15.03.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে, সেইজন্য দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধকে ভুলে এক বাবাকে স্মরণ করো,
এটাই হলো সত্যিকারের গীতার সার"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
তোমাদের সহজ পুরুষার্থ কি?
উত্তরঃ
বাবা বলেন,
তোমরা সম্পূর্ণ চুপ থাকো, চুপ থাকলেই বাবার অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে পারবে । বাবাকে
স্মরণ করতে হবে আর সৃষ্টিচক্রকে ঘোরাতে হবে । বাবার স্মরনেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ
হবে, তোমাদের আয়ু বৃদ্ধি পাবে আর এই চক্রকে জানলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হয়ে যাবে
- এই হলো সহজ পুরুষার্থ ।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি -
মিষ্টি আত্মা রূপী বাচ্চাদের, আত্মাদের পিতা পুনরায় বোঝাচ্ছেন । তিনি রোজই বোঝান ।
বাচ্চারা তো বুঝতে পারে যে, পূর্ব কল্পের মতো অবশ্যই আমরা সেই গীতার জ্ঞানই পড়ছি,
কিন্তু তা কৃষ্ণ পড়ান না, পরমপিতা পরমাত্মা আমাদের এই পড়া পড়ান । তিনিই আবার আমাকে
রাজযোগ শেখাচ্ছেন । তোমরা এখন প্রত্যক্ষভাবে ভগবানের কাছ থেকে শুনছো । ভারতবাসীদের
সমস্তকিছুই গীতার উপর নির্ভর করে, সেই গীতাতেও লেখা আছে যে, রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ রচিত
হয়েছিলো । এ যেমন যজ্ঞ তেমনই পাঠশালাও । বাবা যখন এসে প্রকৃত গীতা শোনান, তখনই আমার
সদগতি হয় । মানুষ এ কথা বুঝতে পারে না । বাবা, যিনি সকলের সদগতিদাতা, তাঁকেই স্মরণ
করতে হবে । যদিও মানুষ গীতা পড়ে এসেছে কিন্তু রচয়িতা আর রচনাকে না জানার কারণে 'নেতি
নেতি' (এটাও নয়, এটাও নয়) করে এসেছে । প্রকৃত গীতা তো সত্যিকারের বাবা এসেই শোনান,
এ হলো বিচার সাগর মন্থন করার কথা । যারা এই সেবাতে থাকবে, তাদেরই এর প্রতি মনোযোগ
যাবে । বাবা বলেছেন - প্রতিটি চিত্রে অবশ্যই যেন লেখা থাকে যে, জ্ঞানের সাগর, পতিত
পাবন, গীতা জ্ঞান দাতা, পরমপ্রিয় পরমপিতা, পরম শিক্ষক, পরম সদগুরু শিব ভগবান উবাচঃ
। এই অক্ষর তো অবশ্যই লেখো যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে - কৃষ্ণ নন, ত্রিমূর্তি শিব
পরমাত্মাই গীতার ভগবান । এর উপর মতামতও লেখানো হয় । আমাদের মূখ্য হলো গীতা । বাবা
দিন - প্রতিদিন নতুন নতুন পয়েন্টসও দিতে থাকেন । এমন কথা মনে আসা উচিত নয় যে, একথা
বাবা আগে কেন বলেন নি ? বা ড্রামাতে ছিলো না । বাবার মুরলী থেকে নতুন নতুন পয়েন্টও
বের হওয়া উচিত । এমন লিখেও থাকে - উত্থান আর পতন । হিন্দীতে বলা হয় - ভারতের
উত্থান আর পতন । রাইজ অর্থাৎ কনস্ট্রাকশন অফ ডিটি ডিনায়েস্টি, ১০০ পার্সন্ট পিউরিটি,
পীস, প্রস্পারিটির স্থাপনা হয়ে থাকে, এরপর অর্ধেক কল্প পরে ফল্ (পতন) হতে থাকে ।
ডেভিল ডিনায়েস্টির ফল্ । রাইস অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন ডিটি ডিনায়েস্টির হয়ে থাকে ।
ফল্ এর সাথে ডিস্ট্রাকশনও লিখতে হবে ।
তোমাদের সমস্ত কিছুই
হলো গীতার উপর নির্ভর । বাবা এসেই প্রকৃত গীতা শোনান । বাবা রোজ এর উপরই বুঝিয়ে
বলেন । আত্মারা তো বাচ্চাই । বাবা বলেন, তোমরা এই দেহের সমস্ত বিস্তারকে ভুলে নিজেকে
আত্মা মনে করো । আত্মা যখন শরীর থেকে পৃথক হয়ে যায় তখন সব সম্বন্ধ ভুলে যায় ।
তাই বাবাও বলেন, দেহের সব সম্বন্ধ ত্যাগ করে নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে স্মরণ করো
। এখন তো তোমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে, তাই না । অর্ধেক কল্প ধরে ফিরে যাওয়ার জন্য
অনেক ভক্তি ইত্যাদি করেছো । সত্যযুগে তো কেউ ফিরে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করে না ।
ওখানে তো সুখই সুখ । মানুষ এমন গান গেয়েও থাকে - দুঃখে সবাই স্মরণ করে, সুখে কেউই
করে না, কিন্তু সুখ কখন আর দুঃখ কখন - এ কথা বোঝে না । আমাদের সব বিষয়ই হলো গুপ্ত ।
আমরাই তো আত্মা রূপী মিলিটারী, তাই না । আমরা শিববাবার শক্তিসেনা । এর অর্থও কেউ
বুঝতে পারে না । দেবীদের এতো পুজো হয় কিন্তু মানুষ কারোর বায়োগ্রাফিই জানে না ।
যাঁর পুজা করে, তাঁর বায়োগ্রাফি তো জানা চাই, তাই না । উঁচুর থেকে উঁচু শিববাবার
পুজো হয়, তারপর ব্রহ্মা - বিষ্ণু - শঙ্করের, তারপর লক্ষ্মী - নারায়ণ, রাধা -
কৃষ্ণের মন্দির থাকে । আর তো কেউই নেই । একই শিববাবার উপর ভিন্ন - ভিন্ন নাম রেখে
মন্দির বানিয়েছে । এখন তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ চক্র আছে । ড্রামাতে তো মূখ্য
অভিনেতাও থাকে, তাই না । সে হলো লৌকিক জগতের ড্রামা । এ হলো অসীম জগতের ড্রামা ।
এখানে মুখ্য কে - কে আছে, সে তো তোমরা জানোই । মানুষ তো বলে দেয় - ও রাম জী! সংসার
তো বানানোই হয় নি । এর উপরেও একটি শাস্ত্র বানানো হয়েছে । ওরা অর্থ কিছুই বোঝে না
।
বাচ্চারা, বাবা
তোমাদের খুব সহজ পুরুষার্থ শিখিয়েছেন । সবথেকে সহজ পুরুষার্থ হলো - তোমরা চুপ থাকো
। চুপ থাকতে পারলেই বাবার অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে পারবে । তোমাদের, বাবাকে স্মরণ
করতে হবে । এই সৃষ্টিচক্রকে স্মরণ করতে হবে । বাবার স্মরনেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ
হবে । তোমরা নিরোগী হতে পারবে । তোমাদের আয়ু অনেক বেশী হবে । চক্রকে জানতে পারলে
তোমরা চক্রবর্তী রাজা হতে পারবে । এখন তোমরা নরকের মালিক, এরপর স্বর্গের মালিক হবে
। স্বর্গের মালিক তো সবাই হয় কিন্তু তাতে পদেরই গুরুত্ব । যতো তোমরা নিজের সমান
তৈরী করতে পারবে ততই উঁচু পদ পাবে । অবিনাশী জ্ঞান রত্নের দান যদি না করো, তাহলে
পরিবর্তে কি পাবে । কেউ যদি বিত্তবানের ঘরে জন্ম নেয়, তখন বলা হয় - এ পূর্ব জন্মে
খুব ভালো দান - পুণ্য করেছিলো । বাচ্চারা এখন জানে যে, এই রাবণ রাজ্যে সবাই পাপই করে,
সবথেকে পুণ্য আত্মা হলেন লক্ষ্মী - নারায়ণ । হ্যাঁ, ব্রাহ্মণদেরও উঁচুতে রাখা হবে
যারা সবাইকে উঁচু বানায় । সে তো হলো প্রালব্ধ । এই ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ
কুল ভূষণ শ্রীমতে চলে এই শ্রেষ্ঠ কর্তব্য করে । ব্রহ্মার নাম হলো মুখ । ত্রিমূর্তি
ব্রহ্মা বলা হয়, তাই না । এখন তো তোমাদের প্রতি কথায় ত্রিমূর্তি শিব বলতে হবে ।
ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, শঙ্করের দ্বারা বিনাশ - এমন মহিমা তো আছে, তাই না । বিরাট
রূপও বানানো হয় কিন্তু তাতে না শিবকে দেখানো হয়, না ব্রাহ্মণদের দেখানো হয় । এও
বাচ্চারা, তোমাদেরই বোঝাতে হবে । তোমাদের মধ্যেও যথার্থ রীতিতে খুব মুশকিলে মাত্র
কতিপয়েরই বুদ্ধিতে বসে । অসংখ্য পয়েন্টস তো আছে, যাকে টপিকও বলা হয় । কতো টপিকস
পাওয়া যায় । ভগবানের কাছে এই প্রকৃত গীতা শুনলে মানুষ থেকে দেবতা, বিশ্বের মালিক হয়ে
যায় । এই টপিক কতো সুন্দর কিন্তু বোঝানোর মতো তো বুদ্ধি দরকার, তাই না । এই কথা
পরিস্কার করে লেখা উচিত যাতে মানুষ বুঝতে পারে আর জিজ্ঞেসও করতে পারে । এ কতো সহজ ।
এক একটি জ্ঞানের পয়েন্ট লক্ষ - কোটি টাকার, যাতে তোমরা কি থেকে কি হয়ে যাও ।
তোমাদের প্রতি পদে পদ্ম, তাই দেবতাদেরও পদ্ম ফুলের উপরে দেখানো হয় । তোমাদের অর্থাৎ
ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণদের নামও লুকিয়ে দিয়েছে । ওই ব্রাহ্মণরা বগলে শাস্ত্র
নিয়ে ঘোরে, গীতা রাখে । এখন তোমরা হলে প্রকৃত ব্রাহ্মণ, তোমাদের বুদ্ধিতে সত্য
জ্ঞান আছে । ওদের কাছে শাস্ত্র আছে । তাই তোমাদের নেশা চড়া উচিত - আমরা তো শ্রীমতে
চলে স্বর্গ বানাচ্ছি, বাবা আমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন । তোমাদের কাছে কোনো পুস্তক নেই
। এই সাধারণ ব্যাজই হলো তোমাদের প্রকৃত গীতা, এতে ত্রিমূর্তির চিত্রও আছে । তাই
সম্পূর্ণ গীতা এতেই এসে যায় । এক সেকেণ্ডেই সম্পূর্ণ গীতা বোঝানো যায় । এই
ব্যাজের দ্বারা তোমরা সেকেণ্ডেই কাউকে বোঝাতে পারো । ইনি হলেন তোমাদের বাবা, এনাকে
স্মরণ করলে তোমাদের পাপ বিনাশ হবে । ট্রেনে যেতে যেতে বা চলতে ফিরতে যাকেই পাও না
কেন, তোমরা তাদের খুব ভালোভাবে বোঝাতে পারো । কৃষ্ণপুরীতে তো সবাই যেতে চায়, তাই
না । এই পাঠে এমন হতে পারে এই পড়ার দ্বারাই রাজত্ব স্থাপনা হয় । অন্য ধর্ম স্থাপকরা
কোনো রাজত্ব স্থাপন করেন না । তোমরা জানো যে, আমরা ভবিষ্যত ২১ জন্মের জন্য রাজযোগ
শিখছি । এ কতো সুন্দর পড়া । রোজ কেবল এক ঘন্টা পড়ো । ব্যস । ওই পড়া তো চার - পাঁচ
ঘণ্টার জন্য হয় । এখানে এক ঘন্টাই যথেষ্ট । সেও সকালের সময় এমন যে সেইসময় সবাই ফ্রী
থাকে । বাকি যারা নানা বন্ধনে আছে, সকালে আসতে পারে না, তাদের জন্য অন্য সময় রাখা
আছে । ব্যাজ যেন লাগানো থাকে, যেখানেই যাও, এই খবর দিতে থাকো । খবরের কাগজে তো
ব্যাজ দিতে পারবে না, একদিকের ছবি দিতে পারবে । মানুষকে তো না বোঝালে এমনিতে বুঝতেই
পারবে না । এ হলো খুবই সহজ । এই কাজ তো যে কেউই করতে পারে । আচ্ছা, নিজে যদি স্মরণ
নাও করে, অন্যকে তো স্মরণ করাতে থাকো । এও ভালো । অন্যকে বলবে - তোমরা দেহী অভিমানী
হও আর নিজে যদি দেহ ভাবে থাকো তখন কিছু না কিছু বিকর্ম হতে থাকবে । প্রথমে তুফান আসে
মনে, তারপর কর্মে আসে । মনে অনেক তুফান আসবে, এর উপর বুদ্ধির দ্বারা কাজ করতে হবে,
খারাপ কাজ কখনোই করবে না । তোমাদের ভালো কর্ম করতে হবে । সঙ্কল্প যেমন ভালোও হয়
তেমনই খারাপও আসে । খারাপ সঙ্কল্প আসাকে আটকানো উচিত । এই বুদ্ধি বাবা দিয়েছেন ।
অন্য কেউই এ কথা বুঝতে পারবে না । ওরা তো ভুল কাজই করতে থাকে । তোমাদের এখন সঠিক
কাজই করতে হবে । ভালো পুরুষার্থ করলে সঠিক কাজই হয় । বাবা তো প্রতিটি কথা খুব
ভালোভাবে বোঝাতে থাকেন । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন সুমন আর
সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
এক একটি অবিনাশী জ্ঞান রত্ন লক্ষ - কোটি টাকার, একে দান করে করে প্রতি পদে পদ্ম সম
উপার্জন জমা করতে হবে । নিজের তুল্য করে উঁচু পদ পেতে হবে ।
২ ) বিকর্ম থেকে
বাঁচার জন্য দেহী - অভিমানী থাকার পুরুষার্থ করতে হবে । মনে যদি কখনো খারাপ সঙ্কল্প
আসে, তাকে আটকাতে হবে । সুন্দর সঙ্কল্প করতে হবে । কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কখনো কোনো
ভুল কাজ করবে না ।
বরদান:-
আত্মিকতার (রুহানিয়ত) প্রভাবের দ্বারা ফরিস্তা ভাবের মেকাপ করে সকলের স্নেহী ভব
যে বাচ্চারা সদা
বাপদাদার সঙ্গে থাকে - তাদের মধ্যে সঙ্গের রঙ এমন লাগে যে প্রত্যেকের চেহারা থেকে
আত্মিকতার প্রভাব দেখা যায়। যে আত্মিকতায় থাকলে ফরিস্তাভাবের মেকাপ স্বতঃই হয়ে যায়।
যেরকম মেকাপ করার পর, কেউ যেরকমই হোক কিন্তু বদলে যায়, মেকাপ করলে দেখতে সুন্দর লাগে।
এখানেও ফরিস্তাভাবের মেকাপের দ্বারা ঝলমল করতে থাকবে আর এই আত্মিক মেকাপ সকলের
স্নেহী বানিয়ে দেবে।
স্লোগান:-
ব্রহ্মচর্য, যোগ তথা দিব্যগুণের ধারণাই হল বাস্তবিক পুরুষার্থ।
মাতেশ্বরী জীর অমূল্য
মহাবাক্য -
"কর্ম বন্ধন ছিন্ন
করার পুরুষার্থ" -
অনেক মানুষই এই
প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে যে, আমাদের কি করতে হবে, কিভাবে আমাদের কর্ম বন্ধন ছিন্ন করবো ?
এখন প্রত্যেকেরই জন্মপত্রী তো বাবা জানেন । বাচ্চাদের কাজ হলো এক বার নিজের মন থেকে
বাবার প্রতি যেন সমর্পিত হয়ে যায়, নিজের দায়িত্ব তাঁর হাতে দিয়ে দেয় । তখন তিনি
প্রত্যেককে দেখেই রায় দেবেন যে, তোমাকে কি করতে হবে, প্রত্যক্ষভাবে সাহায্যও নিতে
হবে, বাকি এমন নয় যে, শুনতে থাকো আর নিজের মতে চলতে থাকো । বাবা যখন সাকারে আছেন
তখন বাচ্চাদেরই স্থূলভাবে পিতা, গুরু, টিচারের সাহায্য নিতে হবে । এমন নয় যে, আজ্ঞা
পেলে আর পালন করতে পারলে না, তাহলে আরো অকল্যাণ হয়ে যাবে । তাই আদেশ পালন করারও
সাহস চাই, সর্বময় কর্তা তো মনোরঞ্জনকারী, তিনি জানেন যে, এর কল্যাণ কিসে, তাই তিনি
এমন নির্দেশ দেবেন যে কর্ম বন্ধন কাটো । কারোর তখন এই খেয়াল আসা উচিত নয় যে, এরপর
বাচ্চা ইত্যাদিদের কি হাল হবে? এতে বাড়ী - ঘর ত্যাগ করার কোনো কথা নেই, এ তো কিছু
বাচ্চার এই ড্রামাতে পার্ট ছিলো এমন সব ছিন্ন করার, তাদের যদি এমন পার্ট না থাকতো,
তাহলে তোমাদের এখন যে সেবা হচ্ছে, তাহলে তা কে করতো? এখন তো কিছু ত্যাগ করার কথা
নেই, কিন্তু তোমাদের পরমাত্মার হয়ে যেতে হবে, তোমরা ভয় পেও না, সাহস রাখো । বাকি
যারা ভয় পায়, তারা নিজেরা তো খুশী থাকেই না, না তারা বাবার সাহায্যকারী হয় । এখানে
তো তাঁর সঙ্গে সম্পূর্ণ সাহায্যকারী হতে হবে, যখন তোমরা জীবন্মৃত হতে পারবে, তখনই
সাহায্যকারী হতে পারবে । কোথাও আটকে গেলে তখন সে তোমাদের সাহায্য দিয়ে পার করবে ।
তাই বাবার সঙ্গে মন - বচন এবং কর্মে সাহায্যকারী হতে হবে, এতে সামান্যতম মোহের রং
থাকলে তা তোমাদের ফেলে দেবে । তাই তোমরা সাহস রাখো আর সামনে এগিয়ে যাও । কোথাও যদি
সাহস কম হয় তো ঝিমিয়ে যায়, তাই তোমাদের বুদ্ধিকে সম্পূর্ণ পবিত্র রাখতে হবে,
বিকারের সামান্য অংশও যেন না থাকে, লক্ষ্য কি দূরে নাকি? কিন্তু চড়াই সমান্য
টেরাবাঁকা, কিন্তু সমর্থকে অবলম্বন করলে না ভয় আর না পরিশ্রম । আচ্ছা । ওম্ শান্তি
।
অব্যক্ত ঈশারা :-
সত্যতা আর সভ্যতা রূপী কালচারকে ধারণ করো
তোমাদের বাণী আর
স্বরূপ দুটোই একসাথে হবে - বাণীতে স্পষ্টতাও থাকবে, তাতে স্নেহও থাকবে, নম্রতা,
মধুরতা আর সরলতাও থাকবে, এই রূপের দ্বারাই বাবাকে প্রত্যক্ষ করতে পারবে। নির্ভয়
থাকবে আর বাণী মর্যাদাসম্পন্ন হবে, তখন তোমাদের শব্দ তেঁতো নয়, মধুর মতো লাগবে।