17-11-2024 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
30-11-2002 মধুবন
"রিটার্ন শব্দের স্মৃতি দ্বারা সমান হও এবং
রিটার্ন-জার্নির স্মৃতি স্বরূপ হও"
আজ বাপদাদা চতুর্দিকে তাঁর নিজের হৃদয় সিংহাসনাসীন, ভ্রুকুটির সিংহাসনাসীন,
বিশ্ব-রাজত্বের সিংহাসনাসীন, স্বরাজ্য অধিকারী বাচ্চাদের দেখে আনন্দিত হচ্ছেন।
পরমাত্ম হৃদয় সিংহাসন সারা কল্পে তোমরা হারানিধি ও অতি প্রিয় বাচ্চাদের এখন
প্রাপ্ত হয়। ভ্রুকুটি সিংহাসন তো সব আত্মার আছে, কিন্তু পরমাত্ম হৃদয় সিংহাসন
ব্রাহ্মণ আত্মা ব্যতীত কারও প্রাপ্ত হয় না। এই হৃদয় সিংহাসনই বিশ্বের সিংহাসন
প্রাপ্ত করায়। বর্তমান সময়ে তোমরা স্বরাজ্য অধিকারী হয়েছ, স্বরাজ্য প্রত্যেক
ব্রাহ্মণ আত্মার গলার হার। স্বরাজ্য তোমাদের জন্মের অধিকার। নিজেকে এমন স্বরাজ্য
অধিকারী অনুভব করো তোমরা? হৃদয়ে তোমাদের এই দৃঢ় সংকল্প আছে যে আমার এই বার্থ রাইট
কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না! সেইসঙ্গে এই আধ্যাত্মিক নেশাও আছে যে আমি পরমাত্ম হৃদয়
সিংহাসনাসীন। মানব জীবনে, তনের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে হৃদয়ই মহান হিসেবে গাওয়া হয়ে
থাকে। হৃদয় থেমে গেলো তো জীবন সমাপ্ত। সুতরাং আধ্যাত্মিক জীবনেও হৃদয় সিংহাসনের
মহত্ত্ব অনেক। যারা হৃদয় সিংহাসনাসীন সেই আত্মাদের বিশেষ আত্মা হিসেবে গায়ন হয়ে
থাকে। সেই আত্মাদের ভক্তরা মালার দানা রূপে স্মরণ করে থাকে। সেই আত্মারা কোটির মধ্যে
কিছু, কিছুর মধ্যেও কেউ হিসেবে গাওয়া হয়ে থাকে। তো তারা কা'রা? তোমরা? পান্ডবও আছে?
মাতারাও আছে? (হাত নাড়াচ্ছে) তো বাবা বলেন, অতি প্রিয় বাচ্চারা কখনো কখনো হৃদয়
সিংহাসন ছেড়ে দেহরূপী মাটির সাথে কেন হৃদয় সংযুক্ত করো? দেহ হলো মাটি। তাইতো অতি
প্রিয় বাচ্চারা কখনো মাটিতে পা রাখে না, সদা সিংহাসনে, আসনে কিংবা অতীন্দ্রিয়
সুখের দোলায় দোলে। তোমাদের জন্য বাপদাদা ভিন্ন ভিন্ন দোলনা দিয়েছেন, কখনো সুখের
দোলায় দোলো, কখনো খুশির দোলায় দোলো। কখনো আনন্দময় দোলাতে দোলো।
তো বাপদাদা আজ এমন শ্রেষ্ঠ বাচ্চাদের দেখছিলেন যে কীভাবে তারা নেশার সাথে দোলায়
দুলছে। নিরন্তর দোলো? দোদুল্যমান? তোমরা মাটিতে যাও না তো! কখনো কখনো মন চায় কি,
মাটিতে পা রাখতে? কেননা, ৬৩ জন্ম মাটিতেই পা রেখেছো, মাটির সাথেই খেলেছো। মাটির সাথে
এখন খেল না তো, তাই না? কখনো কখনো মাটির দিকে পা যায়, নাকি যায় না? কখনো কখনো চলে
যায়। দেহভাবও মাটিতে পা রাখাই হয়। দেহ অভিমান তো অতি গভীরভাবে মাটিতে পা থাকা।
কিন্তু দেহভাব অর্থাৎ বডি কনসাসনেস - এটাও মাটি। সঙ্গমের সময়ে যত বেশি থেকে বেশি
সিংহাসনাসীন হবে ততই অর্ধেক কল্প সূর্য বংশের রাজধানীতে এবং চন্দ্র বংশের রাজত্বেও
সূর্যবংশী রাজ ঘরানার হবে। যদি এখন সঙ্গমে কখনো কখনো সিংহাসনাসীন থাকবে তাহলে
সূর্যবংশের রয়্যাল ফ্যামিলিতে ততটাই অল্প সময় থাকবে। হতে পারে সিংহাসনাসীন টার্ন
বাই টার্ন হবে, কিন্তু রয়্যাল ফ্যামিলি, রাজ্য ঘরানার আত্মাদের সাথে সদা সম্বন্ধে
হবে। সুতরাং চেক করো - সঙ্গম যুগের আদি সময় থেকে এখন পর্যন্ত তা' ১০ বছর হোক বা ৫০
বছর, কিংবা ৬৬ বছরই হোক, কিন্তু যখন থেকে ব্রাহ্মণ হয়েছ তখন সেই আদি থেকে এখন
পর্যন্ত কত সময় হৃদয় সিংহাসনাসীন স্বরাজ্য সিংহাসনাসীন ছিলে? বহুকাল ছিলে,
নিরন্তর ছিলে নাকি কখনো কখনো ছিলে? যে পরমাত্ম-সিংহাসনাসীন থাকবে তার লক্ষণ হবে -
প্রত্যক্ষ আচার-আচরণ এবং মুখমন্ডল দ্বারা সে সদা নিশ্চিন্ত বাদশাহ হবে। স্থূল বোঝা
তো মাথার ওপরে থাকে, কিন্তু সূক্ষ্ম বোঝা নিজের মনে থাকে। তো তাদের মনে কোনো বোঝা
থাকে না। চিন্তা হলো বোঝা, আর চিন্তামুক্ত হওয়া হলো ডবল লাইট। কোনও রকমের তা'
সেবার হোক বা সম্বন্ধ- সম্পর্কের, কিংবা স্থূল সেবার, আধ্যাত্মিক সেবারও বোঝা থাকবে
না - কী হবে, কীভাবে হবে ... সফলতা হবে কি হবে না! ভাবা এবং প্ল্যান বানানো আলাদা
ব্যাপার, বোঝা (ভার) আলাদা ব্যাপার। যাদের বোঝা থাকে তাদের লক্ষণ হলো মুখমন্ডলে সদা
অধিক অথবা অল্প ক্লান্তির চিহ্ন থাকবে, ক্লান্ত হওয়া আলাদা ব্যাপার, ক্লান্তির
সামান্য চিহ্ন থাকা, সেটাও বোঝার লক্ষণ। আর নিশ্চিন্ত বাদশাহর অর্থ এই নয় যে
অমনোযোগী থাকবে, হবে অমনোযোগী আর বলবে আমি তো নিশ্চিন্ত বাদশাহ রূপে থাকি।
অমনোযোগিতা - এটা খুব ঠকায়। তীব্র পুরুষার্থেরও সেই শব্দ আর অমনোযোগিতারও সেই একই
শব্দ। তীব্র পুরুষার্থী সদা দৃঢ় নিশ্চয় থাকার কারণে এটাই ভাবে - সব কার্য সাহস আর
বাবার সহায়তায় সফল হয়েই আছে এবং অমনোযোগীরও এই শব্দই, হয়ে যাবে, হয়ে যাবে,
হয়েই আছে। কোনও কার্য বাকি রয়েছে কি, হয়ে যাবে। তো শব্দ এক, কিন্তু রূপ আলাদা
আলাদা।
বর্তমান সময়ে মায়ার বিশেষ দুই রূপ বাচ্চাদের পেপার নিয়ে থাকে। জানো তোমরা? জানো
তো বটেই। এক, ব্যর্থ সংকল্প, বিকল্প নয়, ব্যর্থ সংকল্প। আরেকটা কি সেটাও বাবা
বলবেন? আরেক হলো, "আমিই রাইট।" যা করেছি, যা বলেছি, যা ভেবেছি... আমি কম নই, আমি
রাইট। বাপদাদা সময় অনুসারে এখন এটাই চান - একটা শব্দ স্মৃতিতে বজায় রাখো - বাবার
থেকে হওয়া সর্ব প্রাপ্তির, স্নেহের, সহযোগের রিটার্ন করতে হবে। রিটার্ন করা অর্থাৎ
সমান হওয়া। দ্বিতীয়ত, এখন আমাদের রিটার্ন জার্নি ( ফিরতি যাত্রা)। একটাই শব্দ
রিটার্ন সদা যেন স্মরণে থাকে। সেইজন্য খুব সহজ সাধন হলো - প্রতিটা সংকল্প, বোল আর
কর্ম ব্রহ্মা বাবার সাথে ট্যালি (মিলিয়ে) করে নাও। বাবার সংকল্প কী ছিল? বাবার বোল
কী ছিল? বাবার কর্ম কী ছিল? একেই বলা হয়ে থাকে ফলো ফাদার। ফলো করা তো সহজ হয় তো
না! নতুন ভাবনা, নতুন কিছু করা তার আবশ্যকতা তো নেইই, যা বাবা করেছেন, ঠিক সেটাই ফলো
ফাদার। সহজ তো না!
টিচার্স - টিচার্স হাত তোলো। ফলো করা সহজ, নাকি কঠিন? সহজ তো না! কেবল ফলো ফাদার।
প্রথমে চেক করো, যেমন, প্রবাদ আছে আগে ভাবো পরে করো, আগে পরিমাপ করো তারপরে বলো।
এখন এই বছরের এটা লাস্ট মান্থ, পুরানো চলে যাবে নতুন আসবে। তো সব টিচার নতুন আসার
আগে কী করতে হবে, এই বছরে তার প্রস্তুতি করে নাও। এই সংকল্প করো যে বাবার কদমে কদম
রাখা ব্যতীত অন্য কোথাও কদম রাখব না। কেবল ফুট স্টেপ। কদমে কদম রাখা তো ইজি, তাই
না! নতুন বছরে এখন থেকে সংকল্পে প্ল্যান বানাও, ব্রহ্মা বাবা যেমন সদা নিমিত্ত আর
নির্মাণ ছিলেন তেমন নিমিত্ত ভাব আর নির্মাণ ভাব থাকবে। শুধু নিমিত্ত ভাব নয়,
নিমিত্ত ভাবের সাথে নির্মাণ ভাব, দুইই আবশ্যক, কেননা টিচার্স তো নিমিত্ত, তাই না!
তোমরা নিমিত্ত না! তো সংকল্পেও, বোলেও এবং কারও সঙ্গে সম্বন্ধে, তোমাদের কর্ম,
প্রতিটা বোল নির্মাণ হতে হবে। যে নির্মাণ সেই নিমিত্ত হওয়ার ভাবে থাকে। যে নির্মাণ
নয় তার মধ্যে অল্পবিস্তর সূক্ষ্ম বা মহারূপে অভিমান যদি নাও বা থাকে তবুও কর্তৃত্ব
ভাব থাকবে। এই কর্তৃত্ব ভাব, এটাও অভিমানের অংশ। তোমাদের বোলের ভাষা যেন সদা নির্মল
আর মধুর হয়। যখন সম্বন্ধ-সম্পর্কে আত্মিক রূপের স্মৃতি থাকে তখন সদা নিরাকারী এবং
নিরহংকারী থাকো তোমরা। ব্রহ্মা বাবার লাস্টের তিন শব্দ মনে থাকে তোমাদের? নিরাকারী,
নিরহংকারী তথা নির্বিকারী। আচ্ছা, ফলো ফাদার। এতে তোমরা পাক্কা তো না!
আগামী বছরের মুখ্য লক্ষ্য স্বরূপের স্মৃতি হলো - এই তিন শব্দ - নিরাকারী, নিরহংকারী,
নির্বিকারী। এমনকি লেশমাত্রও যেন না থাকে, বড়-বড় রূপ তো ঠিক হয়ে গেছে কিন্তু
অংশমাত্রও থাকবে না। কেননা, অংশই ঠকিয়ে থাকে। ফলো ফাদার- এর অর্থই হলো এই তিন শব্দ
সদা স্মৃতিতে রাখা। ঠিক আছে?
আচ্ছা - ডবল ফরেনার্স ওঠো। ভালো গ্রুপ এসেছে। বাপদাদা ডবল ফরেনারদের একটা ব্যাপারে
খুশি, জানো তোমরা কোন ব্যাপারে? জানো? দেখ, যতই দূর থেকে, দূরদেশ থেকে তোমরা আসো না
কেন কিন্তু যে ডাইরেকশন তোমরা পেয়েছো যে এই টার্নেও তোমাদের আসতে হবে, তো তোমরা
এখানে পৌঁছেই গেছো তো না! কীভাবে তোমরা চেষ্টা করেছ সেটা ব্যাপার না, যেভাবেই হোক
পুরুষার্থ করে তোমরা বড় গ্রুপই পৌঁছে গেছ। দাদির ডাইরেকশন ঠিক ভাবে মেনেছো, তাই
না! এর জন্য অভিনন্দন। বাপদাদা প্রত্যেককে দেখছেন, দৃষ্টি দিচ্ছেন। এমন নয় যে
স্টেজেই দৃষ্টি লাভ হয়। দূর থেকে আরও ভালো দেখা যাচ্ছে। ডবল ফরেনার্স 'হাঁ জী'র
পাঠ ভালো করে পড়েছে। বাপদাদার ডবল ফরেনার্স-এর প্রতি ভালোবাসা তো আছেই, উপরন্তু
তাঁর গর্বও হয়, কারণ বিশ্বের কোণে কোণে বার্তা পৌঁছানোর জন্য ডবল ফরেনার্স-ই
নিমিত্ত হয়েছে। বিদেশে এখন কোনো বিশেষ স্থান রয়ে গেছে, গ্রামগুলো বাকি থেকে গেছে,
নাকি বিশেষ স্থান? কোণে কোণে, গ্রামে গ্রামে অথবা ছোট লোক বসতিতে বাকি রয়ে গেছে,
নাকি বিশেষ স্থানে বাকি থেকে গেছে? তবুও দেখ, যারা এসেছে এটাও গ্রুপ, কত দেশের
গ্রুপ এটা? গুনতি করেছো? করনি তোমরা। তবুও বাপদাদা জানেন যে বিশ্বের ভিন্ন ভিন্ন
অনেক দেশে তোমরা আত্মারা নিমিত্ত হয়েছ। বাপদাদা প্রায়শ বলেই থাকেন যে বিশ্ব
কল্যাণকারীর টাইটেল বাবার ডবল বিদেশিরাই প্রত্যক্ষ করিয়েছে। এটা ভালো। প্রত্যেকে
নিজের নিজের স্থানে স্বয়ং আপন পুরুষার্থে এবং সেবাতে এগিয়ে যাচ্ছে, আর সদা এগিয়ে
যেতে থাকবে। সফলতার নক্ষত্র হয়েই আছ। খুব ভালো।
কুমারদের প্রতি : - মধুবনের
কুমারও আছে। দেখ, কুমারদের সংখ্যা দেখো কত আছে! অর্ধেক ক্লাসই তো কুমারদের। কুমার
এখন সাধারণ কুমার নয়। এখন কুমারদের টাইটেল আছে, কোন্ কুমার তোমরা? ব্রহ্মাকুমার তো
হওই, কিন্তু ব্রহ্মা কুমারদের বিশেষত্ব কী? কুমারদের বিশেষত্ব হলো - যেখানেই অশান্তি
হবে সেখানে সদা শান্তি ছড়িয়ে দেওয়ার শান্তিদূত তোমরা। মনের অশান্তি নেই, বাইরের
অশান্তি নেই। কুমারদের কাজই হলো কঠিন কাজ করা, হার্ড ওয়ার্কার তো না! তো আজ সবচাইতে
হার্ড থেকে হার্ড ওয়ার্ক হলো - অশান্তি মিটিয়ে শান্তিদূত হয়ে শান্তি ছড়িয়ে
দেওয়া। তোমরা এমন কুমার? এমন তোমরা? অশান্তির লেশমাত্রও থাকবে না, এমন শান্তিদূত
হও তোমরা? না বিশ্বে, না তোমাদের সম্বন্ধ-সম্পর্কে অশান্তি থাকা উচিত নয়।
শান্তিদূত, যেমন, যারা আগুন নেভায় তারা যেখানেই আগুন লাগবে নেভাবে তো না! তো
শান্তিদূতের কাজই হলো অশান্তিকে শান্তিতে বদলানো। তোমরা তো শান্তিদূত, তাই না!
পাক্কা! পাক্কা? পাক্কা? খুব ভালো লাগছে, এত কুমার দেখে বাপদাদা খুশি হন। আগেও
বাপদাদা তোমাদের প্ল্যান দিয়েছিলেন যে দিল্লিতে সর্বাধিক সংখ্যক কুমার রয়েছে, যা
গভর্নমেন্ট মনে করে কুমার মানেই যারা ঝামেলা করে, ভয় পায় কুমারদের। এইরকম ভীত
গভর্নমেন্ট, প্রত্যেক ব্রহ্মাকুমারকে শান্তিদূত এর টাইটেল দ্বারা যেন স্বাগত জানায়,
তবেই কুমারদের চমৎকারিত্ব। সারা বিশ্বে যেন ছড়িয়ে যায় যে ব্রহ্মাকুমার শান্তির
দূত। এটা হতে পারে তো না? দিল্লিতে করতে হবে। করতে তো হবে, তাই না - দাদিরা করবে?
এত কুমার রয়েছে, একটা গ্রুপে এত আছে তবে সব গ্রুপে কত হবে? বিশ্বে কত হবে? (আনুমানিক
এক লক্ষ) অতএব, কুমার করো চমৎকার। গভর্নমেন্টের মধ্যে কুমারদের প্রতি যে ভুল ভরা আছে
তার সমাধান করে দাও। মনের মধ্যেও কিন্তু অশান্তি নয়। সাথীদের মধ্যেও অশান্তি নয়
এবং নিজের স্থানেও অশান্তি নয়। নিজের শহরেও অশান্তি নয়। কুমাররা শুধু তোমাদের মুখে
বোর্ড লাগানোর প্রয়োজন নেই, কিন্তু তোমাদের ললাটে অটোমেটিক্যালি যেটা লেখা হয়ে আছে
যে এরা শান্তিদূত সেটা অনুভূত হতে দাও। ঠিক আছে তো না!
কুমারীদের প্রতি : - কুমারীরাও
সংখ্যায় অনেক রয়েছে। যারা সেন্টারে থাকে তারা নয়, যারা সেন্টারে থাকে না, তারা
ওঠো। তো এই সব কুমারীর লক্ষণ কী? চাকরি করতে চাও, নাকি বিশ্ব সেবা? মাথায় মুকুট
রাখতে চাও, নাকি চুপড়ি রাখতে চাও? কী রাখতে চাও? দেখো, সব কুমারীকে করুণাকর হতে হবে,
বিশ্বের আত্মাদের যেন কল্যাণ হয়ে যায়। কুমারীদের জন্য গায়ন আছে তারা ২১ কুলের
উদ্ধার করে, তো অর্ধেক কল্প ২১ কুল হয়ে যাবে। তো তোমরা এমন কুমারী? যারা ২১ কুলের
কল্যাণ করবে তারা হাত তোলো। একটা পরিবারের নয়, ২১ পরিবারের। করবে তোমরা? দেখো
তোমাদের নাম নোট করা হবে এবং তার পর দেখা হবে যে তোমরা করুণাকর, নাকি হিসেব নিকেশ
বাকি থেকে গেছে? এখন সময় এটাই সূচিত করছে যে সময়ের আগে তৈরি হয়ে যাও। সময়কে যদি
দেখতে থাকো তো সময় চলে যাবে। সেইজন্য লক্ষ্য রাখো যে আমরা সবাই বিশ্ব কল্যাণী,
করুণাময় বাবার করুণাকর বাচ্চা। ঠিক আছে তো না? করুণাকর তোমরা, তাই তো না! আরও
করুণাকর হও। আরও একটু তীব্রগতিতে হও।কুমারীদের তো বাবার সিংহাসন খুব সহজে প্রাপ্ত
হয়। বাবা দেখবেন, নতুন বছরে তোমরা কী চমৎকারিত্ব দেখাও! আচ্ছা।
মিডিয়া থেকে ১০৮ রত্ন এসেছে : -
এটা ভালো মিডিয়ার লোকেরা চমৎকার করে দেখাবে যাতে সবার
বুদ্ধিতে আসে যে, বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতেই হবে। কেউ যেন বঞ্চিত থেকে
না যায়। এখন বিদেশেও মিডিয়ার প্রোগ্রাম চলতেই থাকে, তাই না! এটা ভালো। বিভিন্ন
রূপে যে প্রোগ্রাম রাখে সেসবে লোকে খুব ইন্টারেস্টেড হয়। তারা ভালো করছে আর করতে
থাকবে আর সফলতা তো আছেই। সব বর্গের তারা যে সেবাই করছে বাপদাদার কাছে সেসবের সমাচার
আসতে থাকে, প্রত্যেক বর্গের নিজের নিজের সেবার সাধন এবং সেবার রূপরেখা আছে, কিন্তু
এটা দেখা যায় যে, বর্গ আলাদা আলাদা হওয়ার কারণে প্রতিটা বর্গ পরস্পরের সঙ্গে রেসও
করে, এটা ভালো। রেস যদিও বা করো, ঈর্ষা (রীস) ক'রো না। সব বর্গের রেজাল্ট, বর্গের
সেবার পরে অনেক আই. পি. এবং ভি. আই. পি.রা সম্পর্কে এসেছে, এখনো মাইক নিয়ে আসেনি,
কিন্তু সম্বন্ধ-সম্পর্কে এসেছে। আচ্ছা -
বাপদাদার করানো এক্সারসাইজ মনে আছে তোমাদের? এই মুহূর্তে
নিরাকারী, পর মুহূর্তে ফরিস্তা... এটাই হলো ঘুরতে ফিরতে বাবা আর দাদার ভালবাসার
রিটার্ন। সুতরাং এখন এখনই এই অধ্যাত্ম এক্সারসাইজ করো। সেকেন্ডে নিরাকারী, সেকেন্ডে
ফরিস্তা। (বাপদাদা ড্রিল করিয়েছেন) আচ্ছা - ঘুরতে ফিরতে সারাদিনে এই এক্সারসাইজ
সহজে বাবার স্মরণ করিয়ে দেবে।
চতুর্দিকের বাচ্চাদের স্মরণ সবার তরফ থেকে বাপদাদার কাছে
পৌঁছেছে। প্রত্যেক বাচ্চা এটা মনে করে আমার স্মরণ দিও, আমার স্মরণ দিও। কেউ সেটা
পত্রের দ্বারা পাঠায়, কেউ কার্ডের দ্বারা, কেউ মুখ দ্বারা, কিন্তু বাপদাদা
চতুর্দিকের বাচ্চাদের প্রত্যেককে নয়নে সমাহিত করে রেসপন্স স্বরূপ স্মরণের পদ্মগুন
স্মরণের স্নেহ-সুমন দিচ্ছেন। বাপদাদা দেখছেন এই সময় ঘড়িতে যতটাই বাজুক না কেন,
মেজরিটি সকলের মনে মধুবন আর মধুবনের বাপদাদা রয়েছেন ।
চতুর্দিকের তিন সিংহাসনাসীন, স্বরাজ্য অধিকারী বাচ্চাদের, সদা
বাপদাদাকে রিটার্ন দিতে বাবা সমান হওয়া বাচ্চাদের, সদা রিটার্ন জার্নির স্মৃতি
স্বরূপ বাচ্চাদের, সদা সংকল্প, বাণী আর কর্মে ফলো ফাদার করে প্রত্যেক বাচ্চাকে
বাপদাদার অনেক অনেক অনেক স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।
বরদান:-
সর্ব আত্মার মধ্যে নিজের শুভ ভাবনার বীজ বপন করে
মাস্টার দাতা ভব
ফলের অপেক্ষা না করে তুমি তোমার শুভ ভাবনার বীজ
প্রত্যেক আত্মার মধ্যে বপন করে চলো। সময়মতো সর্ব আত্মাকে জাগতেই হবে। যদি কেউ
অপোজিশন (বিরোধিতা) করে তবুও তোমাদের দয়ার ভাবনা ছাড়া উচিত নয়। এই অপোজিশন,
ইনসাল্ট, গালি সারের কাজ করবে এবং ভালো ফল বের হবে। তারা যত গালি দেবে তত গুণ গাইবে,
সেইজন্য সব আত্মাকে নিজের বৃত্তি দ্বারা, ভাইব্রেশন দ্বারা, বাণী দ্বারা দাতা হয়ে
নিরন্তর দিয়ে যাও।
স্লোগান:-
সদা প্রেম, সুখ, শান্তি আর আনন্দের সাগরে সমাহিত হওয়া
বাচ্চারাই প্রকৃত তপস্বী।
সূচনাঃ - আজ মাসের তৃতীয় রবিবার, অন্তর্রাষ্ট্রিয়
যোগ দিবস, সকল ব্রহ্মা বৎস সংগঠিত রূপে সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে ৭:৩০ পর্যন্ত বিশেষ বরদাতা
ভাগ্যবিধাতা বাপদাদার সঙ্গে কম্বাইন্ড স্বরূপে স্থিত হয়ে সকল আত্মাকে সুখ শান্তির
দান দেওয়ার সেবা করুন।