15.12.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা এখন আত্মিক পিতার কাছে আত্মিক ড্রিল শিখছো, এই ড্রিলের দ্বারাই তোমরা
মুক্তিধাম, শান্তিধামে চলে যাবে"
প্রশ্নঃ -
বাবা
বাচ্চাদের পুরুষার্থ করান, কিন্তু বাচ্চাদের কোন্ বিষয়ে খুব স্ট্রিক্ট থাকা উচিত?
উত্তরঃ
পুরানো
দুনিয়াতে আগুন লাগার পূর্বে তৈরী হও, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবার স্মরণে থাকো,
বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নেওয়াতে খুব স্ট্রিক্ট থাকতে হবে । ফেল করলে চলবে
না, যেমন অনেক স্টুডেন্ট পাস করতে পারে না, তখন অনুতাপ করে, তারা মনে করে আমাদের
বছর বিফলে গেলো । অনেকে আবার বলে, না পড়লাম তো কি হলো - কিন্তু তোমাদের খুব
স্ট্রিক্ট থাকতে হবে । টিচার যেন এমন না বলে যে - টু লেট ।
ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের বাবা
তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদের এই আধ্যাত্মিক পাঠশালায় ডায়রেক্শন দেন বা এমন বলা হবে
যে, বাচ্চাদের ড্রিল শেখান । তিনি কি বলেন? "মন্মনাভব" । ওরা যেমন বলে - 'অ্যাটেনশন
প্লিজ' । বাবা বলেন - "মন্মনাভব" । এ যেন তোমরা প্রত্যেকেই নিজেদের উপর দয়া করো ।
বাবা বলেন - বাচ্চারা, মামেকম্ স্মরণ করো, অশরীরী হয়ে যাও । এই আত্মিক ড্রিল
আত্মাদের তাদের পিতাই শেখান । তিনি হলেন সুপ্রীম টিচার । তোমরা হলে নায়েব টিচার ।
তোমরাও সকলকে বলো, নিজেকে আত্মা মনে করো, বাবাকে স্মরণ করো, দেহী - অভিমানী ভব ।
মন্মনাভব এর অর্থও এই । তিনি বাচ্চাদের কল্যাণের জন্য ডায়রেক্শন দেন । তিনি নিজে
কারোর থেকেই শেখেননি । আর সব টিচার তো আগে নিজেরা শিখে তারপর শেখান । ইনি তো কোনো
স্কুল ইত্যাদিতে পড়ে শেখেননি । ইনি কেবল শেখানই । তিনি বলেন - আমি তোমাদের মতো
আত্মাদের আত্মিক ড্রিল শেখাই । ওরা সব দেহধারী বাচ্চাদের দেহের ড্রিল শেখায় । ওদের
ড্রিল ইত্যাদিও শরীরের দ্বারাই করতে হয় । এখানে তো শরীরের কোনো কথাই নেই । বাবা
বলেন যে - আমার কোনো শরীর নেই । আমি তো ড্রিল শেখাই, ডায়রেক্শন দিই । তাঁর থেকে এই
ড্রিল শেখার ড্রামার পার্ট নিয়ম অনুসারে নির্ধারিত রয়েছে । এই সেবা নির্ধারিত আছে
। তিনি এই ড্রিল শেখাতেই আসেন । তোমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে । এ তো
খুবই সহজ । এই সিঁড়ির জ্ঞান বুদ্ধিতে আছে । তোমরা কিভাবে ৮৪ জন্মের চক্র পরিক্রমা
করে নীচে নেমে এসেছো । বাবা এখন বলছেন - তোমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে । এমনভাবে আর
কেউই তার অনুসরণকারী বা স্টুডেন্টদের বলবেন না যে - আত্মা রূপী বাচ্চারা, এখন ঘরে
ফিরে যেতে হবে । আত্মাদের পিতা ছাড়া একথা কেউই বোঝাতে পারেন না । বাচ্চারা বুঝতে
পারে যে, এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে । এই দুনিয়াই এখন তমোপ্রধান । আমরা সতোপ্রধান
দুনিয়ার মালিক ছিলাম, তারপর ৮৪ জন্মের চক্র আবর্তন করে তমোপ্রধান দুনিয়ার মালিক
হয়েছি । এখানে কেবল দুঃখই দুঃখ । বাবাকে বলা হয় দুঃখহর্তা, সুখকর্তা অর্থাৎ
তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান একমাত্র বাবাই বানান । বাচ্চারা, তোমরা বুঝতে পারো যে,
আমরা অনেক সুখ দেখেছি । কিভাবে রাজত্ব করেছি, সেকথা স্মরণে নেই কিন্তু সেই এইম
অবজেক্ট এখন সামনে । সে হলো ফুলের বাগান । এখন আমরা কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হচ্ছি ।
তোমরা এমন বলবে না
যে, কিভাবে নিশ্চিত করবো । সংশয় যদি থাকে তাহলেই বিনশ্যন্তী । স্কুল থেকে কদম তুলে
নিলেই পড়া বন্ধ হয়ে যাবে । পদও বিনশ্যন্তী হয়ে যাবে । তখন অনেক ঘাটতি হয়ে যায় ।
প্রজাতেও তখন পদ কম হয়ে যাবে। মূল বিষয়ই হলো সতোপ্রধান পূজ্য দেবী - দেবতা হওয়া ।
এখন তো তোমরা দেবতা নয়, তাই না । তোমরা ব্রাহ্মণরা এখন বুঝতে পেরেছো । ব্রাহ্মণরা
এসেই বাবার কাছে এই ড্রিল শেখে । অন্দরে অনেক খুশীও হয় । এই পাঠ তো ভালো লাগে, তাই
না । ভগবান উবাচঃ হলো - যদিও ওরা কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে, তবুও তোমরা বুঝতে পারো
যে, কৃষ্ণ এই ড্রিল শেখান নি, এ তো বাবা শেখান । কৃষ্ণের আত্মা, যে ভিন্ন নাম রূপ
ধারণ করে তমোপ্রধান হয়েছে, তাঁকেও তিনিই শেখান । তিনি নিজে শেখেন না, আর সকলেই
কোথাও না কোথাও থেকে অবশ্যই শেখে । ইনি হলেন এই জ্ঞান শেখানো, আত্মাদের পিতা । তিনি
তোমাদের শেখান, তোমরা আবার অন্যদেরও শেখাও । তোমরা ৮৪ জন্মগ্রহণ করে পতিত হয়েছো,
এখন আবার তোমাদের পবিত্র হতে হবে । এরজন্য তোমরা তোমাদের আত্মিক পিতাকে স্মরণ করো ।
ভক্তিমার্গে তোমরা এই গান গেয়ে এসেছো - হে পতিত পাবন, এখনো তোমরা কোথাও গিয়ে দেখো ।
তোমরা তো রাজঋষি, তাই না । তোমরা যেকোনো জায়গায় ঘুরতে - ফিরতে পারো । তোমাদের কোনো
বন্ধন নেই । বাচ্চারা, তোমাদের এই নিশ্চয়তা আছে যে - অসীম জগতের পিতা এই সেবাতে
এসেছেন । বাবা বাচ্চাদের থেকে এই পড়ার পারিশ্রমিক কিভাবে নেবেন । টিচারের সন্তান যদি
হয়, তাহলে তো ফ্রিতেই পড়াবেন, তাই না । ইনিও বিনামূল্যেই পড়ান । এমন মনে করো না
যে, আমরা কিছু দিই । এখানে কোনো ফিস নেই । তোমরা কিছুই দাও না, এখানে তো তোমরা
বিনিময়ে অনেককিছু নাও । মানুষ দান - পুণ্য করে, মনে করে, বিনিময়ে আমরা পরের জন্মে
অনেককিছু পাবো । ওইসব অল্পকালের ক্ষণভঙ্গুর সুখ প্রাপ্ত হয় । যদিও পরের জন্মে পাওয়া
যায়, কিন্তু তা অবতরণের জন্মে মেলে । তোমরা তো সিঁড়ি দিয়ে নেমেই এসেছো, তাই না ।
এখন তোমরা যা কিছুই করো, তা উত্তরণের কলাতে যাওয়ার জন্য । কর্মের ফল তো বলা হয়,
তাই না । আত্মা তার কর্মের ফল পায় । এই লক্ষ্মী - নারায়ণও তো কর্মের ফলই পেয়েছে,
তাই না । অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে অসীম জগতের ফল পাওয়া যায় । ও পাওয়া যায়
অপ্রত্যক্ষভাবে । এও ড্রামাতে লিপিবদ্ধ । এও এক বানানো ড্রামা । তোমরা জানো যে, আমরা
আবার পরের কল্পে এসে বাবার থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার গ্রহণ করবো । বাবা বসে
আমাদের জন্য স্কুল তৈরী করেন । ওই গভর্নমেন্টের হলো শরীরধারীদের স্কুল । যা তোমরা
ভিন্ন - ভিন্ন প্রকারে অর্ধেক কল্প ধরে পড়ে এসেছো । বাবা এখন ২১ জন্মের জন্য সব
দুঃখ দূর করার জন্য পড়াচ্ছেন । ওখানে তো হলো রাজত্ব । ওখানে নম্বরের ক্রমানুসারে তো
আসেই । এখানেও যেমন রাজা - রানী, উজির, প্রজা ইত্যাদি সবাই নম্বরের ক্রমানুসারে আছে
। এ হলো পুরানো দুনিয়াতে আর নতুন দুনিয়াতে খুব অল্পই থাকবে । ওখানে অনেক সুখ থাকবে,
তোমরা এই বিশ্বের মালিক তৈরী হও । রাজা - মহারাজারা সবাই হয়ে চলে গেছে । তারা কতো
খুশীতে থাকে । বাবা কিন্তু বলেন, ওদেরও আবার নীচে নামতেই হবে । সবাই তো নীচে নামে,
তাই না । দেবতাদের কলাও ধীরে ধীরে নীচে নামতে থাকে । ওখানে কিন্তু রাবণ রাজ্য নেই
তাই সুখই সুখ । এখানে হলো রাবণ রাজ্য । তোমরা যেমন উপরে ওঠো, তেমনি নেমেও যাও ।
আত্মারা নাম রূপ ধারণ করতে করতে নীচে নেমে এসেছে । এই ড্রামার নিয়ম অনুসারে পূর্ব
কল্পের মতো নীচে নেমে তমোপ্রধান হয়ে গেছে । কাম চিতায় বসলেই দুঃখ শুরু হয়ে যায় ।
এখন হলো অতি দুঃখ । ওখানে আবার অতি সুখ হবে । তোমরা হলে রাজঋষি । ওদের হলো হঠযোগ ।
তোমরা যে কাউকেই জিজ্ঞেস করো, এই রচনার আদি - মধ্য, অন্তকে জানো কি ? তখন তারা না
বলে দেবে । যারা জানবে তারাই জিজ্ঞেস করবে । নিজেই যদি না জানে, তাহলে কি জিজ্ঞেস
করবে? তোমরা জানো যে, ঋষি - মুনি ইত্যাদি কেউই ত্রিকালদর্শী ছিলেন না । বাবা আমাদের
ত্রিকালদর্শী তৈরী করছেন । এই বাবা, যিনি বিশ্বের মালিক ছিলেন, তাঁর এই জ্ঞান ছিলো
না । এই জন্মেও ৬০ বছর পর্যন্ত এই জ্ঞান ছিলো না । বাবা যখন এসেছিলেন, তখন ধীরে ধীরে
এই জ্ঞান শুনিয়েছিলেন । যদিও নিশ্চয়বুদ্ধির হয়ে যায়, তবুও মায়া অনেককেই নামিয়ে
দিতে থাকে । নাম বলা যাবে না, তাহলে আশাহত হয়ে যাবে । খবর তো আসেই, তাই না । সঙ্গ
খারাপ মনে হলো, নতুন বিয়ে করে তার সঙ্গ হলো, তখন চলে গেলো । বলে যে, আমরা বিয়ে না
করে থাকতে পারবো না । খুব ভালো মহারথী, যে রোজ আসে, এখান থেকে অনেকবার ঘুরেও গেছে,
তাকেও মায়া রূপী কুমীর এসে ধরে ফেলেছে । এমন অনেক ঘটনা হতে থাকে । এখনো বিয়ে করে নি
এমনকে মায়া মুখে ঢুকিয়ে গিলে ফেলে । স্ত্রী রূপী মায়া আকর্ষণ করতে থাকে । কুমীরের
মুখে এসে পড়েছে তারপর ধীরে ধীরে গিলে ফেলবে । কেউ আবার ভুল করে, আর তা দেখে ফেললে
চলে যায় । মনে করে, আমি উপর থেকে একদম নীচে গর্তে পড়ে যাবো । তখন বলবে, বাচ্চা খুব
ভালো ছিলো, এখন বেচারা চলে গেলো । বিয়ের পাকা কথা হলো তো মরে গেলো । বাবা তো
বাচ্চাদের সর্বদাই বলেন, বেঁচে থাকো । মায়ার আঘাত যেন কোথাও জোরে লেগে না যায় ।
শাস্ত্রেও তো এই কথা কিছুটা আছে, তাই না । এখনকার এই কথার পরবর্তীকালে গায়ন হবে ।
তাই তোমরা তো পুরুষার্থ করাও । এমন যেন না হয় যে, কোথাও মায়া রূপী কুমীর তোমাদের
গিলে ফেলে । নানা দিক দিয়ে মায়া গ্রাস করে । মূল হলো কাম মহাশত্রু, এর থেকে খুব
সাবধানে রক্ষা পেতে হবে । পতিত দুনিয়া কিভাবে পবিত্র দুনিয়া তৈরী হচ্ছে, তোমরা তা
দেখছো । এখানে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো কথাই নেই । কেবল নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে
স্মরণ করলে সব দুঃখ দূর হয়ে যায় । বাবাই হলেন পতিত পাবন । এ হলো যোগবল । ভারতের
প্রাচীন রাজযোগ খুব বিখ্যাত । মনে করা হয় যে, ক্রাইস্টের তিন হাজার বছর পূর্বে
ভারতে স্বর্গ ছিলো । তাহলে অবশ্যই আর কোনো ধর্ম সেখানে থাকবে না । এ কতো সহজ কথা,
কিন্তু মানুষ বুঝতে পারে না । এখন তোমরা বুঝতে পারো, সেই রাজ্য আবার স্থাপনা করার
জন্য বাবা এসেছেন । পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও শিববাবা এসেছিলেন । অবশ্যই তিনি এই
জ্ঞান দিয়েছিলেন, যেমন এখন দিচ্ছেন । বাবা নিজেই বলেন, আমি কল্পে - কল্পে এই সঙ্গম
যুগে সাধারণের শরীরে এসে রাজযোগ শেখাই । তোমরা হলে রাজঋষি । আগে এমন ছিলে না । যখন
থেকে বাবা এসেছেন, তোমরা বাবার কাছেই আছো । তোমরা পড়াও করো, আবার সেবাও করো - স্থূল
সেবা আর সূক্ষ্ম সেবা । ভক্তিমার্গেও সেবা করে আবার গৃহস্থ জীবনেরও দেখাশোনা করে ।
বাবা বলেন, ভক্তি এখন সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন জ্ঞান শুরু হয় । আমি আসি জ্ঞানের দ্বারা
সদগতি করাতে । তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, বাবা আমাদের পবিত্র বানাচ্ছেন । বাবা বলেন
যে - ড্রামা অনুসারে আমি তোমাদের রাস্তা বলে দিতে এসেছি । টিচার আমাদের পড়ায়,
লক্ষ্য সামনে । এ হলো উঁচুর থেকেও উঁচু পড়া । পূর্ব কল্পেও যেমন বুঝিয়েছিলেন, তাই
এখন বোঝাতে থাকেন । ড্রামার টিক - টিক চলতেই থাকে । সেকেণ্ড বাই সেকেণ্ড যা পার
হয়েছে, তা আবার পাঁচ হাজার বছর পরে রিপিট হবে । তাই অতীত হয়েছে যা পূর্ব কল্পেও
অতীত হয়েছিলো । খুব অল্প দিন বাকি আছে । ওরা লাখ বছর বলে দেয়, তার তুলনায় তোমরা বলবে,
কিছু ঘণ্টা বাকি আছে । এও ড্রামাতেই লিপিবদ্ধ । এখন যখন আগুন লেগে যাবে, তখন সবাই
জাগবে । তখন তো টু লেট (খুব দেরী ) হয়ে যায় । বাবা তাই পুরুষার্থ করাতে থাকেন ।
তোমরা তৈরী হয়ে বসো । টিচারকে যেন এমন বলতে হয় না যে, টু লেট, যারা পাস করতে পারে
না, তারা খুব অনুতাপ করে । তারা মনে করে, আমাদের বছর বিফলে চলে যাবে । কেউ কেউ আবার
বলবে, না পড়লাম তো কি হলো ! বাচ্চারা, তোমাদের স্ট্রিক্ট থাকা উচিত । আমরা তো বাবার
কাছ থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার নেবো, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে ।
এতে যদি কোনো সমস্যা হয়, তাহলে বাবাকে জিজ্ঞেস করতে পারো । এই হলো মুখ্য কথা । বাবা
আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে বলেছিলেন - মামেকম্ স্মরণ করো । আমিই পতিত পাবন,
আমিই সকলের বাবা । কৃষ্ণ তো সকলের বাবা নন । তোমরা শিবের, কৃষ্ণের পূজারীদের এই
জ্ঞান শোনাতে পারো । আত্মা যদি পূজ্য না হয়, তাহলে তোমরা যতই মাথা ঠোকো, বুঝতে
পারবে না । এখন নাস্তিক, সম্ভবত, পরের দিকে আস্তিক হয়ে যাবে । মনে করো, বিয়ে করে
নীচে নেমে গেলো, তারপর এসে জ্ঞান শুনলো, কিন্তু তখন উত্তরাধিকার অনেক কম হয়ে যাবে,
কেননা বুদ্ধিতে অন্যের কথা এসে বসেছে । তা বের করতে খুব মুশকিল হয় । প্রথমে
স্ত্রীর কথা, তারপর বাচ্চাদের কথা মনে আসবে । বাচ্চাদের থেকেও স্ত্রী বেশী আকর্ষণ
করবে। কেননা অনেক দিনের স্মৃতি, তাই না । বাচ্চারা তো পরে হয়, তারপর মিত্র -
সম্বন্ধী, শ্বশুরবাড়ীর কথাও মনে আসে । প্রথমে স্ত্রী, যে অনেক সময় সাথ দিয়েছে, এও
এমন । তোমরা বলবে যে, আমরা দেবতাদের সঙ্গে অনেক সময় ছিলাম । এমন তো বলবে যে,
শিববাবার সঙ্গে অনেকদিনের ভালোবাসা, যিনি পাঁচ হাজার বছর পূর্বেও আমাদের পবিত্র
বানিয়েছিলেন । তিনি কল্পে - কল্পে এসে আমাদের রক্ষা করেন, তাই তো তাঁকে দুঃখহর্তা,
সুখকর্তা বলা হয় । তোমাদের লাইন খুব স্বচ্ছ হতে হবে । বাবা বলেন যে, এই চোখে তোমরা
যা কিছুই দেখো, তা কবরে চলে যায় । এখন তোমরা সঙ্গম যুগে আছো । অমরলোক এখন আসছে ।
তোমরা এখন পুরুষোত্তম হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো । এ হলো কল্যাণকারী পুরুষোত্তম
সঙ্গম যুগ । এই দুনিয়াতে দেখছো, কি কি হচ্ছে । বাবা এখন এসেছেন, পুরানো দুনিয়া এখন
শেষ হওয়ার সময় । এর পরের দিকে অনেকেই এই কথা খেয়াল করবে যে, অবশ্যই কেউ এসেছেন যিনি
এই দুনিয়াকে পরিবর্তন করছেন । এ হলো সেই মহাভারতের লড়াই । তোমরাও কতো বুদ্ধিমান
হয়েছো । এ হলো অনেক মন্থন করার মতো কথা । নিজেদের শ্বাস ব্যর্থ ক'রো না । তোমরা জানো
যে, জ্ঞানের দ্বারা শ্বাস সফল হয় । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
মায়ার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সঙ্গ দোষ থেকে নিজেকে অনেক রক্ষা করতে হবে । নিজের
লাইন স্বচ্ছ রাখতে হবে । শ্বাস ব্যর্থ করবে না । জ্ঞানের দ্বারা সফল করতে হবে ।
২ ) যখনই সময় পাবে -
যোগবল জমা করার জন্য আত্মিক ড্রিলের অভ্যাস করতে হবে । এখন কোনো নতুন বন্ধন তৈরী
ক'রো না ।
বরদান:-
বাবার
ছত্রছায়া অনুভবের দ্বারা বিঘ্ন-বিনাশকের ডিগ্রি প্রাপ্তকারী অনুভবীমূর্তি ভব
যেখানে বাবা সাথে
আছেন সেখানে কেউ কিছু করতে পারবে না। বাবার এই সাথে থাকার অনুভবই ছত্রছায়া হয়ে যায়।
বাপদাদা বাচ্চাদেরকে সর্বদা রক্ষা করেন। পরীক্ষা আসে তোমাদেরকে অনুভবী বানানোর জন্য।
এইজন্য সর্বদা বুঝতে হবে যে এই পরীক্ষা পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করার জন্য আসে। এর
দ্বারাই সবসময়ের জন্য বিঘ্ন-বিনাশকের ডিগ্রি আর অনুভবীমূর্তি হওয়ার বরদান প্রাপ্ত
হয়ে যাবে। যদি এখন কেউ অল্প একটু চিৎকার করে বা বিঘ্ন দেয়ও, কিন্তু সে-ও ধীরে-ধীরে
ঠান্ডা হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
যারা
সময় অনুসারে সহযোগী হয়, তাদের পদমগুণ ফল প্রাপ্ত হয়।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
সম্পন্ন বা কর্মাতীত হওয়ার ধুন লাগাও
যেরকম দেখা, শোনা এবং
শোনানো - এই বিশেষ কর্ম সহজ অভ্যাসে এসে গেছে, এইরকম কর্মাতীত হওয়ার স্টেজ অর্থাৎ
কর্মকে সমাহিত করার শক্তি দ্বারা অকর্মী অর্থাৎ কর্মাতীত হয়ে যাও। এক হল কর্ম অধীন
স্টেজ, দ্বিতীয় হল কর্মাতীত অর্থাৎ কর্ম অধিকারী স্টেজ। তো চেক করো আমাদের অর্থাৎ
কর্মেন্দ্রিয় জীৎ অর্থাৎ স্বরাজ্য অধিকারী রাজাদের রাজ্য কারবার ঠিকঠাক চলছে?