19.09.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের কাজ হলো নিজের সাথে নিজে কথা বলে পবিত্র হওয়া, অন্য আত্মাদের বিষয়ে চিন্তা করে নিজের টাইম ওয়েস্ট ক'রো না"

প্রশ্নঃ -
কোন্ কথাটি বুদ্ধিতে এসে গেলে সমস্ত পুরানো অভ্যাস চলে যাবে?

উত্তরঃ  
আমরা হলাম অসীম জগতের পিতার সন্তান, সেই অর্থে দাঁড়ায় বিশ্বের মালিক, আমাদের দেবতা হতে হবে - এই কথা বুদ্ধিতে এসে গেলে তো পুরানো সব অভ্যাস চলে যাবে, তোমরা বলো বা নাই বলো, আপনা থেকেই ছেড়ে যাবে। উল্টো-পাল্টা খাদ্য-পানীয়, মদ্য ইত্যাদি নিজে থেকেই ছেড়ে দেবে। বলবে বাঃ! আমাকে তো এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হতে হবে। ২১ জন্মের রাজ্য-ভাগ্য প্রাপ্ত হবে, তাহলে পবিত্র থাকবো না কেন !

ওম্ শান্তি ।
বাবা বারংবার বাচ্চাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন যে বাবার স্মরণে বসেছো? বুদ্ধি আর কোনো দিকে যাচ্ছে না তো? বাবাকে ডাকেই এই জন্য যে বাবা এসে আমাদের পবিত্র করো। পবিত্র তো অবশ্যই হতে হবে আর নলেজ তো তোমরা যে কাউকেই বোঝাতে পারো। এই সৃষ্টি চক্র কি ভাবে আবর্তিত হয়, যে কাউকেই বোঝাও না কেন অতি দ্রুত বুঝতে পেরে যাবে। যদি পবিত্র নাও হয় তবুও নলেজ তো পড়ে নেবেই। কোনো বড় ব্যাপার নয়। ৮৪ জন্মের চক্র আর প্রতিটি যুগের এতো আয়ু, এতো জন্ম হয়ে থাকে। কতো সহজ। এর কানেক্শন স্মরণের দ্বারা হবে না, এটা তো হলো পড়াশুনা। বাবা তো যথার্থ কথা বোঝান। এছাড়াও আছে সতোপ্রধান হওয়ার ব্যাপার। সেটা হবে স্মরণের দ্বারা। যদি স্মরণ না করো তো খুবই ছোটো পদ প্রাপ্ত করবে। এতো উঁচু পদ প্রাপ্ত করতে পারবে না, সেইজন্য বলা হয়ে থাকে - অ্যাটেনশন। বুদ্ধির যোগ বাবার সাথে হবে। একেই প্রাচীন যোগ বলা হয়ে থাকে। টিচারের সাথে তো যোগ প্রত্যেকেরই থাকে। মুখ্য ব্যাপার হলো স্মরণের। স্মরণের যাত্রার দ্বারাই সতোপ্রধান হতে হবে আর সতোপ্রধান হয়ে গৃহে (অর্থাৎ পরমধামে) ফিরে যেতে হবে। তাছাড়া পড়াশুনা তো একদমই সহজ। ছোট বাচ্চাও বুঝতে পারবে। মায়ার যুদ্ধ এই স্মরণেই চলে। তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে থাকো আর তখন মায়া তার নিজের দিকে আকৃষ্ট করে ভুলিয়ে দেয়। এরকম বলবে না যে আমার মধ্যে শিববাবা বসে আছেন, আমি হলাম শিব। না, আমি হলাম আত্মা, শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে। এরকম নয় আমার ভিতরে শিববাবা প্রবেশ করে রয়েছেন। এরকম হতে পারে না। বাবা বলেন আমি কারোর মধ্যে যাই না। আমি এই রথের উপর চড়েই তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বুঝিয়ে থাকি। হ্যাঁ, কোনো ডাল বুদ্ধির বাচ্চা থাকলে আর কোনো ভালো জিজ্ঞাসু এসে গেলে তার সার্ভিসের জন্য প্রবেশ করে দৃষ্টি দিতে পারি। সম্পূর্ণ ভাবে বসতে পারি না। অনেক রূপ ধারণ করে যে কোনো কারোরই কল্যাণ করতে পারা যায়। তাছাড়া এইরকম কেউ বলতে পারে না যে আমার মধ্যে শিববাবার প্রবেশ হয়েছে, আমাকে শিববাবা এটা বলছে। না, শিববাবা তো বাচ্চাদেরকেই বোঝান। মুখ্য ব্যাপার হলোই পবিত্র হওয়ার, যাতে আবার পবিত্র দুনিয়াতে যাওয়া যেতে পারে। ৮৪ জন্মের চক্র তো খুবই সহজে বোঝান হয়। চিত্র সামনে লাগিয়ে রাখা থাকে। বাবা ব্যাতীত এই জ্ঞান তো কেউ দিতে পারে না। আত্মারই নলেজ প্রাপ্ত হয়। তাকেই জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র বলা হয়। আত্মারই সুখ-দুঃখ হয়, শরীর তো তারই যে না। আত্মাই দেবতা হয়। কেউ ব্যারিস্টার, কেউ ব্যাপারী- আত্মাই হয়। তো এখন আত্মাদের সাথে বাবা বসে কথা বলেন, নিজের পরিচয় দেন। তোমরা যখন দেবতা ছিলে, তো মানুষই ছিলে, কিন্তু পবিত্র আত্মা ছিলে। এখন তোমরা পবিত্র নেই সেইজন্য তোমাদের দেবতা বলা যায় না। এখন দেবতা হওয়ার জন্য অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। তার জন্য বাবাকে স্মরণ করতে হবে। প্রায়ই বলে থাকে যে - বাবা, আমার দ্বারা এই ভুল হয়েছে যে আমি দেহ-অভিমানে এসে গেছি। বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝাচ্ছেন পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। কোনো বিকর্ম করো না। তোমাদের সর্বগুণ সম্পন্ন এখানে হতে হবে। পবিত্র হওয়ার ফলে মুক্তিধামে চলে যাবে। আর কোনো প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার ব্যাপারই নেই। তোমরা নিজেদের সাথে কথা বলো, দ্বিতীয় কোনো আত্মার চিন্তা করো না। বলা হয় লড়াইতে দুই কোটি মরেছে। এতো আত্মা কোথায় গেল? আরে, তারা যেখানেই যাক, তাতে তোমাদের কি গেল। তোমরা কেন টাইম ওয়েস্ট করছো? আর কোনো কথা জিজ্ঞাসা করার দরকার নেই। তোমাদের কাজ হলো পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হওয়া। আর কোনো ব্যাপারে গেলে বিভ্রান্ত হয়ে যাবে। কারোর সম্পূর্ণ উত্তর না পাওয়ার ফলে বিমর্ষ হয়ে পড়ে।

বাবা বলেন মন্মনাভব। দেহ সহ দেহের সকল সম্বন্ধ ছাড়ো, আমার কাছেই তোমাদের আসতে হবে। মানুষ মারা গেলে পরে যখন শ্মশানে নিয়ে যায় সেই সময় মুখ এই দিকে আর পা-দুইটি শ্মশানের দিকে রাখে, আবার যখন শ্মশানের কাছে পৌঁছায় তো পা-দুইটি এই দিকে আর মুখ শ্মশানের দিকে করে দেয়। তোমাদেরও গৃহ যে উপরে। উপরে কোনো পতিত যেতে পারে না। পবিত্র হওয়ার জন্য বুদ্ধির যোগ বাবার সাথে যুক্ত করতে হবে। বাবার কাছে মুক্তিধামে যেতে হবে। পতিত বলেই তো ডাকে যে আমাদের পতিতদের এসে পবিত্র করে তোলো, লিবরেট (মুক্ত) করো। তো বাবা বলেন এখন পবিত্র হও। বাবা যেই ভাষায় বোঝান, তাতেই কল্প-কল্প বোঝাবেন। এনার যে ভাষা হবে, তাতেই তো বোঝাবেন তাই না। আজকাল হিন্দি বেশী চলে, এইরকম নয় যে ভাষা পরিবর্তন করে নিতে পারে। না, সংস্কৃত ভাষা ইত্যাদি দেবতাদের ভাষা নয়। সংস্কৃত হিন্দু ধর্মের নয়। হিন্দি-ই হওয়া চাই। তবে সংস্কৃতের প্রসঙ্গ আসে কেন? তো বাবা বোঝান এখানে যখন বসছো তো বাবার স্মরণেই বসতে হবে, আর কোনো ব্যাপারে তোমরা যাবেই না। এতো মশা যে বের হয়, যায় কোথায়? আর্থকোয়েকে (ভূ-কম্পে) অনেকে হঠাৎ মারা যায়, আত্মারা কোথায় যায়? এতে তোমাদের কি আসে যায়। বাবা তোমাদের শ্রীমৎ দিয়েছেন যে নিজের উন্নতির জন্য পুরুষার্থ করো। অপরের চিন্তায় থেকো না। এরকম তো অনেক কিছুর চিন্তা এসে যাবে। ব্যস্, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, যে কারণে ডেকেছো সেই যুক্তিতে চলো। তোমাদের বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে, অন্য ব্যাপারে যেতে নেই, সেই জন্য বাবা ক্ষণে ক্ষণে বলেন অ্যাটেনশন ! বুদ্ধি কোথাও যাচ্ছে না তো। ভগবানের শ্রীমত তো মানা দরকার, তাই না ! অন্য কোনো কথায় লাভ নেই। মুখ্য ব্যাপার হলো পবিত্র হওয়ার। এটা সুনিশ্চিত ভাবে স্মরণে রাখো - আমাদের বাবা, বাবাও হন, টিচারও হন, প্রিসেপ্টারও (গুরু) হন। এটা অবশ্যই হৃদয়ঙ্গম হওয়া দরকার - বাবা, বাবাও বটে, তিনি আমাদের পড়ান, যোগ শেখান। টিচার পড়ালে বুদ্ধি টিচারের সাথে আর পড়ার প্রতিও যুক্ত থাকে। এটা বাবাও বলেন তোমরা তো বাবার হয়েই গেছো। বাচ্চা তো হওই, তাই তো এখানে বসে আছো। টিচারের কাছে অধ্যয়ন করছো। যেখানেই থাকো বাবার তো হলেই, তবুও পঠন-পাঠনে অ্যাটেনশন দিতে হবে। শিববাবাকে স্মরণ করবে তো বিকর্ম বিনাশ হবে আর তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে। এই নলেজ আর কেউ দিতে পারে না। মানুষ যে রয়েছে ঘোর অন্ধকারে। জ্ঞানে দেখো - কতো শক্তি। শক্তি কোথা থেকে প্রাপ্ত হয়? বাবার থেকে শক্তি প্রাপ্ত হয়, যার দ্বারা তোমরা পবিত্র হও। আবার এই পড়াশোনাও হলো সিম্পল। লৌকিক পড়াশোনায় তো অনেক মাস লাগে। এটা তো হলো ৭ দিনের কোর্স। এর মাধ্যমে তোমারা সব কিছু বুঝে যাবে, আবার তাতে বুদ্ধির উপর সব নির্ভর করে। কারোর বেশী টাইম লাগে, কারোর কম। কেউ তো ২-৩ দিনেই ভালো ভাবে বুঝে যায়। প্রধান ব্যাপার হলো বাবাকে স্মরণ করা, পবিত্র হওয়া। সেটাই কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। এছাড়া পড়াশুনা তো খুবই সিম্পল। স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে। ৭ দিনের কোর্সেও সব কিছু বুঝেতে পারো। আমরা হলাম আত্মা, অসীম জগতের পিতার সন্তান আমরা, তাই অবশ্যই আমরা বিশ্বের মালিক প্রতিপন্ন হলাম। এটা বুদ্ধিতে আসে কি না। দেবতা হতে চাও তো দৈবী গুণও ধারণ করতে হবে। যার বুদ্ধিতে এসে গেছে সে সব অভ্যাস ছেড়ে দেবে। তোমরা বলো বা নাই বলো, নিজে থেকেই ছেড়ে দেবে। উল্টো-পাল্টা, খাদ্য-পানীয়, মদ্য ইত্যাদি নিজে থেকেই ছেড়ে দেবে। বলে - বাঃ ! আমাদের এইরকম হতে হবে, ২১ জন্মের জন্য রাজ্য প্রাপ্ত হবে, তবে আমরা পবিত্র থাকি না কেন। আঁকড়ে থাকা চাই। মুখ্য ব্যাপার হলো স্মরণের যাত্রা। এছাড়া ৮৪ জন্মের চক্রের নলেজ তো এক সেকেন্ডে প্রাপ্ত হয়ে যায়। দেখা মাত্রই বুঝে যায়। নতুন বৃক্ষ অবশ্যই ছোটো হবে। এখন তো কতো বড়-বড় বৃক্ষ তমোপ্রধান হয়ে গেছে। কাল আবার নূতন ছোটো হয়ে যাবে। তোমরা জানো যে, এই জ্ঞান কখনোই যে কোনো জায়গা থেকে প্রাপ্ত হয় না। এ হলো পড়াশোনা। প্রথম ও প্রধান শিক্ষাও প্রাপ্ত হয় বাবাকে স্মরণ করে। ভগবানুবাচ-ই - আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছি। আর কোনো মানুষ এইরকম বলতে পারবে না। টিচার পড়ালে তো অবশ্যই তো টিচারকে স্মরণ করবে। অসীম জগতের পিতাও তিনি। বাবা আমাদের স্বর্গের মালিক করেন। কিন্তু আত্মা কীভাবে পবিত্র হবে - এটা কেউই বলতে পারে না। যদি নিজেকে ভগবান বলে বা আর যা কিছুই বলুক, কিন্তু পবিত্র করতে পারবে না। আজকাল তো অনেক ভগবান হয়ে গেছে। মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। বলে অনেক ধর্ম বের হচ্ছে, কি জানি কোনটা রাইট। যদি তোমাদের প্রদর্শনী বা মিউজিয়াম ইত্যাদির উদ্বোধন করে কিন্তু কিছু বোঝেই না। বাস্তবে তো উদ্বোধন হয়েই গেছে। প্রথমে ফাউন্ডেশন হয়, তারপর যখন গৃহ নির্মাণ করে, তখন উদ্বোধন হয়। ফাউন্ডেশন রাখার জন্যও ডাকা হয়। তো এটাও বাবা স্থাপনা করে দিয়েছেন, এছাড়া নূতন দুনিয়ার স্থাপনা তো হয়েই যায়, ওতে কারোর উদ্বোধন করার দরকার হয় না। উদ্বোধন তো স্বাভাবিক ভাবেই হয়ে যাবে। এখানে পড়াশুনা করে আমরা আবার নূতন দুনিয়াতে চলে যাবো। তোমরা মনে করো এখন আমরা স্থাপনা করছি, যার জন্যই পরিশ্রম করতে হবে। বিনাশ হলে তো আবার এই দুনিয়াই পরিবর্তন হয়ে যাবে।তোমরা আবার নূতন দুনিয়াতে রাজ্যত্ব করতে আসবে। সত্যযুগের স্থাপনা বাবা করেন আবার তোমরা এলে তো স্বর্গের রাজধানী প্রাপ্ত হবে। তাহলে ওপেনিং সেরিমনি কে করবে? বাবা তো স্বর্গে আসেন না। জ্ঞানে অগ্রগতির সাথে-সাথে বুঝতে পারবে স্বর্গে কি হয়। পরে কি হয়! অগ্রগতি হলে বোঝা যায়। বাচ্চারা, তোমরা তো জানো পবিত্রতা ব্যাতীত উইথ অনার তো আমরা স্বর্গে যেতে পারবো না। উচ্চ পদও প্রাপ্ত করতে পারব না। সেইজন্য বাবা বলেন, বেশী করে পুরুষার্থ করো। ব্যবসা ইত্যাদি করো, কিন্তু অতিরিক্ত পয়সা দিয়ে কি করবে! খেতে তো পারবে না। তোমাদের পুত্র-পৌত্র ইত্যাদিও খাবে না। সমস্ত মাটিতে মিশে যাবে। সেইজন্য যুক্তির সাথে চলতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে জমাও, (অধিক নয়) । এছাড়া সব ওখানে ট্র্যান্সফার করে দাও। সবাই তো ট্র্যান্সফার করতে পারে না। গরীব তাড়াতাড়ি করে ট্র্যান্সফার করে দেয়। ভক্তি মার্গেও ট্র্যান্সফার করে দেয় দ্বিতীয় জন্মের জন্য। কিন্তু সেটা হলো ইনডাইরেক্ট। এটা হলো ডায়রেক্ট। পতিত মানুষের তো পতিতের সাথেই লেন-দেন। এখন তো বাবা এসেছেন, তোমাদের তো পতিতের সাথে লেন-দেন নেই। তোমরা হলে ব্রাহ্মণ, তোমাদের ব্রাহ্মণদেরই সাহায্য করতে হবে। যে নিজে সার্ভিস করে, তার তো সাহায্যের দরকার নেই। এখানে গরীব, বিত্তশালী ইত্যাদি সবাই আসে। এছাড়া কোটিপতির তো আসা মুশকিল। বাবা বলেন আমি হলাম দীনদয়াল। ভারত খুবই গরীব ভূ-খন্ড। বাবা বলেন আমি আসিও ভারতেই, সবচেয়ে বড় তীর্থ হলো আবু, যেখানে বাবা এসে সমগ্র বিশ্বের সদ্গতি করেন। এটা হলো নরক। তোমরা জানো নরক থেকে স্বর্গ আবারও কীভাবে হয়। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে সমস্ত নলেজ আছে। বাবা এমন ভাবে যুক্তি দিয়ে বলেন যে সবার কল্যাণ করেন। সত্যযুগে কোনো অকল্যাণের ব্যাপার, কান্না, মারধোর ইত্যাদি কিছুই হয় না। বাবার মহিমা হলো- তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর। এখন তোমাদেরও হলো এই মহিমা, যা কিনা হলো বাবার। তোমরাও আনন্দের সাগর হয়ে ওঠো, অনেককে সুখ দাও আবার যখন তোমাদের আত্মা সংস্কার নিয়ে নূতন দুনিয়াতে যাবে তো সেখানে আবার তোমাদের মহিমা পরিবর্তিত হয়ে যাবে। তখন তোমাদের বলা হবে সর্বগুণ সম্পন্ন, সম্পূর্ণ নির্বিকারী..... এখন তোমরা নরকে বসে আছো, একে বলা হয় কাঁটার জঙ্গল। বাবাকেই বাগানের মালিক, পাটনী বলা হয়। গায়ও, আমাদের নৌকা পার করো। কারণ দুঃখ থাকলে আত্মা ডাকতে থাকে। মহিমা যদিও গায়, কিন্তু কিছুই বোঝে না। যা মনে এল সেটাই বলে দেয়। উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ ভগবানের নিন্দা করতে থাকে। তোমরা বলবে আমি তো আস্তিক। সকলের সদ্গতি দাতা হলেন যে বাবা, ওঁনাকে আমরা জেনে গেছি। বাবা স্বয়ং নিজের পরিচয় দিয়েছেন। তোমরা ভক্তি করো না বলে কতো বিরক্ত করে। তারা হলো মেজরিটি (সংখ্যায় বেশি), তোমাদের হলো মাইনরিটি (অল্প সংখ্যক)। যখন তোমাদের মেজরিটি হয়ে যাবে, তখন তারাও আকৃষ্ট হবে। বুদ্ধির তালা খুলে যাবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) নিজের উন্নতিরই চিন্তা করতে হবে। অন্য কোনো কথায় যেতে নেই। পড়াশোনা আর স্মরণের উপরে সম্পূর্ণ অ্যাটেনশন দিতে হবে। বুদ্ধিকে অস্থির করবে না।

২ ) এখন বাবা ডায়রেক্ট এসেছেন, সেইজন্য নিজের সব কিছু যুক্তির সাথে ট্র্যান্সফার করে দিতে হবে। পতিত আত্মাদের সাথে লেনদেন করতে নেই। উইথ অনার স্বর্গে যাওয়ার জন্য অবশ্যই পবিত্র হতে হবে।

বরদান:-
মন আর বুদ্ধিকে ব্যর্থ থেকে মুক্ত রেখে ব্রাহ্মণ সংস্কার নির্মাণকারী রুলার ভব

যেকোনও ছোটো ব্যর্থ কথা, ব্যর্থ বাতাবরণ বা ব্যর্থ দৃশ্যের প্রভাব প্রথমে মনের উপর পড়ে তারপর বুদ্ধি তাকে সহযোগ দেয়। মন আর বুদ্ধি যদি সেই প্রকার চলতে থাকে তাহলে সংস্কার তৈরী হয়ে যায়। আবার ভিন্ন-ভিন্ন সংস্কার দেখা যায়, যেটা ব্রাহ্মণ সংস্কার নয়। কোনও ব্যর্থ সংস্কারের বশীভূত হওয়া, নিজের সাথেই যুদ্ধ করা, বারে-বারে খুশী হারিয়ে যাওয়া - এটা হল ক্ষত্রিয়ভাবের সংস্কার। ব্রাহ্মণ অর্থাৎ রুলার, ব্যর্থ সংস্কার থেকে মুক্ত থাকবে, পরবশ নয়।

স্লোগান:-
মাস্টার সর্বশক্তিমান হলো সে, যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞার দ্বারা সকল সমস্যাকে সহজেই অতিক্রম করতে পারে।