19-01-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 30-11-2003 মধুবন


“চার সাবজেক্টেই অনুভবের অথরিটি হয়ে সমস্যাকে সমাধান স্বরূপে পরিবর্তন করো"


আজ ব্রাহ্মণ সংসারের রচয়িতা নিজের চতুর্দিকের ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের দেখছেন। এই ব্রাহ্মণ সংসার ছোট সংসার কিন্তু অতি শ্রেষ্ঠ, অতি প্রিয় সংসার। এই ব্রাহ্মণ সংসার সারা বিশ্বের বিশেষ আত্মাদের সংসার। প্রত্যেক ব্রাহ্মণ কোটির মধ্যে কিছু, কিছুর মধ্যেও কিছু আত্মা, কারণ নিজের বাবাকে চিনে, বাবার অবিনাশী উত্তরাধিকারের অধিকারী হয়েছে। বাবা যেরকম উঁচু থেকে উঁচু সেরকম ভাবেই বাবাকে চিনে যারা বাবার হয় সেই আত্মারাও বিশেষ আত্মা। প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মা জন্মানোর সাথে সাথেই ভাগ্য বিধাতা বাবা মস্তকে শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের রেখা টেনে দিয়েছেন, তোমরা এমন শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মা। নিজেদের এমন শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মা মনে করো তোমরা? এত বড় আধ্যাত্মিক নেশা অনুভব হয় তোমাদের? দিলারাম বাবা, প্রত্যেক ব্রাহ্মণ বাচ্চাকে তাঁর হৃদয়ের স্নেহাদর, হৃদয়ের ভালবাসা দিচ্ছেন। এই পরমাত্ম-ভালবাসা সারা কল্পে এক দ্বারা এবং এক সময়ই প্রাপ্ত হয়ে থাকে। সব কর্মে এই অধ্যাত্ম নেশা সদা থাকে? কেননা, তোমরা বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করো, আমরা কর্মযোগী জীবনের বিশেষ আত্মা। কেবল যোগ যুক্ত হওয়া যোগী না, যোগী জীবন যাপনকারী। জীবন সদাকালের। ন্যাচারাল আর নিরন্তর। ৮ ঘণ্টা, ৬ ঘণ্টার যোগী জীবন যাপনকারী না। যোগ অর্থাৎ স্মরণ তো যোগী জীবনের লক্ষ্য। জীবনের লক্ষ্য আপনা থেকেই স্মরণে থাকে এবং যেমন লক্ষ্য তেমন লক্ষণও আপনা থেকেই আসে।

বাপদাদা প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মার মস্তকে ভাগ্যের উদ্ভাসিত নক্ষত্র দেখেন। বাপদাদা সদা সব বাচ্চাকে শ্রেষ্ঠ স্বমানধারী, স্বরাজ্যধারী হিসেবে দেখে থাকেন। তো তোমরা সবাইও নিজেকে আমি স্বমানধারী আত্মা, আমি স্বরাজ্যধারী আত্মা - এরকমই অনুভব করো? যদি সেকেন্ডে স্মৃতিতে আনো যে আমি স্বমানধারী আত্মা, তবে সেকেন্ডে স্বমানের কত লিস্ট এসে যায়! এখন নিজের স্বমানের লিস্ট স্মৃতিতে এসেছে? লম্বা লিস্ট, তাই তো না! স্বমান, অভিমানকে শেষ করে দেয়, কারণ স্বমান হলো শ্রেষ্ঠ অভিমান। তো শ্রেষ্ঠ অভিমান বিভিন্ন অশুদ্ধ দেহ-অভিমানকে সমাপ্ত করে দেয়। যেভাবে লাইটের সুইচ অন করে দিলে অন্ধকার সরে যায়, অন্ধকারকে সরিয়ে দেওয়া যায় না কিংবা অন্ধকার বের করে দেওয়ার পরিশ্রম করতে হয় না, বরং সুইচ অন করার সাথে সাথে আপনা থেকেই সমাপ্ত হয়ে যায়। এইভাবে স্বমানের সুইচ যদি অন করো তবে বিভিন্ন দেহ-অভিমান সমাপ্ত করার পরিশ্রম করার দরকার পড়বে না। পরিশ্রম ততক্ষণই করার দরকার হয় যতক্ষণ না স্বমানের স্মৃতি স্বরূপ হচ্ছ। বাপদাদা বাচ্চাদের খেলা দেখেন - স্বমান হৃদয়ে বর্ণন করে "আমি বাপদাদার হৃদয় সিংহাসনাসীন", বর্ণনও করছো, ভাবছোও কিন্তু অনুভবের সিটে সেট হও না। যেটা তোমরা ভাবো সেটা অনুভব হওয়া আবশ্যক কেননা, সর্বাপেক্ষা শ্রেষ্ঠ অথরিটি অনুভবের অথরিটি। তো বাপদাদা দেখেন - তোমরা শুনছো খুব ভালো, ভাবছোও খুব ভালো কিন্তু শোনা আর ভাবা আলাদা জিনিস, অনুভাবী স্বরূপ হওয়া - এটাই ব্রাহ্মণ জীবনের শ্রেষ্ঠ অথরিটি। ভক্তি আর জ্ঞানের মধ্যে এটাই প্রভেদ। ভক্তিতেও শোনার অ্যান্ড খুব প্রসন্ন আর নিশ্চিন্ত থাকে। ভাবেও কিন্তু অনুভব করতে পারে না। জ্ঞানের অর্থই হলো জ্ঞানী তু আত্মা অর্থাৎ সব স্বমানের অনুভাবী হওয়া। অনুভাবী স্বরূপ আধ্যাত্মিক নেশা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে দেয়। জীবনে কেউ কখনও অনুভব ভুলে যায় না, যা শুনেছে, ভেবেছে সেটা ভুলতে পারে কিন্তু অনুভবের অথরিটি কখনো কম হয় না।

তো বাপদাদা বাচ্চাদের এই স্মৃতি জাগিয়ে দেন প্রতিটি শোনা বিষয় যা ভগবান বাবার থেকে শুনেছো, তার অনুভাবী মূর্ত হও। অনুভব হওয়া বিষয় লোকে যদি মুছে দিতে হাজার চেষ্টাও করে তবুও তা' মুছে যায় না। মায়াও অনুভবকে মুছে দিতে পারে না। যেমন, তোমরা শরীর ধারণ করার সাথে সাথেই অনুভব করো যে আমি অমুক, তো এটা কত পাক্কা থাকে! কখনো নিজের দেহের নাম কেউ ভোলে? কেউ যদি তোমাকে বলে তুমি অমুক নও তবে সেটা মেনে নিতে পারবে? ঠিক সেরকমই স্বমানের লিস্ট অনুভব করলে কখনো স্বমান ভুলতে পারো না। কিন্তু বাপদাদা দেখেছেন, প্রতিটা স্বমানের এবং প্রতিটা পয়েন্টের অনুভব, অনুভাবী হওয়ার ক্ষেত্রে নম্বরক্রমে রয়েছে। যখন অনুভব করে নিয়েছ যে আমি আত্মাই, তখন আত্মা ব্যতীত তুমি আর কী! দেহকে তো আমার বলো, কিন্তু আমি আত্মাই, যখন আত্মাই তোমরা তো দেহভাব কোথা থেকে এসেছে? কেন এসেছে? কারণ, ৬৩ জন্মের ভুল অভ্যাস - আমি দেহ, এটা মজবুত হয়ে গেছে। যথার্থ অভ্যাসের অনুভব তোমরা ভুলে যাও। বাপদাদা বাচ্চাদের যখন পরিশ্রম করতে দেখেন তো বাচ্চাদের প্রতি করুণা হয়। পরমাত্ম বাচ্চা আর পরিশ্রম! কারণ, অনুভব মূর্ত হওয়ার খামতি। যা কিছুই ঘটে যাক, যখন দেহ বোধের অনুভব কোনও কর্ম করার সময় ভুলে যাও না, তখন ব্রাহ্মণ জীবন অর্থাৎ কর্মযোগী জীবন, যোগী জীবনের অনুভব কীভাবে ভুলতে পারো!

চেক করো - প্রতিটা সাবজেক্টকে অনুভবে এনেছো কিনা। জ্ঞান শোনা আর শোনানো তো সহজ, কিন্তু জ্ঞান স্বরূপ হতে হবে। জ্ঞান যদি স্বরূপে আনো তবে আপনা থেকেই সব কর্ম নলেজফুল অর্থাৎ নলেজের লাইট মাইটে হবে। নলেজকে বলাই হয়ে থাকে লাইট আর মাইট। এরকমই যোগী স্বরূপ, যোগযুক্ত, যুক্তিযুক্ত স্বরূপ। ধারণা স্বরূপ অর্থাৎ সব কর্ম, সব কর্মেন্দ্রিয়, সব গুণের ধারণা স্বরূপ হবে। সেবার অনুভাবী মূর্ত, সেবাধারীর অর্থই হলো নিরন্তর আপনা থেকেই সেবাধারী, তা' হতে পারে মন্সা, বাচা, কর্মণা, অথবা সম্বন্ধ-সম্পর্ক সব কর্মে সেবা যেন ন্যাচারাল হতে থাকে, একে বলা হয়ে থাকে চার সাবজেক্টেই অনুভব স্বরূপ। সুতরাং সবাই চেক করো - কতটা অনুভাবী হয়েছো! প্রতিটি গুণের অনুভাবী, প্রতিটা শক্তির অনুভাবী হয়েছ? বাস্তবেও, প্রবাদ আছে যে, অনুভব সময়কালে কাজে আসে। যে কোনো সমস্যাই উৎপন্ন হোক না কেন, অনুভাবী মূর্ত অনুভবের অথরিটি দ্বারা সমস্যাকে সেকেন্ডে সমাধান স্বরূপে পরিবর্তন করে নেয়। সমস্যা, সমস্যা থাকবে না, সমাধান স্বরূপ হয়ে যাবে। বুঝেছো।

এখন সময়ের নৈকট্য, বাবা সমান হওয়ার নৈকট্য যেন সমাধান স্বরূপের অনুভব করায়। বহু সময় ধরে সমস্যার আসা, সমাধান করা - এই পরিশ্রম করেছ, এখন বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চাকে স্বমানধারী, স্বরাজ্য অধিকারী, সমাধান স্বরূপে দেখতে চান। অনুভাবী মূর্ত সেকেন্ডে পরিবর্তন করতে পারে। আচ্ছা।

সবদিকের আত্মারা এখানে পৌঁছে গেছে। ডবল ফরেনার্সও সব গ্রুপে ভালো চান্স নিচ্ছে। আচ্ছা - এই গ্রুপে পান্ডবও কম নেই। পান্ডব সবাই হাত তোলো। মাতারা, কুমারীরা, টিচার্স হাত তোলো। প্রথম গ্রুপে মাতারা বেশি ছিল, কিন্তু এই গ্রুপে পাণ্ডবরাও ভালো রেস করেছে। এখনও পান্ডবদের নেশা আর নিশ্চয়- এর গায়ন হয়। কী গাওয়া হয়েছে? জানো তোমরা? পান্ডব পাঁচ কিন্তু নেশা আর নিশ্চয়ের আধারে বিজয়ী হয়েছে, এখনও এই গায়ন হয়। তো এমন পান্ডব তোমরা? আচ্ছা - নেশা আছে তোমাদের? যখনই তোমরা শোনো যে তোমরা পান্ডব, তো পান্ডবপতিকে ভুলে যাও না তো না! কখনো কখনো ভুলে যাও? পান্ডব এবং পান্ডবপতি, পান্ডবরা কখনো পান্ডবপতিকে ভুলে যেতে পারে না। পান্ডবদের এই নেশা থাকা উচিত - আমরা কল্প কল্পের পান্ডব, যারা পান্ডবপতির প্রিয়। স্মৃতিচিহ্নে পান্ডবদের নামও কম নয়। পান্ডবদের টাইটেলই বিজয়ী পান্ডব। তোমরা এমন পান্ডব? কেবল আমরাই বিজয়ী পান্ডব, শুধু পান্ডব নয়, বিজয়ী পান্ডব। বিজয়ের অবিনাশী তিলক তোমাদের ললাটভাগে লেগেই আছে।

মাতাদের কী নেশা থাকে? অনেক নেশা থাকে! মাতারা নেশাতে বলে থাকে যে বাবা এসেছেনই আমাদের জন্য। এরকমই তো, তাই না! কেননা, অর্ধেক কল্প মাতাদের পদ প্রাপ্ত হয়নি, এখন সঙ্গমে রাজনীতিতেও মাতাদের অধিকার প্রাপ্ত হয়েছে। প্রতিটা ডিপার্টমেন্টে তোমরা সব শক্তিকে বাবা সামনে রেখেছে তো না, তো দুনিয়াতেও সব বর্গে এখন মাতাদের অধিকার প্রাপ্ত হয়। এমন কোনও বর্গ নেই যেখানে মাতারা থাকবে না। এটা সঙ্গম যুগের পদ। তাইতো মাতাদের এই নেশা থাকে - আমার বাবা। নেশা থাকে - আমার বাবা? থাকে নেশা? মাতারা হাত নাড়াচ্ছে। এটা ভালো। ভগবানকে নিজের বানিয়ে নিয়েছো তো জাদুকর তো মাতারাই হলো তাই না! বাপদাদা দেখেন, মাতারা অথবা পান্ডব, বাপদাদার সর্ব সম্বন্ধের প্রতি ভালবাসা আছে কিন্তু কা'র কোন সম্বন্ধের প্রতি বিশেষ ভালবাসা আছে তিনি সেটাও দেখেন। অনেক বাচ্চার খোদা-কে বন্ধু বানানো খুব ভালো লাগে। সেইজন্য খোদা-দোস্ত এর কাহিনীও আছে। বাপদাদা এটাই বলেন, যে সময় যে সম্বন্ধের আবশ্যকতা হবে সেই সময় সেই সম্বন্ধে ভগবানকে নিজের বানিয়ে নিতে পারো। সর্ব সম্বন্ধের দায়িত্ব পালন করতে পারো। বাচ্চারা বলেছে বাবা আমার, আর বাবা কী বলেছেন আমি তোমার।

মধুবনের শোভা ভালো লাগে তো না! হতে পারে কত দূরে বসে তোমরা শুনছো, দেখছো কিন্তু মধুবনের শোভা তার নিজস্বতা। মধুবনে তোমাদের সাথে বাপদাদা তো মিলিত হনই কিন্তু এছাড়াও তোমাদের কত প্রাপ্তি হয়? যদি লিস্ট বের করতে তবে কত প্রাপ্তি রয়েছে! সর্বাধিক বড় প্রাপ্তি সহজ যোগ, স্বতঃ যোগ। পরিশ্রম করার দরকার হয় না। যদি কেউ মধুবনের বায়ুমণ্ডলের মহত্ত্ব রাখে, তবে মধুবনের বায়ুমন্ডল, মধুবনের নিত্যকর্ম তাকে সহজ যোগী, স্বতঃ যোগী বানায়। কেন? মধুবনে তোমাদের বুদ্ধিতে একটাই কাজ থাকে। যখন সেবাধারী গ্রুপ আসে সেটা আলাদা ব্যাপার কিন্তু যারা রিফ্রেশ হওয়ার জন্য আসে, মধুবনে তাদের কী কাজ করতে হবে? কোনো দায়িত্ব আছে কী? খাওয়া-দাওয়া করো, মজা করো, পড়াশোনা করো। মধুবন তো মধুবনই। বিদেশেও শুনছে। কিন্তু সেই শোনা আর মধুবনে আসা, এতে রাত দিনের পার্থক্য। সাধনের মাধ্যমে যারা শোনে, দেখে বাপদাদা তাদের স্মরণ-স্নেহ তো দেন, অনেক বাচ্চারা তো রাত জেগেও শোনে। না এর থেকে অবশ্যই ভালো কিন্তু অতীব আনন্দদায়ক মধুবন। মধুবনে আসা তোমাদের ভালো লাগে নাকি ওখানে বসে শুনে নেওয়া! কী ভালো লাগে? ওখানেও তো মুরলী শুনবে তাই না! এখানেও পিছনে বসে টি. ভি.তে দেখ। তো যারা মনে করো মধুবনে আসাই ভালো, তারা হাত তোলো। (সবাই হাত উঠিয়েছে) ভালো। তবুও দেখ ভক্তিতে কী গায়ন আছে! মধুবনে মুরলী বাজে। এটা নয় যে লন্ডনে মুরলী বাজে। যেখানেই থাকো, মধুবনের মহিমার মহত্ত্ব জানা অর্থাৎ স্বয়ংকে মহান বানানো।

আচ্ছা - সবাই যারা এসেছো তারা যোগী জীবন, জ্ঞানী তু আত্মা জীবন, ধারণা স্বরূপের অনুভব করছো। এখন প্রথম টার্নে এই সিজনের জন্য অ্যাটেনশন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল যে এই সম্পূর্ণ সিজন সন্তুষ্টমণি হয়ে থাকতে হবে এবং সন্তুষ্ট করতে হবে। শুধু হতে হবে তা' নয়, করতেও হবে। সেই সাথে প্রশ্ন ক'রো না কবে হবে, এক বছরে হবে কি ছয় মাসে হবে, এখন সময় অনুসারে যে কোনও সময় যে কোনো কিছু হতে পারে। হঠাৎ করে যে কোনো কিছু যে কোনো সময়ই হতে পারে। সেইজন্য নিজের স্মৃতির সুইচ খুব পাওয়ারফুল বানাও। সেকেন্ডে সুইচ অন আর অনুভব স্বরূপ হয়ে যাও। সুইচ যদি ঢিলা হয় তবে বারেবারে অন অফ করতে হয় এবং ঠিক হতে সময় লাগে। কিন্তু সেকেন্ডে সুইচ অন করো স্বমানের, স্বরাজ্য অধিকারীর, অন্তর্মুখী হয়ে অনুভব করতে থাকো। অনুভবের সাগরে সমাহিত হও। অনুভবের অথরিটিকে কোনও অথরিটি জিততে পারে না। বুঝেছ কী করতে হবে? বাপদাদা সঙ্কেত তো দিয়েই দেন কিন্তু অপেক্ষা ক'রো না, কবে কবে কবে এখন আর নয়। এভাররেডি। সেকেন্ডে স্মৃতির সুইচ অন করতে পারো তোমরা? করতে পারো? সরকমস্ট্যান্স যেমনই হোক, যেমনই সমস্যা হোক, স্মৃতির সুইচ অন করো। এই অভ্যাস করো কেননা, ফাইনাল পেপার সেকেন্ডেরই হওয়ার আছে, মিনিটও নয়। যারা ভাবছে তারা পাশ করতে পারবে না, যারা অনুভব করে তারা পাস হয়ে যাবে। তো এখন সেকেন্ডে সবাই "আমি পরমধামনিবাসী শ্রেষ্ঠ আত্মা", এই স্মৃতির সুইচকে অন করো আর কোনও স্মৃতি থাকবে না। বুদ্ধিতে যেন কোনরকম অস্থিরতা না হয়, অনড়। (ড্রিল) আচ্ছা।

চতুর্দিকের শ্রেষ্ঠ স্বমানধারী, অনুভাবী আত্মাদের, যারা সদা সব সাবজেক্টকে অনুভবে নিয়ে আসে, যারা সদা যোগী জীবনে এগিয়ে চলা নিরন্তর যোগী আত্মাদের, সদা নিজের বিশেষ ভাগ্যকে প্রতিটা কর্মে ইমার্জ স্বরূপে রেখে কোটির মধ্যে কিছু, আর কিছুর মধ্যেও কিছু বিশেষ আত্মাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ সুমন আর নমস্কার।

দাদিজীর প্রতি – সবাইকে উৎসাহ উদ্দীপনায় আনার ভালো কার্য করছ। (এখন তো কোটি কোটির মধ্যে বার্তা দেওয়ার প্ল্যানিং চলছে) কোটি কি! সারা বিশ্বের আত্মাদের বার্তা পেতে হবে। অহো প্রভু বলবে তো না!

অহো প্রভু বলার জন্যও তো তৈরি করতে হবে, তাই তো না! (দাদিদের প্রতি) এঁরাও সহযোগ দিচ্ছেন। এটা ভালো, মধুবনের দেখভাল করছেন। আচ্ছা, সহযোগী গ্রুপ পেয়েছো তো না! প্রত্যেকের বিশেষত্ব আছে। তবুও আদি রত্নদের প্রভাব পড়ে। যত আয়ুই হোক না কেন, নতুন নতুনরাও অগ্রচালিত হচ্ছে, কিন্তু আদি রত্নদের পালন তাঁদের নিজস্ব। সেইজন্য গ্রুপ ভালো। (মোহিনী বোনকে দেখে) ইনিও আদি রত্নদের মধ্যে আছেন তো না! এটা ভালো। (রতনমোহিনী দাদি উড়িষ্যার সেবার সমাচার শুনিয়েছেন, সবাই তোমাকে অনেক অনেক স্মরণ দিয়েছে) চতুর্দিকে তো সেবা ভালো। তাদেরকেও স্মরণ দিও। সেবা তো বৃদ্ধি হওয়ারই আছে কেননা, এখন সবারই আবশ্যকতা আছে। আচ্ছা।

বরদান:-
বিঘ্ন প্রুফ দীপ্তিমান ফরিস্তা-ড্রেস ধারণ করে সদা বিঘ্ন বিনাশক ভব

স্ব প্রতি এবং সর্ব প্রতি বিঘ্ন বিনাশক হওয়ার জন্য কোশ্চেন মার্ককে বিদায় দাও এবং ফুল স্টপের দ্বারা সর্বশক্তি ফুল স্টক করো। সদা বিঘ্ন প্রুফ উজ্জ্বল ফরিস্তা-ড্রেস পরিধান করে থাকো, মাটির ড্রেস পরিধান ক'রো না। সেই সঙ্গে সর্ব গুণের অলংকারে সজ্জিত থাকো। সদা অষ্ট শক্তির শস্ত্রধারী সম্পন্ন মূর্তি হয়ে থাকো এবং কমল পুষ্পের আসনে শ্রেষ্ঠ জীবনের পা রাখো।

স্লোগান:-
অভ্যাসের প্রতি যদি সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন দাও তবে ফার্স্ট ডিভিশনে নম্বর এসে যাবে।

"নিজের শক্তিশালী মন্সার দ্বারা সকাশ দেওয়ার সেবা করো" - যেমন বাচা সেবা ন্যাচারাল হয়ে গেছে, তেমন সাথে সাথে যেন মন্সা সেবাও ন্যাচারাল হয়ে যায়। বাণীর সাথে সাথে যদি মন্সা সেবা করো তবে তোমাদের কম বলতে হবে। তোমরা বলার ক্ষেত্রে যে এনার্জি ব্যয় করো তা' মন্সা সেবার কারণে বাণীর এনার্জি জমা হবে এবং মন্সা শক্তিশালী সেবার সফলতা অনেক বেশি অনুভব করাবে। সূচনাঃ - আজ মাসের তৃতীয় রবিবার, অন্তর্রাষ্ট্রিয় যোগ দিবস, সকল ব্রহ্মা বৎস সংগঠিত রূপে সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে ৭:৩০ পর্যন্ত একই শুদ্ধ সংকল্পের দ্বারা প্রকৃতি সহ বিশ্বের সর্ব আত্মাকে শান্তি আর শক্তির সকাশ দেওয়ার বিশেষ সেবা করুন। অনুভব করুন যে, বাবার মস্তক থেকে শক্তিশালী কিরণ বের হয়ে আমার ভ্রুকুটিতে আসছে এবং আমার থেকে সমগ্র গ্লোবে যাচ্ছে।