14.11.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এই চোখ দিয়ে যা কিছু দেখতে পাওয়া যাচ্ছে, একে দেখেও দেখো না, এসবের থেকে মমতা সরিয়ে
নাও, কারণ এতে আগুন লাগবে"
প্রশ্নঃ -
ঈশ্বরীয়
গভর্নমেন্টের গুপ্ত কর্তব্য কোনটি, যা দুনিয়া জানে না?
উত্তরঃ
ঈশ্বরীয়
গভর্নমেন্ট আত্মাদের পবিত্র করে দেবতায় পরিণত করে, এটা হলো খুবই গুপ্ত কর্তব্য,
যেটা মানুষ বুঝতে পারে না। যখন মানুষ দেবতা হয় তখন তো নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী হতে
পারে। মানুষের সমস্ত ক্যারেক্টার বিকার খারাপ করে দিয়েছে। তোমরা এখন সবাইকে শ্রেষ্ঠ
ক্যারেক্টার বিশিষ্ট বানানোর সেবা করছো, এটাই হলো তোমাদের মুখ্য কর্তব্য ।
ওম্ শান্তি ।
যখন ওম্ শান্তি
বলা হয়, তখন নিজের স্বধর্ম আর নিজের গৃহ স্মরণে আসে, তবে গৃহে তো বসে পড়ে না।
বাবার বাচ্চা হলে তো অবশ্যই স্বর্গের উত্তরাধিকারও স্মরণে আসবে। ওম্ শান্তি
উচ্চারণেও সমগ্র জ্ঞান বুদ্ধিতে এসে যায়। আমি আত্মা হলাম শান্ত স্বরূপ, শান্তির
সাগর বাবার সন্তান । যে বাবা স্বর্গের স্থাপনা করেন, সেই বাবা আমাদের পবিত্র, শান্ত
স্বরূপ করে তোলেন। মুখ্য ব্যাপার হলো পবিত্রতার। পবিত্র দুনিয়া আর অপবিত্র দুনিয়া।
পবিত্র দুনিয়াতে একটাও বিকার নেই। অপবিত্র দুনিয়াতে ৫ বিকার বর্তমান, সেই কারণে
বলা হয় বিকারী দুনিয়া। সেটা হলো নির্বিকারী দুনিয়া। নির্বিকারী দুনিয়া থেকে সিঁড়ি
বেয়ে নামতে-নামতে আবার নীচে বিকারী দুনিয়াতে আসে। সেটা হলো পবিত্র দুনিয়া, এটা হলো
পতিত দুনিয়া। রাম রাজ্য আর রাবণ রাজ্য তাই না ! সময় অনুসারে দিন আর রাতের কথা বলা
হয়েছে। ব্রহ্মার দিন আর ব্রহ্মার রাত। দিন হল সুখ, রাত হল দুঃখ। রাতে মানুষ
বিভ্রান্ত হয়।জ্ঞান মার্গে কেউ রাতে বিপর্যস্ত ভাবে ঘুরে বেড়ায় না কিন্তু ভক্তিকে
বিপর্যস্ত ভাবে ঘুরে বেড়ানো বলা হয়। তোমরা বাচ্চারা এখানে এসেছো সদ্গতি প্রাপ্ত
করার জন্য। তোমাদের আত্মাতে ৫ বিকারের কারণে পাপ ছিলো, তার মধ্যেও মুখ্য হলো কাম
বিকার, যার জন্যই মানুষ পাপ আত্মায় পরিণত হয়। এটা তো প্রত্যেকেই জানে আমি পতিত ।
ভ্রষ্টাচারে জন্ম হয়েছে। এক কাম বিকারের কারণে সমস্ত কোয়ালিফিকেশন খারাপ হয়ে যায়,
সেই কারণে বাবা বলেন কাম বিকারকে জিতলে পরে জগতজিত নূতন দুনিয়ার মালিক হবে। তাই
ভিতরে ভিতরে অনেক খুশী থাকা উচিত। মানুষ পতিত হলে তো কিছু বোঝে না। এই কাম এর
কারণেই কতো ঝঞ্ঝাট হয়। কতো অশান্তি, হাহাকার হতে থাকে । এই সময় দুনিয়াতে হাহাকার
কেন? কারণ সকলেই হলো পাপা আত্মা। বিকারের কারণেই অসুর বলা হয়। এখন বাবার দ্বারা
বুঝতে পারো আমরা তো একদম কড়ির মতো ওয়ার্থ নট এ পেনী (মূল্যহীন)। যেটা কাজের জিনিস
না তাকে আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। বাচ্চারা, তোমরা এখন মনে করো দুনিয়াতে কোনো
কাজের জিনিস নেই। সব মানুষেরই আগুন লাগবে। যা কিছু এই চোখে দেখছো, সবকিছুতেই আগুন
লাগবে। আত্মাতে তো আগুন লাগে না। আত্মা তো যেন ইনসিওর (বিমাতে সুরক্ষিত) । আত্মাকে
কখনো কি ইনসিওর করানো হয় ? ইনসিওর তো শরীরকে করায়। বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে, এটা হলো
খেলা। আত্মা তো উপরে- ৫ তত্ত্বর থেকেও উপরে থাকে। ৫ তত্ত্ব দ্বারাই সমগ্র দুনিয়ার
সামগ্রী তৈরী হয়। আত্মা তো তৈরী হয় না, আত্মা তো হল শাশ্বত । শুধুমাত্র পুণ্য আত্মা,
পাপ আত্মা হয়ে ওঠে। ৫ বিকারের দ্বারা আত্মা কতো কলুষিত হয়ে যায়। এখন বাবা এসেছেন
পাপ থেকে মুক্ত করতে। বিকারের দ্বারা সমস্ত ক্যারেক্টার (চরিত্র) খারাপ হয়ে যায়।
ক্যারেক্টার্স কাকে বলে- এটাও কারোর জানা নেই। গাওয়াও হয় পান্ডব রাজ্য, কৌরব রাজ্য।
এখন পান্ডব কে, এটাও কেউ জানে না। এখন তোমরা বুঝতে পারো যে আমরা হলাম ঈশ্বরীয়
গবর্ণমেণ্টের। বাবা এসেছেন রামরাজ্য স্থাপন করতে। এই সময় ঈশ্বরীয় গভর্নমেন্ট কি করে?
আত্মাদের পবিত্র করে দেবতায় পরিণত করে। নয়তো দেবতা আবার কোথা থেকে আসবে - এটা কেউ
জানে না, সেইজন্য একে গুপ্ত গভর্নমেন্ট বলা হয়। এরা তো হলো মানুষই, কিন্তু দেবতা
কীভাবে হলো, কে তৈরী করলো? দেবী-দেবতা তো হয়ই স্বর্গে। তবে তাদের স্বর্গবাসী কে
করলো। স্বর্গবাসী থেকে আবার নরকবাসীতে পরিণত হয়। আবার নরকবাসীই স্বর্গবাসী হয়। এটা
তোমরাও জানতে না। আর কীভাবে জানবে। স্বর্গ, সত্যযুগকে, নরক কলিযুগকে বলা হয়। এটাও
তোমরা এখন বোঝো। এই ড্রামা পূর্ব নির্ধারিত। এই অধ্যয়ণ হলোই পতিত থেকে পবিত্র
হওয়ার। আত্মাই পতিত হয়। পতিত থেকে পবিত্র তৈরী করা- এই ধান্ধা বাবা তোমাদের
শিখিয়েছেন। পবিত্র হলে তবে পবিত্র দুনিয়াতে যাবে। আত্মাই পবিত্র হয়ে তবে
স্বর্গের উপযুক্ত হয়। এই জ্ঞান তোমাদের এই সঙ্গমেই প্রাপ্ত হয়। পবিত্র হওয়ার
হাতিয়ার পাওয়া যায়। পতিত-পাবন একমাত্র বাবাকেই বলা যায়। বলে আমাকে পবিত্র করো। এই
লক্ষ্মী-নারায়ণ স্বর্গের মালিক ছিলো। এরপর ৮৪ জন্ম নিয়ে পতিত হয়েছে। শ্যাম আর
সুন্দর, এর নামও ঐরকম রাখা হয়েছে, কিন্তু মানুষ কী এর অর্থ বোঝে ! কৃষ্ণেরও
ক্লীয়ার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়। এর মধ্যে দুইটি দুনিয়া করে দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবে
দুনিয়া একটিই। সেটি নূতন আর পুরানো হয়। তোমরা বোঝানোর জন্য কতো মাথা ঠোকো। নিজেদের
রাজধানী স্থাপন করছো যে। এরাও যে বুঝেছে। বুঝতে পেরে কতো মধুর হয়েছে। কে বুঝিয়েছেন
? ভগবান বুঝিয়েছেন। লড়াই ইত্যাদির কোনো ব্যাপারই নেই। ভগবান কতো বিচক্ষণ, নলেজফুল
করে তোলেন। শিবের মন্দিরে গিয়ে নমস্কার করে, কিন্তু সে কি, কে হন, এটা কেউ জানে না।
শিব কাশী বিশ্বনাথ গঙ্গা (হর হর মহাদেব কাশী বিশ্বনাথ গঙ্গে).... ব্যস্ শুধু বলতেই
থাকে, এর নামমাত্র অর্থও জানে না। বোঝালে পরে বলবে তুমি আমাকে কি বোঝাবে, আমি তো
বেদ-শাস্ত্র সব পড়েছি। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের মধ্যে যারা ধারণ করে তারা নম্বর
অনুযায়ী থাকে। কেউ তো ভুলে যায়, কারণ একদম পাথরবুদ্ধির হয়ে যায়। তাই এখন যারা
স্পর্শ বুদ্ধি সম্পন্ন হয়েছে তাদের কাজ হলো আর সকলকে পারশ বুদ্ধি সম্পন্ন করে তোলা।
পাথরবুদ্ধির অ্যাক্টিভিটিস এরকম থাকে, কারণ হংস-সারস হলো যে। হংস কখনো কাউকে দুঃখ
দেয় না। সারস দুঃখ দেয়। ওদের অসুর বলা হয়। পরিচিতি থাকে না। অনেক সেন্টার্সেও
এরকম অনেক বিকারী এসে পড়ে। বাহানা করে আমি পবিত্র থাকি কিন্তু সেটা মিথ্যা। বলাও
হয় মিথ্যা দুনিয়া...। এখন হলো সঙ্গম। কতো পার্থক্য থাকে। যে মিথ্যা বলে, মিথ্যা
কাজ করে, সে-ই থার্ড গ্রেডে পরিণত হয়। ফার্স্ট, সেকেন্ড, থার্ড গ্রেড হয়ে থাকে, তাই
না ! বাবা বলে দিতে পারেন- এটা হলো থার্ড গ্রেড।
বাবা বোঝান যে,
পবিত্রতার সম্পূর্ণ প্রমাণ দিতে হবে। কেউ কেউ বলে, আপনারা দু'জনে একসাথে থেকেও
পবিত্র থাকেন- এটা তো অসম্ভব। কিন্তু বাচ্চাদের মধ্যে যোগবল না থাকার কারণে এতো সহজ
কথাও সম্পূর্ণ ভাবে বোঝাতে পারে না। ওদের এ'কথা কেউ বোঝায় না যে এখানে আমাদের
পড়ান ভগবান। তিনি বলেন পবিত্র হলে তোমরা ২১ জন্ম স্বর্গের মালিক হবে। বিরাট বড়
লটারী পাওয়া যায়। আমাদের আরোই খুশী হতে থাকে। কোনো বাচ্চা গন্ধর্ব বিবাহ করে পবিত্র
থেকে দেখিয়ে দেয়। দেবী-দেবতারা যে পবিত্র থাকে। অপবিত্র থেকে পবিত্র তো একমাত্র
বাবা করেন। এটাও বোঝান জ্ঞান, ভক্তি, বৈরাগ্য। জ্ঞান আর ভক্তি অর্ধেক-অর্ধেক হলে
আবার ভক্তির পরে আসে বৈরাগ্য। এখন এই পতিত দুনিয়াতে থাকার দরকার নেই, এই পোশাক ছেড়ে
গৃহে (পরমধামে) ফিরে যেতে হবে। ৮৪ জন্মের চক্র এখন সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন আমরা
শান্তিধামে যাবো। প্রথম কথাই হল আল্লাহ্ - একথা ভোলা যাবে না। বাচ্চারা এটাও বোঝে
এই পুরানো দুনিয়া অবশ্যই সমাপ্ত হবে। বাবা নূতন দুনিয়া স্থাপন করেন। বাবা অনেকবার
নূতন দুনিয়া স্থাপন করতে এসেছেন, এরপর নরকের বিনাশ হয়ে যায়। নরক কতো বড়, স্বর্গ
কতো ছোট। নূতন দুনিয়াতে হলো এক ধর্ম। এখানে তো অনেক রকম ধর্ম অছে। লেখাও হয়েছে
শঙ্কর দ্বারা বিনাশ। অনেক ধর্মের বিনাশ হয় আবার ব্রহ্মা দ্বারা এক-ধর্মের স্থাপনা
হয়ে থাকে। এই ধর্ম কে স্থাপন করেছেন? ব্রহ্মা করেননি তো ! ব্রহ্মাই পতিত থেকে আবার
পবিত্র করে তোলেন। আমার জন্য তো (শিববাবার ক্ষেত্রে) বলবে না পতিত থেকে পবিত্র।
পবিত্র হলে তবে লক্ষ্মী-নারায়ণ নাম হবে, পতিত হলে তবে নাম হবে ব্রহ্মা। ব্রহ্মার
দিন, ব্রহ্মার রাত। ওঁনাকে অর্থাৎ শিববাবাকে অনাদি ক্রিয়েটার (স্রষ্টা) বলা হয়ে
থাকে। আত্মারা তো আছেই আছে। আত্মাদের তো ক্রিয়েটার বলা হবে না, সেইজন্য অনাদি বলা
হয়। বাবা অনাদি তো আত্মারাও অনাদি। খেলাও হলো অনাদি। এই অনাদি ড্রামা পূর্ব
নির্ধারিত। আমি আত্মার সৃষ্টি চক্রের আদি, মধ্য, অন্তের ডায়রেক্শনের জ্ঞান প্রাপ্ত
হয়। এটা কে দিয়েছে ? বাবা। তোমরা ২১জন্মের জন্য পরমাত্মার হয়ে যাও আবার রাবণ রাজ্যে
অনাথ হয়ে যাও। এরপর ক্যারেক্টার্স খারাপ হতে থাকে। বিকার আছে যে। মানুষ মনে করে
স্বর্গ - নরক সব একসাথে চলে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের কতো ক্লীয়ার বোঝানো হয়। তোমরা
এখন হলে গুপ্ত, শাস্ত্রে কি না কি লিখে দিয়েছে। কতো সূতো যেন জট পাকিয়ে আছে।
বাবাকেই বলে, আমরা কোনো কাজেরই নই এখন। এসে পবিত্র করে আমাদের ক্যারেক্টার সংশোধন
করে দাও। তোমাদের ক্যারেক্টার্স কতো সংশোধন হয়েছে। কেউ তো আবার সংশোধিত হওয়ার
পরিবর্তে আরোই খারাপ হয়েছে। আচার-আচরণ থেকেই বুঝতে পারা যায়। আজ হংস বলে, কাল সারস
হয়ে পড়ে। দেরী হয় না। মায়াও খুবই গুপ্ত। এখানে কি আর কিছু দেখতে আসে! বাইরে বের
হলে দেখা যায়, তারপর আশ্চর্য রকম ভাবে শোনে, অপরকে শোনায়, তারপর নিজে পালিয়ে যায়।
এতো জোরে পড়ে যায় যে হাড়গোড়-ই ভেঙে যায়। এ হল ইন্দ্রপ্রস্থের কথা। বুঝতে তো
পেরেই যায়। এরকম কারোর আবার সভাতে আসা উচিত নয় । অল্প-স্বল্প জ্ঞান শুনলে পরে
স্বর্গে এসেই যায়। কিন্তু জ্ঞানের বিনাশ হয় না। বাবা এখন বলেন পুরুষার্থ করে উচ্চ
পদ প্রাপ্ত করো। যদি বিকারের মধ্যে থাকো তো পদস্খলন হয়ে যাবে। তোমরা এখন বুঝতে পারো
এই চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়।
বাচ্চারা, এখন
তোমাদের বুদ্ধি কতো পরিবর্তিত হচ্ছে, তবুও মায়াও অবশ্যই ধোঁকা দিচ্ছে। ইচ্ছা
মাত্রম্ অবিদ্যা। কোনো ইচ্ছা যদি রাখলে, তো গেলে। ওয়ার্থ নট এ পেনী (মূল্যহীন) হয়ে
পড়ে। ভালো-ভালো মহারথীদেরও মায়া কোনো না কোনো ভাবে ধোঁকা দিয়ে দেয়, এরপর সে হৃদয়ে
জায়গা পেতে পারে না। কোনো বাচ্চা তো এমনও হয় যে বাবাকেও শেষ করে দিতে দেরী করে না।
পরিবারকেও শেষ করে দেয়। তারা মহান পাপ আত্মারা। রাবণ কি-কি করে দেয়। খুবই ঘৃণা আসে।
কতো ডার্টি (নোংরা) দুনিয়া, এর সাথে কখনো হৃদয় জুড়তে নেই। পবিত্র হতে খুবই সাহস
লাগে। বিশ্বের বাদশাহীর প্রাইজ নেওয়ার জন্য পবিত্রতা হলো প্রধান। পবিত্রতার কারণে
কতো হাঙ্গামা হয়। গান্ধীও বলতেন হে পতিত পাবন এসো। এখন বাবা বলেন হিস্ট্রি-
জিওগ্রাফি আবার রিপিট হচ্ছে। সবাইকে ফিরে আসতেই হবে, তবে তো একসাথে যাবে। বাবাও যে
এসেছেন- সবাইকে গৃহে নিয়ে যেতে। বাবা না এলে কেউ ফিরে যেতে পারবে না। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
মায়ার ধোঁকার থেকে বাঁচতে হলে কোনো রকমেরই ইচ্ছা রাখতে নেই। ইচ্ছা মাত্রম্ অবিদ্যা
হতে হবে।
২ ) বিশ্বের বাদশাহীর
প্রাইজ নেওয়ার জন্য প্রধান ব্যাপার হলো পবিত্রতা, সেইজন্য পবিত্র হওয়ার সাহস ধরে
রাখতে হবে। নিজের ক্যারেক্টার্স সংশোধন করতে হবে।
বরদান:-
সদা
স্মরণের ছত্রছায়ার নীচে, মর্যাদার রেখার ভিতরে থেকে মায়াজীৎ বিজয়ী ভব
বাবার স্মরণই হলো
ছত্রছায়া, ছত্রছায়াতে থাকা অর্থাৎ মায়াজীৎ বিজয়ী হওয়া। সদা স্মরণের ছত্রছায়ার নীচে
আর মর্যাদার রেখার মধ্যে থাকো তো কারোর সাহস নেই ভিতরে যাওয়ার। মর্যাদার রেখার বাইরে
বের হও তাই মায়াও নিজের বানানোর জন্য হুশিয়ার থাকে। কিন্তু ‘আমি অনেকবার বিজয়ী হয়েছি,
বিজয়মালা হলো আমাদেরই স্মরণিক’, - এই স্মৃতিতে সদা সমর্থ থাকো তাহলে মায়ার কাছে
পরাজিত হবে না।
স্লোগান:-
সর্ব
খাজানাকে নিজের মধ্যে সমাহিত করে নাও তাহলে সম্পন্নতার অনুভব হতে থাকবে।