20-04-2025 প্রাতঃ মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ 18-01-2005 মধুবন


"সেকেন্ডে দেহ ভাব থেকে মুক্ত হয়ে জীবনমুক্ত স্থিতির অনুভব করো আর মাস্টার মুক্তি - জীবনমুক্তি দাতা হও"


আজ বাপদাদা চতুর্দিকের লাকি আর লভলি বাচ্চাদের দেখছেন। প্রত্যেক বাচ্চা স্নেহে সমাহিত হয়ে আছে। এই পরমাত্ম স্নেহ অলৌকিক স্নেহ। এই স্নেহই বাচ্চাদেরকে বাবার বানিয়েছে। স্নেহই সহজভাবে বিজয়ী বানিয়েছে। আজ অমৃতবেলা থেকে চতুর্দিকের সব বাচ্চা তাদের নিজেদের স্নেহের মালা বাবাকে পরিয়েছে। কেননা, সব বাচ্চা জানে যে এই পরমাত্ম স্নেহ কী থেকে কী বানিয়ে দেয়! স্নেহের অনুভূতি পরমাত্ম ভান্ডারের মালিক বানায় এবং পরমাত্ম সর্ব খাজানার গোল্ডেন চাবি বাবা সকল বাচ্চাকে দিয়েছেন। জানো তো না, সেই গোল্ডেন চাবি কী? সেই গোল্ডেন চাবি হলো - "আমার বাবা''। আমার বাবা বলার সাথে সাথেই সর্ব ভান্ডারের অধিকারী হয়ে গেছ। সর্ব প্রাপ্তির অধিকার দ্বারা সম্পন্ন হয়ে গেছ, সর্ব শক্তি দ্বারা শক্তিশালী হয়ে গেছ, মাস্টার সর্বশক্তিমান আত্মা হয়ে গেছ। এমন সম্পন্ন আত্মাদের হৃদয় থেকে কোন গীত বের হয়? আমরা সব ব্রাহ্মণের ভান্ডারে অপ্রাপ্ত কোনো বস্তু নেই।

আজকের দিনকে স্মৃতি দিবস বলে থাকো তোমরা, আজ বাচ্চারা সকলে ব্রহ্মা বাবাকে বিশেষভাবে অধিক স্মরণ করছে। ব্রহ্মা বাবা তোমরা সব বাচ্চাকে দেখে আনন্দিত হন, কেন? সব ব্রাহ্মণ বাচ্চা কোটি কোটির মধ্যে কিছু ভাগ্যবান বাচ্চা। নিজের ভাগ্যকে তোমরা জানো তো না! বাপদাদা সব বাচ্চার ললাটভাগে ভাগ্যের ঝলমলে নক্ষত্র দেখে আনন্দিত হন। আজকের স্মৃতি দিবস বাপদাদা বিশ্ব সেবার দায়িত্বের মুকুট বিশেষভাবে বাচ্চাদের অর্পণ করেছেন। তো এই স্মৃতি দিবস তোমরা সব বাচ্চার রাজ্য তিলকের দিবস। বাচ্চাদের বিশেষ উইল পাওয়ার সাকার রূপে উইল (কার্যকর) করার দিন। 'সন শোজ ফাদার' এই কথন সাকার করার দিবস। বাচ্চাদের নিমিত্ত হয়ে নিঃস্বার্থ বিশ্ব সেবা দেখে বাপদাদা খুশি হন। বাপদাদা করাবনহার হয়ে, করণহার বাচ্চাদের প্রতিটা পদক্ষেপ দেখে খুশি হন। কেননা, সেবার সফলতার বিশেষ আধারই হলো - করাবনহার বাবা আমি করণহার আত্মা দ্বারা করাচ্ছেন। আমি আত্মা নিমিত্ত, কারণ নিমিত্ত ভাব দ্বারাই নিরহংকার স্থিতি আপনা থেকেই হয়ে যায়। যে আমিত্ব বোধ দেহবোধে নিয়ে আসে তা' স্বতোই নিরহংকার ভাব দ্বারা সমাপ্ত হয়ে যায়। এই ব্রাহ্মণ জীবনে সর্বাধিক বিঘ্ন রূপ যদি হয় তবে সেটা দেহবোধের আমিত্ব ভাব। করাবনহার করাচ্ছেন, আমি নিমিত্ত করণহার হয়ে করছি। তাহলে সহজে দেহ অভিমান মুক্ত হয়ে যাবে আর জীবনমুক্তির পরমানন্দ অনুভব করবে। ভবিষ্যতে জীবনমুক্তি তো প্রাপ্ত হওয়ারই আছে কিন্তু এখন সঙ্গমযুগে জীবন- মুক্তির অলৌকিক আনন্দ আরোই অনুপম। যেমন, তোমরা ব্রহ্মা বাবাকে দেখেছ - কর্ম করার সময় তিনি কর্মের বন্ধন থেকে বিচ্ছিন্ন। জীবনে থেকে কমল পুষ্প সমান স্বতন্ত্র হয়েও তিনি প্রিয়। এত বড় পরিবারের দায়িত্ব, ফরিস্তা তথা দেবতা বানানোর দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও তিনি নিশ্চিন্ত বাদশাহ। একেই জীবনমুক্ত স্থিতি বলা হয়ে থাকে। সেইজন্য ভক্তি মার্গেও ব্রহ্মার আসন কমল পুষ্প দেখানো হয়। কমল আসনধারী দেখানো হয়। তো তোমরা সব বাচ্চারও সঙ্গমেই জীবনমুক্তির অনুভব করতেই হবে। বাপদাদা দ্বারা মুক্তি জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার এই সময়ই প্রাপ্ত হয়। এই সময়ই মাস্টার মুক্তি জীবনমুক্তি দাতা হতে হবে। হয়েছ আর হতেও হবে। মুক্তি জীবনমুক্তির মাস্টার দাতা হওয়ার বিধি হলো - সেকেন্ডে দেহবোধ মুক্ত হয়ে যাওয়া। এই অভ্যাসের এখন আবশ্যকতা রয়েছে। মনের উপর এমন কন্ট্রোলিং পাওয়ার হওয়া উচিত, যেমন এই স্থূল কর্মেন্দ্রিয় - হাত, পা যেভাবে চাও সেভাবে নড়াচড়া করতে পারো। টাইম লাগে কি! ভাবো, এখন হাত উপরে করতে হবে, টাইম লাগবে? করতে পারো তো না! এখন বাপদাদা যদি বলেন হাত উপরে করো, তাহলে করে নেবে তো, তাই না! করো নয়, করতে পারো তোমরা। এভাবেই মনের উপর এতটাই কন্ট্রোল হওয়া দরকার যাতে যেখানে মন একাগ্র করতে চাও, সেখানেই যেন একাগ্র হয়ে যায়। হতে পারে মন তোমাদের হাত পা থেকে সূক্ষ্ম কিন্তু তা' তোমাদেরই তো না! সুতরাং স্থূল কর্মেন্দ্রিয় যেমন কন্ট্রোলে থাকে, তেমনই মন-বুদ্ধি-সংস্কার যেন কন্ট্রোলে থাকে, তবে বলা হবে নম্বর ওয়ান বিজয়ী। যারা সায়েন্সের তারা তো রকেট দ্বারা বা নিজেদের সমূহ সাধন দ্বারা এই লোক পর্যন্ত পৌঁছে যায়, সর্বাধিক গ্রহ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। কিন্তু তোমরা ব্রাহ্মণ আত্মারা তিন লোক পর্যন্ত পৌঁছাতে পারো। এক সেকেন্ডে সূক্ষ্ম লোক, নিরাকারী লোক আর স্থূল ভাবে মধুবন পর্যন্ত পৌঁছাতে পারো তো না! যদি মনকে অর্ডার করো মধুবনে পৌঁছাতে হবে তবে সেকেন্ডে পৌঁছাতে পারো? তন দ্বারা নয়, মন দ্বারা। অর্ডার করলে সূক্ষ্ম বতন যেতে হবে, নিরাকারী বতনে যেতে হবে তো তিন লোকে যখন চাইবে মনকে পৌঁছে দিতে পারো? আছে প্র্যাকটিস? এখন এই অভ্যাসের আবশ্যকতা বেশি। বাপদাদা দেখেছেন তোমরা অভ্যাস তো করো কিন্তু যখন চাও, যত সময় চাও মন একাগ্র হোক, অটল হোক, অস্থির যেন না হয়, এক্ষেত্রে আরও অ্যাটেনশন, যে গায়ন আছে মন জিত জগৎ জিত, এখন কখনো কখনো মন ধোকাও দিয়ে দেয়।

তো বাপদাদা আজকের সমর্থ দিবসে বিশেষ করে এই শক্তির প্রতি তোমাদের অ্যাটেনশন দেওয়াচ্ছেন। হে স্বরাজ্য অধিকারী বাচ্চারা! এখন ঘুরতে ফিরতে এই বিশেষ অভ্যাস চেক করো, কেননা সময় অনুসারে এখন আকস্মিকতার অনেক খেলা দেখবে। সেইজন্য একাগ্রতার শক্তি আবশ্যক। একাগ্রতার শক্তি দ্বারা দৃঢ়তার শক্তিও সহজে এসে যায়। আর দৃঢ়তা আপনা থেকেই সফলতা প্রাপ্ত করায়। তো বিশেষ সমর্থী দিবসে এই সমর্থীর অভ্যাসে বিশেষ অ্যাটেনশন রাখো। সেইজন্য ভক্তি মার্গেও বলা হয়ে থাকে যে, "মন হারলে হার, মন জিতলে জয়" (জীবনের জয় ও পরাজয় কেবল মনের উপর নির্ভর করে)। সুতরাং যখন বলো আমার মন, তখন '-এর মালিক হয়ে শক্তির লাগাম দ্বারা বিজয় প্রাপ্ত করো। এই নতুন বছরে এই হোমওয়ার্কে বিশেষ অ্যাটেনশন। একেই বলা হয়ে থাকে তোমরা তো অবশ্যই যোগী কিন্তু এখন প্রয়োগী হও।

আর আজকের এই দিনে সস্নেহ আত্মিক বার্তালাপ, স্নেহের অনুযোগ এবং সমান হওয়ার উৎসাহ উদ্দীপনা তিন প্রকারের আলাপচারিতা বাপদাদার কাছে পৌঁছেছে। চতুর্দিকের বাচ্চাদের স্নেহ ভরা স্মরণ, স্নেহ ভরা ভালবাসা বাপদাদার কাছে পৌঁছেছে। পত্রও পৌঁছেছে তো আত্মিক বার্তালাপও পৌঁছেছে, সমাচারও পৌঁছেছে, বাপদাদা বাচ্চাদের স্নেহ স্বীকার করেছেন। রিটার্নে তিনি হৃদয়ের স্মরণের স্নেহ-সুমন দিয়েছেন। হৃদয়ের আশীর্বাদও দিয়েছেন। এক এক করে প্রত্যেকের নাম তো নিতে পারেন না, তাই না! অনেকে রয়েছ। কিন্তু কোণে কোণে, গ্রামে গ্রামে, শহরে শহরে সবদিকের, বন্ধনে আবদ্ধ যারা তাদের, যারা বিলাপ করছে তাদের, সকলের স্মরণ স্নেহ পৌঁছেছে। এখন বাপদাদা এটাই বলেন - স্নেহের রিটার্নে এখন নিজেই নিজেকে টার্ন করো, পরিবর্তন করো। এখন স্টেজে নিজের সম্পন্ন স্বরূপ প্রত্যক্ষ করো। তোমাদের সম্পন্নতার দ্বারা দুঃখ আর অশান্তির সমাপ্তি হতে হবে। এখন নিজের ভাই- বোনেদের বেশি দুঃখ দেখতে দিও না। এই দুঃখ, অশান্তি থেকে মুক্তি প্রাপ্ত করাও। তারা খুব ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে। কী করবে, কী হবে...! এই অন্ধকারে দিশাহীন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখন আত্মাদের আলোর পথ দেখাও। উৎসাহ আছে তোমাদের? দয়া আসে? এখন অসীম দুনিয়াকে দেখো। অসীম দুনিয়ায় দৃষ্টি দাও। আচ্ছা। হোমওয়ার্ক স্মরণে থাকবে তো না! ভুলে যেও না। প্রাইজ দেবে। যারা এক মাসের মধ্যে মনকে সম্পূর্ণ ভাবে কন্ট্রোলিং পাওয়ার দ্বারা পুরো মাস যখন চাও, যেখানে চাও সেখানে একাগ্র করতে পারবে, তাদেরকে এই চার্টের রেজাল্টে পুরস্কার দেওয়া হবে। ঠিক আছে? পুরস্কার কী নেবে? পান্ডব, পান্ডব প্রথমে। অভিনন্দন পাণ্ডবদের, আর শক্তিরা? এ ওয়ান। পান্ডব নম্বর ওয়ান তো শক্তিরা এ ওয়ান। শক্তিরা যদি এ ওয়ান না হবে তবে পান্ডব এ ওয়ান। এখন গতি কিছুটা তীব্র করো। আরামের নয়। তীব্র গতি দ্বারাই আত্মাদের দুঃখ দুর্দশা সমাপ্ত হবে। আত্মাদের উপরে দয়ার ছত্রছায়া দাও। আচ্ছা।

ডবল বিদেশি ভাই বোনেদের প্রতি - বাপদাদা বলেন, ডবল বিদেশি অর্থাৎ ডবল পুরুষার্থে যারা সামনে এগিয়ে যায়। যেমন ডবল বিদেশি টাইটেল আছে না, লক্ষণ আছে তো না তোমাদের! তেমনই ডবল বিদেশি নম্বর ওয়ান নেওয়াতেও ডবল গতিতে সামনে এগিয়ে যায়। এটা ভালো, সব গ্রুপে বাপদাদা ডবল বিদেশিদের দেখে খুশি হন। এখন ডবল বিদেশি কী প্ল্যান বানাচ্ছ? বাপদাদা খুশি হয়েছেন, যারা আফ্রিকা থেকে তারা তীব্র পুরুষার্থ করছে। তো তোমরাও সবাই আশেপাশে তোমাদের ভাই বোন যারা রয়ে গেছে, তাদেরকে সমাচার দেওয়ার উৎসাহ উদ্দীপনা রাখো। যেন অভিযোগ না থেকে যায়। বৃদ্ধি হচ্ছে আর হতেও থাকবে। কিন্তু এখন অভিযোগ শেষ করতে হবে। ডবল বিদেশিদের এই বিশেষত্ব তো বলেই থাকেন যে, সত্য হৃদয়ের প্রতি প্রভু সন্তুষ্ট - ভোলা বাবাকে প্রসন্ন করার এই সাধন ডবল বিদেশিদের বিশেষত্ব। বাবাকে সন্তুষ্ট করার ব্যাপারে তারা খুব পারদর্শী। স্বচ্ছ হৃদয় বাবার কেন প্রিয় লাগে? কারণ বাবাকে বলাই হয়ে থাকে সত্য। 'গড ইজ ট্রুথ' বলা হয় তো না! তাইতো যারা নির্মল হৃদয়ের, স্বচ্ছ হৃদয়ের তারা বাপদাদার খুব প্রিয়। এমনই তো না! তোমাদের নির্মল হৃদয় আছে, স্বচ্ছ হৃদয় আছে। সত্যতাই ব্রাহ্মণ জীবনের মহত্ত্ব। সেইজন্য ডবল বিদেশিদের বাপদাদা সদা স্মরণ করে। ভিন্ন ভিন্ন দেশে আত্মাদের সমাচার দেওয়ার নিমিত্ত হয়ে গেছ তোমরা। দেখো, কত দেশ থেকে আসে! তো এই সব দেশের কল্যাণ হয়েছে তো না! এখানে তো তোমরা নিমিত্ত যারা, তারা এসেছো কিন্তু চতুর্দিকের ডবল বিদেশি বাচ্চাদের, নিমিত্ত হওয়া বাচ্চাদের বাপদাদা অভিনন্দন জানাচ্ছেন, কল্যাণকারী ভাবনা দিচ্ছেন উড়তে থাকো আর উড়াতে থাকো। উড়তি কলা দ্বারা সকলের ভালো হয়ে যাওয়াই উচিত। সবাই রিফ্রেশ হচ্ছ? রিফ্রেশ হয়েছ? সদা অমর থাকবে নাকি মধুবনেই অর্ধেক ছেড়ে যাবে? তোমাদের সাথে থাকবে, সদা থাকবে? অমর ভব-র বরদান আছে না! তো যে পরিবর্তন করেছে সে সদা এগিয়ে যেতে থাকবে। অমর থাকবে। আচ্ছা। বাপদাদা খুশি আর তোমরাও খুশি, অন্যদেরও খুশি দাও। আচ্ছা।

জ্ঞান সরোবরের ১০ বছর হয়েছে - আচ্ছা। এটা ভালো, জ্ঞান সরোবর এক বিশেষত্ব আরম্ভ করেছে, যখন থেকে জ্ঞান সরোবর শুরু হয়েছে তখন থেকে ভি.আই.পি., আই.পি.র প্রোগ্রামস্ বিশেষ বিধিপূর্বক শুরু হয়েছে। সব বর্গের প্রোগ্রামস্ একের পর এক চলতে থাকে। এছাড়া, দেখা গেছে যে জ্ঞান সরোবরে আগত আত্মাদের স্থূল সেবা এবং অলৌকিক সেবা তারা গভীর আন্তরিকতার সাথে খুব ভালো ভাবে করে। সেইজন্য যারা জ্ঞান সরোবরের তাদেরকে বাপদাদা বিশেষ অভিনন্দন জানাচ্ছেন - সেবার রেজাল্ট দ্বারা সবাই খুশি হয়ে ফিরে যায় আর খুশির সাথে আরও সাথীদের সাথে নিয়ে আসে। চতুর্দিকে আওয়াজ ছড়িয়ে দেওয়ার নিমিত্ত হয়েছে জ্ঞান সরোবর। তাইতো অভিনন্দন, আর সদা অভিনন্দন নিতে থাকো। আচ্ছা।

এখন এক সেকেন্ডে মনকে একাগ্র করতে পারো তোমরা? সবাই এক সেকেন্ডে বিন্দু রূপে স্থিত হয়ে যাও। (বাপদাদা ড্রিল করালেন) আচ্ছা - এমন অভ্যাস ঘুরতে ফিরতে করতে থাকো।

চতুর্দিকের স্নেহী, লাভলীন আত্মাদের, সদা হৃদয়বান হয়ে সব আত্মাকে যারা দুঃখ অশান্তি থেকে মুক্ত করে এমন শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, সদা নিজের মন, বুদ্ধি, সংস্কারকে কন্ট্রোলিং পাওয়ার দ্বারা কন্ট্রোলে রাখে এমন মহাবীর আত্মাদের, সদা সঙ্গম যুগের জীবনমুক্ত স্থিতি অনুভবকারী বাবা সমান আত্মাদের বাপদাদার পদ্মগুন স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।

বরদান:-
যিনি সবাইকে ঠিকানা দেন সেই হৃদয়বান বাবার বাচ্চারা হৃদয়বান ভব

হৃদয়বান বাবার হৃদয়বান বাচ্চারা যদি কাউকেও ভিখারী রূপে দেখে তো তাদের দয়ার উদ্রেক হয় যে এই আত্মারও যেন ঠিকানা প্রাপ্ত হয়, এরও যেন কল্যাণ হয়। হৃদয়বান বাচ্চার সম্পর্কে যদি কেউ আসে তো তাকে সে বাবার ঠিকানা অবশ্যই দেবে। যেমন বাড়ীতে কেউ এলে তাকে জল খাওয়ার জন্য বলা হয়, শুধু মুখে যদি চলে যায় তবে খারাপ মনে করা হয়, ঠিক তেমনই তোমাদের সম্পর্কে যেই আসুক না কেন তাকে বাবার পরিচয় রূপী জলের জন্য অবশ্যই বলো অর্থাৎ দাতার বাচ্চারা দাতা হয়ে কিছু না কিছু দাও যাতে তারও ঠিকানা প্রাপ্ত হয়।

স্লোগান:-
যথার্থ বৈরাগ্য বৃত্তির সহজ অর্থ হলো - যতটা অনুপম (চিরন্তন প্রেম) ততটাই সুন্দর (অনাসক্তি)।

অব্যক্ত ইশারাঃ– আমার বাবা, এই স্মৃতিতে যদি কম্বাইন্ড থাকো তবে ময়াজিত হয়ে যাবে। করণ-করাবনহার – এই শব্দের মধ্যে বাবা আর বাচ্চারা কম্বাইন্ড। হাত বাচ্চাদের আর কাজ বাবার। হাত বাড়ানোর গোল্ডেন চান্স বাচ্চাদেরই প্রাপ্ত হয়। কিন্তু কী হয় যিনি করানোর মালিক তিনি করাচ্ছেন। নিমিত্ত বানিয়ে চালাচ্ছেন - এই আওয়াজই সদা নির্গত হয়।