16-06-2024 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 03-03-20 মধুবন


"শুভ ভাব এবং প্রেম ভাবকে ইমার্জ করে, মহাশত্রু ক্রোধের উপরে বিজয়ী হও"


আজ বাপদাদা নিজের জন্ম-সাথীদের, সেইসঙ্গে সেবার সাথীদেরকে দেখে উৎফুল্ল হচ্ছেন। আজ তোমাদের সকলেরও বাপদাদার অলৌকিক জন্ম, সাথে জন্ম-সাথীদের জন্ম-দিবসের খুশি রয়েছে, কেন? এমন স্বতন্ত্র অথচ অতি প্রিয় অলৌকিক জন্ম আর কারও হতে পারে না। এইরকম কখনও হয়তো শুনবে না যে বাবার জন্মদিন যেটা আর বাচ্চাদেরও জন্মদিবস সেটা। অনুপম অথচ প্ৰিয় এই অলৌকিক হিরেতুল্য জন্ম তোমরা আজ উদযাপন করছো। সেইসঙ্গে তোমাদের সকলেরই এই অলৌকিক জন্মদিনের অনুপম এবং প্রিয়ভাব স্মৃতিতে আছে, যা কিনা এমন বিচিত্র যে স্বয়ং ভগবান বাচ্চাদের জন্মদিন উদযাপন করছেন। পরম আত্মা বাচ্চাদের, শ্রেষ্ঠ আত্মাদের জন্ম-দিবস উদযাপন করছেন। দুনিয়াতে কিছু লোক বলার জন্য বলে যে আমাদের জন্ম দিয়েছেন ভগবান, পরম আত্মা। কিন্তু না তারা জানে, না সেই স্মৃতিতে চলে। তোমরা সবাই অনুভবের সাথে বলো - আমরা পরমাত্ম-বংশী, ব্রহ্মা-বংশী। পরম আত্মা আমাদের জন্ম-দিবস উদযাপন করেন। আমরা পরমাত্মার জন্ম-দিবস উদযাপন করি।

আজ সবদিক থেকে এখানে পৌঁছেছে, কিসের জন্য? অভিনন্দন জানাতে এবং অভিনন্দিত হতে। তো বাপদাদা বিশেষভাবে নিজের জন্ম-সাথীদের অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সেবার সাথীদেরও অভিনন্দন জানাচ্ছেন। অভিনন্দনের সাথে পরম-প্রেমের মুক্তো, হিরে, জহরতের বর্ষণ করছেন। প্রেমের মুক্তো দেখেছো তো না। প্রেমের মুক্তো কী তা' জানো তো, তাই না? ফুলের বর্ষা, সোনার বর্ষা তো সবাই করে, কিন্তু বাপদাদা তোমাদের সবার উপরে পরম-প্রেম, অলৌকিক স্নেহের মুক্তোর বর্ষণ করছেন। এক গুন নয়, হৃদয় থেকে পদ্ম-পদ্ম-পদ্ম গুন অভিনন্দন জানাচ্ছেন। তোমরাও সবাই হৃদয় থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছো, সেসব বাপদাদার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তো আজকের দিন উদযাপন করার আর অভিনন্দিত হওয়ার দিন। উদযাপনের সময় তোমরা কী করো? ব্যান্ড বাজাও। তো বাপদাদা সব বাচ্চার মনের খুশির ব্যান্ড বলো, বাজনা বলো, গান শুনছেন। ভক্তরা আর্তস্বরে ডাকছে আর তোমরা বাচ্চারা বাবার ভালোবাসায় সমাহিত হয়ে যাও। কীভাবে সমাহিত হতে হয় জানো তো না? এই সমাহিত হওয়াই সমান বানায়।

বাপদাদা বাচ্চাদেরকে নিজের থেকে আলাদা করতে পারেন না। বাচ্চারাও আলাদা হতে চায় না, কিন্তু কখনো কখনো মায়ার খেলায় তোমরা একটু পাশে সরে যাও। বাপদাদা বলেন - তোমরা সব বাচ্চার সহায় আমি, বাচ্চারা অশান্ত হয়, তাই না। মায়া অশান্ত বানায়, তোমরা তেমন নও, মায়া বানিয়ে দেয়। যিঁনি সহায় তাঁর থেকে সরিয়ে নেয়। তবুও বাপদাদা সহায় হয়ে সমীপে নিয়ে আসে। বাপদাদা সব বাচ্চাকে জিজ্ঞাসা করেন প্রত্যেকে জীবনে কী চায়? ফরেনার্স দুটো বিষয় খুব পছন্দ করে। ডবল ফরেনারদের ফেভারিট দুটো শব্দ কী? (কম্প্যানিয়ন আর কোম্পানি) এই দুটো পছন্দ। যদি পছন্দ তো এক হাত তোলো। ভারতের তোমাদের পছন্দ? কম্প্যানিয়নও অবশ্যক আর কম্পানিও অবশ্যাক। কম্পানি ছাড়াও থাকতে পারো না আর কম্প্যানিয়ন ছাড়াও থাকতে পারো না। তোমাদের সকলের কী প্রাপ্তি হয়েছে? কম্প্যানিয়ন প্রাপ্ত হয়েছে? বলো - হ্যাঁ বাবা (হাঁ জী) কিংবা না বাবা (না জী) । (হাঁ জী) কম্পানি প্রাপ্ত হয়েছে? (হাঁ জী) এমন কম্পানি আর এমন কম্প্যানিয়ন সারা কল্পে প্রাপ্ত হয়েছিল? কল্পের পূর্বে প্রাপ্ত হয়েছিল? এমন কম্প্যানিয়ন যিনি কখনো পাশে সরিয়ে দেন না, যতই অশান্ত হয়ে যাও না কেন কিন্তু তবুও তিনি তোমাদের সহায়ই হন। আর যা তোমাদের হৃদয়ের প্রাপ্তি, সেই সর্বপ্রাপ্তি তিনি পূর্ণ করেন। কোনো অপ্রাপ্তি আছে তোমাদের? সবার হৃদয় হ্যাঁ বলে, নাকি মর্যাদা রক্ষার্থে 'হ্যাঁ' বলো? গেয়ে তো থাকো, যা পাওয়ার ছিল তা' পেয়ে গেছি, নাকি পাওয়া বাকি আছে? পেয়ে গেছো তোমরা? এখন পাওয়ার কিছু নেই, নাকি অল্প অল্প আশা থেকে গেছে? সব আশা পুরো হয়ে গেছে, নাকি বাকি রয়ে গেছে? বাপদাদা বলেন রয়ে গেছে। (বাবাকে প্রত্যক্ষ করানোর আশা রয়ে গেছে) এটা তো বাবার আশা যে সব বাচ্চা যেন জ্ঞাত হয় বাবা এসে গেছেন আর কেউ যেন থেকে না যায়!.... সুতরাং বাপদাদার এটা বিশেষ আশা যে নিদেনপক্ষে সবাই এটা তো জানুক যে আমাদের সদাকালের বাবা এসেছেন। কিন্তু বাচ্চাদের সীমিত অন্যান্য আশা পূর্ণ হয়ে গেছে, ভালোবাসার আকাঙ্খা আছে। প্রত্যেকের চাহিদা রয়েছে - স্টেজে আসার, এই আশা আছে তোমাদের? (এখন তো বাবা স্বয়ং সবার কাছে আসেন) এই আশাও পূর্ণ হয়ে গেছে? তোমরা সন্তুষ্ট আত্মা, অভিনন্দন কেননা, সব বাচ্চা সমঝদার। তোমরা বুঝতে পারো যে যেমন সময় তেমন স্বরূপ বানাতেই হবে। সেইজন্য বাপদাদাও ড্রামার বন্ধনে আছেন তো না! তাইতো সব বাচ্চা সব সময় সময় অনুসারে সন্তুষ্ট এবং সদা সন্তুষ্টমনি হয়ে ঝলমল করতে থাকে। কেন? তোমরা নিজেরাই বলো - যা পাওয়ার ছিল তা' পেয়ে গেছি। এটা ব্রহ্মাবাবার আদি অনুভবের বোল, সুতরাং যা ব্রহ্মা বাবার বোল তা' সকল ব্রাহ্মণের বোল। তাইতো বাপদাদা সব বাচ্চাকে এটাই রিভাইস করাচ্ছেন যে সদা বাবার কম্পানিতে থাকো। বাবা সর্ব-সম্বন্ধের অনুভব করিয়েছেন। তোমরা বলেও থাকো যে সর্ব সম্বন্ধে বাবাই আছেন। তিনি যখন সর্ব সম্বন্ধে আছেন তখন যেমন সময় তেমন সম্বন্ধকে কেন কার্যে প্রয়োগ করো না! তাছাড়া, এই সর্ব-সম্বন্ধ সময় সময়তে যদি অনুভব করতে থাকো তবে কম্প্যানিয়নও হবে, কম্পানিও হবে। অন্য কোনও দিকে মন আর বুদ্ধি যেতে পারে না। বাপদাদা অফার করছেন - যখন সর্ব-সম্বন্ধের অফার করছেন তখন সর্ব-সম্বন্ধের সুখ নাও। সম্বন্ধ কার্যে প্রয়োগ করো।

বাপদাদা যখন দেখেন - কিছু কিছু বাচ্চা কোনো কোনো সময় নিজেকে একলা অথবা একটু নীরস অনুভব করে তখন বাপদাদার করুণা হয় যে, এমন শ্রেষ্ঠ কম্পানি থাকতে, কম্পানিকে কেন কাজে লাগায় না? তারপরে কী বলো তোমরা? হোয়াই হোয়াই (why-why), বাপদাদা বলেছেন, হোয়াই বোলো না - যখন এই শব্দ আসে, হোয়াই হলো নেগেটিভ আর পজিটিভ হলো 'ফ্লাই' (fly), তো হোয়াই হোয়াই কখনো ক'রো না। স্মরণে রাখো ফ্লাই। বাবাকে সাথী বানিয়ে সাথে নিয়ে ফ্লাই করো তবে বড়োই মজা হবে। সেই কম্পানি আর কম্প্যানিয়ন দুই রূপে সারাদিন কার্য-প্রয়োগে নিয়ে এসো। এমন কম্প্যানিয়ন আবার পাবে? বাপদাদা এতখানিও বলেন - যদি তোমরা মাথা আর শরীর দুয়েই ক্লান্ত হয়ে যাও তো কম্প্যানিয়ন দু'ভাবেই মালিশ করার জন্যও প্রস্তুত। মনোরঞ্জন করানোর জন্যও এভাররেডি। তারপরে আর সীমিত মনোরঞ্জনের প্রয়োজনই পড়বে না। এইভাবে ইউজ করতে জানো তো না? নাকি মনে করো বড়' র থেকেও বড় বাবা রয়েছেন, টিচার রয়েছেন, সদ্গুরু রয়েছে...? সর্ব-সম্বন্ধ আছে। বুঝেছো - ডবল বিদেশিরা?

আচ্ছা - সবাই তোমরা বার্থ ডে উদযাপন করতে এসেছো তো না! উদযাপন করবে তো, তাই না! আচ্ছা যখন বার্থ ডে পালন করো, তো যার বার্থ ডে পালন করো তাকে গিফ্ট দাও নাকি দাও না? (দিই) তো আজ তোমরা সবাই বাবার বার্থ ডে উদযাপন করতে এসেছো। নাম তো শিবরাত্রি, তাহলে তো বিশেষভাবে বাবার বার্থ ডে উদযাপন করতে এসেছো। উদযাপন করতে এসেছো তো না? তো বার্থ ডে গিফ্ট আজকে কী দিয়েছো? নাকি শুধু মোমবাতি জ্বালাবে, কেক কাটবে... এই উদযাপন করবে? আজকে কী গিফ্ট দিয়েছো? নাকি কাল দেবে? হয় ছোট দাও, বা বড় দাও, কিন্তু গিফট দাও তো না! তো কী দিয়েছো? ভাবছে, আচ্ছা দিতে হবে? দেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছো তোমরা? বাপদাদা যা বলবেন তা' দেবে নাকি তোমরা নিজের ইচ্ছায় দেবে? কী করবে? যা বাপদাদা বলবেন তা' দেবে নাকি নিজের ইচ্ছায় দেবে? (যা বাপদাদা বলবেন তাই দেবো) দেখো, একটু সাহস রাখতে হবে। সাহস আছে? মধুবনের তোমাদের সাহস আছে? ডবল ফরেনারদের মধ্যে সাহস আছে? তোমরা হাত তো খুব উঁচু করে তুলছো। আচ্ছা - শক্তিদের মধ্যে, পান্ডবদের মধ্যে সাহস আছে? ভারতের থেকে যারা তোমাদের সাহস আছে? খুব ভালো। এটাই বাবা অভিনন্দন রূপে পেয়ে গেছেন। ভালো শুনিয়েছো। এটা বলবে না তো যে এটা তো ভাবতে হবে? বে বে (ভবিষ্যৎ সূচক শব্দ) ক'রো না। মেজরিটির মধ্যে বাপদাদা একটা বিষয় দেখেছেন। মাইনরিটি নয়, মেজরিটি। কী দেখেছেন? যখন কোনো সারকমস্ট্যান্স সামনে আসে তখন মেজরিটির মধ্যে এক, দুই, তিন নম্বর ক্রোধের অংশ ইমার্জ হয়ে যায়। কারও মধ্যে মহাক্রোধের রূপে হয়, কারও মধ্যে উত্তেজনার রূপে, কারও মধ্যে তিন নম্বরের রূপ - অসন্তোষ বশ। অসন্তোষ কী বুঝতে পারো? সেটাও ক্রোধেরই অংশ, হালকা। তিন নম্বরের তো না, সেইজন্য সেটা হালকা। প্রথমটা প্রবল, দ্বিতীয়টা তার থেকে কম। তারপরে ভাষা তো আজকাল সবার রয়্যাল হয়ে গেছে। তো রয়্যাল রূপে কী বলে তারা? ব্যাপারটাই এমন ছিল না যে উত্তেজনা তো হবেই। তাইতো বাপদাদা সবার থেকে এই গিফ্ট নিতে চান যে ক্রোধ তো ছাড়োই এমনকি ক্রোধের অংশ মাত্রও যেন না থাকে। কেন? তারা ক্রোধ বশে ডিস-সার্ভিস করে, কেননা ক্রোধ হয় পরস্পরের মধ্যে। একলা হয় না দুইয়ের মধ্যে হয়, তাইতো দেখা যায়। হতে পারে মন্সাতে কারও প্রতি ঘৃণা ভাবের অংশও আছে, তবে সেই আত্মার প্রতি মনেও উত্তেজনা অবশ্যই আসবে। সুতরাং বাপদাদার এই ডিস-সার্ভিসের কারণ ভালো লাগে না। অতএব, ক্রোধ-ভাবের অংশ মাত্রও যেন উৎপন্ন না হয়। যেমন ব্রহ্মচর্যের ক্ষেত্রে অ্যাটেনশন দাও, তেমনই গাওয়া হয় কাম মহাশত্রু, ক্রোধ মহাশত্রু। শুভ ভাব, প্রেম ভাব সেসব ইমার্জ হয় না। তারপরে মুড অফ করে দেবে। সেই আত্মার থেকে পাশে সরিয়ে দেবে। তার সামনে আসবে না, কথা বলবে না। তার কথাকে প্রত্যাখ্যান করবে। তাদেরকে এগিয়ে যেতে দেবে না। এসব বাইরের লোকেরাও জেনে যায়, তারপরে যদিও বলে দাও, আজ এর শরীর ঠিক নেই, এটা অন্য কিছু নয়। তাহলে কী জন্মদিনের এই গিফ্ট তোমরা দিতে পারো? যারা মনে করো চেষ্টা করবে তারা হাত তোলো! যারা উপহার দেওয়ার জন্য ভাববে, চেষ্টা করবে তারা হাত তোলো। কেউ কী আছ? উঠে দাঁড়াও। স্বচ্ছ হৃদয়ে প্রভু প্রসন্ন হন। (কিছু ভাই-বোন উঠে দাঁড়িয়েছে) ধীরে ধীরে তারা উঠছে। সত্যি বলার জন্য অভিনন্দন। আচ্ছা যারা বলেছ চেষ্টা করবে, ঠিক আছে যদিও বা চেষ্টা করো কিন্তু চেষ্টা করার জন্য কত সময় প্রয়োজন? এক মাস চাই, ৬ মাস চাই, কত সময় চাই? তোমরা কী এটা ছেড়ে দেবে, নাকি ছেড়ে দেওয়ার কোনো লক্ষ্যই নেই? যারা মনে করো দু' তিন মাসের মধ্যে চেষ্টা করেই ছাড়বে তারা বসে যাও। আর যারা মনে করো ৬ মাস প্রয়োজন, যদি ৬ মাস পুরো পেয়ে যাও তো তবুও কম ক'রো, এই বিষয়ে অ্যাটেনশন দেওয়া ছেড়ো না কেননা, এটা অত্যন্ত জরুরি! এই ডিসসার্ভিস দেখা যায়। মুখে হয়তো বলো না কিন্তু মুখমন্ডল বলে। সেইজন্য যারা মনোবল বজায় রাখে তাদের সবার প্রতি বাপদাদা জ্ঞান, প্রেম, সুখ, শান্তির মুক্তো বর্ষণ করছেন। আচ্ছা।

রিটার্নে বাপদাদা বিশেষ উপহার হিসেবে সবাইকে বরদান দিচ্ছেন - যখনই ভুল করে হলেও, না চাইতেও, যদি কখনো ক্রোধ এসেও যায় তবে শুধু হৃদয় থেকে - "আমার বাবা" শব্দ বোলো, তাহলে বাবার এক্সট্রা সহায়তা সাহসীদের অবশ্যই প্রাপ্ত হতে থাকবে। মিষ্টি বাবা বোলো, শুধু বাবা বোলো না, "মিষ্টি বাবা" তো সহায়তা প্রাপ্ত হবে, অবশ্যই প্রাপ্তি হবে। কারণ লক্ষ্যকে সামনে রেখেছো তো না! সুতরাং লক্ষ্য থেকে লক্ষণ আসবেই। মধুবনের যারা তারা হাত তোলো। আচ্ছা - করতেই হবে তো না! (হাঁ জী) অভিনন্দন। খুব ভালো। আজ বিশেষ মধুবনের যারা তাদেরকে টোলি দেওয়া হবে। অনেক পরিশ্রম করে। ক্রোধের জন্য দেন না, পরিশ্রমের জন্য দেন। সবাই মনে করবে হাত তুলেছি, সেইজন্য টোলি দিচ্ছেন। খুব ভালো পরিশ্রম করে। সেবার দ্বারা সবাইকে খুশি করা, এটা তো মধুবনের একজাম্পল। সেইজন্য আজ মুখ মিষ্টি করানো হবে। তোমরা সবাই এদের মুখ মিষ্টি দেখে নিজেরা মিষ্টি মুখ করে নিও, খুশি হবে, হবে তো না! এটাও ব্রাহ্মণ পরিবারের একটি কালচার। আজকাল তোমরা 'কালচার অফ পিস' এর প্রোগ্রাম বানাচ্ছো, তাই না! তো এটাও ফার্স্ট নম্বরের কালচার - "ব্রাহ্মণ কুলের সভ্যতা।" বাপদাদা দেখেছেন, এই দাদিরা যখন উপহার দেন তার মধ্যে একটা কাপড়ের থলে থাকে যাতে লেখা থাকে - "কম বলো, ধীরে বলো, মিষ্টি-মধুর বলো।" তাইতো আজ বাপদাদা এই উপহার দিচ্ছেন, কাপড়ের থলি দেন না, বরদানে এই শব্দগুলো দেন। প্রত্যেক ব্রাহ্মণের চেহারায় আর আচরণে ব্রাহ্মণ কালচার প্রত্যক্ষ হোক। প্রোগ্রাম তো বানাবে, ভাষণও করবে কিন্তু আগে স্ব এর মধ্যে এই সভ্যতা অবশ্যক। প্রত্যেক ব্রাহ্মণ যেন প্রত্যেকের সাথে সহাস্যে সম্পর্কে আসে। কারও সাথে কেমন, আর কারও সাথে কেমন নয়। কাউকে দেখে নিজের কালচার ছেড়ো না। অতীত হওয়া বিষয়গুলো ভুলে যাও। সভ্যতার নতুন সংস্কার জীবনে দেখাও। এখন দেখাতে হবে। ঠিক আছে তো না! (সবাই বলেছে - হ্যাঁ বাবা)

এটা খুব ভালো, ডবল ফরেনারদের মেজরিটি 'হ্যাঁ বাবা' বলার ক্ষেত্রে খুব ভালো। এটা ভালো - ভারতবাসীদের তো একটি মর্যাদা রয়েছেই "হাঁ জী করা।" শুধু মায়াকে 'না জী' করো, শুধু অন্য সব আত্মাকে হাঁ জী, হাঁ জী করো। মায়াকে না-জী, না-জী করো। আচ্ছা। সবাই জন্ম দিবস উদযাপন করে নিয়েছো? উদযাপন করেছো, গিফ্ট দিয়ে দিয়েছো, গিফ্ট নিয়ে নিয়েছো।

আচ্ছা - তোমাদের সাথে সাথে আরও জায়গায় জায়গায় সভা হচ্ছে। কোথাও ছোট সভা, কোথাও বড় সভা, সবাই শুনছে, দেখছে। তাদেরও বাপদাদা এটাই বলেন যে আজকের দিনের উপহার তোমরা সবাই দিয়েছো নাকি না? সবাই বলছে, হাঁ জী বাবা। এটা ভালো, দূরে বসেও যেন সামনেই শুনছে কারণ সায়েন্সের লোকেরা যে এত পরিশ্রম করে, অনেক পরিশ্রম করে, তাই না। তো সবচাইতে বেশি লাভ ব্রাহ্মণদের হওয়া উচিত, তাই না! এইজন্য যখন থেকে সঙ্গমযুগ আরম্ভ হয়েছে তখন থেকে সায়েন্সের এই সাধনও বেড়েই চলেছে। সত্যযুগে তো তোমাদেরকে দেবতা রূপেই সায়েন্স সেবা করবে কিন্তু সঙ্গমযুগেও সায়েন্সের সাধন অনেক বিশাল রূপে সহযোগী হবে। সেইজন্য সায়েন্সের নিমিত্ত হওয়া বাচ্চাদেরকেও বাপদাদা পরিশ্রমের অভিনন্দন জানান।

বাপদাদা আর যা দেখেছেন, মধুবনেও দেশ বিদেশ থেকে অনেক সুন্দর সুন্দর কার্ড, পত্র আর অনেকের মাধ্যমে স্মরণ-স্নেহের মেসেজ পাঠিয়েছে। বাপদাদা তাদেরও বিশেষ স্মরণের স্নেহ-সুমন আর জন্ম দিবসের পদম- পদম-পদম-পদম-পদম গুন অভিনন্দন জানাচ্ছেন। সব বাচ্চা বাপদাদার নয়নের সামনে আসছে। তোমরা তো শুধু কার্ড দেখেছো, বাপদাদা বাচ্চাদের নয়ন দ্বারাও দেখছেন। অনেক স্নেহভরে পাঠায় আর বাপদাদা সস্নেহে তা' স্বীকার করেছেন। কেউ কেউ নিজের অবস্থা সম্পর্কেও লিখেছে তো বাপদাদা বলেন - ওড়ো আর ওড়াও। উড়লে সব বিষয় নিচে থেকে যাবে আর তোমরা সদা উঁচু হতে উঁচু বাবার সাথে উঁচু থাকবে। সেকেন্ডে স্টপ আর শক্তির, গুণের স্টক ইমার্জ করো। আচ্ছা।

চতুর্দিকের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রাহ্মণ আত্মাদের, সদা বাবার কম্পানিতে থেকে, বাবাকে কম্প্যানিয়ন বানানো স্নেহী আত্মাদের, সদা বাবার গুণের সাগরে সমাহিত হওয়া বাপদাদার সমান শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, সদা সেকেন্ডে বিন্দু লাগানো মাস্টার সিন্ধু স্বরূপ আত্মাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর অনেক অনেক অভিনন্দন, অভিনন্দন, অভিনন্দন। প্রত্যেক বাচ্চাকে বাপদাদা সবসময় নমস্কার তো করেনই, আজও নমস্কার।

বরদান:-
পবিত্রতার শক্তিশালী দৃষ্টি, বৃত্তির দ্বারা সর্বপ্রাপ্তি করিয়ে দুঃখ-হর্তা, সুখ-কর্তা ভব

সায়েন্সের ওষুধে অল্পকালের শক্তি রয়েছে যা কষ্ট বেদনা সমাপ্ত করে দেয় কিন্তু পবিত্রতার শক্তি অর্থাৎ সাইলেন্সের শক্তিতে তো শুভ কামনা শুভ ভাবনার শক্তি আছে। এই পবিত্রতার দৃষ্টি এবং বৃত্তি সদা কালের প্রাপ্তি করায়। সেইজন্য তোমাদের জড় চিত্রের সামনে ও দয়ালু, দয়া করো ব'লে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে। তো চৈতন্যে এমন দুঃখ হর্তা সুখ কর্তা হয়ে দয়া করেছো, তবেই তো ভক্তিতে তোমরা পূজিত হও।

স্লোগান:-
সময়ের সমীপতা অনুসারে প্রকৃত তপস্যা বা সাধনাই হলো অসীম বৈরাগ্য।

সূচনা : - আজ মাসের তৃতীয় রবিবার, অন্তর্রাষ্ট্রীয় যোগ দিবস। সব ব্রহ্মা বৎস সাংগঠনিক রূপে সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে ৭:৩০ পর্যন্ত বিশেষভাবে নিজের মাস্টার দাতা স্বরূপে স্থিত হয়ে, মন্সা দ্বারা সকল আত্মাকে সর্ব শক্তির দান দিন, বরদান দিন, পরিপূর্ণতার অনুভব করান।