15.10.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
আত্মা রূপী ব্যাটরী ৮৪ মোটরে যাওয়ার কারণে ডাল (নির্বোধ) হয়ে গেছে, এখন তাকে
স্মরণের যাত্রাতে ভরপুর করো"
প্রশ্নঃ -
বাবা কোন্
বাচ্চাদের খুবই ভাগ্যশালী মনে করেন?
উত্তরঃ
যাদের কাছে
কোনো ঝঞ্ঝাট থাকে না, যে নির্বন্ধন, সেইরকম বাচ্চাদের বাবা বলেন তোমরা হলে খুবই
ভাগ্যশালী, তোমরা স্মরণে থেকে নিজের ব্যাটারী ফুল চার্জ করতে পারো। যদি যোগ ব্যাতীত
শুধুমাত্র জ্ঞান শোনাও তবে তীর লাগতে পারে না। যদিও কেউ অনেক বুদ্ধিদীপ্ত ভাবে
নিজের অনুভব শোনায়, কিন্তু নিজের মধ্যে ধারণা যদি না থাকে, তো হৃদয় দগ্ধ হতে থাকে।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
আত্মা রূপী বাচ্চাদের প্রতি আত্মাদেরকে পরমাত্মা পরমপিতা বোঝান। আত্মাদের পিতার নাম
কি? শিববাবা । তিনি হলেনই ভগবান, অসীম জগতের পিতা। মানুষকে কখনো অসীম জগতের পিতা
অথবা ঈশ্বর বা ভগবান বলা যেতে পারে না। যদিও অনেকের নাম হলো শিব, কিন্তু তারা হলো
দেহধারী, সেইজন্য তাদের ভগবানবলা যাবে না। এটা বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান। আমি যার
মধ্যে প্রবেশ করছি, তাঁর এ হল অনেক জন্মের শেষের জন্ম। বাচ্চারা, তোমাদেরকে কেউ কেউ
জিজ্ঞাসা করে - তোমরা এঁনাকে কেন ভগবান বলো? বাবা প্রথমেই বোঝান - কোনো স্থূল অথবা
সূক্ষ্ম দেহধারীকেই ভগবান বলা যেতে পারে না। সূক্ষ্মদেহধারী সূক্ষ্মলোকবাসী হিসাবেই
গণ্য হবে। তাদেরকে দেবতা বলা হয়। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ হলেন ভগবান, পরমপিতা।
উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ তাঁর নাম, উচ্চতম তাঁর গ্রাম (নিবাস স্থান) । বাবা সকল
আত্মাদের সাথে সেখানে নিবাস করেন। বৈঠকও (বসার স্থান) হলো উচ্চ। বাস্তবে কোনো বসার
জায়গা নেই। যেমন স্টার কোথাও কি বসে? দাঁড়িয়ে থাকে ! তোমরা আত্মারাও নিজের সামর্থ্যে
সেখানে দাঁড়িয়ে আছো। শক্তি এরকম প্রাপ্ত হয় যে ওখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে। বাবার
নামই হলো সর্বশক্তিমান, তাঁর থেকে শক্তি প্রাপ্ত হয়। আত্মা তাঁকেকে স্মরণ করে,
ব্যাটরী চার্জ হয়ে যায়। যেমন - মোটরে ব্যাটরী থাকে, তার জোরেই মোটর চলে। ব্যাটারীতে
কারেন্ট ভরা থাকে আবার চলতে-চলতে সেটা খালি হয়ে যায়, তারপর ব্যাটারী মেইন পাওয়ার
থেকে চার্জ করে মোটরে ভরা হয়। সেটা হলো পার্থিব জগতের কথা। এটা হলো অসীম জগতের কথা।
তোমাদের ব্যাটারী তো ৫ হাজার বছর ধরে চলে। চলতে-চলতে আবার ঢিলে হয়ে যায়। বুঝতে পারা
যায়- একদম শেষ হয় না, কিছু না কিছু থাকে। যেরকম টর্চে ডিম (ম্লান) হয়ে যায় যে না!
আত্মা তো হলোই এই শরীরের ব্যাটারী। এটাও ডাল (নিষ্প্রভ) হয়ে যায়। ব্যাটারী এই শরীর
থেকে বেরিয়েও যায়, তারপর দ্বিতীয়, তৃতীয় মোটরে গিয়ে পড়ে। ৮৪ মোটরে থাকে রাখা হয়।
তাই বাবা এখন বলেন, তোমরা এখন কতো ডালহেড পাথর বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে গেছো। এখন আবার
নিজের ব্যাটারীকে পূর্ণ করো। বাবার স্মরণ ব্যাতীত আত্মা কখনো পবিত্র হতে পারে না।
একজনই সর্বশক্তিমান বাবা আছেন, যাঁর সাথে যোগ যুক্ত হতে হয়। বাবা স্বয়ং নিজের
পরিচয় দেন যে আমি কে, কী রকম। কীভাবে তোমাদের ব্যাটারী ডাল হয়ে যায়। আমি এখন
তোমাদের রায় দিই- আমাকে স্মরণ করো, তবে ব্যাটারী সতোপ্রধান ফার্স্টক্লাস হয়ে যাবে।
পবিত্র হলে আত্মা ২৪ ক্যারেট হয়ে যায়। এখন তোমরা অ্যালয় বা মিশ্র ধাতু হয়ে গেছো।
শক্তি একদম নিঃশেষ হয়ে গেছে। সেই শোভা আর নেই। এখন বাবা তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের
বোঝাচ্ছেন- বাচ্চারা, মুখ্য ব্যাপার হলো স্মরণে থাকা, পবিত্র হয়ে ওঠা । তা না হলে
ব্যাটারী পূর্ণ হবে না। যোগ যুক্ত হতে পারবে না। যদিও মোরগের মতো জ্ঞানী (অন্যদের
জাগিয়ে নিজে ঘুমিয়ে পড়ে) তো অনেকেই আছে। জ্ঞান যদিও প্রদান করে, কিন্তু সেই অবস্থা
নেই। এখানে খুব মগ্ন হয়ে অনুভব শোনায়। ভিতরে-ভিতরে দগ্ধ হতে থাকে। আমি যে অবস্থা
বর্ণনা করছি সেই অবস্থা তো আমার নেইই। কেউ আবার যোগী তু আত্মা বাচ্চাও আছে। বাবা তো
বাচ্চাদের মহিমার খুবই সুখ্যাতি করেন। বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা হলে খুবই
ভাগ্যশালী। তোমাদের তো এতো ঝঞ্ঝাট নেই। যাদের অনেক বাচ্চা থাকে তাদের বন্ধনও থাকে।
বাবার কতো পরিমাণ বাচ্চা আছে। সকলকে সামলানো দেখা-শুনা করতে হয়। বাবাকেও স্মরণ করতে
হবে। প্রিয়তমের স্মরণ তো একদম দৃঢ় হওয়া উচিত। ভক্তি মার্গে তো তোমরা বাবাকে কতো
স্মরণ করে এসেছো- হে ভগবান, পূজাও সর্বপ্রথমে ওঁনার করো। প্রথমে নিরাকার ভগবানকেই
করে। এমন নয় যে সেই সময় তোমরা আত্ম-অভিমানী হয়ে থাকো । আত্ম- অভিমানী কী আর পূজা
করবে ! বাবা বোঝান, সর্বপ্রথম ভক্তি শুরু হয় তো প্রথমে এক বাবাকেই পূজা করে।
একমাত্র শিবকেই পূজা করত। যেমন রাজা-রাণী, তেমনই প্রজা। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ হলেন
ভগবান, তাঁকেই স্মরণ করতে হবে। আর অন্যান্য যারাই আছে সবই হলো নীচে,
ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করকেও স্মরণ করার প্রয়োজন হয় না। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ পিতাকে
স্মরণ করতে হবে। কিন্তু ড্রামার পার্ট এইরকম যে, তোমরা নীচে নামার জন্য বাধ্য। বাবা
বোঝান তোমরা কীভাবে নীচে নামো। প্রত্যেক কথা ইত্যাদিতে শেষ পর্যন্ত উপর থেকে নীচে
পর্যন্ত বাবা বোঝান। ভক্তিও প্রথমে সতোপ্রধান তারপর সতঃ-রজঃ-তমঃ হয়। এখন তোমরা আবার
সতোপ্রধান হচ্ছো, এতেই পরিশ্রম করতে হয়। পবিত্র হতে হবে। নিজেকে দেখতে হবে, কোথাও
তো মায়া ধোঁকা দিচ্ছে না তো? আমার ক্রিমিনাল আই হয়ে যাচ্ছে না তো? কোনো পাপের ভাবনা
আসছে না তো? গায়ন আছে প্রজাপিতা ব্রহ্মা, তবে তো তাঁর সন্তান ব্রাহ্মণ -ব্রাহ্মণীরা
বোন-ভাই দাঁড়াল, তাই না! এখানের ব্রাহ্মণরাও নিজেকে ব্রহ্মার সন্তান বলে থাকে।
তোমরাও ব্রাহ্মণ ভাই-বোন হলে তাই না ! তবে বিকারী দৃষ্টি কেন রাখো। ব্রাহ্মণদের
তোমরা ভালো ভাবে দৃষ্টি দিতে পারো। বাচ্চারা, তোমরা এখন জানো যে ব্রহ্মার সন্তান
ব্রাহ্মণ- ব্রাহ্মণী হয়ে আবার দেবতা হয়ে ওঠে। বলেও যে বাবা এসে ব্রাহ্মণ দেবী-দেবতা
ধর্মের স্থাপনা করেন। এটা বোঝার ব্যাপার যে না। আমরা ব্রহ্মার সন্তান ভাই - বোন হয়ে
গেলাম তো কখনো কুদৃষ্টি যাওয়া উচিত নয়। ওকে থামাতে হয়। এও যে হলো আমাদের মিষ্টি বোন।
সেই লভ থাকা চাই। যেমন ব্লাড কানেক্শনে লভ (ভালোবাসা) থাকে, সেটা পরিবর্তিত হয়ে
আত্মিক হয়ে যায়। এতে খুবই পরিশ্রম হয়। এটাই হল সহজ স্মরণ। নিজেকে আত্মা মনে করে
বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বিকারের দৃষ্টি রাখতে পারবে না। বাবা বুঝিয়েছেন- এই চোখ
খুবই ধোঁকা দেওয়ার, তাকে পরিবর্তন করতে হবে। আমরা হলাম আত্মা। এখন তো আমরা হলাম
শিববাবার বাচ্চা। অ্যাডপ্ট করা ভাই - বোন হলাম। আমরা নিজেদের বি.কে. বলে থাকি। আচার
আচরণে পার্থক্য তো এসে যায়, তাই না! টিচারের কাজ হলো ক্লাসে সকলকে জিজ্ঞাসা করা -
তোমরা কী মনে করো আমাদের ভাই- বোনের দৃষ্টি থাকে, নাকি কিছু চঞ্চলতা হতে থাকে ?
সত্য পিতার সম্মুখে সত্য না বললে, মিথ্যা যদি বলো, তবে খুবই দন্ড পেতে হবে। কোটির
মধ্যে প্রতিজ্ঞা রাখে ! সত্য ঈশ্বর পিতার সম্মুখে সত্য বলবে। সত্য পিতার বাচ্চারাও
সত্য হবে। বাবা হলেন সত্য যে। তিনি সত্যই বলেন। এছাড়া সব হলো গল্পকথা। শ্রী শ্রী
১০৮ নিজেকে বলে, বাস্তবে এটা তমালা, যা জপ করে। বৌদ্ধদেরও মালা, খ্রীস্টানদেরও মালা
হয়। প্রত্যেকে নিজের ঢঙে মালা জপ করে। বাচ্চারা, তোমাদের এখন জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে,
বলো ১০৮ এর যে মালা আছে তার উপরে ফুল তো হলো নিরাকার। ওঁনাকেই সকলে স্মরণ করে।
ওঁনার স্মরণেই আমরা স্বর্গের পাটরাণী অথবা মহারাণী হই। নর থেকে নারায়ণ, নারী থেকে
লক্ষ্মী হওয়া - এটা হলো সূর্যবংশী মখমলের পাটরাণী হওয়া আবার খাদিরই হয়ে যায়। তাই
এরকম ধরনের পয়েন্টস্ বুদ্ধিতে রেখে তারপর বুঝতে হবে। আবার তোমাদের নাম খুব উজ্জ্বল
হয়ে যাবে। কথা বলতে শেরনী বা বাঘিনী হও। তোমরা হলে শিব শক্তি সেনা । অনেক প্রকারের
সেনারা আছে যে না। সেখানেও তোমরা গিয়ে দেখো কি শেখাও। লক্ষ মানুষ যায়। বাবা
বুঝিয়েছেন- ক্রিমিনাল আই খুবই ধোঁকা দিতে পারে। নিজের অবস্থাকে বর্ণনা করা উচিত (আত্ম
সমালোচনা)। অনুভব শোনানো উচিত - আমি বাড়ীতে কীভাবে থাকি? অবস্থার উপর কি প্রভাব পড়ে?
ডায়রী রাখো- কতোটা সময় এই অবস্থায় থাকতে পারি ? বাবা বোঝান জোরালো হয়ে মায়াও
জোরদার হয়ে লড়াই করে। যুদ্ধের ময়দান যে। মায়া খুবই বলবান। মায়া অর্থাৎ ৫ বিকার।
ধনকে সম্পত্তি বলা হয়, যার কাছে বেশী সম্পত্তি থাকে, অজামিলও সে-ই বেশী হয়। বাবা
বলেন- সর্বপ্রথমে তোমরা বেশ্যাদের তো বাঁচাও। তবে তারা আবার নিজেদের অ্যাসোসিয়েশন
তৈরী করবে। আমাদের তো বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। বাবা বলেন আমি
তোমাদের শিবালয়ের মালিক করতে এসেছি। এটা হলো অন্তিম জন্ম। বেশ্যাদের বোঝানো উচিত-
তোমাদের নামের কারণে ভারতের এতো আব্রু চলে গেছে। এখন বাবা এসেছেন শিবালয়ে নিয়ে
যেতে। আমরা শ্রীমত অনুযায়ী এসেছি তোমার কাছে। এখন তোমরা বিশ্বের মালিক হয়ে যাও।
ভারতের নাম উজ্জ্বল করো, আমাদের মতোন করে। আমরাও বাবাকে স্মরণ করার ফলে পবিত্র হচ্ছি।
তোমরাও এক জন্ম ঘৃণ্য কাজ ছেড়ে দাও। করুণা তো করতে হবে যে না। তারপর তোমাদের নাম
খুব উজ্জ্বল হয়ে যাবে। বলবে এর মধ্যে তো এই রকম শক্তি আছে যা এরকম নোংরা ব্যবসা, এর
থেকে সরিয়ে দিয়েছে। সকলের অ্যাসোসিয়েশন আছে। তোমরা নিজেদের অ্যাসোসিয়েশন তৈরী করে
গভর্মেন্টের থেকে যা সাহায্য দরকার চাইলে নিতে পারো। তাই এখন এরকম ছিঃ ছিঃ যারা
ভারতের নাম বদনাম করেছে, তাদের সেবা করো। তোমাদেরও ইউনিয়ন খুব দৃঢ় হওয়া উচিত। যা
১০-১২ জন নিজেদের মধ্যে মিলিত হয়ে গিয়ে বোঝাবে। মাতা'রাও ভালো। কোনো নূতন যুগল হলে,
বলে আমরা পবিত্র থাকি। পবিত্র থাকলেই বিশ্বের মালিক হয়ে উঠবো। তবে কেন পবিত্র হবো
না। সকলেই ঝাঁকে- ঝাঁকে যাবে। খুবই নম্রতার সাথে গিয়ে বলতে হবে, আমরা আপনাদের
পরমপিতা পরমাত্মার ঈশ্বরীয় সংবাদ দিতে এসেছি। এখন বিনাশ সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে। বাবা
বলেন আমি সকলকে উদ্ধার করতে এসেছি। তোমরাও এই এক জন্ম বিকারে যেও না। তোমরা বোঝাতে
পারো আমরা অর্থাৎ ব্রহ্মাকুমার- কুমারীরা নিজেদেরই তন-মন-ধন দ্বারা সার্ভিস করে থাকি।
আমরা ভিক্ষা তো চাই না। ঈশ্বরের বাচ্চা। এরকম সব প্ল্যান তৈরী করো। এরকম না যে তোমরা
সাহায্য করতে পারবে না। এরকম কাজ করো যাতে বাঃ- বাঃ হয়। হাজার জন সাহায্যকারী বেরিয়ে
আসবে। এরকম নিজেদের সংগঠন তৈরী করো। মুখ্য যারা তাদের নির্বাচিত করো, সেমিনার করো।
বাচ্চাদের সামলাতে পারবে এই রকম অনেক তো বেরিয়ে আসতে পারে। তোমরা ঈশ্বরীয় সার্ভিসে
লেগে যাও। এরকম প্র্যাকটিক্যাল হওয়া উচিত যে, শীঘ্রই সার্ভিসে বেরিয়ে যাবে। এক
দিকে এই সার্ভিস আর দ্বিতীয় কথা হলো গীতার, এই ব্যাপার গুলি মিলিয়ে নিয়ে ধরো। তোমরা
পড়াশুনা করোই এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হওয়ার জন্য। তাই এখানে তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের
নিজেদের মধ্যে মতভেদ থাকা উচিত নয়। যদি কেউ বাবার কাছে গোপন করো, সত্যি না বলো,
তবেও নিজের লোকসান করো আরোই শতগুণ পাপ চড়ে যায়। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
আমরা হলাম মিষ্টি বাবার সন্তান, নিজেদের মধ্যে বোন-ভাই হয়ে থাকতে হবে। কখনো বিকারের
দৃষ্টি রাখতে নেই। দৃষ্টিতে কোনো চঞ্চলতার থাকলে রুহানী সার্জেনকে সত্যি বলতে হবে।
২ ) কখনো নিজেদের
মধ্যে মতভেদে যেতে নেই। বড় মনের হয়ে সার্ভিস করতে হবে। নিজের তন-মন-ধনের দ্বারা,
খুবই নম্রতার সাথে সেবা করে সকলকে বাবার পরিচয় বা ঈশ্বরীয় সংবাদ দিতে হবে।
বরদান:-
প্রতিটি
কর্ম চরিত্রের রূপে গায়ন যোগ্য বানানো মহান আত্মা ভব
মহান আত্মা হলো তারা,
যাদের প্রতিটি সংকল্প, প্রতিটি কর্ম মহান হয়। একটিও সংকল্প সাধারণ বা ব্যর্থ হয় না।
কোনও কর্ম সাধারণ বা অকারণে হবে না। কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা যা কিছু কর্ম হবে সেগুলি
অর্থ সহ হবে, সময়ও মহান কাজে সফল হতে থাকবে, তখন প্রত্যেক চরিত্র গায়ন যোগ্য হবে
মহান আত্মাদেরই স্মরণিক হাসিমুখ, আকর্ষণ মূর্তি আর অব্যক্ত মূর্তির রূপে হবে।
স্লোগান:-
সম্মানের ইচ্ছা ছেড়ে স্বমানে স্থিত থাকো তাহলে সম্মান ছায়ার মতো পিছু পিছু আসবে।
অব্যক্ত ঈশারা :-
স্বয়ং আর সকলের প্রতি মনের দ্বারা যোগের শক্তিগুলির প্রয়োগ করো
যেকোনও স্থুল কাজ
করার সময় মনের দ্বারা ভায়ব্রেশন ছড়ানোর সেবা করো। যেরকম বিজনেসম্যানরা স্বপ্নেও
নিজের বিজনেস দেখতে পায়, এইরকম তোমাদের কাজ হল - বিশ্ব কল্যাণ করা। এটাই হল তোমাদের
অক্যুপেশন, এই অক্যুপেশনকে স্মৃতিতে রেখে সদা সেবাতে বিজি থাকো। যদি সেবার ফল
প্রাপ্ত হয়ে যায় তাহলে মায়াজীৎ সহজেই হয়ে যাবে এইজন্য যখনই বুদ্ধি ফ্রী থাকবে, তখনই
সেবাতে জুড়ে যাও।