15.02.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা তোমাদেরকে দৈবী ধর্ম ও শ্রেষ্ঠ কর্ম শেখাচ্ছেন। তাই তোমাদের দ্বারা কোনো অসুরী কর্ম হওয়া উচিত নয়, বুদ্ধি খুব শুদ্ধ থাকা চাই"

প্রশ্নঃ -
দেহ-অভিমানে এলে কোন্ প্রথম পাপ কর্মটি হয়ে থাকে?

উত্তরঃ  
যদি দেহ-অভিমান থাকে তাহলে বাবার স্মরণের পরিবর্তে দেহধারী স্মরণে আসবে, কু-দৃষ্টি যাবে, খারাপ চিন্তা আসবে। এ হলো অনেক বড় পাপ। বোঝা উচিত মায়া আক্রমণ করছে। অবিলম্বে সাবধান হয়ে যাওয়া উচিত ।

ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন। আত্মিক পিতা এলেন কোথা থেকে? আত্মাদের দুনিয়া থেকে। যাকে নির্বাণধাম বা শান্তিধামও বলা হয়। এ হলো গীতার কথা। (মানুষ) তোমাদের জিজ্ঞাসা করে থাকে - এই জ্ঞান কোথা থেকে এসেছে? বলো, এই জ্ঞান তো হলো সেই গীতার জ্ঞান। গীতার পার্ট চলছে এবং বাবা পড়াচ্ছেন। ভগবানুবাচ আছে না, আর ভগবান তো হলেন একজন-ই। তিনি হলেন শান্তির সাগর। থাকেনও শান্তিধামে, যেখানে আমরাও থাকি। বাবা বোঝান যে, এ হলো পতিত দুনিয়া, পাপ আত্মাদের তমোপ্রধান দুনিয়া। তোমরাও জানো যে অবশ্যই আমরা আত্মারাও এইসময় তমোপ্রধান হয়েছি। ৮৪-র চক্র পরিক্রমা করে সতোপ্রধান থেকে তমোপ্রধান স্টেজে এসেছি। এ হলো পুরানো বা কলিযুগী দুনিয়া তাইনা। এইসব নাম সবই হলো এই সময়ের। পুরানো দুনিয়ার পরে আবার নতুন দুনিয়া হয়। ভারতবাসী এই কথাও জানে যে মহাভারতের যুদ্ধও তখন হয়েছিল যখন দুনিয়া পরিবর্তন হওয়ার ছিল, সেইসময়েই বাবা এসে রাজযোগের শিক্ষা দিয়েছিলেন। শুধু ভুল কি হয়েছিল? এক তো কল্পের আয়ু স্মরণে না থাকায় ভুল হয়েছে এবং দ্বিতীয় গীতার ভগবানকেও ভুলে গেছে। কৃষ্ণকে তো গড ফাদার বলা যাবে না। আত্মা বলে গড ফাদার, তো তিনি তো হলেন নিরাকার। নিরাকার বাবা আত্মাদের বলেন আমাকে স্মরণ করো। আমি-ই হলাম পতিত-পাবন, আমাকেই সম্বোধন করা হয় - হে পতিত-পাবন। কৃষ্ণ তো হলো দেহধারী তাইনা। আমার তো কোনও শরীর নেই। আমি হলাম নিরাকার, মানুষের পিতা নই, আমি হলাম আত্মাদের পিতা। এই কথা তো বুদ্ধিতে পাকা করে নেওয়া উচিত। বারে বারে আমরা আত্মারা আত্মিক পিতার কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। এখন ৮৪ জন্ম পূর্ণ হয়েছে, বাবা এসেছেন। বাবা-বাবা করতে থাকতে হবে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে। সম্পূর্ণ কল্প দেহের পিতাকে স্মরণ করেছো। এখন আত্মিক পিতা এসেছেন এবং মনুষ্য সৃষ্টি থেকে সব আত্মাদের ফিরিয়ে নিয়ে যান কারণ রাবণ রাজ্যে মানুষের দুর্গতি হয়েছে তাই এখন রূহানী পিতাকে অর্থাৎ শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে। এই কথাও কোনো মানুষ বোঝে না যে এখন হল রাবণ রাজ্য । রাবণের অর্থও বোঝে না। শুধু একটি প্রচলন হয়ে গেছে বিজয়া দশমী উৎসব পালনের। তোমরা কি অর্থ বুঝতে নাকি। এখন বোধ এসেছে অন্যদের বোঝানো র জন্য। যদি অন্যদের বোঝাতে না পারো তার অর্থ হল নিজেও কিছুই বুঝতে পারো নি। বাবার মধ্যে সৃষ্টি চক্রের জ্ঞান আছে। আমার তাঁরই সন্তান অতএব বাচ্চাদের মধ্যে এই জ্ঞান থাকা উচিত।

এ হলো তোমাদের গীতা পাঠশালা। এর উদ্দেশ্য কি? এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়া। এ হল রাজযোগ তাইনা। নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে লক্ষ্মী হওয়ার এ হলো নলেজ। তারা তো বসে কাহিনী শোনায়। এখানে তো তোমরা পড়াশোনা করো। আমাদের বাবা রাজযোগ শেখাচ্ছেন। তিনি রাজযোগের শিক্ষা দেন কেবল কল্পের সঙ্গমযুগে। বাবা বলেন আমি পুরানো দুনিয়াকে পরিবর্তন করে নতুন দুনিয়া বানাতে এসেছি। নতুন দুনিয়ায় লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, পুরানো দুনিয়ায় নেই, পুনরায় অবশ্যই হওয়া উচিত। চক্রের বিষয়ে তো জেনেছো। মুখ্য ধর্ম হল চারটি। এখন দেবতা ধর্ম নেই। দৈবী ধর্ম ভ্রষ্ট এবং দৈবী কর্ম ভ্রষ্ট হয়েছে। এখন আবার তোমাদের দৈবী ধর্ম শ্রেষ্ঠ এবং কর্ম শ্রেষ্ঠ শেখাচ্ছি। তাই নিজের উপরে নজর রাখতে হবে, আমাদের দ্বারা কোনও অসুরী কর্ম হচ্ছে না তো? মায়ার বশে কোনও খারাপ চিন্তা বুদ্ধিতে আসে না তো? কুদৃষ্টি থাকেনা তো? যদি দেখো, কারো কুদৃষ্টি থাকছে বা খারাপ চিন্তা আসছে তো তাকে অবিলম্বে সতর্ক করা উচিত। তার সঙ্গে মেলামেশা করা উচিত নয়। বরং তাকে সতর্ক করা উচিত - তোমার মধ্যে মায়ার প্রবেশ হয়েছে তাই খারাপ চিন্তা আসছে। যোগে বসে বাবার স্মরণের পরিবর্তে কোনও দেহধারীর স্মরণ এলে বুঝতে হবে মায়ার আক্রমণ হয়েছে, আমি পাপ কর্ম করছি। এতে বুদ্ধি খুব শুদ্ধ থাকা উচিত। হাসি ঠাট্টা করলেও অনেক ক্ষতি হয় তাই তোমাদের মুখে সর্বদা শুদ্ধ বচন থাকা উচিত, কুবচন নয়। হাসি ঠাট্টাও নয়। এমন নয় শুধু ঠাট্টা-ই তো করেছি .... সেসবও খুব ক্ষতিকর হয়ে যায়। এমন ঠাট্টাও করা উচিত নয় যাতে বিকারের সুবাস থাকে। খুব সাবধানে থাকতে হবে। তোমরা জানো নাগা সাধুদের বিকারের দিকে চিন্তা যাবে না। তারা পৃথকভাবে বাসও করে। কিন্তু কর্মেন্দ্রিয়ের গতিশীলতা যোগ ব্যতীত থামানো সম্ভব নয়। যোগে সম্পূর্ণ স্থির না হলে কাম শত্রু এমনই যে কাউকে দেখলেই গতিশীল হবে । নিজেকে পরীক্ষা করা উচিত। বাবার স্মরণে থাকলে এইরকমের কোনও রোগই থাকবে না। যোগে স্থির থাকলে এইসব হয় না। সত্যযুগে কোনও রকমের অশুদ্ধতা থাকে না। সেখানে রাবণের চঞ্চলতা নেই যে গতিশীল হবে। সেখানে তো যোগী জীবন থাকে। এখানেও অবস্থা খুব মজবুত চাই। যোগবলের দ্বারা এইসব রোগ শেষ হয়ে যায়। এতেই খুব পরিশ্রম রয়েছে । রাজ্য প্রাপ্ত করা কোনও মাসির বাড়ি যাওয়ার মতো সহজ নয়। পুরুষার্থ তো করতেই হবে, তাইনা। এমন নয় যা ভাগ্যে আছে তাই প্রাপ্ত হবে। ধারণ-ই করে না অর্থাৎ পাই- পয়সার পদ প্রাপ্ত করার যোগ্য। সাবজেক্ট তো অনেক হয় তাইনা। কেউ ড্রইংয়ে, কেউ খেলায় মার্ক্স নেয়। সেসব হলো কমন সাবজেক্ট। তেমনই এখানেও সাবজেক্ট আছে। কিছু তো পাবে। যদিও বাদশাহী প্রাপ্ত হবে না। সে তো সার্ভিস করলে বাদশাহী প্রাপ্ত হবে। তার জন্য অনেক পরিশ্রম চাই। অনেকের বুদ্ধিতে বসে না। এই রকম যেন খাবারই হজম হয় না। উঁচু পদ প্রাপ্তির সাহস নেই, একেও অসুখ বলা হবে তাইনা। তোমরা কোনও বিষয়কে দেখেও দেখো না। আত্মিক পিতার স্মরণে থেকে অন্যদের পথ বলে দিতে হবে, অন্ধের লাঠি হতে হবে। তোমরা তো পথ জানো। রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান মুক্তি ও জীবনমুক্তি তোমাদের বুদ্ধিতে ঘুরপাক খায়, যারা যারা মহারথী রয়েছে । বাচ্চাদের অবস্থায় রাত-দিনের তফাৎ থাকে। কখনও বিত্তবান, কখনও দরিদ্র হয়ে যায়। রাজত্বের পদ মর্যাদায় তফাৎ হয় তাইনা। তবু হ্যাঁ, সেখানে রাবণ না থাকার দরুন দুঃখ থাকে না। যদিও সম্পদের দিক থেকে তফাৎ হয়ে যায় । সম্পদের দ্বারা সুখ থাকে।

যত যোগে থাকবে ততই হেল্থ ভালো থাকবে। পরিশ্রম করতে হবে। অনেকের আচরণ এমন থাকে যেমন অজ্ঞানী মানুষের হয়ে থাকে । তারা কারো কল্যাণ করতে পারবে না। যখন পরীক্ষা হয় তখন জানা যায় যে কে কত মার্ক্স নিয়ে পাস করবে, তখন সেই সময় হায় হায় করতে হবে। বাপদাদা দুইজনেই কত বোঝাতে থাকেন। বাবা এসেছেন কল্যাণ করতে। নিজেদের এবং অন্যদের কল্যাণ করতে হবে। বাবাকে আহ্বানও করা হয়েছে আমরা পতিত, এসে আমাদের পবিত্র হওয়ার পথ বলে দিন। তাই বাবা শ্রীমৎ দেন - তোমরা নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে দেহ-অভিমান ত্যাগ করে আমাকে স্মরণ করো। কত সহজ এই ওষুধ। বলো, আমরা কেবল একমাত্র ভগবান পিতাকে স্মরণ করি। তিনি বলেন তোমরা আমাকে আহ্বান করো যে এসে পতিতকে পবিত্র করো তাই আমায় আসতে হয়। ব্রহ্মার কাছে তোমরা কিছুই প্রাপ্ত করো না। তিনি তো হলেন দাদা, বাবাও নন। বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। ব্রহ্মার কাছ থেকে নয়। নিরাকার বাবা ব্রহ্মার দ্বারা আমাদের অ্যাডপ্ট করে আত্মাদের অর্থাৎ আমাদের পড়ান। ব্রহ্মাকেও পড়ান। ব্রহ্মার কাছ থেকে কিছু প্রাপ্তি হয় না। অবিনাশী উত্তরাধিকার বাবার কাছ থেকে প্রাপ্ত হয় ব্রহ্মা বাবার দ্বারা। প্রদান করেন একজন-ই। তাঁরই হলো মহিমা। তিনি হলেন সকলের সদগতি দাতা। ব্রহ্মা বাবা তো পূজ্য থেকে পূজারী হন। সত্যযুগে ছিলেন, তারপরে ৮৪ জন্ম ভোগ করে এখন পতিত হয়েছেন, পুনরায় পূজ্য পবিত্র হচ্ছেন। আমরা পিতার কাছ থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত করি। মানুষদের হলো ভক্তি মার্গ। এ হলো আত্মিক জ্ঞান মার্গ। জ্ঞান শুধুমাত্র একমাত্র জ্ঞান সাগরের কাছেই আছে। বাকি এই শাস্ত্র ইত্যাদি হলো সব ভক্তির। শাস্ত্র ইত্যাদি পড়া - এইসবই হল ভক্তি মার্গ। জ্ঞান সাগর তো হলেন একমাত্র বাবা, আমরা জ্ঞান নদী, আমাদের উৎস হলো জ্ঞান সাগর। আর ও সব হলো জলের সাগর ও নদী। বাচ্চাদের এইসব কথা স্মরণে থাকা উচিত। অন্তর্মুখী হয়ে বুদ্ধি চালানো উচিত। নিজেকে সঠিকভাবে শোধরানোর জন্য অন্তর্মুখী হয়ে নিজেকে পরীক্ষা করো। যদি মুখে কু বচন থাকে বা কারো প্রতি কুদৃষ্টি যায় তো নিজেকে ধমক দেওয়া উচিত - আমার মুখে কুবচন কেন, আমার দৃষ্টি কুদৃষ্টি কেন হয়েছে? নিজেকে চড় মারা উচিত, ক্ষণে ক্ষণে সতর্ক করা উচিত তবেই উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারবে। মুখে যেন কটু বচন না থাকে। বাবাকে তো সব রকমের শিক্ষা-ই প্রদান করতে হয়। কাউকে পাগল বলাও হলো কুবচন।

মানুষ তো যাকে যা ইচ্ছা তাই বলে দেয়। কিছুই জানে না যে আমরা কার মহিমা গায়ন করি। মহিমা তো একমাত্র পতিত-পাবন বাবার হওয়া উচিত। আর কেউই তো নেই। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করকেও পতিত-পাবন বলা হয় না। তারা তো কাউকে পবিত্র করেন না। পতিত থেকে পবিত্র একমাত্র বাবা করেন। পবিত্র সৃষ্টি হলে নতুন দুনিয়া। সেই দুনিয়া তো এখন নেই। পবিত্রতা আছে স্বর্গে। পবিত্রতার সাগরও আছেন। এই হল রাবণের রাজ্য। এখন বাচ্চাদের আত্ম - অভিমানী হওয়ার জন্য অনেক পরিশ্রম করা উচিত। মুখ থেকে কোনোরকম পাথর বা কুবচন যেন বের না হয়। খুব ভালোবেসে চলতে হবে। কুদৃষ্টি খুব ক্ষতি করে। কঠিন পরিশ্রম চাই। আত্ম-অভিমান হল অবিনাশী অভিমান। দেহ তো হল বিনাশী। আত্মাকে কেউ জানে না। আত্মার পিতাও থাকবে নিশ্চয়ই। বলাও হয় সবাই হল ভাই-ভাই। তাহলে সবার মধ্যে পরমাত্মা পিতা কীভাবে বিরাজিত থাকবেন? সকলেই পিতা হবে কীভাবে? এতটুকু বোধ নেই। সবার পিতা তো একজন-ই, তাঁর কাছেই অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। তাঁর নাম হলো শিব। শিবরাত্রিও পালন হয়। রুদ্র রাত্রি বা কৃষ্ণ রাত্রি বলা হয় না। মানুষ তো কিছুই বোঝে না, তারা বলবে এই সবই হলো তাঁর রূপ, এসবই হলো তাঁরই লীলা।

তোমরা এখন বুঝেছো যে, অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে তো অসীম জাগতিক উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, তাই অসীম জগতের বাবার শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো। শ্রমিকদেরও এই শিক্ষা দেওয়া উচিত যাতে তাদেরও কল্যাণ হয়। কিন্তু নিজেই স্মরণ না করলে অন্যদের স্মরণ করাবে কীভাবে। রাবণ সম্পূর্ণ পতিত করে দেয় তারপরে বাবা এসে পরীস্তান বানান। ওয়ান্ডার তাইনা। এইসব কথা কারো বুদ্ধিতে নেই। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ কত উচ্চ পরীস্তানবাসী থেকে কতখানি পতিতে পরিণত হন তাই গায়ন আছে ব্রহ্মার রাত, ব্রহ্মার দিন। শিবের মন্দিরে তোমরা অনেক সার্ভিস করতে পারো। বাবা বলেন তোমরা আমাকে স্মরণ করো। দোরে দোরে ঘোরা বন্ধ করো। এই জ্ঞান হল-ই শান্তির। বাবাকে স্মরণ করলে তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে। শুধুমাত্র এই মন্ত্র দিতে থাকো। কারো কাছে টাকা পয়সা নেওয়া উচিত নয়, যতক্ষণ না পাকা হচ্ছে। বলো শপথ করো আমরা পবিত্র থাকবো, তবে আমরা তোমাদের হাতের ভোজন গ্রহণ করতে পারবো, কিছু নিতে পারবো। ভারতে মন্দির তো অসংখ্য আছে। বিদেশিরা যারা আসবে তাদের এই সংবাদ তোমরা দিতে পারো যে বাবাকে স্মরণ করো। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) কখনও এমন হাসি ঠাট্টা করবে না যাতে বিকারের বাষ্প থাকে। নিজেকে খুব সাবধানে রাখতে হবে, মুখে কটু বচন যেন না আসে।

২ ) আত্ম - অভিমানী হওয়ার অনেক অনেক প্র্যাক্টিস করতে হবে। সবার সঙ্গে খুব ভালোবেসে চলতে হবে। কু-দৃষ্টি রাখবে না। কুদৃষ্টি গেলে নিজেকে নিজেই দন্ড দিতে হবে।

বরদান:-
নিরন্তর স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্সের দ্বারা শৈশবের বালখিল্য আচরণ গুলিকে সমাপ্তকারী বাণপ্রস্থী ভব

ছোটো ছোটো বিষয়ে সঙ্গমের অমূল্য সময়কে নষ্ট করা হলো শৈশবের বালখিল্য আচরণ (নজ নখরে) । এখন এই শৈশবের বালখিল্য আচরণ শোভা পায় না। বাণপ্রস্থে কেবল একটিই কাজ থেকে যায় - বাবার স্মরণ আর সেবা। এটা ছাড়া আর অন্য কিছু যেন স্মরণে না আসে। যখন ঘুম থেকে উঠবে তখনও স্মরণ আর সেবা, যখন ঘুমোতে যাবে তখনও স্মরণ আর সেবা, নিরন্তর এই ব্যালেন্স যেন চলতে থাকে। ত্রিকালদর্শী হয়ে শৈশবের কথা বা শৈশবের সংস্কারগুলির সমাপ্তি সমারোহ পালন করো, তখন বলা হবে বাণপ্রস্থী।

স্লোগান:-
সর্বপ্রাপ্তিতে সম্পন্ন আত্মার লক্ষণ হলো সন্তুষ্টতা, সন্তুষ্ট থাকো আর সন্তুষ্ট করাে।

অব্যক্ত ঈশারা :- একান্ত প্রিয় হও, একতা আর একাগ্রতাকে ধারণ করো

একান্ত যেমন স্থুল রূপেও থাকা যায় তেমন সূক্ষ্মরূপেও থাকা যায়। একান্তের আনন্দের অনুভবী হয়ে যাও তাহলে বাহির্মুখীতা ভালো লাগবে না। অব্যক্ত স্থিতিকে বৃদ্ধি করার জন্য একান্তে থাকার রুচি রাখতে হবে। একতার সাথে একান্তপ্রিয় হতে হবে।