21.04.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
বাবা এসেছেন তোমাদের কারেন্ট (শক্তি তরঙ্গ ) দিতে, তোমরা যদি দেহী - অভিমানী হও,
তোমাদের বুদ্ধিযোগ যদি এক বাবার সাথে থাকে, তাহলে তোমরা কারেন্ট (শক্তি তরঙ্গ) পেতে
থাকবে''
প্রশ্নঃ -
সবথেকে বড়
আসুরী স্বভাব কোনটি, বাচ্চারা যা তোমাদের মধ্যে থাকা উচিত নয়?
উত্তরঃ
অশান্তি ছড়ানো,
এ হলো সবথেকে বড় আসুরী স্বভাব । যারা অশান্তি ছড়ায়, তাদের উপর মানুষ বিরক্ত হয়ে
যায় । তারা যেখানেই যাবে সেখানেই অশান্তি ছড়িয়ে দেবে তাই ভগবানের কাছ থেকে সকলেই
শান্তির বর চায় ।
গীতঃ-
এই কাহিনী হলো
প্রদীপ আর ঝড়ের.....
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি -
মিষ্টি হারানিধি বাচ্চারা এই গানের লাইন শুনেছে । এই গানতো ভক্তিমার্গের, এরপর তাকে
জ্ঞানে পরিবর্তন করা হয়, আর কেউই এর পরিবর্তন করতে পারে না । তোমাদের মধ্যেও কেউ
কেউ পুরুষার্থের নম্বর অনুসারে জানতে পারে, প্রদীপ কি আর ঝড় কি ! বাচ্চারা জানে যে,
আত্মার জ্যোতি নিভে গেছে । বাবা এখন এসেছেন, সেই জ্যোতি জাগ্রত করার জন্য । কেউ মারা
গেলেও প্রদীপ জ্বালানো হয় । সেই প্রদীপ খুব সাবধানে রাখা হয় । মানুষ মনে করে,
প্রদীপ যদি কোনোভাবে নিভে যায় তাহলে আত্মাকে অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে, তাই
মানুষ প্রদীপ জ্বালায় । এখন সত্যযুগে তো এই কথা থাকে না । ওখানে তো সবাই আলোতে থাকবে
। ওখানে তো খিদে থাকেই না, খুব ভালো খাবার ওখানে পাওয়া যায় । এখানে হলো ঘোর
অন্ধকার । এ তো ছিঃ - ছিঃ দুনিয়া, তাই না । সকল আত্মার জ্যোতি নিভে গেছে । সবথেকে
বেশী জ্যোতি তোমাদের নিভে গেছে । তোমাদের জন্যই বিশেষ করে বাবা আসেন । তোমাদের
জ্যোতি তো নিভে গেছে, এখন কারেন্ট কোথা থেকে পাবে ? বাচ্চারা জানে যে, কারেন্ট তো
বাবার কাছ থেকেই পাওয়া যাবে । কারেন্ট যদি জোর হয় তাহলে বাল্বের আলো বেড়ে যায় ।
তাই এখন তোমরা বড় মেশিন থেকে কারেন্ট নিচ্ছো । দেখো, বম্বের মতো শহরে কতো মানুষ থাকে,
সেখানে কতো বেশী কারেন্ট চাই । তাহলে অবশ্যই অনেক বড় মেশিন হবে । আর এ হলো অসীম
জগতের কথা । এখন সম্পূর্ণ দুনিয়ার আত্মাদের জ্যোতি নিভে আছে । তাদের কারেন্ট দিতে
হবে । মূল বিষয় বাবাই বোঝান, বুদ্ধিযোগ বাবার সঙ্গে লাগাও । তোমরা দেহী -অভিমানী হও
। বাবা কতো উচ্চ,সম্পূর্ণ দুনিয়াকে পবিত্র করা সুপ্রীম পিতা এখন এসেছেন সকলের জ্যোতি
জাগ্রত করতে । তিনি সম্পূর্ণ দুনিয়ার মনুষ্য মাত্রেরই জ্যোতি জাগ্রত করেন । বাবা
কে, তিনি কিভাবে জ্যোতি জাগ্রত করেন? এ তো কেউই জানে না । তাঁকে জ্যোতি স্বরূপও বলা
হয়, মানুষ আবার তাঁকে সর্বব্যাপীও বলে দেয় । সেই জ্যোতি স্বরূপকে মানুষ ডাকে কেননা
সকলের জ্যোতি নিভে গেছে । অখণ্ড জ্যোতির সাক্ষাৎকারও হয় । এমন দেখায় যে, অর্জুন
বলেছিলো, আমি এই তেজ সহ্য করতে পারছি না । এ অনেক কারেন্ট । তাই এই বিষয়কে তোমরা
বাচ্চারাই এখন বুঝতে পারো । সকলকে এই কথাই বোঝাতে হবে যে, তুমি আত্মা । আত্মা উপর
থেকে এখানে আসে । প্রথমে আত্মা পবিত্র থাকে, তার মধ্যে কারেন্ট থাকে । তখন সে
সতোপ্রধান থাকে । স্বর্ণ যুগে আত্মা পবিত্র থাকে তারপর তাকে অপবিত্রও হতে হয় ।
আত্মা যখন অপবিত্র হয় তখনই সে গড ফাদারকে ডাকে যে, এসে আমাদের উদ্ধার করো অর্থাৎ
দুঃখ থেকে মুক্ত করো । উদ্ধার করা আর পবিত্র করা, এর অর্থ আলাদা আলাদা । নিশ্চই
কারোর দ্বারা পতিত হয়েছে, তাই তো বলে, বাবা এসো, এসে আমাদের উদ্ধারও করো, পবিত্রও
বানাও । এখান থেকে আমাদের শান্তিধামে নিয়ে চলো । শান্তির বর দাও । বাবা এখন
বুঝিয়েছেন - এখানে তো শান্তিতে থাকতে পারবে না । শান্তি তো শান্তিধামেই আছে । সত্য
যুগে এক ধর্ম, এক রাজ্য থাকে, তাই সেখানে শান্তি থাকে । সেখানে কোনো অশান্তি থাকে
না । এখানে মানুষ অশান্তিতে বিরক্ত হতে থাকে । একই ঘরে কতো ঝগড়া হয় । মনে করো
স্বামী -স্ত্রীর ঝগড়া হলে মা, বাবা, বাচ্চারা, ভাই, বোন সবাই বিরক্ত হয়ে যায় ।
যারা অশান্তি করে, সেইসব মানুষ যেখানেই যাবে সেখানে অশান্তিই ছড়াবে, কেননা তারা তো
আসুরী স্বভাবের, তাই না । তোমরা এখন জানো যে, সত্যযুগ হলো সুখধাম । সেখানে সুখ আর
শান্তি দুইই থাকে । আর ওখানে অর্থাৎ পরমধামে তো কেবল শান্তি, তাকে বলা হয় সুইট
সাইলেন্স হোম । মুক্তিধামের মানুষদের কেবল এই কথাই বোঝাতে হয় যে, তোমরা মুক্তি
চাইলে বাবাকে স্মরণ করো ।
মুক্তির পরে
জীবনমুক্তি তো অবশ্যই আছে । প্রথমে জীবনমুক্ত হয় তারপর জীবনবন্ধে আসে । অর্ধেক
অর্ধেক, তাই তো । সতোপ্রধান থেকে অবশ্যই সতঃ, রজঃ এবং তমঃতে আসতে হবে । পরের দিকে
যারা এক -অর্ধেক জন্মের জন্য আসবে, তারা সুখ -দুঃখের কি অনুভব করবে । তোমরা তো সব
অনুভবই করো । তোমরা জানো যে, এতো জন্ম আমরা সুখে থাকি, আর এতো জন্ম দুঃখে থাকি । আরো
বিভিন্ন ধর্ম নতুন দুনিয়াতে আসতে পারে না । তাদের অভিনয়ই পরের দিকে, যদিও নতুন খণ্ড
এবং তা ওদের জন্য যেন নতুন দুনিয়া । যেমন বৌদ্ধ খণ্ড, খ্রীস্টান খণ্ড, এ সব নতুন,
তাই না । তাদেরও সতঃ, রজঃ এবং তমঃ স্থিতিকে পাস করতে হয় । ঝাড়েও তো এমন হয়, তাই
না । ধীরে - ধীরে বৃদ্ধি হতে থাকে । প্রথমে যারা বের হয়, তারা নীচেই থাকে । এমন তো
দেখা যায়, নতুন -নতুন পাতা কিভাবে বের হতে থাকে । ছোটো ছোটো সবুজ পাতা বের হতে থাকে
তারপর ফুল বের হয়, নতুন ঝাড় খুবই ছোটো হয় । নতুন বীজ বপন করা হয়, তার সঠিক যত্ন
না হলে তা মরে যায় । তোমরাও নিজেদের সুরক্ষা না করলে শেষ হয়ে যাও । বাবা এসে
তোমাদের মানুষ থেকে দেবতায় পরিণত করেন, এরপর এরমধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার হিসাবে
তৈরী হয় । রাজধানী তো স্থাপন হচ্ছে, তাই না । অনেকেই এখানে ফেল করে যায় ।
বাচ্চাদের যেমন অবস্থা,
তেমনই ভালোবাসা পায় বাবার কাছ থেকে । কোনো কোনো বাচ্চাকে বাইরে থেকেও ভালোবাসতে হয়
। কেউ আবার লেখে, বাবা আমি ফেল করে গেছি । পতিত হয়ে গেছি । এখন এর কাছে কে যাবে ।
ওরা বাবার হৃদয়ে বিরাজ করতে পারে না । পবিত্রকেই বাবা অবিনাশী উত্তরাধিকার দিতে
পারেন । প্রথমে এক একজনের কাছ থেকে সম্পূর্ণ খবর জিজ্ঞেস করে পোতামেল নেন । অবস্থা
যেমন, ভালোবাসাও তেমনই । বাইরে যতই ভালোবাসবেন, অন্তরে জানেন, এ সম্পূর্ণ বুদ্ধু,
সেবা করতেই পারে না । খেয়াল বা চিন্তা তো থাকেই, তাই না । অজ্ঞান কালে বাচ্চারা যখন
ভালো উপার্জন করে, তখন বাবারা তাদের খুবই ভালোবাসে । আবার কেউ যদি বেশী উপার্জন না
করে, তখন বাবারও তেমন ভালোবাসা থাকে না । তাই এখানেও এমনই । বাচ্চারা তো বাইরেও সেবা
করে, তাই না । যে ধর্মেরই হোক না কেন, তাকে বোঝানো উচিত । বাবাকে তো উদ্ধারকর্তা বলা
হয় । উদ্ধারকর্তা আর গাইড কে, তাঁর পরিচয় দিতে হবে । সুপ্রীম গড ফাদার আসেন, সবাইকে
উদ্ধার করেন । বাবা বলেন, তোমরা কতো পতিত হয়ে গেছো । তোমাদের পবিত্রতাই নেই । তোমরা
এখন আমাকে স্মরণ করো । বাবা তো চির পবিত্র । বাকি সবাই অবশ্যই পবিত্র থেকে অপবিত্র
হয় । তারা পুনর্জন্ম নিতে নিতে নেমে আসে । এই সময় সকলেই পতিত, তাই বাবা রায় দেন
--বাচ্চারা, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তাহলে পবিত্র হয়ে যাবে । মৃত্যু তো এখন সামনে
উপস্থিত । পুরানো দুনিয়ার এখন অন্তিম সময় । মায়ার পাম্প (জোর ) এতোই, তাই মানুষ মনে
করে এই তো স্বর্গ । এরোপ্লেন, বিদ্যুৎ ইত্যাদি কতকিছু আছে, এ সবই হলো মায়ার পাম্প ।
এ সবই এখন শেষ হতে হবে । তারপর স্বর্গের স্থাপন হয়ে যাবে । এই বিদ্যুৎ ইত্যাদি তো
স্বর্গেও থাকে । তাহলে এইসব স্বর্গে কিভাবে আসবে । তাহলে যে জানে, তেমন কাউকে চাই ।
তোমাদের কাছে খুব ভালো কারিগররা আসবে । তারা তো আর রাজা হবে না কিন্তু তারা তোমাদের
প্রজাতে আসবে । ইঞ্জিনিয়ারিং জানে এমন সব কারিগররা আসবে । এই আধুনিকতা সব বিলেত
থেকেই আসে - যায় । তাই ওদেরও তোমাদের শিববাবার পরিচয় দিতে হবে । তোমরা বাবাকে
স্মরণ করো । তোমাদের এই যোগে থাকার পুরুষার্থ অনেক বেশী করে করতে হবে, এতে অবশ্য
মায়ার ঝড় অনেকই আসে । বাবা কেবল বলেন, মামেকম্ স্মরণ করো । এ তো ভালো কথা, তাই না ।
খ্রাইস্টও তাঁরই রচনা, রচয়িতা সুপ্রীম আত্মা তো একজনই । বাকি সবই হলো রচনা । অবিনাশী
উত্তরাধিকার একমাত্র রচয়িতার থেকেই পাওয়া যায় । এমন ভালো ভালো পয়েন্টস যা আছে, সব
নোট করা উচিত ।
বাবার মুখ্য কর্তব্য
হলো সবাইকে উদ্ধার করা । তিনি সুখধাম এবং শান্তিধামের দরজা খুলে দেন । তাঁকে বলা হয়
- হে উদ্ধারকর্তা, তুমি আমাদের দুঃখ থেকে উদ্ধার করে শান্তিধাম আর সুখধামে নিয়ে চলো
। এখানে যখন সুখধাম থাকে তখন বাকি আত্মারা শান্তিধামে থাকে । স্বর্গের দ্বার বাবাই
খোলেন । এক দ্বার নতুন দুনিয়ার খোলে, আর এক দ্বার খোলে শান্তিধামের । এখন যে আত্মারা
অপবিত্র হয়ে গেছে, বাবা তাঁদের শ্রীমত দেন, তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করো, আমাকে
স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের পাপ দূর হবে । এখন যারা যারা পুরুষার্থ করবে, তারা তারা
তাদের ধর্মে উঁচু পদ পাবে । পুরুষার্থ না করলে তো কম পদ পাবে । তোমরা ভালো ভালো
পয়েন্টস নোট করো তাহলে সময়মতো কাজে আসতে পারে । বলো, শিববাবার কর্তব্য আমরা বলবো,
তখন দেখো মানুষ বলবে, এরা কে, যে গড ফাদারের কর্তব্য বলে দেয় । বলো, তোমরা আত্মার
রূপে তো সকলেই ভাই - ভাই । এরপর প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা রচনা রচিত হয়, তখন ভাই
-বোন হয় । গড ফাদার, যাঁকে উদ্ধারকারী, গাইড বলা হয়, তাঁর কর্তব্য আমরা আপনাদের
বলছি । আমাদের অবশ্যই গড ফাদার বলেছেন, তাই আমরা আপনাদের বলছি । সন্তানরা বাবাকে
দর্শায় । এও তোমাদের বোঝানো উচিত । আত্মা সম্পূর্ণ একটি ছোটো তারা, এই চোখের দ্বারা
আত্মাকে দেখা যায় না । দিব্য.দৃষ্টির দ্বারা সাক্ষাৎকার হতে পারে । আত্মা তো বিন্দু,
তাকে দেখলে কি আর লাভ হবে ? বাবাও এমনই বিন্দু, তাঁকে সুপ্রীম সোল বলা হয় । সোল
একই রকম কিন্তু তিনি হলেন সুপ্রীম, নলেজফুল, ব্লিসফুল, তিনি উদ্ধারকর্তা এবং গাইড ।
তাঁর অনেক মহিমা করতে হবে । বাবা অবশ্যই আসবেন, তবেই তো তিনি সাথে করে নিয়ে যাবেন
। তিনি এসেই আমাদের এই জ্ঞান দেন । বাবাই আমাদের বলেন, আত্মা এতো ছোটো, আমিও এমনই
ছোটো । এই জ্ঞানও তিনি নিশ্চই কোনো শরীরে প্রবেশ করেই দেবেন । আমি আত্মার পাশে এসে
বসবো । আমার মধ্যে শক্তি আছে, দেহ পেয়ে গেলাম তাই ধনীও হয়ে গেলাম । এই দেহের
দ্বারা আমি বসে বোঝাই, একে এডামও বলা হয় । এডাম হলো প্রথম মানুষ । মানুষের তো ঝাড়
হয়, তাই না । এরা মাতা-পিতাও হয়, এদের দ্বারা আবার রচনা হয়, ইনি পুরানো হলেও এঁকে
দত্তক নেওয়া হয়েছে, না হলে ব্রহ্মা কোথা থেকে এলেন । ব্রহ্মার বাবার নাম কেউ তো বলো
। ব্রহ্মা -বিষ্ণু - শঙ্কর এরা কারোর রচনা তো হবে, তাই না । রচয়িতা তো একজনই, বাবা
তো এনাকে অ্যাডপ্ট করেছেন, এ যদি কোনো ছোটো বাচ্চা বসে শোনায়, তাহলে বলবে, এর অনেক
জ্ঞান । যেই বাচ্চাদের খুব ভালো ধারণা হয়, তাদের অনেক খুশী থাকে, তারা কখনো
ক্লান্ত হয়ে হাই তোলে না । কেউ যদি না বোঝে তখন হাই তুলতে থাকে । এখানে তো তোমাদের
কখনো হাই তোলা উচিত নয় । উপার্জনের সময় কখনোই হাই আসে না । গ্রাহক না থাকলে, কাজ
কারবার যদি না চলে, তখনই হাই আসতে থাকবে । এখানেও অনেকের ধারণা হয় না । কেউ তো
একদমই বুঝতে পারে না কারণ দেহ-অভিমান থাকে । দেহী-অভিমানী হয়ে বসতে পারে না । কোনো
না কোনো বাইরের কথা স্মরণে এসে যাবে । পয়েন্টস ইত্যাদিও নোট করতে পারবে না ।তীক্ষ্ণ
বুদ্ধির যারা, তারা চট করে নোট করে নেবে -এই পয়েন্ট খুব ভালো । ছাত্রদের চালচলনও তো
টিচাররা দেখতে পায়, তাই না । সচেতন টিচারদের নজর চারিদিকে ঘুরতে থাকে, তাই তো তারা
পড়ার জন্য সার্টিফিকেট দিতে পারে । স্বভাবের জন্যও সার্টিফিকেট দেওয়া হয় । কতদিন
অনুপস্থিত ছিলো, তাও দেখা হয় । এখানে তো যদিও বা উপস্থিত হয়, তবুও কিছুই বুঝতে
পারে না, তাই ধারণাও হয় না । কেউ বলে, আমার মোটা বুদ্ধি, ধারণা হয় না, বাবা আর কি
করবেন ! এ হলো তোমাদের কর্মের হিসাব - নিকাশ । বাবা তো সকলের জন্য একইরকম প্রচেষ্টা
করান । তোমাদের ভাগ্যে না থাকলে আর কি করবেন । স্কুলেও কেউ পাস, কেউ আবার ফেল করে ।
এ হলো অসীম জগতের পড়া, যা অসীম জগতের পিতা পড়ান । অন্য ধর্মের লোকেরা গীতার কথা
বুঝতে পারবে না । তাদের দেশ - ধর্ম দেখে বোঝাতে হয় । সবার প্রথমে উঁচুর থেকেও উঁচু
বাবার পরিচয় দিতে হয় । তিনি হলেন উদ্ধারকর্তা, গাইড । স্বর্গে এমনসব বিকার থাকে না
। এই সময় একে বলা হয় শয়তানী রাজ্য । এ তো পুরানো দুনিয়া, একে স্বর্ণযুগ বলা হবে
না । দুনিয়া একসময় নতুন ছিলো, এখন তা পুরানো হয়ে গেছে । বাচ্চাদের মধ্যে, যাদের
সেবার শখ আছে, তাদের এইসব পয়েন্টস নোট করা উচিত । আচ্ছা ।
মিষ্টি -মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা -পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই
ঈশ্বরীয় পড়াতে অনেক উপার্জন, তাই খুশীর সঙ্গে এই উপার্জন করতে হবে । পড়ার সময় কোনো
হাই যেন না ওঠে, বুদ্ধিযোগ যেন এদিক -ওদিক বিভ্রান্ত না হয় । পয়েন্টস নোট করে ধারণা
করতে থাকো ।
২ ) পবিত্র হয়ে
বাবার হৃদয়ের ভালোবাসা পাওয়ার অধিকারী হতে হবে । এই সেবাতে হুঁশিয়ার হতে হবে, ভালো
উপার্জন করতে হবে এবং করাতে হবে ।
বরদান:-
মরজীবা
জন্মের স্মৃতির দ্বারা সকল কর্ম বন্ধন সমাপ্তকারী কর্মযোগী ভব
এই মরজীবা দিব্য জন্ম
কর্মবন্ধনের জন্ম নয়, এটা হল কর্মযোগী জন্ম। এই অলৌকিক দিব্য জন্মে ব্রাহ্মণ আত্মা
স্বতন্ত্র আছে নাকি পরতন্ত্র! এই দেহ লোন-এ পাওয়া গেছে, সমগ্র বিশ্বের সেবা করার
জন্য পুরানো শরীরে শক্তি ভরে বাবা চালাচ্ছেন। দায়িত্ব বাবার নাকি তোমাদের! বাবা
ডায়রেক্শন দিয়েছেন যে কর্ম করো, তোমরা হলে স্বতন্ত্র, যিনি চালনা করার, তিনি
চালাচ্ছেন। এই বিশেষ ধারণার দ্বারা কর্মবন্ধনগুলিকে সমাপ্ত করে কর্মযোগী ভব।
স্লোগান:-
সময়ের
নৈকট্যতার ফাউন্ডেশন হলো - অসীম জগতের বৈরাগ্য বৃত্তি।
অব্যক্ত ঈশারা :-
“কম্বাইন্ড স্বরূপের স্মৃতির দ্বারা সদা বিজয়ী হও”
যত-যত স্মরণে থাকবে,
ততই অনুভব করবে যে আমি একা নয়, বাপদাদা সদা সাথে আছেন। যদি কোনও সমস্যা সামনে আসে
তো এই স্মৃতিতে থাকবে যে আমি হলাম কম্বাইন্ড, তাহলে ঘাবড়ে যাবে না। কম্বাইন্ড রূপের
স্মৃতি দ্বারা যেকোনও মুশকিল কাজ সহজ হয়ে যাবে। নিজের সব বোঝা বাবার উপর রেখে নিজে
হালকা হয়ে যাও তাহলে সদা নিজেকে ভাগ্যবান অনুভব করবে আর ফরিস্তার সমান নাচতে থাকবে।