18.02.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদের অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব হলো ঘরে-ঘরে বাবার সমাচার পৌঁছে দেওয়া, যেকোনো
উপায়েই যুক্তি রচনা করে প্রত্যেককে বাবার পরিচয় অবশ্যই দাও"
প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা,
তোমাদের কোন্ একটি বিষয়ে শখ থাকা উচিত?
উত্তরঃ
নতুন নতুন
যেসব পয়েন্ট বেরোয়, সেগুলিকে নিজেদের কাছে নোট করে রাখার শখ থাকা উচিত। কারণ এতসব
পয়েন্টস্ মনে রাখা মুশকিল। নোট করে নিয়ে পুনরায় তা কাউকে বোঝাতে হবে। এমনও নয়
যে, লিখে (নোট করে) নিয়ে পরে তা খাতাতেই পড়ে থাকবে। যে বাচ্চারা ভালোভাবে বোঝে,
তাদের নোট করার শখও থাকবে অতিমাত্রায় ।
গীতঃ-
দুনিয়ার মানুষ
যতই হৃদয়ে লক্ষ তালাও লাগিয়ে দেয় দিক, তুমিও ভুলবে না, আমিও ভুলব না তোমায়....
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি
আত্মা-রূপী বাচ্চারা এই গান শুনেছে। মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চা - এই শব্দটি একমাত্র
বাবাই বলতে পারেন। আধ্যাত্মিক পিতা ব্যতীত কখনো কেউ কাউকে আত্মা-রূপী (রুহানী)
সন্তান বলতে পারেনা। বাচ্চারাও জানে যে, সকল রুহ্ অর্থাৎ আত্মাদের পিতা হলেন একজনই,
আর আমরা সকলে হলাম ভাই-ভাই।ব্রাদারহুডের (ভ্রাতৃত্ব বোধের) গায়নও রয়েছে, তথাপি মায়া
এমনভাবে প্রবেশ করে রয়েছে যে, পরমাত্মাকে সর্বব্যাপী বলে দেয়, তাহলে তো ফাদারহুড হয়ে
যায়। রাবণ-রাজ্য পুরানো দুনিয়াতেই হয়। নতুন দুনিয়াকে রাম-রাজ্য বা ঈশ্বরীয়-রাজ্য বলা
হয়। এ হলো বুঝবার মতন বিষয়। দুটি রাজ্য অবশ্যই রয়েছে - ঈশ্বরীয়-রাজ্য আর
আসুরী-রাজ্য। নতুন দুনিয়া আর পুরানো দুনিয়া। নতুন দুনিয়া অবশ্যই বাবা রচনা করবেন।
এই দুনিয়ায় মানুষ নতুন দুনিয়াকে আর পুরানো দুনিয়াকেও জানে না। অর্থাৎ কিছুই জানে
না। তোমরাও কিছুই জানতে না, অবুঝ ছিলে। নতুন সুখের দুনিয়া কে স্থাপন করেন, পুনরায়
পুরানো দুনিয়ায় দুঃখ কেন হয়, স্বর্গ থেকে নরক কীভাবে হয়, তা কেউই জানেনা। এসব কথা
তো মানুষই জানবে, তাই না। দেবতাদের চিত্রও রয়েছে, তাহলে অবশ্যই আদি সনাতন
দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। এইসময় আর তা নেই। এখন হলো প্রজার উপরে প্রজার রাজত্ব ।
বাবা ভারতেই আসেন। মানুষের একথা জানা নেই যে, শিববাবা ভারতে এসে কি করেন? নিজেদের
ধর্মকেই ভুলে গেছে। তোমাদের এখন ত্রিমূর্তি আর শিববাবার পরিচয় দিতে হবে। ব্রহ্মা
দেবতা, বিষ্ণু দেবতা, শঙ্কর দেবতা, পুনরায় বলে যে, 'শিব পরমাত্মায়ঃ নমঃ' তাহলে
বাচ্চারা, তোমাদের ত্রিমূর্তি শিবেরই পরিচয় দিতে হবে। এমন এমন ভাবে সার্ভিস করতে হবে।
যেকোনো ভাবেই তারা বাবার পরিচয় যদি পায় তবে বাবার উত্তরাধিকার নিয়ে নেবে। তোমরা জানো
যে, আমরা এখন উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি। আরও অনেককেই উত্তরাধিকার নিতে হবে। আমাদের
উপরে দ্বায়িত্ব রয়েছে যে, ঘরে-ঘরে গিয়ে বাবার পরিচয় দিতে হবে। বাবার জ্ঞান প্রদান
করতে হবে। মুখ্য হলো ত্রিমূর্তি শিব, এঁনারই কোট অফ আর্মস (রাজ-চিহ্ন) বানানো হয়েছে।
গভর্নমেন্ট যথার্থভাবে এর অর্থ জানে না। এরমধ্যে চক্রও রয়েছে চড়কার মতন আর তাতে
লেখা রয়েছে 'সত্যমেব জয়তে'। এর অর্থ তো কিছুই বেরোয় না । এ তো হলো সংস্কৃত শব্দ ।
এখন বাবা তো হলেনই ট্রুথ। তিনি যা বোঝান তার দ্বারা তোমরা সমগ্র বিশ্বের উপর বিজয়
প্রাপ্ত করো। বাবা বলেন, আমি সত্য বলি, তোমরা এই পঠন-পাঠনের মাধ্যমে সত্যিকারের
নারায়ণ হও। ওরা সব কি-কি রকমের অর্থ বের করতে থাকে। সেকথাও ওদের জিজ্ঞাসা করা উচিত।
বাবা তো অনেকরকমভাবে বোঝান। যেখানে-যেখানে মেলা(সঙ্গমে) হয়, সেখানে গিয়ে নদীর উপরেও
বোঝাও। গঙ্গা তো পতিত-পাবনী হতে পারে না। সমস্ত নদীই সাগর থেকে নির্গত হয় (জলের নদী
সাগরে গিয়ে মেশে) । সে তো জলের সমুদ্র। তার থেকেই জলের নদীগুলি নির্গত হয়।
জ্ঞান-সমুদ্র থেকে জ্ঞান-নদী নির্গত হবে। মাতারা, তোমাদের মধ্যে এখন জ্ঞান রয়েছে।
মানুষ গোমুখে (গহ্বর) যায় , সেই মুখ থেকে জল নির্গত হয়, মনে করে এ তো গঙ্গার জল ।
মানুষ এত শিক্ষিত হয়েও বোঝে না যে, এখানে গঙ্গার জল কোথা থেকে বেরোবে। শাস্ত্রতেও
রয়েছে যে, তীর নিক্ষেপের ফলে গঙ্গা নির্গত হয়েছে। আর এখন এ হলো জ্ঞানের কথা। এমনও
নয় যে, অর্জুন তীর নিক্ষেপ করেছে আর গঙ্গা আবির্ভূত হয়েছে। মানুষ কত দূর দূরান্তে
তীর্থ করতে যায়। কথিত আছে, শঙ্করের জটা থেকে গঙ্গা আবির্ভূতা হয়েছে, যাতে স্নান করলে
মানুষ পরী হয়ে যায়। মানুষ থেকে দেবতা হওয়া, এও তো পরীরই অনুরূপ, তাই না।
বাচ্চারা, এখন
তোমাদেরকে বাবার-ই পরিচয় দিতে হবে, তাই বাবা এই চিত্র তৈরী করিয়েছেন। ত্রিমূর্তি
শিবের চিত্রের মধ্যেই সমগ্র নলেজ রয়েছে। ওদের (লৌকিক) ত্রিমূর্তির চিত্রে নলেজ
প্রদানকারীরই (শিবের) চিত্র নেই। নলেজে গ্রহনকারীর চিত্র রয়েছে। তোমরা এখন
ত্রিমূর্তি শিবের চিত্রের উপরে বোঝাও। উপরে হলেন নলেজ প্রদাতা (শিব)। ব্রহ্মা ওনার
থেকে নলেজ প্রাপ্ত করেন, পরে তিনি তা ছড়িয়ে দেন। একে বলা হয় ঈশ্বরের ধর্ম স্থাপনের
মেশিনারী। এই দেবী-দেবতা ধর্ম অত্যন্ত সুখ প্রদান করে। বাচ্চারা, তোমরা এখন নিজেদের
সত্য ধর্মের পরিচয় পেয়েছো। তোমরা জানো, আমাদের ভগবান পড়ান। তোমরা কতোই না খুশী হও।
বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমাদের তো খুশীর পারাবার পাওয়া উচিত নয়, কারণ স্বয়ং ভগবান
তোমাদের পড়ান। ভগবান হলেন নিরাকার শিব, কৃষ্ণ নয়। বাবা বসে বোঝান যে, সকলের
সদ্গতিদাতা একজনই। সদ্গতি সত্যযুগকে বলা হয়, দুর্গতি কলিযুগকে বলা হয়। নতুন
দুনিয়াকে নতুন, পুরানো দুনিয়াকে পুরানোই বলা হবে। মানুষ মনে করে, এখনও দুনিয়া
পুরানো হতে ৪০ হাজার বছর লাগবে। কত বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। বাবা ছাড়া এইসমস্ত কথা আর
কেউ বোঝাতে পারে না। বাবা বলেন - বাচ্চারা, আমি তোমাদেরকে রাজ্য-ভাগ্য দিয়ে, বাকী
সকলকে ঘরে নিয়ে যাই। যে আমার মত অনুসারে চলে, সে দেবতা হয়ে যায়। বাচ্চারা, এইসমস্ত
কথা কেবল তোমরাই জানো, নতুন কেউ কী আর বুঝবে !
তোমাদের অর্থাৎ
মালীদের কর্তব্য হলো বাগিচা লাগিয়ে তৈরী করা। বাগানের মালিক (বাগবান) তো ডায়রেক্শন
দেন। এমনও নয় যে, বাবা কোনো নতুনের সঙ্গে মিলিত হয়ে জ্ঞান দেবেন। এই কার্য মালীদের।
মনে করো, বাবা কলকাতায় গেছেন তখন বাচ্চারা মনে করে, আমরা নিজেদের অফিসারকে, অমুক
বন্ধুকে বাবার কাছে নিয়ে যাবো। বাবা বলেন, তারা তো কিছুই বুঝবে না। যেন নির্বোধ-কে
সম্মুখে নিয়ে এসে বসানো হয়েছে, তাই বাবা বলেন, নতুনদের এখন বাবার সম্মুখে এনো না। এ
তো তোমাদের অর্থাৎ মালীদের কার্য, বাগানের মালিকের নয়। মালীদের কাজ হলো বাগিচা তৈরী
করা বা দেখাশোনা করা। বাবা ডায়রেক্শন দেন - এমন এমন ভাবে করো তাই বাবা কখনো নতুনদের
সঙ্গে দেখা করেন না । কিন্তু কখনো কখনো (তারা) অতিথি হয়ে ঘরে চলে আসে আর বলে, দর্শন
করবো। আপনি আমাদের (বাবার সঙ্গে) কেন দেখা করতে দিচ্ছেন না ? শঙ্করাচার্যাদির কাছে
কত (মানুষ) যায়। আজকাল শঙ্করাচার্যের অনেক মহিমা। তিনি শিক্ষিত, কিন্তু তথাপি জন্ম
তো বিকারের মাধ্যমেই হয়, তাই না। (মন্দিরের) ট্রাস্টীরা যেকোনো কাউকেই গদিতে বসিয়ে
দেয়। সকলেরই নিজের নিজের মত আছে। বাবা স্বয়ং এসে বাচ্চাদেরকে নিজের পরিচয় দেন, আমি
প্রতি কল্পে এই পুরানো শরীরেই আসি। ইনিও নিজের জন্মকে জানেন না। শাস্ত্রে তো কল্পের
আয়ু লক্ষ-লক্ষ বছর করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ এতবার জন্ম নিতে পারে না, পুনরায়
জানোয়ারাদিরও যোনী মিলিয়ে ৮৪ লক্ষ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ যা-ই শোনে তাতেই
সত্য-সত্য করতে থাকে। শাস্ত্রে যেসব কথা রয়েছে তা হলো ভক্তিমার্গের। কলকাতায়
দেবীদের অত্যন্ত সুশোভিত, সুন্দর মূর্তি তৈরী করা হয়, সুসজ্জিত করা হয়। পুনরায়
তাঁদের ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এরাও তো পুতুল-পূজা করা সেই বাচ্চাই হয়ে গেলো, তাই না।
সম্পূর্ণ ইনোসেন্ট। তোমরা জানো যে, এ হলো নরক। স্বর্গে তো অগাধ সুখ ছিল। এখনও কেউ
মারা গেলে, তখন বলা হয় অমুকে স্বর্গে গেছে, তাহলে অবশ্যই কোনো সময় স্বর্গ ছিল, এখন
নেই। নরকের পর পুনরায় স্বর্গ অবশ্যই আসবে। এই কথাও তোমরা জানো। মানুষ তো এর
সামান্যতমও জানে না। তাহলে নতুন কেউ বাবার সম্মুখে বসে কী করবে? তাই মালী চাই যারা
পুরোপুরি দেখাশোনা(যত্ন) করবে। এখানে তো মালীও চাই অনেক-অনেক। মেডিকেল কলেজে যদি
নতুন কেউ গিয়ে বসে তখন সে কিছুই বুঝতে পারবে না। এই নলেজও নতুন। বাবা বলেন, আমি
এসেছি সকলকে পবিত্র করতে। আমাকে স্মরণ করো তবেই পবিত্র হয়ে যাবে। এইসময় সকলেই হলো
তমোপ্রধান আত্মা, তবেই তো বলে যে, আত্মাই পরমাত্মা, সকলের মধ্যেই পরমাত্মা বিরাজমান।
তাই বাবা এদের কাছে বসে কী মাথা কুটবে, না তা করবে না। এ তো তোমাদের অর্থাৎ মালীদের
কার্য - কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত করা।
তোমরা জানো যে, ভক্তি
হলো রাত, জ্ঞান হলো দিন। গায়নও করা হয় - ব্রহ্মার দিন, ব্রহ্মার রাত। যখন প্রজাপতি
ব্রহ্মার, তখন (তাঁর) বাচ্চারাও তো থাকবে, তাই না। কারও এতটুকুও বুদ্ধি নেই যে
জিজ্ঞাসা করে, এত ব্রহ্মাকুমার-কুমারী রয়েছে, এদের ব্রহ্মা কে ? আরে! প্রজাপিতা
ব্রহ্মা তো বিখ্যাত, ওঁনার দ্বারাই ব্রাহ্মণধর্ম স্থাপিত হয়। বলাও তো হয় যে, ব্রহ্মা
দেবতায় নমঃ। বাবা তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের ব্রাহ্মণ বানিয়ে পুনরায় দেবতায় পরিণত
করেন।
যে নতুন-নতুন পয়েন্টস্
বেরোয়, বাচ্চাদের তা নিজেদের কাছে নোট করে রাখার শখ থাকা উচিত। যে বাচ্চারা ভালভাবে
বোঝে, তাদের নোট করে রাখার শখ অতিমাত্রায় থাকে। কারণ এত পয়েন্টস্ স্মরণে রাখা
মুশকিল। নোটস্ নিয়ে পুনরায় কাউকে বোঝাতেও হবে। এমন নয় যে, লিখে তা খাতাতেই পড়ে রইলো।
যখন নতুন-নতুন পয়েন্টস্ প্রাপ্ত হতে থাকে তখন পুরানো পয়েন্টস্ খাতাতেই পড়ে থাকে।
স্কুলেও যখন পড়তে যায়, তখন উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও পূর্ব ক্লাসের বই পড়েই থাকে। যখন
তোমরা বোঝাবে, তখন শেষে এটাও বোঝাবে যে, 'মন্মনাভব'। বাবাকে আর সৃষ্টি-চক্রকে স্মরণ
কর। মুখ্য কথা হলো, মামেকম্ (একমাত্র আমাকেই) স্মরণ কর, একেই যোগাগ্নি বলা হয়।
ভগবান হলেন জ্ঞানের সাগর, আর মানুষ হলো শাস্ত্রের সাগর। বাবা কোনো শাস্ত্রের কথা
শোনান না, তিনিও যদি শাস্ত্রের কথাই শোনাবেন তবে ভগবান আর মানুষের মধ্যে পার্থক্য
কি রইলো? বাবা বলেন, আমি তোমাদেরকে এই ভক্তিমার্গীয় শাস্ত্রের সার বোঝাই।
ওরা অর্থাৎ যারা মুরলী
(বীণ) বাজিয়ে সাপ ধরে তারা ওদের(সাপের) দাঁত উপড়ে ফেলে। বাবাও তোমাদেরকে বিষ পান করা
থেকে বিরত করেন। এই বিষের জন্যই মানুষ পতিত হয়ে গেছে। বাবা বলেন, এগুলোকে (বিষ)
পরিত্যাগ কর, তাও ত্যাগ করে না। বাবা গৌরবর্ণে (সুন্দর) রূপান্তরিত করেন তথাপি
অধঃপতনে গিয়ে মুখ কালো করে ফেলে। বাচ্চারা, বাবা এসেছেন তোমাদের জ্ঞান-চিতায় বসাতে।
জ্ঞান-চিতায় বসে তোমরা বিশ্বের মালিক, জগৎজীত হয়ে যাও। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সদা
যেন এই খুশী থাকে যে, আমরা সত্য ধর্মের স্থাপনায় নিমিত্ত হয়েছি। স্বয়ং ঈশ্বর আমাদের
পড়ান। আমাদের দেবী-দেবতা ধর্ম অত্যন্ত সুখ প্রদান করে।
২ ) মালী হয়ে কাঁটাকে
ফুলে পরিণত করার সেবা করতে হবে। সম্পূর্ণরূপে লালন-পালন করে তবেই বাবার কাছে নিয়ে
যেতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে।
বরদান:-
পুরানো
দেহ আর দুনিয়াকে ভুলে গিয়ে বাপদাদার হৃদয় সিংহাসনাসীন ভব
সঙ্গমযুগী শ্রেষ্ঠ
আত্মাদের স্থান হলই বাপদাদার হৃদয় সিংহাসন। এইরকম সিংহাসন সমগ্র কল্পে আর প্রাপ্ত
হবে না। বিশ্বের রাজত্বের বা স্টেটের রাজত্বের সিংহাসন তো প্রাপ্ত হতেই থাকবে কিন্তু
এই সিংহাসন প্রাপ্ত হবে না - এটা এত বড় সিংহাসন যে চলা-ফেরা করো, খাও শুয়ে পড়ো তথাপি
সিংহাসনে আসীন থাকবে। যে বাচ্চারা সদা বাপদাদার হৃদয় সিংহাসনাসীন থাকে তারা এই
পুরানো দেহ বা দেহের দুনিয়ার থেকে বিস্মৃত থাকে, একে দেখেও দেখো না।
স্লোগান:-
পার্থিব জগতের নাম, মান, মর্যাদার (শানের) পিছনে ছুটে বেড়ানো অর্থাৎ ছায়ার পিছনে
দৌড়ানো।
অব্যক্ত ঈশারা :-
একান্ত প্রিয় হও, একতা আর একাগ্রতাকে ধারণ করো
যেরকম আন্ডারগ্রাউন্ডে
যাওয়ার পর নতুন কিছু আবিস্কার করে, সেইরকম তোমরাও যতটা আন্ডারগ্রাউন্ড অর্থাৎ
অন্তর্মুখী থাকবে ততই নতুন নতুন ইন্ভেনশন বা যোজনা করতে পারবে। আন্ডারগ্রাউন্ডে
থাকার ফলে এক তো বায়ুমন্ডল থেকে রক্ষা পাবে, দ্বিতীয়তঃ একান্ত প্রাপ্ত হওয়ার কারণে
মনন শক্তিও বৃদ্ধি পাবে। তৃতীয়তঃ আন্ডারগ্রাউন্ড কোনও মায়ার বিঘ্নের থেকেও সেফ্টির
সাধন হয়ে যাবে।