14-12-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
18-02-2008 মধুবন
"বিশ্ব পরিবর্তনের জন্য শান্তির শক্তির প্রয়োগ করো"
আজ বাপদাদা বিশ্ব পরিবর্তক বাবার আশার দীপক তাঁর নিজের বাচ্চাদের চতুর্দিকে দেখে
আনন্দিত হচ্ছেন। বাপদাদা জানেন যে বাচ্চাদের বাপদাদার প্রতি অতি অতি অতি ভালোবাসা
রয়েছে এবং বাপদাদারও প্রত্যেক বাচ্চার সাথে পদ্মগুনের থেকেও বেশি ভালোবাসা আছে, আর
এই ভালোবাসা তো সদাই এই সঙ্গম যুগেই প্রাপ্ত হওয়ার আছে। বাপদাদা জানেন যেমনভাবে সময়
নিকটে আসছে সেই অনুসারে প্রত্যেক বাচ্চার হৃদয়ে এই সঙ্কল্প, এই উৎসাহ- উদ্দীপনা আছে
যে এখন কিছু করতেই হবে। কেননা, তোমরা দেখছ যে আজকের তিন সত্ত্বা অতি অস্থিরতার মধ্যে
রয়েছে। হয় তা' ধর্ম সত্ত্বা, নয়তো রাজ্য সত্ত্বা অথবা সায়েন্সের সত্ত্বা। সায়েন্সও
এখন প্রকৃতিকে যথার্থ রূপে চালাতে পারে না। এটাই বলা হয়, হতেই হবে। কেননা,
সায়েন্সের সত্ত্বা প্রকৃতি দ্বারা
কাজ করার উপর ভিত্তি করে। তো প্রকৃতি সায়েন্সের সাধন ঠিকই, তারা চেষ্টাও করে, কিন্তু
প্রকৃতি এখন সায়েন্সের কন্ট্রোলে নেই এবং ভবিষ্যতেও প্রকৃতির এই খেলা আরও বাড়তে
থাকবে। কেননা, প্রকৃতিতেও এখন আদি সময়ের শক্তি নেই। এ'রকম সময়ে শুধু ভাবো - কোন
সত্ত্বা এখন পরিবর্তন করতে পারবে! এই সাইলেন্সের শক্তি বিশ্ব পরিবর্তন করবে।
চারদিকের এই অস্থিরতা সমাপ্ত করবে কে! তোমরা জানো তো না? পরমাত্ম পরিপোষণের অধিকারী
আত্মা ব্যতীত আর কেউ করতে পারে না। তো তোমাদের সকলের এই উৎসাহ-উদ্দীপনা আছে যে আমরা
ব্রাহ্মণ আত্মারাই বাপদাদার সাথেও আছি আর পরিবর্তনের কার্যের সাথিও।
বাপদাদা বিশেষভাবে অমৃতবেলায় সাথে চলাকালীনও দেখেছেন যে, দুনিয়াতে তিন সত্ত্বার যতটা
অস্থিরতা রয়েছে, ততটা তোমরা সব শান্তির দেবীদের, শান্তির দেবদের শান্তির শক্তিকে
যতটা শক্তিশালী রূপে প্রয়োগ করা প্রয়োজন ততটা হয় না, ঘাটতি রয়েছে। তো বাপদাদা এখন
সব বাচ্চাকে এই উৎসাহ-উদ্দীপনায় জাগিয়ে তুলছেন - সেবার ক্ষেত্রে তোমরা ভালোভাবে
আওয়াজ ছড়িয়ে দিচ্ছ, তবুও তা'তে অস্থিরতা আছে, সাইলেন্সের শক্তিতে, (বারবার কাশি আসছে,
বাজনা (শরীর) খারাপ তবুও বাপদাদা বাচ্চাদের সাথে মিলন ব্যতীত থাকতে পারেন না এবং
বাচ্চারাও থাকতে পারে না।) তো বাপদাদা এই বিশেষ ইশারা দিচ্ছেন যে এখন শান্তির
শক্তির ভাইব্রেশন চতুর্দিকে ছড়িয়ে দাও।
বিশেষভাবে তোমরা এখন ব্রহ্মা বাবা আর জগদম্বাকে দেখেছ যে স্বয়ং আদিদেব হওয়ার কালে
শান্তির শক্তির কত গুপ্ত পুরুষার্থ করেছেন। তোমাদের দাদি কর্মাতিত হওয়ার জন্য এই
বিষয়টাকেই কত পোক্ত করেছে। দায়িত্ব থাকত, সেবার প্ল্যান বানাত, (বারবার কাশি আসছে)
শরীর (বাজনা) যতই খারাপ হোক না কেন, কিন্তু বাপদাদার ভালোবাসা আছে! তো সেবার
দায়িত্ব যত বড়ই হোক, কিন্তু সেবার সফলতার প্রত্যক্ষ ফল শান্তির শক্তি ব্যতীত তোমরা
যতটা চাও ততটা বের হতে পারে না। কেননা, নিজের জন্যও সমগ্র কল্পের প্রালব্ধ তোমরা
তখনই বানাতে পারবে। সুতরাং স্ব এর জন্য সমগ্র কল্পের রাজত্বের এবং পূজ্য হওয়ার
প্রালব্ধ একত্রিত করার সময় এখন এটাই। কেননা, সময় গুরুতর হওয়ারই আছে। এমন সময়ে
শান্তির শক্তির দ্বারা টাচিং পাওয়ার, ক্যাচিং পাওয়ার খুবই আবশ্যক হবে। এমন সময় আসবে
যখন এই সাধন কিছু করতে পারবে না। শুধু আধ্যাত্মিক বল, বাপদাদার ডায়রেকশনের টাচিং
তোমাদের কার্য করাতে পারবে। সুতরাং চেক করো - এমন সময়তে তোমাদের মন আর বুদ্ধিতে
বাপদাদার টাচিং আসা সম্ভব হবে? এক্ষেত্রে, বহুকালের অভ্যাস প্রয়োজন, এর সাধন হলো
সদাই - কখনো কখনো নয়, সদা ক্লিন আর ক্লিয়ার চাই। এখন রিহার্সাল বাড়তে থাকবে এবং
সেকেন্ডের মধ্যে রিয়েল হয়ে যাবে। সামান্যতম যদি মনে বুদ্ধিতে কোনও আত্মার প্রতি
কিংবা কোনও কার্যের প্রতি, কোনও সাথি সহযোগীর প্রতি এতটুকুও নেগেটিভ কিছু থাকবে তো
তাকে ক্লিন আর ক্লিয়ার বলা যাবে না। সেজন্য বাপদাদা এই অ্যাটেনশনের দিকে আকর্ষণ
করছেন। সারাদিনে চেক করো - সাইলেন্স পাওয়ার কত জমা করেছো? সেবা করার সময়ও যদি
সাইলেন্সের শক্তি বাণীতে না থাকে তবে প্রত্যক্ষ ফল হিসেবে যতটা সফলতা তোমরা চাও ততটা
হবে না। পরিশ্রম বেশি ফল কম। সেবা করো কিন্তু শান্তির শক্তিতে সেবা সম্পন্ন করো। এতে
যতটা রেজাল্ট চাও তার থেকে অধিক প্রাপ্ত হবে। বারবার চেক করো। আর তো বাপদাদা খুশি
যে দিনের পর দিন যারা সেবা করছে যেখানেই করছে তারা ভালো করছে। কিন্তু স্ব এর জন্য
শান্তির শক্তি সঞ্চয় করার, পরিবর্তন করার ওপর আরও অ্যাটেনশন চাই।
এখন সমগ্র দুনিয়া খুঁজছে, শেষমেশ বিশ্ব পরিবর্তক হওয়ার নিমিত্ত কে হবে! কেননা,
দিনদিন দুঃখ আর অশান্তি বাড়ছে এবং বাড়বেই। তো ভক্ত নিজের ইষ্টকে স্মরণ করছে, কেউ
কেউ অতির মধ্যে গিয়ে বিভ্রান্তিতে বেঁচে আছে। ধর্ম গুরুদের দিকে তাদের নজর ফেরাচ্ছে।
আর সায়েন্সের যারা তারাও এখন এটা ভাবছে কীভাবে করবো, কবে হবে! তো এদের সবাইকে জবাব
দেবে কে? সবার হৃদয়ের ডাক এটাই যে, পরিশেষে গোল্ডেন মর্নিং কবে আসবে? তো সবাই তোমরা
নিয়ে আসবে তো না! আনবে? হাত উঠাও, নিজেদের যারা নিমিত্ত মনে করো। নিমিত্ত তোমরা।
আচ্ছা। এত সব নিমিত্ত আছে, সুতরাং কত সময়ের মধ্যে হওয়া উচিত ! তোমরাও সবাই খুশি হও
আর বাপদাদাও খুশি হন। দেখো, এই গোল্ডেন চান্স প্রত্যেকের প্রাপ্ত হয় গোল্ডেন সময়
অনুসারে।
এখন নিজেদের মধ্যে যেমন সার্ভিসের জন্য তোমরা মিটিং করো, প্রবলেম সমাধান করার জন্য
করো তো না! এভাবে এই মিটিং করো, এই প্ল্যান বানাও - স্মরণ আর সেবা। স্মরণের অর্থ হলো
শান্তির পাওয়ার এবং সেটা প্রাপ্ত হবে, যখন তোমরা টপ স্টেজে হবে। যেমন কোনো টপ স্থান
হয়, তো সেখানে যদি দাঁড়াও তবে সবকিছু কত স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ঠিক তেমনই তোমাদের টপ
স্টেজ, সর্বাপেক্ষা টপ কী! পরমধাম। বাপদাদা বলেন, সেবা করো আর তারপর টপ স্টেজে
বাবার সাথে এসে বসে যাও। ক্লান্ত হলে যেমন ৫ মিনিটের জন্য হলেও কোথাও শান্ত হয়ে বসে
যাও তো না, তখন তারতম্য তো হয়, তাই না! ঠিক এরকমই মাঝে মাঝে বাবার সাথে এসে বসে যাও।
আরেক টপ স্থান হলো সৃষ্টি চক্রকে দেখ, সৃষ্টি চক্রে টপ স্থান কোনটা? সঙ্গমযুগে এসে
কাঁটা (ঘড়ির) টপের দিকে দেখাও তো না! তো তোমরা নিচে এসেছো, সেবা করেছ, আবার টপ
স্থানে চলে যাও। তো বুঝেছ কী করতে হবে তোমাদের? সময় তোমাদের ডাকছে, নাকি তোমরা সময়কে
নিকটে নিয়ে আসছ? রচয়িতা কে? তো নিজেদের মধ্যে এমন এমন প্ল্যান বানাও। আচ্ছা।
বাচ্চারা বলেছে আসতেই হবে, তো বাবা বলেছেন হাঁ জী। এভাবেই পরস্পরের বার্তালাপ,
স্বভাব, বৃত্তিকে বুঝে, হাঁ জী, হাঁ জী করলে সংগঠনের শক্তি সাইলেন্সের জ্বালা
সুস্পষ্ট করবে। জ্বালামুখী দেখেছো তো না! তো এই সংগঠনের শক্তি শান্তির জ্বালা
সুস্পষ্ট করবে। আচ্ছা।
মহারাষ্ট্র-অন্ধ্রপ্রদেশ, বম্বের (মুম্বই) টার্ন -
নামই মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রের ড্রামানুসারে বিশেষ গোল্ডেন
গিফ্ট প্রাপ্ত হয়েছে। কোনটা? ব্রহ্মা বাবা আর মায়ের লালনপালন মহারাষ্ট্র ডায়রেক্টলি
পেয়েছে। দিল্লি আর ইউ.পি.ও পেয়েছে। কিন্তু মহারাষ্ট্র বেশি পেয়েছে। এখন মহারাষ্ট্র,
মহা তো হওই। এখন কী করতে হবে! মহারাষ্ট্র মিলেমিশে এমন প্ল্যান বানাও, এমন মিটিং করো
যাতে সবার একই স্বভাব, একই সংস্কার, একই সেবার লক্ষ্য থাকে। শান্তির শক্তি কীভাবে
ছড়াবে, তার প্ল্যান বানাও। বানাবে তো তাই না! বানাবে? আচ্ছা এক মাস বাদে বাপদাদাকে
রিপোর্ট দেবে কী প্ল্যান বানিয়েছো! তোমাদের এই অধ্যাত্ম বার্তালাপ দ্বারা আরও
অ্যাডিশন হবে। বিভিন্ন জোন আছে, তাই না! তো তারাও অ্যাড করবে, তা' দিয়ে তোমরা ছাঁচ
বানাবে আর হিরে তারা জুড়বে। আছে তো না সাহস! টিচার্স সাহস আছে? প্রথম লাইন, তোমাদের
এই সাহস আছে? সংস্কার মিলন - এই রাস কোন জোন করবে? শুভ বৃত্তি, শুভ দৃষ্টি আর শুভ
কৃতি কীভাবে হবে - এটার দায়িত্ব একটা জোন নেবে। যদি কোনো আত্মা তার নিজের সংস্কার
পরিবর্তন করতে না পারে, ইচ্ছা থাকলেও করতে পারছে না, তবে তাদের প্রতি উদারতা, ক্ষমা,
সহযোগ ও স্নেহ দিয়ে কীভাবে নিজেদের ব্রাহ্মণ পরিবারকে শক্তিশালী বানাবে, আরেক জোন
তার প্ল্যান বানাও। এটা হতে পারে? হতে পারে? প্রথম লাইন তোমরা বলো হতে পারে? হাত
উঠাও হতে পারে, কেননা প্রথম লাইনে সব মহারথী বসে আছে। এখন, বাপদাদা কোনো নাম উল্লেখ
করছেন না, তবে প্রতিটা জোনের যা ভালো লাগে সেটা আত্মিক বার্তালাপ ক'রে তারপর
শিবরাত্রির পরে একমাস বাদে তোমাদের রেজাল্ট বলবে। মহারাষ্ট্র আছে তো না, আরও ভালো।
বৃদ্ধি তো সব জায়গায় হচ্ছে, তার অভিনন্দন, বাপদাদা তোমাদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। এখন
পর্যন্ত যা করেছ তার জন্য তো অভিনন্দন আছেই, কিন্তু এখন কোয়ালিটির বৃদ্ধি করো।
কোয়ালিটির অর্থ এটা নয় যে, বিত্তবান হতে হবে, কোয়ালিটির মানে হলো জীবনে নিয়মানুসারে
স্মরণকে প্রমাণ করে দেখাবে। আর মাইক এবং উত্তরাধিকারী এ' ব্যাপারে তো তোমরা জানই।
তারা নিশ্চয়বুদ্ধি আর নিশ্চিন্ত হবে। আচ্ছা।
ডবল ফরেনার্স ওঠো - (যুগলদের
এবং কুমারীদের বিশেষভাবে রিট্রিট হয়েছে) এরা চিহ্ন লাগিয়ে এসেছে। ভালো লাগে।
কুমারীরা এমনভাবে ঘুরে যাও যাতে অন্যেরা দেখতে পায়। চারদিকে ঘোরো। এটা ভালো। সবাই
লাকি, কিন্তু কুমারীরা ডবল লাকি। কেন! বস্তুত:, কুমাররাও লাকি, কিন্তু কুমারীরা যদি
তাদের কুমারী জীবনে অমর থাকে তবে বাপদাদার গুরুভাই হওয়ার আসন পায়। হৃদয় সিংহাসন তো
আছেই। সে তো সবার আছে। কিন্তু গুরুর আসন, যেখানে বসে তোমরা মুরলী শুনিয়ে থাকো,
টিচার হয়ে টিচ করো। সেইজন্য বাপদাদা বলেন কুমারী! কুমারীদের জন্য গায়ন আছে যে তারা
২১ পরিবারের উদ্ধার করে। তো তোমরা তোমাদের ২১ জন্মের তো উদ্ধার করেছ কিন্তু যাদের
নিমিত্ত হও তাদেরও ২১জন্মের উদ্ধার করেছ। তো তোমরা এমনই কুমারী তো না!
তোমরা সেরকম? পাক্কা (নিশ্চিত)? যারা একটু একটু কাঁচা আছ তারা
হাত উঠাও। তোমরা পাক্কা। তোমরা দেখেছ তারা পাক্কা কুমারী? পাক্কা তারা? মোহিনী বোন
(নিউ ইয়র্ক) বলুক তারা পাক্কা। কুমারীদের গ্ৰুপ পাক্কা! এদের টিচার কে? (মীরা বোন)
পাক্কা তো তালি বাজাও। বাপদাদাও খুশি। (এটা কুমারীদের অষ্টম রিট্রিট - এদের বিষয়
ছিল আপনবোধের অনুভব, ৩০ টা দেশের ৮০ জন কুমারী এসেছে, সবাই আপনাবোধের খুব ভালো
অনুভব করেছে) অভিনন্দন। এরা তো কুমারীরা, তোমরা সবাই কে? তোমরা বলো এরা তো কুমারী,
আমরা ব্রহ্মাকুমার আর ব্রহ্মাকুমারী। তোমরাও কম নও। এটা কুমারদের গ্ৰুপ, মিশ্রিত
গ্ৰুপ। এটা ভালো। যুগলদের কোন নেশা আছে? এক্সট্রা নেশা। জানো তোমরা। প্রবৃত্তির তারা
যখন থেকে এই নলেজ ধারণ করতে শুরু করেছে তখন থেকে মেজরিটি লোকের মধ্যে এই মনোবল এসেছে
যে আমরাও করতে পারি। আগে মনে করতো ব্রহ্মাকুমারী হওয়া অর্থাৎ সবকিছু ছেড়ে দেওয়া
কিন্তু পরে বুঝতে পারে যে ব্রহ্মাকুমার ব্রহ্মাকুমারী হয়ে পরিবার ব্যবহার সব চলতে
পারে। এছাড়া, যুগলদের আরও একটা বিশেষত্ব আছে, তারা মহাত্মাদেরও চ্যালেঞ্জ করেছে যে
আমরা সাথে থাকি,
আচার-অনুষ্ঠান বজায় রেখেও আমাদের পরমার্থ শ্রেষ্ঠ। বিজয়ী। তো
বিজয়ের সাহস দেওয়া এটা যুগলদের কাজ। সেজন্য বাপদাদা যুগলদেরও অভিনন্দিত করেন। ঠিক
আছে তো না! তোমরা চ্যালেঞ্জ করে থাকো, তাই না, পাক্কা। কোনো সি.আই.ডি. এসে যদি
নিরীক্ষণ করে তো করতে দাও। বলো করতে। আছে সাহস? আছে? হাত উঠাও। আচ্ছা।
বাপদাদা সদাসর্বদা ডবল ফরেনার্সকে সাহসী মনে করে। কেন?
বাপদাদা দেখেছেন যে কাজেও যায়, ক্লাসও করে, কেউ কেউ ক্লাসও করায় কিন্তু সেন্টারের
অলরাউন্ড সেবাতেও সাহায্যকারী হয়। সেজন্য বাপদাদা টাইটেল দেন, এটা অলরাউন্ড গ্রুপ।
আচ্ছা। এভাবেই অগ্রচালিত হতে থাকো আর অন্যদেরও অগ্রচালিত করতে থাকো। আচ্ছা।
টিচারদের সাথে - টিচার্স, ঠিক
আছে! অনেক টিচার। আচ্ছা পুরানোরাও উঠছে। এটা ভালো, দেখ, বাবা সমান টাইটেল তোমাদেরও
আছে। বাবাও টিচার হয়ে আসেন, তো টিচার মানে স্ব অনুভবের আধারে অন্যদেরও অনুভাবী
বানানো। অনুভবের অথরিটি সবচাইতে বেশি। যদি একবারও কোনো বিষয়ে অনুভব করে নাও, তবে
সারা জীবনে ভুলতে পারো না। শোনা বিষয়, দেখা বিষয় তোমরা ভুলে যাও, কিন্তু অনুভব হওয়া
বিষয় কখনও ভোলো না। তো টিচার্স অর্থাৎ অনুভাবী হয়ে অনুভাবী বানানো। এই কাজই করো তো
না! এটা ভালো। যে অনুভবে তোমাদের ঘাটতি রয়েছে না তা' একমাসে ভরে দিও। তারপরে বাপদাদা
রেজাল্ট চাইবেন। আচ্ছা।
এখন চতুর্দিকে যারা বাপদাদার হৃদয় সিংহাসনাসীন এবং
বিশ্ব-রাজ্যের সিংহাসনাসীন, সদা নিজের সাইলেন্সের শক্তি এগিয়ে নিয়ে অন্যদেরও এগিয়ে
যাওয়ার উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগিয়ে তোলে, সদা খুশি থাকে আর সবাইকে খুশির গিফ্ট দেয়,
বাপদাদার সেই লাকি আর লাভলী বাচ্চাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর আশীর্বাদ,
নমস্কার।
বরদান:-
সব কন্ডিশনে সেফ থেকে এয়ার কন্ডিশনের টিকিটের অধিকারী
ভব
এয়ার কন্ডিশনের টিকিট সেই বাচ্চাদের প্রাপ্ত হয় যাতে
এখানে সব কন্ডিশনে সেফ থাকে। যে কোনও পরিস্থিতি যদি এসে যায়, যে কোনো রকমের সমস্যা
এসে যায়, তবে সব সমস্যা সেকেন্ডে পার করার সার্টিফিকেট প্রয়োজন। যেমন, ওই টিকেটের
জন্য তোমরা পয়সা দিয়ে থাকো, সেইরকম এখানে '"সদা বিজয়ী" হওয়ার মানি প্রয়োজন যাতে
টিকিট পাওয়া যায়। এই মানি প্রাপ্ত করার জন্য পরিশ্রম করার প্রয়োজন নেই, শুধু সদা
বাবার সাথে থাকো তবে অগণিত উপার্জন জমা হতে থাকবে।
স্লোগান:-
যে কোনো পরিস্থিতি হোক না কেন, পরিস্থিতি চলে যাবে,
কিন্তু খুশি যেন না যায়।
অব্যক্ত ইশারা :- এখন সম্পন্ন বা কর্মাতীত হওয়ার ধুন
লাগাও তোমাদের রচনা কচ্ছপ তার সব অঙ্গ গুটিয়ে নেয়। গুটিয়ে নেওয়ার শক্তি রচনার
মধ্যেও আছে। তোমরা মাস্টার রচয়িতা গুটিয়ে নেওয়ার শক্তির আধারে সেকেন্ডে সব সঙ্কল্প
গুটিয়ে এক সঙ্কল্পে স্থিত হয়ে যাও। যখন সর্ব কর্মেন্দ্রিয়ের কর্মের স্মৃতির ঊর্ধ্বে
একই আত্মিক স্বরূপে স্থিত হয়ে যাবে তখন কর্মাতীত অবস্থার অনুভব হবে।