22.02.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা তোমাদের যা কিছু শোনাচ্ছেন শুধু সেইসবই শোনো, কোনো আসুরিক কথা শুনবেও না, বলবেও না, হিয়ার নো ইভিল, সী নো ইভিল..."

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, তোমাদের কোন্ নিশ্চয় বাবার দ্বারা-ই হয়েছে?

উত্তরঃ  
বাবা তোমাদেরকে নিশ্চয় করিয়েছেন যে, "আমি তোমাদের বাবাও, শিক্ষকও, এবং সদ্গুরুও", তোমরা পুরুষার্থ করো এই স্মৃতিতে থাকার। কিন্তু মায়া তোমাদেরকে এটাই ভুলিয়ে দেয়। অজ্ঞান কালে তো মায়ার কোনো কথাই নেই ।

প্রশ্নঃ -
কোন্ চার্ট টি রাখার জন্য বিশাল বুদ্ধি চাই?

উত্তরঃ -
নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে কতটা সময় স্মরণ করতে পারছি - এই চার্ট রাখার জন্য বিশাল বুদ্ধি চাই। দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করো তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে।

ওম্ শান্তি ।
স্টুডেন্ট এটা বুঝেছে যে, টিচার এসেছেন। এটা তো বাচ্চারা জানে যে, তিনি আমাদের বাবাও, টিচারও, আবার সুপ্রীম সদ্গুরুও । বাচ্চাদের স্মৃতিতে আছে, তবে পুরুষার্থের ক্রম অনুসারে। নিয়ম হলো, যখন একবার জেনে গেছে যে, তিনি আমাদের টিচার অথবা বাবা বা গুরু, তখন ভোলা সম্ভব নয়। কিন্তু এখানে মায়া তোমাদের ভুলিয়ে দেয়। অজ্ঞান কালে মায়া কখনো ভোলায় না। লৌকিকে, বাচ্চারা কখনো ভুলতে পারে না যে, ইনি হলেন আমাদের বাবা, ওনার অক্যুপেশন হলো এই। বাচ্চারা এটা জেনে খুশি থাকে যে, আমরা হলাম বাবার ধন-সম্পত্তির মালিক। সে নিজেই হয়তো পড়াশোনা করে, কিন্তু বাবার প্রপার্টি তো সে পায়, তাই না! এখানে বাচ্চারা, তোমরা পড়াশোনা করো আর বাবার প্রপার্টির অধিকারী হও। তোমরা রাজযোগ শিখছো। বাবার দ্বারাই নিশ্চয় হয়ে যায় যে, আমি হলাম বাবার, বাবা-ই আমাকে সদ্গতির রাস্তা বলে দিচ্ছেন, সেইজন্যই তো তিনি সদ্গুরুও । এই কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়। যা কিছু বাবা শোনাচ্ছেন, সেটাই শুনতে হবে। এখানে যে (তিন) বাঁদরের খেলনা দেখানো হয় - হিয়ার নো ইভিল, সী নো ইভিল..... এসব হলো মানুষের কথা। বাবা বলেন, আসুরিক কথা বলো না, শুনোও না দেখবেও না। হিয়ার নো ইভিল..... প্রথমদিকে বাঁদরদের মূর্তি বানিয়ে দেখানো হতো। এখন তো মানুষেরও মূর্তি বানাচ্ছে। তোমাদের কাছে নলিনী বাচ্চীর তোলা চিত্র রয়েছে । তাই তোমরা এমন কোনো কথা শুনবে না, যেখানে বাবার নিন্দা-গ্লানি করা হয়েছে। বাবা বলেন যে, সবথেকে বেশি নিন্দা আমারই হয়। তোমাদের জানা আছে যে, কৃষ্ণের ভক্তদের জ্বালানো ধূপের সুগন্ধ নাকে এলে রামের ভক্তরা নাক বন্ধ করে দেয়। পরস্পরের সুগন্ধও ভালো লাগে না। পরস্পরের শত্রু হয়ে যায়। এখন তোমরা হলে রাম-বংশী। সমগ্র জগৎ হলো রাবণ-বংশী। এখানে ধূপ ইত্যাদির তো কোনো কথাই নেই। তোমরা জানো যে বাবাকে সর্বব্যাপী বলার কারণে তোমাদের কি গতি হয়েছে! নুড়ি পাথরের মধ্যে বাবাকে স্থাপন করে তোমাদের বুদ্ধিও পাথর সমান হয়ে গেছে। তাই অসীম জগতের বাবা, যিনি তোমাদের স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রদান করেন, তাঁকে কতো গ্লানি করা হয়েছে। জ্ঞান তো কারোর মধ্যেই নেই। তারা কোনো জ্ঞানরত্ন নয়, তারা হলো পাথরের সমান। এখন তোমাদের, বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা বলেন, আমি যা, আমি যেমন, যথার্থ রীতি আমাকে কেউই জানেনা। বাচ্চাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার রয়েছে । বাবাকে যথার্থ রীতিতে স্মরণ করতে হবে। তিনি হলেন অত্যন্ত সূক্ষ্ম বিন্দু স্বরূপ। তাঁর মধ্যেই সমস্ত পার্ট ভরা আছে। বাবাকে যথার্থ রীতি জেনে স্মরণ করতে হবে, নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে। যদিও আমরা হলাম বাবার সন্তান, কিন্তু এমন নয় যে, বাবার আত্মা বড় আর আমাদের আত্মা হলো ছোট। না। যদিও বাবা হলেন নলেজফুল, কিন্তু আত্মা বড় ছোটো হয় না। তোমাদের আত্মাতেও জ্ঞান আছে, কিন্তু নম্বরের ক্রমানুসারে। স্কুলেও নম্বরের ক্রমানুসারে পাস হয় তাইনা! জিরো মার্কস কারো হয় না। কিছু না কিছু মার্কস তো প্রাপ্ত করে। বাবা বলেন যে, আমি যা কিছু জ্ঞান তোমাদের শোনাই, সেসব প্রায় লোপ হয়ে যায়। তবুও চিত্র আছে, শাস্ত্রাদিও অনেক বানানো হয়েছে। বাবা তোমাদের আত্মাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলছেন, হিয়ার নো ইভিল.....এই আসুরিক দুনিয়ায় কি দেখার আছে। এই ছিঃ ছিঃ দুনিয়ার থেকে চোখ বন্ধ করে নিতে হবে। এখন আত্মার স্মৃতিতে এসেছে যে, এটা হলো পুরানো দুনিয়া। এর সাথে কিসের কানেকশন। আত্মার স্মরণে এসেছে যে, এই দুনিয়াকে দেখেও দেখা উচিত নয়। নিজের শান্তিধাম আর সুখধামকে স্মরণ করতে হবে। আত্মার এখন জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রাপ্ত হয়েছে, তাই এই সমস্ত কথা চিন্তন করতে হবে। ভক্তিমার্গেও সকাল সকাল উঠে মালা জপ করে। সকালের সময়টা খুব সুন্দর হয়। ব্রাহ্মণদের সময়। ব্রহ্মা ভোজনেরও অনেক মহিমা আছে। ব্রহ্মভোজন নয়, ব্রহ্মাভোজন। তোমাদেরকেও ব্রহ্মাকুমারীর বদলে ব্রহ্মকুমারী বলে দেয়। বোঝেনা কিছুই। ব্রহ্মার সন্তান তো ব্রহ্মাকুমার-কুমারীই হবে, তাইনা! ব্রহ্ম তো হলো তত্ত্ব, থাকার স্থান, তার আবার কি মহিমা হতে পারে ! বাবা বাচ্চাদেরকে অনুযোগ করেন যে, বাচ্চারা তোমরা একদিকে পূজা করো আবার অন্যদিকে সকলের গ্লানিও করো। গ্লানি করতে করতে তমোপ্রধান হয়ে গেছো। তমোপ্রধান হতেই হয়, (সৃষ্টি) চক্র রিপিট হচ্ছে, তাই না ! যখন কোন নামকরা ব্যক্তি আসে, তখন তাকেও এই সৃষ্টি চক্র সম্বন্ধে অবশ্যই বোঝাতে হবে। এই চক্র হলো ৫ হাজার বছরেরই, এর উপরে বেশি করে অ্যাটেনশন দিতে হবে। রাতের পর দিন অবশ্যই হয়। এমন নয় যে, রাতের পর দিন আসবে না। কলিযুগের পর সত্যযুগ অবশ্যই আসবে। এই ওয়ার্ল্ডের হিস্টি জিওগ্রাফি রিপিট হয়ে থাকে।

তাই বাবা বোঝাচ্ছেন যে, মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চারা, নিজেকে আত্মা মনে করো, আত্মাই সব কিছু করে, পার্ট প্লে করে। এসমস্ত কথা কারোরই জানা নেই যে, যদি আমরা হলাম পার্টধারী (কুশীলব), তাহলে নাটকের আদি-মধ্য-অন্তকে অবশ্যই জানতে হবে। ওয়ার্ল্ডের হিস্টি জিওগ্রাফি রিপিট হচ্ছে, তবে তো এটা ড্রামাই হলো তাইনা। সেকেন্ড বাই সেকেন্ড সেটাই রিপিট হবে যা পাস্টে হয়ে গেছে । এই সমস্ত কথা অন্য কেউই বুঝতে পারবে না। যাদের বুদ্ধি কম তারা সর্বদাই ফেল হয়ে যায় তো, তার জন্য টিচার কি করতে পারে! টিচারকে কি বলবে যে, কৃপা করো বা আশীর্বাদ করো। এটাও হলো পড়াশোনা। এই গীতা পাঠশালাতে স্বয়ং ভগবান রাজযোগ শেখাচ্ছেন। কলিযুগ পরিবর্তিত হয়ে সত্যযুগ অবশ্যই হবে। ড্রামা অনুসারে বাবাকেও আসতে হয়। বাবা বলেন যে, আমি কল্প কল্পের সঙ্গম যুগেই আসি, আর অন্য কেউ কি এই কথা বলতে পারবে যে, আমি সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শোনাতে এসেছি। নিজেকে "শিবোহম্" বলে দেয়, তাতে কি লাভ আছে। শিববাবা তো আসেন-ই পড়ানোর জন্য, সহজ রাজযোগ শেখানোর জন্য। কোনো সাধু-সন্ত আদিকে শিব ভগবান বলা যায় না। এইরকম তো অনেকেই বলে যে, আমি কৃষ্ণ, আমি লক্ষ্মী-নারায়ণ। এখন কোথায় সেই শ্রীকৃষ্ণ সত্য যুগের রাজা আর কোথায় এই কলিযুগী পতিত মানুষ। এরকম কি কেউ বলতে পারে যে, এঁনার মধ্যে ভগবান আছেন। তোমরা মন্দিরে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে পারো যে - এঁনারা তো সত্যযুগে রাজত্ব করেছিলেন, তারপর কোথায় গেলেন? সত্য যুগের পর অবশ্যই ত্রেতা, দ্বাপর, কলি যুগ হয়। সত্য যুগে সূর্যবংশী রাজ্য ছিল, ত্রেতাতে চন্দ্রবংশী.... এইসব নলেজ বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতেই আছে। এত সংখ্যক ব্রহ্মাকুমার-ব্রহ্মাকুমারী আছে, তাহলে অবশ্যই প্রজাপিতাও থাকবেন। পুনরায় ব্রহ্মার দ্বারা মনুষ্যসৃষ্টি রচিত হয়। ক্রিয়েটর ব্রহ্মাকে বলা যায় না। তিনিই (শিব বাবা) হলেন গডফাদার। কিভাবে রচনা করেন, সেসব তো বাবা সম্মুখে বসে তোমাদের বোঝান। এই শাস্ত্রাদি তো পরবর্তীকালে বানানো হয়েছে। যেরকম, যীশুখ্রীষ্ট যা বুঝিয়েছেন, সেটা বাইবেলে লেখা হয়েছে। পরবর্তীকালে সেসবই বসে প্রার্থনা করা হয়। সকলের সদ্গতি দাতা, সকলের লিবারেটর, পতিতপাবন হলেন একমাত্র বাবা-ই, তাঁকে স্মরণ করতে থাকে আর বলে যে, হে গডফাদার - আমাকে দয়া করো। ফাদার তো একজনই হন। ইনি হলেন সমগ্র বিশ্বের ফাদার। মানুষের এবিষয়ে জানা নেই যে সকল দুঃখের থেকে লিবারেট করেন কে? এখন সৃষ্টিও পুরানো, মানুষও পুরানো তমোপ্রধান হয়ে গেছে। এটা হলো আয়রন এজেড ওয়ার্ল্ড । গোল্ডেন এজ ছিল, তা পুনরায় অবশ্যই হবে। এই সব বিনাশ হয়ে যাবে, ওয়ার্ল্ড ওয়ার হবে, অনেক প্রকৃতির দুর্যোগও হবে। সেই সময় তো হলো এটাই। মনুষ্য সৃষ্টি অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।

তোমরা বলতে থাকো যে - ভগবান এসে গেছেন। বাচ্চারা, তোমরা সবাইকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলো যে, ব্রহ্মার দ্বারা এক আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। ড্রামা অনুসারে সবাই শুনতে থাকে। দৈবীগুনও ধারণ করতে হয়। তোমরা জানো যে তোমাদের মধ্যে কোন গুণ ছিল না। নম্বর ওয়ান অবগুণ হলো কাম বিকার। যা কতোই না হয়রান করে । মায়ার সাথে যুদ্ধ চলতেই থাকে। না চাইতেও মায়ার তুফান একদম নিচে ফেলে দেয়।আয়রন এজেড তো না! মুখে কালিমা লেপন করে দিয়েছি । শ্যামলা মুখ তো বলা যাবে না। কৃষ্ণের জন্যই দেখানো হয়েছে যে, সর্পদংশনের কারণে শ্যাম বর্ণ হয়ে গেছে। সম্মান রাখার জন্য শ্যাম বলে দিয়েছে। মুখ কালো দেখালে সম্মান চলে যায়। তো দূরদেশ, নিরাকার দেশ থেকে অতিথি এসেছেন, আয়রন এজেড দুনিয়ায়, কালো শরীরে এসে এঁনাকেও শুভ্র বানিয়ে দেন। এখন বাবা বলেন যে, তোমাদেরকে পুনরায় সতোপ্রধান হতে হবে। আমাকে স্মরণ করো তো বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে, আর বিষ্ণুপুরের মালিক হয়ে যাবে। এই সমস্ত জ্ঞানের কথাগুলি বুঝতে হবে। বাবা হলেন রূপ (যোগী) আবার বসন্তও (জ্ঞানী)। তেজোময় বিন্দু স্বরূপ তিনি । তাঁর মধ্যে জ্ঞানও আছে। তিনি নাম রূপ থেকে পৃথক নন। তাঁর রূপ কী, এই দুনিয়া তা জানেনা। বাবা তোমাদেরকে বোঝাচ্ছেন যে, আমাকেও আত্মা বলে, শুধু পরম আত্মা। পরম আর আত্মা মিলে হয়ে যায় পরমাত্মা। তিনি বাবাও, টিচারও । তিনি বলেন, তিনি হলেন নলেজফুল। তারা এটা বোঝে যে, নলেজফুল অর্থাৎ সকলের হৃদয়ের কথা জানতে পারেন। আর যদি পরমাত্মা সর্বব্যাপী হয় তাহলে সবাই নলেজ ফুল হয়ে যাবে। তাহলে (নলেজফুল) সেই এক-কে কেন বলা হয়? মানুষের বুদ্ধি তুচ্ছ হয়ে গেছে। জ্ঞানের কথাগুলোকে একদম বুঝতে পারে না। বাবা বসে জ্ঞান আর ভক্তির বৈষম্য প্রদর্শন করে বলেন যে - প্রথম হলো জ্ঞান, দিন, সত্য যুগ আর ত্রেতা। তারপর হলো দ্বাপর কলিযুগ রাত। জ্ঞানের দ্বারাই সদ্গতি হয়। এই রাজযোগের জ্ঞান হঠযোগীরা বোঝাতে পারে না। গৃহস্থীরাও বোঝাতে পারে না, কারণ তারা হলো অপবিত্র। এখন রাজযোগ তাহলে কে শেখাবে? তিনি বলেন যে, মামেকম্ স্মরণ করো তাহলেই বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। নিবৃত্তি মার্গের ধর্ম হলো আলাদা, তারা প্রবৃত্তি মার্গের জ্ঞান কিভাবে শোনাতে পারে? এখানে সবাই বলে যে গডফাদার ইজ ট্রুথ। বাবা-ই সত্য কথা শোনান। আত্মার মধ্যে বাবার স্মৃতি এসেছে, এইজন্য আমরা বাবার স্মরণ করছি। বলি যে, এসে আমাদের নর থেকে নারায়ণ হওয়ার জন্য সত্য নারায়ণের কথা শোনাও। আমিই তোমাদেরকে সত্যনারায়ণের কথা শোনাই, তাই না! আগে তোমরা মিথ্যা কথা শুনতে। এখন তোমরা সত্য শুনছো। মিথ্যা কথা শুনতে শুনতে কেউ নারায়ণ তো হতে পারোনি। তাহলে সেটি সত্যনারায়ণের কথা কিভাবে হবে? মানুষ কাউকে নর থেকে নারায়ন বানাতে পারেনা। বাবা এসে স্বর্গের মালিক বানান। বাবা আসেনই ভারতে, কিন্তু কখন আসেন, এটা কেউই জানেনা। তারা তো শিব-শঙ্করকে মিলিয়ে গল্প বানিয়ে দিয়েছে। শিব পুরাণও আছে। 'গীতা'- বলা হয় কৃষ্ণের, তাহলে তো শিবপুরাণ বড় হয়ে যায়। বাস্তবে জ্ঞান তো গীতাতেই আছে। ভগবানুবাচ - মন্মনাভব। এই শব্দটি গীতা ছাড়া অন্য কোনো শাস্ত্রে থাকতে পারে না। গাওয়াও হয় যে, সর্ব শাস্ত্রের শিরোমণি হলো গীতা। শ্রেষ্ঠমৎ আছেই ভগবানের। সর্বপ্রথমে এটাই বলতে হবে যে, আর কয়েক বছরের মধ্যেই নতুন শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া স্থাপন হয়ে যাবে। এখন হলো ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া। শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়াতে খুব অল্পসংখ্যক মানুষই থাকবে। এখন তো অনেক মানুষ। তাদেরজন্য বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বাবা রাজযোগ শেখাচ্ছেন। উত্তরাধিকার তো বাবার থেকেই প্রাপ্ত হয়। কিছু প্রয়োজন হলে বাবার কাছেই প্রার্থনা করে। কারোর ধনসম্পত্তি বৃদ্ধি হলে বা বাচ্চা হলে বলে যে ভগবান দিয়েছেন। তাহলে ভগবান তো এক হলেন, তাই না। তাহলে সকলের মধ্যেই ভগবান কিভাবে হতে পারেন? এখন আত্মাদের বাবা বলছেন যে, আমাকে স্মরণ করো। আত্মা বলে যে আমাকে পরমাত্মা জ্ঞান প্রদান করেছেন, যে জ্ঞান আমরা পুনরায় ভাইদের প্রদান করছি। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে কতটা সময় স্মরণ করছি, এই চার্ট রাখার জন্য বিশাল বুদ্ধি চাই। দেহী অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। জ্ঞান তো হল খুবই সহজ। বাকি নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করলেই নিজের উন্নতি হবে। এই চার্ট বিরলই কেউ রাখতে পারে। দেহী অভিমানী হয়ে বাবার স্মরণে থাকলে, কখনো কাউকে দুঃখ দিতে পারবে না। বাবা আসেন-ই সুখ প্রদান করার জন্য, তাই বাচ্চাদেরকেও সবাইকে সুখ দিতে হবে। কখনো কাউকে দুঃখ দেবে না। বাবাকে স্মরণ করলেই সব ভূত বেরিয়ে যাবে। এটাই হলো গুপ্ত পরিশ্রম। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) এই আসুরিক ছিঃ ছিঃ দুনিয়ার থেকে নিজের চোখ বন্ধ করে নিতে হবে। এটা হলো পুরানো দুনিয়া। এর সাথে কোনো কানেকশন রেখো না। একে দেখেও দেখো না।

২ ) এই অসীম জগতের ড্রামায় আমি হলাম পার্টধারী । এটা সেকেন্ড বাই সেকেন্ড রিপিট হতে থাকে । যেটা পাস্ট হয়ে গেছে, সেটাই রিপিট হবে... এটা স্মৃতিতে রেখে প্রত্যেক বিষয়ে পাশ হতে হবে। বিশাল বুদ্ধিসম্পন্ন হতে হবে।

বরদান:-
রিয়েল্টির দ্বারা রয়্যাল্টি-র প্রত্যক্ষরূপ প্রদর্শনকারী সাক্ষাৎকার মূর্তি ভব

এখন এমন সময় আসবে যখন প্রত্যেক আত্মা প্রত্যক্ষরূপে নিজের রিয়েলিটির দ্বারা রয়্যাল্টির সাক্ষাৎকার করাবে। প্রত্যক্ষতার সময় মালার দানার নম্বর আর ভবিষ্যতের রাজত্বের স্বরূপ দুটোই প্রত্যক্ষ হবে। এখন রেস করতে করতে একটু-আধটু হিংসার (রীস) ধূলোর পর্দা চকমক করতে থাকা হিরেকে ঢেকে দেয়, অন্তিমকালে এই পর্দা সরে যাবে আর অবগুণ্ঠনে থাকা হিরে নিজের প্রত্যক্ষ সম্পন্ন স্বরূপে আসবে, রয়্যাল ফ্যামিলি এখন থেকে নিজের রয়্যালটি দেখাবে অর্থাৎ নিজের ভবিষ্যতের পদকে স্পষ্ট করবে, এইজন্য রিয়েলিটির দ্বারা রয়্যাল্টির সাক্ষাৎকার করাও।

স্লোগান:-
যেকোনও বিধির দ্বারা ব্যর্থকে সমাপ্ত করে সমর্থকে ইমার্জ করো।

অব্যক্ত ঈশারা :- একান্ত প্রিয় হও, একতা আর একাগ্রতাকে ধারণ করো

নিজের কল্যাণ করার জন্য বা নিজেকে পরিবর্তন করার জন্য বিশেষ একান্তবাসী, অন্তর্মুখী হও। নলেজফুল তো আছো, এখন পাওয়ারফুল হও। প্রত্যেক কথার অনুভবে নিজেকে সম্পন্ন বানাও। আমি কার সন্তান? তাঁর থেকে কি কি প্রাপ্তি হয়েছে? এই প্রথম পাঠের অনুভবী মূর্তি হও, একতা আর একাগ্রতাকে ধারণ করো তাহলে সহজেই মায়াজীৎ হয়ে যাবে।