17.12.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
“মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদেরকে মন-বাণী-কর্মে অত্যন্ত খুশীতে থাকতে হবে, সবাইকে খুশী করে রাখতে হবে,
কাউকে দুঃখ দেবে না”
প্রশ্নঃ -
যে বাচ্চারা
ডবল অহিংসক হবে তাদের কোন্ কথায় সতর্ক থাকতে হবে?
উত্তরঃ
১. এমন কোনও
কথা বলবে না যাতে কারো দুঃখ হয়, কারণ বাণী দ্বারা দুঃখ দেওয়াও হলো হিংসা, এই বিষয়ে
সতর্ক থাকবে। ২. আমরা দেবতায় পরিণত হবো, তাই আচার ব্যবহার যেন খুব রয়্যাল থাকে।
খাওয়া দাওয়া যেন খুব সাধারণ হয়, না খুব উঁচু, না খুব নীচু।
গীতঃ-
দুর্বলের সঙ্গে
লড়াই বলবানের...
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদেরকে বাবা প্রতিদিন প্রথমে বোঝান যে নিজেকে আত্মা ভেবে বসো এবং
বাবাকে স্মরণ করো। বলা হয় অ্যাটেনশন প্লিজ ! অর্থাৎ বাবা বলেন অ্যাটেনশন দাও বাবার
দিকে। বাবা হলেন খুব মিষ্টি, তাঁকে বলা হয় ভালোবাসার সাগর, জ্ঞানের সাগর। অতএব
তোমাদেরকেও খুব প্রিয়, মিষ্টি হওয়া উচিত। মন-বাণী-কর্ম প্রতিটি কথায় তোমাদের খুশীতে
থাকা উচিত। কাউকে দুঃখ দেবে না। বাবা কাউকে দুঃখ দেন না। বাবা এসেছেন সুখী করতে।
তোমরাও কাউকে কোনোরকম দুঃখ দেবে না। কোনো এমন কর্ম করা উচিত নয়, মনেও কোনো সঙ্কল্প
আসা উচিত নয়। কিন্তু এমন অবস্থা পরে হবে। কর্মেন্দ্রিয় দ্বারা কিছু কিছু ভুল হতেই
থাকে। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করবে, অন্যকে আত্মা ভাই রূপে দেখবে, তখন আর কাউকে দুঃখ
দেবে না। শরীরকে দেখবে না তো দুঃখও দেবে না। এতেই গুপ্ত পরিশ্রম আছে। এ হল সম্পূর্ণ
রূপে বুদ্ধির কাজ। এখন তোমরা পরশ বুদ্ধি বা স্পর্শ বুদ্ধির হচ্ছো। তোমরা যখন স্পর্শ
বুদ্ধির ছিলে তখন তোমরা অনেক সুখ দেখেছো। তোমরাই সুখধামের মালিক ছিলে, তাইনা। এটা
হলো দুঃখধাম। এই কথা তো খুব সিম্পল। ওই শান্তিধাম হলো আমাদের সুইট হোম। তারপর ওখান
থেকে পার্ট প্লে করতে আসি, দুঃখের পার্ট প্লে করি বহু কাল, এখন সুখধাম যেতে হবে তাই
একে অপরকে ভাই-ভাই ভাবতে হবে। আত্মা, আত্মাকে দুঃখ দিতে পারে না। নিজেকে আত্মা ভেবে
আত্মার সঙ্গে কথা বলো। আত্মাই আসনে বিরাজিত আছে। ইনিও হলেন শিববাবার রথ তাইনা।
কন্যারা বলে - আমরা শিববাবার রথকে সাজাই, শিববাবার রথকে খাবার খাওয়াই। সুতরাং
শিববাবা স্মরণে থাকেন। তিনি হলেন কল্যাণকারী পিতা। তিনি বলেন আমি ৫ তত্ত্বের কল্যাণ
করি। সেখানে কোনো জিনিস কখনও দুঃখ দেয় না। এখানে তো কখনও ঝড় তুফান, কখনও ঠান্ডা,
কখনও কিছু হতেই থাকে। সেখানে তো সর্বদা বসন্ত ঋতু থাকে। দুঃখের নাম নেই। নামই হলো
স্বর্গ, হেভেন। বাবা এসেছেন তোমাদের হেভেনের মালিক করতে। উঁচু থেকে উঁচু হলেন ভগবান,
তিনি হলেন উঁচু থেকে উঁচু পিতা, উঁচু থেকে উঁচু সুপ্রিম টিচারও তাই অবশ্যই উঁচু থেকে
উঁচু বানাবেন তাইনা। তোমরা এই লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিলে তাইনা। সে সব কথা ভুলে গেছো।
এইসব কথা বাবা স্বয়ং বসে বোঝান। ঋষি-মুনি ইত্যাদির কাছে জিজ্ঞাসা করতে - রচয়িতা ও
রচনার কথা, তখন তারা নেতি-নেতি বলে দিত, যদিও তাদের কাছে জ্ঞান ছিল না ফলে পরম্পরা
কীভাবে চলতে পারে। বাবা বলেন এই জ্ঞান আমিই প্রদান করি। তোমাদের সদগতি হয়ে গেলে তো
এই জ্ঞানের দরকার নেই। দুর্গতি তো হয় না। সত্যযুগকে বলা হয় সদগতি। এখানে হল দুর্গতি।
কিন্তু এই কথা কেউ জানেনা যে আমরা দুর্গতিতে আছি। বাবার জন্য গায়ন আছে লিবারেটর,
গাইড, বা কান্ডারী (খিবাইয়া) । বিষয় সাগর থেকে সবার নৌকো পার করান, যার নাম ক্ষীর
সাগর বলা হয়। বিষ্ণুকে ক্ষীর সাগরে দেখানো হয়। এইসব হল ভক্তি মার্গের গায়ন। বিশাল
পুকুর, যেখানে বিষ্ণুর বিশাল চিত্র দেখানো হয়। বাবা বোঝান, তোমরাই সম্পূর্ণ বিশ্বে
রাজত্ব করেছো। অনেক বার হেরেছো এবং জিতেছ। বাবা বলেন কাম হলো মহাশত্রু, এই বিকারকে
জিতলেই তোমরা জগৎজিত হবে, অতএব খুশী হয়ে এমন স্বরূপ ধারণ করা উচিত তাইনা। গৃহস্থে
থাকলেও প্রবৃত্তি মার্গে থাকো, কিন্তু কমল পুষ্পের মতন পবিত্র থাকো। এখন তোমরা কাঁটা
থেকে ফুলে পরিণত হচ্ছো। বোঝা তো যায় এ হল ফরেস্ট অফ থর্নস (কাঁটার জঙ্গল) একে অপরকে
খুব কষ্ট দেয়, হত্যা করে। অতএব বাবা মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চাদের বলেন তোমাদের সবার এখন
বাণপ্রস্থ অবস্থা। ছোট-বড় সবার হল বাণপ্রস্থ অবস্থা। তোমরা বাণী থেকে ঊর্ধ্বে
যাওয়ার জন্য পড়াশোনা করো তাইনা। তোমরা এখন সদগুরু পেয়েছ। তিনি তো তোমাদেরকে
বাণপ্রস্থে নিয়েই যাবেন। এটা হল ইউনিভার্সিটি। ভগবানুবাচ আছে না ! আমি তোমাদের
রাজযোগ শিখিয়ে রাজার রাজা বানাই। যারা পূজ্য রাজা ছিল তারাই পূজারী রাজায় পরিণত হয়।
অতএব বাবা বলেন - বাচ্চারা, ভালো ভাবে পুরুষার্থ করো। দৈবী গুণ ধারণ করো। খাও, দাও।
শ্রীনাথ দ্বারে গেলে ঘীয়ের প্রসাদ অনেক পাবে, ঘীয়ের কুয়ো বানানো আছে। কারা খায় তাহলে?
পূজারী গণ। শ্রীনাথ এবং জগন্নাথ দুইজনকে ই শ্যাম বর্ণ দেখানো হয়েছে। জগন্নাথের
মন্দিরে দেবতাদের অপবিত্র চিত্র দেখানো হয়েছে, সেখানে অন্ন হাঁড়িতে বানানো হয়। যা
রন্ধন হয়ে গেলে ৪ ভাগে ভাগ হয়ে যায়। শুধুমাত্র চালের ভোগই দেওয়া হয়। কারণ এখন ভোজন
তো সাধারণ, তাইনা। এইদিকে দরিদ্র আর ওইদিকে ধনী। এখন দেখো অনেক গরিব মানুষ আছে।
খাবারই নেই। সত্যযুগে তো সব আছে। অতএব বাবা বসে আত্মাদেরকে বোঝান। শিববাবা হলেন খুব
মিষ্টি। তিনি তো হলেন নিরাকার, আত্মাকেই তো ভালোবাসে তাইনা। আত্মাকেই ডাকা হয়। শরীর
তো পুড়ে যায়। আত্মাকে ডাকা হয়, জ্যোতি প্রজ্বলিত করা হয়, প্রমাণ হয় যে আত্মার
অন্ধকার আছে। আত্মা হলই দেহ হীন, তাহলে অন্ধকার ইত্যাদি কীভাবে হবে। সেখানে এমন কথা
নেই। এই সব হল ভক্তি মার্গ। বাবা কত ভালো করে বুঝিয়ে দেন। জ্ঞান খুব মিষ্টি। এইখানে
চোখ খুলে বুঝতে হয়। বাবাকে তো দেখবে, তাই না ! তোমরা জানো শিববাবা এইখানে বিরাজিত
আছেন তাই চোখ খুলে বসা উচিত। অসীম জগতের পিতাকে তো দেখা উচিত। পূর্বে কন্যারা বাবাকে
দেখা মাত্রই ধ্যান মগ্ন হয়ে যেত, নিজেরা বসে বসেই ধ্যান মগ্ন হয়ে যেত। চোখ বন্ধ করে
ছুটতে থাকতো তারা। ওয়ান্ডার! তাইনা। বাবা বোঝাতে থাকেন একে অপরকে যখন দেখো তখন
নিশ্চয় করো যে - আমরা ভাইয়ের ( আত্মা রূপী) সঙ্গে কথা বলি, ভাইকে বোঝাই। তোমরা অসীম
জগতের পিতার আদেশ মানবে না? তোমরা এই শেষ জন্ম পবিত্র থাকলে পবিত্র দুনিয়ার মালিক
হবে। বাবা অনেককেই বোঝান। কেউ তো চট করে বলে দেয় বাবা আমরা নিশ্চয়ই পবিত্র হবো।
পবিত্র থাকা তো ভালো কথা। কুমারীরা হল পবিত্র, তাই সবাই তার সামনে মাথা নত করে।
বিবাহের পরে পূজারী হয়ে যায়। সবার সামনে মাথা নত করতে হয়। সুতরাং পবিত্রতা ভালো,
তাইনা। পবিত্রতা থাকলে পীস প্রস্পারিটি থাকে। সমস্ত কিছু নির্ভর করে পবিত্রতার উপরে।
ডাকাও হয় - হে পতিত-পাবন এসো। পবিত্র দুনিয়ায় রাবণ থাকে না। ওটা হল রামরাজ্য, সবাই
ক্ষীরখন্ড হয়ে থাকে। ধর্মের রাজ্যে রাবণ আসবে কীভাবে। রামায়ণ ইত্যাদি মানুষ খুব
ভালোবেসে বসে শোনায়। এই সব হল ভক্তি। অতএব কন্যারা সাক্ষাৎকারে ডান্স করতে থাকে।
সত্যের নৌকোর গায়ন আছে - দুলবে কিন্তু ডুবে যাবে না। অন্য কোনও সৎসঙ্গে যেতে বাঁধা
দেওয়া হয় না কিন্তু এখানে যাওয়ার সময় বারণ করা হয়। বাবা তোমাদেরকে জ্ঞান প্রদান
করেন। তোমরা হলে বি.কে.। ব্রাহ্মণ তো অবশ্যই হতে হবে। বাবা হলেন স্বর্গের স্থাপনা
কার, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই স্বর্গের মালিক হবো। আমরা এই নরকে পড়ে আছি কেন। এখন বোধ
এসেছে যে পূর্বে আমরা পূজারী ছিলাম, এখন পুনরায় পূজ্য হই ২১ জন্মের জন্য। ৬৩ জন্ম
পূজারী ছিলাম, এখন পুনরায় আমরা পূজ্য, স্বর্গের মালিক হবো। এটা হল নর থেকে নারায়ণ
হওয়ার নলেজ। ভগবান উবাচঃ আমি তোমাদের রাজার রাজা বানাই। পতিত রাজারা পবিত্র রাজাদের
নমন বন্দন (পূজা) করে। প্রত্যেক মহারাজার মহলে মন্দির নিশ্চয়ই থাকবে। তাও
রাধা-কৃষ্ণের বা লক্ষ্মী-নারায়ণের বা রাম-সীতার। আজকাল তো গণেশ, হনুমান ইত্যাদির
মন্দিরও বানানো হয়। ভক্তি মার্গে কতখানি অন্ধশ্রদ্ধা রয়েছে। এখন তোমরা বুঝেছো আমরা
রাজত্ব করেছি পরে বাম মার্গে গিয়ে পতন ঘটে, কথাটি সঠিক, এখন বাবা বোঝান তোমাদের এটা
হল অন্তিম জন্ম। মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা প্রথমে তোমরা স্বর্গে ছিলে। পরে নীচে নামতে
নামতে একবারে পতিত হয়েছো। তোমরা বলবে আমরা খুব উঁচুতে ছিলাম পুনরায় বাবা আমাদের
উঁচুতে স্থান দিচ্ছেন। আমরা প্রতি ৫ হাজার বছর পরে পড়াশোনা করে থাকি। একেই বলা হয়
ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি রিপিট।
বাবা বলেন বাচ্চারা,
আমি তোমাদের বিশ্বের মালিক করি। সম্পূর্ণ বিশ্বে তোমাদের রাজ্য হবে। গানেও আছে না -
বাবা আপনি এমন রাজত্ব প্রদান করেন যা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। এখন তো কত পার্টিশন,
ভাগাভাগি আছে। জল নিয়ে, জমি নিয়ে ঝগড়া চলতেই থাকে। নিজের নিজের স্থানের
রক্ষণাবেক্ষণ করতে থাকে। না করলে ইয়ং ছেলেরা পাথর মারতে শুরু করে। তারা ভাবে এই
নতুন জেনারেশন বীর বাহাদুর হয়ে ভারতের রক্ষা করবে। তাই নিজের বীরত্ব দেখায়। দুনিয়ার
অবস্থা দেখো কেমন হয়েছে। এ হলো রাবণ রাজ্য তাইনা।
বাবা বলেন এই হল অসুর
সম্প্রদায়। তোমরা এখন দৈবী সম্প্রদায় হচ্ছো। দেবতা এবং অসুরদের তাহলে যুদ্ধ হবে
কীভাবে। তোমরা তো ডবল অহিংসক হচ্ছো। তারা হলো ডবল অহিংসক। দেবী-দেবতাদের ডবল অহিংসক
বলা হয়। অহিংসা পরম দেবী-দেবতা ধর্ম বলা হয়। বাবা বুঝিয়েছেন - কাউকে বাণী দ্বারা
দুঃখ দেওয়াও হল হিংসা। তোমরা দেবতা হও, তাই প্রতিটি কথায় রয়্যালটি হওয়া উচিত।
খাওয়া-দাওয়া ইত্যাদি সাধারণ রাখবে, না খুব উঁচু , না খুব হালকা। একরস রাখবে। রাজা
রাজরারা খুব কম কথা বলে। রাজার প্রতি প্রজার ভালোবাসাও অনেক থাকে। এখানে তো দেখো কি
হচ্ছে। কত আন্দোলন হচ্ছে। বাবা বলেন যখন এমন অবস্থা হয় তখন আমি এসে বিশ্বে শান্তি
স্থাপন করি। গভর্নমেন্ট চায় - সবাই মিলেমিশে এক হয়ে যাক। যদিও সবাই তো হলো
ব্রাদার্স কিন্তু এটা তো খেলা, তাইনা। বাবা বলেন বাচ্চারা, তোমরা কোনও চিন্তা কোরোনা।
এখন আনাজের মাত্রা কম। সেখানে তো আনাজ এত হয়ে যাবে, বিনে পয়সায় যত চাইবে তত পাবে।
এখন সেই দৈবী রাজধানী স্থাপন করছি। আমরা হেল্থও এমন তৈরি করি যে কখনো রোগ হবেই না,
গ্যারান্টি। ক্যারেক্টারও আমরা এই দেবতাদের বানাই। যেমন মিনিস্টার হবে তাকে এমন ভাবে
বোঝাতে পারো। যুক্তি দিয়ে বোঝানো উচিত। ওপিনিয়ন তারা ভালো লেখে। কিন্তু তোমরাও তো
বোঝো । তখন বলে সময় নেই। তোমরা বড় লোকেরা কিছু আওয়াজ করলে গরিবদের কল্যাণ হবে।
বাবা বোঝান এখন সবার
মাথার উপরে মৃত্যু দাঁড়িয়ে আছে। আজ-কাল করতে করতে কাল খেয়ে নেবে। তোমরা কুম্ভকর্ণ
হয়ে গেছ। বাচ্চাদেরকে বোঝাতে খুব ভালো লাগে। বাবা স্বয়ং এই চিত্র ইত্যাদি তৈরি
করেছেন। ব্রহ্মাবাবার তো এত জ্ঞান ছিল না। তোমরা উত্তরাধিকার লৌকিক ও পারলৌকিক
পিতার কাছে প্রাপ্ত করো। অলৌকিক পিতার কাছে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না। আমিও পড়ি,
উত্তরাধিকার হল এক পার্থিব জগতের, দ্বিতীয় অসীম জগতের পিতার। প্রজাপিতা ব্রহ্মা কি
উত্তরাধিকার দেবেন !বাবা বলেন - মামেকম্ স্মরণ করো । ইনি তো হলেন রথ। রথ-কে তো
স্মরণ করবে না। উঁচু থেকে উঁচু ভগবানকে বলা হয়। বাবা বসে আত্মাদেরকে বোঝান। আত্মাই
তো সব কিছু করে, তাইনা। এক খোলস ত্যাগ করে অন্য ধারণ করে। সর্পের দৃষ্টান্ত দেওয়া
হয়। ভ্রমরিও হলে তোমরা। জ্ঞানের কথা ভুঁ-ভুঁ করো। জ্ঞান শোনাতে শোনাতে তোমরা সবাইকে
বিশ্বের মালিক করতে পারো। বাবা যে তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক করেন এমন বাবাকে স্মরণ
কেন করবে না। এখন বাবা এসেছেন তো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করা-ই উচিত। এমন কেন বলো যে
সময় নেই । ভালো ভালো বাচ্চারা সেকেন্ডে বুঝে যায়। বাবা বুঝিয়েছেন - মানুষ লক্ষ্মীর
পূজা করে, এবারে লক্ষ্মীর কাছে কি প্রাপ্ত হয় বা অম্বার কাছে কি প্রাপ্ত হয়? লক্ষ্মী
তো হলেন স্বর্গের দেবী। লক্ষ্মীর কাছে অর্থ ভিক্ষা করে। অম্বা তো বিশ্বের মালিক
করেন। সর্ব মনস্কামনা পূর্ণ করেন। শ্রীমতের দ্বারা সর্ব মনস্কামনা পূর্ণ হয়ে যায়।
আচ্ছা!
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা যাতে কোনো ভুল না হয় তার জন্য 'আমি আত্মা', এই স্মৃতি পাকা
করতে হবে। শরীরকে দেখবে না। এক পিতার প্রতি অ্যাটেনশন দিতে হবে।
২ ) এখন হল
বাণপ্রস্থের সময়, তাই বাণীর ঊর্ধ্বে যাওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে, পবিত্র নিশ্চয়ই
থাকতে হবে। বুদ্ধিতে যেন থাকে - সত্যের নৌকো দুলবে, কিন্তু ডুবে যাবে না ... তাই
বিঘ্ন দেখে ভয় পাবে না।
বরদান:-
ড্রামার নলেজের দ্বারা অবিচল স্থিতি নির্মাণকারী প্রকৃতি বা মায়াজিৎ ভব
প্রকৃতি বা মায়ার
দ্বারা যেরকমই পরীক্ষা আসুক কিন্তু তোমরা দোলাচলে আসবে না। এটা কী, এটা কেন, এই
কোশ্চেনও যদি ওঠে, অল্প একটুও কোনও সমস্যা যদি আক্রমণকারী হয়ে যায় তাহলে ফেল হয়ে
যাবে এইজন্য যাকিছু হয়ে যাক, অন্তর থেকে এই আওয়াজ বের হবে যে বাঃ মিষ্টি ড্রামা
বাঃ। হায় কি হল - এই সংকল্পও যেন না ওঠে। এমন স্থিতি বানাও যে কোনও সংকল্প তোমাদেরকে
দোলাচলে আনতে না পারে। সদা অচল, অনড় স্থিতি থাকবে তখন প্রকৃতিজীৎ বা মায়াজীৎ এর
বরদান প্রাপ্ত হবে।
স্লোগান:-
খুশীর
খবর শুনিয়ে সবাইকে খুশী প্রদান করা, এটাই হলো সবথেকে শ্রেষ্ঠ কর্তব্য।
অব্যক্ত ঈশারা :- এখন
সম্পন্ন বা কর্মাতীত হওয়ার ধুন লাগাও
মহারথীরা এখন এই
বিশেষ পুরুষার্থের অভ্যাস করবে। এখনই কর্মযোগী, এখনই কর্মাতীত স্টেজ। পুরানো
দুনিয়াতে, পুরানো অন্তিম শরীরে কোনও প্রকারের ব্যাধী নিজের শ্রেষ্ঠ স্থিতিকে যেন
দোলাচলে না নিয়ে আসে। স্ব-চিন্তন, জ্ঞান চিন্তন, শুভ চিন্তক হওয়ার চিন্তনই চলবে, তবে
বলা হবে কর্মাতীত স্থিতি।