16.01.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা ‐
স্মরণের চার্ট রাখো, যত যত স্মরণে থাকার অভ্যাস গড়ে উঠবে ততই পাপ কাটতে থাকবে,
কর্মাতীত অবস্থা সমীপে আসতে থাকবে"
প্রশ্নঃ -
চার্ট ঠিক আছে
কি নেই, তার নিরুপণ কোন্ চারটি বিষয়ের থেকে হয়ে যায়?
উত্তরঃ
১) তোমার
ব্যক্তিত্ব (আসামী), ২) আচার-আচরণ (চলন), ৩) সার্ভিস, আর ৪) খুশী । বাপদাদা এই চারটি
বিষয় দেখে বলে দেন যে এর চার্ট ঠিক আছে কি নেই? যে বাচ্চারা মিউজিয়াম বা প্রদর্শনীতে
সার্ভিসে থাকে, যাদের আচার-আচরণ হলো রয়্যাল, অপার খুশিতে থাকে, তাদের চার্ট অবশ্যই
ঠিক হবে ।
গীতঃ-
চেহারা দেখ রে
প্রাণী মনের দর্পণে.....
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা গান
শুনেছে, এর অর্থও জানা উচিত যে কতখানি পাপ আরও রয়ে গেছে, কতটা পুণ্য সঞ্চিত হয়েছে
অর্থাৎ আত্মাকে সতোপ্রধান হতে আরও কত সময় লাগবে? এখন কতটা পবিত্র হয়েছো - এটা তো
বুঝতে পারো তাইনা ? চার্টে কেউ লেখে আমি দুই-তিন ঘন্টা স্মরণে থাকি, কেউ লেখে এক
ঘন্টা । স্মরণের জন্য এই সময় কম । কম স্মরণ করলে অল্প পাপ কাটবে । এখনও তো অনেক পাপ
রয়েছে যা কাটেনি । আত্মাকেই প্রাণী বলা হয় । এখন বাবা বলেন - হে আত্মা, নিজেকে
জিজ্ঞাসা করো এই হিসাবে পাপ কতটা কেটেছে? চার্টেই জানা যায় - আমি কতখানি পুণ্য আত্মা
হতে পেরেছি । বাবা বুঝিয়েছেন, কর্মাতীত অবস্থা অন্তিমে গিয়ে হবে । স্মরণ করতে করতে
অভ্যাস গড়ে উঠবে আর পাপ দ্রুত বিনাশ হতে থাকবে । নিজেকে যাচাই করে দেখতে হবে আমি
বাবার স্মরণে কতখানি থাকি? এখানে বাড়িয়ে বলার কোনো প্রশ্ন নেই । নিজেকেই যাচাই করতে
হবে । বাবাকে চার্ট লিখে দিলে বাবা চট করে বলে দেবেন এই চার্ট ঠিক আছে কি নেই ।
তোমার ব্যক্তিত্ব, আচার আচরণ, সার্ভিস আর খুশী দেখে বাবা চট করে বুঝে যান এর চার্ট
কেমন । প্রতিটি মুহূর্ত স্মরণ কাদের থাকবে? যারা মিউজিয়াম বা প্রদর্শনীর সার্ভিসে
থাকবে, কারণ মিউজিয়ামে সারাদিন মানুষের আসা যাওয়া থাকে । দিল্লিতে প্রচুর মানুষ আসে
। প্রতিটি মুহূর্তে বাবার পরিচয় দিতে হয়। মনে করো কাউকে তুমি বলছো বিনাশের আর অল্প
সময় বাকি আছে । তারা বলবে এটা কি করে হতে পারে? সাথে সাথে বলা উচিত, এ কথা আমার নয়,
ভগবানুবাচ, তাইনা । ভগবানুবাচ তো অবশ্যই সত্য হবে, তাই না ! সেইজন্যই বাবা প্রতি
মুহূর্তে বলেন যে এটা শিববাবার শ্রীমৎ । আমি বলছি না, শ্রীমৎ ওনার । তিনিই হলেন
সত্য । প্রথমে অবশ্যই বাবার পরিচয় দেওয়া উচিত সেইজন্য বাবা বলেছেন প্রতিটি চিত্রে
লিখে দাও - শিব ভগবানুবাচ । তিনি তো সত্যই বলবেন, আমরা তো কিছুই জানিনা । বাবা
বলেছেন তাই আমরা বলছি । কখনও কখনও সংবাদপত্রেও প্রচারিত হয় - অমুকে ভবিষ্যদ্বাণী
করেছে যে বিনাশ খুব শীঘ্রই হবে ।
এখন তোমরা অসীম জগতের
পিতার সন্তান । প্রজাপিতা ব্রহ্মা কুমারীরা তো অসীম জগতের, তাইনা । তোমরা বলবে আমরা
অসীম জগতের পিতার সন্তান । তিনিই হলেন পতিত-পাবন জ্ঞানের সাগর । প্রথমে এই বিষয়টিকে
ভালো ভাবে বুঝে নিয়ে, পাক্কা করে তারপর এগোনো উচিত। শিববাবা বলেছেন যাদব, কৌরবদের
বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি হয় । শিববাবার নাম নিলে বাচ্চাদেরও কল্যাণ হবে, শিববাবাকেই
স্মরণ করতে থাকবে । বাবা তোমাদের যা বুঝিয়েছেন, তোমরা সেটা অন্যদের বোঝাও । সার্ভিস
প্রদানকারীদের চার্ট এতে খুব ভালো থাকে । সারাদিনে ৮ ঘন্টা সার্ভিসে বিজি থাকে ।
মাঝে ১ ঘন্টা বিশ্রাম নেয় । তারপর আবার ৭ ঘন্টা সার্ভিসে থাকে । সুতরাং বোঝানো উচিত
তাদের বিকর্ম কত বিনাশ হয়ে যাচ্ছে । প্রতিটি মুহূর্তে যারা অনেককে বাবার পরিচয় দিয়ে
চলেছে এমন সেবাধারী বাচ্চারা বাবারও খুব প্রিয় হয়ে উঠবে । বাবা দেখেন এ তো অনেকের
কল্যাণ করছে, রাত-দিন এটাই ভাবনা চলে - আমাকে অনেকের কল্যাণ করতে হবে । বাচ্চাদের
এমনটাই থাকা উচিত । টিচার হয়ে অনেককে পথ দেখাতে হবে । প্রথমে এই নলেজ সম্পূর্ণরূপে
ধারণ করতে হবে । কারো কল্যাণ না করলে বোঝা যায় যে এর ভাগ্যে নেই। বাচ্চারা বলে -
বাবা, আমাদের চাকরি করা থেকে মুক্তি দাও, আমরা এই সেবায় নিযুক্ত হতে চাই। বাবাও
দেখেন প্রকৃতপক্ষেই এই আত্মা সার্ভিসের উপযুক্ত এবং বন্ধনমুক্ত, তখনই বলেন ৫০০ -
১০০০ উপার্জনের চেয়ে এই সেবার দ্বারা অনেকের কল্যাণ করো । যদি বন্ধনমুক্ত হও তবেই।
বাবা সার্ভিসেবল দেখলে তবেই অনুমতি দেবেন । সার্ভিসেবল বাচ্চাদের এখানে ওখানে ডেকে
পাঠানো হয় । স্কুলে স্টুডেন্টস পড়াশোনা করে তাই না ! এটাও হল ঈশ্বরীয় পঠনপাঠন, কোনও
সাধারণ বিষয় নয় । সত্য (সৎ) অর্থাৎ সত্য বলেন যিনি। আমরা শ্রীমৎ অনুসারে আপনাদেরকে
বোঝাচ্ছি । ঈশ্বরের মত তোমরা এখনই পেয়ে থাকো ।
বাবা বলেন, তোমাদের
ফিরে যেতে হবে । এখন অসীম সুখের উত্তরাধিকার গ্রহণ করো, কল্পে-কল্পে তোমরা
উত্তরাধিকার পেয়ে আসছো, কেননা স্বর্গের স্থাপনা তো কল্পে-কল্পে হয়, তাইনা। কেউ
জানেনা এই সৃষ্টি চক্র ৫ হাজার বছরের । মানুষ তো রয়েছে ঘোর অন্ধকারে, তোমরা এখন
আলোর উজ্জ্বলতায়। স্বর্গ স্থাপনা তো বাবাই করবেন । গায়ন আছে খড়ের গাদায় আগুন লেগে
গেলো তবুও মানুষ অজ্ঞানতার নিদ্রায় ঘুমিয়ে । বাচ্চারা তোমরা জানো অসীম জগতের বাবা
হলেন জ্ঞানের সাগর । উচ্চ থেকেও উচ্চ বাবার কর্তব্যও উচ্চ । এমন নয়, ঈশ্বর সমর্থ,
তাই যা চান তা-ই করতে পারেন । তা নয়, এই ড্রামা অনাদি । সবকিছুই ড্রামানুসারে চলে ।
লড়াই ইত্যাদিতে কত মানুষ মারা যায় । এটাও ড্রামায় নির্ধারিত, এতে ভগবান কি করতে
পারেন । আর্থকোয়েক ইত্যাদি হলে মানুষ হাহাকার করে মাথা ঠোকে আর বলে - হে ভগবান!
কিন্তু ভগবান কি করতে পারেন । ভগবানকে তো তোমরাই আহ্বান করে বলেছো - এসে বিনাশ করো
। পতিত দুনিয়াতে ডেকেছো, স্থাপনা করে সবকিছু বিনাশ করো । আমি কিছুই করিনা, ড্রামায়
এটাই নির্ধারিত । কোনো কারণ ছাড়াই রক্তপাত ঘটবে । এখানে বাঁচানোর কোনও প্রশ্নই নেই
। তোমরা বলেছো - পবিত্র দুনিয়া বানাও, নিশ্চয়ই পতিত আত্মারা যাবে, তাইনা । কেউ কেউ
তো এমনও আছে যে কিছুই বোঝেনা । শ্রীমতের অর্থও বোঝেনা ,ভগবান কে, কাকে বলে কিছুই
বোঝে না । কিছু বাচ্চা আছে যারা পড়াশোনা করে না, তাদের বাবা মা বলে থাকে তুমি তো
পাথর বুদ্ধি হয়ে গেছো, সত্য যুগে এমনটা বলা হয় না । কলিযুগ হলো পাথর বুদ্ধি (জড়
বুদ্ধি সম)। পারস বুদ্ধির এখানে কেউ হতে পারে না । আজকাল দেখো মানুষ কত কি করছে,
একটা হার্ট বের করে অন্যটা প্রতিস্থাপন করছে । আচ্ছা, এত পরিশ্রম কিন্তু কি লাভ এতে?
এমনটা করে আরও কিছুদিন জীবিত থাকবে । সাফল্যের জন্য অনেক কিছু শিখে আসে, লাভ তো
কিছুই নেই । ভগবানকে স্মরণ এইজন্যই করে যে, এসে আমাদের পবিত্র দুনিয়ার মালিক করে
তোলো । পতিত দুনিয়াতে অনেক দুঃখ ভোগ করছি। সত্যযুগে কোনও অসুখ, দুঃখের লেশমাত্র নেই
। এখন বাবার কাছ থেকে তোমরা কত উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে চলেছো । এখানেও মানুষ পড়াশোনা
করে উচ্চ ডিগ্রি প্রাপ্ত করে বড় খুশিতে থাকে । বাচ্চারা, তোমরা জানো এই আত্মা আরও
অল্প কিছুদিন বেঁচে থাকবে, পাপের বোঝা তো অনেক সঞ্চিত হয়ে আছে । অনেক সাজা পেতে হবে
। নিজেকে পতিত তো বলে, অথচ বিকারে যাওয়া পাপ বলে মনে করে না । পাপ আত্মা হয়ে যায় ।
বলা হয় গৃহস্থ আশ্রম, সুতরাং অনাদি চলে আসছে । সত্যযুগে - ত্রেতাতে পবিত্র গৃহস্থ
আশ্রম ছিল । পাপ আত্মা ছিলনা। এখানে পাপ আত্মা, সেইজন্যই তারা দুঃখী । এখানে
অল্পকালের সুখ । অসুখ হলেই মারা যায় । মৃত্যু যেন মুখ খুলেই দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ করেই
হার্ট ফেল হয়ে যায় । এখানে কাকবিষ্ঠা সম সুখ । ওখানে তোমাদের অতীব সুখ । তোমরা
সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হয়ে ওঠো । কোনও রকম দুঃখ ভোগ করতে হবে না। না গরম, না ঠান্ডা,
সবসময়ই রঙিন, চির বসন্ত বিরাজ করবে । তত্ত্বও নিয়মানুযায়ী থাকে । স্বর্গ তো স্বর্গই
। দিন রাতের পার্থক্য । তোমরা স্বর্গের স্থাপনা করার জন্যই বাবাকে আহ্বান করে থাকো,
বলো তুমি এসে পবিত্র দুনিয়া স্থাপন করো, আমাদের পবিত্র করে তোলো ।
প্রতিটি চিত্রে শিব
ভগবানুবাচ লেখো, এর দ্বারা প্রতিটি মুহূর্তে শিববাবা স্মরণে আসবে । জ্ঞানও দিতে
থাকবে । মিউজিয়াম বা প্রদর্শনীর সার্ভিসে জ্ঞান আর যোগ দুটোই একত্রে হয় । স্মরণে
থাকলে নেশাও বৃদ্ধি পাবে (ঈশ্বরীয় নেশা) । তোমরা পবিত্র হয়ে সম্পূর্ণ বিশ্বকে
পবিত্র করে তোলো । তোমরা যখন পবিত্র হও সৃষ্টিও অবশ্যই পবিত্র হওয়া চাই । অন্তিমে
বিনাশের কারণে সবার হিসেব-নিকাশ মিটে যাবে । তোমাদের জন্যই আমাকে নতুন সৃষ্টির
উদ্ঘাটন করতে হয় । তারপর ব্রাঞ্চেস খুলতেই থাকে। পবিত্র করার জন্য সত্যযুগের নতুন
দুনিয়ার ফাউন্ডেশন বাবা ছাড়া আর কেউই স্থাপন করতে পারবে না । সুতরাং এমন বাবাকে
স্মরণ করা উচিত । তোমরা মিউজিয়াম ইত্যাদির উদ্ঘাটন কোনও বিখ্যাত মানুষকে দিয়ে করালে
সাড়া পাওয়া যাবে। মানুষ বুঝবে এরাও এখানে আসেন । কেউ বলে তুমি লিখে দাও আমি বক্তব্য
রাখবো । এটা করা ভুল । ভালোভাবে বুঝে মুখেই বোঝাতে হবে । কেউ তো লেখা দেখে শোনায়,
যাতে অ্যাকুরেট হয় । বাচ্চারা, তোমাদের তো ওরালিই (মুখেই) বোঝাতে হবে । তোমাদের
আত্মায় সমস্ত নলেজ আছে তাইনা । তোমরা অন্যদেরও দিয়ে থাকো । প্রজা বৃদ্ধি পেতেই থাকে
। আদমসুমারীও বাড়তে থাকে তাই না! সমস্ত বৃক্ষে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে । যারা তোমাদের
ধর্মের হবে তারা বেরিয়ে আসবে । নম্বরানুসারে আছে তো না ! সবাই একরস স্থিতিতে পড়াশোনা
করতে পারে না । কেউ ১০০ তে এক নম্বরও পেতে পারে । অল্প শুনেছে, এক নম্বর পেলেও
স্বর্গে চলে যাবে । এ হলো অসীম জগতের পড়াশোনা, যা অসীম জগতের বাবা এসে পড়ান ।
সর্বপ্রথম সবাইকে মুক্তিধামে নিজের ঘরে যেতে হবে তারপর নম্বরানুসারে আসবে । কেউ কেউ
তো ত্রেতার শেষেও আসবে । এটাই বোঝার বিষয় । বাবা জানেন রাজধানী স্থাপন হচ্ছে, সবাই
একরস হবেনা। রাজত্বে সবরকম ভ্যারাইটির প্রয়োজন । প্রজাদের বাইরের লোক বলা হয় । বাবা
বুঝিয়েছেন ওখানে উজীর ইত্যাদির প্রয়োজন নেই । তারা শ্রীমৎ অনুসারে চলে প্রজা হয়েছে
। কারও পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না । তারপর যখন পতিত হয় তখন একজন উজীর, এক
রাজা-রাণী হয় । এখন তো কত উজীর । পঞ্চায়েত রাজ্য তাই না ! একজনের মত এর সাথে
অন্যজনের মত মেলে না । যখন কারো সাথে বন্ধুত্ব হয় তাকে কিছু বলো সে কাজটা করে দেবে
। দ্বিতীয় কেউ এলো সে কিছুই বুঝল না , না বোঝার কারণে কাজটাই বিগড়ে যায় । একের
বুদ্ধি অন্যের সাথে মেলে না । ওখানে তোমাদের সর্বকামনা পূর্ণ হয়ে যায় । এখানে তোমরা
কত দুঃখ ভোগ করেছো এর নামই হলো দুঃখধাম । ভক্তি মার্গে কত ধাক্কা খায়, এটাও ড্রামা।
যখন সবাই দুঃখী হয়ে পড়ে তখনই বাবা এসে সুখের উত্তরাধিকারী করে তোলেন । বাবা তোমাদের
বুদ্ধিকে খুলে দিয়েছেন । মানুষ তো বলে বিত্তবানদের জন্য স্বর্গ, গরিবদের জন্য নরক ।
তোমরা প্রকৃত অর্থে জানো - স্বর্গ কাকে বলে । সত্যযুগে কেউ করুণার সাগর বলে আহ্বান
করবে না । এখানে ডেকে বলে - দয়া করো, মুক্ত করো । বাবা-ই সবাইকে শান্তিধাম, সুখধামে
নিয়ে যান । অজ্ঞানকালে তোমরাও কিছু জানতে না। যিনি নম্বর ওয়ান তমোপ্রধান তিনিই
নম্বর ওয়ান সতোপ্রধান হন। তিনি নিজের মহিমা করেন না । মহিমা তো একজনেরই
লক্ষ্মী-নারায়ণকে বানান যিনি । তিনি উচ্চ থেকেও উচ্চ ভগবান। তিনিই উচ্চ করে তোলেন ।
বাবা জানেন, সবাই উচ্চ হবে না । তারপরও পুরুষার্থ করতে হয় ( উচ্চ হওয়ার জন্য)। তোমরা
এখানে আস নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য । বাচ্চারা বলে - বাবা, আমরা তো স্বর্গের
বাদশাহী নেব । আমরা সত্যনারায়ণের সত্য কথা শুনতে এখানে এসেছি। বাবা বলেন আচ্ছা,
তোমাদের মুখে গোলাপ, পুরুষার্থ করো। সবাই তো লক্ষ্মী-নারায়ণ হবে না । রাজধানী
স্থাপন হচ্ছে । রাজ পরিবারের পাশাপাশি প্রজা পরিবারেরও অনেক প্রয়োজন । বাচ্চারা
আশ্চর্যবৎ শুনন্তি, কথন্তি (অন্যদেরও শোনায়), তারপর ছেড়ে চলে যায় ....তারপর ফিরেও
আসে । যে বাচ্চা নিজের কিছু না কিছু উন্নতি করে সে উপরে উঠতে থাকে । গরিবই নিজেকে
সমর্পণ করে । দেহ সহ আর কেউ যেন স্মরণে না আসে । লক্ষ্য অনেক উচ্চ । যদি কারো সাথে
সম্বন্ধ জুড়ে থাকে তাকেই স্মরণ করবে । বাবাকে স্মরণ কি করে হবে? সারাদিন অসীম জগতের
প্রতি বুদ্ধিকে জুড়ে রাখতে হবে । কত পুরুষার্থ করতে হয় । বাবা বলেন আমার বাচ্চাদের
মধ্যেও উত্তম, মধ্যম এবং কনিষ্ঠ রয়েছে (পুরুষার্থ অনুযায়ী)। অন্য কেউ যদি এখানে আসে
বুঝতে পারা যায় যে ইনি হলেন পতিত দুনিয়ার । তারপর যজ্ঞে সার্ভিস করলে তাকেও
রিগার্ড দিতে হয় । বাবা তো যুক্তিবাদী তাই না ! অন্যথায় এই টাওয়ার অফ সাইলেন্স,
হোলিয়েস্ট অফ হোলি টাওয়ার, যেখানে হোলিয়েস্ট অফ হোলি বাবা সমগ্র বিশ্বকে বসে
পবিত্র করে তোলেন । এখানে কোনও পতিত আসতে পারে না । কিন্তু বাবা বলেন আমি এসেছি সব
পতিতদের পবিত্র করে তুলতে । এই খেলায় আমারও পার্ট রয়েছে । আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ স্মরণ আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের চার্টকে দেখে বিচার করতে হবে যে কতটা পুণ্য সঞ্চয় করেছি? আত্মা কতখানি
সতোপ্রধান হয়েছে? স্মরণে থেকে সব হিসেব-নিকাশ মেটাতে হবে ।
২ ) স্কলারশিপ নেওয়ার
জন্য সার্ভিসেবল হয়ে অনেকের কল্যাণ করতে হবে । বাবার প্রিয় হতে হবে । টিচার হয়ে
অনেককে রাস্তা বলে দিতে হবে ।
বরদান:-
নিজের
ফরিস্তা স্বরূপের দ্বারা সবাইকে স্বর্গের অধিকার প্রদানকারী আকর্ষণ মূর্তি ভব
ফরিস্তা স্বরূপের এমন
ঝলমলে ড্রেস ধারণ করো যাতে দূর-দূরান্ত থেকে আত্মাদেরকে নিজের প্রতি আকর্ষণ করতে
পারো আর সবাইকে ভিক্ষারী ভাবের থেকে মুক্ত করে স্বর্গের অধিকারী বানিয়ে দিতে পারো,
এরজন্য জ্ঞান মূর্তি, স্মরণ মূর্তি আর সর্ব দিব্যগুণ মূর্তি হয়ে উড়ন্ত কলাতে স্থিত
থাকার অভ্যাস বৃদ্ধি করতে থাকো। তোমাদের উড়ন্ত কলা-ই সবাইকে চলতে-ফিরতে ফরিস্তা তথা
দেবতা স্বরূপের সাক্ষাৎকার করাবে। এটাই হলো বিধাতা, বরদাতা ভাবের স্টেজ।
স্লোগান:-
অন্যদের মনের ভাবকে জানার জন্য সদা মন্মনা ভব-র স্থিতিতে স্থিত থাকো।
নিজের শক্তিশালী
মন্সার দ্বারা সকাশ দেওয়ার সেবা করো -
মন্সা শক্তির দর্পণ
হলো - বাণী আর কর্ম। অজ্ঞানী আত্মা হোক বা জ্ঞানী আত্মা - সকলের সম্বন্ধ-সম্পর্কে
বাণী আর কর্ম - শুভ ভাবনা, শুভ কামনাযুক্ত হবে। যার মন্সা শক্তিশালী বা শুভ হবে,
তার বাণী আর কর্মণা স্বতঃই শক্তিশালী আর শুদ্ধ হবে, শুভ ভাবনাযুক্ত হবে। মন্সা
শক্তিশালী অর্থাৎ স্মরণের শক্তি শ্রেষ্ঠ হবে, শক্তিশালী হবে আর সহজযোগী হবে।