13.11.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা দুঃখ সহ্য করাতে অনেক টাইম ওয়েস্ট করেছো, এখন দুনিয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, তোমরা
বাবাকে স্মরণ করো, সতোপ্রধান হও, তাহলে সময় সফল হয়ে যাবে"
প্রশ্নঃ -
২১ জন্মের
জন্য লটারী প্রাপ্ত করার পুরুষার্থ কি?
উত্তরঃ
২১ জন্মের
লটারী প্রাপ্ত করতে হলে মোহজিৎ হও । এক বাবার প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পিত হও । সদা এই
কথা যেন স্মৃতিতে থাকে যে, এই পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, আমরা নতুন
দুনিয়াতে যাচ্ছি । এই পুরানো দুনিয়াকে দেখেও দেখো না । সুদামার মতো একমুঠো চাল সফল
করে সত্যযুগী বাদশাহী নিতে হবে ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মিক
সন্তানদের আত্মিক পিতা বসে বোঝাচ্ছেন, এ তো বাচ্চারা বুঝতেই পারে । আত্মিক বাচ্চার
অর্থ হলো আত্মা । আত্মিক পিতা অর্থাৎ আত্মাদের বাবা । একে বলা হয় আত্মা আর
পরমাত্মার মিলন । এই মিলন একবারই হয় । বাচ্চারা, এইসব কথা তোমরা জানো । এ হলো
বিচিত্র কথা । বিচিত্র বাবা তাঁর বিচিত্র আত্মাদের বোঝান । বাস্তবে আত্মা হলো
বিচিত্র, এখানে এসে চিত্রধারী হয় । চিত্রের দ্বারা অভিনয় করে । আত্মা তো সকলের
মধ্যেই আছে, তাই না । জানোয়ারদের মধ্যেও আত্মা আছে । ৮৪ লাখও বলে, এতে তো জন্তু
জানোয়ারও এসে যায়, তাই না । অনেক জানোয়ার ইত্যাদি আছে । বাবা বোঝান যে, এইসব কথায়
সময় নষ্ট করো না । এই জ্ঞান ছাড়া মানুষের সময় নষ্ট হতে থাকে । এই সময় বাবা বসে
তোমাদের পড়ান, তারপর অর্ধেক কল্প তোমরা প্রালব্ধ ভোগ করো । ওখানে তোমাদের কোনো
সমস্যাই হয় না । দুঃখ সহ্য করাতেই তোমাদের সময় নষ্ট হয় । এখানে তো দুঃখই দুঃখ,
তাই সবাই বাবাকে স্মরণ করে যে, আমাদের দুঃখে সময় নষ্ট হচ্ছে, আমাদের এখান থেকে বের
করো । সুখে কখনোই সময় নষ্ট হচ্ছে, এমন বলা হবে না । তোমরা একথাও বুঝতে পারো যে -
এই সময় মানুষের কোনো মূল্য নেই । মানুষ দেখো, হঠাৎই মারা যায় । একই ঝড়ে কতো মানুষ
মারা যায় । এই রাবণ রাজ্যে মানুষের কোনো মূল্য নেই । এখন বাবা তোমাদের কতো
মূল্যবান করেন । পাই পয়সারও নয় থেকে পাউন্ড তুল্যমূল্য মহামূল্যবান করেন । এমন
মহিমাও আছে যে, হীরের মতো জন্ম অমূল্য । এইসময় মানুষ এক খোলের পিছনেই লেগে আছে ।
তারা সম্ভবত কোটিপতি, পদ্মপতি হতে পারে, তাদের সমস্ত বুদ্ধি এতেই থাকে । তাদের বলা
হয় - এইসব ভুলে এক বাবাকে স্মরণ করো, কিন্তু তারা তা মানবেই না । তাদের বুদ্ধিতেই
এই কথা বসবে, যাদের বুদ্ধিতে পূর্ব কল্পে বসেছিলো । তা নাহলে, যতই বোঝাও না কেন,
কখনোই বুদ্ধিতে বসবে না । তোমরাও নম্বরের ক্রমানুসারে জানতে পারো যে, এই দুনিয়ার
পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে । বাইরে যদি তোমরা লিখেও দাও যে, দুনিয়ার পরিবর্তন হচ্ছে,
তবুও বুঝবে না, যতক্ষণ না তোমরা কাউকে বোঝাও । আচ্ছা, কেউ যদি বুঝে যায়, তখন তাকে
বোঝাতে হয় - বাবাকে স্মরণ করো, সতোপ্রধান হও । এই জ্ঞান তো খুবই সহজ । এখানে
সূর্যবংশী এবং চন্দ্রবংশী...। এখন এই দুনিয়ার পরিবর্তন হচ্ছে, আর এর পরিবর্তক
একমাত্র বাবা । এও তোমরা পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে যথার্থ রীতিতে জানতে পারো । মায়া
পুরুষার্থ করতে দেয় না, তখন তোমরা মনে করো, এও নাটকের নিয়ম অনুসারে এতটা পুরুষার্থ
করা আমাদের নেই । বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে, শ্রীমতে চলে আমরা নিজেদের জন্য এই
দুনিয়ার পরিবর্তন করছি । এক শিববাবারই হলো শ্রীমত । শিববাবা, শিববাবা বলা তো খুব
সহজ, আর কেউই না শিববাবাকে, আর না তাঁর উত্তরাধিকারকে জানে । বাবা মানেই হলো
উত্তরাধিকার । শিববাবা অর্থাৎ প্রকৃত ভগবানকে তো চাই, তাই না । আজকাল তো মেয়রকেও
বাবা বলে দেয় । গান্ধীকেও বাবা বলে, আবার কাউকে জগৎগুরু বলে দেয় । এখন জগৎ অর্থাৎ
সমস্ত সৃষ্টির গুরু । তিনি কিভাবে কোনো মানুষ হতে পারেন ! যেখানে পতিত পাবন, সর্বের
সদগতিদাতা একমাত্র বাবা । বাবা তো হলেন নিরাকার, তাহলে তিনি কিভাবে উদ্ধার করেন ?
দুনিয়া পরিবর্তন হচ্ছে, তাহলে অবশ্যই তিনি অভিনয়ে আসবেন, তখন তো জানতে পারা যাবে ।
এমন নয় যে প্রলয় হয়ে যায়, তখন বাবা এসে নতুন সৃষ্টির রচনা করেন । শাস্ত্রে দেখানো
হয়েছে, অনেক বড় প্রলয় হয়, তারপর অশ্বত্থ পাতায় শ্রীকৃষ্ণ আসেন, কিন্তু বাবা বোঝান,
এমন তো হয় না । গায়ন আছে যে, এই পৃথিবীর হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি রিপিট হয়, তাহলে তো
প্রলয় হতে পারে না । তোমাদের মনে এই ধারণা আছে যে, এখন এই পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন
হচ্ছে । এইসব কথা বাবা এসেই বোঝান । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ হলেন নতুন দুনিয়ার মালিক ।
তোমরা চিত্রতেও দেখাও যে, পুরানো দুনিয়ার মালিক রাবণ । রাম রাজ্য আর রাবণ রাজ্য,
এমন মহিমা তো আছে, তাই না । এই কথা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, বাবা পুরানো আসুরী
দুনিয়ার অবসান করিয়ে নতুন দৈবী দুনিয়া স্থাপন করাচ্ছেন । বাবা বলেন, আমি যা বা যেমন,
খুব সামান্য জনই আমাকে তেমনভাবে বুঝতে পারে । সেও তোমরা পুরুষার্থের ক্রমানুসারে
জানতে পারো, আর যারা ভালো পুরুষার্থী বাচ্চা, তাদের অনেক বেশী নেশা থাকে । স্মরণের
পুরুষার্থীদের প্রকৃত নেশার তীব্রতা থাকবে । ৮৪ জন্মের চক্রের জ্ঞান বোঝাতে এতো নেশা
চড়ে না, যা স্মরণের যাত্রায় চড়তে থাকে । মূল বিষয়ই হলো পবিত্র হওয়ার । মানুষ ডাকতেও
থাকে - তুমি এসে পবিত্র বানাও । এমন বলে ডাকে না যে, তুমি এসে বিশ্বের বাদশাহী দাও
। ভক্তিমার্গে মানুষ কতো কথকথা শোনে । সত্য সত্যনারায়ণের কথা তো এখানেই । ওই কথা তো
জন্ম - জন্মান্তর ধরে শুনে - শুনে নীচে নেমে এসেছো । ভারতেই এই কথা শোনার প্রচলন,
আর কোথাও এই কথা ইত্যাদি হয় না । ভারতকেই ধার্মিক দেশ মানা হয় । অনেক অনেক মন্দির
এই ভারতেই আছে । খৃস্টানদের তো একই চার্চ হয় । এখানে তো কতো ধরনের মন্দির আছে ।
বাস্তবে একই শিববাবার মন্দির হওয়া উচিত । নামও একেই হওয়া প্রয়োজন । এখানে তো
অনেকেরই নাম আছে । বিলেতের লোকেরাও এখানে মন্দির দেখতে আসে । বেচারারা এও জানে না
যে, প্রাচীন ভারত কেমন ছিলো? পাঁচ হাজার বছরের থেকে তো পুরানো কোনো জিনিস হয় না ।
ওরা তো মনে করে, লাখ বছরের পুরানো জিনিস পেয়ে গেছে । বাবা বোঝান যে, এই যে মন্দিরে
চিত্র ইত্যাদি তৈরী হয়েছে তা আড়াই হাজার বছরের পুরানো, প্রথম - প্রথম শিবেরই পূজা
হয় । এখন তো দেখো মানুষ জল, মাটি ইত্যাদিরও পূজা করে ।
অসীম জগতের পিতা এখন
বলেন, তোমরা কতো ধন ভক্তিমার্গে হারিয়ে ফেলেছো । কতো অগাধ শাস্ত্র এবং চিত্র আছে ।
কতো অনেক প্রকারের গীতা থেকে থাকবে । এই সবকিছুর উপরে খরচ করতে করতে তোমরা দেখো কি
হয়ে গেছো । কাল আমি তোমাদের ডবল মুকুটধারী বানিয়েছিলাম, এখন তোমরা কতো কাঙ্গাল হয়ে
গেছো । এ তো কালকের কথা, তাই না । তোমরাও বুঝতে পারো যে, বরাবর আমরা ৮৪ জন্মের চক্র
লাগিয়েছিলাম । এখন আমরা আবারও এমন তৈরী হচ্ছি । বাবার থেকে আমরা উত্তরাধিকার গ্রহণ
করছি । বাবা প্রতি মুহূর্তে পুরুষার্থ করান, গীতাতেও এই অক্ষর আছে - "মনমনাভব" ।
গীতার কোনো কোনো শব্দ সঠিক । বলা হয় না 'প্রায়', অর্থাৎ দেবী - দেবতা ধর্ম আর নেই,
বাকি যা আছে, সবই চিত্র । তোমাদের স্মরণ দেখো, কেমন সুন্দর তৈরী করা হয়েছে । তোমরা
বুঝতে পারো যে, আমরা আবার স্থাপন করছি । তারপর ভক্তিমার্গে আমাদের সঠিক ভাবে স্মরণ
হবে । আর্থকোয়েক ইত্যাদি হয়, তাতেও সব শেষ হয়ে যায় । তারপর ওখানে তোমরা সবকিছুই
নতুন তৈরী করবে । ওখানে তো দক্ষতা থাকে, তাই না । হীরে কাটারও দক্ষতা হয় । এখানেও
হীরে কাটা হয়, আবার তৈরীও করে । হীরে যারা কাটে তারাও অনেক দক্ষ হয় । ওরা আবার
ওখানেও যাবে । এইসব দক্ষতা ওখানেও থাকবে । তোমরা জানো যে, ওখানে কতো সুখ থাকবে । এই
লক্ষ্মী - নারায়ণেরই তো রাজ্য ছিলো, তাই না । নামই হলো স্বর্গ । একশো ভাগ সর্ব
ক্ষমতা সম্পন্ন । এখন তো হলো সকলেই শক্তিহীন । ভারতে জহরতের অনেক ফ্যাশন আছে, সেই
পরম্পরা চলে আসছে । বাচ্চারা, তাই তোমাদের কতো খুশী হওয়া উচিত । তোমরা জানো যে, এই
দুনিয়ার পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে । এখন স্বর্গ তৈরী হচ্ছে, এরজন্য আমাদের অবশ্যই
পবিত্র হতে হবে । দৈবী গুণও ধারণ করতে হবে তাই বাবা বলেন যে, অবশ্যই চার্ট লেখো ।
আমি আত্মা কোনো আসুরী আচরণ করি নি তো ? নিজেকে দৃঢ়ভাবে আত্মা মনে করো । এই শরীরের
দ্বারা কোনো বিকর্ম করো নি তো ? যদি করে থাকো তাহলে রেজিস্টার খারাপ হয়ে যাবে । এ
হলো ২১ জন্মের লটারী । এও এক রেস । ঘোড়দৌড় হয় না? একে বলা হয় রাজস্ব অশ্বমেধ....
স্বরাজ্যের জন্য অশ্ব অর্থাৎ তোমাদের মতো আত্মাদের দৌড় লাগাতে হবে । এখন তোমাদের ঘরে
ফিরে যেতে হবে । ওকে সুইট সাইলেন্স হোম বলা হয় । এই অক্ষর তোমরা এখনই শুনতে পাও ।
বাবা এখন বলেন - বাচ্চারা, তোমরা খুব পরিশ্রম করো । তোমরা রাজত্ব পাও, এ কি কম কথা
। আমি হলাম আত্মা, আমি এতো জন্ম নিয়েছি । বাবা এখন বলছেন, তোমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ
হয়েছে । এখন আবার প্রথম নম্বর থেকে শুরু করতে হবে । নতুন মহলে অবশ্যই তো বাচ্চারাই
বসবে । পুরানো মহলে তো আর বসবে না । এমন তো নয় নিজে পুরানোতে বসবে আর নতুনে
ভাড়াটেদের বসাবে । তোমরা যতো পরিশ্রম করবে, ততই নতুন দুনিয়ার মালিক হতে পারবে ।
নতুন মহল তৈরী হলে এমন মন হয় যে, পুরানোকে ছেড়ে নতুনে গিয়ে বসি । বাবা তখনই
বাচ্চাদের জন্য নতুন মহল তৈরী করেন যখন প্রথম মহল পুরানো হয়ে যায় । ওখানে ভাড়াতে
দেওয়ার কোনো কথাই নেই । ওরা যেমন চাঁদে জমি কেনার প্রয়াস করে, তোমরাও তেমনি স্বর্গে
জমি নিচ্ছো । তোমরা যতো জ্ঞান এবং যোগে থাকতে পারবে, ততই পবিত্র হবে । এ হলো রাজযোগ
। এখানে কতো বড় রাজত্ব পাওয়া যাবে । বাকি যে চাঁদে জমি কেনার কথা - এ সবই ব্যর্থ ।
এসব জিনিস, যা সুখ প্রদান করে, তাই আবার বিনাশকারী, দুঃখ প্রদানকারী হয়ে যায় ।
পরের দিকে লস্কর ইত্যাদি কম হয়ে যাবে । বোম্ব ইত্যাদির দ্বারাই চট করে সব কাজ হয়ে
যাবে । এই নাটক তৈরী হয়েই আছে, সময় অনুযায়ী হঠাৎই বিনাশ হয়ে যায় । এরপর সিপাহীরাও
মারা যায় । এ দেখার মজা আছে । তোমরা এখন ফরিস্তা হচ্ছো । তোমরা জানো যে, আমাদের
জন্যই বিনাশ হয়ে যায় । ড্রামাতে এমন পার্ট আছে যে, পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যায় ।
যে যেমন কর্ম করে, তেমনই তো ফল ভোগ করতে হবে, তাই না । এখন মনে করো, সন্ন্যাসীরা
ভালো, পবিত্র, কিন্তু তারা তো গৃহস্থীদের ঘরেই জন্ম নেবে, তাই না । শ্রেষ্ঠ জন্ম তো
তোমরা নতুন দুনিয়াতে পাও, সংস্কার অনুযায়ী তখন তেমন তৈরী হবে । তোমরা এখন নতুন
দুনিয়ার জন্য সংস্কার তৈরী করে নিয়ে যাচ্ছো । তোমরা অবশ্যই ভারতে জন্ম নেবে । যারা
খুব ভালো ধার্মিক মনের হবে, তোমরা তাদের কাছে জন্ম নেবে কেননা তোমরা কর্মই তেমন করো
। সংস্কার যেমন হবে, সেই অনুসারে জন্ম হয় । তোমরা অনেক উচ্চ কুলে জন্ম নেবে ।
তোমাদের মতো তো এমন কর্ম আর কেউই করবে না । পড়া যেমন, যেমন সেবা, তেমন জন্ম ।
অনেককেই তো মৃত্যুবরণ করতে হবে । প্রথমে যারা রিসিভ করবে, তারাই যাবে । বাবা বোঝান
যে, এখন এই দুনিয়ার পরিবর্তন হচ্ছে । বাবা তো এর সাক্ষাৎকার করিয়েছেন । বাবা নিজের
উদাহরণও দেন । দেখলেন যে ২১ জন্মের জন্য রাজত্ব পাওয়া যায়, এর সামনে ১০ - ১২ লাখ
আর কি ? অল্ফ পেয়ে গেল বাদশাহী (সত্যযুগী, দাদা লেখরাজ পেলেন) আর বে ( দাদার
পার্টনার) পেলো ব্যবসার গদি। ব্যবসার পার্টনারকে বলে দিলেন যা চাই নিয়ে যান, কোনো
অসুবিধাই হয়নি তাতে দাদার। বাচ্চাদেরও বোঝানো হয় - বাবার কাছ থেকে তোমরা কি নাও?
স্বর্গের বাদশাহী । তোমরা যত সম্ভব সেন্টার খুলতে থাকো । অনেকের কল্যাণ করো ।
তোমাদের ২১ জন্মের জন্য উপার্জন জমা হচ্ছে । এখানে তো লাখপতি, কোটিপতি অনেকেই আছেন
। এরা সবাই মূলতঃ দরিদ্র । তোমাদের কাছে অনেকেই আসবে । প্রদর্শনীতে অনেকেই আসে, এমন
মনে করো না যে, কেউ প্রজা হয় না । অনেকেই প্রজা হয় । খুব ভালো - খুব ভালো তো
অনেকেই বলে কিন্তু বলে দেয় সময় নেই । অল্পকিছু শুনলেও প্রজাতে চলে আসবে । এই
অবিনাশী জ্ঞানের কোনো বিনাশ হয় না । বাবার পরিচয় দেওয়া কোনো কম কথা নয় । কেউ -
কেউ রোমাঞ্চিত হয়ে উঠবে । উচ্চ পদ যদি পেতে হলে পুরুষার্থ করতে লেগে যাবে । বাবা
তো কারোর কাছ থেকে ধন ইত্যাদি নেবেন না । বাচ্চাদের বিন্দু - বিন্দু থেকে পুকুরে
পরিণত হয় । কেউ কেউ এক টাকাও পাঠিয়ে দেয় । বলে বাবা আমার টাকায় একটা ইট লাগিয়ে দাও
। সুদামার একমুঠো চালের মহিমা আছে, তাই না । বাবা বলেন - এ তো তোমাদের হীরে - জহরত
। সকলেরই হীরের মতো জন্ম হয় । তোমরা ভবিষ্যতের জন্য তৈরী করছো । তোমরা জানো যে,
তোমরা এই চোখে যা কিছুই দেখো, এ সবই পুরানো দুনিয়া । এই দুনিয়া এখন পরিবর্তন হচ্ছে
। তোমরা এখন অমরপুরীর মালিক তৈরী হচ্ছো । তোমাদের অবশ্যই মোহজিৎ হতে হবে । তোমরা
এতকাল বলে এসেছো যে, বাবা তুমি যখন আসবে, আমরা তোমার কাছে সমর্পিত হবো, ব্যবসা তো
ভালো, তাই না । মানুষ তো জানেই না যে, সওদাগর, রত্নাকর, জাদুকর নাম কেন বলা হয়েছে
। তিনি রত্নাকর, এই অবিনাশী জ্ঞান রত্ন হলো এক একটি অমূল্য সংস্করণ । এর উপর রূপ -
বসন্তের কথা আছে তো, তাই না । তোমরা যেমন রূপও, তেমনি বসন্তও । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
এখন এই শরীরের দ্বারা কোনো বিকর্ম করবে না । এমন কোনো আসুরী আচরণ যেন না হয়, যাতে
রেজিস্টার খারাপ হয়ে যায় ।
২ ) এক বাবার স্মরণের
নেশায় থাকতে হবে । পবিত্র হওয়ার মূল পুরুষার্থ অবশ্যই করতে হবে । কড়ির পিছনে নিজের
অমূল্য সময় নষ্ট না করে শ্রীমতে চলে জীবনকে শ্রেষ্ঠ বানাতে হবে ।
বরদান:-
নিজেকে
বিশ্ব সেবার প্রতি অর্পিত করে মায়াকে দাসী বানানো সহজ সম্পন্ন ভব
এখন নিজের সময়, সকল
প্রাপ্তি, জ্ঞান, গুণ আর শক্তিগুলিকে বিশ্ব সেবায় সমর্পিত করো। যে সংকল্প উঠছে, চেক
করো যে বিশ্ব সেবার প্রতি আছে! এইরকম সেবার প্রতি অর্পণ হলে স্বয়ং সহজেই সম্পন্ন হয়ে
যাবে। মায়ার কাছে ঘাবড়ে যাবে না, সদা বিজয়ী হওয়ার খুশীতে নাচতে থাকবে। মায়াকে নিজের
দাসী অনুভব করবে। নিজেই সেবাতে স্যারেন্ডার হবে তাে মায়া স্বতঃ স্যারেন্ডার হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
অন্তর্মুখতার দ্বারা মুখকে বন্ধ করে দাও তাহলে ক্রোধ সমাপ্ত হয়ে যাবে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
অশরীরী বা বিদেহী স্থিতির অভ্যাস বৃদ্ধি করো
যেরকম এক সেকেন্ডে
সুইচ অন আর অফ করা যায়, এইরকমই এক সেকেন্ডে শরীরের আধার নাও আর এক সেকেন্ডে শরীর
থেকে ঊর্ধ্বে অশরীরী স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও। এখনই শরীরে এসো, আবার এখনই অশরীরী হয়ে
যাও, প্রয়োজন হলে শরীররূপী বস্ত্র ধারণ করো, প্রয়োজন না থাকলে শরীর থেকে আলাদা হয়ে
যাও। এই প্র্যাক্টিস করতে থাকো, একেই কর্মাতীত অবস্থা বলা হয়।