16.07.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
ড্রামার যথার্থ নলেজের দ্বারাই তোমরা অচল - অটল এবং একরস থাকতে পারবে, মায়ার ঝড়
তোমাদের নাড়াতে পারবে না"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
দেবতাদের কোন্ মুখ্য গুণটি তোমাদের মধ্যে দেখতে পাওয়া উচিত?
উত্তরঃ
প্রফুল্ল থাকা
। দেবতাদের সর্বদা হাসিমুখে প্রফুল্লিত দেখানো হয় । বাচ্চারা, তেমন তোমাদেরও সদা
প্রফুল্ল থাকতে হবে, যাই হোক না কেন, তোমরা হাসিমুখে থাকো । কখনোই উদাস হওয়া বা
ক্রোধ আসা উচিত নয় । বাবা যেমন তোমাদের ঠিক বা ভুল কি, তা বুঝিয়ে বলেন, কখনোই রাগ
করেন না, উদাস হন না, বাচ্চারা, তেমন তোমরাও উদাস হবে না ।
ওম্ শান্তি ।
অসীম জগতের
বাচ্চাদের অসীম জগতের বাবা বোঝাচ্ছেন । লৌকিক বাবা তো এমন কথা বলবেন না । তাদের তো
বড়জোর ৫ - ৭ টি বাচ্চা থাকে । এই যে সমস্ত আত্মারা, তারা নিজেদের মধ্যে হলো ভাই -
ভাই । এদের সকলের অবশ্যই একজন বাবা থাকবেন । এমন বলাও হয় যে, আমরা সব ভাই - ভাই ।
এ কথা সবার জন্য বলা হয় । যে-ই আসবে, তাকে বলা হবে, আমরা সব ভাই - ভাই । এই
ড্রামার বাঁধনে তো সবাই আবদ্ধ, যেই ড্রামাকে কেউই জানে না । এই না জানাও এই
ড্রামাতেই নির্ধারিত রয়েছে, যা একমাত্র বাবা এসেই শোনান। শাস্ত্র কথা ইত্যাদি যখন
বসে শোনানো হয় তখন বলা হয় ---পরমপিতা পরমাত্মায় নমঃ । এখন তিনি কে - এ কথা কেউই
জানে না । মানুষ বলে থাকে, ব্রহ্মা দেবতা, বিষ্ণু দেবতা, শঙ্কর দেবতা, কিন্তু বুঝে
কেউই বলে না । বাস্তবে ব্রহ্মাকে দেবতা বলা হবে না । দেবতা বিষ্ণুকে বলা হয় ।
ব্রহ্মার কথা কেউই জানে না । বিষ্ণু দেবতা ঠিক আছে, শঙ্করের তো কিছুই পার্ট নেই ।
তাঁর তো কোনো বায়োগ্রাফি নেই, শিববাবার তো বায়োগ্রাফি আছে । তিনি আসেন-ই পতিতদের
পবিত্র বানাতে আর নতুন দুনিয়া স্থাপন করতে । এখন এক আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের
স্থাপনা আর সব ধর্মের বিনাশ হবে । তাহলে সকলে কোথায় যাবে? শান্তিধামে । সকলের শরীরই
তো বিনাশ হতে হবে । নতুন দুনিয়াতে কেবল তোমরা থাকবে । মুখ্য ধর্ম যা, তা তোমরাই জানো
। সকলের নাম তো নেওয়া সম্ভব নয় । ছোটো - ছোটো ডালপালা তো অনেকই আছে । প্রথমে তো দেবী
- দেবতা ধর্ম, তারপর ইসলামী । এই কথা এক তোমরা বাচ্চারা ছাড়া আর কারোর বুদ্ধিতে নেই
। এখন সেই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম প্রায় লোপ হয়ে গেছে, তাই বটগাছের (কলকাতার
শিবপুর বোটানিকল গার্ডেনের) উদাহরণ দেওয়া হয় । সম্পূর্ণ গাছটি দাঁড়িয়ে আছে । মূল
নেই । এই বটগাছটির বয়স অনেক। আর সবথেকে বেশী আয়ু আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের ।
এই ধর্ম যখন প্রায় লোপ হয়ে যায় তখন বাবা এসে বলেন, এখন এক ধর্মের স্থাপনা আর অনেক
ধর্মের বিনাশ হতে হবে, এইজন্য ত্রিমূর্তিও বানানো হয়েছে কিন্তু তার অর্থ বুঝতে পারে
না ।বাচ্চারা তোমরা জানো যে, উঁচুর থেকে উঁচু হলেন ভগবান, এরপর ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং
শঙ্কর, এরপর যখন সৃষ্টিতে আসে তখন দেবী দেবতা ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম থাকে না । ভক্তি
মার্গও এই ড্রামাতেই লিপিবদ্ধ আছে । প্রথমে শিবের ভক্তি করা হতো তারপর দেবতাদের । এ
তো ভারতেরই কথা । বাকিরা তো বুঝতে পারে যে, আমাদের ধর্ম, মঠ, পথ কবে স্থাপন হয় ।
আর্যরা যেমন বলে, আমরা অনেক পুরানো । বাস্তবে সবথেকে পুরানো হলো আদি সনাতন দেবী
দেবতা ধর্ম । তোমরা যখন কল্প বৃক্ষ সম্বন্ধে বোঝাও তখন নিজেরাই বুঝতে পারে, আমাদের
ধর্ম অমুক সময় আসবে । সবাই যে অনাদি - অবিনাশী পার্ট পেয়েছে, তা তো করতেই হবে, এতে
কারোর দোষ বা ভুল বলা যাবে না । এ তো কেবল বোঝানো হয় যে পাপ আত্মা কেন হয়েছে ।
মানুষ বলবে, আমরা সব অসীম জগতের বাবার সন্তান, তাহলে সব ভাইরা কেন সত্যযুগে নেই?
তাদের তো ড্রামাতে তখন পার্টই নেই । এই অনাদি ড্রামা বানানো আছে, এতে দৃঢ় বিশ্বাস
রাখো, আর কোনো কথা বোলো না । তোমাদের চক্রও দেখানো হয়েছে যে, কিভাবে তা ঘোরে । কল্প
বৃক্ষের চিত্রও আছে কিন্তু এ কথা কেউই জানে না যে এর আয়ু কত । বাবা কারোর নিন্দা
করেন না । এ কথা তো বোঝানো হয়, তোমাদেরও এই কথা বোঝানো হয় যে, তোমরা কত পবিত্র
ছিলে, এখন পতিত হয়েছো তাই ডাকতে থাকো - হে পতিত পবন, এসো । প্রথমে তো তোমাদের সবাইকে
পবিত্র হতে হবে । তারপর নম্বরের ক্রমানুসারে পার্ট প্লে করতে আসতে হবে । আত্মারা
সকলেই উপরে থাকে । বাবাও উপরে থাকেন, তারপর তাঁকে সবাই ডাকে যে, এসো । এমনিতে তিনি
ডাকলে আসেন না । বাবা বলেন যে, ড্রামাতে আমার পার্টও নির্ধারিত রয়েছে । লৌকিক
ড্রামাতে যেমন বড় - বড় প্রধান অভিনেতাদের পার্ট থাকে, এ হলো তেমন অবিনাশী ড্রামা ।
সবাই এই নাটকের বন্ধনে আবদ্ধ, এর অর্থ এই নয় যে, সবাই সূতোতে বাঁধা । তা নয় । এ কথা
বাবা বোঝান । সেটা হলো জড় বৃক্ষ । বীজ যদি চৈতন্য হতো, তখন সে জানতো যে, কিভাবে এই
বৃক্ষ বড় হবে আর ফল দেবে। মনুষ্য সৃষ্টি রূপী বৃক্ষের এ হলো চৈতন্য বীজ, একে উল্টো
বৃক্ষ বলা হয় । বাবা তো হলেন নলেজফুল তাঁর এই বৃক্ষের পূর্ণ জ্ঞান আছে । এ হলো সেই
গীতার জ্ঞান । নতুন কোনো কথা নয় । এখানে বাবা কোনো শ্লোক ইত্যাদি উচ্চারণ করেন না ।
ওরা তো গ্রন্থ পাঠ করে তারপর তার অর্থ বসে বোঝায় । বাবা বোঝান যে, এ হলো পড়া, এখানে
শ্লোক ইত্যাদির দরকার নেই । দুনিয়ার ওই শাস্ত্রের পাঠে কোনো এইম অবজেক্ট বা লক্ষ্য
নেই । এমন বলাও হয়ে থাকে যে, জ্ঞান - ভক্তি এবং বৈরাগ্য । এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ
হয়ে যাবে । সন্ন্যাসীদের হলো সীমিত জগতের (হদের) বৈরাগ্য আর তোমাদের হলো অসীম জগতের
(বেহদের) বৈরাগ্য । শঙ্করাচার্য যখন আসেন, তখন তিনি শেখান সংসারের থেকে বৈরাগ্য ।
তিনিও শুরুতে শাস্ত্র ইত্যাদি শেখাতেন না । যখন অনেক বৃদ্ধি হতে শুরু করে তখনই তিনি
শাস্ত্র লিখতে শুরু করেন । প্রথমে ধর্মস্থাপক একজনই হন, তারপর ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেতে
থাকে । তোমাদের এও বোঝাতে হবে । এই সৃষ্টিতে প্রথমে কোন ধর্ম ছিলো । এখন তো এখানে
অনেক ধর্ম । আগে আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম ছিলো, যাকে স্বর্গ বলা হয় । বাচ্চারা,
তোমরা রচয়িতা আর রচনাকে জানার কারণে আস্তিক হয়ে যাও । নাস্তিক হলে কতো দুঃখ হয়,
মানুষ অনাথ হয়ে যায়, নিজেদের মধ্যে লড়াই - ঝগড়া করতে থাকে । বলা হয়, তোমরা
ক্রমাগত নিজেদের মধ্যে লড়াই - ঝগড়া করছো, তোমাদের কি কোনো মালিক নেই? এই সময় সকলেই
অনাথ হয়ে যায় । নতুন দুনিয়াতে পবিত্রতা, সুখ, শান্তি সব ছিলো, সেখানে অপার সুখ ছিলো
। এখানে আছে অপরমপার দুঃখ । সে হলো সত্যযুগের আর এ হলো কলিযুগের - তোমাদের হলো এখন
পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ । এই পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ একটাই হয় । সত্যযুগ আর ত্রেতার
সঙ্গমকে পুরুষোত্তম বলা হবে না । এখানে থাকে অসুর আর ওখানে থাকে দেবতারা । তোমরা
জানো যে, এ হলো রাবণ রাজ্য । *রাবণের উপর গাধার মাথা দেখানো হয় । গাধাকে যতই
পরিষ্কার করে তার উপর কাপড় রাখো না কেন, গাধা আবার মাটিতে গড়াগড়ি খেয়ে সব নোংরা করে
দেয় । বাবা তোমাদের দেহ রূপী বস্ত্র স্বচ্ছ ফুলের মতো সুন্দর করেন, তারপর তোমরা
রাবণ রাজ্যে ঘুরতে ঘুরতে অপবিত্র হয়ে যাও । তোমাদের আত্মা আর শরীর দুইই অপবিত্র হয়ে
যায় । বাবা বলেন, তোমরা সমস্ত শৃঙ্গার হারিয়ে ফেলেছো । বাবাকে পতিত পাবন বলা হয়,
তোমরা ভর্তি সভায় বলতে পারো যে, আমরা স্বর্ণ যুগে কতো সুসজ্জিত ছিলাম, আমাদের এক
নম্বর রাজ্য - ভাগ্য ছিলো । তারপর মায়া রূপী ধুলোয় গড়াগড়ি খেয়ে ময়লা হয়ে গিয়েছি ।
বাবা বলেন, এ হলো অন্ধকার নগরী । মানুষ ভগবানকে সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে, যা কিছুই
হয়েছে তা হুবহু রিপিট হবে, এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো দরকার নেই । পাঁচ হাজার বছরে
কতো মিনিট, ঘণ্টা, সেকেণ্ড, এক বাচ্চা এর হিসেব বের করে সব ধর্মের লোকেদের কাছে
পাঠিয়েছিলো, এতেও বুদ্ধি ব্যর্থ করেছিলো । বাবা তো এমনিই বুঝিয়ে বলেন যে, দুনিয়া
কিভাবে চলে ।
প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন গ্রেট - গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার । তাঁর কাজ কেউই জানে না ।
তারা অনেক বড় বড় রূপ তৈরী করেছিলো কিন্তু প্রজাপিতা ব্রহ্মাকেই সরিয়ে দিয়েছে । বাবা
আর ব্রাহ্মণদের যথার্থভাবে জানেই না । তাঁকে বলা হয় আদিদেব । বাবা বোঝান যে, আমি
এই বৃক্ষের চৈতন্য বীজরূপ । এ হলো উল্টো বৃক্ষ । যে বাবা সত্য, চৈতন্য, জ্ঞানের
সাগর, তাঁরই মহিমা করা হয় । আত্মা না থাকলে মানুষ চলতে - ফিরতেই পারবে না । গর্ভেও
৫ - ৬ মাস পর আত্মা প্রবেশ করে । এই নাটক ও পূর্ব থেকেই বানানো রয়েছে । এরপর আত্মা
যখন শরীর থেকে বের হয়ে যায়, তখন সব শেষ । বাবাই এসে আমাদের অনুভব করান যে, আত্মা
অবিনাশী, আত্মাই অভিনয় করে । আত্মা এতো ছোটো বিন্দু কিন্তু তার মধ্যেই অবিনাশী
পার্ট ভরা আছে । পরমপিতাও হলেন আত্মা, তাঁকে জ্ঞানের সাগর বলা হয় । তিনিই আত্মার
অনুভব করান । ওরা তো কেবল বলে দেয়, পরমাত্মা সর্বশক্তিমান, হাজার সূর্যের থেকেও
তেজোময় কিন্তু কিছুই বোঝে না । বাবা বলেন যে, এ সবই ভক্তি মার্গে বর্ণনা করা হয়েছে
আর শাস্ত্রে লিখে দেওয়া হয়েছে । অর্জুনের যখন সাক্ষাৎকার হয়েছিলো তখন বলেছিলো, আমি
এতো তেজ সহ্য করতে পারছি না, তাই সেই কথাই মানুষের বুদ্ধিতে বসে গেছে । এতো তেজোময়
যদি কারোর ভিতরে প্রবেশ করে তবে বিস্ফোরণ ঘটে যাবে । জ্ঞান তো নেই, তাই না । তাই
তারা মনে করে পরমাত্মা হাজার সূর্যের থেকেও তেজোময়, আমরা তাঁর সাক্ষাৎকার চাই ।
ভক্তির ভাবনা ভিতরে বসে আছে, তাই তাদের তেমন সাক্ষাৎকারও হয় । যজ্ঞের শুরুর দিকে
তোমাদের মধ্যেও এমন অনেকে সাক্ষাৎকার করতো, চোখ লাল হয়ে যেতো । সাক্ষাৎকার করেছিলো
তাই তারা এমন বলছে । এ সবই হলো ভক্তিমার্গের কথা । তাই এই সবই বাবা বুঝিয়ে বলেন, এতে
গ্লানি করার মতো কোনো কথা নেই । বাচ্চাদের সর্বদা প্রফুল্ল থাকতে হবে । এই নাটক তো
পূর্ব থেকেই বানানো রয়েছে । আমাকে এতো গালি দেয়, তবুও আমি কি করি? ক্রোধ আসে কি!
আমি বুঝতে পারি যে, ড্রামা অনুসারে এরা সবাই ভক্তি মার্গে আটকে আছে । এখানে অখুশি
হওয়ার কোনো কথাই নেই । ড্রামা এমনই বানানো আছে । আমাকে খুব ভালোবেসে বোঝাতে হয় ।
বেচারা অজ্ঞান - অন্ধকারে রয়েছে, না বুঝলে দয়াও হয় । তোমাদের সর্বদা হাসিমুখে থাকা
উচিত । এই বেচারারা স্বর্গের দ্বারে আসতে পারবে না, এরা সবাই শান্তিধামে যাবে । সকলে
তো শান্তিই চায় । বাবাই সঠিক কথা বুঝিয়ে বলেন । এখন তোমরা জানো যে, এই খেলা
সম্পূর্ণ বানানো । এই ড্রামাতে প্রত্যেকেই পার্ট পেয়েছে, এতে অনেক অচল এবং স্থির
বুদ্ধির প্রয়োজন । যতক্ষণ না অচল, অটল, একরস অবস্থা না হবে ততক্ষণ পুরুষার্থ কিভাবে
করবে? যাই হোক না কেন, ঝড়ও যদি আসে তবুও তোমাদের স্থির থাকতে হবে । মায়ার ঝড় তো
অনেকই আসবে এমনকি শেষ পর্যন্ত আসবে । তোমাদের অবস্থা মজবুত হওয়া চাই । এই হলো গুপ্ত
পরিশ্রম । কোনো কোনো বাচ্চা পরিশ্রম করে ঝড়কে উড়িয়ে দিতে থাকে । যে যত বাবার
কাছাকাছি থাকবে সে তত উঁচু পদ পাবে । রাজধানীতে তো অনেক পদই আছে ।
সবথেকে সুন্দর চিত্র হলো ত্রিমূর্তি, গোলক (গোলা) আর কল্প বৃক্ষ (ঝাড়) । এগুলো
শুরুর দিকে বানানো হয়েছিলো । বিদেশে সেবার জন্যও এই দুটি চিত্র নিয়ে যেতে হবে ।
এগুলো দেখেই ওরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারবে । ধীরে ধীরে বাবা যেমন চান যে, এই চিত্র
কাপড়ের উপরে হোক, তাও তৈরী হতে থাকবে । তোমরা বোঝাবে যে, কিভাবে এই স্থাপনা হচ্ছে ।
তোমরাও যদি এই কথা বুঝতে পারো তাহলে নিজের ধর্মে উঁচু পদ পাবে । খ্রীষ্টান ধর্মে
তোমরা যদি উঁচু পদ পেতে চাও তাহলে খুব ভালো করে বোঝো । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ
সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের বাবা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) এই
পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে পবিত্র হয়ে নিজের শৃঙ্গার করতে হবে । কখনোই মায়ার ধুলোয়
গড়াগড়ি খেয়ে শৃঙ্গার নষ্ট করে ফেলো না ।
২) এই ড্রামাকে
যথার্থ ভাবে বুঝে নিজের অবস্থা অচল, অটল এবং স্থির বানাতে হবে । কখনোই ঝিমিয়ে যাবে
না, সর্বদা প্রফুল্ল থাকতে হবে ।
বরদান:-
ভাবনা-চিন্তা করে প্রতিটি কর্ম করা অনুতাপ করা থেকে মুক্ত থাকা জ্ঞানী তু আত্মা ভব
সমগ্র বিশ্বেও বলা হয়ে
থাকে যে - আগে চিন্তা করো তারপর করো। যারা চিন্তা না করে কর্ম করে, কর্ম করার পর
চিন্তা করে তাহলে সেটা অনুতাপের রূপ হয়ে যায়। কর্ম করার পর চিন্তা করা - এটাই হলো
অনুতাপের রূপ আর পূর্বে চিন্তা করা - এটা হলো জ্ঞানী তু আত্মার গুণ। দ্বাপর -
কলিযুগে তো অনেক প্রকারের অনুতাপ করতেই থাকে কিন্তু এখন সঙ্গমে এইরকম চিন্তা-ভাবনা
করে সংকল্প বা কর্ম করো যেটা কখনো মনেও এক সেকেন্ডও অনুতাপ না হয়, তখন বলা হবে
জ্ঞানী তু আত্মা।
স্লোগান:-
যে
দয়াবান হয়ে সর্বগুণ আর শক্তিগুলির দান করে সে-ই হলো মাস্টার দাতা।