15.07.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
দেহ-অভিমান হলো আসুরী ক্যারেক্টার, সেটাকে পরিবর্তন করে দৈবী ক্যারেক্টার্স ধারণ
করলে রাবণের জেল থেকে মুক্ত হয়ে যাবে"
প্রশ্নঃ -
প্রত্যেক আত্মা
নিজের পাপ কর্মের সাজা কি ভাবে ভোগ করে, এর থেকে বাঁচার উপায় কি?
উত্তরঃ
প্রত্যেকে
নিজের পাপের সাজা এক তো গর্ভ জেলে ভোগ করে, দ্বিতীয়তঃ রাবণের জেলে অনেক প্রকারের
দুঃখ সহ্য করে। বাচ্চারা, বাবা এসেছেন তোমাদের এই জেল থেকে মুক্ত করতে। এর থেকে
বাঁচার জন্য সিভিলাইস্ড (সুসভ্য) হও ।
ওম্ শান্তি ।
ড্রামার
প্ল্যান অনুসারে বাবা বসে বোঝান। বাবা এসেই রাবণের জেল থেকে মুক্ত করেন, কারণ সব হলো
ক্রিমিনাল, পাপ-আত্মা। সমগ্র দুনিয়ার মানুষ মাত্রই ক্রিমিনাল, সেইজন্য রাবণের জেলে
আছে। আবার যখন শরীর ত্যাগ করে তখনও গর্ভজেলে যায়। বাবা এসে এই দুই জেল থেকেই মুক্ত
করেন, তখন আবার তোমরা অর্ধ-কল্প রাবণের জেলেও না, আর গর্ভ জেলেও যাও না। তোমরা জানো
যে বাবা ধীরে ধীরে আমাদের পুরুষার্থ অনুসারে রাবণের জেল আর গর্ভ জেল থেকে মুক্ত করে
চলেছেন। বাবা বলছেন রাবণ রাজ্যে তোমরা সবাই হলে ক্রিমিনাল। আবার রাম রাজ্যে সকলে
সিভিলাইস্ড (সুসভ্য) হয়। কোনো ভূত বা বিকার প্রবেশ করতে পারে না। দেহের অহংকার
এলেই আবার অনেক ভূতের প্রবেশ ঘটে। বাচ্চারা, তোমাদের এখন পুরুষার্থ করে দেহী-অভিমানী
হতে হবে। যখন ওইরকম লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে যাবে তখনই দেবতা বলা যাবে। এখন তো তোমাদের
ব্রাহ্মণ বলা হয়। রাবণের জেল থেকে মুক্ত করার জন্য বাবা এসে পড়াশুনাও করান আর
সকলের যে ক্যারেক্টার্স খারাপ হয়েছে সেসব শুধরেও দেন। অর্ধ-কল্প থেকে
ক্যারেক্টার্স খারাপ হতে হতে খুবই খারাপ হয়ে গেছে। এই সময় হলো তমোপ্রধান
ক্যারেক্টার্স। দৈবী আর আসুরী ক্যারেক্টার্স এর মধ্যে একেবারেই দিন-রাত্রির
পার্থক্য। বাবা বোঝান এখন পুরুষার্থ করে নিজের দৈবী ক্যারেক্টার্স তৈরী করতে হবে,
তবেই আসুরী ক্যারেক্টার্স থেকে মুক্ত হতে থাকবে। আসুরী ক্যারেক্টার্সে নম্বর ওয়ান
হলো দেহ-অভিমান। দেহী-অভিমানীদের ক্যারেক্টার্স কখনো খারাপ হয় না। সমস্ত নির্ভর করে
ক্যারেক্টার এর উপর। দেবতাদের ক্যারেক্টর কেমন করে খারাপ হয়েছে? যখন তারা বাম
মার্গে যায় বা পাপের পথ নেয় অর্থাৎ বিকারী হয় তখন ক্যারেক্টার খারাপ হয়।
জগন্নাথের মন্দিরে বাম মার্গের ওইরকম চিত্র দেখিয়েছে। এটা তো বহু বছরের পুরনো
মন্দির, ড্রেস ইত্যাদি যা পরিহিত অবস্থায় দেখানো হয়েছে, সেই সব দেবতাদেরই। দেখানো
হয় দেবতারা কেমন ভাবে বাম মার্গে যায়। এটাই হলো সর্ব প্রথমের ক্রিমিনালিটি। কাম
চিতার উপর ওঠে, তারপর রঙ পরিবর্তন করতে করতে একদম কুৎসিত হয়ে যায়। সর্বপ্রথমে
গোল্ডেন এজে সম্পূর্ণ সুন্দর, তারপর দুই কলা কম হয়ে যায়। ত্রেতাকে স্বর্গ বলে না,
ওটা হলো সেমি স্বর্গ। বাবা বুঝিয়েছেন রাবণের আগমনেই তোমাদের উপর মরচে ধরা শুরু
হয়েছে। সম্পূর্ণ ক্রিমিনাল তোমরা শেষে হয়ে যাও।এখন ১০০ পার্সেন্ট ক্রিমিনাল বলা
হবে। ১০০ পার্সেন্ট ভাইসলেস ছিলে আবার ১০০ পার্সেন্ট ভিসিয়াস বা হয়ে যাও । বাবা
এখন বলছেন শুধরে যাও, রাবণের এই জেল অনেক বড়। সবাইকে ক্রিমিনালই বলা হবে । কারণ
সবাই তো রাবণ রাজ্যেই রয়েছে । রাম রাজ্য আর রাবণ রাজ্যের কথা তো ওদের জানাই নেই।
এখন তোমরা পুরুষার্থ করছো রাম রাজ্যে যাওয়ার জন্য। কেউই তো সম্পূর্ণতা প্রাপ্ত করেনি।
কেউ ফার্স্ট, কেউ সেকেন্ড, কেউ থার্ডে আছে। এখন বাবা পড়াচ্ছেন, দৈবী গুণ ধারণ
করাচ্ছেন। দেহ-অভিমান তো সকলের মধ্যেই রয়েছে । যত বেশী করে তোমরা সার্ভিসে যুক্ত
থাকবে ততই দেহ-অভিমান কম হতে থাকবে। সার্ভিস করলেই দেহ-অভিমান কমবে। দেহী-অভিমানী
বড়-বড় সার্ভিস করবে। বাবা হলেন দেহী-অভিমানী, তাই কতো ভালো সার্ভিস করেন। সবাইকে
ক্রিমিনাল রাবণের জেল থেকে মুক্ত করে সদ্গতি প্রাপ্ত করান। ওখানে তো দুটো জেল হবে
না। এখানে হলো ডবল জেল (গর্ভ জেল আর অপরাধীদের জেল), সত্যযুগে না আছে কোর্ট, না আছে
পাপ আত্মারা, আর রাবণের জেল তো নেই-ই। রাবণের জেল হলো সীমাহীন। সকলে ৫ বিকারের রশিতে
বাঁধা হয়ে আছে। অপরমঅপার দুঃখ তাতে । দিন দিন এই দুঃখ বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
সত্যযুগকে বলা হয়
গোল্ডেন এজ, ত্রেতাকে সিলভার এজ। সত্যযুগের মতো সুখ ত্রেতাতে হতে পারে না। কারণ
আত্মার দুই-কলা কম হয়ে যায়। আত্মার কলা কম হওয়ার কারণে শরীরও সেই রকম হয়ে যায়,
তাই এটা বুঝতে হবে যে আমরা নিশ্চিত ভাবেই রাবণের রাজ্যে দেহ-অভিমানী হয়ে পড়েছি।
এখন বাবা এসেছেন রাবণের জেল থেকে মুক্ত করাতে। অর্ধ কল্পের দেহ অভিমান সরাতে গেলে
দেরী তো হবেই। খুব পরিশ্রম করতে হয়। যারা তাড়াতাড়ি দেহ ত্যাগ করেছে তারা আবারও এসে
বড় হয়ে কিছু জ্ঞান নিতে পারে। আসতে যত দেরী হতে থাকবে তো আবার পুরুষার্থ তো করতে
পারবে না। যখন কেউ মারা যাবে আর আবার এসে পুরুষার্থ করবে তখনই, যখন তার সব
অরগ্যান্স বড় হবে, বুঝদার হবে তখন কিছু করতে পারবে। যারা দেরিতে যাবে তারা তো কিছু
শিখতে পারবে না। তারা অতটাই শিখবে, যা শিখে রেখেছিল। সেইজন্য মৃত্যুর আগে পুরুষার্থ
করা চাই, যতটা সম্ভব এই পারে আসার প্রচেষ্টা অবশ্যই করবে। এই রকম অবস্থায় অনেকে
আসবে। বৃক্ষ বৃদ্ধি পাবে। বোঝানো তো খুব সহজ। বম্বেতে বাবার পরিচয় দেওয়ার জন্য,
চান্স খুবই ভালো - ইনি হলেন আমাদের সকলের বাবা, বাবার থেকে তো উত্তরাধিকার অবশ্যই
স্বর্গেরই চাই। কতো সহজ। ভিতরে ভিতরে হৃদয় গদগদ হওয়ারই তো কথা - স্বয়ং পরমাত্মা
আমাদের পড়ান! এই হলো আমাদের এইম অবজেক্ট। আমরা প্রথমে সদ্গতিতে ছিলাম, তারপর
দুর্গতিতে এসেছি, এখন আবার দুর্গতি থেকে সদ্গতিতে যাওয়ার জন্য যেতে হবে। শিববাবা
বলেন "মামেকম্" (দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধকে ভুলে) - একমাত্র আমাকে স্মরণ করো, তো
তোমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পাপ কেটে যাবে ।
বাচ্চারা, তোমরা জানো
- যখন দ্বাপরে রাবণ রাজ্য হয় তো পাঁচ বিকার রূপী রাবণ সর্বব্যাপী হয়ে যায়। বিকার
যেখানে সর্বব্যাপী হয়ে যায় সেখানে বাবা কীভাবে সর্বব্যাপী হতে পারেন । সব মানুষই
পাপ আত্মা হয়। স্বয়ং পরমাত্মা বাবা সামনে রয়েছেন, তাই তো তিনি বলতে পারেন যে, আমি
এমন কথা বলিইনি, মানুষ উল্টো বুঝেছে। উল্টো বুঝে, বিকারে নামতে নামতে, ভগবানকে গালি
দিতে দিতে ভারতের এই অবস্থা হয়েছে। খ্রীষ্টানরাও জানে যে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে
ভারত স্বর্গ ছিলো, সবাই সতোপ্রধান ছিলো। ভারতবাসী তো লক্ষ বছর বলে দেয়, কারণ বুদ্ধি
তমোপ্রধান হয়ে পড়েছে। তারা না এতো উঁচু হতে পেরেছে, না অত্যন্ত নীচু । তারা তো মনে
করে স্বর্গ অবশ্যই ছিল। বাবা বলেন এটা সঠিক বলা হয় যে - ৫ হাজার বছর পূর্বেও
বাচ্চারা আমি তোমাদেরকে রাবণের জেল থেকে মুক্ত করতে এসেছিলাম, এখন আবার মুক্ত করতে
এসেছি। অর্ধ কল্প হলো রাম রাজ্য, অর্ধ কল্প হলো রাবণ রাজ্য। বাচ্চারা যখনই সুযোগ
পাবে তোমাদের এই বিষয়ে বোঝানো উচিত ।
বাচ্চারা, বাবাও
তোমাদের বোঝান - বাচ্চারা এইভাবে-এইভাবে বোঝাও। এতো অপরমঅপার দুঃখ হলো কেন? প্রথমে
তো অপরম-অপার সুখ ছিলো যখন এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিলো। এরা সর্ব গুণ সম্পন্ন
ছিলেন, এখন এই নলেজ হলোই নর থেকে নারায়ণ হওয়ার। এ হলো পড়াশুনা, যার দ্বারা দৈবী
ক্যারেক্টার্স তৈরী হয়। এই সময় রাবণের রাজ্যে সকলের ক্যারেক্টার্স খারাপ হয়ে আছে।
সকলের ক্যারেক্টার্স সংশোধন করার জন্য তো এক রাম-ই আছেন। এই সময় কতো ধর্ম, মানুষের
কতো বৃদ্ধি হয়েই চলেছে, এইরকম ভাবে বৃদ্ধি পেতেই থাকলে তখন খাদ্য কোথা থেকে পাওয়া
যাবে! সত্যযুগে তো এইরকম ব্যাপার নেই। সেখানে দুঃখের কোনো ব্যাপারই নেই। এই কলিযুগ
হলো দুঃখ-ধাম, সকলেই বিকারী। সেটা হলো সুখধাম, সকলে সম্পূর্ণ নির্বিকারী। বারংবার
তাদের এটা বলা দরকার, তবে কিছু বুঝতে পারবে। বাবা বলেন আমি হলাম পতিত-পাবন, আমাকে
স্মরণ করলে তোমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পাপ কাটবে। এখন বাবা বলবেন কিভাবে! অবশ্যই
শরীর ধারণ করে বলবেন তাই না! পতিত-পাবন সকলের সদ্গতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা,
অবশ্যই তিনি কারোর রথে আসবেন। বাবা বলেন আমি এই রথে আসি, যিনি নিজের জন্মকে জানে
না। বাবা বোঝান এ হলো ৮৪ জন্মের খেলা, যারা সর্বপ্রথমে এসেছিল তারাই আসবে, তাদেরই
অনেক জন্ম হবে, তারপর তারা আসবে যাদের কম জন্ম । সবার প্রথমে দেবতারা আসবে। বাবা
বাচ্চাদের ভাষণ করা শেখাচ্ছেন - এইভাবে-এইভাবে বোঝানো দরকার। সঠিক ভাবে স্মরণে থাকবে,
দেহ-অভিমান না থাকলে ভাষণ ভালো হবে। শিববাবা যে দেহী-অভিমানী। তিনি বাচ্চাদের বলতে
থাকেন - বাচ্চারা, দেহী-অভিমানী ভব। কোনো বিকার থাকবে না, ভিতরে কোনো শয়তানী থাকবে
না। তোমাদের কাউকেই দুঃখ দিতে নেই, কারোর নিন্দা করতে নেই। বাচ্চারা, কখনো কারোর
শোনা কথায় বিশ্বাস করতে নেই। বাবাকে জিজ্ঞাসা করো - ইনি এরকম বলছেন, সত্যি কি? বাবা
বলে দেবেন। নয়তো অনেকে আছে যারা মিথ্যে কথা তৈরী করতে দেরী করে না - অমুকে তোমার
উদ্দেশ্যে এইরকম-এইরকম বলেছে, শুনিয়ে তার মন বিষিয়ে দেবে। বাবা জানেন, এইরকম অনেক
হয়। উল্টো-পাল্টা কথা শুনে মন খারাপ করে বসে, সেইজন্য কখনোই মিথ্যে কথা শুনে
ভিতরে-ভিতরে দগ্ধ হতে নেই। জিজ্ঞাসা করো অমুকে আমার প্রতি এরকম বলেছে? অন্তরে
স্বচ্ছতা থাকা চাই। কোনো কোনো বাচ্চা শোনা কথা কানে নিয়েও নিজের মধ্যে শত্রুতা পুষে
রাখে। বাবাকে যখন পাওয়া গেছে বাবাকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত। ব্রহ্মা বাবার উপরেও
অনেকের বিশ্বাস থাকে না। শিববাবাকেও ভুলে যায়। বাবা তো এসেছেন সকলকে উচ্চমানের তৈরী
করতে। ভালোবাসার সাথে সমুন্নত করে তোলেন। ঈশ্বরীয় মত নেওয়া চাই। বাবার প্রতি
নিশ্চয়ই হয় না, তাই জিজ্ঞাসা না করলে, বাবার রেসপন্সও পাওয়া যাবে না। বাবা যা বোঝান
সেটা ধারণ করা উচিত।
তোমরা বাচ্চারা
শ্রীমতের আধারে বিশ্বে শান্তি স্থাপন করার নিমিত্ত হয়েছো। এক বাবা ব্যাতীত আর
কারোর মত উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ হতে পারে না। ভগবানের মতই হলো উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ।
যার দ্বারা কতো উঁচু পদ মর্যাদা পাওয়া যায়। বাবা বলেন নিজের কল্যাণ করে উচ্চ পদ
প্রাপ্ত করো, মহারথী হও। পড়াশুনা যদি করলে তবে কি পদ প্রাপ্ত করবে? এটা হলো
কল্প-কল্পান্তরের ব্যাপার। সত্যযুগে দাস-দাসীরাও নম্বর অনুযায়ী হয়। বাবা তো এসেছেন
উচ্চ মানের তৈরী করতে। কিন্তু পড়াশুনাই করছো না তো কি পদ প্রাপ্ত করবে। প্রজাতেও
তো উঁচু-নীচু পদ হয়ে থাকে, এটা বুদ্ধি দিয়ে বুঝতে হবে। মানুষ জানতেও পারে না যে
আমরা কোথায় চলেছি। উপরে উঠছি না নীচে নেমে যাচ্ছি। বাচ্চারা, বাবা এসে তোমাদের
বোঝাচ্ছেন - কোথায় তোমরা গোল্ডেন, সিলভার এজে ছিলে, কোথায় আয়রন এজে এসেছো। এই সময়
তো মানুষ, মানুষকে খেয়ে নেয়। এখন এই সব কথা যখন বুঝবে তখন বলবে যে জ্ঞান কাকে বলে।
কোনো কোনো বাচ্চা এক কানে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেয়। ভালো ভালো সেন্টারের ভালো
ভালো বাচ্চাদেরও ক্রিমিনাল আই থাকে। লাভ, লোকসান, সম্মানের খেয়াল কি আর করে! মুখ্য
ব্যাপার হলো ক্রিমিনাল আই এর। বাবা বোঝান কাম হলো বড় শত্রু, এর উপর বিজয় প্রাপ্ত
করার জন্য কতো মাথা ঠোকে। পবিত্রতাই হলো মুখ্য ব্যাপার। এর উপরেই কতো ঝগড়া হয়। বাবা
বলেন কাম হলো বড় শত্রু, এর উপরে বিজয় প্রাপ্ত করলে তবে জগৎ-জিত হবে। দেবতারা যে
সম্পূর্ণ নির্বিকারী। যত এগোতে থাকবে ততই বুঝতে পারবে। স্থাপনা তো হবেই। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
কখনোই শোনা কথার উপর বিশ্বাস করে নিজের স্থিতি খারাপ করতে নেই। অন্তঃকরণ স্বচ্ছ
রাখতে হবে। মিথ্যে কথা শুনে ভিতরে ভিতরে দগ্ধ হতে নেই, ঈশ্বরীয় মত নিতে হবে।
২ ) দেহী-অভিমানী
হওয়ার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে, কারোরই নিন্দা করতে নেই। লাভ, লোকসান আর
মান-সম্মানকে স্মরণে রেখে ক্রিমিনাল আই-কে শেষ করে দিতে হবে। বাবা যা শোনান তা এক
কান দিয়ে শুনে অন্য কান দিয়ে বের করে দেবে না না।
বরদান:-
ত্রিকালদর্শীর সীটে সেট হয়ে প্রতিটি কর্ম করা শক্তিশালী আত্মা ভব
যে বাচ্চারা
ত্রিকালদর্শীর সীটে সেট হয়ে সকল সময়, প্রতিটি কর্ম করে, তারা জানে যে পরিস্থিতি তো
অনেক আসবে, হওয়ারই, সেটা নিজের দ্বারা হোক বা অন্যদের দ্বারা, মায়ার দ্বারাই হোক
কিম্বা প্রকৃতির দ্বারা। সকল প্রকারের পরিস্থিতি আসবে, আসবেই। কিন্তু স্ব স্থিতি যদি
শক্তিশালী হয় তবে পর-স্থিতি তার সামনে কিছুই নয়। কেবল প্রতিটি কর্ম করার পূর্বে তার
আদি-মধ্য-অন্ত তিন কালকে চেক করে, বুঝে তারপর যাকিছু করো তবে শক্তিশালী হয়ে
পরিস্থিতিগুলিকে অতিক্রম করে নিতে পারবে।
স্লোগান:-
সর্ব
শক্তি এবং জ্ঞান সম্পন্ন হওয়াই হলো সঙ্গম যুগের প্রালব্ধ।