21.06.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - দেবতা হওয়ার পূর্বে তোমাদের অবশ্যই ব্রাহ্মণ হতে হবে, ব্রহ্মা মুখ সন্তানই হলো সত্যিকারের ব্রাহ্মণ যারা রাজযোগের পঠন-পাঠনের দ্বারা দেবতায় পরিণত হচ্ছে"

প্রশ্নঃ -
অন্য সব সৎসঙ্গের থেকে তোমাদের এই সৎসঙ্গ অনন্য কোন্ দিক দিয়ে?

উত্তরঃ  
অন্যান্য সৎসঙ্গে কোনোই এইম অবজেক্ট (লক্ষ্যবস্তু) থাকে না, আরোই ধন-দৌলত ইত্যাদি সব কিছু হারিয়ে লক্ষ্যহীন ভাবে ঘুরে বেড়ায়। এই সৎসঙ্গে তোমরা লক্ষ্যহীন হয়ে যায় । এটি হলো সৎসঙ্গের সাথে সাথে স্কুলও। স্কুলে পড়াশুনা হয়, উদ্দেশ্যহীন হয়ে যায় না। পড়াশুনা মানে হলো উপার্জন। যত তোমরা পড়াশুনা করে ধারণ করো আর করাও ততোই উপার্জন হয়। এই সৎসঙ্গে আসার অর্থই হলো লাভ আর লাভ।

ওম্ শান্তি ।
আত্মাদের পিতা বসে আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। আত্মা রূপী বাচ্চারাই এই কান দ্বারা শোনে। অসীম জগতের পিতা বাচ্চাদের বলেন - নিজেকে আত্মা মনে করো। এটি বারংবার শোনার ফলে বুদ্ধির বিপথগামিতা বন্ধ হয়ে স্থির হয়ে যাবে। নিজেকে আত্মা মনে করে বসে যাবে বা স্থিত হবে। বাচ্চারা মনে করে এখানে আমরা দেবতা হতে এসেছি। আমরা এই বাচ্চারা হলাম অ্যাডপ্টেড। আমরা ব্রাহ্মণরা পড়াশুনা করি। কি পড়ি? ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হই। যেরকম কোনো বাচ্চা কলেজে গেলে মনে করে যে আমি পড়াশুনা করে ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ইত্যাদি হবো। (অ্যাডমিশনে) বসা মাত্রই বুঝে যায়। তোমরাও ব্রহ্মার বাচ্চারা ব্রাহ্মণ হলে মনে করো আমরা ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হবো। বলা হয় - মানুষ থেকে দেবতা... কিন্তু কে হবে? সব হিন্দু তো দেবতা হয় না। বাস্তবে হিন্দু তো কোনো ধর্মই নয়। আদি সনাতন কোনো হিন্দু ধর্ম হলো না। যে কাউকেই জিজ্ঞেস করো হিন্দু ধর্ম কে স্থাপন করেছে? এতে বিভ্রান্ত হয়ে পড়বে। এই নাম অজ্ঞানতার বশে রেখে দিয়েছে। হিন্দুস্থানে যারা থাকে নিজেদের তারা হিন্দু বলে। বাস্তবে এর নাম হলো ভারত, না কি হিন্দুস্থান। ভারত ভূমি বলা হয়, না কি হিন্দুস্থান ভূমি। হলোই ভারত। তো ওদের এটাও জানা নেই যে এটা কোন ভূমি। অপবিত্র হওয়ার জন্য তো নিজেদের দেবতা মনে করতে পারে না। দেবী-দেবতা পবিত্র ছিল। এখন আর সেই ধর্ম (দেবী-দেবতা ধর্ম) নেই। আর সব ধর্ম চলে এসেছে- বুদ্ধের বৌদ্ধ ধর্ম, ইব্রাহম এর ইসলাম, খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান। যাই হোক, হিন্দু ধর্মের তো কেউই নেই। এই হিন্দুস্থান নাম তো ফরেনার্স রেখেছে। পতিত হওয়ার কারণে নিজেদের দেবতা ধর্মের মনে করা হয় না। বাবা বুঝিয়েছেন আদি সনাতন হলো দেবী-দেবতা ধর্ম, বহু প্রাচীন। শুরুর ধর্ম কোনটি? দেবী- দেবতা। হিন্দু বলা হবে না। এখন তোমরা ব্রহ্মার অ্যাডাপ্টেড বাচ্চারা ব্রাহ্মণ হয়ে গেছো। ব্রাহ্মণ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য পঠন-পাঠন করছো। এরকম নয় যে হিন্দু থেকে দেবতা হওয়ার জন্য পঠন-পাঠন করছো। ব্রাহ্মণ থেকে দেবতায় পরিণত হও। এটা ভালো ভাবে ধারণা করে রাখো। এখন তো দেখো অনেক ধর্ম আছে। অ্যাড (যোগ) হয়েই চলেছে। যখনই কোথাও ভাষণ ইত্যাদি করবে তো এটাই বোঝানো ভালো। এখন হলো কলিযুগ, সব ধর্ম এখন হলো তমোপ্রধান। চিত্রের উপর তোমরা বোঝালে তো আবার সেই ঔদ্ধত্য চূর্ণ হবে- আমি হলাম অমুক, এই হই...। বুঝবে, আমরা তো হলাম তমোপ্রধান। সর্বপ্রথম বাবার পরিচয় দিয়ে দেওয়া হয়, আবার দেখাতে হবে এই পুরোনো দুনিয়া পরিবর্তন হবে। দিন-প্রতিদিন চিত্রও ক্রমশ শোভনীয় হতে থাকছে। যেরকম স্কুলের বাচ্চাদের বুদ্ধিতে নক্সা থাকে। তোমাদের বুদ্ধিতে সেরকমই এই নক্সা থাকা চাই। নম্বর ওয়ান ম্যাপ হলো এটা, উপরে ত্রিমূর্তিও আছে, দুটি গোলাও আছে- সত্যযুগ আর কলিযুগ। এখন আমরা পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে আছি। এই পুরোনো দুনিয়া লোপ পাবে। এক আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম স্থাপনা হচ্ছে। তোমরা হলে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের। হিন্দু ধর্ম তো হয়ই না। যেরকম সন্ন্যাসীরা ব্রহ্ম, এই থাকার জায়গাকে ঈশ্বর মনে করে, সে রকম হিন্দুস্থানে যারা থাকে তারা হিন্দু ধর্ম মনে করে নিয়েছে। তোমাদের থেকে ওদের এই পার্থক্য আছে। দেবী-দেবতা নাম তো হলো অনেক উচ্চ। বলা হয় এ তো যেন দেবতা। কারোর মধ্যে ভালো গুণ থাকলে এরকম বলা হয়-এর মধ্যে দেবতার গুণ আছে।

তোমরা মনে করো এই রাধা-কৃষ্ণই স্বয়ম্বরের পরে লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়, ওনাকে বিষ্ণু বলা হয়ে থাকে। চিত্র সবার আছে কিন্তু কেউ জানে না। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের এখন বাবা বসে বোঝাচ্ছেন, বাবাকেই সকলে স্মরণ করে। এরকম কোনো মানুষ নেই যার মুখে বা কথায় ভগবান নেই। এখন ভগবানকে বলা হয় নিরাকার। নিরাকারের অর্থও বোঝে না। এখন তোমরা সব কিছু জেনে যাও। পাথর বুদ্ধি থেকে দিব্য-বুদ্ধি সম্পন্ন হয়ে যাও। এই নলেজ ভারতবাসীদের জন্য, না কি অন্য ধর্মের লোকেদের জন্য। যাইহোক, এটা বোঝা যায় যে এতো বিস্তার কি ভাবে হয় এবং অন্যান্য ভূমির অস্তিত্ব কি ভাবে আসে। সেখানে তো ভারত ভূমি ছাড়া অন্য কোনো ভূমি থাকবে না। এখন সেই এক ধর্ম নেই, যদিও আর সব ধর্ম দাঁড়িয়ে আছে। তাই বলবে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল না কি হিন্দু ধর্ম। তোমরা এখন ব্রাহ্মণ হয়েছো, দেবতা হওয়ার জন্য প্রথমে অবশ্যই ব্রাহ্মণ হতে হবে। শূদ্র বর্ণ আর ব্রাহ্মণ বর্ণ বলা হয়ে থাকে। শূদ্র ডিনায়েস্টি বলা হয় না। রাজারা-রাণীরা আছে। প্রথমে দেবী-দেবতা মহারাজা- মহারাণী ছিল। এখানে হিন্দু মহারাজা-মহারাণী। ভারত তো একই আবার সেটা পৃথক পৃথক কিভাবে হলো ? ওদের নাম-চিহ্নই লুপ্ত করে দিয়েছে, শুধু মাত্র চিত্র আছে। নম্বর ওয়ান হলো সূর্যবংশী। রামকে সূর্যবংশী বলা হবে না। এখন তোমরা এসেছো সূর্যবংশী হওয়ার জন্য, না কি চন্দ্রবংশী হওয়ার জন্য। এ হলো রাজযোগ। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমরা এরকম লক্ষ্মী-নারায়ণ হবো। হৃদয়ে খুশী থাকে-বাবা আমাদের পড়াচ্ছেন, মহারাজা-মহারাণী করার জন্য। এ হলো সত্যনারায়ণের সত্যিকারের কথা। পূর্বে তোমরা জন্ম-জন্মান্তর সত্য-নারায়ণের কথা শুনেছো। কিন্তু সেটার মধ্যে কোনো সত্যতা নেই। ভক্তি মার্গে কখনো মানুষ থেকে দেবতা হতে পারে না। মুক্তি-জীবনমুক্তি পেতে পারে না। সমস্ত মানুষেরই অবশ্যই মুক্তি-জীবন মুক্তি প্রাপ্ত হয়। এখন সকলে বন্ধনে আছে। উপর থেকে আজও কোনো আত্মা এলে তো জীবনমুক্তিতে আসবে, না কি জীবন বন্ধতে। অর্ধেক সময় জীবন মুক্তি, অর্ধেক সময় জীবন বন্ধতে যাবে। এই খেলা পূর্বেই প্রস্তুত হয়ে আছে। এই অসীম জগতের খেলায় আমরা সকলেই হলাম অ্যাক্টর্স, এখানে আসি পার্ট প্লে করতে। আমরা আত্মারা এখানকার অধিবাসী নই। কি ভাবে আসি- এই সব কথা বোঝান হয়। কোন আত্মারা এখানেই পুনর্জন্ম নিতে থাকে। বাচ্চারা, তোমাদের আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সমগ্র ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি বুদ্ধিতে আছে। অসীম জগতের পিতা উপরে বসে কি করেন, কিছু জানে না, সেইজন্য ওদের কে বলা হয়ে থাকে তুচ্ছ বুদ্ধি সম্পন্ন । তোমরাও তুচ্ছ বুদ্ধি সম্পন্ন ছিলে। এখন বাবা তোমাদের রচয়িতা আর রচনার আদি, মধ্য, অন্তের রহস্য বুঝিয়েছেন। তোমরা গরীব, সাধারণ সব কিছু জানো। তোমরা হলে স্বচ্ছ বুদ্ধি সম্পন্ন। পবিত্র কে স্বচ্ছ বলা হয়। তুচ্ছ বুদ্ধি অপবিত্র হয়ে দাঁড়ায়। তোমরা এখন দেখো কি হচ্ছো। স্কুলেও পড়াশুনার জন্য উঁচু পদ প্রাপ্ত হতে পারে। তোমাদের পঠন-পাঠন হলো উচ্চতমের চেয়েও উচ্চ, যার দ্বারা তোমরা রাজ্য পদ প্রাপ্ত করো। তারা তো দান-পুণ্য করার জন্য রাজার কাছে জন্ম নেয়, আবার রাজা হয়। কিন্তু তোমরা এই পঠন-পাঠন দ্বারা রাজা হও। বাবা-ই বলেন আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই। বাবা ব্যাতীত কেউই রাজযোগ শেখাতে পারে না। বাবা-ই তোমাদের রাজযোগের পঠন-পাঠন করান। তোমরা আবার দ্বিতীয় জনকে বোঝাও। বাবা রাজযোগ শেখান যাতে তোমরা পতিত থেকে পবিত্র হয়ে যাও। নিজেকে আত্মা মনে করে নিরাকার পিতাকে স্মরণ করলে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে আর চক্র সম্বন্ধে অবগত হওয়ায় সত্যযুগে চক্রবর্তী রাজা হয়ে যাবে। এটি বোঝানো তো খুব সহজ। এখন দেবতা ধর্মের তো কেউই নেই। সবাই অন্যান্য ধর্মে কনভার্ট (রূপান্তরিত) হয়ে গেছে। তোমরা কাউকে বোঝালে সর্ব প্রথম বাবার পরিচয় দাও। বাবা বোঝান অন্যান্য ধর্মে কতো চলে গেছে। বৌদ্ধ, মুসলমান ইত্যাদি প্রচুর হয়ে গেছে। তলোয়ারের জোরেও মুসলমান হয়ে গেছে। বৌদ্ধও অনেকে হয়েছে। একবার স্পিচ করাতেই হাজার বৌদ্ধীতে পরিণত হয়েছে। ক্রিশ্চানও ঐরকম এসে স্পীচ দেয়। সব থেকে বেশী আদমশুমারী এই সময় ওদেরই। বাচ্চারা, এখন তো তোমাদের বুদ্ধিতে সমস্ত সৃষ্টি চক্র আবর্তিত হতে থাকে, তখন বাবা বলেন, তোমরা হলে স্বদর্শন চক্রধারী। স্বদর্শন চক্র বিষ্ণুর দেখানো হয়। কিন্তু মানুষ এটা জানে না স্বদর্শন চক্র কেন বিষ্ণুর দেখানো হয়? স্বদর্শন চক্রধারী কৃষ্ণ বা নারায়ণকে বলা হয়। এটাও বোঝানো দরকার যে এই দুজনের কানেক্শন কি? এই তিন হলো একই। বাস্তবে এই স্বদর্শন চক্র তো তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের জন্য। জ্ঞানের দ্বারা স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে ওঠ। যদিও স্বদর্শন চক্র কোনো মারা-কাটার জন্য নয়। এ হলো জ্ঞানের কথা। যত তোমাদের এই জ্ঞানের চক্র আবর্তিত হবে, ততোই তোমাদের পাপ ভস্ম হবে। এছাড়া মাথা কাটার কোনো ব্যাপার নয়। চক্র কোনো হিংসার জন্য না। এই চক্র তো তোমাদের অহিংসক করে তোলে। কোথাকার কথা কোথায় নিয়ে গেছে। বাবা ব্যাতীত আর কেউ বোঝাতে পারে না।

তোমাদের অর্থাৎ মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের অফুরন্ত খুশী থাকে। এখন তোমরা বোঝো আমরা হলাম আত্মা। পূর্বে তোমরা যে আত্মা ছিলে সেটা ভুলে গেছো, তাই পরমধাম গৃহও ভুলে গেছো। আত্মাকে তো আত্মাই বলা হয়। পরমাত্মাকে তো নুড়ি-পাথরে বলে দিয়েছে। আত্মাদের পিতাকে কতো গ্লানি করা হয়েছে। বাবা আবার এসে আত্মাদের জ্ঞান দেন। আত্মাদের জন্য কখনো বলা হয় না নুড়ি-পাথরে, কণায় কণায় আছে। জানোয়ারের কথাই তো আলাদা। পঠন-পাঠন ইত্যাদি মানুষেরই হয়। এখন তোমরা বুঝতে পারো, এতো জন্ম আমরা এই-এই হয়েছি। ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছি। কখনোই ৮৪ লক্ষ হয় না। মানুষ কতো অজ্ঞানতার অন্ধকারে আছে, সেইজন্য বলা হয়-জ্ঞান সূর্য প্রকাশিত...। অর্ধ-কল্প দ্বাপর-কলিযুগের অন্ধকার, অর্ধ-কল্প সত্যযুগ-ত্রেতার প্রকাশ বা আলো। দিন আর রাত, প্রকাশ আর অন্ধকারের এই জ্ঞান। স্কুলে যা পড়ো, তাকে দিশাহীন চলা, বলা যায় না। সৎসঙ্গে মানুষ কতো দিশাহীন চলে। প্রাপ্তি কিছুই হয় না, আরোই লোকসান, সেইজন্য ওকে উদ্দেশ্যহীন চলন বলা হয়। দিশাহীন ভাবে ঘুরতে ঘুরতে ধন দৌলত ইত্যাদি সব হারিয়ে কাঙাল হয়ে পড়ে। এখন এই পড়াশুনাতে যে যেমন-যেমন ভালো করে ধারণ করবে আর করাবে, লাভ আর লাভ হবে। ব্রাহ্মণ হয়ে গেলে লাভ আর লাভ। তোমরা জানো আমরা এই ব্রাহ্মণরাই স্বর্গবাসী হই। স্বর্গবাসী তো সবাই হবে। কিন্তু তোমরা ওখানে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার পুরুষার্থ করছো।

এখন তোমাদের সকলের বাণপ্রস্থ অবস্থা। তোমরা নিজেরা বলো - বাবা, আমাদের বাণপ্রস্থ বা পবিত্র দুনিয়াতে নিয়ে যাও, সেটি হলো আত্মাদের দুনিয়া। নিরাকারী দুনিয়া কতো ছোটো। এখানে তো ঘুরে বেড়ানোর জন্য কতো বড় জমি আছে। ওখানে এই কথা নেই, শরীর নেই, পার্ট বা কার্যকারীতা নেই। স্টারের মতো আত্মারা দাঁড়িয়ে আছে। এটা তো প্রকৃতির বিস্ময়। সূর্য, চাঁদ, তারারা কি ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। আত্মারাও ব্রহ্ম তত্ত্বে নিজেদের আধারে ন্যাচারাল (স্বাভাবিক ভাবে) দাঁড়িয়ে আছে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) জ্ঞানের মন্থন করে স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে। স্বদর্শন চক্র ঘুরিয়ে পাপ সমূহ খন্ডন করতে হবে। ডবল অহিংসক হতে হবে।

২ ) নিজের বুদ্ধিকে স্বচ্ছ পবিত্র বানিয়ে রাজযোগের পাঠ পড়তে হবে আর উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে হবে। হৃদয়ে সর্বদা এই খুশী থাকবে যে আমরা সত্য নারায়ণের সত্যিকারের কথা শুনে মানুষ থেকে দেবতা হই।

বরদান:-
মন-বুদ্ধিকে অর্ডার অনুসারে বিধিসম্মত ভাবে কাজে প্রয়োগকারী নিরন্তর যোগী ভব

নিরন্তর যোগী অর্থাৎ স্বরাজ্য অধিকারী হওয়ার বিশেষ সাধন হলো মন আর বুদ্ধি। মন্ত্রই হলো - মন্মনা ভব। যোগকে বুদ্ধিযোগ বলা হয়। তো যদি এই বিশেষ আধার স্তম্ভ নিজের অধিকারে থাকে অর্থাৎ অর্ডার অনুসারে বিধিপূর্বক কাজ করে তাহলে যে সংকল্প যখন করতে চাও, তখনই সেই সংকল্প করতে পারবে, যেখানে বুদ্ধি যুক্ত করতে চাও, সেখানে যুক্ত করতে পারবে, তুমি রাজা হওয়ার কারনে বুদ্ধি তোমাকে উদ্ভ্রান্ত করবে না। বিধিপূর্বক কাজ করবে, তখন বলা হবে নিরন্তর যোগী।

স্লোগান:-
মাস্টার বিশ্ব শিক্ষক হও, সময়কে শিক্ষক বানিও না।