19.12.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - এই পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগ হলো ট্রান্সফার হওয়ার যুগ, তোমাদের এখন কনিষ্ঠ থেকে উত্তম পুরুষ হতে হবে"

প্রশ্নঃ -
বাবার সাথে - সাথে কোন্ বাচ্চাদের মহিমা গাওয় হয়?

উত্তরঃ  
যারা টিচার হয়ে অনেকের কল্যাণ করার নিমিত্ত হয়, বাবার সাথে সাথে তাদেরও মহিমা গাওয়া হয় । করণ - করাবনহার বাবা, বাচ্চাদের দিয়ে অনেকের কল্যাণ করান, তাই বাচ্চাদেরও মহিমা হয়ে যায় । বলে থাকে - বাবা, অমুকে আমার উপরে খুব দয়া করেছে, যার ফলে আমরা কি থেকে কি হয়ে গেছি । টিচার হওয়া ছাড়া আশীর্বাদ পাওয়া যায় না ।

ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মিক বাচ্চাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন । তিনি বোঝানও আবার জিজ্ঞাসাও করেন । বাবাকে এখন বাচ্চারা জেনেছে । যদিও কেউ কেউ সর্বব্যাপীও বলে কিন্তু তার পূর্বে তো বাবাকে জানতে হবে, তাই না - বাবা কে ? বাবাকে চিনে তারপর বলতে হবে যে, বাবার নিবাস স্থান কোথায়? বাবাকে জানেই না তো তাঁর নিবাস স্থান কিভাবে জানবে? বলে দেয়, তিনি তো নাম - রূপের থেকে পৃথক অর্থাৎ তিনিই নেই । তাহলে যে নেই, তাঁর থাকার জায়গা সম্বন্ধে কিভাবে চিন্তা করা যেতে পারে? বাচ্চারা, একথা তোমরা এখনই জানো । বাবা তো প্রথমে নিজের পরিচয় দিয়েছেন, তারপর তাঁর থাকার স্থান সম্বন্ধে বুঝিয়েছেন । বাবা বলেন, আমি তোমাদের এই রথের সাহায্যে পরিচয় দিতে এসেছি । আমি তোমাদের সকলেরই পিতা, যাঁকে পরমপিতা বলা হয় । আত্মাকে কেউই জানে না । বাবার নাম - রূপ - দেশ - কাল যদি না থাকে তাহলে বাচ্চারা কোথা থেকে আসবে? বাবাই যদি নাম - রূপের থেকে পৃথক থাকেন, তাহলে বাচ্চারা কোথা থেকে আসবে? বাচ্চারা যখন আছে, তখন অবশ্যই বাবাও আছেন । তাই একথা সিদ্ধ (প্রমাণিত) হয় যে, তিনি নাম - রূপ থেকে পৃথক নন । বাচ্চাদেরও নাম - রূপ আছে । সে যতই সূক্ষ্ম হোক না কেন । আকাশ সূক্ষ্ম হলেও তার নাম তো আকাশ, তাই না । যেমন এই মহাশূন্য সূক্ষ্ম, তেমনই বাবাও খুবই সূক্ষ্ম । বাচ্চারা বর্ণনা করে, এ এক ওয়ান্ডারফুল তারা, যিনি এনার মধ্যে প্রবেশ করেন, যাকে আত্মা বলা হয় । বাবা তো থাকেন পরমধামে, সে হলো তাঁর থাকার স্থান । উপরে তো দৃষ্টি যায়, তাই না । আঙ্গুল দিয়ে উপরে ইশারা করে মানুষ স্মরণ করে । তাহলে যাঁকে স্মরণ করে, সে নিশ্চই কোনো বস্তু নয় । পরমপিতা, পরমাত্মা তো বলা হয়, তাই না । তাও নাম - রূপ থেকে পৃথক বলা - একে অজ্ঞানতা বলা হবে । বাবাকে জানা, একে জ্ঞান বলা হয় । তোমরা এও বুঝতে পারো যে, আমরা পূর্বে অজ্ঞানী ছিলাম । বাবাকেও জানতাম না আর নিজেদেরও জানতাম না । এখন তোমরা বুঝতে পারো, আমরা আত্মা, শরীর নই । আত্মাকে অবিনাশী বলা হয়, তাহলে অবশ্যই কোনো জিনিস, তাই না । অবিনাশী কোনো নাম নয় । অবিনাশী অর্থাৎ যাঁর বিনাশ হয় না । তাহলে অবশ্যই কোনো বস্তু । বাচ্চাদের খুব ভালোভাবে বোঝানো হয়েছে, মিষ্টি - মিষ্টি বাচ্চারা, যাদের বাচ্চা - বাচ্চা বলা হয়, সেই আত্মারা হলো অবিনাশী । একথা আত্মাদের বাবা পরমপিতা, পরমাত্মা বসে বোঝান । এই খেলা একবারই হয়, যখন বাবা এসে বাচ্চাদের নিজের পরিচয় দেন । তিনি বলেন, আমিও হলাম পার্টধারী । আমি কিভাবে পার্ট প্লে করি, একথাও তোমাদের বুদ্ধিতে আছে । তিনি পতিত আত্মাদের নতুন পবিত্র বানান, তাই তোমরা ওখানে শরীরও ফুলের মতো পাও । একথা তো বুদ্ধিতে আছে, তাই না ।

তোমরা এখন বাবা - বাবা বলে থাকো, এখন এই পার্ট চলছে, তাই না । আত্মা বলে বাবা এসেছে - আমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের শান্তিধামে নিজের ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য । শান্তিধামের পরে হলো সুখধাম । শান্তিধামের পরে দুঃখধাম হতে পারে না । নতুন দুনিয়াতে সুখই সুখ বলা হয় । এই দেবী - দেবতারা যদি চৈতন্য হতো, আর এদের যদি কেউ জিজ্ঞাসা করতো যে, তোমরা কোথায় থাকতে, তাহলে বলতো যে, আমরা স্বর্গের অধিবাসী । এখন এই জড় মূর্তিরা তো তা বলতে পারবে না । তোমরা তো বলতে পারো, আমরা তো প্রকৃতপক্ষে স্বর্গে থাকা দেবী - দেবতা ছিলাম, তারপর ৮৪ জন্মের চক্র অতিক্রম করে এখন সঙ্গম যুগে এসেছি । এ হলো ট্রান্সফার হওয়ার পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ । বাচ্চারা জানে যে, আমরা অনেক উত্তম পুরুষ হই । আমরা প্রতি পাঁচ হাজার বছর অন্তর সতোপ্রধান তৈরী হই । সতোপ্রধানও নম্বর অনুসারেই বলা হবে । তাই এই সম্পূর্ণ পার্ট আত্মাই পেয়েছে । অহম্ আত্মা অর্থাৎ আমি আত্মা - এই পার্ট পেয়েছি । আমি আত্মাই ৮৪ জন্ম গ্রহণ করি । আমি আত্মা উত্তরাধিকারী (ওয়ারিশ), উত্তরাধিকারী সর্বদা পুত্রই হয়, কন্যা নয় । তাই এখন বাচ্চারা, একথা তোমাদের পাক্কা বুঝতে হবে যে, আমরা সকল আত্মাই হলাম পুরুষ । সকলেই অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার পায় । লৌকিক জগতের বাবার কাছ থেকে কেবল পুত্ররাই উত্তরাধিকার পায়, পুত্রীরা নয় । এমনও নয় যে আত্মা সর্বদা ফিমেলই হয় । বাবা বোঝান যে, তোমরা আত্মারা কখনো পুরুষ কখনো ফিমেলের শরীর ধারণ করো । এই সময় তোমরা সকলে হলে মেল্স (পুরুষ) । সব আত্মারাই এক বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার পায় । সব বাচ্চারাই এখন বাচ্চা । সকলের বাবা হলেন এক । বাবাও বলেন - হে বাচ্চারা, তোমরা সকলেই মেল্স । আমার আত্মিক সন্তান তোমরা । কিন্তু পার্ট প্লে করার জন্য মেল-ফিমেল দুইই চাই । তখনই মনুষ্য সৃষ্টির বৃদ্ধি সম্ভব । এই কথা তোমরা ছাড়া আর কেউই জানে না । যদিও বলে থাকে - আমরা সবাই ভাই - ভাই, তবুও বুঝতে পারে না ।

তোমরা এখন বলো, বাবা আমরা অনেকবার তোমার থেকে এই অবিনাশী উত্তরাধিকার নিয়েছি । একথা আত্মার পাক্কা হয়ে যায় । আত্মা অবশ্যই তার বাবাকে স্মরণ করে - ও বাবা, দয়া করো । বাবা এখন তুমি এসো, আমরা সকলেই তোমার সন্তান হবো । দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ ত্যাগ করে আমরা আত্মারা তোমাকেই স্মরণ করবো । বাবা বুঝিয়েছেন যে, নিজেকে আত্মা মনে করে, আমি তোমাদের বাবা, তোমরা আমাকে স্মরণ করো । বাবার থেকে আমরা কিভাবে অবিনাশী উত্তরাধিকার পাই, আর প্রতি পাঁচ হাজার বছর অন্তর আমরা কিভাবে দেবতায় পরিণত হই, এও তো জানা চাই, তাই না । স্বর্গের উত্তরাধিকার কার থেকে পাওয়া যায়, এ তোমরা এখনই বুঝতে পারো । বাবা তো স্বর্গবাসী নন, তিনি বাচ্চাদেরই স্বর্গবাসী করেন । তিনি নিজেই নরকে আসেন, তোমরাও বাবাকে এই নরকেই ডাকো, যখন তোমরা তমঃপ্রধান হও । এ তো তমঃপ্রধান দুনিয়া, তাই না । পাঁচ হাজার বছর পূর্বে যখন এনার রাজ্য ছিলো, তখন এই দুনিয়া সতোপ্রধান ছিলো । এই কথা, এই ঈশ্বরীয় পড়া, এখনই তোমরা জানতে পারো । এ হলো মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পড়া । এ কথা বলা হয় যে, মানুষ থেকে দেবতা হতে সময় লাগে না - বাচ্চা হলে আর উত্তরাধিকারী হয়ে গেলে, বাবা বলেন, তোমরা সমস্ত আত্মারা আমার সন্তান । তোমাদের আমি অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রদান করি । তোমরা হলে ভাই - ভাই, তোমাদের থাকার জায়গা হলো মূলবতন বা নির্বাণধাম, যাকে নিরাকারী দুনিয়াও বলা হয় । সমস্ত আত্মারাই সেখানে থাকে । এই সূর্য - চন্দ্রের থেকেও ওপারে তোমাদের সুইট সাইলেন্স ঘর আছে, কিন্তু ওখানে তো তোমরা একেবারেই থেকে যাবে না । ওখানে থেকে গিয়ে কি করবে? সে তো জড় অবস্থা হয়ে যাবে । আত্মা যখন পার্ট প্লে করে, তখনই চৈতন্য বলা হয় । আত্মা চৈতন্য কিন্তু পার্ট প্লে না করলে তো জড় হয়ে গেলো, তাই না । তোমরা যদি এখানে দাঁড়িয়ে পড়ো, হাত - পা না চালাও তাহলে জড় হয়ে গেলে, তাই না । ওখানে তো শান্তি স্বাভাবিক থাকে, আত্মারা যেমন জড় অবস্থায় থাকে । কিছুই পার্ট প্লে করে না ওখানে । শোভা তো পার্ট প্লে করাতেই , তাই না । শান্তিধামে কি শোভা হবে ? আত্মা সুখ - দুঃখের আভাসের ঊর্ধ্বে থাকে । কোনো পার্টি যদি প্লে না করে তোবে ওখানে থেকে কি লাভ ? সবার প্রথমে সুখের পার্ট প্লে করতে হবে । প্রত্যেকেই প্রথমে পার্ট পেয়ে যায় (অ্যাক্ট করবার জন্য) । কেউ বলে, আমার তো মোক্ষ চাই । জলের বুদবুদে মিশে গেলাম, যেন আত্মা নেই । কোনো পার্ট না করলে তো জড় বলা হবে । চৈতন্য হওয়া সত্ত্বেও যদি জড় হয়ে পড়ে থাকে তাহলে কি লাভ? সবাইকেই তো পার্ট প্লে করতেই হবে । মুখ্য পার্ট হিরো - হিরোইনেরই বলা হয়ে থাকে । বাচ্চারা, তোমরা হিরো - হিরোইনের টাইটেল পেয়ে থাকো। আত্মা এখানে পার্ট প্লে করে । প্রথমে সুখের রাজ্যে পার্ট প্লে করে পরে রাবণের দুঃখের রাজ্যে যায় । বাবা এখন বলেন, বাচ্চারা, তোমরা সবাইকে এই বার্তা (পয়গাম) দাও । টিচার হয়ে অন্যদেরও বোঝাও । যারা টিচার হয় না, তাদের পদ কম হবে । টিচার হওয়া ছাড়া কার আশীর্বাদ কিভাবে পাবে ? কাউকে অর্থ দিলে, খুশী তো হয়, তাই না । মনে মনে ভাববে যে, বি.কে আমাদের কতো দয়া করছ যে, আমাদের কি থেকে কি তৈরী করে দিচ্ছে । এমনিতে তো এক বাবারই মহিমা করে - বাঃ বাবা, তুমি এই বাচ্চাদের দ্বারা আমাদের কতো কল্যাণ করো । কারোর দ্বারা তো হয়, তাই না । বাবা হলেন করণকরালনহার, তিনি তোমাদের দ্বারা করান । তোমাদেরও কল্যাণ হয় । তোমরা আবার অন্যদের কলম (চারা গাছ) লাগাও । যে যত সেবা করে, সে তত উঁচু পদ পায় । রাজা হতে গেলে প্রজাও তো তৈরী করতে হবে । এরপর যে ভালো নম্বরে আসে, সেও রাজা হয় । মালা তো তৈরী হয়, তাই না । নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত, আমরা মালায় কতো নম্বরে আসবো? ৯ রত্ন তো মুখ্য, তাই না । মাঝে যিনি , তিনি হীরে তৈরী করেন । হীরেকে মাঝে রাখা হয় । মালার উপরে তো ফুলও আছে তাই না । অন্তিম সময়ে তোমরা জানতে পারবে, কে মুখ্য দানা হবে, যে এই সাম্রাজ্যে আসবে । পরের দিকে তোমাদের অবশ্যই সব সাক্ষাৎকার হবে । তোমরা দেখতে পাবে কিভাবে এরা সব সাজা ভোগ করে । শুরুতে দিব্য দৃষ্টিতে তোমরা সূক্ষ্মবতনে দেখতে । এও হলো গুপ্ত । আত্মা কোথায় সাজা ভোগ করে - এই ড্রামাতে পার্ট রয়েছে । গর্ভ জেলে আত্মা সাজা ভোগ করে । জেলে ধর্মরাজকে দেখে, তখন বলে বাইরে বের করো । রোগ ইত্যাদি হয়, সেও কর্মের হিসাব, তাই না । এ সবই বোঝার মতো কথা । বাবা তো রাইটই শোনাবেন, তাই না । এখন তোমরা সেই রাইটায়াস তৈরী হও । রাইটায়াস তাদেরই বলা হয় যারা বাবার থেকে অনেক শক্তি নিয়ে থাকে।

তোমরা তো বিশ্বের মালিক হও, তাই না । তোমাদের কতো শক্তি থাকে । হাঙ্গামা ইত্যাদির কোনো কথাই নেই । শক্তি কম হলে কতো হাঙ্গামা হয়ে যায় । বাচ্চারা, তোমরা অর্ধ কল্পের জন্য শক্তি পাও । তাও পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে । তোমরা একরকম শক্তি পেতে পারো না আর একরকম পদও পেতে পারো না । এও প্রথম থেকেই নাটকে নিহিত আছে । এই অনাদি ড্রামায় নিহিত রয়েছে । কেউ কেউ পরের দিকে আসে, এক বা দুই জন্ম নেয় তারপর শরীর ত্যাগ করে । দীপাবলীতে যেমন মশা (শ্যামা পোকা) রাতে জন্ম নেয় আবার সকালে মরে যায় । এ তো অগুণতি হয় । মানুষের তো তবুও গণনা হয় । প্রথমদিকে যে আত্মারা আসে, তাদের আয়ু কতো বেশী থাকে । বাচ্চারা, তোমাদের খুশী হওয়া উচিত যে, আমরা কতো বেশী আয়ু পাবো । তোমরা এই সৃষ্টিচক্রে সম্পূর্ণ পার্ট প্লে করো । বাবা তোমাদেরই বোঝান যে, তোমরা কিভাবে সম্পূর্ণ সৃষ্টিচক্রে পার্ট প্লে করো । এই ঈশ্বরীয় পাঠ অনুসারে উপর থেকে তোমরা আসো পার্ট প্লে করতে । তোমাদের এই পাঠ হলো নতুন দুনিয়ার জন্য । বাবা বলেন, আমি তোমাদের অনেকবার পড়াই । এই পাঠ অবিনাশী হয়ে যায় । অর্ধেক কল্প তোমরা প্রালব্ধ ভোগ করো । ওই বিনাশী পাঠে অল্পকালের জন্য সুখ ভোগ করা যায় । এখন কেউ যদি ব্যরিস্টার হয় তাহলে আবার পরের কল্পে ব্যরিস্টার হবে । এও তোমরা জানো যে - সকলের যেমন পার্ট, তাই কল্প - কল্প হতে থাকবে । দেবতা হোক বা শূদ্র, প্রত্যেকের পার্ট তেমনই হয় যা কল্প - কল্প হতে থাকে । এতে কোনো তফাৎ হতে পারে না । প্রত্যেকেই নিজের নিজের পার্ট প্লে করতে থাকে । এ সম্পূর্ণ এক বানানো খেলা । মানুষ জিজ্ঞেস করে পুরুষার্থ বড় নাকি প্রালব্ধ? এখন পুরুষার্থ ছাড়া তো প্রালব্ধ লাভ সম্ভব নয় । পুরুষার্থের আধারে প্রালব্ধ লাভ হয়, ড্রামা অনুসারে। তাই সম্পূর্ণ বোঝা এসে পড়ে এই ড্রামার উপরেই । কেউ পুরুষার্থ করে, কেউ আবার করে না । যদিও এখানে আসে, তবুও পুরুষার্থ না করলে প্রালব্ধ লাভ সম্ভব নয় । সম্পূর্ণ দুনিয়াতে যে অ্যাক্টই চলে, সবই পূর্ব নির্ধারিত ড্রামা। আত্মার মধ্যে আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত প্রথম থেকেই এই পার্ট নিহিত রয়েছে । তোমাদের আত্মার মধ্যে যেমন ৮৪ জন্মের পার্ট রয়েছে, যেমন কখনো হীরে তুল্য হয়, কখনো আবার কড়ি তুল্য । এই সব কথা তোমরা এখনই জানতে পারো । স্কুলে যদি কেউ ফেল করে তখন তাকে বুদ্ধিহীন বলা হবে । ধারণা না হলে বলা হবে ভ্যারাইটি বৃক্ষ আর তার ভ্যারাইটি ফিচার্স । এই ভ্যারাইটি বৃক্ষের জ্ঞান বাবাই বোঝান । তিনি কল্পবৃক্ষের উপরেও বোঝান । বটবৃক্ষের উদাহরণও এর উপরে রয়েছে । এই শাখাপ্রশাখার অনেক অনেক প্রসারিত।

বাচ্চারা বুঝতে পারে, আমাদের আত্মা হলো অবিনাশী, এই শরীর তো বিনাশ হয়ে যাবে । আত্মাই ধারণা অর্জন করে, আত্মাই ৮৪ জন্মগ্রহণ করে, এই শরীর তো বদলে যায় । আত্মা একই থাকে, আত্মাই ভিন্ন - ভিন্ন শরীর ধারণ করে পার্ট প্লে করে । এ তো নতুন কথা, তাই না । বাচ্চারা, তোমরা এখন এই জ্ঞান পেয়েছো । পূর্ব কল্পেও এইভাবেই বুঝতে পেরেছিলে । বাবা এই ভারতেই আসেন । তোমরা সবাইকে ঈশ্বরীয় বার্তা দিতে থাকো, এমন কেউই থাকবে না যে এই বার্তা পাবেনা । ঈশ্বরীয় বার্তা পাওয়ার অধিকার সবার । তারপর বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকারও নেবে । তারা কিছু তো শুনবেই, কারণ তারাও যে বাবার সন্তান । বাবা বোঝান - আমি তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পিতা । আমার কাছ থেকে তোমরা এই রচনার আদি মধ্য এবং অন্তকে জেনে এই পদ পাও, বাকি সবাই মুক্তিতে চলে যায় । বাবা তো সকলেরই সদগতি করান । মানুষ গেয়ে থাকেয-- অহো বাবা, তোমার লীলা..... কি লীলা? কেমন লীলা? এ হলো পুরানো দুনিয়া পরিবর্তনের লীলা । এ কথা তো জানা উচিত, তাই না । মানুষই তো জানবে, তাই না । বাচ্চারা, বাবা এসেই তোমাদের সব কথা বুঝিয়ে বলেন । বাবা হলেন নলেজফুল । তোমাদেরও নলেজফুল বানান। নম্বর অনুসারেই তোমরা তৈরি হয়ে থাকো। যারা স্কলারশিপ নেবে তাদেরকে নলেজফুল বলা হবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি, হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপ-দাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর ভালোবাসা এবং সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সদা এই স্মৃতিতে থাকতে হবে যে, আমরা আত্মারা হলাম মেল, আমাদের বাবার থেকে সম্পূর্ণ অবিনাশী উত্তরাধিকার নিতে হবে । মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পাঠ পড়তে হবে এবং পড়াতে হবে ।

২ ) সম্পূর্ণ দুনিয়ায় যা কিছু অ্যাক্ট চলছে, সে সবই হলো পূর্ব রচিত ড্রামা, এতে পুরুষার্থ আর প্রালব্ধ দুইই নির্ধারিত রয়েছে । পুরুষার্থ ছাড়া প্রালব্ধ লাভ সম্ভব নয়, এই কথা খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে ।

বরদান:-
যেকোনও সেবা সত্যিকারের মন দিয়ে বা একাগ্রতার (লগন) সাথে করে সত্যিকারের আধ্যাত্মিক সেবাধারী ভব

যে সেবাই করা হোক তা প্রকৃত মন নিয়ে বা একাগ্রতার সাথে করলে তার ১০০ মার্ক্স প্রাপ্ত হয়। সেবাতে যেন বিরক্তি না আসে, সেবা করতে হয় তাই করছি, এরকম যেন না হয়। তোমাদের সেবা হলই ভিখারীকে রাজা বানানো, সবাইকে সুখ প্রদান করা, আত্মাদেরকে যোগ্য আর যোগী বানানো, অপকারীর উপরে উপকার করা, সঠিক সময়ে প্রত্যেকের সাথ বা সহযোগ দেওয়া, এইরকম সেবা যারা করে তারাই হলো সত্যিকারের আধ্যাত্মিক সেবাধারী।

স্লোগান:-
পবিত্রতাই হলো ব্রাহ্মণ জীবনের নবীনত্ব, এটাই হলো জ্ঞানের ফাউন্ডেশন।