14.09.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার শ্রীমতে চলে নিজের শৃঙ্গার করো, পরচিন্তনে নিজের শৃঙ্গার খারাপ করো না, টাইম ওয়েস্ট করো না"

প্রশ্নঃ -
তোমরা বাচ্চারা বাবার থেকেও তীক্ষ্ণ জাদুকর - কিভাবে?

উত্তরঃ  
এখানে বসে বসে তোমরা লক্ষ্মী - নারায়ণের মতো নিজের শৃঙ্গার করছো । এখানে বসে তোমরা নিজেদের চেঞ্জ করছো, এও জাদুগরী । কেবল অল্ফকে (আল্লাহ) স্মরণ করলেই তোমাদের শৃঙ্গার হয়ে যায় । কোনো হাত - পা চালানোর বিষয় নয়, কেবল চিন্তনের কথা । যোগের দ্বারা তোমরা স্বচ্ছ আর শোভনীয় হয়ে যাও, তোমাদের আত্মা এবং শরীর কাঞ্চন হয়ে যায়, এও তো ম্যাজিক, তাই না ।

ওম্ শান্তি ।
রুহানী জাদুগর বসে রুহানী বাচ্চাদের, যারা বাবার থেকেও তীক্ষ্ণ জাদুগর, তাদের বোঝান - তোমরা এখানে কি করছো? এখানে বসে বসে কোনো শব্দও নেই, নড়াচড়াও নেই । বাবা অথবা সাজন, সজনীদের যুক্তি বলে দিচ্ছেন। সাজন বলেন - এখানে বসে তোমরা কি করছো? তোমরা নিজেরা এমন লক্ষ্মী - নারায়ণের মতো শৃঙ্গার করছো । কেউ বুঝবে কি ? তোমরা এখানে সবাই বসে আছো, তবুও পুরুষার্থের ক্রমানুসারে তো আছেই, তাই না । বাবা বলেন, তোমাদের এমন শৃঙ্গারিত হতে হবে । ভবিষ্যৎ অমরপুরীর জন্য তোমাদের এইম অবজেক্ট হলো এটাই। এখানে বসে তোমরা কি করছো? প্যারাডাইসের শৃঙ্গারের জন্য তোমরা পুরুষার্থ করছো । একে কি বলা হবে? এখানে বসে তোমরা নিজেদের চেঞ্জ করছো । উঠতে - বসতে - চলতে - ফিরতে বাবা এক মন্মনাভবের চাবি দিয়েছেন। এক এই মন্মনাভব ছাড়া আর কোনো ফালতু কথা শুনে সময় নষ্ট করো না । তোমরা নিজেদের শৃঙ্গারে লেগে থাকো । অন্যে করলো, কি না করলো, এতে তোমাদের কি যায় - আসে ? তোমরা নিজেদের পুরুষার্থতে থাকো । এ কতো বোঝার মতো কথা । নতুন কেউ শুনলে কতো আশ্চর্য হয়ে যাবে । তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ তো নিজের শৃঙ্গার করছে, কেউ আবার আরোই খারাপ করে দিচ্ছে । তারা পরচিন্তন ইত্যাদিতে টাইম ওয়েস্ট করতে থাকে । বাবা বাচ্চাদের বোঝান যে, তোমরা কেবল নিজেদের দেখো যে, আমরা কি করছি? বাবা খুব ছোটো উপায় বলে দিয়েছেন, ব্যস একটিই শব্দ - মন্মনাভব। তোমরা এখানে বসে আছো কিন্তু তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে, সম্পূর্ণ সৃষ্টির চক্র কিভাবে ঘুরতে থাকে । এখন আবার আমরা এই বিশ্বের জন্য শৃঙ্গার করছি । তোমরা কতো পদ্মাপদম ভাগ্যবান। এখানে বসে বসে তোমরা কতো কার্য করো । এখানে তো হাত - পা চালানোর কোনো ব্যাপারই নেই। এখানে কেবল চিন্তনের (বিচারের) কথা । তোমরা বলবে, আমরা এখানে বসে উঁচুর থেকেও উঁচু বিশ্বের শৃঙ্গার করছি । মন্মনাভবের মন্ত্র কতো উঁচু । এই যোগের দ্বারাই তোমাদের পাপ ভস্ম হতে থাকবে আর তোমরা স্বচ্ছ হতে হতে তারপর কতো শোভনীয় হয়ে যাবে । এখন আত্মা পতিত, তাই তোমাদের শরীরের অবস্থাও দেখো কি হয়ে গেছে । এখন তোমাদের আত্মা আর কায়া উভয়ই কাঞ্চন হয়ে যাবে । এ তো ম্যাজিক, তাই না । তাই এইভাবেই নিজেদের শৃঙ্গার করতে হবে । দৈবীগুণও ধারণ করতে হবে । বাবা সবাইকেই একটিই রাস্তা বলে দেন - অল্ফ (আল্লাহ), বে (বাদশাহী)। কেবল অল্ফের কথা । বাবাকে স্মরণ করতে থাকো তাহলে তোমাদের সম্পূর্ণ শৃঙ্গার পরিবর্তন হয়ে যাবে ।

তোমরা বাবার থেকেও বড় জাদুকর। তোমাদের উপায় বলে দেওয়া হয় যে, এমন - এমন করলে তোমাদের শৃঙ্গার তৈরী হয়ে যাবে । নিজের শৃঙ্গার না করলে তোমরা নিজেদের ক্ষতি করে ফেলে থাকো। এতটা তো বোঝোই যে, আমরা ভক্তিমার্গে কি কি করতাম। সমস্ত শৃঙ্গারই খারাপ করে দিয়ে তোমরা কি হয়ে গেছো । এখন একটিই শব্দে, বাবার স্মরণেই তোমাদের শৃঙ্গার হয় । বাচ্চাদের কতো ভালোভাবে বুঝিয়ে ফ্রেশ করে দেয় । তোমরা এখানে বসে কি করো? তোমরা স্মরণের যাত্রায় বসে আছো । কারোর খেয়াল যদি অন্যদিকে থাকে তাহলে শৃঙ্গার তো করাই যাবে না । তোমরা এখন শৃঙ্গার করেছো, তাই তোমাদের অন্যদেরও পথ বলে দিতে হবে । বাবা তোমাদের এমনভাবে শৃঙ্গার করাতেই আসেন। শিব বাবা, তোমার কি জাদু, তুমি আমাদের কতো শৃঙ্গার করাও। উঠতে - বসতে, চলতে - ফিরতে আমাদের নিজের শৃঙ্গার করতে হবে । কেউ তো আবার নিজের শৃঙ্গার করে অন্যদেরও শৃঙ্গার করায় । কেউ তো আবার নিজের শৃঙ্গারও করে না আর অন্যদের শৃঙ্গারও খারাপ করতে থাকে । ফালতু বা ব্যর্থ কথা শুনিয়ে তাদের অবস্থা আরো নীচে নামিয়ে দেয় । নিজেরাও শৃঙ্গার করে না, অন্যদেরও শৃঙ্গার করতে দেয় না । তাই খুব ভালোভাবে চিন্তা করো - বাবা কিভাবে যুক্তি বলে দেন। ভক্তিমার্গের শাস্ত্র পড়লে এই যুক্তি পাওয়া যায় না । শাস্ত্র তো হলো ভক্তিমার্গের। তোমাদের বলে থাকে যে, তোমরা কেন শাস্ত্র মানো না? বলো যে, আমরা সব মানি । অর্ধেক কল্প আমরা ভক্তি করেছি । শাস্ত্র পড়লে কে আর মানবে না? রাত আর দিন যখন হয়, তখন এই দুইকেই তো মানবে, তাই না । এ হলো অসীম জগতের দিন আর রাত।

বাবা বলেন যে - মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা নিজেদের শৃঙ্গার করো । টাইম ওয়েস্ট করো না । সময় খুব অল্প বাকি আছে । তোমাদের বিশাল বুদ্ধির হওয়া প্রয়োজন। পারস্পরিক খুবই প্রেমের সম্বন্ধ থাকা চাই। টাইম ওয়েস্ট করা উচিত নয়, কেননা তোমাদের টাইম তো খুবই মূল্যবান। তোমরা কড়ি থেকে হীরে তুল্য তৈরী হচ্ছো। বিনা পয়সায় শুনছো নাকি । এ কি কোনো কথকথা নাকি? বাবা একটি শব্দই শোনান। বড় - বড় ব্যক্তিরা বেশী কথা বলে না । বাবা তো সেকেন্ডে জীবনমুক্তির পথ বলে দেন। এ তো হলো উচ্চ শৃঙ্গারের, তাই তো যাদের খুব পুজো করে, তাদের চিত্রই আছে । যত ধনী মানুষ হবে, ততো বড় মন্দির তৈরী করবে, অনেক বেশী শৃঙ্গার করাবে । পূর্বে তো দেবতাদের চিত্রে হীরের হার পরানো হতো । বাবার তো অনুভব আছে, তাই না। বাবা নিজেই লক্ষ্মী-নারায়ণের জন্য হীরের হার তৈরী করেছিলেন। বাস্তবে তারা যেমন শৃঙ্গার করেন, তেমন এখানে আর কেউই করতে পারে না । তোমরা এখন পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে তেমন তৈরী হচ্ছো । বাবা তাই বোঝান - বাচ্চারা, তোমরা না নিজের টাইম ওয়েস্ট করো, না অন্যদের টাইম ওয়েস্ট করাও। বাবা খুব সহজ যুক্তি বলে দেন। তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের পাপ দূর হয়ে যাবে । স্মরণ ছাড়া এমন শৃঙ্গার হতে পারে না । তোমরা তো এমন তৈরী হবে, তাই না । তোমাদের দৈবী স্বভাব ধারণ করতে হবে । এতে বলারও কোনো দরকার নেই কিন্তু পাথর বুদ্ধি হওয়ার কারণে সব বোঝাতে হয় । এ হলো এক সেকেন্ডের কথা । বাবা বলেন - মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা নিজের বাবাকে ভুলে তোমাদের শৃঙ্গার কতো খারাপ করে দিয়েছো । বাবা তো বলেন, তোমরা চলতে - ফিরতে নিজের শৃঙ্গার করতে থাকো, কিন্তু মায়াও কিছু কম নয় । কেউ কেউ লেখে - বাবা, তোমার মায়া আমাদের খুব বিরক্ত করে । আরে, আমার মায়া কোথায়, এ তো খেলা, তাই না । আমি তো তোমাদের মায়ার হাত থেকে ছাড়াতে এসেছি । আমার মায়া তাহলে আবার কোথা থেকে হলো ! এই সময় এই মায়ারই সমস্ত রাজত্ব। যেমন এই রাত আর দিনে তফাৎ হতে পারে না । এ আবার হলো অসীম জগতের রাত আর দিন। এখানে এক সেকেন্ডেরও ফারাক হতে পারে না । তোমরা বাচ্চারা এখন পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে এমন শৃঙ্গার করছো । বাবা বলেন - তোমাদের চক্রবর্তী রাজা হতে হলে তোমরা চক্র ঘোরাতে থাকো । গৃহস্থ জীবনে থাকলেও, সেখানে তোমাদের বুদ্ধির দ্বারা কাজ করতে হবে । আত্মার মধ্যেই মন এবং বুদ্ধি থাকে । এখানে তোমাদের বাইরের আবর্জনা কিছুই নেই। এখানে তোমরা আসোই নিজেদের শৃঙ্গার করাতে আর রিফ্রেশ হতে । বাবা তো সবাইকে একইরকম পড়ান। এখানে বাবার কাছে আসে নতুন - নতুন পয়েন্টস সম্মুখে বসে শুনতে, তারপর ঘরে ফিরে যায়, তখন যা কিছু শুনেছিলো, সব বাইরে বেড়িয়ে যায় অর্থাৎ ভুলে যায় । এখান থেকে বাইরে বেড়িয়ে গেলেই ঝুলি ঝেড়ে ফেলে । যা শুনলো তার উপর মনন - চিন্তন করে না । তোমাদের জন্য তো এখানে একান্তের জায়গা অনেক। বাইরে তো ছারপোকা ঘুরতে থাকে । তারা একে অপরকে খুন করতে থাকে আর রক্তপান করতে থাকে ।

বাবা তাই বাচ্চাদের বুঝিয়ে বলেন - তোমাদের এই সময় হলো অত্যন্ত মূল্যবান, একে তোমরা ওয়েস্ট করো না । নিজেদের শৃঙ্গার করার জন্য তোমরা অনেক যুক্তি পেয়েছো । আমি সকলের উদ্ধার করতে এসেছি । আমি তোমাদের এই বিশ্বের বাদশাহী প্রদান করতে এসেছি । তাই তোমরা এখন আমাকে স্মরণ করো, টাইম ওয়েস্ট করো না । কাজকর্ম করার সময়ও বাবাকে স্মরণ করতে থাকো । এতো সমস্ত আত্মারা সবাই হলো প্রিয়তম পরমপিতা পরমাত্মার প্রেমিকা । ওইসব দৈহিক জাগতিক কথা কাহিনী (হীরে রাঞ্ঝা, লয়লা মজনু...) ইত্যাদি তো তোমরা অনেক শুনে এসেছো । বাবা এখন বলছেন, তোমরা সেইসব ভুলে যাও। ভক্তিমার্গে তোমরা আমাকে স্মরণও করেছো, আর প্রতিজ্ঞাও করেছো যে, আমরা তোমার হবো । অনেক - অনেক প্রেমিকার এক প্রিয়তম । ভক্তিমার্গে বলে থাকে - ব্রহ্মে লীন হয়ে যাবে, এই সবই হলো ফালতু কথা । একজনও মানুষ মোক্ষ লাভ করতে পারে না । এ তো অনাদি ড্রামা, এখানে এতো সব অ্যাক্টর্স, এতে সামান্য তফাৎও হতে পারে না । বাবা বলেন যে, তোমরা এক অল্ফকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের এই শৃঙ্গার হয়ে যাবে । তোমরা এখন এমন তৈরী হচ্ছো । তোমাদের স্মৃতিতে আসে - আমরা অনেকবার এমন শৃঙ্গার করেছি । বাবা, আপনি কল্প - কল্প আসবেন, আর আমরা আপনার কাছেই শুনবো । এখানে কতো গুহ্য - গুহ্য পয়েন্টস। বাবা খুব ভালো ভালো যুক্তি বলে দিয়েছেন। এমন বাবার কাছে বলিহারি যাবো । আশিক - মাশুকও সবাই একরকম হয় না । ইনি তো সকল আত্মার একই প্রিয়তম । এখানে দেহের কোনো কথা নেই। তোমরা কিন্তু সঙ্গম যুগেই বাবার কাছ থেকে এমন যুক্তি পাও। তোমরা যেখানেই যাও না কেন, খাওয়াদাওয়া করো, বেড়াও, চাকরী করো, যাই করো না কেন, নিজের শৃঙ্গার করতে থাকো । আত্মারা সবাই এক প্রিয়তম প্রিয়তমা। ব্যস্, কেবল তাঁকেই স্মরণ করতে থাকো । কোনো কোনো বাচ্চা বলে যে, আমরা তো ২৪ ঘণ্টা স্মরণ করি কিন্তু সর্বদা তো এমন কেউ করতে পারে না । খুব বেশী করে দুই বা আড়াই ঘণ্টা পর্যন্ত। খুব বেশী যদি লেখে তাহলে বাবা মানেন না । অন্যকে স্মৃতি ফিরিয়ে দাও না, তাহলে বাবা কিভাবে মানবেন যে তোমরা স্মরণ করো? এ কি কোনো ডিফিকাল্ট কথা? এতে কোনো খরচ আছে কি? কিছুই নয় । ব্যস, কেবল বাবাকে স্মরণ করতে থাকো তাহলে তোমাদের পাপ দূর হয়ে যাবে । তোমাদের দৈবী গুণও ধারণ করতে হবে । পতিত ব্যক্তি শান্তিধাম বা সুখধামে যেতে পারে না । বাবা বাচ্চাদের বলেন, তোমরা নিজেদের আত্মা ভাই - ভাই মনে করো । ৮৪ জন্মের পার্ট এখন তোমাদের সম্পূর্ণ হচ্ছে । এই পুরানো বস্ত্র এখন ত্যাগ করতে হবে । এই ড্রামা দেখো কিভাবে তৈরী হয়েছে । তোমরা তা পুরুষার্থের ক্রমানুসারে জানতে পারো । দুনিয়াতে তো কেউই কিছুই বুঝতে পারে না । প্রত্যেকেই তোমরা নিজেকে জিজ্ঞেস করো যে - আমরা বাবার মতে চলি কি? যদি চলো তাহলে তোমাদের শৃঙ্গারও খুব ভালো হবে । একে অপরকে উল্টো কথা শুনিয়ে অথবা শুনে নিজের শৃঙ্গারও খারাপ করে দেয়, অন্যদেরও খারাপ করে দেয় । বাচ্চাদের তো এই ধুনেই (সুরে) লেগে থাকতে হবে যে, আমরা এমন শৃঙ্গারধারী কিভাবে হবো । বাকি তো যা কিছুই আছে তা ঠিক আছে । কেবল পেটের জন্য রুটি যেন সহজেই পাওয়া যায় । বাস্তবে পেট তো বেশী চায় না । যদিও তোমরা সন্ন্যাসী কিন্তু তোমরা রাজযোগী । না অনেক উঁচু, না নীচু । খাও কিন্তু বেশী খেও না (অভ্যাস না হয়ে যায়)। এই কথা একে অপরকে স্মরণ করিয়ে দাও - শিব বাবা স্মরণে আছে তো? উত্তরাধিকার স্মরণে আছে তো? বিশ্বের বাদশাহীর শৃঙ্গার স্মরণে আছে তো? বিচার করে দেখো - এখানে বসে বসে তোমাদের কি উপার্জন! এই উপার্জনের দ্বারা অপার সুখ প্রাপ্ত হয়, কেবলই স্মরণের যাত্রার দ্বারা, আর কোনো অসুবিধা নেই। ভক্তি মার্গে মানুষ কতো ধাক্কা খেতে থাকে । বাবা এখন এসেছেন তোমাদের শৃঙ্গার করাতে । তাই তোমরা নিজেদের খুব ভালোভাবে খেয়াল করো । ভুলে যেও না । মায়া সব ভুলিয়ে দেয়, তখন সময় খুব নষ্ট করে ফেলে । তোমাদের এই টাইম তো খুবই মূল্যবান। লৌকিক পড়াতে মানুষ পরিশ্রমের ফলে কি থেকে কি হয়ে যায় । বাবা তোমাদের তো অন্য কোনো পরিশ্রম করান না । তিনি কেবল বলেন - তোমরা আমাকে স্মরণ করো । কোনো বই ইত্যাদি পড়ার কোনো দরকার নেই। বাবা কি কোনো বই পড়েন? বাবা বলেন, আমি এসে এই প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা তোমাদের এডাপ্ট করি । ইনি তো প্রজাপিতা, তাই না । তাহলে এতো মুখ বংশাবলী কিভাবে হবে? বাচ্চাদের অ্যাডপ্ট করা হয় । উত্তরাধিকার তো বাবার থেকে প্রাপ্ত হবে । বাবা ব্রহ্মার দ্বারা অ্যাডপ্ট করেন, তাই তাঁকে মাতা - পিতা বলা হয় । এও তোমরাই জানো । বাবার আগমন একদম অ্যাক্যুরেট (সঠিক)। তিনি অ্যাক্যুরেট সময়ে আসেন, আবার অ্যাক্যুরেট সময়ে যাবেন। দুনিয়ার পরিবর্তন তো হতেই হবে । বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের কতো বুদ্ধি দান করেন। তোমাদের বাবার মতে চলতে হবে । স্টুডেন্টরা যা পড়াশোনা করে, তাই তাদের বুদ্ধিতে চালাতে হবে । তোমরাও এই সংস্কার নিয়ে যাও। বাবার মধ্যে যেমন সংস্কার আছে, তেমনই তিনি তোমাদের আত্মার মধ্যেও এই সংস্কার ভরতে থাকেন। তারপর যখন এখানে আসবে তখন ওই পার্টই আবার রিপিট হবে । পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে আবার আত্মা আসবে । নিজের মনকে জিজ্ঞেস করো - নিজেকে শৃঙ্গার করানোর জন্য আমি কতটা পুরুষার্থ করেছি? কোথাও তো টাইম নষ্ট করি নি? বাবা সাবধান করে দেন - ব্যর্থ কথায় কোথাও সময় নষ্ট করো না । বাবার শ্রীমৎ স্মরণে রেখো । মনুষ্য মতে চলো না । তোমরা তো জানতেই না যে, আমরা পুরানো দুনিয়াতে আছি । বাবা বলেছেন যে, তোমরা কি ছিলে ।এই পুরানো দুনিয়াতে কতো অপার দুঃখ আছে । এও ড্রামা অনুসারে পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে । ড্রামা অনুসারে বিভিন্নপ্রকার বিঘ্ন এসে উপস্থিত হয় । বাবা বোঝান যে - বাচ্চারা, এ হলো জ্ঞান আর ভক্তির খেলা । এ হলো ওয়ান্ডারফুল ড্রামা । এতো ছোটো আত্মার মধ্যে এই সমস্ত পার্ট অবিনাশী ভরা আছে, যা প্লে হতেই থাকে । আচ্ছা !

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) অন্য সব কথাকে ত্যাগ করে এই ধুনেই থাকতে হবে যে, আমি লক্ষ্মী - নারায়ণের মতো শৃঙ্গারধারী কিভাবে হবো?

২ ) নিজেকে জিজ্ঞেস করতে হবে :-

অ ) আমরা শ্রীমতে চলে "মন্মনাভবের" চাবির দ্বারা নিজের শৃঙ্গার ঠিক করছি কি?

আ ) উল্টোপাল্টা কথা শুনে বা শুনিয়ে শৃঙ্গার খারাপ করে দিচ্ছি না তো?

ই ) সম্বন্ধে পারস্পরিক প্রেমের সঙ্গে থাকি তো? নিজের ভ্যালুয়েবল (মূল্যবান) টাইম কোথাও ওয়েস্ট করি না তো?

ঈ ) দৈবী স্বভাব ধারণ করেছি কি?

বরদান:-
ব্যর্থ সঙ্কল্পের কারণ জেনে তা সমাপ্ত করে সমাধান স্বরূপ ভব

ব্যর্থ সঙ্কল্প উৎপন্ন হওয়ার মুখ্য দুই কারণ - ১) অহংকার আর ২) অপমান বোধ। আমার কম কেন, আমারও এই পদ পাওয়া উচিত, আমাকে প্রথমে রাখা উচিত,.....তাই এইসব কথায় এক তো নিজের অপমান মনে করো অথবা কখনো অহংকার বোধ এসে যায়, নাম, মান - মর্যাদায়, এগিয়ে যাওয়াতে, সেবাতে .... অহংকার বা অপমান অনুভব করা, এই হলো ব্যর্থ সঙ্কল্পের কারণ, এই কারণকে জেনে নিবারণ করাই হলো সমাধান স্বরূপ হওয়া ।

স্লোগান:-
সাইলেন্সের শক্তির দ্বারা সুইট হোমে যাত্রা করা খুবই সহজ।