20.11.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - 'মনমনাভব' এই বশীকারণ মন্ত্রেই তোমরা মায়াকে জয় করতে পারো, এই মন্ত্রই সকলকে স্মরণ করিয়ে দাও"

প্রশ্নঃ -
এই অসীম জাগতিক ড্রামাতে সবথেকে বড় লেবার (সেবক) কারা এবং কিভাবে?

উত্তরঃ  
এই পুরানো দুনিয়াকে স্বচ্ছ বানানোর সবথেকে বড় (জবরদস্ত) লেবার্স হলো ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ (প্রাকৃতিক বিপর্যয়) । ধরিত্রী কাঁপতে থাকে, বাণ আসে, ধরিত্রীর সাফাই হয়ে যায় । এরজন্য ভগবান কাউকে নির্দেশ দেন না । বাবা কিভাবে বাচ্চাদের ডেস্ট্রয় (ধ্বংস) করবেন । ড্রামাতে এমন পার্টই আছে । এ তো রাবণের রাজ্য তাই না! একে গডলী ক্যালামিটিজ বলা যাবে না ।

ওম্ শান্তি ।
বাবা-ই বাচ্চাদের বোঝান - বাচ্চারা, "মন্মনাভব" । এমন নয় যে, বাচ্চারা বসে বাবাকে বোঝাতে পারবে । বাচ্চারা বলবেই না - শিববাবা, "মন্মনাভব" । কখনোই নয় । এমনিতে তো বাচ্চারা বসে কথাবার্তা বলে, রায় দেয়, কিন্তু যা মূল মহামন্ত্র, তা তো বাবাই দেন । গুরুরা মন্ত্র দেন । এই নিয়ম কোথা থেকে এসেছে? এই যে বাবা, যিনি নতুন সৃষ্টির রচনা করেন, তিনিই প্রথমে মন্ত্র দেন - "মনমনাভব"। এর নামই হলো বশীকরণ মন্ত্র, অর্থাৎ মায়াকে জয় করার মন্ত্র । এই মন্ত্র কেউই মনে মনে জপ করে না । এ তো বুঝতে হবে । বাবা অর্থ সহ বুঝিয়ে বলেন । যদিও এই মন্ত্র গীতাতে আছে তবুও এর অর্থ কেউই বুঝতে পারে না । এ হলো গীতারই এপিসোড, কিন্তু নাম পরিবর্তন করে দিয়েছে । ভক্তিমার্গে কতো বড় বড় পুস্তক ইত্যাদি তৈরী হয় । বাস্তবে বাবা বাচ্চাদের মুখে মুখে বসে এইসব বোঝান । বাবার আত্মাতেই এই জ্ঞান আছে । বাচ্চাদের আত্মাই এই জ্ঞান ধারণ করে । বাকি সহজ করে বোঝানোর জন্য এইসব চিত্র ইত্যাদি বানানো হয় । বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে তো এই সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে । তোমরা জানো যে, বরাবর এই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম ছিলো, তখন আর কোনো খণ্ড ছিলো না । পরবর্তীকালে এইসব খণ্ড যোগ হয়েছে । তাহলে এই চিত্রও এক কোণে রেখে দেওয়া উচিত । যেখানে তোমরা দেখাও ভারতে এদের রাজ্য ছিলো বাকি আর অন্য কোনো ধর্ম ছিলো না । এখন তো কতো ধর্ম, পরে এইসব ধর্ম আর থাকবে না । এ হলো বাবার প্ল্যান । ওই বেচারাদের তো কতো চিন্তা লেগে থাকে । বাচ্চারা, তোমরা তো বুঝতে পারো, এ সম্পূর্ণ ঠিক । এ কথা লেখাও আছে যে, বাবা এসে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করেন । কিসের? নতুন দুনিয়ার । যমুনার তীরে থাকবে রাজধানী । সেখানে একটি ধর্মই থাকে । এই বৃক্ষ এখন সম্পূর্ণ ছোটো, এই বৃক্ষের জ্ঞান বাবাই প্রদান করেন । তিনি চক্রের জ্ঞান দেন, সত্যযুগে একটাই ভাষা থাকে, সেখানে অন্য কোনো ভাষা থাকবে না । তোমরা একথা সিদ্ধ করতে পারো, একই ভারত ছিলো,একই রাজ্য ছিলো, সেখানে একই ভাষা ছিলো । স্বর্গে সুখ - শান্তি ছিলো । সেখানে দুঃখের নাম - চিহ্নটুকুও ছিলো না । সুখ - স্বাস্থ্য - সম্পদ সবই ছিলো । ভারত তখন নতুন ছিলো, মানুষের আয়ুও অনেক বেশী ছিলো কারণ সেখানে পবিত্রতা ছিলো । পবিত্রতা থাকলে মানুষ স্বাস্থ্যবান থাকে । অপবিত্রতায় দেখো মানুষের কি হাল হয় । বসে বসেও অকাল মৃত্যু হয়ে যায় । যুবকেরও মৃত্যু হয়ে যায় । কতো দুঃখ হয় । ওখানে অকাল মৃত্যু হয় না । মানুষ সম্পূর্ণ আয়ু পায় । বৃদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কারোর মৃত্যু হয় না ।

যে কাউকেই বোঝাও না কেন, বুদ্ধিতে এই কথা বসাতে হবে যে - অসীম জগতের পিতাকে স্মরণ করো, তিনিই পতিত পাবন, তিনিই সদগতি দাতা । তোমাদের কাছে ওই চিত্র থাকা উচিত তাহলে সিদ্ধ করে বোঝাতে পারবে । অাজকের নকশা এমন আবার কালকের নকশা এমন । কেউ কেউ তো খুব ভালোভাবে মন দিয়ে শোনে । একথা সম্পূর্ণ বুঝিয়ে বলতে হবে । এই ভারত হলো অবিনাশী খণ্ড । যখন এই দেবী দেবতা ধর্ম ছিলো তখন অন্য কোনো ধর্ম ছিলো না । এখন সেই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম নেই । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ কোথায় গেলো সেকথা কেউই বলতে পারবে না । একথা বলার মতো শক্তি কারোরই নেই । বাচ্চারা, তোমরা খুব ভালোভাবে রহস্য করে বুঝিয়ে বলতে পারো । এতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার কোনো দরকার নেই । তোমরা সবকিছুই জানো তাই আবার রিপিটও করতে পারো । তোমরা কাউকে প্রশ্নও করতে পারো - এরা কোথায় গেলেন? তোমাদের প্রশ্ন শুনে আশ্চর্য হয়ে যাবে । তোমরা তো নিশ্চিত হয়ে বলতে পারো, কিভাবে এঁরাও ৮৪ জন্মগ্রহণ করেন । তোমাদের বুদ্ধিতে তো একথা আছে, তাই না । তোমরা চট করে বলতে পারবে, নতুন দুনিয়া সত্যযুগে আমাদের রাজ্য ছিলো । সেখানে একই আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্ম ছিলো । অন্য কোনো ধর্ম সেখানে ছিলো না । সবকিছুই সেখানে নতুন । সেখানে প্রতিটি জিনিসই সতোপ্রধান থাকে । সেখানে সোনাও অগাধ থাকে । ওখানে সোনা কতো সহজে পাওয়া যায় যে তা দিয়ে ইট, বাড়ি ইত্যাদি তৈরী হয় । ওখানে তো সবকিছু সোনারই তৈরী হয় । খনি তো সব নতুন থাকে, তাই না । নকল তো কেউই তৈরী করবে না যেহেতু আসল ওখানে প্রচুর থাকে । এখানে আসলের কোনো নামই নেই । এখানে নকলের কতো জোর, তাই বলা হয় মিথ্যা মায়া, মিথ্যা কায়া.... । এখানে সম্পত্তিও মিথ্যা । এমন এমন ধরণের হীরে, মুক্তো এখানে বের করা হয় যে, বুঝতেই পারা যায় না যে, কোনটা আসল আর কোনটা নকল? তার চমক এতটাই থাকে যে পরখ করে বোঝাই যায় না যে কোনটা আসল আর কোনটা নকল? ওখানে তো এমন নকল জিনিস কিছুই থাকে না । বিনাশ হলে সবই ধরিত্রীর অন্দরে চলে যায় । এতো বড় বড় পাথর - হীরে ইত্যাদি মহলে লাগানো হবে, সেসব কোথা থেকে আসবে, কারা কেটে নিয়ে আসবে? ভারতেও অনেকই বিশেষজ্ঞ আছে, যারা আরো হুঁশিয়ার হতে থাকবে । তারপর সেখানেও তো তারা সেই গুণ নিয়েই যাবে, তাই না । মুকুট ইত্যাদি কেবল হীরেরই হবে না, ওখানকার হীরে সত্যিই বিশুদ্ধ এবং প্রকৃত হীরে হবে । এই বিদ্যুৎ, টেলিফোন, মোটর ইত্যাদি প্রথমে কিছুই ছিল না । বাবার এই জীবনেও কতো কি বেরিয়েছে । একশো বছরের মধ্যেই এইসব বেরিয়েছে । ওখানে তো অনেক বড় এক্সপার্ট থাকবে । তারা এখনও শিখে চলেছে । আরো হুঁশিয়ার হয়ে চলেছে । এও বাচ্চাদের সাক্ষাৎকার করানো হয় । ওখানে হেলিকপ্টারও ফুল প্রুফ হয় । বাচ্চারাও অনেক সতোপ্রধান শ্রুড বুদ্ধির হয় । আরো এগিয়ে চলো, তোমাদেরও সাক্ষাৎকার হতে থাকবে। যেমন বিদেশ থেকে যখন দেশে ফেরে তখন নিজের দেশের গাছপালা দেখা যায়, ভিতরে খুশী উৎপন্ন হয় যে, এবার ঘরে এলাম বলে । এখনই ঘরে এসে পৌঁছালাম বলে আনন্দ হয় । পরের দিকে তোমাদের এমন সাক্ষাৎকার হতে থাকবে । বাচ্চারা বুঝতে পারে, তিনি হলেন মোস্ট বিলভেট বাবা । তিনি হলেনই সুপ্রীম আত্মা । তাঁকে সবাই স্মরণও করে । ভক্তিমার্গে তোমরাও তো পরমাত্মাকে স্মরণ করতে কিন্তু একথা বুঝতে পারতে না যে, তিনি ছোটো নাকি বড় । এমন গানও গাওয়া হয় - ভ্রুকুটির মাঝে ঝলমল করে এক আজব তারা...... তাহলে অবশ্যই তো বিন্দুর মতো হলো, তাই না । তাঁকে বলা হয় সুপ্রীম আত্মা বা পরমাত্মা । তাঁর মধ্যে তো অনেক গুণ । তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, তিনি কি জ্ঞান শোনাবেন? তিনি যখন শোনাবেন, তখনই তো তোমরা জানতে পারবে, তাই না । তোমরাও কি প্রথমে জানতে, তোমরা কেবল ভক্তিই জানতে । এখন তো বুঝতে পারো, এ আশ্চর্যের, তোমরা আত্মাকেও এই চোখে দেখতে পাও না, তাই বাবাকেও ভুলে যাও । এই নাটকেই এমন আছে, যা বিশ্বের মালিক বানান, তাঁর নাম গুপ্ত করে অন্যের নাম দিয়ে দেয় । কৃষ্ণকে ত্রিলোকীনাথ, বৈকুণ্ঠনাথ বলে দিয়েছে, অর্থ কিছুই বুঝতে পারে না । বসে কেবল বাহবা দেয় । ভক্তিমার্গে বসে এমন অনেক কথা বানানো হয়েছে । ওরা বলে ভগবানের মধ্যে এতটাই শক্তি যে, হাজার সূর্যের তেজ, সবাইকে ভস্ম করে দিতে পারে । এমন - এমন কথা তৈরী করে দিয়েছে । বাবা বলেন, আমি বাচ্চাদের কিভাবে জ্বালাবো? এ তো হতেই পারে না । বাবা কি বাচ্চাদের ধংস করবেন ? কখনোই নয় । এই পার্ট তো ড্রামাতে পার্ট রয়েছে । পুরানো দুনিয়া তো শেষ হতেই হবে । পুরানো দুনিয়ার বিনাশের জন্য এই ন্যাচারাল ক্যালামিটিজ সব হলো সেবক । কতো জবরদস্ত সেবক এরা । এমন নয় যে, এদের প্রতি বাবার ডাইরেকশন আছে যে, বিনাশ করো । তা নয় । ঝড় আসে, ফেমেন (দুর্ভিক্ষ) হয় । ভগবান কি বলেন যে এইসব করো? কখনোই নয় । নাটকে তো এই পার্ট রয়েছেই । বাবা কখনোই বলেন না যে, তোমরা বম্বস্ তৈরী করো । এ সব রাবণের মত বলা হবে । এ হলো পূর্ব নির্মিত ড্রামা । রাবণের রাজ্য হলে সকলেই আসুরী বুদ্ধির হয়ে যায় । কতো মানুষ মারা যায় । অবশেষে সবাইকে জ্বালিয়ে দেওয়া হবে । এ এক বানানো খেলা যা রিপিট হয় । বাকি এমন নয় যে শঙ্করের চোখ খোলাতেই বিনাশ হয়ে যায়, একে গডলী ক্যালামিটিজও বলা যাবে না । এ সম্পূর্ণ ন্যাচারাল ।

বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের শ্রীমত প্রদান করছেন । কাউকে দুঃখ দেওয়ার কোনো কথাই নয় । বাবা তো হলেনই সুখের পথ প্রদর্শক । এই নাটকের নিয়ম অনুসারে বাড়ি পুরানো হতেই থাকবে । বাবাও বলেন, এই সম্পূর্ণ দুনিয়া পুরানো হয়ে গেছে । এর এখন সমাপ্তি ঘটা উচিত । কিভাবে দেখো সকলে নিজেদের মধ্যে লড়াই করে । এ তো আসুরী বুদ্ধির, তাই না । যখন ঈশ্বরীয় বুদ্ধি থাকবে তখন কাউকে মারার কোনো কথাই থাকবে না । বাবা বলেন, আমি তো সকলেরই বাবা । সকলের প্রতিই আমার প্রেম রয়েছে । বাবা এখানে সকলকেই দেখেন কিন্তু সেইসব বাচ্চাদের প্রতি নজর যায় যারা খুব ভালোবেসে বাবাকে স্মরণ করে, যারা সেবাও খুব করে । এখানে বসে বাবার নজর সার্ভিসেবল (সেবাধারী) বাচ্চাদের প্রতি চলে যায় । কখনো দেরাদুন, কখনো মিরাট কখনো আবার দিল্লীতে..... বাবা বলেন, যে বাচ্চা আমাকে স্মরণ করে, আমিও তাকে স্মরণ করি । যে আমাকে স্মরণ করেও না, তবুও আমি সবাইকে স্মরণ করি কেননা আমাকে তো সকলকেই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে তাই না! যারা আমার কাছে সৃষ্টিচক্রের নলেজকে বোঝে, নম্বর অনুসারে তারা উঁচু পদ পাবে । এ হলো অসীম জগতের কথা । ওই শিক্ষকরা হলো এই জগতের । ইনি হলেন অসীম জগতের । বাচ্চাদের ভিতরে তাই কতো খুশী হওয়া উচিত । বাবা বলেন, সকলের পার্ট একরকম হতে পারে না, এনার তো এমন পার্ট ছিলো, কিন্তু অনুসরণকারী কোটির মধ্যে কয়েকজন হয় । কেউ বলে - বাবা আমি ৭ দিনের বাচ্চা, কেউ আবার বলে - আমি একদিনের বাচ্চা । তাহলে তোমরা তো শিশু হলে, তাই না । তাই বাবা প্রতিটা বিষয় বোঝাতেই থাকেন । নদীও তোমরা বরাবর পার করে এসেছো । বাবার আসাতে এই জ্ঞান শুরু হয়েছে । তাঁর কতো মহিমা । ওই গীতার অধ্যায় তো তোমরা জন্ম - জন্মান্তর কতবার পড়ে এসেছো । তফাৎ দেখো কতো । কোথায় কৃষ্ণ ভগবান উবাচঃ আর কোথায় পরমাত্মা উবাচঃ । দিন রাতের তফাৎ । তোমাদের বুদ্ধিতে এখন আছে যে আমরা সত্যখণ্ডে ছিলাম, সুখও অনেক দেখেছিলাম । তোমরা ৩/৪ (চার ভাগের তিনভাগ) সুখ দেখে থাকো । বাবা এই ড্রামা তো সুখের জন্যই বানিয়েছেন নাকি দুঃখের জন্য । এ তো পরে তোমরা দুঃখ পেয়েছো । লড়াই তো এতো শীঘ্র লাগতে পারে না । তোমরা অনেক সুখ পাও । অর্ধেক - অর্ধেক থাকলে এতো মজা থাকবে না । সাড়ে তিন হাজার বছর তো কোনো যুদ্ধ বিবাদ থাকবে না । রোগ ইত্যাদিও থাকবে না । এখানে তো দেখো রোগের পরে রোগ লেগেই আছে । সত্যযুগে এমন পোকামাকড় থাকবেই না যারা আনাজ খেয়ে নেবে তাই ওই যুগের নামই হলো স্বর্গ । তাই তোমাদের এই পৃথিবীর নক্সাও দেখাতে হবে তবেই ওরা বুঝতে পারবে । প্রকৃতপক্ষে ভারত এখানেই ছিলো, এখানে অন্য কোনো ধর্ম ছিলো না । পরবর্তীকালে নম্বর অনুসারে ধর্মস্থাপকগণ আসেন । বাচ্চারা, এখন তোমাদের ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি জানো । তোমরা ছাড়া বাকি সবাই তো বলে দেবে - নেতি - নেতি (এ হয় না - এ হয় না)। তারা বলে, আমরা বাবাকে জানি না । তারা বলে দেয় তাঁর কোনো নাম - রূপ - দেশ - কাল নেই । নাম - রূপ নেই তাহলে কোনো দেশও থাকতে পারে না । মানুষ কিছুই বুঝতে পারে না । বাচ্চারা, বাবা এখন তোমাদের তাঁর যথার্থ পরিচয় দিচ্ছেন । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) সদা অপার খুশীতে থাকার জন্য অসীম জগতের বাবা যে কথা শোনান তার মন্থন করতে হবে আর বাবাকে ফলো করে চলতে হবে ।

২ ) সদা সুস্থ থাকার জন্য 'পবিত্রতাকে' গ্রহণ করতে হবে । পবিত্রতার আধারে হেল্থ, ওয়েল্থ, হ্যাপিনেসের অবিনাশী উত্তরাধিকার বাবার থেকে নিতে হবে ।

বরদান:-
সর্ব প্রাপ্তির স্মৃতি ইমার্জ রেখে সদা সম্পন্ন থাকা সন্তুষ্ট আত্মা ভব

সঙ্গম যুগে বাপদাদার দ্বারা যাকিছু প্রাপ্তি হয়েছে সেইসবের স্মৃতি যেন ইমার্জ রূপে থাকে। তাহলে প্রাপ্তির খুশী কখনও নীচে দোলাচলে নিয়ে আসবে না। সদা অচল থাকবে। সম্পন্নতা অচল বানায়, দোলাচল থেকে মুক্ত করে দেয়। যারা সর্বপ্রাপ্তি দিয়ে সম্পন্ন থাকে তারা সদা রাজী, সদা সন্তুষ্ট থাকে। সন্তুষ্টতা হল সবথেকে বড় খাজানা। যার কাছে সন্তুষ্টতা আছে তার কাছে সবকিছু আছে। তারা এই গীত গাইতে থাকে যে, যা পাওয়ার ছিল, তা পেয়ে গেছি।

স্লোগান:-
প্রেমের দোলনায় বসে পড়ো তাহলে পরিশ্রম নিজে থেকেই চলে যাবে।