18.06.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা অপগুণ গুলি দূর করার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করো, যে গুণের অভাব রয়েছে, তার পোতামেল (চার্ট ) রাখো, গুণের দান করো, তাহলে গুণবান হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ -
গুণবান হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম কোন্ শ্রীমৎ পেয়েছো?

উত্তরঃ  
মিষ্টি বাচ্চারা - গুণবান হতে হলে - ১) কারোর দেহকে দেখো না । নিজেকে আত্মা মনে করো । এক বাবার থেকেই শোনো, এক বাবাকেই দেখো । মনুষ্য মতকে দেখো না । ২) দেহ - অভিমানের বশে এমন কোনো কাজ যেন না হয়, যাতে বাবার আর ব্রাহ্মণ কুলের নাম বদনাম হয় । উল্টো আচার আচরণ যাদের, তারা গুণবান হতে পারে না । তাদের কুল কলঙ্কিত বলা হয় ।

ওম্ শান্তি ।
(বাপদাদার হাতে জুঁই ফুল ছিলো ) বাবা সাক্ষাৎকার করাতেন, এমন সুগন্ধী ফুল হতে হবে । বাচ্চারা জানে যে, আমরা অবশ্যই ফুল হয়েছিলাম । গোলাপ ফুল, জুঁই ফুলও হয়েছিলাম, অথবা হীরেও হয়েছিলাম। এখন আবার তা তৈরী হচ্ছি । এই হল সত্য, আগে তো ছিলো সব মিথ্যা । সব মিথ্যাই মিথ্যা, সত্যির কণা মাত্রও নেই । এখন তোমরা সত্য তৈরী হচ্ছো, তাই সত্যতার মধ্যে সব গুণও প্রয়োজন । যার মধ্যে যত গুণ আছে, ততই অন্যদের দান দিয়ে তোমরা তাদের নিজের তুল্য বানাতে পারো, তাই বাবা বাচ্চাদের বলতে থাকেন -- বাচ্চারা, নিজের গুণের পোতামেল (চার্ট ) রাখো । আমাদের মধ্যে কোনো অপগুণ নেই তো? দৈবী গুণের মধ্যে কোনটার ঘাটতি আছে? রাতে রোজ নিজের পোতামেল লেখো । দুনিয়ার মানুষদের কথাই আলাদা । তোমরা তো এখন মানুষ নয়, তাই না । তোমরা হলে ব্রাহ্মণ । যদিও মানুষ তো সকলেই মানুষ কিন্তু প্রত্যেকেরই গুণে বা চলনে তফাৎ আছে । মায়ার রাজ্যেও কোনো কোনো মানুষ খুবই গুণবান হয়, তবুও তারা বাবাকে জানে না । তারা খুবই ধর্ম প্রবণ, নরম মনের মানুষ হয় । দুনিয়াতে তো মানুষের গুণের বিভিন্নতা আছে । আর যখন দেবতা হয়, তখন দৈবী গুণ তো সকলের মধ্যেই আছে । বাকি পড়ার কারণে পদ কম হয়ে যায় । এক তো পড়তে হবে আর দ্বিতীয় অপগুণ দূর করতে হবে । বাচ্চারা তো একথা জানেই যে, আমরা সম্পূর্ণ দুনিয়া থেকে পৃথক । এখানে এ যেন একই ব্রাহ্মণ কুল বসে আছে । শূদ্র কুলে আছে মনুষ্য মত । ব্রাহ্মণ কুলে আছে ঈশ্বরীয় মত । সবার প্রথমে তোমাদের বাবার পরিচয় দিতে হবে, তোমরা বলো যে অমুকে তর্ক করে । বাবা বুঝিয়েছেন, তোমরা লিখে দাও, আমরা ব্রাহ্মণ বা বি.কে রা তো ঈশ্বরীয় মতে বুঝেই যাবো - এঁনার থেকে উঁচু তো কেউই নেই । উঁচুর থেকে উঁচু হলেন ভগবান, তাই আমরা বাচ্চারাও তাঁরই মতে চলি । আমরা মনুষ্য মতে চলি না, ঈশ্বরীয় মতে চলে আমরা দেবতা হই । মনুষ্য মত আমরা সম্পূর্ণ ছেড়ে দিয়েছি । এরপর তোমাদের সঙ্গে আর কেউ তর্ক করবে না । কেউ বলবে, এ কথা কোথা থেকে শুনেছো, কে শিখিয়েছে? তোমরা বলবে- আমরা ঈশ্বরীয় মতে চলি । এখানে প্রেরণার কোনো কথা নেই । অসীম জগতের (বেহদের) বাবা ঈশ্বরের কাছেই আমরা সব বুঝেছি । বলো, ভক্তিমার্গে শাস্ত্রের মতে তো আমরা অনেক সময় ধরে চলেছি । এখন আমরা ঈশ্বরীয় মত পেয়েছি । বাচ্চারা, তোমাদের বাবার মহিমাই করতে হবে । সর্বপ্রথম বুদ্ধিতে বসাতে হবে যে, আমরা ঈশ্বরীয় মতে চলছি । মনুষ্য মতে আমরা চলি না, শুনিও না । ঈশ্বর বলেছেন - কোনো খারাপ কথা শুনবে না, কোনো খারাপ জিনিস দেখবে না । আত্মাকে দেখো, শরীরকে দেখো না । এই শরীর তো পতিত । একে দেখার কি আছে? এই চোখে এই শরীর দেখো না । এই শরীর তো পতিতই পতিত । এখানকার এই শরীর তো ঠিক হবে না, আরো পুরানো হয়ে যাবে । দিনে দিনে আত্মা শুদ্ধ হতে থাকে । আত্মাই হলো অবিনাশী, তাই বাবা বলেন কোনো খারাপ জিনিস দেখো না । শরীরকেও দেখা ঠিক নয় । দেহ সহ দেহের যে যে সম্বন্ধ আছে, সে সব ভুলে যেতে হবে । আত্মাকে দেখো, এক পরমাত্মা বাবার থেকেই শোনো, এতেই যত পরিশ্রম । তোমরা অনুভব করো যে, এ অনেক বড় বিষয় । যে হুঁশিয়ার হবে, তার পদও অনেক উঁচু হবে । এক সেকেন্ডেই জীবনমুক্তি পাওয়া যেতে পারে কিন্তু যদি সম্পূর্ণ পুরুষার্থ না করো তাহলে অনেক সাজা ভোগ করতে হবে ।

বাচ্চারা, বাবার পরিচয় দেওয়ার জন্য তোমরা অন্ধের লাঠি হও । আত্মাকে দেখা যায় না, জানা যায় । আত্মা কতো ছোটো । এই আকাশ তত্বে দেখো, মানুষ কতো জায়গা নেয় । মানুষ তো আসতে - যেতেই থাকে । আত্মা কি আসতে - যেতে থাকে? আত্মার তো কতো ছোটো জায়গা লাগে । এ হলো বিচার করার মতো কথা । আত্মাদের ঝাঁক হয় । শরীরের তুলনায় আত্মা কতো ছোটো, সে কতো অল্প জায়গা নেবে । তোমাদের তো থাকার জন্য অনেক জায়গার প্রয়োজন । এখন বাচ্চারা তোমরা বিশাল বুদ্ধির হয়েছো । বাবা নতুন দুনিয়ার জন্য তোমাদের নতুন কথা শোনান, আর তোমাদের তৈরী করেনও যিনি তিনিও নতুন । মানুষ তো সকলের কাছেই দয়া ভিক্ষা করতে থাকে । নিজের মধ্যে শক্তিই নেই যে নিজেকে দয়া করবে । তোমরা শক্তি পাও । তোমরা বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিয়েছ। আর কাউকেই দয়ালু বলা যাবে না । মানুষকে কখনোই দেবতা বলা যাবে না । দয়ালু হলেন একা বাবাই, যিনি মানুষকে দেবতা বানান, তাই বলা হয়, পরমপিতা পরমাত্মার মহিমা অপরমপার, এর কোনো পারাবার নেই । এখন তোমরা জানো যে, তার দয়ার কোনো সীমা নেই । বাবা যে নতুন দুনিয়া বানান, সেখানে সবকিছুই নতুন থাকে । মনুষ্য, পশু, পাখী সবই সতোপ্রধান হয় । বাবা বুঝিয়েছেন যে, তোমরা উচ্চ হলে তোমাদের ফার্নিচারও তেমনই হবে, এমন কথিত আছে । বাবাকেও বলা হয় উঁচুর থেকেও উঁচু, যাঁর থেকে বিশ্বের বাদশাহী পাওয়া যায় । বাবা পরিষ্কার ভাবে বলে দেন যে, আমি হাতে করে স্বর্গ নিয়ে আসি । ওরা তো হাত থেকে কেশর ইত্যাদি বের করে, এখানে তো হল পড়ার কথা । এ হলো প্রকৃত পড়া । তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা এখানে পড়ছি । তোমরা পাঠশালাতে এসেছো, তোমরা এমন পাঠশালা অনেক খোলো, তাহলে তোমাদের কার্যকলাপ দেখা যাবে । কেউ আবার উল্টো আচরণ করে নাম বদনাম করে দেয় । দেহ বোধে যারা আচ্ছন্ন তাদের কার্যকলাপ আলাদা হবে । তোমরা দেখবে যে, এমন কার্যকলাপ থাকলে তখন সবার উপরেই কলঙ্ক লেগে যায় । বুঝতে পারে যে এর আচরণে কোনো তফাৎ হয় নি, তাহলে তো বাবার নিন্দা করানো হলো, তাই না । অবশ্য সময় লাগে । সম্পূর্ণ দোষ তার উপর এসে যায় । ব্যবহার খুব সুন্দর হওয়া চাই । তোমাদের স্বভাব পরিবর্তন হতে কতো সময় লাগে । তোমরা বুঝতে পারো যে, কারও কারও ব্যবহার খুবই ভালো, এক নম্বর । এ চোখে দেখাও যাবে । বাবা এক - একজন বাচ্চাকে বসে দেখেন যে, এর মধ্যে কি দুর্বলতা আছে যা দূর করা উচিত । এক - একজনকে তিনি পর্যবেক্ষণ করেন । সকলের মধ্যেই তো ঘাটতি আছে । তাই বাবা সবাইকে দেখতে থাকেন । তিনি রেজাল্ট দেখতে থাকেন । বাবার তো বাচ্চাদের প্রতি ভালোবাসা আছে, তাই না । তিনি জানেন যে, এর মধ্যে এই ঘাটতি আছে, সেই কারণে এ এতো উচ্চ পদ পেতে পারবে না । যদি দুর্বলতা দূর না হয় তাহলে খুব মুশকিল । দেখেই তা বোঝা যায় । এ তো জানেই যে, এখনো সময় বাকি আছে । এক - একজনকে যাচাই করেন, বাবার নজর এক একটি গুণের উপরে পড়বে । তিনি জিজ্ঞেস করবেন, তোমাদের মধ্যে কোনো অপগুণ নেই তো? বাবার সামনে তো সত্যি কথা বলে দেয় । কারও আবার দেহ অভিমান থাকে, তখন তারা বলে না । বাবা তো বলতেই থাকেন - নিজে থেকে যে করে, সে দেবতা । বললে যে করে, সে মানুষ আর যে বললেও করে না.... । বাবা বলতে থাকেন - তোমাদের এই জন্মের যে দুর্বলতা আছে তা বাবার সামনে নিজেই বলো । বাবা তো সবাইকেই বলে দেন, দুর্বলতা তো সার্জনকে বলে দেওয়া উচিত । শরীরের রোগ নয়, ভিতরের রোগ বলতে হবে । তোমাদের ভিতরে কি কি আসুরী চিন্তন রয়েছে? তো এর উপরে বাবা তোমাদের বোঝাবেন । যতক্ষণ না অপগুণ দূর হয়, তোমরা এই পরিস্থিতিতে এতো উঁচু পদ পেতে পারবে না, অপগুণ খুবই নিন্দার কারণ । মানুষের ভ্রম উৎপন্ন হয় - ভগবান আমাদের পড়ান ! ভগবান তো নাম - রূপ থেকে পৃথক, তিনি সর্বব্যাপী, তিনি কিভাবে আমাদের পড়াবেন, এর আচার আচরণ কেমন । বাবা তো এ কথা জানেন যে, তোমাদের গুণ কেমন এক নম্বর হওয়া উচিত । অপগুণ যদি লুকিয়ে রাখে তাহলে কারও এতটা তির বিদ্ধ হবে না, তাই যতটা সম্ভব, নিজের মধ্যে যা অপগুণ আছে, তা দূর করো । তোমরা নোট করো, আমাদের মধ্যে এই - এই কমতি আছে, তখন অন্তরে বিঁধতে থাকবে । কমতি হয়ে গেলে মনে বিঁধতে থাকে । ব্যবসায়ীরা নিজেদের খাতা রোজ চেক করে - আজ কতো লাভ হলো, তারা রোজের খাতা দেখতে থাকে । এই বাবাও বলেন, রোজ নিজের চালচলন দেখো । না হলে নিজের ক্ষতি করে দেবে । বাবার সম্মান হানি করবে ।

গুরুর নিন্দা যারা করায় তারা টিকতে পারে না । দেহ - অভিমানীরা টিকতে পারবে না । দেহী - অভিমানী খুব ভালোভাবে থাকতে পারবে । দেহী - অভিমানী হওয়ার জন্যই সবাই পুরুষার্থ করে । দিনে - দিনে শুধরে যেতেও থাকে । দেহ - অভিমানে থেকে যে কর্তব্য - কর্ম হয়, তা কাটতে হবে । দেহ - ভাবে থাকলে অবশ্যই পাপ হয়ে যায়, তাই দেহী - অভিমানী হতে থাকো । এ তো তোমরা বুঝতেই পারো যে, জন্মেই কেউ রাজা হয় না । দেহী - অভিমানী হতে সময় তো লাগে, তাই না । এও তোমরা বুঝতে পারো, এখন আমাদের ফিরে যেতে হবে । বাবার কাছে বাচ্চারা আসে । কেউ ৬ মাস বাদে আসে, কেউ আবার ৮ মাস বাদেও আসে, তো বাবা দেখেন যে, এতটা সময়ে এদের কতটা উন্নতি হয়েছে? এতদিনে কি শুধরে গেছে নাকি এখনো কিছু বাকি আছে? কেউ কেউ আবার চলতে চলতে পড়া ছেড়েও দেয় । বাবা বলেন, এ কি হলো? ভগবান তোমাদের পড়ান ভগবান - ভগবতী হওয়ার জন্য, এমন পড়া তোমরা ছেড়ে দাও ! আরে! এই পৃথিবীর গড ফাদার তোমাদের পড়ান, এতে তোমরা অনুপস্থিত থাকবে ! মায়া কতটা প্রবল । এক নম্বর পড়া থেকে তোমাদের মুখ ঘুরিয়ে দেয় । এমন অনেকেই আছে যারা এই পড়ায় চলতে চলতে পরে পদাঘাত করে দেয় । এ তো তোমরা বুঝতেই পারো, এখন আমাদের মুখ স্বর্গের দিকে আর পা নরকের দিকে । তোমরা হলে সঙ্গমযুগী ব্রাহ্মণ । এ হলো পুরানো রাবণের দুনিয়া । আমরা শান্তিধাম হয়ে সুখধামের দিকে যাবো, একথা বাচ্চাদের মনে রাখতে হবে । সময় খুবই কম, কালই দেহত্যাগ হতে পারে । বাবাকে স্মরণে না থাকলে অন্তিম সময়ে... বাবা তো খুবই বোঝান । এ সবই গুপ্ত কথা । এই জ্ঞানও গুপ্ত । তোমরা এও জানো যে, পূর্ব কল্পে যে যতটা পুরুষার্থ করেছিলো, তাই করছে । ড্রামা অনুসারে বাবাও পূর্ব কল্পের মতো বোঝাতে থাকেন, এতে তফাৎ হতে পারে না । তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে থাকো, তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হতে থাকবে । শাস্তি পাওয়া উচিত নয় । বাবার সামনে বসে শাস্তি পেলে, বাবা কি বলবেন ! তোমরা সাক্ষাৎকারও করেছো, ওইসময় ক্ষমা হয় না । এঁর দ্বারা যখন বাবা পড়ান তখন এনারও সাক্ষাৎকার হবে । এনার দ্বারা ওখানেও বোঝাবেন - তোমরা এই - এই করেছো, তখন অনেক কান্নাকাটি করবে, চিৎকার করবে, আফশোসও করবে । সাক্ষাৎকার ছাড়া সাজা দেওয়া সম্ভব নয় । তখন বলবেন - তোমাদের এতো পড়াতাম, তবুও এমন এমন কাজ করেছো । তোমরাও বুঝতে পারবে, রাবণের মতে চলে আমরা কতো পাপ করেছি । আমরা পূজ্য থেকে পূজারী হয়ে গেছি । বাবাকে সর্বব্যাপী বলে এসেছি । এ তো এক নম্বর অপমান । এর হিসেব - নিকেশও অনেক । বাবা অভিযোগ করেন যে, তোমরা কিভাবে নিজেদের চড় মেরেছো । ভারতবাসীরাই কতটা নেমে গেছে । বাবা এসে সব বুঝিয়ে বলেন । এখন তোমরা কতো বুঝতে পেরেছো । তাও ড্রামা অনুসারে নম্বর অনুসারেই সবাই বুঝতে পারে । আগেও এই সময় এই ক্লাসের এমনই ফল ছিলো । বাবা তো সঠিকই বলবেন, তাই না । বাচ্চারা, তোমরা উন্নতি করতে থাকো । মায়া এমনই যে, দেহী - অভিমানী থাকতেই দেয় না । এটাই হলো সবথেকে বড় বিষয় । তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের পাপ ভস্ম হয়ে যাবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) দেহ - অভিমান বা দেহবোধে থাকলে অবশ্যই পাপ হয়ে যায়, দেহ - অভিমানী ব্যক্তি টিকতেই পারে না, তাই দেহী - অভিমানী হওয়ার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে । কোনো কর্মই যেন বাবাকে নিন্দা করানোর মতো না হয় ।

২ ) ভিতরের রোগ বাবাকে সত্য করে বলতে হবে, অপগুণ লুকাবে না । নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে যে, আমার মধ্যে কোন্ - কোন্ অপগুণ আছে? ঈশ্বরীয় পঠন - পাঠনের দ্বারা নিজেকে গুণবান করতে হবে ।

বরদান:-
পার্থিব জগতের রয়্যাল ইচ্ছাগুলি থেকে মুক্ত হয়ে সেবা করতে থাকা নিঃস্বার্থ সেবাধারী ভব

যেরকম ব্রহ্মা বাবা কর্মের বন্ধন থেকে মুক্ত, পৃথক থাকার প্রমাণ দিয়েছেন। সেবার প্রতি ভালোবাসা ছাড়া আর অন্য কোনও বন্ধন ছিলো না। সেবাতে যে পার্থিব জগতের রয়্যাল ইচ্ছা উৎপন্ন হয় সেটাও হিসেব-নিকেশের বন্ধনে আবদ্ধ করে, সত্যিকারের সেবাধারী এই হিসেব-নিকেশ থেকেও মুক্ত থাকে। যেরকম দেহের বন্ধন, দেহের সম্বন্ধের বন্ধন থাকে, এইরকমই সেবাতে স্বার্থ - এটাও হল একপ্রকার বন্ধন। এই বন্ধনের দ্বারা বা রয়্যাল হিসাব-নিকাশের থেকেও মুক্ত নিঃস্বার্থ সেবাধারী হও।

স্লোগান:-
প্রতিজ্ঞা গুলিকে ফাইলে রেখো না, ফাইনাল করে দেখাও।