21.01.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - সকাল সকাল উঠে আত্মা স্বরূপে বাবার সাথে মধুর বার্তালাপ করো, বাবা যে শিক্ষা দিয়েছেন তাকে পরিপাক করতে থাকো"

প্রশ্নঃ -
সারাদিন আনন্দে খুশীতে কাটবে, এর জন্য কোন্ যুক্তি রচনা করা উচিত?

উত্তরঃ  
রোজ অমৃতবেলায় উঠে জ্ঞানের কথা রমণ করো। নিজের সাথে নিজে কথা বলো। সমগ্র ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তকে স্মরণ মন্থন করো, বাবাকে স্মরণ করলে সারাদিন খুশীতে অতিবাহিত হবে। স্টুডেন্ট নিজের পড়াশুনার রিহার্সাল করে থাকে । বাচ্চারা, তোমরাও নিজেদের রিহার্সাল করো।

গীতঃ-
অন্ধকারে রয়েছে আজ মানুষ...(আজ অন্ধেরে মে হ্যায় ইন্সান...)

ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা গান শুনেছে। তোমরা হলে ভগবানের বাচ্চা তাই না! তোমরা জানো যে ভগবান আমাদের পথ দেখাচ্ছেন। তারা ডাকতে থাকে যে আমরা অন্ধকারে আছি, কারণ ভক্তি মার্গ হলোই অন্ধকারাচ্ছন্ন মার্গ। ভক্ত বলে আমি তোমার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য বিভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি । কখনো তীর্থে, কখনো বলে দান-পূণ্য করতে করতে, মন্ত্র জপ করে। অনেক রকমের মন্ত্র দেয় তাদের, তবুও কি তারা বোঝে যে কতো অন্ধকারে আছে! আলো কি জিনিস - কিছুই বোঝে না, কারণ অন্ধকারে আছে। তোমরা তো এখন অন্ধকারে নেই। তোমরা বৃক্ষের প্রথমেই আসো। নূতন দুনিয়ায় রাজত্ব করো, তারপর সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে থাকো। এর মাঝে ইসলাম, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান আসে। এখন বাবা আবার স্যাপলিং লাগাচ্ছেন। সকাল সকাল উঠে জ্ঞানের কথাকে রমণ করা উচিত। এই নাটক কতো ওয়ান্ডারফুল, এই ড্রামার ফিল্ম-রিলের ডিউরেশন(ব্যাপ্তিকাল) হলো ৫ হাজার বছর। সত্যযুগের আয়ু এতো, ত্রেতার আয়ু এতো... বাবার মধ্যেও যে এই সমগ্র জ্ঞান আছে তাই না। দুনিয়াতে আর কেউ জানে না। তাই বাচ্চাদের ভোরবেলা উঠে এক তো বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর খুশীর সাথে জ্ঞানের স্মরণ মন্থন করতে হবে। এখন আমরা ড্রামার সমস্ত আদি- মধ্য-অন্তকে জেনে ফেলেছি। বাবা বলেন কল্পের আয়ুই হলো ৫ হাজার বছর। মানুষ বলে দেয় ৫ লক্ষ বছর। কতো ওয়ান্ডারফুল নাটক হলো। বাবা বসে যে শিক্ষা দেন সেটা আবার হজম করতে হবে অর্থাৎ বিচার করতে হবে, রিহার্সাল করা উচিত। স্টুডেন্ট পড়াশুনার রিহার্সাল করে থাকে তাই না!

তোমরা মিষ্টি- মিষ্টি বাচ্চারা সমগ্র ড্রামাকে জেনে গেছো। বাবা কতো সহজ ভাবে বলেছেন যে এটা হলো অনাদি অবিনাশী ড্রামা। এতে জিতে যায় আবার হেরে যায়। চক্র এখন সম্পূর্ণ হয়েছে, আমাদের এখন গৃহে ফিরে যেতে হবে। বাবার ফরমান (আদেশ) পাওয়া গেছে যে - আমাকে, এই বাবাকে স্মরণ করো। এই ড্রামার নলেজ একমাত্র বাবা দেন। নাটক কি আর কখনো লক্ষ বছরের হয়! কারোর স্মরণেই থাকবে না। চক্র হলো ৫ হাজার বছরের, যেটা সামগ্রিক ভাবে তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। কত চমৎকার এই জয়-পরাজয়ের খেলা। সকালে উঠে এইরকম সব ভাবনা চলা উচিত। বাবা আমাদের রাবণের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করান। এইরকম সব কথা সকাল-সকাল উঠে নিজের সাথে করা উচিত, তবে এটা অভ্যাস হয়ে যাবে। এই অসীম জগতের নাটককে কেউ জানে না। অ্যাক্টর হয়ে আদি- মধ্য-অন্তকে জানে না। এখন আমরা বাবার দ্বারা উপযুক্ত হয়ে উঠছি।

বাবা নিজের বাচ্চাদের নিজের সমান তৈরী করেন। নিজের সমানই বা কেন, বাবা তো বাচ্চাদের নিজের কাঁধের উপর বসান। বাচ্চাদের প্রতি বাবার কতো ভালোবাসা। কতো ভালোভাবে বোঝান - মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা, আমি তোমাদের বিশ্বের মালিক করে তুলি। আমি হই না, বাচ্চারা তোমাদের করে তুলি। বাচ্চারা, তোমাদের সুগন্ধী ফুল বানিয়ে আবার টিচার হয়ে পড়াই। আবার সদ্গতির জন্য জ্ঞান দিয়ে তোমাদের শান্তিধাম- সুখধামের মালিক করে তুলি। আমি তো নির্বাণধামে বসে পড়ি। লৌকিক বাবাও পরিশ্রম করে, ধন উপার্জন করে সব কিছু বাচ্চাদের দিয়ে নিজে বানপ্রস্থে গিয়ে ভজন ইত্যাদি করে। কিন্তু এখানে বাবা তো এক্ষেত্রে বলেন যদি বাণপ্রস্থ অবস্থা হয় তবে বাচ্চাদের বুঝিয়ে তোমাদের এই সার্ভিসে নিযুক্ত হয়ে যাওয়া উচিত। আবার গৃহস্থলীতে বাঁধা পড়ো না। তোমরা নিজের আর অন্যান্যদের কল্যাণ করতে থাকো। তোমাদের সকলের এখন বাণপ্রস্থ অবস্থা। বাবা বলেন আমি এসেছি তোমাদের বাণীর উর্দ্ধে নিয়ে যেতে। অপবিত্র আত্মারা তো যেতে পারে না। বাবা এটা সামনাসামনি বোঝাচ্ছেন। মজাও হলো সামনে। সেখানে তো আবার বাচ্চারা বসে শোনায়। এখানে বাবা সম্মুখে আছেন, তাই তো মধুবনের মহিমা আছে যে। তাই বাবা বলেন ভোরে ওঠার অভ্যাস করো। ভক্তিও মানুষ ভোরবেলা উঠে করে, কিন্তু ওতে তো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না, উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় রচয়িতা বাবার থেকে। রচনার থেকে কখনো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না, সেইজন্য বলে আমি রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানি না। যদি তারা জানতো তো পরমাত্মা চলে আসতেন। বাচ্চাদের এটাও বোঝাতে হবে যে আমরা কতো শ্রেষ্ঠ ধর্ম সম্পন্ন ছিলাম আবার কীভাবে ধর্ম ভ্রষ্ট, কর্ম ভ্রষ্ট হয়েছি। মায়া বুদ্ধিতে গডরেজের তালা লাগিয়ে দেয়, সেইজন্য ভগবানকে বলে আপনি হলেন বুদ্ধিমানের বুদ্ধি, এই বুদ্ধির তালা খোলো। বাবা তো এখন সম্মুখে বোঝাচ্ছেন। আমি হলাম জ্ঞানের সাগর, তোমাদের এনার (ব্রহ্মা) দ্বারা বোঝাচ্ছি। কোন্ জ্ঞান? এটা সৃষ্টি চক্রের আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান যা কোনো মানুষ দিতে পারে না।

বাবা বলেন, সৎসঙ্গ ইত্যাদিতে যাওয়ার থেকে আবারও স্কুলে পড়া ভালো। অধ্যয়ণ হলো সোর্স অফ ইনকাম। সৎসঙ্গে তো কিছুই প্রাপ্ত হয় না। দান-পূণ্য করো, এটা করো, ওটা করো, চ্যারিটি করো, হাত জোড় করো, খরচা আর খরচাই হয়। টাকা পয়সা দাও, প্রণাম করো, মাথাও ঠুকতে থাকো । বাচ্চারা, এখন তোমাদের যে জ্ঞান প্রাপ্ত হচ্ছে, সেটাকে মন্থন করার অভ্যাস করো আর অপরকেও বোঝাতে হবে। বাবা বলেন এখন তোমাদের আত্মার উপর হলো বৃহস্পতির দশা। বৃক্ষপতি ভগবান তোমাদের পড়াচ্ছেন, তোমাদের কতো খুশী হওয়া উচিত। ভগবান পড়াশুনা করিয়ে আমাদের ভগবান- ভগবতী করে তোলেন, অহো! এইরকম বাবাকে যত স্মরণ করবে তো বিকর্ম বিনাশ হবে। এমন সব বিচার সাগর মন্থন করার অভ্যাস করা উচিত। দাদা আমাদের এই বাপ দ্বারা উত্তরাধিকার দিচ্ছেন। নিজেই বলেন আমি এই রথের আধার নিয়ে থাকি। তোমাদের যে জ্ঞান প্রাপ্ত হচ্ছে না। জ্ঞান গঙ্গা যে জ্ঞান শুনিয়ে পবিত্র করে তা কি গঙ্গার জল? বাবা এখন বলেন- বাচ্চারা, তোমরা ভারতের সত্যি-সত্যি সেবা করছো। সেই সব সোসাল ওয়ার্কাররা তো পার্থিব জগতের সেবা করে। এটা হলো সত্যিকারের আত্মিক সেবা। ভগবানুবাচ বাবা বোঝান, ভগবান হলেন পুনর্জন্ম রহিত। শ্রীকৃষ্ণ তো সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম গ্রহণ করেন। গীতাতে ওনার নাম জুড়ে দিয়েছে। নারায়ণের কেন জোড়ে না? এটাও কারোর জানা নেই যে কৃষ্ণই নারায়ণ হন। শ্রীকৃষ্ণ প্রিন্স ছিলেন আবার রাধার সাথে স্বয়ংবর হয়েছে। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের এখন জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে। বুঝতে পারো শিববাবা আমাদের পড়াচ্ছেন। তিনি বাবাও হন, টিচার, সদ্গুরুও হন। সদ্গতি প্রদান করেন। উচ্চতমের থেকেও উচ্চ ভগবান হলেন শিবই। তিনি বলেন আমার নিন্দা যে করে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারে না। বাচ্চা যদি না পড়ে তো মাস্টারের সম্মান চলে যায়। বাবা বলেন তোমরা আমার সম্মান রেখো। পড়তে থাকো। এইম্ অবজেক্ট তো সামনে উপস্থিত আছে। গুরুরা তো নিজেদের জন্য বলে দেয়, যে জন্য মানুষ ভয় পেয়ে যায়। মনে করে কোনো শাপ যেন না লাগে। গুরুর থেকে পাওয়া মন্ত্রই শোনাতে থাকে। সন্ন্যাসীদের জিজ্ঞাসা করা হয় তোমরা ঘর-বাড়ী ছাড়লে কীভাবে? বলে এই কথা জিজ্ঞাসা ক'রো না। আরে, কেন বলে না? আমার জানা নেই তুমি কে? শুর্ড(কূট) বুদ্ধি সম্পন্ন যারা, এইরকম কথা বলে। অজ্ঞান কালে কারো কারো আবার নেশা থাকে। স্বামী রাম তীর্থের অনন্য শিষ্য ছিলেন স্বামী নারায়ণ। তাঁর বই পত্র বাবার (ব্রহ্মাবাবার) পড়া ছিল। বাবার এই সব পড়ার শখ ছিলো। ছোটো বয়সে বৈরাগ্য আসতো। তারপর একবার বায়োস্কোপ দেখেছিলেন, ব্যস্, বৃত্তি খারাপ হয়ে গেছিল। সাধুপনা পরিবর্তিত হয়ে গেলো। তাই এখন বাবা বোঝান, সেই সব গুরু ইত্যাদি হলো ভক্তি মার্গের। সকলের সদ্গতি প্রদানকারী হলেন এক জনই, যাঁকে সবাই স্মরণ করে। গানও করে আমার তো এক গিরিধর গোপাল, দ্বিতীয় কেউ নয়। গিরিধর কৃষ্ণকে বলে। বাস্তবে গালি এই ব্রহ্মা বাবা খান। কৃষ্ণের আত্মা যখন পরিশেষে গ্রামের ছোঁড়া, তমোপ্রধান হলো তখন গালি খেলো। আমেরিকা পর্যন্ত আওয়াজ চলে গেছে। ওয়ান্ডারফুল ড্রামা। এখন তোমরা জানো বলে খুশী হও। বাবা এখন বোঝান এই চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়? আমরা কীভাবে ব্রাহ্মণ ছিলাম, আবার ক্ষত্রিয়...হয়েছি। এটা হলো ৮৪ জন্মের চক্র। এর সম্পূর্ণটা স্মৃতিতে রাখতে হবে। রচয়িতা আর রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানতে হবে, যা কেউ জানে না। তোমরা অর্থাৎ বাচ্চারা মনে করো আমরা বিশ্বের মালিক হচ্ছি, এতে তো কোনো কষ্ট নেই। এরকম কি আর কেউ বলে যে আসন ইত্যাদি বিছাও। হঠযোগ এমন শেখায় যে সেই কথা আর জিজ্ঞাসা করো না। কারোর আবার ব্রেণেই খারাপ হয়ে যায়। বাবা কতো সহজ উপার্জন করান। এটা হলো একুশ জন্মের জন্য সত্যিকারের উপার্জন। স্বর্গ তোমাদের হাতের উপর। বাবা বাচ্চাদের জন্য স্বর্গীয় উপহার নিয়ে আসেন। এরকম আর কোনো মানুষ বলতে পারে না। বাবা-ই বলেন, এনার আত্মাও শোনে। বাচ্চাদের ভোর বেলায় উঠে এইরকম ধরনের বিচার করা উচিত। ভক্তরাও সকালে গুপ্ত মালা ঘুরিয়ে জপ করে। ওটাকে গো-মুখ বলে। ওর ভিতরে হাত ঢুকিয়ে মালা ঘোরাতে থাকে। রাম-রাম...যেন কোনো বাজনা বাজছে। বাস্তবে তো গুপ্ত হলো এটা, বাবাকে স্মরণ করা। একে অজপাজপ বলা হয়। খুশী থাকে, কতো ওয়ান্ডারফুল ড্রামা। এটা হলো অসীম জগতের নাটক, যা তোমাদের ব্যাতীত আর কারোর বুদ্ধিতে নেই। তোমাদের মধ্যেও আবার নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুযায়ী আছে। হলো তো অনেক ইজি (সহজ)। আমাদের তো এখন ভগবান পড়াচ্ছেন। ব্যস্ ওনাকেই স্মরণ করতে হবে। উত্তরাধিকারও ওনার থেকে প্রাপ্ত হয়। এই বাবা(ব্রহ্মা) তো এক ধকে সব কিছু ছেড়ে দিয়েছেন, কারণ মাঝখানে তো বাবার (শিব) প্রবেশ ঘটেছিল। সব কিছু এই মাতাদের অর্পণ করে দিয়েছিলেন। বাবা বলেছেন এতো বড় স্থাপনা করতে হবে, সব এই সেবায় প্রদান করো। এক পয়সাও কাউকে দিও না। নষ্টমোহ এতটাই হওয়া উচিত। লক্ষ্য অনেক উঁচুতে। মীরা লোক-লাজ বিকারী কুলের মর্যাদাকে ছাড়ল বলে তার কতো নাম। এই কন্যারাও বলে আমি বিবাহ করবো না। লাখপতিই হোক বা যে কেউই হোক, আমি তো অসীম জগতের পিতার থেকে উত্তরাধিকার নেবো। তো এরকম নেশা চড়া উচিত । অসীম জগতের বাবা বসে বাচ্চাদেরকে সুসজ্জিত করেন। এতে পয়সা ইত্যাদির দরকারও নেই। বিবাহের দিন বিবাহের পূর্বের অনুষ্ঠানে, পুরানো ফাটা কাপড় ইত্যাদি পরায়। আবার বিবাহের পরে নতুন কাপড়, গহনা ইত্যাদি পরায়। এই বাবা বলেন যে আমি তোমাদের জ্ঞান-রত্ন দিয়ে সুসজ্জিত করি, তারপর তোমরা লক্ষ্মী-নারায়ণ হবে। এরকম আর কেউ বলতে পারে না।

বাবা এসেই পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গের স্থাপনা করেন, সেইজন্য বিষ্ণুরও ৪ হাত দেখানো হয়। শঙ্করের সাথে পার্বতী, ব্রহ্মার সাথে সরস্বতী দেখানো হয়েছে। এখন ব্রহ্মার তো কোনো স্ত্রী নেই। ইনি তো বাবার হয়ে গেছে। কিরকম ওয়ান্ডারফুল ব্যাপার। মাতা-পিতা তো ইনিই যে না। ইনি প্রজাপিতাও হন, আবার এনার দ্বারা বাবা রচনাও করেন বলে মা বলেও মান্যতা করা হয়। ব্রহ্মার কন্যা হিসেবে সরস্বতীর মহিমা আছে। এই সব কথা বাবা বসে বোঝান। বাবা যেমন সকালে উঠে বিচার সাগর মন্থন করেন, বাচ্চাদেরও সেটা ফলো (অনুসরণ) করা উচিত। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে এই জয়-পরাজয়ের ওয়ান্ডারফুল খেলা তৈরী হয়ে আছে, এরকম দেখে খুশী হয়, ঘৃণা আসে না। আমরা এটা বুঝতে পারি, আমরা সমগ্র ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তকে জেনে গিয়েছি, সেই কারণে ঘৃণার তো কোনো ব্যাপারই নেই। বাচ্চারা তোমাদের পরিশ্রমও করতে হবে। গৃহস্থ ব্যবহারে থাকতে হবে, পবিত্র হওয়ার মহান দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হবে : "আমরা যুগল এক সাথে থেকে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবো" । এতে আবার কেউ-কেউ তো ফেলও করে যায়। বাবার হাতে কোনো শাস্ত্র ইত্যাদি নেই। শিববাবা তো এটা বলেন যে, কৃষ্ণ নয়, আমি ব্রহ্মার দ্বারা তোমাদের সব বেদ শাস্ত্ররই সার শুনিয়ে থাকি। কতো পার্থক্য। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) পড়াশুনার উপরে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। এমন কোনো কর্ম যেন না হয়, যাতে বাবা, টিচার, সদ্গুরুর নিন্দা হয়। সম্মান হারানোর মতো কোনো কাজ করা উচিত নয়।

২ ) বিচার সাগর মন্থন করার অভ্যাস তৈরী করা উচিত। বাবার থেকে যে জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে সেটা মনের মধ্যে আবর্তিত করে অপার খুশীতে থাকতে হবে। কাউকেই ঘৃণা করতে নেই।

বরদান:-
সম্পূর্ণতার প্রকাশের দ্বারা অজ্ঞানতার পর্দা সরিয়ে দেওয়া সার্চ লাইট ভব

এখন প্রত্যক্ষতার সময় নিকটে আসছে এইজন্য অন্তর্মুখী হয়ে গুপ্ত অনুভবের রত্নগুলির দ্বারা নিজেকে ভরপুর বানাও। এমন সার্চলাইট হও যে তোমাদের সম্পূর্ণতার প্রকাশের দ্বারা অজ্ঞানের পর্দা সরে যাবে কেননা তোমরা ধরিত্রীর নক্ষত্ররা এই বিশ্বকে দোলাচল থেকে রক্ষা করে সুখী সংসার, স্বর্ণীম সংসার বানাচ্ছো। তোমরা পুরুষোত্তম আত্মারা বিশ্বকে সুখ-শান্তির শ্বাস দেওয়ার নিমিত্ত হয়েছো।

স্লোগান:-
মায়া আর প্রকৃতির আকর্ষণ থেকে দূরে থাকো তাহলে সদা হাসিখুশীতে থাকবে।

নিজের শক্তিশালী মন্সার দ্বারা সকাশ দেওয়ার সেবা করো :-

যখন মন্সাতে সদা শুভ ভাবনা বা শুভ আশীর্বাদ দেওয়ার ন্যাচারাল অভ্যাস হয়ে যাবে তখন তোমাদের মন সদা বিজি থাকবে। মনের মধ্যে যে দোলাচল আসে তার থেকে স্বতঃই দূরে থাকবে। নিজের পুরুষার্থ যে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ো সেটাও আর হবে না। যাদুমন্ত্র হয়ে যাবে।