16-11-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
15-12-2007 মধুবন
"সময়ের মহত্ত্বকে জেনে, কর্মের গুহ্য গতির অ্যাটেনশন
রাখো, নষ্টমোহ, এভাররেডি হও"
আজ, সর্ব ভাণ্ডারের দাতা, জ্ঞানের ভাণ্ডার, শক্তির ভাণ্ডার, সর্ব গুণের ভাণ্ডার,
শ্রেষ্ঠ সংকল্পের ভাণ্ডার প্রদাতা বাপদাদা চতুর্দিকে ভাণ্ডারের বালক তথা মালিক
অধিকারী নিজের বাচ্চাদের দেখছেন। অখণ্ড ভাণ্ডারের মালিক বাবা সব বাচ্চাকে সর্ব
ভাণ্ডারে সম্পন্ন করছেন। তিনি প্রত্যেককে সর্ব ভাণ্ডার দিয়ে থাকেন। কাউকে কম, কাউকে
বেশি দেন না। কেননা, ভাণ্ডার অফুরান। চতুর্দিকের বাচ্চারা বাপদাদার নয়নে সমাহিত হয়ে
আছে। সবাই ভাণ্ডারে পরিপূর্ণ, প্রফুল্লিত হচ্ছে।
আজকালকার সময় অনুসারে সর্বাপেক্ষা অমূল্য শ্রেষ্ঠ ভাণ্ডার হলো - পুরুষোত্তম সঙ্গমের
সময়। কেননা, এই সঙ্গমেই সমগ্র কল্পের প্রালব্ধ বানাতে পারো। এই ছোট যুগের এক
সেকেন্ডের সমস্ত প্রাপ্তির প্রালব্ধ হিসেবে এক সেকেন্ডের ভ্যাল্যু এক বছরের সমান।
এটা এতটাই অমূল্য সময়। এই সময়ের জন্যই গায়ন আছে - এখন নয় তো কখনো নয়। কেননা এই
সময়ের জন্যই পরমাত্ম পার্ট লিপিভুক্ত হয়ে আছে। সেইজন্য এই সময় হিরেতুল্য বলা হয়ে
থাকে। সত্যযুগকে গোল্ডেন এজ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এই সময়, সময়ও হিরেতুল্য, আর তোমরা
বাচ্চারাও সবাই হিরেতুল্য জীবনের অনুভাবী আত্মা। এই সময়েই বহুকাল ধরে বিচ্ছিন্ন হওয়া
আত্মারা পরমাত্ম মিলন, পরমাত্ম ভালোবাসা, পরমাত্ম ভাণ্ডারের প্রাপ্তির অধিকারী হয়ে
থাকে। সমগ্র কল্পে দেব আত্মারা, মহান আত্মারা আছে, কিন্তু এই সময় পরমাত্ম ঈশ্বরীয়
পরিবার থাকে। সেইজন্য এই বর্তমান সময়ের যত মহত্ত্ব রয়েছে, সেই মহত্ত্বকে জেনে,
নিজেকে যতটা শ্রেষ্ঠ বানাতে চাও ততোটা বানাতে পারো।তোমরাও সবাই এই মহান যুগের
পরমাত্ম ভাগ্য প্রাপ্ত করে পদ্মাপদম ভাগ্যবান, তাই না! নিজের এমন শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের
আধ্যাত্মিক নেশা আর ভাগ্যকে জেনে তার অনুভব করছ তো না! খুশি হয়, হয় না! হৃদয়ে কোন
গীত গাও? বাঃ আমার ভাগ্য বাঃ! কেননা, এই সময়ের শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের সামনে অন্য কোনও যুগে
এমন শ্রেষ্ঠ ভাগ্য প্রাপ্ত হতে পারে না।
তো বলো, সদা নিজের ভাগ্যকে স্মৃতিতে বজায় রেখে উৎফুল্ল হও তো না! হও তোমরা? যারা মনে
করো যে সদা উৎফুল্ল হও, কখনো কখনোর জন্য নয়, যারা উৎফুল্ল থাকে তারা হাত তোলো। সদা,
সদা...। আন্ডারলাইন করো - সদা। এখন টিভিতে তোমাদের ফটো আসছে। যারা সদা সময়ের জন্য
উৎফুল্ল তাদের ফটো আসছে। অভিনন্দন। মাতারা তুলেছে, শক্তিরা তুলেছে, ডবল ফরেনার্স...।
কোন শব্দ স্মরণে রাখবে? সদা। যারা কখনো কখনোর তারা তো পিছনে আসবে।
বাপদাদা আগেও শুনিয়েছেন যে সময়ের গতি অতি দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। যারা সময়ের গতি
সম্পর্কে জানো তারা নিজেকে চেক করো, আমি মাস্টার সর্বশক্তিমানের গতি তীব্র কিনা!
সবাই তো পুরুষার্থ করছে কিন্তু বাপদাদা কী দেখতে চান? সব বাচ্চা তীব্র পুরুষার্থী,
সব সাবজেক্টে তোমরা পাস উইথ অনার, নাকি শুধু পাস? তীব্র পুরুষার্থীর দুটো বিশেষ
লক্ষণ হলো, এক) নষ্টমোহ, দুই) এভাররেডি। সবার আগে তোমাদের নষ্টমোহ হতে হবে, যদি
তোমরা দেহবোধ, দেহ অভিমান থেকে মুক্ত থাকো তবে অন্য বিষয়ে নষ্টমোহ হওয়া কঠিন কিছু
নয়। দেহ অভিমানের লক্ষণ হলো ওয়েস্ট, ব্যর্থ সংকল্প, ব্যর্থ সময়, এই চেকিং নিজেই ভালো
ভাবে করতে পারো। যদি তোমরা তোমাদের সময় সাধারণ ভাবে অতিবাহিত করো তবে সেটাও নষ্টমোহ
হতে দেয় না। সুতরাং চেক করো প্রতিটি সেকেন্ড, প্রতিটি সংকল্প, প্রতিটা কর্ম সফল
হয়েছে? কেননা, সঙ্গম যুগে বিশেষ বরদান রয়েছে বাবার, সফলতা তোমাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার।
তো অধিকার সহজে অনুভূতি করায়। আর এভাররেডি! এভাররেডির অর্থই হলো, সময়ের অর্ডার হবে
আচমকা - মন-বচন-কর্ম, সম্বন্ধ সম্পর্কে এভাররেডি হও, তো এটা আচমকাই হওয়ার আছে। যেমন,
তোমরা দাদিকে দেখেছ আকস্মিকতার বিষয়ে তিনি এভাররেডি। তিনি তাঁর স্বভাবে, সব কার্যে
ইজি থেকেছেন। সম্পর্কে ইজি, স্বভাবে ইজি, সেবাতে ইজি, সন্তুষ্ট থাকায় ইজি। সেইজন্য
বাপদাদা বারবার সময়ের নৈকট্যের ইশারা করছেন। স্ব পুরুষার্থের সময় খুব অল্প আছে,
সেইজন্য নিজের জমার খাতা চেক করো। ভাণ্ডার জমা করার তিন বিধি বাবা তোমাদের আগেও
বলেছেন, আবারও তিনি শোনাচ্ছেন। সেই তিন বিধি তোমরা নিজেরা চেক করো। এক হলো - নিজের
পুরুষার্থের দ্বারা প্রালব্ধের ভাণ্ডার জমা করা। সমূহ প্রাপ্তির ভাণ্ডার জমা করা।
দুই) সন্তুষ্ট থাকা, এতেও সদা শব্দ অ্যাড করো এবং সবাইকে সন্তুষ্ট করো। এর দ্বারা
পুণ্যের খাতা জমা হয়। আর এই পুণ্যের খাতা প্রালব্ধের আধার যা অনেক জন্ম থাকে। তিন)
সেবাতে সদা অক্লান্ত, নিঃস্বার্থ এবং উদারচিত্তে সেবা করতে হবে, এর দ্বারা যার সেবা
করা হয় আপনা থেকেই তার থেকে আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয়। এই তিন বিধি - নিজের পুরুষার্থ,
পুণ্য আর আশীর্বাদ। এই তিন খাতা জমা হয়েছে? তো চেক করো, কারণ, যদি আচমকা কোনো পেপার
এসে যায় যেহেতু, আজকালকার সময় অনুসারে প্রকৃতির অস্থিরতার ছোট ছোট পরিস্থিতি যে কোনো
সময় আসতে পারে। সেইজন্য কর্মের গতির নলেজ যেন বিশেষ অ্যাটেনশনে থাকে। কর্মের গতি অতি
গুহ্য। যেমন, ড্রামার অ্যাটেনশন থাকে, আত্মিক স্বরূপের অ্যাটেনশন থাকে, ধারণার
অ্যাটেনশন থাকে, তেমনই কর্মের গুহ্য গতিরও অ্যাটেনশন আবশ্যক। সাধারণ কর্ম, সাধারণ
সময়, সাধারণ সংকল্প এসবে প্রালব্ধে পার্থক্য এসে যায়। এই সময় তোমরা সবাই যারা
পুরুষার্থী রয়েছ, তারা শ্রেষ্ঠ বিশেষ আত্মা, সাধারণ আত্মা নও। বিশ্ব কল্যাণের
নিমিত্ত, বিশ্ব পরিবর্তনের নিমিত্ত হওয়া আত্মা তোমরা। শুধু নিজেকে পরিবর্তন করার নও,
বিশ্বের পরিবর্তনের দায়িত্বপালনকারী তোমরা। সেইজন্য নিজের শ্রেষ্ঠ স্বমানের স্মৃতি
স্বরূপ হতেই হবে।
বাপদাদা দেখেছেন, তোমাদের সকলের বাপদাদা আর সেবার প্রতি অনেক ভালোবাসা আছে।
চতুর্দিকে, কোনো না কোনো প্ল্যান অনুসারে সেবার বাতাবরণ চলছে। সেইসঙ্গে এখন সময়
অনুযায়ী বিশ্বের আত্মারা যারা দুঃখী, অশান্ত হচ্ছে সেই আত্মাদের দুঃখ অশান্তি থেকে
নিষ্কৃতি দেওয়ার জন্য নিজের শক্তি দ্বারা সকাশ দাও। ঠিক যেমন প্রকৃতির সূর্য তার
সকাশ দ্বারা অন্ধকার দূর করে আলোতে নিয়ে আসে। নিজের কিরণের বল দ্বারা অনেক জিনিস
পরিবর্তন করে। এভাবেই মাস্টার জ্ঞানসূর্য নিজের প্রাপ্ত হওয়া সুখ শান্তির কিরণ
দ্বারা সকাশ দিয়ে তাদেরকে দুঃখ অশান্তি থেকে মুক্ত করো। মন্সা সেবা দ্বারা,
শক্তিশালী বৃত্তি দ্বারা বায়ুমণ্ডল পরিবর্তন করো। তো এখন মন্সা সেবা করো। যেভাবে
বাচা সেবার বিস্তার করেছ, সেভাবে মন্সা সকাশ দ্বারা আত্মাদের মধ্যে, তোমাদের হ্যাপি
আর হোপ-এর যে টপিক নিয়েছ তা' ছড়িয়ে দাও, সাহস দাও, উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগাও, বাবার
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করাও, এই সব কিছু থেকে মুক্তি দাও। এখন সকাশ দেওয়ার আবশ্যকতা
বেশি। এই সেবাতে মনকে বিজি রাখো তবে মায়াজিৎ বিজয়ী আত্মা আপনা থেকেই হয়ে যাবে। আর
বাকি ছোট ছোট পরিস্থিতি সেসব তো সাইডসিন। সাইডসিনের মধ্যে কিছু ভালোও আসে, কিছু
খারাপ জিনিসও আসে। সুতরাং সাইডসিন ক্রস করে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়। সাইডসীন দেখার জন্য
সাক্ষীদ্রষ্টার সিটে সেট থাকো, ব্যস্। তাহলেই সাইডসীন চিত্তবিনোদন হয়ে যাবে।
তো তোমরা এভাররেডি তো না! কাল যদি কিছু হয়ে যায় তোমরা এভাররেডি আছো? প্রথম লাইন,
তোমরা এভাররেডি আছো? যদি কাল হয় তবে? টিচার্স তৈরি আছো তো ভালো। বর্গের (উইং এর)
তোমরা তৈরি আছো? যত বর্গই এসেছো, তোমরা এভাররেডি, এ ব্যাপারে ভাবো। দাদিরা দেখ!
দেখছ সবাই হাত নাড়াচ্ছে। এটা ভালো, অভিনন্দন। যদি না হয়ে থাকো না তবে আজ রাতের মধ্যে
হয়ে যেও। কেননা, সময় তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। বাপদাদা মুক্তির গেট খোলার জন্য
অপেক্ষা করছেন। অ্যাডভান্স পার্টি তোমাদের জন্য আহ্বান করছে। তোমরা করতে পারো না
কি? তোমরা তো মাস্টার সর্বশক্তিমানই, দৃঢ় সংকল্প করো এটা করতে হবে, এটা করতে হবে
না, শুধু এটুকুই। যা করতে হবে না, দৃঢ় সংকল্পের দ্বারা সেই 'না'-কে 'না' করে দেখাও।
তোমরা তো মাস্টার, তাই না! আচ্ছা।
এবারে, প্রথমবার কা'রা এসেছো? যারা প্রথমবার এসেছ তারা হাত তোলো। লম্বা করে হাত তোলো,
নাড়াও। এত এসেছে! এটা ভালো। যারাই প্রথমবার এসেছ তাদেরকে পদ্মগুন অভিনন্দন,
অভিনন্দন। বাপদাদা খুশি হন, পূর্ব কল্পের বাচ্চারা আবারও নিজের পরিবারে পৌঁছে গেছে।
সেইজন্য এখন যারা পরে এসেছ তাদেরকে চমৎকার করে দেখাতে হবে। পিছনে থেকো না, পরে এসেছ
কিন্তু পিছনে থাকবে না। পরবর্তীতে সামনে থাকবে। এর জন্য তীব্র পুরুষার্থ করতে হবে।
সাহস আছে তো না! সাহস আছে তোমাদের? এটা ভালো। সাহসী বাচ্চা সহায় বাপদাদা আর পরিবার।
ভালো কেননা, বাচ্চারা ঘরের রূপসজ্জা। সুতরাং যারাই এসেছো তারা মধুবনের অলঙ্করণ।
আচ্ছা।
সেবার টার্ন ভূপাল জোনের - আচ্ছা, অনেক এসেছে। (পতাকা নাড়াচ্ছে) এটা ভালো, গোল্ডেন
চান্স পেয়েছে তো না! আচ্ছা, সেবার নিমিত্তে যারা এসেছো তাদের মধ্যে সবাই সেবার যে
বল, ফল রয়েছে, অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভূতি এসব অনুভব করেছো? করেছো? যদিও বা তোমরা যারা
করেছো তারা হ্যাঁ এর জন্য এখন পতাকা নাড়াতেই পারো। আচ্ছা, এখন তো অতীন্দ্রিয় সুখের
অনুভব করেছ, এটা সদা থাকবে? নাকি অল্প সময় থাকবে? যে হৃদয় থেকে প্রমিস করে, অন্যদের
দেখাদেখি হাত উঠিও না, যে হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করে যে, আমি এই প্রাপ্তি সদা কায়েম
রাখবো, বিঘ্ন বিনাশক হবো, সে পতাকা নাড়াতে পারো। আচ্ছা। দেখো, তোমরা টিভিতে আসছো,
পরে টিভির এই ফটো পাঠানো হবে। আচ্ছা। এই যে চান্স রাখা হয়েছে তা' খুব ভালো। তোমরা
চান্স নাও খুশির সাথে, আর টার্ন বাই টার্ন সবাই আন্তরিকভাবে অনুমতিও পেয়ে যায় এখানে
আসার। আচ্ছা, এখন কী চমৎকার করবে? (২০০৮ এ আপনাকে প্রত্যক্ষ করে দেখাবো) এটা ভালো,
একে অপরকে সহযোগ দিয়ে এই প্রতিজ্ঞা পূরণ করো। অবশ্যই করবে। মাস্টার সর্বশক্তিমানের
জন্য কোনও প্রতিজ্ঞা পালন করা এমন কিছু বড় ব্যাপার নয়। শুধু দৃঢ়তাকে সাথী বানিয়ে
রাখো। দৃঢ়তাকে ছেড়ো না। কেননা, দৃঢ়তা সফলতার চাবি। সুতরাং যেখানে দৃঢ়তা থাকবে সেখানে
সফলতা থাকবেই থাকবে। এরকমই তো না! করে দেখাবো। বাপদাদাও খুশি, এটা ভালো। দেখ, কত
সংখ্যকের চান্স প্রাপ্ত হয়! অর্ধেক ক্লাস তো যারা সেবা করতে এসেছে তাদের তরফের। সেটা
ভালো। দেখ, সাকার বাবা থাকার সময়ে তোমরা ভালো পার্ট প্লে করেছ, প্রথম মিউজিয়াম এ' (মহেন্দ্র
ভাই) তৈরি করেছিল। তো দেখো, সমস্ত জোনের জন্য সাকার বাবার আশীর্বাদ রয়েছে। এখন কিছু
নবীনত্ব করে দেখাতে হবে। এখন অনেক সময় পার হয়ে গেছে, কোনো নতুন ইনভেনশন বের হয়নি।
বর্গীকরণও এখন পুরানো হয়ে গেছে। প্রদর্শনী, মেলা, কনফারেন্স, স্নেহ মিলন এসবই হয়ে
গেছে। এখন নতুন কোনো বিষয় বের করো। শর্ট আর সুইট। খরচ কম আর সেবা বেশি। রায়বাহাদুর
তোমরা, তাই তো না! তো রায়বাহাদুর নতুন রায় বের করো। যেরকম প্রদর্শনী বের হয়েছে,
তারপর মেলা বের হয়েছে, তার পরে বর্গীকরণ বের হয়েছে, সেরকম নতুন কোনো ইনভেনশন বের করো।
দেখব, কে নিমিত্ত হয়! এটা ভালো, তোমরা সব সাহসী, সেইজন্য যারা সাহস বজায় রাখে
তাদেরকে বাপদাদা অ্যাডভান্সে সহায়তার অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আচ্ছা।
এখন এক সেকেন্ডে সবাই খুব মিষ্টি মিষ্টি সাইলেন্স স্টেজের অনুভবে হারিয়ে যাও। (বাপদাদা
ড্রিল করিয়েছেন) আচ্ছা।
চতুর্দিকের সকল তীব্র পুরুষার্থী, যারা সদা দৃঢ় সংকল্প দ্বারা সফলতা প্রাপ্ত করে,
সদা বিজয়ের তিলকধারী, বাপদাদার হৃদয়াসনধারী, ডবল মুকুটধারী, বিশ্ব কল্যাণকারী, সদা
লক্ষ্য আর লক্ষণ সমান করে পরমাত্ম ভালোবাসায় পালিত এমন সর্ব শ্রেষ্ঠ বাচ্চাদের
বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন, হৃদয়ের আশীর্বাদ আর নমস্কার।
দাদিদের প্রতি -
বাচ্চারা হাজির তো বাবা হাজির তো আছেনই। না বাবা বাচ্চাদের থেকে
দূরে হতে পারেন, না বাচ্চারা বাবার থেকে দূর হতে পারে। প্রতিজ্ঞা রয়েছে - সাথে আছেন,
সাথে চলবেন, অর্ধেক কল্প ব্রহ্মা বাবার সাথে থাকবেন। (দাদি জানকিজী বললেন, তিনিও তো
সমাহিত হয়ে সাথেই আছেন) তোমাদের এই অনুভূতি ঠিক। এখন তো গ্যারান্টি রয়েছে, কিন্তু
যখন তোমরা রাজত্ব করবে তখন তিনি আসবেন না। দেখার জন্যও তো কাউকে দরকার না! (উপরে মন
কীভাবে লাগবে) ড্রামাতে পার্ট আছে। ব্রহ্মা বাবা সাথে আছেন তো না! দেখ, ড্রামা কী
করে!
বরদান:-
রিয়্যালিটি দ্বারা সব কর্ম এবং বোল এ রয়্যালটি
দেখিয়ে ফার্স্ট ডিভিশনের অধিকারী ভব
রিয়্যালিটি অর্থাৎ নিজের প্রকৃত স্বরূপের সদা স্মৃতি,
যার দ্বারা স্থূল চেহারাতেও রয়্যালটি নজরে আসবে। রিয়্যালিটি অর্থাৎ এক বাবা
দ্বিতীয় কেউ নয়। এই স্মৃতি দ্বারা সব কর্ম ও বোলে রয়্যালটি প্রতীয়মান হবে। যারাই
সম্পর্কে আসবে তাদের সব কর্মে বাবা সমান চরিত্র অনুভব হবে, সব বোলে বাবার সমান
অথরিটি আর প্রাপ্তি অনুভূত হবে। তাঁর সাথ রিয়্যাল হওয়ার কারণে পরশ পাথরের কাজ করবে।
এমন রিয়্যালিটির রয়্যাল আত্মারাই ফার্স্ট ডিভিশনের অধিকারী হয়।
স্লোগান:-
শ্রেষ্ঠ কর্মের খাতা বাড়াও তবেই বিকর্মের খাতা
সমাপ্ত হয়ে যাবে।
অব্যক্ত ইশারা :- অশরীরী ও বিদেহী স্থিতির অভ্যাস
বাড়াও চতুর্দিকে অস্থিরতা, ব্যক্তির প্রকৃতির অস্থিরতা বাড়বেই, এমন সময়ে সেফটির
সাধন হলো সেকেন্ডে নিজেকে বিদেহী, অশরীরী এবং আত্ম অভিমানী করে নেওয়া। সুতরাং মাঝে
মাঝে ট্রায়াল করো এক সেকেন্ডে মন বুদ্ধিকে যেখানে চাও সেখানে স্থিত করতে পারো। একেই
বলা হয়ে থাকে সাধনা। সূচনা়ঃ- আজ মাসের তৃতীয় রবিবার, সব রাজযোগী তপস্বী ভাইবোন
সন্ধ্যে ৬:৩০ থেকে ৭:৩০ পর্যন্ত বিশেষ যোগ অভ্যাসের সময় নিজের শুভ ভাবনাকে শ্রেষ্ঠ
বৃত্তির মন্সা দ্বারা মহাদানী হয়ে সবাইকে নির্ভিকতার বরদান দেওয়ার সেবা করুন।