18-01-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ মধুবন


"পিতাশ্রী জীর পুণ্য স্মৃতি দিবসে প্রাতঃ ক্লাসে শোনানোর জন্য বাপদাদার মধুর অমূল্য মহাবাক্য"


ওম্ শান্তি । রুহানী বাবা এখন বাচ্চারা তোমাদের সঙ্গে আত্মিক বার্তালাপ করছেন, শিক্ষা প্রদান করছেন । টিচারের কাজ হলো শিক্ষা দান করা আর গুরুর কাজ হলো লক্ষ্য বলে দেওয়া । আর এই লক্ষ্য হলো মুক্তি এবং জীবনমুক্তির । মুক্তির জন্য স্মরণের যাত্রা অত্যন্ত জরুরী, আর জীবনমুক্তির জন্য রচনার আদি - মধ্য এবং অন্তকে জানা জরুরী । এখন তোমাদের ৮৪ র চক্র সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে, এখন আবারও ঘরে ফিরে যেতে হবে । নিজের সঙ্গে এমন এমন কথা বলতে থাকলে নিজেও অনেক খুশী হবে, আর অন্যদেরও খুশীতে নিয়ে আসতে পারবে । অন্যদেরও তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হওয়ার জন্য পথ বলে দেওয়ার কৃপা করতে হবে । বাচ্চারা, বাবা তোমাদের পুণ্য এবং পাপের গহন গতিও বুঝিয়েছেন । পুণ্য কি, আর পাপ কি ! সবথেকে বড় পুণ্য হলো - বাবাকে স্মরণ করা আর অন্যদেরও স্মরণ করানো । সেন্টার খোলা, তন - মন - ধন অন্যের সেবাতে লাগানো, এও পুণ্য । সঙ্গদোষে এসে ব্যর্থ চিন্তন, পরচিন্তনে নিজের সময় নষ্ট করা - এও পাপ । কেউ যদি পুণ্য করতে করতে আবার পাপ করে ফেলে, তাহলে সমস্ত উপার্জন নষ্ট হয়ে যায় । যাই পুণ্য করেছিলো, সবই নষ্ট হয়ে যায়, তখন জমার পরিবর্তে খরচ হয়ে যায় । জ্ঞানী তু আত্মা বাচ্চাদের জন্য পাপ কর্মের সাজাও একশো গুণ হয়ে যায়, কেননা সদ্গুরুর নিন্দক হয়ে যায় । বাবা তাই শিক্ষা দেন যে - মিষ্টি বাচ্চারা, কখনোই পাপ কর্ম ক'রো না । বিকারের চোট খাওয়ার থেকে নিজেকে সুরক্ষিত করো ।

বাবার যেমন বাচ্চাদের প্রতি লভ রয়েছে, তাই তাঁর দয়াও হয় । বাবা তাঁর অনুভব শোনান যে, যখন একান্তে বসেন তখন প্রথমে অনন্য বাচ্চাদের কথা তাঁর স্মরণে আসে । সে বিদেশেই থাকুন, বা যেখানেই থাকুন না কেন । কোনো ভালো বাচ্চা যদি শরীর ত্যাগ করে, তখন তার আত্মাকে স্মরণ করেও তিনি সার্চ লাইট অর্থাৎ সকাশ দেন । একথা তোমরাই জানো যে, এখানে দুইটি বাতি আছে, এই দুই লাইট একত্রিত । এই দুই হলো জোরদার লাইট । ভোরের সময় খুব সুন্দর, তাই স্নান করে একান্তে চলে যাওয়া উচিত । অন্তরে খুব খুশীও থাকা উচিত ।

অসীম জগতের বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান যে - মিষ্টি বাচ্চারা, নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে আর নিজের ঘরকে স্মরণ করো । বাচ্চারা, স্মরণের এই যাত্রাকে কখনো ভুলে যেও না । এই স্মরণের দ্বারাই তোমরা পাবন হতে পারবে । এই পাবন হওয়া ব্যতীত তোমরা ঘরে ফিরে যেতে পারবে না । মুখ্য বিষয় হলো জ্ঞান এবং যোগ । বাবার কাছে এই দুই বড় সম্পদ আছে, যা তিনি বাচ্চাদের দেন, এতে যোগ সাবজেক্ট হলো অনেক বড় । বাচ্চারা যদি খুব ভালোভাবে স্মরণ করে তখন এই স্মরণের কারণে বাবাও তাদের স্মরণ করে । এই স্মরণের দ্বারাই বাচ্চারা বাবাকে আকর্ষণ করে । পরের দিকে আসা কেউ যদি উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে, তার আধারও হলো এই স্মরণ । তারাও আকর্ষণ করে । বলা হয় না যে - বাবা দয়া করো, কৃপা করো, এর থেকেও মুখ্য হওয়া উচিত স্মরণ । এই স্মরণের দ্বারাই কারেন্ট মিলতে থাকবে, এতে আত্মা হেলদি হয়, ভরপুর হয়ে যায় । কোনো সময় বাবাকে যদি কোনো বাচ্চাকে কারেন্ট দিতে হয়, তখন তিনি নিদ্রাও ত্যাগ করেন । এই নেশা লেগে থাকে যে, অমুককে কারেন্ট দিতে হবে । তোমরা জানো যে, কারেন্ট প্রাপ্ত করলে আয়ু বৃদ্ধি হয়, এভার হেলদি হয় । এমনও নয় যে, এক জায়গায় বসে তোমাদের স্মরণ করতে হবে । বাবা বোঝান যে, চলতে - ফিরতে, ভোজন করতে করতে, কার্য করাকালীনও বাবাকে স্মরণ করো । অন্যকে কারেন্ট দিতে হলে রাত্রিও জাগো । বাচ্চাদের বোঝানো হয়েছে যে - ভোরবেলা উঠে বাবাকে যত স্মরণ করবে, ততই বাবার প্রতি আকর্ষণ হবে । বাবাও তোমাদের সার্চ লাইট দেবেন । আত্মাকে স্মরণ করা অর্থাৎ সার্চ লাইট দেওয়া, এরপর একে কৃপাই বলো বা আশীর্বাদই বলো ।

বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, এ হোক অনাদি পূর্ব নির্ধারিত ড্রামা । এ হলো হার - জিতের খেলা । যা হচ্ছে, সবই ঠিক । ক্রিয়েটরের তো অবশ্যই ড্রামা পছন্দ হবে, তাই না । তাহলে ক্রিয়েটরের বাচ্চাদেরও পছন্দ হবে । এই ড্রামাতে বাবা একবারই বাচ্চাদের কাছে, বাচ্চাদের হৃদয়কে চিনে, কেবলই প্রেমের কারণে (দিল ব জান সিক ব প্রেম) সেবা করতে আসেন । বাবার কাছে তো সব বাচ্চারাই প্রিয় । তোমরা জানো যে, সত্যযুগেও একে অপরকে খুবই ভালোবাসে । জানোয়ারদের মধ্যেও সেখানে প্রেম থাকে । এমন কোনো জানোয়ার থাকে না, যে প্রেমের সঙ্গে না থাকে । বাচ্চারা, তাই তোমাদের এখানে মাস্টার প্রেমের সাগর হতে হবে । এখানে হতে পারলে সেই সংস্কার অবিনাশী হয়ে যাবে । বাবা বলেন, আমি পূর্ব কল্পের মত হুবহু আবার তোমাদের প্রেমী বানাতে এসেছি । বাবা যদি কখনো কোনো বাচ্চার ক্রোধের স্বর শোনেন, তখন শিক্ষা দেন যে, এই ক্রোধ করা ঠিক নয়, এতে তোমরাও দুঃখী হবে, অন্যদেরও তোমরা দুঃখী করবে । বাবা তো সদাকালের জন্য সুখ দান করেন, তাই বাচ্চাদেরও বাবার সমান হতে হবে । একে অপরকে কখনোই দুঃখ দেবে না । তোমাদের খুবই লভলী হতে হবে । লাভলী বাবাকে যদি খুবই ভালোবেসে স্মরণ করো তাহলে নিজেরও কল্যাণ, সঙ্গে অন্যদেরও কল্যাণ করবে ।

এখন বিশ্বের মালিক তোমাদের কাছে অতিথি হয়ে এসেছেন । বাচ্চারা, তোমাদের সহযোগেই এই বিশ্বের কল্যাণ হবে । তোমাদের মতো রুহানী বাচ্চাদের যেমন বাবাকে অতি প্রিয় মনে হয়, তেমনই বাবার কাছেও তোমাদের মতো রুহানী বাচ্চারা অতি প্রিয়, কেননা তোমরাই শ্রীমতে চলে সমগ্ৰ বিশ্বের কল্যাণ করবে । এখন তোমরা এখানে অর্থাৎ ঈশ্বরীয় পরিবারে বসে আছো । বাবা তোমাদের সম্মুখে বসে আছেন । তোমার কাছেই খাবো... তোমার কাছেই বসবো.. তোমরা জানো যে, শিব বাবা এনার মধ্যে এসে বলেন যে - মিষ্টি বাচ্চারা, দেহ সহ দেহের সর্ব সম্বন্ধ ভুলে মামেকম্ স্মরণ করো । এ হলো তোমাদের অন্তিম জন্ম, এই পুরানো দুনিয়া, পুরানো দেহ শেষ হয়ে যাবে । কথায় বলে - আমি মরলে দুনিয়া আমার কাছেও মৃত। পুরুষার্থের জন্য হলো সঙ্গমেই এই অল্প সময় । বাচ্চারা জিজ্ঞেস করে - বাবা, এই পাঠ কতদিন চলবে ! যতক্ষণ না দৈবী রাজধানী স্থাপন হয়, তিনি শোনাতে থাকবেন । তারপর তোমরা নতুন দুনিয়াতে ট্রান্সফার হয়ে যাবে । বাবা কতো নিরহংকারীতার সঙ্গে তোমাদের মতো বাচ্চাদের সেবা করেন, বাচ্চারা, তোমাদেরও তাই এমন সেবা করা উচিত । তোমাদের শ্রীমৎ অনুসারে চলা উচিত । কোথাও যদি নিজের মত স্থাপন করো, তাহলে ভাগ্যে গন্ডি লেগে যাবে । তোমরা হলো ব্রাহ্মণ - ঈশ্বরীয় সন্তান । ব্রহ্মার সন্তান ভাই - বোন, ঈশ্বরীয় পৌত্র - পৌত্রী, তাঁর থেকে তোমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো । তোমরা যতো পুরুষার্থ করবে, তত পদ প্রাপ্ত করবে । এতে সাক্ষী অবস্থায় থাকার খুবই প্রয়োজন । বাবার প্রথম নির্দেশ হলো - অশরীরী ভব, দেহী অভিমানী ভব । নিজেকে আত্মা মনে করে আমাকে অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো, তখনই যে খাদ লেগে রয়েছে তা দূর হয়ে যাবে, তোমরা প্রকৃত সোনা হয়ে যাবে । বাচ্চারা, তোমরা অধিকারের সঙ্গে বলতে পারো - বাবা, ও মিষ্টি বাবা! তুমি আমাকে তোমার করে নিয়ে উত্তরাধিকারে সবকিছু দিয়ে দিয়েছো । এই উত্তরাধিকারকে কেউই ছিনিয়ে নিতে পারে না, বাচ্চারা, তোমাদের এতখানি নেশা থাকা উচিত । তোমরাই সবাইকে মুক্তি এবং জীবনমুক্তির পথ বলে দেওয়া লাইট হাউস, উঠতে - বসতে, চলতে - ফিরতে তোমরা লাইট হাউস হয়ে থাকো ।

বাবা বলেন - বাচ্চারা, এখন সময় খুবই অল্প, এমন গাওয়াও হয়......এক মুহূর্ত... আধা মুহূর্ত... যত যত সম্ভব একমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে লেগে যাও, আর চার্টকে বৃদ্ধি করতে থাকো । আচ্ছা !

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি লাকী আর লভলী জ্ঞান নক্ষত্রদের মাতা - পিতা, বাপদাদার মনপ্রাণ এবং হৃদয় থেকে প্রেমের সঙ্গে (দিল ব জান সিক ব প্রেম) স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার ।

অব্যক্ত মহাবাক্য -- নিরন্তর যোগী হও

এক সেকেন্ডে যেমন সুইচ অন এবং অফ করা হয়, তেমনই এক সেকেন্ডে শরীরের আধার নাও আর এক সেকেন্ডে আবার শরীরের ঊর্ধ্বে অশরীরী স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও । এখনই শরীরে এলে, আবার এখনই অশরীরী হয়ে গেলে, এই অভ্যাস করতে হবে, একেই কর্মাতীত অবস্থা বলা হয় । কোনো বস্ত্র ধারণ করা বা না করা যেমন নিজের হাতে থাকে । আবশ্যকতা হলে ধারণ করলে, আবশ্যকতা না হলে ছেড়ে ফেললে । এমনই অনুভব যেন এই শরীর রূপী বস্ত্র ধারণ করাতে বা ত্যাগ করার সময় হয় । কর্ম করার সময়ও এমন অনুভব হওয়া উচিত, যেন কোনো বস্ত্র ধারণ করে কার্য করছো, কার্য সম্পূর্ণ হলো আর বস্ত্র থেকে পৃথক হয়ে গেলে । শরীর আর আত্মা - এই দুইয়েরই পৃথক ভাব যেন চলতে - ফিরতে অনুভব হয় । যেমন কোনো প্র্যাকটিস করা হয়, কিন্তু এই প্র্যাকটিস কাদের হতে পারে ? যে শরীরের সাথে, বা শরীরের সম্বন্ধের সম্বন্ধে যে কথাই হোক না কেন, শরীরের দুনিয়া, সম্বন্ধ বা অনেক যে সব বস্তু আছে, তার থেকে সম্পূর্ণ পৃথক হবে, সামান্যতম আকর্ষণও যখন থাকবে না, তখনই পৃথক হতে পারবে । সূক্ষ্ম সঙ্কল্পতেও যদি হালকা ভাব না থাকে, ডিট্যাচ যদি না হতে পারো, তাহলে পৃথক ভাবের অনুভব করতে পারবে না । তাই প্রত্যেককেই এখন এই প্র্যাকটিস করতে হবে, সম্পূর্ণ পৃথক ভাবের অনুভব যেন হয় । এই স্টেজে থাকলে অন্য আত্মাদেরও তোমাদের থেকে পৃথক ভাবের অনুভব হবে, তারাও এই অনুভব করবে । যোগে বসার সময় কোনো কোনো আত্মার যেমন অনুভব হয় না, এরা ড্রিল করানো পৃথক স্টেজে আছে, চলতে - ফিরতে এমন ফরিস্তা ভাবের সাক্ষাৎকার হবে । এখানে বসেও অনেক আত্মার, যারা তোমাদের সত্যযুগী ফ্যামিলিতে নিকটে আসার হবে, তাদের তোমাদের ফরিস্তা রূপ এবং ভবিষ্যৎ রাজ্য পদ, এই দুইয়েরই একত্রে সাক্ষাৎকার হবে । শুরুতে যেমন ব্রহ্মার মধ্যে সম্পূর্ণ স্বরূপ আর শ্রীকৃষ্ণ, এই দুই সাথে - সাথে সাক্ষাৎকার করতে, তেমনই এখন তোমাদের ডবল স্বরূপের সাক্ষাৎকার হবে । নম্বরের ক্রমানুসারে যেভাবে এই পৃথক স্টেজে আসতে থাকবে, তখন তোমাদেরও এই ডবল সাক্ষাৎকার হবে । এখন যদি এই সম্পূর্ণ প্র্যাকটিস হয়ে যায়, তাহলে এখানে ওখান থেকে এই সমাচার আসতে শুরু হয়ে যাবে । শুরুতে যেমন ঘরে বসেও অনেক নিকট আত্মাদের সাক্ষাৎকার হয়েছিলো, তাই না । তেমনই এখনো আবার সাক্ষাৎকার হবে । এখানে বসেও অসীম জগতে তোমাদের সূক্ষ্ম স্বরূপ সার্ভিস করবে । এখন এই সার্ভিস বাকি রয়েছে । সাকারে সব এগজামপেল তো দেখে নিয়েছো । সব বিষয়ই ড্রামাতে নম্বরের ক্রমানুসারে হতে হবে । যতো নিজে আকারী ফরিস্তা স্বরূপের হবে, ততই তোমাদের ফরিস্তা রূপ সার্ভিস করবে । সম্পূর্ণ বিশ্বকে অতিক্রম করতে আত্মার কতো সময় লাগে? তাই এখন তোমাদের সূক্ষ্ম স্বরূপও সার্ভিস করবে, কিন্তু যারা এই পৃথক স্থিতিতে থাকবে । স্বয়ং ফরিস্তা স্বরূপে স্থিত হবে । শুরুতে সবই সাক্ষাৎকার হয়েছে । ফরিস্তা রূপে সম্পূর্ণ স্টেজ আর পুরুষার্থী স্টেজ দুইই পৃথক ভাবে সাক্ষাৎকার হয় । সাকার ব্রহ্মা এবং সম্পূর্ণ ব্রহ্মা যেমন আলাদা - আলাদা সাক্ষাৎকার হতো, তেমনই অনন্য বাচ্চাদেরও সাক্ষাৎকার হবে । হাঙ্গামা যখন হবে তখন এই সাকার শরীর দ্বারা তো কিছুই করতে পারবে না, আর তখন প্রভাবও এই সার্ভিসের দ্বারাই পড়বে । শুরুতেও যেমন সাক্ষাৎকারের দ্বারাই প্রভাবিত হয়েছিলো, তাই না । পরোক্ষ - অপরোক্ষ অনুভবই প্রভাব ফেলেছিলো । তেমনই অন্তিম সময়েও এই সার্ভিসই হবে । নিজের সম্পূর্ণ স্বরূপের সাক্ষাৎকার নিজের হয় কি ? এখন শক্তিদের ডাকা শুরু হয়ে গিয়েছে । এখন পরমাত্মাকে কম ডাকে, শক্তিদের ডাকা তীব্রগতিতে চালু হয়ে গিয়েছে । তাই এমন প্র্যাকটিস মাঝে মাঝে করতে হবে । অভ্যাস হয়ে গেলে তখন খুব আনন্দের অনুভব হবে । এক সেকেন্ডে আত্মা শরীর থেকে পৃথক হয়ে যাবে, এমন প্র্যাকটিস হয়ে যাবে । এখন এই পুরুষার্থ করতে হবে ।

বর্তমান সময় মনন শক্তির দ্বারা আত্মাকে সর্বশক্তিতে পূর্ণ করার আবশ্যকতা, তখনই মগ্ন অবস্থা থাকবে আর বিঘ্ন নাশ হবে । বিঘ্নের ঢেউ তখনই আসে, যখন আধ্যাত্মিকতার প্রতি ফোর্স কম হয়ে যায় । তাই বর্তমান সময় শিবরাত্রির সার্ভিসের পূর্বে নিজেকে শক্তিতে ভরপুর করার ফোর্সের প্রয়োজন । যদিও তোমরা যোগের প্রোগ্রাম রাখো, কিন্তু যোগের দ্বারা শক্তির অনুভব করা এবং করানো, এখন এমন ক্লাসের আবশ্যকতা । প্র্যাক্টিকাল নিজের বলের আধারে অন্যদেরও বলদান করতে হবে । কেবল বাইরের সার্ভিসের প্ল্যান নিয়ে চিন্তা করো না, সবদিকেই সম্পূর্ণ নজর চাই । যারা নিমিত্ত হয়েছে, তারা যেন এই ক্লাস করানোর উপযুক্ত হয় যে, আমাদের ফুলের বাগান কোন্ বিষয়ে কমজোর । যে কোনো রীতিতেই নিজের এই ফুলের বাগানের দুর্বলতার উপর কড়া দৃষ্টি রাখার প্রয়োজন । সময় দিয়েও এই দুর্বলতাকে শেষ করতে হবে ।

সাকার রূপকে যেমন দেখেছিলে, কখনো এমন দোলাচলের সময় যখন হতো, তখন দিন-রাত এই সকাশ দেওয়ার বিশেষ সার্ভিস, বিশেষ প্ল্যান চলতে থাকতো । দুর্বল আত্মাদের সবল করার প্রতি বিশেষ এটেনশন থাকতো, যাতে অনেক আত্মাদের অনুভবও হতো । রাতেও সময় বের করে আত্মাদের সকাশ দানের সার্ভিস চলতো । তাই এখন সেই বিশেষ সকাশ দানের সার্ভিস করতে হবে । লাইট হাউস, মাইট হাউস হয়ে বিশেষ করে এই সার্ভিস করতে হবে, তখনই চতুর্দিকে লাইট আর মাইটের প্রভাব পড়বে । এখন এরই প্রয়োজন । যেমন কোনো বিত্তবান তার নিকট সম্বন্ধীদের সাহায্য করে উঁচুতে তুলে দেয়, তেমনই বর্তমান সময় যেসব দুর্বল আত্মারা সম্বন্ধ - সম্পর্কে আছে, তাদের বিশেষ সকাশ দান করতে হবে । আচ্ছা !

বরদান:-
হাজার ভুজধারী ব্রহ্মা বাবার সাথের নিরন্তর অনুভবকারী প্রকৃত স্নেহী ভব

বর্তমান সময় হাজার ভুজধারী ব্রহ্মা বাবার রূপের পার্ট চলছে । আত্মা বিনা যেমন ভুজা কিছুই করতে পারে না, তেমনই বাপদাদা বিনা ভুজা রূপী বাচ্চারা কিছুই করতে পারে না । প্রতিটি কার্যে প্রথমে বাবার সহযোগ । যতক্ষণ স্থাপনার পার্ট আছে ততক্ষণ বাপদাদা বাচ্চাদের প্রতিটি সঙ্কল্প আর সেকেন্ডে সাথে সাথে আছেন, তাই কখনোই বিয়োগের পর্দা দিয়ে বিয়োগী হয়ো না । প্রেমের সাগরের ঢেউয়ে দুলতে থাকো, গুণগান করো কিন্তু ঘায়েল হয়ো না । বাবার স্নেহের প্রত্যক্ষ স্বরূপ সেবার প্রতি স্নেহী হও ।

স্লোগান:-
অশরীরী স্থিতির অনুভব এবং অভ্যাসই নম্বরকে এগিয়ে নিয়ে আসার আধার ।

নিজের শক্তিশালী মন্সার দ্বারা সকাশ দেওয়ার সেবা করো - প্রতি মুহূর্তে প্রতিটি আত্মার প্রতি মনে স্বতঃতই শুভ ভাবনা আর শুভ কামনার শুদ্ধ ভাইব্রেশন নিজেরও এবং অন্যদেরও অনুভব হতে হবে । মন থেকে প্রতি মুহূর্তে সর্ব আত্মার প্রতি যেন শুভ কামনা নির্গত হতে থাকে । মন যেন সদা এই সেবাতেই বিজি থাকে । বাণীর সেবাতে বিজি থাকার যেমন অনুভাবী হয়ে গেছো । সেবা না পেলে নিজেকে যেমন খালি অনুভব করো, তেমনই প্রতি মুহূর্তে বাণীর সাথে সাথে যেন মন্সা সেবা স্বতঃতই হতে থাকে ।