19.04.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - অসীম জগতের বাবার প্রতি বিশ্বস্ত হয়ে থাকো, তবেই পূর্ণ মাইট (শক্তি) প্রাপ্ত হবে, মায়ার উপরে বিজয়লাভ করতে থাকবে"

প্রশ্নঃ -
বাবার কাছে মুখ্য অথরিটি কোনটি? তার চিহ্ন কী?

উত্তরঃ  
বাবার কাছে মুখ্য হলো জ্ঞানের অথরিটি । বাচ্চারা, তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর তাই তোমাদের পড়াশোনা করান। নিজের মতন নলেজফুল বানান। তোমাদের কাছে এই পড়ার একটা লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য রয়েছে। পড়ার মাধ্যমেই তোমরা উচ্চপদ প্রাপ্ত করো।

গীতঃ-
বদলে যায় যেন পৃথিবী....

ওম্ শান্তি ।
ভক্ত ভগবানের মহিমা করে। তোমরা তো এখন ভক্ত নও। তোমরা তো সেই ঈশ্বরের সন্তান হয়ে গেছো। সেও বিশ্বস্ত সন্তান চাই। প্রতিটি বিষয়ে বিশ্বস্ত হতে হবে। স্ত্রী-র যদি স্বামী ব্যতীত আর স্বামীর যদি স্ত্রী ব্যতীত অন্য কারোর দিকে দৃষ্টি যায় তবে তাকেও অবিশ্বস্ত (অবিশ্বাসী) বলা হবে। এখন এখানেও রয়েছে অসীম জগতের পিতা। ওনার প্রতি অবিশ্বস্ত এবং বিশ্বস্ত দুই-ই থাকে। বিশ্বস্ত হয়ে পুনরায় অবিশ্বস্ত হয়ে যায়। বাবা হলেন হাইয়েস্ট অথরিটি। সর্বশক্তিমান, তাই না! ওনার সন্তানদেরও তো তেমনই হওয়া উচিত। বাবার মধ্যে শক্তি রয়েছে, বাচ্চাদের রাবণের উপর বিজয়প্রাপ্ত করার যুক্তি বলে দেন তাই ওনাকে বলা-ও হয় সর্বশক্তিমান। তোমরাও হলে শক্তিসেনা, তাই না! তোমরাও নিজেদেরকে সর্বশক্তিমান বলবে। বাবার কাছে শক্তি রয়েছে তা তিনি তোমাদেরকে দেন, আর বলে দেন যে, কীভাবে তোমরা মায়া-রূপী রাবণের উপর বিজয়প্রাপ্ত করতে পারো, তাই তোমাদেরকে শক্তিমান হতে হবে। বাবা হলেন জ্ঞানের সর্বময়কর্তা। তিনি নলেজফুল, তাই না। যেমন ওইসমস্ত মানুষ হলো শাস্ত্রের, ভক্তিমার্গের সর্বময়কর্তৃত্ব, তেমনই এখন তোমরা অলমাইটি অথরিটি নলেজফুল হয়ে যাও। তোমরাও নলেজ পাও। এ হলো পাঠশালা। এখানে যে পড়া তোমরা পড়ো, তার দ্বারাই উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারো। এমন একটাই পাঠশালা রয়েছে। তোমাদের এখানে পড়তে হবে আর কোনো নমস্কারাদি করতে হবে না। পড়াশোনার মাধ্যমে তোমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো, এইম অবজেক্ট রয়েছে। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে বাবা হলেন নলেজফুল। ওনার পড়ানো সম্পূর্ণই পৃথক। জ্ঞানের সাগর তো বাবা, তাই তিনিই জানেন। তিনিই আমাদের সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের নলেজ দেন। তা আর কেউই দিতে পারে না। বাবা সম্মুখে এসে জ্ঞান প্রদান করেন, পুনরায় চলে যান। এই পড়াশোনার প্রালব্ধ (ফলস্বরূপ) কি পাওয়া যায়, তাও তোমরা জানো। বাকি আর যেসকল সৎসঙ্গাদি আছে, গুরু-গোঁসাই ইত্যাদি আছে, সেসবকিছুই ভক্তিমার্গের। এখন তোমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করছো। তোমরা এও জানো যে, ওদের মধ্যে কেউ যদি এখানকার হয় তাহলে বেরিয়ে আসবে। বাচ্চারা, সেবার জন্য তোমাদের বিভিন্নরকমের যুক্তি বের করতে হবে। নিজের অনুভব শুনিয়ে অনেকের ভাগ্য তৈরী করতে হবে। তোমাদের অর্থাৎ সেবাধারী বাচ্চাদের স্থিতি অত্যন্ত নির্ভয়, সুদৃঢ়(অটল) যোগযুক্ত হওয়া উচিত। যোগযুক্ত হয়ে সার্ভিস করলে সফলতা পেতে পারো।

বাচ্চারা, তোমাদের নিজেদের সম্পূর্ণ সতর্ক থাকতে হবে। কখনো আবেশে(বিহ্বল হয়ে পড়া) আসা উচিত নয়, পাকাপাকিভাবে যোগযুক্ত হওয়া উচিত। বাবা বুঝিয়েছেন যে, বাস্তবে তোমরা সকলেই হলে বাণপ্রস্থী, বাণীর ঊর্ধ্বের স্থিতিসম্পন্ন। অর্থাৎ যারা বাণীর ঊর্ধ্বে থেকে ঘরকে এবং বাবাকে স্মরণ করে। এছাড়া তাদের আর কোনো ইচ্ছা নেই। আমাদের ভালো-ভালো বস্ত্র চাই, এইসব হলো বিকারী ইচ্ছা। দেহ-অভিমানীরা সেবা করতে পারে না। তারজন্য দেহী-অভিমানী হতে হয়। ভগবানের বাচ্চাদের তো শক্তি চাই। আর সে (শক্তি) হলো যোগের। বাবা তো সকল বাচ্চাদের বিষয়ে জানতে পারেন, তাই না! বাবা তৎক্ষণাৎ বলে দেবেন, এই-এই দুর্বলতাগুলো দূর করো। বাবা বোঝান, শিবের মন্দিরে যাও, সেখানে তোমরা অনেককেই পাবে। অনেকেই রয়েছে যারা কাশী গিয়ে বসবাস করে। মনে করে কাশীনাথ আমাদের কল্যাণ করবে। ওখানে তোমরা অনেক গ্রাহক পাবে কিন্তু এরজন্য অত্যন্ত তীক্ষ্ণ বুদ্ধি থাকা চাই। গঙ্গাস্নান যারা করে, তাদেরকেও বোঝাতে পারো। মন্দিরে গিয়েও বোঝাও। গুপ্তবেশেও যেতে পারো। হনুমানের মতন। হও তো বাস্তবে তোমরাই তেমন, তাই না। এখানে জুতোর উপর বসার কোন কথা নেই। এখানে অত্যন্ত সমঝদার, তীক্ষ্ণ (সেয়ানা) হওয়া উচিত। বাবা বুঝিয়েছেন যে, এখনও কেউ-ই কর্মাতীত হয় নি। কিছু-না-কিছু দুর্বলতা অবশ্যই রয়েছে।

বাচ্চারা, তোমাদের নেশা থাকা উচিত যে, এ হলো একটিই হাট, যেখানে সকলকেই আসতে হবে। একদিন এই সন্ন্যাসী ইত্যাদিরাও সকলেই আসবে। একটাই যখন হাট তখন আর যাবে কোথায়। যারা অত্যন্ত দিকভ্রান্ত, তারাই পথ খুঁজে পাবে। আর মনে করবে এ হলো একটাই হাট। সকলের সদ্গতিদাতা হলেন একমাত্র বাবাই, তাই না! এমন নেশা যখন চড়ে তখন তা কোন বলার মতন কথা। বাবার তো এটাই চিন্তা, তাই না - আমি এসেছি পতিতদের পবিত্র করে শান্তিধাম-সুখধামের উত্তরাধিকার দিতে। তোমাদেরও এটাই কাজ। সকলের কল্যাণ করা। এ হলো পুরানো দুনিয়া। এর কত কত ? অল্পসময়ের মধ্যেই বুঝে যাবে, এই পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। একথা সকল আত্মাদের বুদ্ধিতে আসবে, নতুন দুনিয়া স্থাপিত হবে তবে তো পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে। ভবিষ্যতে আবার বলবে, অবশ্যই ভগবান এখানে রয়েছে। রচয়িতা পিতাকেই ভুলে গেছে। ত্রিমূর্তির মধ্যে শিবের চিত্রই উড়িয়ে (সরিয়ে) দিয়েছে, তাহলে তো তা কোনো কাজে এলো না। রচয়িতা তো তিনিই, তাই না! শিবের চিত্র এলে তা পরিস্কার হয়ে যায় - ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা। প্রজাপিতা ব্রহ্মা থাকলে, তাহলে তো অবশ্যই বি.কে.-ও থাকা উচিত। ব্রাহ্মণকুল সর্বাপেক্ষা উচ্চ। ব্রহ্মার সন্তান। ব্রাহ্মণদের রচনা কীভাবে করেন? একথাও কেউ জানে না। বাবা-ই এসে তোমাদের শূদ্র থেকে ব্রাহ্মণ বানান। এ অতি গভীর এবং তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। বাবা যখন সম্মুখে এসে বোঝান তখন বোঝে। যারা দেবতা ছিলেন তারাই শূদ্র হয়ে গেছে। এখন তাঁদেরকে কীভাবে খুঁজবে, তারজন্য যুক্তি বের করতে হবে। যেন তারা বুঝতে পারে যে, বি.কে.-দের এই কার্য মহান। কত পর্চা (পরিচয়-পত্র) ইত্যাদি বন্টন করা হয়। বাবা এরোপ্লেনের মাধ্যমেও পরচা ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয় বুঝিয়েছেন। কমপক্ষে সংবাদপত্রের মতন একটা কাগজ হোক, এর মধ্যে মুখ্য পয়েন্টস্ সিঁড়ি ইত্যাদিরও আসতে পারে। মুখ্য হলো ইংরেজী আর হিন্দী ভাষা। তাই সারাদিন বাচ্চাদের খেয়াল রাখা উচিত - সেবার কার্যকে কিভাবে বৃদ্ধি করবো? এও জানে যে, ড্রামানুসারে পুরুষার্থ হতেই থাকে। বোঝা যায় যে, এ ভালো সেবা করে, এর পদও উচ্চ হবে। প্রত্যেক অভিনেতার নিজ-নিজ ভূমিকা রয়েছে, এই লাইনটিও অবশ্যই লিখতে হবে। বাবাও এই ড্রামানুসারে নিরাকারী দুনিয়া থেকে এসে সাকারী শরীরের আধার নিয়ে নিজের পার্ট প্লে করেন। এখন তোমাদের বুদ্ধিতেও রয়েছে যে, কে-কে কতটা পার্ট প্লে করে? তাই এই লাইনটিও হলো মুখ্য । প্রমাণের মাধ্যমে বোঝাতে হবে যে, এই সৃষ্টিচক্র-কে জানলে মানুষ স্বদর্শন-চক্রধারী হয়ে চক্রবর্তী রাজা, বিশ্বের মালিক হয়ে যেতে পারে। তোমাদের কাছে তো সমগ্র নলেজ রয়েছে, তাই না। বাবার কাছে তো গীতার জ্ঞান রয়েছেই, যার মাধ্যমে মানুষ নর থেকে নারায়ণ হয়ে যায়। সম্পূর্ণ জ্ঞান বুদ্ধিতে এসে গেলে তখন আবার সম্পূর্ণ রাজত্বও চাই। তাই বাচ্চাদের এমন-এমন (কথা) চিন্তা করে বাবার সেবায় নিমগ্ন হয়ে যাওয়া উচিত।

জয়পুরেও এই আধ্যাত্মিক মিউজিয়াম সর্বদা থাকবে। লেখা রয়েছে - একে (এই জ্ঞানকে) বুঝলে মানুষ বিশ্বের মালিক হয়ে যেতে পারে। যা দেখবে তা পরস্পরকে শোনাতে থাকবে। বাচ্চাদের সদা সেবায় তৎপর থাকতে হবে। মাম্মাও সেবায় রত, ওনাকেও (সেবায়) নিযুক্ত করা হয়েছিল। এ কথা কোনো শাস্ত্রতে নেই যে, সরস্বতী কে? প্রজাপিতা ব্রহ্মার কি একটিই কন্যা থাকবে? অসংখ্য কন্যা, অসংখ্য নামের হবে, তাই না! তিনিও তো অ্যাডপ্টেড (দত্তক) ছিলেন। যেমন তোমরা। একজন প্রধান চলে গেলে তখন পুনরায় অপর কাউকে করা হয়। প্রাইম মিনিস্টারও অপর কাউকে করে নেওয়া হয়। যখন সক্ষম অর্থাৎ দক্ষ মনে করে, তখন তাদের পছন্দ করে পুনরায় সময় যখন উত্তীর্ণ হয়ে যায়, তখন অন্য কাউকে নির্বাচন করতে হয়। বাবা বাচ্চাদেরকে প্রথম ম্যানার্স (ভদ্র আচরণ) এটাই শেখান যে, তোমরা কারো সম্মান কিভাবে রাখবে! যারা অশিক্ষিত হয়, তারা সম্মান করতেও জানে না। যারা অত্যন্ত তীক্ষ্ণবুদ্ধিসম্পন্ন অর্থাৎ হুশিয়ার, সকলকেই তাদের সম্মান করতেই হবে। গুরুজনেদের সম্মান করলে সেও শিখে যাবে। অশিক্ষিতরা তো বুদ্ধু হয়। বাবাও এসে অশিক্ষিতদের উন্নত করেন। আজকাল মহিলাদের অগ্রভাগে রাখা হয়। বাচ্চারা তোমরা জানো যে আমরা অর্থাৎ তাদের বাগদান পরমাত্মার সঙ্গে হয়ে যায় তোমরা অত্যন্ত প্রফুল্লিত হয়ে যাও। আমরা গিয়ে বিষ্ণুপুরের মালিক হব কন্যাকে না দেখেও বুদ্ধি যোগ্যতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায় তাই না। আত্মা এও জানে যে - আত্মা এবং পরমাত্মার এই বাগদান-পর্ব বিস্ময়কর। অদ্বিতীয় পিতাকে স্মরণ করতে হবে। ওরা তো গুরুকে স্মরণ করে, অমুক মন্ত্র স্মরণ করে। এখানে তো বাবা-ই সবকিছু। এনার মাধ্যমে এসে বাগদান করান। তিনি বলেন, আমি তোমাদের পিতাও, আমার কাছ থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। কন্যার বাগদান-পর্ব হয়ে গেলে তখন আর ভুলে যায় না। তোমরা কেন ভুলে যাও? কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করতে সময় লাগে। কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করেও কেউ ফিরে যেতে তো পারবে না। প্রথমে যখন বর যাবে, তারপরে বরযাত্রী যাবে। শঙ্করের কথা নয়, এ হলো শিবের বরযাত্রী। প্রেমী এক, আর সকলেই হলো প্রেমিকা। এই হলো শিববাবার বরযাত্রী। কিন্তু নাম রেখে দিয়েছে বাচ্চার। দৃষ্টান্ত দিয়ে বোঝানো হয়। বাবা এসে ফুলে পরিনত করে সকলকে নিয়ে যান। যে বাচ্চারা কাম-চিতায় বসে অপবিত্র হয়ে গেছে, তাদের জ্ঞান-চিতায় বসিয়ে ফুল বানিয়ে সকলকে নিয়ে যান। এ হলো পুরানো দুনিয়া, তাই না। প্রতি কল্পে বাবা আসেন। আমরা যারা অপবিত্র (ছিঃছিঃ), তিনি এসে তাদের ফুলে পরিণত করে নিয়ে যান। রাবণ অপবিত্র করে আর শিববাবা ফুলে পরিণত করেন। বাবা অনেক যুক্তি-সহকারে বোঝাতে থাকেন। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) খাবার দাবারের ছিঃ ছিঃ ইচ্ছা গুলোকে পরিত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হয়ে সেবা করতে হবে। স্মরণের মাধ্যমে শক্তি নিয়ে নির্ভয় এবং অবিচল (অটল) অবস্থা তৈরী করতে হবে।

২ ) যারা পড়ায় তীক্ষ্ণ, হুশিয়ার হবে তাদের সম্মান দিতে হবে। যারা দিকভ্রান্ত হয়ে গেছে, তাদের পথ-প্রদর্শনের যুক্তি রচনা করতে (খুঁজতে) হবে। সকলের কল্যাণ করতে হবে।

বরদান:-
নিজের মহত্ত্ব এবং কর্তব্যকে জেনে সদা প্রজ্বলিত জ্যোতি (দীপ) ভব

বাচ্চারা তোমরা হলে জগতের জ্যোতি, তোমাদের পরিবর্তনের দ্বারাই বিশ্বের পরিবর্তন হবে - এইজন্য অতীতকে ফুলস্টপ করে নিজের মহত্ব এবং কর্তব্যকে জেনে সদা প্রজ্বলিত জ্যোতি হও। তোমরা সেকেন্ডে স্ব-পরিবর্তনের দ্বারা বিশ্ব পরিবর্তন করতে পারো। কেবল প্র্যাক্টিস করো, এখনই কর্মযোগী, এখনই কর্মাতীত স্টেজ। যেরকম তোমাদের রচনা কচ্ছপ সেকেন্ডে নিজের অঙ্গগুলি খোলোসের মধ্যে ঢুকিয়ে নেয়, এইরকম তোমরা মাস্টার রচয়িতা সমাহিত করার শক্তির আধারে সেকেন্ডে সর্ব সংকল্পগুলিকে সমাহিত করে এক সংকল্পে স্থিত হয়ে যাও।

স্লোগান:-
লভলীন স্থিতির অনুভব করার জন্য স্মৃতি-বিস্মৃতির যুদ্ধ সমাপ্ত করো।

মাতেশ্বরীজির অমূল্য মহাবাক্য :-

“আধাকল্প জ্ঞান ব্রহ্মার দিন, আর আধাকল্প ভক্তি ব্রহ্মার রাত”

আধাকল্প হল ব্রহ্মার দিন, আধাকল্প হলো ব্রহ্মার রাত, এখন রাত পূর্ণ হয়ে সকাল আসবে। এখন পরমাত্মা এসে অন্ধকারের অন্ত করে প্রকাশের সূচনা করছেন। জ্ঞান থেকে আসে প্রকাশ, ভক্তি থেকে আসে অন্ধকার। গান করার সময়ও বলে যে এই পাপের দুনিয়া থেকে দূরে কোথাও নিয়ে চলো, যেখানে সুখ-শান্তি পাবো... এটা হলো অশান্তির দুনিয়া, যেখানে শান্তি নেই। মুক্তিতে না আছে শান্তি, না আছে অশান্তি। সত্যযুগ ত্রেতা হল শান্তির দুনিয়া, যে সুখধামকে সবাই স্মরণ করে। তো এখন তোমরা শান্তির দুনিয়ায় যাচ্ছো, সেখানে কোনও অপবিত্র আত্মা যেতে পারবে না। তারা অন্তিম সময়ে ধর্মরাজের কাছে শাস্তি ভোগ করে কর্মবন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে শুদ্ধ সংস্কার নিয়ে যাবে, কেননা সেখানে না অশুদ্ধ সংস্কার হবে আর না পাপ হবে। আত্মা নিজের আসল বাবাকে ভুলে যায়, তাই এই ভুলভুলাইয়ার হার-জিতের অনাদি খেলা তৈরী হয়ে আছে, এইজন্য নিজে এই সর্বশক্তিমান পরমাত্মার দ্বারা শক্তি নিয়ে বিকারের উপর বিজয় প্রাপ্ত করে ২১ জন্মের জন্য রাজ্য ভাগ্য গ্রহণ করছে। আচ্ছা - ওম্ শান্তি।

অব্যক্ত ঈশারা :- “কম্বাইন্ড রূপের স্মৃতির দ্বারা সদা বিজয়ী হও”

আমি আত্মার করাবনহার হলেন তিনি সুপ্রীম আত্মা। করাবনহারের আধারে আমি নিমিত্ত হয়ে করি। আমি হলাম করণহার, তিনি হলেন করাবনহার। তিনি চালাচ্ছেন আমি চলছি। প্রত্যেক ডায়রেক্শনে আমি আত্মার জন্য সংকল্প, বাণী আর কর্মে সদা হুজুর হাজির থাকি। এইজন্য হুজুরের সামনে সদা আমি আত্মাও হাজির থাকি। সদা এই কম্বাইন্ড রূপে থাকো।