19.10.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
সদা খুশীতে থাকো, তাহলে স্মরণের যাত্রা সহজ হয়ে যাবে, স্মরণের দ্বারাই ২১ জন্মের
জন্য পুণ্য আত্মা হয়ে যাবে"
প্রশ্নঃ -
তোমাদের সবচেয়ে
ভালো সার্ভেন্ট (গোলাম) কে ?
উত্তরঃ
ন্যাচারাল
ক্যালামিটিজ বা সায়েন্সের ইনভেনশন, যার দ্বারা সমগ্র বিশ্বের আবর্জনা পরিষ্কার হয়ে
যায়। এ হলো তোমাদের সবচেয়ে ভালো সার্ভেন্ট বা গোলাম, যা সাফাই-এর কার্যে সাহায্য করে।
সমগ্র প্রকৃতি তখন তোমাদের অধিকারে থাকে।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি
আত্মা-রূপী বাচ্চারা কী করছে? যুদ্ধক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে রয়েছে। দাঁড়িয়ে তো নেই, তোমরা
তো বসে রয়েছো, তাই না। তোমাদের সৈন্যদল কত ভালো। এদের বলা হয় আধ্যাত্মিক পিতার
আধ্যাত্মিক সেনা। আধ্যাত্মিক পিতার সাথে যোগ-যুক্ত হয়ে রাবণের উপরে বিজয়লাভ করার
জন্য তিনি কত সহজ পুরুষার্থ করান। তোমাদের বলা হয় গুপ্ত-যোদ্ধা, গুপ্ত-মহাবীর। পাঁচ
বিকারের উপরে তোমরা বিজয়লাভ করো, এরমধ্যেও প্রথম হলো দেহ-অভিমান। বাবা বিশ্বের উপর
বিজয়প্রাপ্ত করার জন্য বা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য কত সহজ যুক্তি বলে দেন।
বাচ্চারা, তোমরা ব্যতীত একথা আর কেউই জানেনা। তোমরাই বিশ্বে শান্তির রাজ্য স্থাপন
করছো। ওখানে অশান্তি, দুঃখ, রোগের কোনো নাম-গন্ধই নেই। এই পড়াশোনা তোমাদেরকে নতুন
দুনিয়ার মালিক করে দেয়। বাবা বলেন - মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা, কাম-বিকারের উপরে
বিজয়প্রাপ্ত করলে ২১ জন্মের জন্য তোমরা জগৎ-জীত হয়ে যাবে। এ তো অত্যন্ত সহজ ব্যাপার।
তোমরা হলে শিববাবার আধ্যাত্মিক সেনা। রামের কথাও নয়, আর কৃষ্ণের কথাও নয়। রাম বলা
হয় পরমপিতা পরমাত্মাকে। এছাড়া রামের ওই যে সৈন্যদল ইত্যাদি দেখানো হয়, ওসবই হলো
ভ্রান্ত কথা। গাওয়াও হয়, জ্ঞান-সূর্য উদিত (প্রকট) হয়েছে, অজ্ঞান অন্ধকার বিনাশ।
কলিযুগ হলো ঘন অন্ধকারাচ্ছন্ন। এখানে কত লড়াই-ঝগড়া, মারামারি হয়। সত্যযুগে এসব হয়
না। দেখো, তোমরা নিজেদের রাজ্য কীভাবে স্থাপন করো। এখানে কোনো হাত-পা চালানো অর্থাৎ
মারামারি হয় না, এখানে দেহ-অভিমানকে পরিত্যাগ করতে হয়। ঘর পরিবারে থাকলেও প্রথমে
একথা স্মরণ করো যে -- আমরা হলাম আত্মা, শরীর নই। তোমরা আত্মারাই ৮৪ জন্ম ভোগ করো।
এখন এটাই তোমাদের অন্তিম জন্ম। পুরানো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। একে বলা হয় লীপ যুগ,
পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ। চুলের শিখা (টিকি) তো ছোটই হয়, তাই না। ব্রাহ্মণদের কেশশিখা
বিখ্যাত। বাবা কত সহজ করে বোঝান। রাজত্ব প্রাপ্ত করার জন্য তোমরা প্রতি ৫ হাজার বছর
পর এসে বাবার কাছে এই পাঠ পড়ো। এইম অবজেক্টও সম্মুখে রয়েছে - শিববাবার কাছে আমাদের
এমনই তৈরী হতে হবে। হ্যাঁ বাচ্চারা! কেন নয়। শুধু দেহ-অভিমান পরিত্যাগ করে নিজেকে
আত্মা নিশ্চয় করে আমাকে অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো তবেই পাপ খন্ডিত হয়ে যাবে। তোমরা
জানো যে, এই জন্মে পবিত্র হয়েই আমরা ২১ জন্মের জন্য পুণ্য আত্মা হয়ে যাই, পুনরায়
অধঃপতন শুরু হয়। একথাও জানো যে, আমরাই ৮৪ চক্রের পরিক্রমা করি। সমগ্র দুনিয়া তো আসবে
না। ৮৪ চক্রের পরিক্রমণকারীরা বা এই ধর্মাবলম্বীরাই আসবে। সত্য আর ত্রেতা বাবা-ই
স্থাপন করেন যা এখন তিনি করছেন পুনরায় দ্বাপর-কলিযুগ হলো রাবণের স্থাপনা। রাবণের
চিত্রও তো রয়েছে, তাই না। উপরে গর্দভের মস্তক। তারা বিকারের হাতের পুতুল হয়ে যায়।
তোমরা এখন জানোও যে, আমরা কী ছিলাম ! এ তো হলো পাপাত্মাদের দুনিয়া। পাপাত্মাদের
দুনিয়ায় কোটি-কোটি মানুষ। পুণ্যাত্মাদের দুনিয়া শুরু হয় ৯ লক্ষ থেকে। এখন তোমরা
সমগ্র বিশ্বের মালিক হও। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ বিশ্বের মালিক ছিলেন, তাই না। স্বর্গের
রাজত্বও (বাদশাহী) তো অবশ্যই বাবা-ই দেবেন। বাবা বলেন, আমি তোমাদের বিশ্বের
রাজ্য-ভাগ্য দিতে এসেছি। এখন পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। তাও আবার এই মৃত্যুলোকের
অন্তিম জন্মে পবিত্র হও । এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ সামনে প্রস্তুত। বোমা ইত্যাদি
এমন সব জিনিস তৈরী করছে যা ঘরে বসে সব শেষ করে দেবে। বলাও হয় যে, ঘরে বসে পুরানো
দুনিয়াকে বিনাশ করে দেবে। এইসমস্ত বোমা ইত্যাদি ঘরে বসে এমনভাবে নিক্ষেপ করবে যে
সমগ্র দুনিয়াই শেষ করে দেবে। বাচ্চারা, তোমরা ঘরে বসে যোগবলের দ্বারা বিশ্বের মালিক
হয়ে যাও। তোমরা যোগবলের দ্বারা শান্তি প্রতিষ্ঠা করছো। ওরা সায়েন্সের শক্তির দ্বারা
সমগ্র দুনিয়াকে সমাপ্ত করে দেবে। এরা হলো তোমাদের সার্ভেন্ট। পুরানো দুনিয়াকে বিনাশ
করে তোমাদের সেবা করছে। এইসমস্ত ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ ইত্যাদি হলো তোমাদের গোলাম।
সমগ্র প্রকৃতিই তোমাদের সেবক হয়ে যায়। তোমরা শুধু বাবার সঙ্গে যোগযুক্ত হতে থাকো।
তাই বাচ্চারা, তোমাদের অন্তরে অত্যন্ত খুশী থাকা উচিত। এমন বিলভেট বাবাকে তো কত
স্মরণ করা উচিত। এই ভারতই সম্পূর্ণ শিবালয় ছিল। সত্যযুগে সম্পূর্ণ নির্বিকারী ছিল,
এখন এখানে বিকারী। এখন তোমাদের স্মৃতি (স্মরণে) এসেছে - সর্বদা বাবা আমাদের বলেন,
হিয়ার নো ইভিল....... নোংরা কথা শুনো না। মুখেও বলো না। বাবা বোঝান যে, তোমরা কত
ডার্টি (নোংরা) হয়ে গেছো। তোমাদের কাছে অগাধ ধনসম্পদ ছিল। তোমরা স্বর্গের মালিক ছিলে।
এখন তোমরা স্বর্গের বদলে নরকের মালিক হয়ে গেছো। এই ড্রামাও পূর্ব-নির্ধারিত।
বাচ্চারা, প্রতি ৫ হাজার বছর পর আমি তোমাদেরকে এই রৌরব নরক থেকে বের করে স্বর্গে
নিয়ে যাই। আত্মা-রূপী বাচ্চারা তোমরা কী আমার কথা শুনবে না? পরমাত্মা বলেন, তোমরা
তো পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাও, তাহলে কেন তোমরা এমন হবে না?
বিনাশ তো অবশ্যই হবে।
এই যোগবলের দ্বারাই তোমাদের জন্ম-জন্মান্তরের পাপ খন্ডন হবে। এছাড়া
জন্ম-জন্মান্তরের পাপমোচন হতে সময় লাগে। যে বাচ্চারা শুরুতেই এসেছে, তাদের ১০
শতাংশও যোগ লাগে না তাই পাপখন্ডনও হয় না। নতুন-নতুন বাচ্চারা অতি শীঘ্র যোগী হয়ে
যায় তাই পাপখন্ডনও হয়ে যায় আর সার্ভিসও করতে শুরু করে দেয়। বাচ্চারা, তোমরা জানো
যে, এখন আমাদের ঘরে ফিরতে হবে। বাবা আসেন নিয়ে যেতে। পাপাত্মারা তো
শান্তিধাম-সুখধামে যেতে পারবে না। তারা তো থাকে দুঃখধামে, তাই এখন বাবা বলেন --
আমাকে স্মরণ করো তবেই তোমাদের পাপ ভস্মীভূত হয়ে যাবে। আরে বাচ্চারা! খুব সুন্দর ফুল
(গুল-গুল) হয়ে যাও। দৈবী-কুলে কলঙ্ক লাগিও না। বিকারী হওয়ার জন্য তোমরা কত দুঃখী হয়ে
গেছো। ড্রামার এই খেলাও পূর্ব-নির্ধারিত। পবিত্র না হলে তো পবিত্র দুনিয়া স্বর্গে
আসতে পারবে না। ভারত স্বর্গ ছিল, কৃষ্ণপুরীতে ছিলে, আর এখন হয়েছো নরকবাসী। বাচ্চারা,
তাই তোমাদের আনন্দের সাথে বিকারকে পরিত্যাগ করা উচিত। তৎক্ষণাৎ বিষ পান করাও ছাড়তে
হবে। বিষ পান করতে-করতে কী তোমরা বৈকুন্ঠে যাবে, না যাবে না। এখন এদের (লক্ষ্মী-নারায়ণ)
মতন হওয়ার জন্য তোমাদেরকে পবিত্র হতে হবে। তোমরা বোঝাতে পারো যে - এরা এই রাজত্ব
কীভাবে প্রাপ্ত করেছে? রাজযোগের দ্বারা। এ হলো পড়াশোনা, তাই না। যেমন, ব্যারিস্টারি
যোগ, সার্জেন যোগ হয় এও তেমনই। সার্জেনের সঙ্গে যোগ থাকলে সার্জেন হবে। এ হলো
ভগবানুবাচ। তিনি রথে (শরীরে) কীভাবে প্রবেশ করেন? তিনি বলেন, বাচ্চারা, অনেক জন্মের
অন্তিম জন্মে এনার মধ্যে বসে তোমাদেরকে জ্ঞান প্রদান করি। জানি যে, ইনি বিশ্বের
মালিক ছিলেন, পবিত্র ছিলেন। এখন অপবিত্র, কাঙ্গাল হয়ে গেছেন পুনরায় ইনি প্রথম
স্থানাধিকারী হবেন। বাচ্চারা, ওঁনার মধ্যে প্রবেশ করেই তোমাদের নলেজ দিই। অসীম
জগতের বাবা বলেন - বাচ্চারা, পবিত্র হও তবেই তোমরা সুখী হবে। সত্যযুগ হলো অমরলোক,
দ্বাপর-কলিযুগ হলো মৃত্যুলোক। কত ভালোভাবে বাচ্চাদের বোঝান। এখানে দেহী-অভিমানী হয়ে
পুনরায় দেহ-অভিমানে এসে মায়ার কাছে পরাস্ত হয়। মায়া একটাই এমন কামান(তোপ) দাগে যে
একদম নর্দমায় পড়ে যায়। বাবা বলেন, এ হলো নর্দমা। এ কোন সুখ কী? না সুখ নয়। তাহলে
ভাবো যে স্বর্গ কেমন, এই দেবী-দেবতাদের জীবনযাত্রা কেমন! এর নামই স্বর্গ। তোমাদের
স্বর্গের মালিক বানায় তথাপি বলে যে আমরা বিষপান করবো। তাহলে স্বর্গে আসতে পারবে না,
অনেক সাজাভোগ করবে। বাচ্চারা, তোমাদের হলো মায়ার সঙ্গে যুদ্ধ। দেহ-অভিমানে এসে
অত্যন্ত ছিঃ ছিঃ কার্য করে। মনে করে, আমাকে কী কেউ দেখছে, না দেখছে না। ক্রোধ-লোভ
গোপনীয় বা ব্যক্তিগত হয় না। কাম-বিকারে গোপনীয়তা থাকে। মুখ কালো করে দেয়। মুখ কালো
করতে-করতে তোমরা গৌরবর্ণের (সুন্দর) থেকে শ্যামবর্ণ হয়ে গেছো আর তখন সমগ্র দুনিয়াই
তোমাদের ফলো করেছে। এমন পতিত দুনিয়ার অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে। বাবা বলেন -- এক
জন্মের জন্যও তোমরা পবিত্র হতে পারো না, এতে কী তোমরা লজ্জিত হও না?
ভগবানুবাচ -- "কাম হলো
মহাশত্রু" । বাস্তবে তোমরা যখন স্বর্গবাসী ছিলে, তখন তোমরা এত ধনবান ছিলে যে সেকথা
আর জিজ্ঞাসা করো না ! বাচ্চারা বলে যে, বাবা আমাদের শহরে চলো। আমি কি কাঁটার জঙ্গলে
বাদরদের দেখতে যাবো? বাচ্চারা, ড্রামানুসারে তোমাদেরকে সার্ভিস করতেই হবে। গায়নও
রয়েছে, ফাদার শোজ্ সন । বাচ্চাদেরই গিয়ে সকলের কল্যাণ করতে হবে। বাবা বাচ্চাদের
বোঝান - এটা ভুলে যেওনা যে আমরা যুদ্ধ-ক্ষেত্রে রয়েছি। তোমাদের যুদ্ধ হলো ৫ বিকারের
সাথে । এই জ্ঞান-মার্গ হলো সম্পূর্ণ আলাদা। বাবা বলেন - আমি তোমাদের ২১ জন্মের জন্য
স্বর্গের মালিক বানিয়ে দিই, পুনরায় নরকবাসী তোমাদের কে বানায়? রাবণ। পার্থক্য তো
দেখতে পাচ্ছো, তাই না। জন্ম-জন্মান্তর তোমরা ভক্তিমার্গে গুরু করেছো, কিছুই পাও নি।
ওঁনাকে বলা হয় সদ্গুরু। শিখধর্মাবলম্বীরা তো বলে - সদ্গুরু অকালমূর্ত, তাই না।
ওঁনাকে কখনও কোন কাল (মৃত্যু) গ্রাস করতে পারে না। ওই সদ্গুরু তো কালেরও কাল (মহাকাল)।
বাবা বলেন - আমি তোমাদের, সব বাচ্চাদেরকে কালের কবল থেকে রক্ষা করতে এসেছি। সত্যযুগে
কাল পুনরায় আসেই না, তাকে অমরলোক বলা হয়। এখন তোমরা শ্রীমতানুসারে অমরলোক,
সত্যযুগের মালিক হচ্ছো। দেখো, তোমাদের লড়াই কেমন। সমগ্র দুনিয়া পরস্পরের সঙ্গে
লড়াই-ঝগড়া করতেই থাকে। আবার তোমাদের হলো ৫ বিকাররূপী রাবণের সঙ্গে যুদ্ধ। তার উপরে
তোমরা বিজয়প্রাপ্ত করো। এ হলো অন্তিম জন্ম।
বাবা বলেন, আমি হলাম
দীননাথ। এখানে গরীবরাই আসে। ধনীদের ভাগ্যেই নেই। ধনের নেশায় মশগুল হয়ে থাকে। এসব
শেষ হয়ে যাবে। এছাড়া সময় এখন অল্প। এ হলো ড্রামার প্ল্যান, তাই না। এত যে বোমা
ইত্যাদি বানানো হয়েছে, তা কার্যে অবশ্যই প্রয়োগ করা হবে। পূর্বে যুদ্ধ করা হতো
তীর-ধনুক দিয়ে, তলোয়ার দিয়ে, বন্দুক ইত্যাদির দ্বারা। এখন বোমা নামক এমন জিনিস তৈরী
হয়েছে যা ঘরে বসেই সব শেষ করে দেবে। এইসব জিনিস কি কেউ ঘরে রাখার জন্য তৈরী করেছে,
না করেনি। কতদিন পর্যন্ত রাখবে। বাবা এসেছেন তাই বিনাশও অবশ্যই হবে। ড্রামার চক্র
আবর্তিত হতেই থাকে। তোমাদের রাজ্য অবশ্যই স্থাপিত হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণ কখনো লড়াই করে
না। যদিও শাস্ত্রে দেখানো হয়েছে - অসুর আর দেবতাদের লড়াই হয়েছে কিন্তু ওরা
সত্যযুগের, আর অসুর হলো কলিযুগের। দু’পক্ষ কীভাবে মিলবে যে তাদের মধ্যে লড়াই হবে?
এখন তোমরা জানো যে - আমরা ৫ বিকারের সাথে যুদ্ধ করছি। এর উপরে বিজয়প্রাপ্ত করে
সম্পূর্ণ নির্বিকারী হয়ে নির্বিকারী দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। উঠতে-বসতে বাবাকে
স্মরণ করতে হবে, দৈবী-গুণ ধারণ করতে হবে। এই ড্রামা পূর্ব-নির্ধারিত। কারো-কারোর
ভাগ্যেই নেই। যোগবল থাকলে বিকর্ম বিনাশ হবে। সম্পূর্ণ হলে তবেই তো সম্পূর্ণ দুনিয়ায়
আসতে পারবে। বাবাও শঙ্খধ্বনি করতেই থাকে। মানুষ আবার ভক্তিমার্গে শঙ্খ বা শিঙ্গা
ইত্যাদি বসে বানিয়েছে। বাবা তো এই মুখ(ব্রহ্মা) দ্বারা বোঝান। এ হলো রাজযোগের
পড়া(জ্ঞান)। অত্যন্ত সহজ পড়া। বাবাকে স্মরণ করো আর রাজত্বকে স্মরণ করো। অসীম জগতের
বাবাকে চেনো আর রাজত্ব নাও। এই দুনিয়াকে ভুলে যাও। তোমরা হলে অসীম জগতের সন্ন্যাসী।
তোমরা জানো, সমগ্র পুরানো দুনিয়াই সমাপ্ত হয়ে যাবে। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে শুধু
ভারতই ছিল। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
নিজের দৈবী-কুলে কলঙ্ক লাগাবে না । সুন্দর ফুল হতে হবে। অনেক আত্মাদের প্রতি
কল্যাণের সার্ভিস করে বাবাকে শো (প্রত্যক্ষ) করাতে হবে।
২ ) সম্পূর্ণ
নির্বিকারী হওয়ার জন্য না নোংরা কথা শোনা উচিত, না মুখে বর্ণন করা উচিত। হিয়ার নো
ইভিল, টক নো ইভিল... দেহ-অভিমানের বশে কোনো বিকারী কর্ম করবে না।
বরদান:-
মন্মনা
ভব-র মন্ত্রের দ্বারা মনের বন্ধন থেকেও মুক্ত হয়ে নির্বন্ধন, ট্রাস্টি ভব
যেকোনও বন্ধন হলো
শৃঙ্খলের মতো। খাঁচায় বন্দী ময়না এখন নির্বন্ধন উড়ন্ত পাখি হয়ে গেছে। যদি কোনও
শরীরের বন্ধনও থাকে তথাপি মন হলো উড়ন্ত পাখি। কেননা মন্মনা ভব হওয়ার কারণে মনের
বন্ধনও মুক্ত হয়ে যায়। প্রবৃত্তিকে দেখাশোনা করারও বন্ধন নেই। ট্রাস্টি হয়ে দেখাশোনা
করে সদা নির্বন্ধন থাকো। গৃহস্থী মানে বোঝা, ভারী বোঝা কখনও উড়তে পারে না। কিন্তু
ট্রাস্টি থাকো তাহলে নির্বন্ধন থাকবে, আর উড়ন্ত কলার দ্বারা সেকেণ্ডে সুইট হোমে
পৌঁছাতে পারবে।
স্লোগান:-
উদাসীকে
নিজের দাসী বানিয়ে নাও, তাকে চোহারায় আসতে দিও না।