19.11.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদের স্মরণ অত্যন্ত ওয়ান্ডারফুল। যেহেতু একজন সাথীই বাবা, টিচার আর সদ্গুরু তাই
এই তিনকেই তোমরা স্মরণ করে থাকো"
প্রশ্নঃ -
কোনও বাচ্চাকে
মায়া যখন অহংকারী (মগরুর) বানিয়ে দেয়, তখন কোন্ বিষয়ে ডোন্ট কেয়ার করে থাকে?
উত্তরঃ
অহংকারী
বাচ্চারা দেহ-অভিমান এসে মুরলীর প্রতি ডোন্ট কেয়ার করে থাকে বলা হয় না যে - ইঁদুর
এক টুকরো হলুদ পেয়ে মনে করে আমি অনেক বড় মুদী-ব্যবসায়ী...! অনেকে এমন আছে মুরলী পড়ে
না, বলে, আমার তো ডাইরেক্ট শিববাবার সাথেই কানেকশন । বাবা বলেন - বাচ্চারা, মুরলীর
থেকে তো রোজই নতুন নতুন পয়েন্ট বেরিয়ে আসে, তাই মুরলী কখনো মিস করবে না, এর উপরে
অ্যাটেনশন রাখতে হবে ।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি আধ্যাত্মিক বাবার প্রশ্ন - বাচ্চারা, এখানে তোমরা কার
স্মরণে হয়ে বসে আছো? (বাবা, শিক্ষক, সদগুরুর) তোমরা সবাই কি এই তিনের স্মরণে বসে আছো
নাকি চলতে ফিরতে স্মরণে থাকে? কেননা এ হলো এক ওয়ান্ডারফুল ব্যাপার। আর কোনও আত্মার
ক্ষেত্রে এমন বলা যায় না। যদিও এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন বিশ্বের মালিক, তবুও তাদের
আত্মার বিষয়েও সে'কথা বলা যাবে না যে, ইনি বাবাও, টিচারও, সদ্গুরুও। এমনকি সমগ্র
দুনিয়াতে যে সমস্ত জীব আত্মারা রয়েছে, কোনো আত্মার বিষয়েই এ'কথা বলা যাবে না। তোমরা
বাচ্চারাই এই ভাবে স্মরণ করো। মনের ভিতরে আসে যে, এই বাবা হলেন বাবাও, টিচারও,
সদ্গুরুও। তাও আবার সুপ্রীম। তিনকেই স্মরণ করো নাকি কেবল এক-কে। যদি সেই তিনই হলেন
একজনই, কিন্তু তিন গুণের আধারে তিনকেই স্মরণ করে থাকো তোমরা। শিব বাবা আমাদের বাবাও,
টিচার এবং সদ্গুরুও। একে এক্সট্রা অর্ডিনারীই বলা হবে। যখন বসে আছো অথবা চলছো ফিরছো
তো সে'কথা স্মরণে থাকা চাই। বাবা জিজ্ঞাসা করেন যে তোমরা স্মরণে রাখো কি যে, ইনি
আমাদের বাবা, টিচার, সদ্গুরুও? এই রকম কোনও দেহধারী হওয়া সম্ভব নয়। নম্বর ওয়ান
দেহধারী হলেন শ্রীকৃষ্ণ, তাকে বাবা, টিচার, সদ্গুরু বলা যাবে না, এটা বড়ই
ওয়ান্ডারফুল ব্যাপার। তো সত্য কথা বলা উচিত যে, তিন রূপে তোমরা স্মরণ করো কি? যখন
তোমরা খেতে বসো, তখন কেবল শিববাবাকেই স্মরণ করো নাকি তিনই বুদ্ধিতে আসে? আর তো কোনও
আত্মার বিষয়ে সে'কথা বলতে পারা যাবে না। এ হলো ওয়ান্ডারফুল ব্যাপার। বিচিত্র মহিমা
হলো বাবার। তো বাবাকে স্মরণও এইভাবে করতে হবে। তাহলে বুদ্ধি একেবারে ওই দিকে চলে
যাবে যা কিনা এতই ওয়ান্ডারফুল। বাবাই বসে নিজের পরিচয় দেন, এরপর সমগ্র চক্রেরও
নলেজ দেন। এই ভাবে হলো এই যুগ, এর পরিধি হলো এত বছর, যা কিনা আবর্তিত হতে থাকে । এই
জ্ঞানও সেই রচয়িতা বাবাই দেন। সুতরাং তাঁকে স্মরণ করলে অনেক অনেক সহায়তা প্রাপ্ত
হবে। বাবা, টিচার, সদ্গুরু হলেন সেই একজনই। এতখানি উচ্চ আত্মা আর কেউই হতে পারে না।
কিন্তু মায়া এই রকম বাবার স্মরণ ভুলিয়ে দেয়, তখন টিচার আর গুরুকেও ভুলে যায়।
সে'কথা প্রত্যেকের নিজের নিজের হৃদয়েরেখে দেওয়া চাই। বাবা আমাদেরকে এই রকম
বিশ্বের মালিক বানাবেন। অসীম জগতের উত্তরাধিকার অবশ্যই অসীমই হবে। তার সাথে সাথে এই
মহিমাও বুদ্ধিতে আসতে হবে, চলতে ফিরতে বাবার এই তিন রূপই যেন স্মরণে আসে। এই এক
আত্মার তিন সার্ভিস একত্রিত, সেইজন্য তাঁকে সুপ্রীম বলা হয়।
এখন কনফারেন্স
ইত্যাদির আয়োজন করে থাকে, বলে বিশ্বে শান্তি কীভাবে আসবে? সেটা তো এখনই হচ্ছে, এসে
বোঝো। কে সেটা করছেন? বাবার অক্যুপেশন সিদ্ধ করে তোমরা তাদেরকে বোঝাবে। বাবার
অক্যুপেশন আর শ্রীকৃষ্ণের অক্যুপেশনের মধ্যে অনেক পার্থক্য। সকলেরই তো শরীরের নাম
ধরে ডাকা হয। ওনার আত্মার নাম -- গান অর্থাৎ কীর্তন করা হয়। সেই আত্মা বাবাও,
টিচার, গুরুও। আত্মার মধ্যে নলেজ রয়েছে কিন্তু সে দেবে কীভাবে? শরীরের দ্বারাই তো
দেবেন তাই না? দেন বলেই তো মহিমা গাওয়া হয়ে থাকে। এখন শিব জয়ন্তিতে বাচ্চারা
কনফারেন্স করে থাকে। হসব ধর্মের নেতাদেরকে আমন্ত্রণ দিয়ে থাকে। তাদেরকে বোঝাতে হবে
যে, ঈশ্বর তো সর্বব্যাপী নন। সবের মধ্যেই যদি ঈশ্বর থাকে তবে কি সকল আত্মা ভগবান
বাবাও, টিচারও, গুরুও? তাদের মধ্যে কি সৃষ্টির আদি-মধ্য, অন্তের নলেজ রয়েছে? সে তো
কেউই বলতে পারবে না।
বাচ্চারা তোমাদের মনে
নেশা থাকতে হবে যে, উচ্চ থেকেও উচ্চ বাবার কতো মহিমা! তিনি সমগ্র বিশ্বকে পবিত্র
বানান। প্রকৃতিও পবিত্র হয়ে যায়। কনফারেন্সে সবার প্রথমে তো তোমরা এটাই জিজ্ঞাসা
করবে যে, গীতার ভগবান কে? সত্যযুগী দেবতা ধর্মের স্থাপনা কে করেন? এ'সব যদি
শ্রীকৃষ্ণের বিষয়ে বলা হয়, তবে তো বাবাকেই গুম করে দেওয়া হয় আর না হলে বলে দেবে
যে, তিনি তো নাম আর রূপের ঊর্ধ্বে। যেটা কিনা নয়। তবে তো বাবাকে বাদ দিলে আরফ্যানই
হয়ে গেলো তাই না? অসীম জগতের বাবাকে তো জানেই না তারা। একে অপরের প্রতি কাম কাটারি
চালিয়ে কতো বিরক্ত করতে থাকে। একে অপরকে দুঃখ দেয়। তো এই সব কথা তোমাদের বুওচলতে
থাকে উচিত। কনফারেন্স করতে হবে - এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন ভগবান-ভগবতী তাই না!
তাদেরও বংশাবলী রয়েছে! তবে তো অবশ্যই তারা সবাই এই রকমই গড আর গডেস হওয়া উচিত। তো
তোমরা সকল ধর্মের লোকেদের আমন্ত্রণ দিয়ে থাকো। যারা ভালো পড়াশোনা জানা, বাবার
পরিচয় দিতে পারবে, তাদেরকেই ডাকতে হবে। তোমরা লিখে দিতে পারো যে, যারা রচয়িতা আর
রচনার আদি-মধ্য-অন্তের পরিচয় দিতে পারবে, তাদের জন্য আমরা আসা-যাওয়া, থাকা ইত্যাদি
সব কিছুর ব্যবস্থা করবো - রচয়িতা আর রচনার পরিচয় যদি দিতে পারো। সে'কথা তো জানাই
আছে যে, এই জ্ঞান কেউই দিতে পারবে না। কেউ তো বিদেশ থেকেও আসে, রচয়িতা আর রচনার আদি,
মধ্য, অন্তরের পরিচয় যদি দিতে পারে তবে আমরা তার (আসা-যাওয়ার) সব খর্চা দিয়ে দেবো।
এই রকম অ্যাডভার্টাইজ অন্য কেউই করতে পারবে না। তোমরা তো বাহাদুর তাই না?
মহাবীর-মহাবীরনী তোমরা। তোমরা জানো যে, এনারা (লক্ষ্মী-নারায়ণ) বিশ্বের বাদশাহী
কীভাবে নিয়েছিলে? কোন্ বাহাদুরী করেছিলে? বুদ্ধিতে এই সব কথাই আসা উচিত। তোমরা
কতখানি উচ্চ কার্য করছো। সমগ্র বিশ্বকে পবিত্র বানাচ্ছো তোমরা। তাই বাবাকে স্মরণ
করতে হবে, অবিনাশী উত্তরাধিকারও স্মরণ করতে হবে। কেবল এটুকুই নয় যে শিব বাবা স্মরণে
আছে। কিন্তু বাবার মহিমাও বর্ণনা করতে হবে। এই মহিমা হলোই নিরাকারের। কিন্তু
নিরাকার নিজের পরিচয় কীভাবে দেবেন? অবশ্যই রচনার আদি, মধ্য, অন্তরের নলেজ দেওয়ার
জন্য মুখ চাই তাই না? মুখ এর কতোই না মহিমা রয়েছে! মানুষ গমুখ এ যায়, কতো ধাক্কা
খেতে থাকে। কতো রকের গল্প কথাই না প্রচলিত রয়েছে। তীর নিক্ষেপ গঙ্গা বেরিয়ে এলো।
গঙ্গাকে বোঝানো হয় পতিত-পাবনী রূপে। এখন জল কীভাবে পতিত থেকে পবিত্র বানাতে পারে?
পতিত পাবন তো হলেন বাবাই। তো বাবা তোমাদেরকে কতোই না শেখাচ্ছেন। বাবা তো বলেন এইভাবে
এইভাবে করো। কে এসে রচয়িতা বাবা আর তাঁর রচনার পরিচয় দেবে? সাধু সন্ন্যাসী
ইত্যাদিরা এও জানে যে, ঋষি মুণি ইত্যাদিরা সবাই বলতেন - নেতি-নেতি। আমরা জানি না।
মোটকথা তারা নাস্তিক ছিল। এখন দেখো কোনো আস্তিক বেরিয়ে আসছে কি? এখন তোমরা নাস্তিক
থেকে আস্তিক হচ্ছো। তোমরা অসীম জগতের বাবাকে জানো, যিনি তোমাদেরকে এতখানি উচ্চ
বানান। আহ্বানও করে থাকে - ও গড ফাদার! লিবারেট করো! বাবা বোঝান যে, এই সময় রাবণের
সমগ্র বিশ্বের উপরে রাজত্ব। সকলে হলো ভ্রষ্টাচারী এরপর শ্রেষ্ঠাচারী থাকবে তাই না?
বাচ্চরা তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে - সবার প্রথমে পবিত্র দুনিয়া ছিল। বাবা থোড়াই
অপবিত্র দুনিয়া বানাবেন? বাবা তো এসে পবিত্র দুনিয়া স্থাপন করেন, যাকে শিবালয়
বানাবেন তাই না? তিনি কীভাবে বানান সেও তোমরা জানো। মহাপ্রলয়, জলপ্লাবন ইত্যাদি তো
হয় না। শাস্ত্রে তো কত কিছুই না লিখে দিয়ে। বাকি ৫ পান্ডব বেঁচে ছিল, যারা পাহাড়ে
গিয়ে গলে গেলো। এরপর আর রেজাল্ট কারো জানা নেই। এই সব কথা বাবা বসে তোমাদেরকে
বোঝান। এও তোমরাই জানো যে - তিনি হলেন বাবাও, টিচারও, সদ্গুরুও। সেখানে এ মন্দির
ইত্যাদি হয় না। এই দেবতারা এক সময় ছিলেন, যারই স্মরণিক হলো এই সব মন্দির। এ'সব
কিছুই ড্রামাতে নির্ধারিত রয়েছে। সেকেন্ডে বাই সেকেন্ড নতুন নতুন কিছু ঘটতে থাকছে,
চক্র আবর্তিত হতে থাকে । এখন বাবা বাচ্চাদেরকে ডায়রেক্শন তো খুব ভালো ভালো দিয়ে
থাকেন। অনেক দেহ-অভিমানী বাচ্চারা রয়েছে, যারা মনে করে যে, আমরা সব কিছুই জেনে গেছি।
তারা মুরলীও পড়ে না। কদরই নেই তাদের কাছে। বাবা তাগাদাও দিতে থাকেন, কোনো কোনো সময়
এর উপরেও খুব ভালো ভালো মুরলীও চালান। মিস করা উচিত নয়। ১০ - ১৫ দিনের যে মুরলী
গুলো মিস হয়ে যায় সে'গুলো বসে পড়ে নেওয়া উচিত। বাবাও এও বলেন যে, এই এই ভাবে
চ্যালেঞ্জ দাও যে - এই রচয়িতা আর রচনা ইত্যাদির আদি, মধ্য, অন্তরের নলেজ যদি কেউ
এসে দিতে পারে তবে তার সব খরচ আমরা দেবোষ এই ধরনের চ্যালেঞ্জ তারাই দিতে পারবে যারা
এ' সব জানবে তাই না? টিচার নিজে জানেন বলেই না প্রশ্ন করেন। না জানলে প্রশ্ন কিকরে
জিজ্ঞাসা করবেন?
কোনো কোনো বাচ্চা
মুরলীকেও ডোন্ট কেয়ার করে থাকে। ব্যস্ আমাদের তো শিব বাবার সাথেই কানেকশন রয়েছে।
কিন্তু শিব বাবা যা শোনান, সে' সবও শুনতে হবে, কেবল স্মরণ করলেই হবে না। বাবা কেমন
ভালো ভালো মিষ্টি মিষ্টি কথা আমাদেরকে শোনান। কিন্তু মায়া একদমই অহংকারী করে তোলে।
কথায় আছে না - ইঁদুর পেলো এক টুকরো হলুদ আর নিজেকে ভেবে বসলো আমি তো বিরাট
মুদি-ব্যবসায়ী হয়ে গেছি.....। অনেকেই আছে যারা মুরলীই পড়ে না। মুরলীর থেকে তো
নতুন নতুন পয়েন্ট বেরিয়ে আসে তাই না? তো এই সব কথা বুঝতে হবে। বাবার স্মরণে যখন বসো
তখন এটাও স্মরণ করতে হবে যে, এই বাবা হলেন টিচারও আবার সদ্গুরুও। নাহলে (এই ঈশ্বরীয়
পাঠ) পড়বে কোথা থেকে । বাবা তো বাচ্চাদেরকে সব কিছুই বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাচ্চারাই
বাবার শো করাবে। সন শোজ ফাদার। সন এর তারপর ফাদার শো করেন। আত্মার শো করে থাকে।
তারপর বাচ্চাদের কাজ হলো বাবার শো করা। বাবাও বাচ্চাদেরকে ছাড়েন না। বলবেন আজ অমুক
জায়গায় যাও, আজ এখানে যাও। এনাকে থোড়াই কেউ অর্ডার করতে পারার মতো কেউ থাকতে পারে?
তো এই সব নিমন্ত্রণ ইত্যাদি সংবাদপত্রে দিতে হবে। এই সময় সমগ্র দুনিয়া হলো নাস্তিক।
বাবা এসেই আস্তিক বানান। এই সময় সমগ্র দুনিয়া হলো ওয়ার্থ নট অ্যা পেনী। আমেরিকার
কাছে যত ধন দৌলতই থাকুক না কেন, কিন্তু ওয়ার্থ নট অ্যা পেনী। এই সব কিছুই তো শেষ
হয়ে যাবে তাই না? সমগ্র দুনিয়াতে তোমরা ওয়ার্থ পাউন্ড হয়ে উঠছো। সেখানে কেউ
কাঙাল থাকবে না।
বাচ্চারা তোমাদের
সর্বদা জ্ঞানের সুমিরণ করে আনন্দিত থাকা উচিত। এই বিষয়ে গায়নও রয়েছে -
অতীন্দ্রিয় সুখের ব্যাপারে গোপ-গোপীদেরকে জিজ্ঞাসা করো। এ হলো সঙ্গমেরই কথা,
সঙ্গমযুগকে কেউই জানে না। বিহঙ্গ মার্গের সার্ভিস করলে হয়তো মহিমা ছড়িয়ে পড়বে।
গাওয়াও হয়ে থাকে - অহো প্রভু তোমার লীলা! সে'কথা কেউই জনতো না যে, ভগবান হলেন
বাবাও, টিচারও, সদ্গুরুও। এখন ফাদার তো বাচ্চাদেরকে বুঝিয়ে থাকেন। বাচ্চাদের এই
নেশা স্থায়ী হওয়া উচিত। অন্তিম সময় পর্যন্ত এই নেশা থাকা উচিত। এখন তো নেশা তো
পরক্ষণেই সোডা ওয়াটারের মতো হয়ে যায়। সোডাও তো এই রকমই হয় তাই না? কিছুক্ষণ
থাকলেই যেমন অ্যালকালাইন (ক্ষারীয়) ওয়াটার হয়ে যায়। এই রকম তো হওয়া উচিত নয়।
কাউকে বোঝাতে সে যেন ওয়ান্ডার খেয়ে যায়। ভালো ভালো তো বলে, কিন্তু কিছুটা সময়
বের করবে বোঝার জন্য, জীবন তৈরী করবে সে বড়ই কঠিন। বাবা কখনো বলেন না যে,
কাজকারবার ক'রো না । পবিত্র হও আর যা পড়াই তাকে স্মরণ করো। তিনি তো টিচার তাই না?
আর এ হলো আনকমন পড়াশোনা। কোনও মানুষ তা পড়াতে পারবে না । বাবাও ভাগ্যশালী রথে এসে
পড়ান। বাবা বুঝিয়েছেন যে - এ হলো তোমাদের সিংহাসন যার উপরে অকাল মূর্ত আত্মা এসে
বসে। তারই এই সমগ্র পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে। এখন তোমরা বুঝতে পারো যে, এসব হলো রিয়েল
কলা। বাদবাকি সবই হলো আর্টিফিশিয়াল কথা। সে'কথা খুব ভালো ভাবে গাঁট বেঁধে নাও।
গাঁটে হাত পড়লেই মনে পড়ে যাবে। কিন্তু গাঁট কেন বেঁধেছি, সেও ভুলে যায়। তোমাদের
তো এ' কথা পাক্কা স্মরণে রাখা উচিত। বাবার স্মরণের সাথে সাথে নলেজেরও প্রয়োজন।
মুক্তি যেমন আছে তেমনই জীবনমুক্তিও আছে। খুবই মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চা হও। বাবা মনে
ভাবেন এই বাচ্চারা প্রতি কল্পে কল্পে পড়তে থাকে। নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে
উত্তরাধিকার নেবে। তবুও যিনি পড়ান সেই টিচার তো অবশ্যই পুরুষার্থ করাবেন তাই না?
তোমরা মুহুর্মুহু ভুলে যাও বলেই স্মরণ করানো হয় যে, শিব বাবাকে স্মরণ করো তিনি
হলেন বাবা, টিচার, সদ্গুরুও। ছোট বাচ্চারা এইভাবে স্মরণ করবে না। শ্রীকৃষ্ণের বিষয়ে
আড়াই বলা হবে যে, সে বাবা, টিচার, সদ্গুরু? সত্যযুগের প্রিন্স শ্রীকৃষ্ণ গুরু
কিভাবে হতে ফিরবে? গুরুর প্রয়োজন হয় দুর্গতির সময়। গাওয়ো হয়ে থাকে যে - বাবা এসে
সকলের সদ্গতি করেন। শ্রীকৃষ্ণকে তো শ্যামলা ইত্যাদি বানিয়ে দেয়, যেন কালো কয়লা।
বাবা বলেন এই সময় সবাই কাম চিন্তার উপরে চড়ে কালো কয়লা হয়ে গেছে, সেইজন্যই তো
শ্যামলা বলা হয়। কতো গূহ্য সব কথা রয়েছে বোঝার মতো। গীতা তো সবাই পড়ে। ভারতবাসীই
কেবল সকল শাস্ত্রকে মানে। সকলের চিত্র রেখে থাকে। তাহলে তাদেরকে কি বলা হবে?
ব্যাভিচারী ভক্তিই তো দাঁড়ালো তাই না? অব্যাভিচারী ভক্তি হলো কেবলমাত্র এক শিবেরই।
জ্ঞানও একমাত্র শিব বাবার থেকেই প্রাপ্ত হয়। এই জ্ঞানই হলো ডিফারেন্ট। একে বলা হয়
স্পিরিচুয়াল নলেজ। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
বিনাশী বস্তুতে মত্ত না হয়ে অলৌকিক উৎসাহে থাকো- 'ওয়ার্থ নট পেনী' থেকে 'ওয়ার্থ
পাউন্ড'-এ (কানা কড়ি তুল্য থেকে হীরে তুল্য) পরিবর্তিত হচ্ছো তোমরা। স্বয়ং ভগবান
পড়াচ্ছেন বি.কে.-দেরকে। বি.কে.-দের এই পাঠ জাগতিক পাঠের থেকে ভিন্নতর।
২) ব্রহ্মার সন্তান
বি.কে., প্রকৃত ব্রাহ্মণ অর্থাৎ আস্তিক হয়ে এমন ভাবে বিশ্বের সেবা করতে হবে, যাতে
বাবার মুখ উজ্জ্বল হয়। অহমিকায় এসে কখনও যেন মুরলী ক্লাস বাদ না পড়ে।
বরদান:-
পবিত্রতার ফাউন্ডেশনের দ্বারা সদা শ্রেষ্ঠ কর্ম করা পূজ্য আত্মা ভব
পবিত্রতা পূজ্য বানায়।
পূজ্য সে-ই হয় যে সদা শ্রেষ্ঠ কর্ম করে। কিন্তু পবিত্রতা শুধু ব্রহ্মচর্য নয়, মন্সা
সংকল্পেও কারোর প্রতি নেগেটিভ সংকল্প যেন উৎপন্ন না হয়। বাণীও যেন অযথার্থ না হয়।
সম্বন্ধ-সম্পর্কেও যেন পার্থক্য না থাকে। সকলের সাথে একইরকম সম্বন্ধ থাকবে।
মন্সা-বাণী-কর্ম কোনওটাতেই যেন পবিত্রতা খন্ডিত না হয়, তখন বলা হবে পূজ্য আত্মা। আমি
হলাম পরম পূজ্য আত্মা - এই স্মৃতির দ্বারা পবিত্রতার ফাউন্ডেশন মজবুত বানাও।
স্লোগান:-
সদা এই
অলৌকিক নেশায় থাকো “বাঃ আমি” তাহলে মন আর তনের দ্বারা সদা খুশীর ডান্স করতে থাকবে।