17.09.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এই রহস্য সবাইকে শোনাও যে, আবু হলো সবচেয়ে বড় তীর্থ, স্বয়ং ভগবান এখানে সকলের সদগতি
করেছেন"
প্রশ্নঃ -
কোন একটি কথা
মানুষ যদি বুঝে যায় তাহলে এখানে ভিড় লেগে যাবে?
উত্তরঃ
মুখ্য কথাটি
যদি বুঝে নেয় যে, বাবা রাজযোগের শিক্ষা দিয়েছিলেন, তিনি এখন আবার শেখাচ্ছেন, তিনি
সর্বব্যাপী নন। বাবা এই সময় আবুতে এসে বিশ্বে শান্তি স্থাপন করছেন, তারই জড় স্মৃতি
চিহ্ন হল দিলওয়াড়া মন্দির। আদি দেব এখানে চৈতন্য অবস্থায় বসে আছেন, এইটি হল চৈতন্য
দিলওয়াড়া মন্দির, এই কথা বুঝে নিলে আবু-র মহিমা বেড়ে যাবে আর এখানে ভিড় লেগে যাবে।
আবু-র নাম খ্যাতি অর্জন করলে এখানে অনেকে আসবে ।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চাদের যোগ
শিখিয়েছেন। অন্য সব জায়গায় নিজে নিজেই শেখে, শেখানোর জন্য পিতা থাকেন না। একে অপরকে
শেখায়। এখানে তো বাবা বসে শেখান বাচ্চাদেরকে। রাত-দিনের তফাৎ আছে। সেখানে তো
মিত্র-আত্মীয় স্বজন সবার স্মৃতি থাকে, এত স্মরণ করতে পারে না, তাই দেহী-অভিমানী হওয়া
কঠিন হয়ে যায় । এখানে তো তোমাদের দেহী-অভিমানী খুব দ্রুত বেগে হওয়া উচিত, কিন্তু
অনেকে আছে যাদের কিছুই জ্ঞান নেই। শিববাবা আমাদের সার্ভিস করছেন, আমাদের বলেন নিজেকে
আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ করো। যে পিতা এনার (ব্রহ্মাবাবার) মধ্যে বিরাজমান
আছেন, এখানে বসে আছেন, তাঁকেই স্মরণ করতে হয়। অনেক বাচ্চারা আছে যাদের এই নিশ্চয়
নেই যে শিববাবা ব্রহ্মা দেহের দ্বারা আমাদের শেখাচ্ছেন, যেমন অন্যরা বলে আমরা কিভাবে
বিশ্বাস করব তেমন এখানেও অনেকে আছে। যদি সম্পূর্ণ নিশ্চয় থাকে তাহলে তো খুব ভালোবেসে
বাবাকে স্মরণ করতে করতে নিজেকে শক্তিশালী করবে, অনেক সার্ভিস করবে কারণ সম্পূর্ণ
বিশ্বকে পবিত্র করতে হবে, তাই না। যোগেও কম তো জ্ঞানেও কম আছে। শোনে তো সবই কিন্তু
ধারণা হয় না। ধারণ হয়ে থাকলে তো অন্যদেরও ধারণ করাতে পারবে। বাবা বুঝিয়েছিলেন তারা
কনফারেন্স ইত্যাদি করে, বিশ্বে শান্তির জন্য কিন্তু বিশ্বে শান্তি কবে ছিল, কিরূপ
ছিল, সেসব কিছুই জানা নেই। শান্তি কীরূপ ছিল, সেইরকমই চাই, তাইনা। এই কথা তো তোমরা
বাচ্চারাও জানো বিশ্বে সুখ-শান্তির স্থাপনা এখন হচ্ছে। বাবা এসেছেন। কিভাবে এই
দিলওয়াড়া মন্দির আছে, আদি দেবও আছেন এবং উপরে বিশ্বে শান্তির দৃশ্যও আছে। কোথাও
কনফারেন্স ইত্যাদিতে তোমাদের ডাকলে তোমরা জিজ্ঞাসা করো - বিশ্বে শান্তি কি রকম চাই?
এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে বিশ্বে শান্তি ছিল। দিলওয়াড়া মন্দিরে পূর্ণ স্মারক
চিহ্ন আছে। বিশ্বে শান্তির স্যাম্পল তো চাই তাইনা। লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র দ্বারাও
কিছু বোঝে না। পাথরবুদ্ধি যে। তো তাদের বলা উচিত যে আমরা বলতে পারি বিশ্বে শান্তির
স্যাম্পল এক লক্ষ্মী-নারায়ণ এবং তাঁদের রাজধানীও যদি দেখতে চাও তো সেসব দিলওযাড়া
মন্দিরে গিয়ে দেখো। মডেল-ই দেখানো হবে, তাইনা, সেসব গিয়ে আবুতে দেখো। মন্দির যারা
তৈরি করেছে তারা নিজেরাও জানে না, তারা বসে এই স্মারক চিহ্ন তৈরি করেছে, যার নাম
দিলওয়াড়া মন্দির নাম রেখে দিয়েছে। আদিদেবকেও বসিয়েছে, উপরে স্বর্গও দেখিয়েছে। যেমন
ওটা হলো জড় তেমন তোমরা হলে চৈতন্য। চৈতন্য দিলওয়াড়া নাম রাখা যায়। কিন্তু তারপরে
কত ভিড় হয়ে যাবে। মানুষ তো কনফিউজড হয়ে যাবে, এসব কি অদ্ভুত কথা ! বোঝাতে খুব
পরিশ্রম লাগে। অনেক বাচ্চারাও বোঝে না। যদিও এখানে কাছে বসে আছে - কিন্তু কিছুই বোঝে
না। প্রদর্শনী ইত্যাদিতে অনেক প্রকারের মানুষ আসে, অনেক মঠ-পন্থ আছে, বৈষ্ণব ধর্মের
মানুষও আছে। বৈষ্ণব ধর্মের অর্থ বোঝে না। কৃষ্ণের বাদশাহী কোথায় জানে না। কৃষ্ণের
রাজত্বকে স্বর্গ, বৈকুণ্ঠ বলা হয়।
বাবা বলেছিলেন যেখানে
আমন্ত্রণ করা হবে, সেখানে গিয়ে বোঝাও - বিশ্বে শান্তি কবে ছিল? এই আবু হল সবচেয়ে
উঁচু থেকে উঁচু তীর্থ স্থল, এখানে বাবা বিশ্বের সদ্গতি করছেন, আবু পাহাড়িতে তার
স্যাম্পল দেখতে হলে দিলওয়াড়া মন্দির দেখো। বিশ্বে শান্তি স্থাপন করা হয়েছিল কীভাবে
- তারই স্যাম্পল আছে। শুনে অনেক খুশী হবে। জৈন ধর্মাবলম্বীরাও খুশী হবে। তোমরা বলবে
প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন আমাদের পিতা আদি দেব। তোমরা বোঝাও, কিন্তু তারা বোঝে না।
তারা বলে ব্রহ্মাকুমারীরা কি জানি কি বলে। অতএব বাচ্চারা, এখন তোমাদের আবু তীর্থের
উঁচু মহিমা বর্ণনা করে বোঝানো উচিত। আবু হলো শ্রেষ্ঠ তীর্থ। বম্বেতে গিয়েও বোঝাতে
পারো - আবু পাহাড় সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থ, কারণ পরমপিতা পরমাত্মা আবুতে এসে স্বর্গের
স্থাপনা করেছেন। স্বর্গের রচনা কিভাবে করেছেন - সেই স্বর্গের এবং আদিদেবের মডেল সবই
আবুতে আছে, যে কথা মানুষ বোঝে না। আমরা এখন জানি, তোমরা জানো না, তাই তোমাদের বোঝাই।
প্রথমে তো তোমরা জিজ্ঞাসা করো যে বিশ্বে কিরকমের শান্তি চাও, কখনও দেখেছ? বিশ্বে
শান্তি তো লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে ছিল। একটি মাত্র আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল,
এঁদের বংশের রাজ্য ছিল। চলো এঁদের রাজধানীর মডেল আবুতে তোমাদের দেখাই। এ হলো পুরানো
পতিত দুনিয়া। নতুন দুনিয়া তো বলবে না, তাইনা। নতুন দুনিয়ার মডেল তো এখানে আছে, নতুন
দুনিয়া এখন স্থাপন হচ্ছে। তোমরা জানো তবেই বলো। সবাই জানে না। না বলে আর না বুঝতে
পারে। এ'কথা খুব সহজ । উপরে স্বর্গের রাজধানী আছে, নীচে আদিদেব বসে আছেন যাকে
অ্যাডম-ও বলা হয়। উনি হলেন গ্রেট-গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার। তোমরা এমন মহিমা বর্ণনা
করলে শুনে তারা খুশি হবে। কথাটি যথার্থ ভাবে সঠিক, বলো তোমরা কৃষ্ণের মহিমা গান কর
কিন্তু তোমরা তো কিছুই জানো না। কৃষ্ণ তো হলেন বৈকুণ্ঠের মহারাজা, বিশ্বের মালিক
ছিলেন। তোমরা সেই মডেল দেখতে চাও তো চলো আবুতে, তোমাদের বৈকুণ্ঠের মডেল দেখাব।
কিভাবে পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে রাজযোগের শিক্ষা প্রাপ্ত করে বিশ্বের মালিক হই, সেই
মডেল দেখাব। সঙ্গম যুগের তপস্যাও দেখাব। প্রাক্টিক্যালে যা কিছু হয়েছিল তারই
স্মরণিকা দেখাব। শিববাবা যিনি লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য স্থাপন করেছিলেন, তাঁরও চিত্র
আছে, অম্বা দেবীরও মন্দির আছে। অম্বা দেবীর কোনও ১০-২০ টি ভুজ হয় না। ভুজ তো দুটিই
হয়। তোমরা এসো তো তোমাদের দেখাব। বৈকুণ্ঠও আবুতে দেখাব। আবুতেই বাবা এসে সম্পূর্ণ
বিশ্বকে স্বর্গে পরিণত করেন। সদগতি প্রদান করেন। আবু হল সর্বশ্রেষ্ঠ তীর্থ, সব
ধর্মের মানুষের সদগতি করেন যিনি তিনি হলেন একমাত্র পিতা, তাঁরই স্মরণিক চলো আবুতে
দেখাব। তোমরা আবুর অনেক মহিমা বর্ণনা করতে পারো। তোমাদের সব স্মরণিকা দেখাই।
খ্রীস্টানরাও জানতে চায় - প্রাচীন ভারতের রাজযোগ কে শিখিয়েছেন, সেটা কি জিনিস? বলো,
আবুতে চলো দেখাব। বৈকুণ্ঠের চিত্রও সঠিক বানানো আছে উপরে ছাদে। তোমরা এমন তৈরি করতে
পারো না। অতএব খুব ভালো ভাবে বলতে হবে। টুরিস্টরা যারা কষ্ট করে দেখতে আসে, তারাও
এসে বুঝবে। তোমাদের আবুর নাম বিখ্যাত হলে অনেকে আসবে। আবু বিখ্যাত হয়ে যাবে। যখন
কেউ জিজ্ঞাসা করে যে বিশ্বে শান্তি হবে কিভাবে? সম্মেলন ইত্যাদিতে নিমন্ত্রণ দিলে
জিজ্ঞাসা করা উচিত - বিশ্বে শান্তি কবে ছিল, সে কথা কি জানো? বিশ্বে শান্তি কিভাবে
ছিল - চলো আমরা বোঝাই, মডেল ইত্যাদি সব দেখাই। এমন মডেল অন্য কোথাও নেই। আবু হল
একমাত্র উঁচু থেকে উঁচু তীর্থ, যেখানে বাবা এসে বিশ্বে শান্তি স্থাপন করেন, সকলের
সদগতি করেন। এইসব কথা কেউ জানে না। তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী আছে, যতই মহারথী,
মিউজিয়ামের সংরক্ষক হোক, কিন্তু ঠিক মত কাউকে বোঝাতে পারছে কি না সেসব তো বাবা
লক্ষ্য তো করেন, তাইনা। বাবা সবই বোঝেন, যে যেখানে আছে, সবাইকে বোঝেন। কে কে
পুরুষার্থ করে, কি পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে? এই সময় যদি মৃত্যু হয় তবে কিছুই পদ পাবে
না। স্মরণের যাত্রার পরিশ্রম তারা বোঝে না। বাবা রোজ নতুন কথা বোঝান, এমন এমন বুঝিয়ে
নিয়ে এসো। এখানে তো স্মরণিক রয়েছে।
বাবা বলেন আমিও এখানে
আছি, আদিদেবও এখানে আছেন, বৈকুণ্ঠও এখানে আছে। আবুর বিরাট মহিমা হয়ে যাবে। আবু না
জানি কি হয়ে যাবে। যেমন দেখো কুরুক্ষেত্রকে ভালো করে তৈরি করতে কোটি টাকা খরচ করে।
কত অসংখ্য মানুষ সেখানে গিয়ে একত্রিত হয়, এত আবর্জনা জমা হয় দুর্গন্ধ হয় যে বলার নয়।
কত ভিড় হয়। খবর এসেছিল যে ভজন মন্ডলীর একটি বাস নদীতে ডুবে গেছে। এইসব তো দুঃখই,
তাইনা। অকালে মৃত্যুও হয়। সেখানে তো এমন কিছুই হয় না, এইসব কথা তোমরা বোঝাতে পারো।
যে কথা বলবে সে সেন্সিবল হওয়া চাই । বাবা জ্ঞান পাম্প করছেন, বুদ্ধিতে বসাচ্ছেন।
দুনিয়া কি এইসব কথা বোঝে ! তারা ভাবে নতুন দুনিয়ার যাত্রা করতে যায়। বাবা বলেন এই
দুনিয়া এখন পুরানো হয়েছে, শেষ হল বলে। তারা বলে ৪০ হাজার বছর বাকি আছে। তোমরা তো বল
সম্পূর্ণ কল্পের আয়ু হল ৫ হাজার বছরের। পুরানো দুনিয়ার বিনাশ তো সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
একেই বলা হয় ঘোর অন্ধকার। কুম্ভকর্ণের নিদ্রায় সবাই নিদ্রিত। কুম্ভকর্ণ অর্ধকল্প
ঘুমাত, অর্ধকল্প জেগে থাকত। তোমরা কুম্ভকর্ণ ছিলে। এই খেলাটি খুবই ওয়ান্ডারফুল।
এইসব কথা সবাই কি আর বুঝবে । অনেকে তো এমনি ভাবের বশে চলে আসে। শোনে যে সবাই যাচ্ছে
তো চলে আসে। তাদেরকে বলা হয় আমরা শিববাবার কাছে যাই, শিববাবা স্বর্গের স্থাপনা
করছেন। অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করলে অসীমের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, ব্যস। তখন
তারাও বলে শিববাবা, আমরা আপনার সন্তান, আপনার কাছে উত্তরাধিকার অবশ্যই প্রাপ্ত করব।
ব্যস, তাহলেই ভব সাগর পার। ভাবের মূল্য তো প্রাপ্ত হবেই। ভক্তিমার্গে থাকে
অল্পকালের সুখ। এখানে তোমরা বাচ্চারা জানো অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অসীম জাগতিক
উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। সেটা হলো ভাব এর (ভক্তির) মূল্য প্রাপ্তি, অল্পকালের সুখের
প্রাপ্তি। এখানে তোমরা ২১ জন্মের জন্য ভাবের মূল্য প্রাপ্ত কর। যদিও সাক্ষাৎকার
ইত্যাদিতে কিছুই নেই। কেউ বলে সাক্ষাৎকার হোক, তখন বাবা বোঝেন কিছুই বোঝেনি।
সাক্ষাৎকার করতে হলে গিয়ে নবধা ভক্তি (অখন্ড ভক্তি) করো। তাতে প্রাপ্তি কিছুই নেই।
ওইসব করে পরের জন্মে কিছু ভালো প্রাপ্তি হবে। সৎ ভক্ত হলে ভালো জন্ম লাভ করবে।
এইখানে তো কথা-ই আলাদা। এই পুরানো দুনিয়া পরিবর্তন হচ্ছে। বাবা হলেন দুনিয়া
পরিবর্তনকারী। স্মরণিক তো রয়েছেই । খুব পুরানো এই মন্দির। কিছু ভাঙচুর হলে মেরামত
করানো হয়। কিন্তু সেই শোভনীয় রূপ তো খর্ব হয়ে যায়। এইসবই হল বিনাশী বস্তু। অতএব বাবা
বোঝান - বাচ্চারা, এক তো নিজের কল্যাণের জন্য নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করে বাবাকে স্মরণ
করো, তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। এ হল পড়াশোনার কথা। বাকি এই যে মথুরায় বৃন্দাবন,
কুঞ্জগলী ইত্যাদি বসে বানিয়েছে, সেসব কিছুই নয়। গোপ-গোপীকাদের খেলাও নেই। এইসব
বোঝাতে পরিশ্রম করতে হয়। এক-একটি পয়েন্ট ভালো করে বসে বোঝাও। কনফারেন্স ইত্যাদিতে
এমন কাউকে চাই যে হবে যোগ যুক্ত। তলোয়ারে ধার না থাকলে, কারো তির লাগবে না। তখন
বাবাও বলেন এখন দেরি আছে। এখন বিশ্বাস করে নিলে যে পরমাত্মা সর্বব্যাপী নন তাহলেই
ভিড় লেগে যাবে। কিন্তু এখন সময় নয়। এখন একটি মুখ্য কথা বুঝে যাক যে রাজযোগের শিক্ষা
পরমপিতা পরমাত্মা বাবা দিয়েছিলেন, বর্তমানে তিনি শিক্ষা দিচ্ছেন। তাঁর নামের
পরিবর্তে যে নাম (শ্রীকৃষ্ণের) লেখা হয়েছে তিনি এখন অসুন্দর হয়ে আছেন। কত বড় ভুল
করেছে মানুষ । এই ভুলের জন্য তোমাদের পতন হয়েছে।
এখন বাবা বোঝাচ্ছেন -
এই পড়াশোনা হলো সোর্স অফ ইনকাম, স্বয়ং পরমাত্মা পিতা মানুষকে দেবতায় পরিণত করতে
পড়াতে আসেন, এতে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে, দৈবী গুণও ধারণ করতে হবে। নম্বর অনুযায়ী তো
আছেই। যে সব সেন্টার গুলি আছে সবই হলো নম্বর অনুসারে। এই রূপ সম্পূর্ণ রাজধানী
স্থাপন হচ্ছে। মাসির বাড়ি যাওয়ার মতো সহজ ব্যাপার নাকি। বলো, স্বর্গ বলা হয়
সত্যযুগকে। কিন্তু রাজত্ব কিভাবে চলে, দেবতাদের দলকে দেখতে হলে চলো আবুতে। অন্য
কোনও স্থান নেই যেখানে এমন ছাদের নীচে রাজত্ব দেখতে পাবে। যদিও আজমেরে স্বর্গের
মডেল আছে কিন্তু সেইটি অন্য কথা। এখানে তো আদি দেবও আছেন, তাইনা। সত্যযুগকে কিভাবে
স্থাপন করেছেন, সেই কথাটির সঠিক স্মরণিক তো আছে। এখন আমরা চৈতন্য দিলওয়াড়া নাম
লিখতে পারি না। যখন মানুষ নিজেরাই বুঝবে তখন তারা বলবে তোমরা লেখো। এখন নয়। এখন তো
সামান্য কথাও কী পরিণাম ধারণ করে ! ক্রোধ করে, দেহ-অভিমানে আছে কিনা। বাচ্চারা,
তোমাদের ছাড়া দেহী-অভিমানী তো কেউ হতে পারে না । পুরুষার্থ করতে হবে। এমন নয় যে
ভাগ্যে আছে, হবে। পুরুষার্থী এমন বলবে না। তারা তো পুরুষার্থ করে তারপরে যখন ফেল হয়
তখন বলে যা ভাগ্যে ছিল। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
দেহী-অভিমানী হওয়ার জন্য সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে। এমন কখনও ভাববে না যে - যা
ভাগ্যে আছে, হবে। সেন্সিবল হতে হবে।
২ ) জ্ঞান শুনে সেইসব
স্বরূপে আনতে হবে, স্মরণের শক্তি ধারণ করে অন্যদের সেবা করতে হবে। সবাইকে আবু মহান
তীর্থের মহিমা শোনাতে হবে।
বরদান:-
এক
‘বাবা’ শব্দের স্মৃতিতে থেকে স্মরণ আর সেবাতে তৎপর থাকা সত্যিকারের যোগী সত্যিকারের
সেবাধারী ভব
বাচ্চারা তোমরা মুখে
বা মনে মনে অসংখ্যবার “বাবা” শব্দ বলে থাকো, বাচ্চা হয়েছো তো বাবা শব্দ স্মরণে আসা
বা চিন্তা করাই হলো যোগ আর মুখ থেকে বার-বার বলা যে, বাবা এটা বলে থাকেন, বাবা এটা
বলেছেন - এটাই হলো সেবা। কিন্তু এই বাবা শব্দকে কেউ হৃদয় থেকে বলে আবার কেউ নলেজের
বুদ্ধি থেকে। যারা হৃদয় থেকে বলে তাদের হৃদয়ে সদা প্রত্যক্ষ প্রাপ্তি খুশী আর শক্তি
প্রাপ্ত হয়। বুদ্ধি দিয়ে বলা আত্মাদের বাবা শব্দ বলার সময় খুশী হয় কিন্তু সদাকালের
জন্য নয়।
স্লোগান:-
সত্যিকারের বহ্নি-পতঙ্গ হলো তারা যারা পরমাত্মা রূপী অগ্নির উপরে নিজেদেরকে সমর্পণ
করে দেয়।