21-09-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
02-02-2007 মধুবন
“পরমাত্ম প্রাপ্তিতে সম্পন্ন আত্মার লক্ষণ -
হোলিয়েস্ট, হাইয়েস্ট আর রিচেস্ট"
আজ বিশ্ব পরিবর্তক বাপদাদা নিজের সাথী বাচ্চাদের সাথে মিলিত হতে এসেছেন। প্রত্যেক
বাচ্চার মস্তকে তিন বিশেষ পরমাত্ম প্রাপ্তি দেখছেন। ১) হোলিয়েস্ট ২) হাইয়েস্ট এবং
৩) রিচেস্ট। এই জ্ঞানের ফাউন্ডেশনই হলো হোলি অর্থাৎ পবিত্র হওয়া। তো প্রত্যেক
বাচ্চা হোলিয়েস্ট, পবিত্রতা শুধু ব্রহ্মচর্য নয় বরং মন-বাণী-কর্ম,
সম্বন্ধ-সম্পর্কে পবিত্রতা। তোমরা দেখ, তোমরা পরমাত্ম ব্রাহ্মণ আত্মারা আদি-মধ্য-
অন্ত তিন কালেই হোলিয়েস্ট থাকো। প্রথম প্রথম আত্মা যখন পরম ধামে থাকো তখন সেখানেও
হোলিয়েস্ট থাকো। তারপরে যখন আদিতে আসো তখন আদিকালেও দেবতা রূপে হোলিয়েস্ট আত্মা
ছিলে। হোলিয়েস্ট অর্থাৎ পবিত্র আত্মার বিশেষত্ব, প্রবৃত্তিতে থেকে সম্পূর্ণ পবিত্র
থাকা। তোমরা পবিত্র, কিন্তু এছাড়াও তোমাদের পবিত্রতার লক্ষণ এটাই যে স্বপ্নেও যেন
অপবিত্রতা তোমাদের মন-বুদ্ধিকে যেন টাচ্ না করে। সত্যযুগে আত্মাও পবিত্র হয় আর
শরীরও পবিত্র হয়। আত্মা আর শরীর এই দুইয়ের পবিত্রতা যা দেব আত্মা রূপে থাকে, সেটা
শ্রেষ্ঠ পবিত্রতা। যত তোমরা হোলিয়েস্ট হও ততই হাইয়েস্টও হও। সবচাইতে উঁচু হতে উঁচু
ব্রাহ্মণ আত্মারা আরও উঁচু হতে উঁচু বাবার বাচ্চা হয়েছ। আদিতে পরমধামেও হাইয়েস্ট
অর্থাৎ বাবার সাথে সাথে থাকো। মধ্যতেও পূজ্য আত্মা হও। কত সুন্দর মন্দির তৈরি হয়
আর কত বিধিপুর্বক পূজা হয়ে থাকে! মন্দিরে যতটা বিধিপূর্বক পূজা তোমরা সব দেবতার হয়,
অন্যান্যদের অতো মন্দির হয় ঠিকই কিন্তু বিধিপূর্বক পূজা হয় তোমাদের দেবতা রূপেরই।
তো হোলিয়েস্টও তোমরা আর হাইয়েস্টও তোমরা, সেইসাথে রিচেস্টও। দুনিয়াতে বলা হয়
রিচেস্ট ইন দ্য ওয়ার্ল্ড, কিন্তু তোমরা শ্রেষ্ঠ আত্মারা রিচেস্ট ইন কল্প। সমগ্র
কল্পে রিচেস্ট। নিজেদের ভাণ্ডার স্মৃতিতে আসে তোমাদের? কত ভাণ্ডারের মালিক তোমরা!
অবিনাশী ভাণ্ডার যা এই এক জন্মে প্রাপ্ত করো তা' অনেক জন্ম চলে। আর কারও ভাণ্ডার
অনেক জন্ম চলে না। কিন্তু তোমাদের ভাণ্ডার আধ্যাত্মিক। শক্তির ভাণ্ডার, জ্ঞানের
ভাণ্ডার, গুণের ভাণ্ডার, শ্রেষ্ঠ সংকল্পের ভাণ্ডার এবং বর্তমান সময়ের ভাণ্ডার, এই
সর্ব ভাণ্ডার জন্ম জন্ম চলে। এক জন্মের প্রাপ্ত হওয়া ভাণ্ডার সাথে সাথে চলে। কেননা,
সর্ব ভাণ্ডারের দাতা পরমাত্ম বাবা দ্বারা প্রাপ্ত হয়। তো এই নেশা থাকে কি আমাদের
ভাণ্ডার অবিনাশী?
এই আধ্যাত্মিক ভাণ্ডার প্রাপ্ত করার জন্য সহজযোগী হয়েছ। স্মরণের শক্তি দ্বারা
ভাণ্ডার প্রস্তুত করে থাকো। এই সময়ও এই সর্ব ভাণ্ডারে সম্পন্ন নিশ্চিন্ত বাদশাহ
তোমরা, কোনো চিন্তা আছে? আছে চিন্তা? কেননা, এই সমুদয় ভাণ্ডার যা রয়েছে তা' চোর
লুঠ করতে পারে, না রাজা খেতে পারে, না জল ডুবাতে পারে, সেইজন্য তোমরা নিশ্চিন্ত
বাদশাহ। সুতরাং এই ভাণ্ডার সদা স্মৃতিতে থাকে তো না! আর স্মরণ সহজই বা কেন হয়?
কারণ স্মরণের সবচাইতে বড় আধার - এক সম্বন্ধ, আরেক প্রাপ্তি। সম্বন্ধ যত প্রিয় ততই
স্মরণ আসে, আপনা থেকেই। আর যেখানে স্নেহ থাকে সেখানে স্নেহীর পক্ষে স্মরণ করা কঠিন
হয় না, বরং ভুলে যাওয়া কঠিন। তো বাবা সর্ব সম্বন্ধের আধার বানিয়ে দিয়েছেন। সবাই
নিজেকে সহজযোগী অনুভব করো? নাকি মুশকিল যোগী হও? সহজ হয়? নাকি কখনো সহজ, কখনো
মুশকিল? যখন বাবার সাথে সম্বন্ধ সস্নেহে স্মরণ করো তখন স্মরণ করা মুশকিল হয় না এবং
প্রাপ্তি স্মরণ করো। সর্ব প্রাপ্তির দাতা সর্বপ্রাপ্তি করিয়ে দিয়েছেন। তো নিজেকে
সর্ব ভাণ্ডারে সম্পন্ন অনুভব করো? ভাণ্ডার জমা করার সহজ বিধিও বাপদাদা বলেছেন -
অবিনাশী ভাণ্ডার যা কিছুই আছে সেই সব ভাণ্ডারের প্রাপ্তি করার বিধি হলো - বিন্দু।
যেমন বিনাশী ভাণ্ডারেও যদি বিন্দু লাগাতে থাকো তবে বৃদ্ধি পেতে থাকে তো না! তো
অবিনাশী ভাণ্ডার জমা করার বিধি হলো বিন্দু লাগানো। তিন বিন্দু হলো - এক) আমি আত্মা
বিন্দু, ২)বাবাও বিন্দু আর ৩)ড্রামাতে যা কিছু অতীত হয়ে যায় তা' ফুলস্টপ অর্থাৎ
বিন্দু। তো বিন্দু লাগাতে জানো তোমরা? সবচাইতে বেশি সহজ মাত্রা কোনটা? বিন্দু লাগানো,
তাই না! তো আত্মা বিন্দু আমি, বাবাও বিন্দু এই স্মৃতিতে আপনা থেকেই ভাণ্ডার জমা হয়ে
যায়। তো বিন্দুকে স্মরণ করলে সেকেন্ডে কত খুশি লাগে! এই সমুদয় ভাণ্ডার তোমাদের
ব্রাহ্মণ জীবনের অধিকার। কেননা, বাচ্চা হওয়া অর্থাৎ অধিকারী হওয়া। তাছাড়া, বিশেষ
তিন সম্বন্ধের অধিকার প্রাপ্ত হয় - পরমাত্মাকে বাবাও বানিয়েছো, শিক্ষকও বানিয়েছো
আর সদ্গুরুও বানিয়েছো। এই তিন সম্বন্ধের দ্বারা পালনা, পঠন-পাঠনের দ্বারা সোর্স অফ
ইনকাম এবং সদ্গুরুর দ্বারা বরদান প্রাপ্ত হয়। কত সহজে বরদান প্রাপ্ত হয়। কারণ
বাচ্চাদের জন্মসিদ্ধ অধিকার বাবার থেকে বরদান প্রাপ্ত করার।
বাপদাদা সব বাচ্চার জমার খাতা চেক করেন। তোমরাও সবাই নিজের সব সময়ের জমার খাতা চেক
করো। জমা হয়েছে কী হয়নি, তার বিধি হলো যে কর্মই করেছ, সেই কর্মে নিজেরও সন্তুষ্টি
আর যার সাথে কর্ম করেছো তারও সন্তুষ্টি। যদি উভয়ের সন্তুষ্টতা থাকে তবে বুঝবে
কর্মের খাতা জমা হয়েছে। যদি নিজের মধ্যে বা যার সাথে সম্বন্ধ আছে, তার মধ্যে
সন্তুষ্টতা না আসে তবে জমা হয় না।
বাপদাদা সব বাচ্চাকে সময়ের সূচনাও দিতে থাকেন। বর্তমান সঙ্গমের এই সময় সমগ্র
কল্পের শ্রেষ্ঠ হতে শ্রেষ্ঠ সময়। কেননা, এই সঙ্গমই শ্রেষ্ঠ কর্মের বীজ বপনের সময়।
প্রত্যক্ষ ফল প্রাপ্ত করার সময়। এই সঙ্গম সময়ে একেক সেকেন্ড শ্রেষ্ঠ হতে শ্রেষ্ঠ।
সবাই এক সেকেন্ডে অশরীরী স্থিতিতে স্থিত হতে পারো? বাপদাদা সহজ বিধি বলেছেন -
নিরন্তর স্মরণের জন্য এক বিধি বানাও - সারাদিনে দুটো শব্দ তোমরা সবাই বলো আর
অনেকবার বলো, সেই দুই শব্দ "আমি" আর "আমার"। তো যখন আমি শব্দ বলো তো বাবা তো পরিচয়
দিয়েই দিয়েছেন আমি আত্মা। শুধু আমি ভেবো না, আমি আত্মা, সাথে এটা ভাবো কেননা তোমরা
জানো তো না যে আমি শ্রেষ্ঠ আত্মা, পরমাত্ম পালনার ভিতরে থাকা আত্মা আমি, তাছাড়া
যখন আমার শব্দ বলো তো আমার কে? আমার বাবা অর্থাৎ বাবা পরমাত্মা। তো যখনই আমি আর
আমার শব্দ বলছ সেই সময় এটা অ্যাডিশন করো, আমি আত্মা আর আমার বাবা। আমার ভাব যত
বাবাতে আনবে, স্মরণ ততই সহজ হয়ে যাবে। কেননা, ''আমার" কখনো কেউ ভোলে না। সারাদিনে
দেখ, 'আমার' এটাই স্মরণে আসে। তো এই বিধিতে সহজভাবে নিরন্তর যোগী হতে পারো। বাপদাদা
সব বাচ্চাকে স্বমানের সিটে বসিয়েছেন। স্বমানের লিস্ট যদি স্মৃতিতে আনো তো কত লম্বা
হয়! কেননা, স্বমানে যদি স্থিত হও তবে দেহ অভিমান আসতে পারে না। হয় দেহ অভিমান
থাকবে নয়তো স্বমান থাকবে। স্ব মানের অর্থই হলো - স্ব অর্থাৎ আত্মার শ্রেষ্ঠ
স্মৃতির স্থান। তো সবাই তোমরা নিজের নিজের স্বমানে স্থিত আছো? স্বমানে যত স্থিত হবে
ততই অন্যকে সম্মান দেওয়া আপনা থেকেই হয়। তো স্বমানে স্থিত থাকা কত সহজ!
তো সবাই প্রসন্ন থাকো তোমরা? কেননা যারা প্রসন্ন থাকে তারা অন্যকেও প্রসন্ন বানায়।
বাপদাদা সদা বলেন যে সারাদিন খুশি কখনও নষ্ট ক'রো না। কেন? খুশি এমন একটা জিনিস যা
একই খুশিতে হেল্থও আছে, ওয়েলথও আছে আর হ্যাপিও। খুশি না থাকলে তো জীবন নীরস থাকে।
খুশিকেই বলা হয়ে থাকে "খুশির মতো কোনো ভাণ্ডার নেই।" যতই ভাণ্ডার থাকুক না কেন
কিন্তু যদি খুশি না থাকে তাহলে ভাণ্ডার থেকে প্রাপ্তিও করতে পারবে না। খুশির
ব্যাপারে বলা হয়ে থাকে - খুশির মতো কোনো রসদ নেই। ওয়েল্থও খুশি আর হেল্থও খুশি আর
নামই যখন খুশি তখন হ্যাপিনেস তো আছেই। তো খুশিতে তিনটে জিনিসই আছে। আর বাবা অবিনাশী
খুশির ভাণ্ডার দিয়েছেন, বাবার ভাণ্ডার নষ্ট ক'রো না। তো সদা খুশি থাকো তোমরা?
বাপদাদা হোমওয়ার্ক দিয়েছেন, তো খুশি থাকতে হবে এবং খুশি বিতরণ করতে হবে। কেননা,
খুশি এমন জিনিস যে যত বিতরণ করবে ততো বাড়বে। অনুভব করে দেখেছ! অনুভব করেছো না? যদি
খুশি বিতরণ করো তবে বিতরণ করলে খুশি আগে নিজের কাছে বাড়ে। যে খুশি করে সে আগে নিজে
খুশি হয়। তো সবাই হোমওয়ার্ক করেছো? করেছো? যে করেছ সে হাত উঠাও। খুশি থাকতে হবে,
কারণ নয় নিবারণ করতে হবে, সমাধান স্বরূপ হতে হবে - এসব যে করেছ হাত তোলো। এখন এটা
বলবে না তো না - এটা হয়ে গেছে! বাপদাদার কাছে অনেক বাচ্চা নিজেদের রেজাল্টও লিখেছে
যে আমি কত পার্সেন্ট ও.কে. থেকেছি। আর, যদি লক্ষ্য রাখো তো লক্ষ্য দ্বারা লক্ষণ আপনা
থেকেই আসে। আচ্ছা।
ডবল বিদেশি :- বিদেশিরা
নিজেদের অরিজিনাল বিদেশ তো ভোলে না, তাই না! অরিজিনালি তোমরা কোন্ দেশের, সেটা
স্মরণে থাকে তো না! সেইজন্য সবাই তোমাদের বলে ডবল বিদেশি। শুধু বিদেশি নও, ডবল
বিদেশি। তো তোমাদের নিজেদের সুইট হোম কখনো ভুলে যাও না। তো কোথায় থাকো তোমরা?
বাপদাদার হৃদয় সিংহাসনাসীন তো না! বাপদাদা বলেন যখন কোনও ছোটখাটো সমস্যা আসবে,
সমস্যা নয়, পেপার আসবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তো বাপদাদার হৃদয়
সিংহাসন তো তোমাদের অধিকার। হৃদয় সিংহাসনাসীন হয়ে যাও তবে সমস্যা খেলনা হয়ে যাবে।
সমস্যাতে তখন ঘাবড়ে যাবে না, খেলবে। এটা খেলনা। সবাই তোমরা উড়তি কলার তো না? উড়তি
কলায় আছো? নাকি চলনদার? যারা উড়ছ তারা হাত উঠাও। উড়ন্ত! অর্ধেক হাত তুলছো! তোমরা
উড়ন্ত! আচ্ছা। কখনো কখনো তোমরা ওড়া ছেড়ে দাও কি? চলছি এটা নয়, অনেকে বাপদাদাকে
বলে বাবা আমি খুব ভালো চলছি। তো বাপদাদা বলেন চলছ নাকি উড়ছো? এখন চলার সময় নেই,
ওড়ার সময়। উৎসাহ-উদ্দীপনার, সাহসের ডানা প্রত্যেকের সাথে যুক্ত আছে। তো ডানার
দ্বারাই উড়তে হয়। তো রোজ চেক করো, উড়তি কলায় উড়ছো কিনা। এটা ভালো, রেজাল্টে
বাপদাদা দেখেছেন বিদেশে সেন্টার্স বাড়ছে। ক্রমশঃ বাড়বেই। যেমন ডবল বিদেশি তেমনই
ডবল সেবা মন্সা ও বাচা একসাথে করতে করতে এগিয়ে চলো। মন্সা শক্তি দ্বারা আত্মাদের
আত্মিক বৃত্তি বানাও। বায়ুমন্ডল বানাও। এখন দুঃখ বাড়ছে দেখে দয়া আসে না? তোমাদের
জড় চিত্রের সামনে চিৎকার করতে থাকে মার্সি দাও, মার্সি দাও, মার্সি দাও। এখন দয়ালু,
কৃপালু, হৃদয়বান হও। নিজের প্রতিও দয়া এবং অন্যান্য আত্মাদের প্রতিও দয়া করো। এটা
ভালো - সব সিজনে, সব টার্নে এসে যায়। এটাতে সবাই খুশি হয়। সুতরাং উড়ে চলো আর
অন্যদের উড়িয়ে চলো। এটা ভালো, রেজাল্টে দেখেছেন এখন নিজেকে পরিবর্তন করতে ফাস্ট
যাচ্ছ তোমরা। তো স্ব এর পরিবর্তনের গতি বিশ্ব পরিবর্তনের গতি বাড়ায়। আচ্ছা।
যারা প্রথমবার এসেছ তারা ওঠো :-
তো তোমাদের সবাইকে ব্রাহ্মণ জন্মের অভিনন্দন। ভালো মিষ্টি তো
পাবে কিন্তু বাপদাদা দিলখুশ মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন। প্রথমবার মধুবন আসার এই দিলখুশ
মিষ্টি সদা স্মরণে রাখো। ওই মিষ্টি তো মুখে দেবে আর সাথে সাথেই শেষ হয়ে যাবে কিন্তু
এই দিলখুশ মিষ্টি সদা সাথে থাকবে। তোমরা এসেছ, স্বাগত! বাপদাদা এবং দেশ বিদেশের
সমগ্র পরিবার তোমরা তোমাদের ভাইবোনদের দেখে খুশি হচ্ছো। সবাই দেখছে, আমেরিকাও দেখছে,
রাশিয়া থেকে যারা তারাও দেখছে, লণ্ডনের ওরাও দেখছে, ৫ খণ্ডই দেখছে। তো ওখানে বসে
বসে তোমাদের সবাইকে জন্মদিনের অভিনন্দন জানাচ্ছে। আচ্ছা।
বাপদাদার অধ্যাত্ম ড্রিল স্মরণে আছে তো না! এখন বাপদাদা চান
সব বাচ্চা বাবা সমান হোক, নতুন হোক বা পুরানো, ছোট হোক বা বড় হোক, ছোটরা তো আরোই
তাড়াতাড়ি বাবা সমান হতে পারে। তো এখন সেকেন্ডে যেখানে মনকে লাগাতে চাও সেখানে যেন
মন একাগ্র হয়ে যায়। একাগ্রতার এই ড্রিল সদাই করতে থাকো। এখন এক সেকেন্ডে মনের
মালিক হয়ে আমি আর আমার বাবা সংসার, দ্বিতীয় কেউ নয়, এই একাগ্র স্মৃতিতে স্থিত হয়ে
যাও। আচ্ছা।
চতুর্দিকের সকল তীব্র পুরুষার্থী বাচ্চাদের সদা
উৎসাহ-উদ্দীপনার পাখার দ্বারা উড়তি কলার অনুভাবী মূর্ত বাচ্চাদেরকে, সদা নিজের
স্বমানের সিটে সেট হয়ে থাকা বাচ্চাদের, সদা হৃদয়বান হয়ে যারা বিশ্বের আত্মাদের
মন্সা শক্তি দ্বারা অন্তত: ফোঁটায় ফোঁটায় কিছু না কিছু সুখ শান্তি দেয়, এমন
দয়ালু, কৃপালু বাচ্চাদের, সদা বাবার স্নেহে সমাহিত হওয়া হৃদয় সিংহাসনাসিন
বাচ্চাদের, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার।
আচ্ছা। সবাই অনেক অনেক অনেক খুশি, খুশি আছ! খুব খুশি? কতটা?
অনেক? তো সদা এরকমই থাকো। যা কিছু হয়ে যাক হতে দাও, এখন খুশি থাকতে হবে। আমাকে
উড়তে হবে, কেউ নিচে নামিয়ে আনতে পারবে না। পাক্কা! পাক্কা প্রতিজ্ঞা? কতটা পাক্কা?
ব্যস্ খুশি থাকো, সবাইকে খুশি দাও। কোনও ব্যাপার যদি ভালো না লাগে তবুও খুশি হারাতে
দিও না। অবাঞ্ছিত বিষয় ম্যানেজ করে নাও, খুশি যেন চলে না যায়। পরিস্থিতি তো শেষ
হয়ে যাওয়ারই আছে, কিন্তু খুশি তো সাথে সাথে যেতে হবে তাই না! তো যা সাথে যাওয়ার
তাকে ছেড়ে দাও তোমরা আর যে ছেড়ে যাওয়ার তাকেই কাছে রেখে দাও। এটা ক'রো না। অমৃত
বেলায় রোজ প্রথমে নিজেই নিজেকে খুশির ভোজন খাওয়াও। আচ্ছা।
বরদান:-
সুইট সাইলেন্সের লভলীন স্থিতি দ্বারা নষ্টমোহ সমর্থ
স্বরূপ ভব
দেহ, দেহের সম্বন্ধ, দেহের সংস্কার, ব্যক্তি কিংবা
বৈভব, বায়ুমন্ডল, ভাইব্রেশন সব থাকা সত্ত্বেও যেন নিজের দিকে আকর্ষণ না করে। লোক
চিৎকার করতে থাকে আর তোমরা অটল থাকো। প্রকৃতি, মায়া সব লাস্ট কৌশল প্রয়োগ করার
জন্য নিজের দিকে যতই টানতে থাকুক না কেন, তোমরা কিন্তু স্বতন্ত্র আর বাবার প্রিয়
হওয়ার স্থিতিতে লাভলীন থাকো - একেই বলা হয় দেখেও না দেখা, শুনেও না শোনা, এটাই
সুইট সাইলেন্স স্বরূপের লাভলীন স্থিতি। যখন এরকম স্থিতি হবে তখন বলা হবে নষ্টমোহ
সমর্থ স্বরূপের বরদানী আত্মা।
স্লোগান:-
হোলি হংস হয়ে অপগুণ রূপী কাঁকর ছেড়ে ভালত্বের মোতি
বাছাই করে এগিয়ে চলো।
অব্যক্ত ইশারাঃ - এখন লগণের অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে
যোগকে জ্বালা রূপ বানাও জ্বালারূপ হওয়ার জন্য সদা এই বাঁধাগৎ যেন থাকে যে এখন ঘরে
ফিরে যেতে হবে। যেতে হবে অর্থাৎ উপরম। যখন নিজের নিরাকারী ঘরে যেতে হবে তখন সেরকমই
নিজের বেশভূষা বানাতে হবে। তো যেতে হবে এবং সবাইকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে - এই
স্মৃতি দ্বারা আপনা থেকেই সর্ব সম্বন্ধ, সর্ব প্রকৃতির আকর্ষণ থেকে উপরম অর্থাৎ
সাক্ষী হয়ে যাবে। সাক্ষী হওয়াতে সহজেই বাবার সাথী ও বাবার সমান হয়ে যাবে। সূচনাঃ-
আজ মাসের তৃতীয় রবিবার, সকল রাজযোগী তপস্বী ভাইবোন সন্ধ্যা সাড়ে ছ'টা থেকে সাড়ে
সাতটা পর্যন্ত বিশেষ যোগ অভ্যাসের সময় নিজের আকারি ফরিস্তা স্বরূপে স্থিত হয়ে
ভক্তের আর্তি শুনে উপকার করুন। মাস্টার দয়ালু, কৃপালু হয়ে সবার প্রতি দয়ার দৃষ্টি
দিন। মুক্তি জীবনমুক্তির বরদান দিন।