15-09-2024 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 31-12-2001 মধুবন


"এই নব বর্ষে সফলতা ভব'র বরদানের দ্বারা বাবা এবং নিজের প্রত্যক্ষতা সমীপে নিয়ে এসো"


আজ নব যুগের রচয়িতা নিজের মাস্টার নবযুগ- রচয়িতা বাচ্চাদের সাথে নব বর্ষ উদযাপন করতে এসেছেন। নব বর্ষ উদযাপন করা এটা তো বিশ্বের সবাই উদযাপন করে। কিন্তু তোমরা সবাই নব যুগ সৃজন করছ। নব যুগের খুশি সব বাচ্চার মধ্যে রয়েছে। তোমরা জানো যে নব যুগ এখন সমাগত প্রায়। দুনিয়ার লোকের নব বর্ষ উদযাপন করা একদিনের জন্য আর তোমরা সকলে সম্পূর্ণ সঙ্গমযুগই নব যুগের উদযাপন করো। নব বর্ষে খুশি উদযাপন করে, একে অপরকে গিফ্ট দেয়। সেই গিফ্টই বা কী! অল্প সময়ের জন্য সেই গিফ্ট। নব যুগ রচয়িতা বাবা তোমরা সব বাচ্চার জন্য কোন গিফ্ট নিয়ে আসেন? গোল্ডেন গিফ্ট, গোল্ডেন গিফ্ট অর্থাৎ গোল্ডেন যুগে যা আপনা থেকেই গোল্ড হয়ে যায়, নতুন হয়ে যায়। কিছু সময় পরে নতুন বছরের শুরু হবে কিন্তু সবকিছু নতুন হবে না। তোমাদের নব যুগে প্রকৃতিও নতুন হয়ে যাবে। আত্মাও নতুন বস্ত্র (শরীর) ধারণ করবে। সব বস্তু নতুন অর্থাৎ সতোপ্রধান গোল্ডেন এজের হয়ে যাবে। তাইতো নতুন বছর উদযাপন করার সময় তোমাদের মনে, বুদ্ধিতে নতুন যুগই স্মরণে আসছে। নব যুগ স্মরণে আছে তো না! নাকি আজকের দিনে নতুন বছর স্মরণ আছে?

বাপদাদা প্রথমে অভিনন্দন জানান নব যুগের, আবার সেইসঙ্গে অভিনন্দন জানান নতুন বছরের, কেননা তোমরা সবাই নব বর্ষ উদযাপন করতে এসেছ তো না! উদযাপন করো, খুব ক'রে উদযাপন করো। অবিনাশী গিফ্ট যা বাপদাদার দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছে তার অবিনাশী অভিনন্দন উদযাপন করো। সদাই একে অপরকে শুভ ভাবনার অভিনন্দন জ্ঞাপন করো। এটাই প্রকৃত অভিনন্দন। যখন অভিনন্দন জানাও তখন নিজেও খুশি হও আর অন্যেও। সুতরাং প্রকৃত হৃদয়ের অভিনন্দন হলো - পরস্পরের প্রতি হৃদয়ের শুভ ভাবনা, শুভ কামনার আনন্দ জ্ঞাপন। শুভ ভাবনা এমন শ্রেষ্ঠ অভিনন্দন যা কোনও আত্মার মধ্যে যেরকমই ভাবনা থাকুক না কেন, ভালো ভাবনা বা ভালো ভাব যদি নাও বা থাকে, তবুও তোমাদের শুভ ভাবনা তাদের ভাবও বদলাতে পারে, স্বভাবও বদলাতে পারে। কার্যতঃ, স্বভাব শব্দের অর্থই হলো - স্ব(সু) অর্থাৎ শুভ ভাব। সব সময় প্রত্যেক আত্মাকে এই অবিনাশী অভিনন্দন জ্ঞাপন করে চলো। তোমাকে যে যা কিছুই দিক না কেন তুমি সবাইকে শুভ ভাবনা দাও। তোমরা সব অবিনাশী আত্মার অবিনাশী আত্মিক স্থিতিতে স্থিত হওয়াতে সেই আত্মার পরিবর্তন হয়েই যাবে। সুতরাং এই নতুন বছরে কী বিশেষত্ব আনবে - নিজের মধ্যেও, সবার মধ্যেও এবং সেবাতেও? প্রত্যেকে নিজের নবীনত্বের প্ল্যান বানিয়েছ নাকি এখন শুধু নতুন বছর উদযাপন করে নেবে? মিলন উদযাপন করেছ, নতুন বছর উদযাপন করেছ, নবীনত্বের কী প্ল্যান বানিয়েছো?

বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চাকে এই বছরের জন্য বিশেষ এই ইশারা দিচ্ছেন যে, সময় অনুসারে এখন সব বাচ্চা, হয় তারা সাকারে সমুখে বসে আছে, অথবা দেশে, বিদেশে বিজ্ঞানের সাধন দ্বারা শুনছে, দেখছে, তাদের সবাইকে বাপদাদাও দেখছেন - সবাই খুব আরামে বসে, আনন্দে দেখছে। তো সমগ্র বিশ্বের বাপদাদার অতি প্রিয় অতি মিষ্টি বাচ্চাদেরকে বাপদাদা এই ইশারাই দিচ্ছেন যে "এখন নিজের এই ব্রাহ্মণ জীবনে অমৃতবেলা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত সঞ্চয়ের খাতা বাড়াও, জমার খাতা বাড়াও।" প্রত্যেকে নিজের কার্য অনুসারে নিজের বানাও, ব্রাহ্মণ জীবনে যে ভান্ডারই প্রাপ্ত হয়েছে, সেই প্রতিটা ভান্ডারের সঞ্চয় বা পুঁজির খাতা বাড়াও কেননা, বাপদাদা আজ চতুর্দিকের বাচ্চাদের বছরের শেষ পর্যন্তর রেজাল্ট দেখেছেন। কী দেখেছেন, জেনে তো গেছ। টিচাররাও জেনে গেছে। ডবল ফরেনার্সও জেনে গেছে। মহারথীও জেনে গেছে। জমার খাতা যতটা হওয়া উচিত ততটা... বাবা কী বলতে পারেন? তোমরা নিজেরাই বলো, কেননা, বাপদাদা জানেন যে সর্ব ভান্ডার জমা করার সময় শুধু এখন, এই সঙ্গমে। এই ছোট যুগে যত জমা করেছ সেই অনুসারে সারা কল্প প্রালব্ধ প্রাপ্ত করতে থাকবে। যেটা তোমাদের স্লোগান রয়েছে না - কোন স্লোগান? এখন নয় তো... পরে কী আছে? "এখন নয় তো কখনো নয়।" এই স্লোগান মাথায় তো খুব স্মরণ থাকে। কিন্তু হৃদয়ে এবং স্মরণে তোমরা ভুলে যাও তো স্মরণও থাকে। সবচেয়ে বড় থেকে বড় ভান্ডার এই ব্রাহ্মণ জীবনের শ্রেষ্ঠত্বের আধার - সংকল্প শক্তির ভান্ডার, সময়ের ভান্ডার, শক্তির ভান্ডার, জ্ঞানের ভান্ডার, বাকি স্থূল ধনের ভান্ডার তো কমন। তো বাপদাদা দেখেছেন, তোমরা প্রত্যেক ব্রাহ্মণ যতটা শ্রেষ্ঠ সংকল্পের ভান্ডার দ্বারা নিজেকে বা সেবাকে শ্রেষ্ঠ বানাতে পারো, তা'তে এখন আরও আন্ডারলাইন করতে হবে।

তোমরা সব ব্রাহ্মণের একটা শ্রেষ্ঠ সংকল্পে, শুভ সংকল্পে এত শক্তি আছে যা আত্মাদের অনেক সহযোগ দিতে পারে। সংকল্প শক্তির মহত্ত্ব এখন আরও যতটা চাও ততটা বাড়াতে পারো। যখন সায়েন্সের সাধন রকেট, দূরে বসে যেখানে চাও, যখন চাও, যে স্থানে পৌঁছাতে চাও, এক সেকেন্ডে পৌঁছাতে পারো। তো তোমাদের শুভ শ্রেষ্ঠ সংকল্পের সামনে এটা কি! রিফাইন বিধিতে কার্যে প্রয়োগ করে দেখ, তোমাদের বিধির সিদ্ধি অনেক শ্রেষ্ঠ। কিন্তু এখন অন্তর্মুখিতার ভাট্টিতে বসো। সুতরাং এই নতুন বছরে নিজের ইচ্ছাতে সর্ব ভান্ডারের জমার স্কিম বানাও। জমার খাতা বাড়াও। সারাদিনে নিজেই নিজের জন্য অন্তর্মুখিতার ভাট্টির জন্য সময় ফিক্স করো। নিজে নিজেই করতে পারো, অন্য কেউ করে দিতে পারে না।

প্রত্যক্ষতা-বর্ষের আগে এই বর্ষকে বাপদাদা "সফলতা ভব"-র বর্ষ বলে। সফলতার আধার সব ভান্ডার সফল করো। সফল করো, সফলতা প্রাপ্ত করো। সফলতা প্রত্যক্ষতাকে আপনা থেকেই প্রত্যক্ষ করবে। বাচা সেবা অনেক ভালো করেছ, কিন্তু এখন সফলতার বরদান দ্বারা বাবার, স্বয়ং-এর প্রত্যক্ষতা সমীপে নিয়ে এসো। প্রত্যেক ব্রাহ্মণের জীবন সর্ব ভান্ডারে সম্পন্ন আত্মা অনুভূত হোক। আজকালকার আত্মারা তোমাদের অনুভাবী মূর্তরূপ দ্বারা অনুভূতি করতে চায়। তারা কম শুনতে চায়, অনুভূতি বেশি চায়। "অনুভূতির আধার হলো - ভান্ডারের জমা খাতা।" এখন সারাদিনে মাঝখানে মাঝখানে নিজের এই চার্ট চেক করো, সর্ব ভান্ডার কত জমা করেছ! জমার খাতা বের করো, জমা-খরচের হিসেব (পোতামেল) বের করো। এক মিনিটে কত সংকল্প চলে? সংকল্পের ফাস্ট গতি আছে তো না! কত সফল হয়েছে, কত ব্যর্থ হয়েছে? কত শক্তিশালী থেকেছে? কত সাধারণ থেকেছে? চেক করার মেশিন তো তোমাদের কাছে আছে তো না, নাকি নেই? সবার কাছে চেকিং মেশিন আছে? টিচারদের কাছে আছে? তোমাদের সেন্টারে যেমন কম্পিউটার রয়েছে, ই-মেল আছে তেমন এই চেকিং মেশিন আছে? ডবল ফরেনার্সের কাছে আছে? চলে নাকি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে? পান্ডবদের কাছে চেকিং মেশিন আছে? সবার কাছে আছে, কারও কাছে না থাকলে অ্যাপ্লিকেশন দাও। যেমন, কোথাও যদি অফিস খোলো তো প্রথমেই ভাবো যে অফিস বানানোর আগে, আজকালকার যুগে কম্পিউটার দরকার, ই-মেল দরকার, টাইপ মেশিন দরকার, কপি বের করার মেশিন দরকার, দরকার তো না? তো ব্রাহ্মণ জীবনে, তোমাদের হৃদয়ের অফিসে এই সব মেশিন আছে নাকি নেই?

বাপদাদা আগেও বলেছেন যে বাপদাদার কাছে প্রকৃতিও আসে এটা বলার জন্য যে, আমি এভাররেডি, সময়ও ব্রাহ্মণকে বারবার দেখতে থাকে, ব্রাহ্মণ প্রস্তুত আছে কিনা! বারবার ব্রাহ্মণদের কাছে ঘুরছে। তো বাপদাদা জিজ্ঞাসা করেন, তোমরা হাত তো খুব ভালোই তুলে থাকো, বাপদাদাও খুশি হন। এখন এমনভাবে এভাররেডি হও যাতে প্রতিটা সংকল্প, প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা শ্বাস যা অতীত হয়েছে তা' যেন বাঃ, বাঃ হয়। হোয়াই নয়, বাঃ বাঃ হোক। এখন কোনো কোনো সময় বাঃ বাঃ হয়, কোনো কোনো সময় বাঃ-এর পরিবর্তে হোয়াই হয়ে যায়। কোনো কোনো সময় বিন্দু লাগাও আর কোনো কোনো সময় কোশ্চেন মার্ক এবং আশ্চর্যের চিহ্ন লেগে যায়। তোমাদের সকলের মনও যেন বলে বাঃ! আর যারই সম্বন্ধ-সম্পর্কে আসো, হতে পারে ব্রাহ্মণের, অথবা যারা সেবা করে তাদের প্রতি বাঃ! বাঃ! শব্দ বের হতে দাও। আচ্ছা।

তো আজ গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার ব্রহ্মা বাবার এক শুভ আশা রয়েছে, ব্রহ্মা বাবা বলেছেন, আমার গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড সন্সকে বিশেষ একটা কথা বলার আছে, সেটা কী? সেটা হলো সদা সব বাচ্চার মুখে, সদা আধ্যাত্মিকতার এক হাসি থাকবে, শুনেছ! ভালো করে কান খুলে শোনো। আর দ্বিতীয়ত:, মুখে সদা মধুরতা থাকবে। একটি শব্দও বিনা মধুরতা হবে না। মুখমন্ডলে আধ্যাত্মিকতা হবে, মুখে মধুরতা হবে আর মন-বুদ্ধিতে সদা শুভ ভাবনা, দয়াবানের ভাবনা, দাতাভাবের ভাবনা হবে। প্রতিটা কদমে ফলো ফাদার হবে। তো এটা করতে পারো তোমরা? টিচার্স তোমরা এটা করতে পারো? ইয়ুথ তোমরা করতে পারো? (জ্ঞান সরোবরে দেশবিদেশের রিট্রিট চলছে) বাপদাদার কাছে ইয়ুথ গ্রুপের রেজাল্ট খুব ভালো এসেছে। পদ্ম গুন অভিনন্দন তোমাদের। এটা ভালো রেজাল্ট। ভালো অনুভবও করেছ, বাপদাদা খুশি হয়েছেন। বাপদাদা অনুভবও শুনেছেন, কিন্তু এখন অমর ভব-র বরদান দ্বারা এই অনুভব অবিনাশী রাখো। যা কিছু হয়ে যাক না কেন তোমাদের অধ্যাত্ম অনুভবকে সদা সামনে বাড়াতে থাকো। কম হতে দিও না। তিন মাস পর মধুবনে আসো বা না আসো। তিন মাস পর ফরেন থেকে তো আসবে না, কিন্তু তোমাদের অ্যাকাউন্ট বজায় রেখো আর বাপদাদার কাছে পাঠিয়ে দিও, বাপদাদা রাইট করবেন। কিংবা যা হবে সেই পার্সেন্টেজ দেবেন। ঠিক আছে? হ্যাঁ, এক হাতের তালি বাজাও। আচ্ছা।

আজ শুভ ভাবনার (মুবারক) দিন, তাইতো আরও খুশখবর শুনেছেন বাপদাদা, দেখেছেনও। ছোট ছোট বাচ্চারা মুকুটধারী হয়ে বসে আছে। তোমরা তো মুকুট পাবে, এদের এখনই প্রাপ্ত হয়েছে। উঠে দাঁড়াও। দেখো, মুকুটধারী গ্রুপ দেখো। বাচ্চারা সদাই হৃদয়ে বিশুদ্ধ। তোমরা বিশুদ্ধ হৃদয়ের, তাই তো না! ভালো হয়েছে বাচ্চাদের রেজাল্টও বাপদাদা ভালো দেখেছেন। অভিনন্দন তোমাদের। আচ্ছা।

ডবল ফরেনার্স - এদের পত্র এবং চিরকুটও দেখেছেন। উৎসাহ-উদ্দীপনার চিরকুট। কিন্তু বাপদাদা একটা বিষয় দেখেছেন, যা কোনো কোনো চিরকুটে আছে। কেউ কেউ তো অনেক উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে তাদের পরিবর্তনের ব্যাপারে লিখেছে, তারা তাদের উৎসাহ-উদ্দীপনার সম্বন্ধেও লিখেছে। যতই হোক কেউ কেউ নিজের সামান্য অসাবধানতা দেখিয়েছে। কখনো অসাবধান হয়ো না। অ্যালার্ট! এক, বাপদাদার অসাবধানতা ভালো লাগে না, আরেক হলো হতাশ হওয়া ভালো লাগে না। যা কিছু হয়ে যাক উদারচিত্ত বজায় রাখো। হতাশ হৃদয় ছোট হৃদয় হয়। চিত্তানন্দ বড় হৃদয়। সুতরাং হতাশ হয়ো না, অসাবধান হয়ো না। উৎসাহ-উদ্দীপনায় সদা উড়তে থাকো। বাপদাদার ডবল বিদেশিদের প্রতি কোটি কোটি সমান আশা রয়েছে। ডবল ফরেনার্স এমন দীপ্তি দেখাবে যাতে ইন্ডিয়ার আত্মারা বিস্মিত হয়ে যাবে। আসতে হবে, সেই দিনও আসতে হবে, তাড়াতাড়ি আসবে। আসবে তো না? সেই দিন আসার আছে না? আসবে সেই দিন? (তাড়াতাড়ি তাড়াতাড়ি আসবে) হাঁ জী তো বলো! বাপদাদা ইন অ্যাডভান্স অভিনন্দনের থালা ভরে ভরে দিচ্ছেন। বাপদাদা ডবল ফরেনার্সের মধ্যে এত সাহস দেখছেন, এরকমই তো, তাই না? ফরেনে আমরা যে কর্ম, যে বোল, যে বৃত্তি, যে বিধি করবো, আমাদের দেখে সবাই করবে, ফরেনারদের থেকে অনেক আশা রয়েছে। তোমরা ভালো। ইয়ুথরাও ভালো। প্রবৃত্তির থেকেও অনেক আছে, কুমারীরাও অনেক রয়েছে, চমৎকার আর চমৎকার। ঠিক আছে? সিন্ধি পরিবার বলো! কী চমৎকার করবে তোমরা? নামে তোমরা সিন্ধি, কিন্তু তোমরা ব্রাহ্মণ। কী করবে তোমরা? বলো! (বাবার নাম উজ্জ্বল করবো) কবে করবে? (এই বছরে) তোমাদের মুখে গোলাপজাম। সাহসী তোমরা।( আপনার বরদান সাথে আছে) বরদাতাই যখন সাথে আছেন তখন বরদান এমন কী বড় ব্যাপার! আচ্ছা।

যারাই এই কল্পে প্রথমবার এসেছ, তারা ওঠো। যারা প্রথমবার এসেছো, সেই বাচ্চাদের বাপদাদা বলেন যে, এসেছ পিছনে কিন্তু যেতে হবে সামনে, এত সামনে এগিয়ে যাও যাতে সবাই তোমাদেরকে দেখে খুশি হয়ে যায় আর সবার মুখ থেকে এই শব্দ বের হয় - চমৎকার! চমৎকার! চমৎকার! এমন সাহস আছে তোমাদের? প্রথমবার যারা এসেছ তাদের সাহস আছে তো না! নতুন বছর উদযাপন করতে এসেছ, তো নতুন বছরে কোনো চমৎকার তো করবে, তাই না! যদিও বাপদাদার সব বাচ্চা অতি প্রিয়। তবু তো তোমরা অনেক বুদ্ধির কাজ করেছ, টু লেট হওয়ার আগে এসে গেছ। এখন তবুও এই হলে বসার জন্য সিট তো পেয়েছ না! থাকার জন্য তোমরা খাট কিংবা মেঝে তো পেয়েছ, তাই না! আর যখন টু লেট- এর বোর্ড লেগে যাবে তখন তাদের নিজেদেরকে ক্যু-তে দাঁড় করাতে হবে। সেইজন্য তোমরা তবুও ভালো সময়ে বাপদাদাকে চিনে নিয়েছ, এটা বুদ্ধির কাজ করেছ। আচ্ছা।

বিশ্বের চতুর্দিকের সর্ব সফলতা মূর্ত বাচ্চাদেরকে, সর্ব সফলকারী তীব্র পুরুষার্থী বাচ্চাদের, সদা নিজের অ্যাকাউন্ট চেক করা চেকার আর ভবিষ্যৎ মেকার এমন শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, সদা নিজের প্রতিটা কদমে বাবাকে প্রত্যক্ষ করানো গ্রেট গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদারের সর্ব গ্র্যান্ড সন্সকে বাবা আর দাদার অনেক অনেক অনেক অনেক স্মরণের স্নেহ-সুমন, অভিনন্দন আর নমস্কার।

বাপদাদা দেশবিদেশের সব বাচ্চাকে নতুন বছরের অভিনন্দন জানিয়েছেন। চতুর্দিকের সফলতার সমুদয় নক্ষত্রকে পুরানো বছরের বিদায় সম্ভাষণ আর নতুন বছরের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন সঙ্গম সময়ের। সঙ্গম সময় হলো বিদায় সম্ভাষণ সেইসাথে শুভেচ্ছা জ্ঞাপনও। সুতরাং তোমরা সদা সফল আর সফল থাকবে। কখনও অসফলতার লেশমাত্র থাকবে না। বাপদাদার অতি হারানিধি, অতি প্রিয়, অতি মিষ্টি, তাঁর নয়নের আলোক তোমরা। সব নম্বর ওয়ান হতেই হবে, এই দৃঢ় সংকল্পের দ্বারা নিরন্তর বাবা সমান তোমাদের প্রতি কদম নাও। পদ্ম গুন, কোটি কোটি গুন অভিনন্দন, অভিনন্দন, অভিনন্দন। বাপদাদার অনেক অনেক অমূল্য ডায়মন্ডকে ডায়মন্ড মর্নিং, ডায়মন্ড মর্নিং, ডায়মন্ড মর্নিং। ওম্ শান্তি।

বরদান:-
সেবার উৎসাহ উদ্দীপনার দ্বারা সেফটি অনুভব করে মায়াজিত ভব

যারা স্থূল কাজের সাথে সাথে যখন অধ্যাত্ম সেবার জন্য ছোটে, এভাররেডি থাকে, তখন সেবার এই উৎসাহ-উদ্দীপনা সেফটির সাধন হয়ে যায়। যারা সেবায় নিয়োজিত থাকে তারা মায়ার থেকে নিরন্তর বেঁচে থাকে। মায়াও দেখে যে এদের ফুরসৎ নেই তো সেও ফিরে যায়। যে বাচ্চাদের বাবা আর সেবার প্রতি ভালবাসা আছে তাদের এক্সট্রা সাহসের সহায়তা প্রাপ্ত হয়। যার দ্বারা সহজেই তারা মায়াজিৎ হয়ে যায়।

স্লোগান:-
জ্ঞান আর যোগকে যদি নিজের জীবনের নেচার বানিয়ে নাও, তবে পুরানো নেচার বদলে যাবে।

সূচনাঃ- আজ মাসের তৃতীয় রবিবার, অন্তর্রাষ্ট্রিয় যোগ দিবস, সন্ধ্যা ৬:৩০ মিনিট থেকে ৭:৩০মিনিট পর্যন্ত সংগঠিত রূপে সব ব্রহ্মা বৎস বিশেষ সন্তুষ্টমনি হয়ে বায়ুমন্ডলে সন্তুষ্টতার কিরণ ছড়িয়ে দিন। অসন্তুষ্ট আত্মাদের সন্তুষ্ট থাকার শক্তি দিন, মন্সা সেবা করুন।