খারাপ স্বভাব দূর করতে হবে।
দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করতে - বাবা আমরা আর খারাপ কাজ করবো না।
২ ) কর্মাতীত অবস্থা
প্রাপ্ত করার জন্য স্মরণের রেস করতে হবে। আধ্যাত্মিক (রূহানী) সেবায় তৎপর থাকতে হবে।
বড়দেরকে রিগার্ড দিতে হবে।
বরদান:-
ফলো
ফাদারের পাঠের দ্বারা মুশকিলকে সহজ বানানো তীব্র পুরুষার্থী ভব
মুশকিলকে সহজ বানানোর
জন্য বা লাস্ট পুরুষার্থে সফলতা প্রাপ্ত করার জন্য প্রথম পাঠ হল “ফলো ফাদার” এই
প্রথম পাঠই লাস্ট স্টেজকে নিকটে নিয়ে আসে। এই পাঠের দ্বারা নির্ভুল, একরস আর তীব্র
পুরুষার্থী হয়ে যাবে কেননা যেকোনও কথাতে মুশকিল তখন মনে হয় যখন ফলো করার পরিবর্তে
নিজের বুদ্ধি খাটাও। এর দ্বারা নিজেরই সংকল্পের জালে ফেঁসে যাও, আর তারপর সময়ও লেগে
যায় আর শক্তিও ব্যয় হয়। যদি ফলো করতে থাকো তাহলে সময় আর শক্তি দুটোই বেঁচে যাবে, জমা
হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
সত্যতা
আর স্বচ্ছতাকে ধারণ করার জন্য নিজের স্বভাবকে সরল বানাও।
অব্যক্ত ঈশারা :-
স্বয়ং আর সকলের প্রতি মনের দ্বারা যোগের শক্তিগুলির প্রয়োগ করো
যতটা নিজেকে মন্সা
সেবাতে বিজি রাখবে তত সহজে মায়াজীৎ হয়ে যাবে। কেবল নিজের প্রতি ভাবুক হয়ো না,
অন্যদেরকেও শুভ ভাবনা আর শুভ কামনা দ্বারা পরিবর্তন করার সেবা করো। ভাবনা আর জ্ঞান,
স্নেহ আর যোগ দুটোর ব্যালেন্স থাকবে। কল্যাণকারী তো হয়েছো অসীম বিশ্ব কল্যাণকারী হও।