19.02.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমরা এতকাল যা কিছু পড়েছো, সে'সব ভুলে যাও, জীবন্মৃত হওয়া মানে সবকিছু ভুলে যাওয়া,
পূর্বের কোনোকিছুই যেন স্মরণে না থাকে"
প্রশ্নঃ -
যে সম্পূর্ণ
জীবন্মৃত হয়নি, তার চিহ্ন কি হবে?
উত্তরঃ
সে বাবার সাথে
তর্ক করতে থাকবে । শাস্ত্রের উদাহরণ দিতে থাকবে । আর যে সম্পূর্ণ জীবন্মৃত হবে, সে
বলবে, বাবা যা শোনান, সেটাই সত্য । আমি অর্ধেক কল্প যা শুনেছি তা মিথ্যাই ছিলো, তাই
তা আর মুখেও আনবো না । বাবা বলেছেন - হিয়ার নো ইভিল...
গীতঃ-
ওম্ নমঃ শিবায়...
ওম্ শান্তি ।
বাবা
বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন যে, তোমরা যখন সকলকে শান্তিতে বসাও, যাকে নেষ্ঠা নাম দিয়ে
দিয়েছে, এই ড্রিল করানো হয় । বাবা এখন বসে তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন
যে, যারা সম্পূর্ণ জীবন্মৃত হয়েছে, যারা বলে, আমরা সম্পূর্ণ জীবন্মৃত হয়েছি, যেমন
মানুষ যখন মারা যায়, তখন সবকিছুই ভুলে যায়, কেবল সংস্কার থেকে যায় । তোমরাও এখন
বাবার হয়ে দুনিয়ার থেকে মৃত হয়ে গেছো । বাবা বলেন, তোমাদের মধ্যে ভক্তির সংস্কার
ছিলো, এখন সেই সংস্কার পরিবর্তিত হচ্ছে, তাই তোমরা তো জীবন্মৃত হচ্ছো, তাই না । মারা
গেলে মানুষ তাদের পূর্বের পড়া সমস্তকিছুই ভুলে যায় তারপর পরের জন্মে নতুন করে পড়তে
হয় । বাবাও বলেন, তোমরা যা কিছুই পড়েছো, তা ভুলে যাও । তোমরা তো বাবার হয়েছো, তাই
না । আমি তো তোমাদের নতুন কথা শোনাই । তাই তোমরা এখন বেদ, শাস্ত্র, গ্রন্থ, জপ, তপ
আদি এই সব কথা ভুলে যাও, তাই তো বলা হয়েছে - হিয়ার নো ইভিল..... । বাচ্চারা, এ হলো
জন্য । কেউ হয়তো অনেক শাস্ত্র ইত্যাদি পড়েছে, সম্পূর্ণ জীবন্মৃত হয়নি, তারা অনেক
অপ্রয়োজনীয় তর্ক করবে । আর যারা জীবন্মৃত হয়েছে, তারা কখনো তর্ক করবে না । তারা বলবে,
বাবা যা কিছুই শুনিয়েছেন, তাই সত্য, বাকি অন্য কথা আমরা মুখে কেন আনবো ? বাবা বলেন,
এ সব কথা মুখেও এনো না । হিয়ার নো ইভিল । বাবা ডায়রেক্শন দিয়েছেন - অন্য কিছুই শুনো
না । তোমরা বলো, এখন আমরা জ্ঞানের সাগরের সন্তান হয়েছি তাই ভক্তির কথা কেন স্মরণ
করবো । আমরা এক ভগবানকেই স্মরণ করি । বাবা বলেছেন - তোমরা ভক্তিমার্গকে ভুলে যাও ।
আমি তোমাদের এই সহজ কথা শোনাই যে, তোমরা বীজ রূপী আমাকে স্মরণ করো তাহলে সম্পূর্ণ
বৃক্ষ তোমাদের বুদ্ধিতে এসে যাবে । তোমাদের মূখ্য হলো গীতা । গীতাতেই ভগবান
সম্পূর্ণ বুঝিয়ে দিয়েছেন । এ হলো এখন নতুন কথা । নতুন কোনো কথায় সম্পূর্ণ মনোযোগ
দেওয়া হয় । এ হলো খুবই সহজ কথা । সবথেকে বড় কথা হলো স্মরণ করার । প্রতি মুহূর্তে
তোমাদের বলতে হয় যে - মন্মনাভব। তোমরা বাবাকে স্মরণ করো, এই হলো গুহ্য কথা, এতেই
বিঘ্ন আসে । এমন অনেক বাচ্চা আছে, যারা সম্পূর্ণ দিনে দু মিনিটও স্মরণ করে না ।
বাবার হয়েও ভালো কর্ম না করলে, স্মরণও যদি না করে, তাহলে বিকর্ম করতে থাকে ।
বুদ্ধিতে না ধারণ হলে বলা হবে, এ বাবার আজ্ঞার অনাদর হলো, পড়তেও পারবে না আর সেই
শক্তিও পাবে না । জাগতিক পড়াতেও তো শক্তি পাওয়া যায়, তাই না । পড়াশোনা হলো সোর্স
অফ ইনকাম। এতে শরীর নির্বাহ হলেও তাও অল্পকালের জন্য । কেউ যদি জাগতিক পড়া পড়তে পড়তে
মারাও যায়, তাহলে সেই পড়া তো সাথে করে নিয়ে যায়ই না । পরের জন্মে আবার নতুন করে
পড়তে হয় । এখানে তো তোমরা যত পড়বে, তা সাথে করে নিয়ে যাবে কেননা, তোমরা পরের জন্মে
তার প্রালব্ধ ভোগ করো । বাকি তো ওই সবই হলো ভক্তি মার্গ । কি কি জিনিস আছে, তা কেউই
জানে না । আত্মাদের পিতা তো তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের বসিয়ে জ্ঞান দেন । এই একবারই
বাবা অর্থাৎ সুপ্রীম রুহ এসে আত্মাদের এই জ্ঞান দান করেন, যেই জ্ঞানে তোমরা বিশ্বের
মালিক হয়ে যাও । ভক্তি মার্গে স্বর্গ হয়ই না । তোমরা এখন সেই প্রভুর হয়ে গেছো ।
বাচ্চারা, মায়া অনেকবার তোমাদের অনাথ বানিয়ে দেয়, তোমরা ছোটো - ছোটো কথায়ও নিজেদের
মধ্যে লড়াই করো । বাবার স্মরণে যদি তোমরা না থাকো, তাহলে তো অনাথ হয়ে গেলে, তাই না
। অনাথ হয়ে গেলে তোমরা অবশ্যই কোনো পাপ কর্ম করে ফেলবে । বাবা বলেন, তোমরা আমার হয়ে
আমার বদনাম করো না । একে অপরের সঙ্গে খুব ভালোবেসে চলতে থাকো, তোমরা উল্টোপাল্টা কথা
বলো না ।
বাবাকে এমন অনেক
অহল্যা, কুব্জা, ভিলনীদের উদ্ধার করতে হয় । বলা হয় - ভগবান রাম ভিলনীর এঁটো
খেয়েছিলেন । এখন এমনভাবে ভিলনীর এঁটো কি খেতে পারেন? ভিলনী থেকে যখন ব্রাহ্মণ হয়ে
যায়, তখন কেন খাবেন না? তাই তো ব্রহ্মা ভোজনের এতো মহিমা । শিববাবা তো আর খাবেন না
। তিনি তো অভোক্তা । বাকি এই রথ (দেহ) তো খানই । বাচ্চারা, তোমাদের কারোর সঙ্গে
তর্ক করার কোনো প্রয়োজন নেই । সব সময় নিজেকে সেফ সাইডে রাখা উচিত । দুটো শব্দই
কেবল বলো - শিব বাবা বলেন। শিববাবাকেই রুদ্র বলা হয় । রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞেই বিনাশ
জ্বালা প্রজ্জ্বলিত হয়েছিলো, তাই রুদ্র তো ভগবানই হলো, তাই না । কৃষ্ণকে তো রুদ্র
বলা হবে না । বিনাশও কৃষ্ণ করান না, বাবাই স্থাপনা, বিনাশ এবং পালনা করান । তিনি
নিজে কিছুই করেন না, তা না হলে তাঁর দোষ হয়ে যাবে । তিনি হলেন করনকরাবনহার । বাবা
বলেন যে, আমি কখনো বলি না যে বিনাশ করো । এ সবই এই ড্রামাতে নির্ধারিত রয়েছে ।
শঙ্কর কিছু করে কি? কিছুই না । এ কেবল মহিমাই আছে যে, শঙ্করের দ্বারা বিনাশ । বাকি
বিনাশ তো ওরা নিজেরাই করছে । এ হলো অনাদি বানানো এক ড্রামা, যা তোমাদের বোঝানো হয়
। রচয়িতা বাবাকেই সবাই ভুলে গেছে । সবাই বলে যে, গড ফাদার হলেন রচয়িতা, কিন্তু তাঁকে
কেউই জানে না । সবাই মনে করে যে, তিনি সেই দুনিয়া ক্রিয়েট করেন । বাবা বলেন যে, আমি
ক্রিয়েট করি না, আমি এর চেঞ্জ করি । আমি কলিযুগকে সত্যযুগ বানাই । আমি এই সঙ্গম
যুগেই আসি, যার জন্য মহিমা আছে যে - সুপ্রীম অসপিশিয়াস (কল্যাণকারী) যুগ । ভগবান
হলেন কল্যাণকারী, তিনি সকলের কল্যাণ করেন, কিন্তু কিভাবে আর কি কল্যাণ তিনি করেন,
এসব মানুষ কিছুই জানে না । ইংরাজীতে বলা হয় লিবরেটর, গাইড, কিন্তু এর অর্থ বোঝেই
না । ওরা বলে থাকে, ভক্তি করলে ভগবানকে পাওয়া যাবে, সদগতি হবে । সকলের সদগতি তো কোনো
মানুষই করতে পারে না । তা না হলে পরমাত্মাকে পতিত পাবন, সকলের সদগতিদাতা, এমন মহিমা
কেন করা হয়? বাবাকে কেউই জানে না, সকলেই অনাথ । সকলেই বাবার থেকে বিপরীত বুদ্ধি ।
বাবা এখন কি করবেন । বাবা তো নিজেই মালিক । তাঁর শিব জয়ন্তীও ভারতেই পালন করা হয় ।
বাবা বলেন, আমি ভক্তদের ফল দিতেই আসি । আমি আসি এই ভারতেই । এখানে আসার জন্য আমার
শরীর তো অবশ্যই চাই, তাই না । প্রেরণাতে তো কিছুই হবে না । আমি এনার মধ্যে প্রবেশ
করে এঁর মুখের দ্বারা তোমাদের জ্ঞান দান করি । গোমুখের কথা তো নয় । এ তো এই মুখেরই
কথা । মুখ তো মানুষের চাই, নাকি জানোয়ারের? মানুষের বুদ্ধি এতটুকুও কাজ করে না ।
অন্যদিকে ভাগীরথকে দেখানো হয়, সে কিভাবে আর কখন আসে, এ কথা কেউ এতটুকুও জানে না ।
তাই বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান, তোমরা তো জীবন্মৃত হয়েছো তাই ভক্তি মার্গকে একদম ভুলে
যাও । শিব ভগবান উবাচঃ হলো - তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়ে
যাবে । আমিই হলাম পতিত পাবন । তোমরা যখন পবিত্র হয়ে যাবে, তখন আমি সবাইকে নিয়ে যাবো
। এই ম্যাসেজ ঘরে ঘরে পৌঁছে দাও । বাবা বলেন যে - তোমরা যদি আমাকে স্মরণ করো, তাহলে
তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে । বিনাশ তো সামনে উপস্থিত । তোমরা
ডেকেও থাকো, হে পতিত পাবন, এসো, পতিতকে পবিত্র বানাও, রাবণ রাজ্য থেকে মুক্ত করে
রাম রাজ্য স্থাপন করো । ওরা সকলে নিজেদের - নিজেদের জন্য চেষ্টা করে । বাবা তো বলেন,
আমি এসে সকলের মুক্তি প্রদান করি । সকলেই এখন পাঁচ বিকার রূপী রাবণের জেলে পড়ে আছে,
আমি সকলেরই সদগতি করাই । আমাকে বলাও হয় দুঃখহর্তা আর সুখকর্তা । এই রামরাজ্য তো
অবশ্যই নতুন দুনিয়াতেই হবে ।
তোমাদের অর্থাৎ
পাণ্ডবদের এখন হলো প্রীত বুদ্ধি । কারোর কারোর তো তৎক্ষণাৎ প্রীত বুদ্ধি হয়ে যায়
। কারোর কারোর আবার ধীরে ধীরে হয় । কেউ তো আবার বলে, ব্যস্ আমি সবকিছুই বাবাকে
স্যারেন্ডার করছি । ওই একজন ছাড়া আর কেউই তো নেই । একমাত্র গডই হলেন সকলের অবলম্বন
। এ কতো সিম্পল থেকেও সিম্পল কথা । বাবাকে স্মরণ করো, আর চক্রকে স্মরণ করো তাহলে
চক্রবর্তী রাজা - রানী হয়ে যাবে । এই স্কুল হলো বিশ্বের মালিক হওয়ার, তাই তো
চক্রবর্তী রাজা নাম হয়েছে । চক্রকে জানলেই চক্রবর্তী রাজা হওয়া যায় । এ কথা বাবাই
বুঝিয়ে বলেন । বাকি কোনো তর্কই করবে না তোমরা । বলো, তোমরা ভক্তিমার্গের সব কথা ছাড়ো
। বাবা বলেন, তোমরা কেবল আমাকে স্মরণ করো । মূল কথাই হলো এটা । যারা তীব্র
পুরুষার্থী হয়, তারা খুব জোর এই পড়ায় লেগে যায়, যার এই পড়ার শখ থাকে সে ভোরবেলা
উঠে এই পাঠ পড়তে থাকে । ভক্তি যারা করে তারাও ভোরবেলাই ওঠে । কতো মানুষ নবধা ভক্তি
করে, যখন শির কাটতে উদ্যত হয়, তখনই সাক্ষাৎকার হয় । বাবা তো এখানে বলেন, এই
সাক্ষাৎকারও ক্ষতি করে থাকে । সাক্ষাৎকারে গেলে পড়াশি আর যোগ দুইই বন্ধ হয়ে যায় ।
এতে টাইম ওয়েস্ট হয়ে যায়, তাই ধ্যান ইত্যাদির শখ তো রাখাই উচিত নয় । এও এক
মারাত্মক রোগ, যাতে মায়া প্রবেশ করে । যুদ্ধের সময় যেমন খবর শোনানো হয়, তো মাঝে
মাঝে কিছু খারাপ করে দেওয়া হয়, যাতে শুনতে না পাওয়া যায় । মায়াও অনেকের সামনে
বিঘ্ন এনে উপস্থিত করে । বাবাকে স্মরণ করতেই দেয় না । তখন বোঝা যায় যে, এর ভাগ্যে
বিঘ্ন আছে । দেখা হয়, মায়া তো প্রবেশ করেনি? বেকায়দাতে কিছু বলে দেয়নি তো, তাহলে
বাবা চট করে নীচে নামিয়ে দেবে । অনেক মানুষই বলে - আমাদের যদি সাক্ষাৎকার হয়, তাহলে
এইসব ধন - সম্পদ ইত্যাদি আমরা আপনাকে দিয়ে দেবো । বাবা বলেন, এসব তোমরা নিজেদের
কাছেই রাখো । ভগবানের, তোমাদের অর্থের কি প্রয়োজন? বাবা তো জানেনই যে, এই পুরানো
দুনিয়াতে যা কিছুই আছে, সবই ভস্ম হয়ে যাবে । বাবা এসব নিয়ে কি করবেন? বাবার কাছে
তো বিন্দু - বিন্দু করে পুকুর তৈরী হয়ে যায় । তোমরা বাবার নির্দেশে চলো, হসপিটাল
আর ইউনিভর্সিটি খোলো, যেখানে যে কেউ এসে এই বিশ্বের মালিক হতে পারে । তোমাদের তিন
পা জমিতে বসে মানুষকে নর থেকে নারায়ণ বানাতে হবে কিন্তু এই তিন পা পৃথিবীও পাওয়া
যায় না । বাবা বলেন, আমি তোমাদের সমস্ত বেদ শাস্ত্রের সার বলে দিই । এই শাস্ত্র হলো
সমস্ত ভক্তিমার্গের । বাবা এর কোনো নিন্দা করেন না । এই খেলা তো বানানোই আছে । এ
কেবল বোঝানোর জন্য বলা হয় । এ তো সেই খেলাই, তাই না । এই খেলার আমরা নিন্দা করতে
পারি না । আমরা বলি জ্ঞান সূর্য, জ্ঞান চন্দ্রমা, তো ওরা তখন চন্দ্রমা ইত্যাদিতে
গিয়ে খুঁজতে থাকে । ওখানে কোনো রাজত্ব রাখা আছে কি? জাপানীরা সূর্যকে মেনে থাকে ।
আমরা বলি সূর্যবংশী, ওরা আবার সুর্যকে বসে পুজো করে, সুর্যকে জল দান করে । বাবা তাই
বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন যে, কোনো বিষয়ে খুব বেশী তর্ক করবে না । একটি কথাই তোমরা শোনাও,
বাবা বলেন - আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমরা পবিত্র হতে পারবে । এখন এই রাবণ রাজ্যে
সকলেই পতিত কিন্তু নিজেকে কেউই পতিত বলে মানেই না ।
বাচ্চারা, তোমাদের এক
চোখে শান্তিধাম আর এক চোখে সুখধাম, বাকি এই দুঃখধামকে তোমরা ভুলে যাও । তোমরা হলে
চৈতন্য লাইট হাউস । এখন প্রদর্শনীতেও নাম রাখা হয় - ভারত, দ্য লাইট হাউস.... কিন্তু
এ কেউ কি বুঝবে? তোমরা তো এখন লাইট হাউস, তাই না । পোর্টে লাইট হাউস স্টিমারকে পথ
বলে দেয় । তোমরাও সকলকে মুক্তি আর জীবনমুক্তিধামের পথ বলে দাও । কেউ যখন প্রদর্শনীতে
আসবে তখন খুব ভালোবেসে বলো -- গড ফাদার তো সকলেরই এক, তাই না । গড ফাদার অথবা
পরমপিতা বলেন যে, আমাকে স্মরণ করো, তাহলে অবশ্যই তো মুখের দ্বারা বলবেন, তাই না ।
ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, আমরা সব ব্রাহ্মণ - ব্রাহ্মণীরা হলাম ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী
। তোমাদের মতো ব্রাহ্মণদের জাগতিক ব্রাহ্মণরাও মহিমা করে - ব্রাহ্মণ দেবতায় নমঃ ।
উচ্চ থেকেও উচ্চ হলেন একমাত্র বাবা । তিনি বলেন, আমি তোমাদের উঁচুর থেকেও উঁচু
রাজযোগ শেখাই, যার দ্বারা তোমরা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হও । সেই রাজত্ব তোমাদের
থেকে কেউই ছিনিয়ে নিতে পারবে না । এই বিশ্বের উপর ভারতেরই রাজত্ব ছিলো । ভারতের কতো
মহিমা । তোমরা এখন জানো যে, আমরা শ্রীমতে চলে এই রাজ্য স্থাপন করছি । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
তীব্র পুরুষার্থী হওয়ার জন্য এই আধ্যাত্মিক পাঠের শখ রাখতে হবে । ভোরবেলা উঠে
পড়াশোনার অভ্যাস করতে হবে । সাক্ষাৎকারের আশা রাখবে না, এতেও টাইম ওয়েস্ট হয় ।
২ ) শান্তিধাম আর
সুখধামকে স্মরণ করতে হবে, এই দুঃখধামকে ভুলে যেতে হবে । কারোর সঙ্গে তর্ক করবে না,
ভালোবাসার সাথে মুক্তি আর জীবনমুক্তিধামের পথ বলে দিতে হবে ।
বরদান:-
সদা
সুখের সাগরে লভলীন থেকে অন্তর্মুখী ভব
বলা হয়ে থাকে -
অন্তর্মুখী সদা সুখী। যে বাচ্চারা সদা অন্তর্মুখী ভব-র বরদান প্রাপ্ত করে নেয় তারা
বাবার সমান সদা সুখের সাগরে লভলীন থাকে। সুখদাতার বাচ্চা নিজেও সুখদাতা হয়ে যায়।
সমস্ত আত্মাদের সুখের খাজানা বিতরণ করে। তো এখন অন্তর্মুখী হয়ে এমন সম্পন্ন মূর্তি
হয়ে যাও যে কেউ তোমাদের কাছে যদি কোনও ভাবনা নিয়ে আসে, এসে যেন নিজের ভাবনা সম্পন্ন
করে যায়। যেরকম বাবার খাজানাতে অপ্রাপ্ত কোনও বস্তু নেই, সেরকম তোমরাও বাবার সমান
ভরপুর হও।
স্লোগান:-
আত্মিক
নেশায় থাকো তাহলে কখনও অভিমানের ফিলিংস আসবে না।
অব্যক্ত ঈশারা :-
একান্ত প্রিয় হও, একতা আর একাগ্রতাকে ধারণ করো
নিজেকে সর্বদা
আন্ডারগ্রাউন্ড অর্থাৎ অন্তর্মুখী বানানোর প্রচেষ্টা করো। আন্ডারগ্রাউন্ডেও যেমন
সবরকমের কারোবার চলে, সেরকম অন্তর্মুখী হয়েও কাজ করতে পারো। অন্তর্মুখী হয়ে কার্য
করলে এক তো বিঘ্ন থেকে রক্ষা পাবে, দ্বিতীয়তঃ সময় বেঁচে যাবে, তৃতীয়তঃ সংকল্পও
ব্যর্থ যাবে না। একান্তবাসীর সাথে সাথে রমণীকতাও এতটাই হবে।