22.04.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এটা হলো তোমাদের মোস্ট ভ্যালুয়েবল সময়, এই সময় তোমরা বাবার পূর্ণ সহযোগী হও, সহযোগী
বাচ্চারা-ই উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করে"
প্রশ্নঃ -
সার্ভিসেবল
বাচ্চারা কোন্ অজুহাত-টি দেখাতে পারে না?
উত্তরঃ
সার্ভিসেবল
বাচ্চারা এই অজুহাত দেখাবে না যে, বাবা এখানে গরম বা এখানে ঠান্ডা আবহাওয়া তাই আমরা
সার্ভিস করতে পারব না। একটু গরম পড়লে বা একটু ঠান্ডা পড়লেই দুর্বল হবে না। এমন নয়,
আমরা তো সহ্য করতে পারি না। এই দুঃখধামে দুঃখ-সুখ, ঠান্ডা-গরম, নিন্দা-স্তুতি সবই
সহ্য করতে হবে। অজুহাত দেখাবে না ।
গীতঃ-
ধৈর্য ধরো হে
মানব ...।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারাই জানে
যে সুখ ও দুঃখ কাকে বলা হয়। এই জীবনে সুখ কখন প্রাপ্ত হয় এবং দুঃখ কখন প্রাপ্ত হয়
তাও শুধু তোমরা ব্রাহ্মণরাই জানো নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। এটা হলো দুঃখের
দুনিয়া। এইসময় একটু সময়ের জন্য দুঃখ-সুখ, স্তুতি-নিন্দা সবকিছু সহ্য করতে হয়। এইসব
কিছু পেরিয়ে যেতে হবে। কারো একটু গরম লাগলে বলে একটু ঠান্ডায় থাকি। এখন বাচ্চাদের
তো গরমে অথবা ঠান্ডায় সার্ভিস তো করতে হবে তাইনা। এই সময় একটু আধটু এই দুঃখ হবে কোনো
নতুন কথা নয়। এটা হল দুঃখ ধাম। এখন বাচ্চারা তোমাদের সুখধামে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ
করতে হবে। এই হল তোমাদের মোস্ট ভ্যালুয়েবল সময়। এই সময় অজুহাত চলবে না। বাবা
সার্ভিসেবল বাচ্চাদের জন্য বলেন, যারা সার্ভিস করতে জানে না, তারা তো কোনো কাজের নয়।
এখানে বাবা এসেছেন শুধুমাত্র ভারতকে নয় সম্পূর্ণ বিশ্বকে সুখধাম বানাতে। সুতরাং
ব্রাহ্মণ বাচ্চাদেরই বাবার সহযোগী হতে হবে। বাবা এসেছেন অতএব তাঁর শ্রীমৎ অনুযায়ী
চলা উচিত। যে ভারত স্বর্গ ছিল সেই ভারত এখন নরক হয়েছে, তাকেই আবার স্বর্গ বানাতে হবে।
এই কথাও এখন জানতে পেরেছো। সত্যযুগে এই পবিত্র রাজাদের রাজত্ব ছিল, খুব সুখে ছিলেন
তারপর অপবিত্র রাজাও হয়েছে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দান-পুণ্য করে তাই তারাও শক্তি পেয়েছে।
এখন হল প্রজার উপরে প্রজার রাজ্য। কিন্তু তারা ভারতের সেবা করে না। ভারতের অথবা
দুনিয়ার সেবা তো একমাত্র অসীম জগতের পিতা-ই করেন। এখন বাবা বাচ্চাদের বলেন - মিষ্টি
বাচ্চারা, এখন আমার সঙ্গে সহযোগী হও। কত স্নেহ দিয়ে বোঝান, দেহী-অভিমানী বাচ্চারা
বোঝে। দেহ-অভিমানী বাচ্চারা মায়ার জালে আটকে থাকে তারা কি বা সাহায্য করবে। এখন বাবা
ডাইরেকশন দিয়েছেন যে সবাইকে মায়ার শৃঙ্খল থেকে, গুরুদের বন্ধন থেকে মুক্ত করো। এই
হল তোমাদের পেশা । বাবা বলেন যারা আমার সহযোগী হবে, উঁচু পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করবে।
বাবা নিজে সামনে এসে বলেন - আমি কে, আমি কেমন, সাধারণ হওয়ার দরুন কেউ আমাকে
সম্পূর্ণ রূপে জানে না। বাবা আমাদের বিশ্বের মালিক করেন - এই কথাও জানে না। এই
লক্ষ্মী-নারায়ণ বিশ্বের মালিক ছিলেন, সে কথাও কারো জানা নেই। এখন তোমরা বুঝেছো যে
কীভাবে তাঁরা রাজ্য প্রাপ্ত করেছিলেন তারপরে কীভাবে হারিয়েছেন। মানুষের বুদ্ধি তো
একেবারেই তুচ্ছ। এখন বাবা এসেছেন সকলের বুদ্ধির তালা খুলতে, পাথরবুদ্ধি থেকে স্পর্শ
বুদ্ধিতে পরিণত করতে। বাবা বলেন এখন সহযোগী হও। লোকেরা ঈশ্বরীয় সেবাধারী বলে কিন্তু
সহযোগী তো হয় না। ঈশ্বর এসে যাদের পবিত্র করেন তাদেরই বলা হয় এখন অন্যদের নিজের মতন
বানাও। শ্রীমৎ অনুযায়ী চলো। বাবা এসেছেন পবিত্র স্বর্গবাসী করতে।
তোমরা ব্রাহ্মণ
বাচ্চারা জানো এটা হলো মৃত্যুলোক। বসে বসে হঠাৎ মৃত্যু হয় তাহলে আমরা প্রথম থেকে যদি
একটু পরিশ্রম করে বাবার কাছে অবিনাশী উত্তরাধিকার নিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ তৈরি করি।
মানুষের যখন বাণপ্রস্থ অবস্থা হয় তখন ভাবে এখন ভক্তি করা শুরু করি। যতক্ষণ
বাণপ্রস্থ অবস্থা হয় না ততক্ষণ অর্থ উপার্জন করে। এখন তোমাদের সকলের হল বাণপ্রস্থ
অবস্থা। তাহলে এই সময় বাবার সহযোগী হওয়া উচিত। নিজের মনকে জিজ্ঞাসা করা উচিত আমরা
বাবার সহযোগী হই। সার্ভিসেবল বাচ্চারা তো বিখ্যাত হয়। ভালোভাবে পরিশ্রম করে।
যোগযুক্ত থাকলে সার্ভিস করতে পারবে। স্মরণের শক্তি দ্বারা-ই দুনিয়াকে পবিত্র করতে
হবে। সম্পূর্ণ বিশ্বকে পবিত্র করার নিমিত্ত হয়েছো তোমরা। তোমাদের জন্য পবিত্র
দুনিয়াও অবশ্যই চাই, তাই পতিত দুনিয়ার বিনাশ হবে। এখন সবাইকে এই কথা বলো যে
দেহ-অভিমান ত্যাগ করো। একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করো। তিনি-ই হলেন পতিত-পাবন। সবাই
তাঁকেই স্মরণ করে। সাধু সন্ন্যাসী ইত্যাদি সবাই আঙুল দিয়ে ইঙ্গিত করেন যে পরমাত্মা
হলেন এক, তিনিই সবাইকে সুখ প্রদান করেন। ঈশ্বর অথবা পরমাত্মা ব'লে কিন্তু তাঁকে কেউ
জানে না। কেউ গণেশ কে, কেউ হনুমান কে, কেউ নিজের গুরুকে স্মরণ করতে থাকে। এখন তোমরা
জানো সেসব হল ভক্তি মার্গের। ভক্তি মার্গও অর্ধকল্প চলবে। বড় বড় ঋষি মুনি সবাই
নেতি-নেতি করেছে। রচয়িতা ও রচনাকে আমরা জানি না। বাবা বলেন, তারা তো ত্রিকালদর্শী
নয়। বীজ রূপ, জ্ঞানের সাগর তো হলেন একজনই। তিনি আসেনও ভারতেই। শিব জয়ন্তীও পালন করা
হয় এবং গীতা জয়ন্তীও। তাই কৃষ্ণকে স্মরণ করে। শিবকে তো জানে না। শিববাবা বলেন,
পতিত-পাবন জ্ঞানের সাগর তো আমি। কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে তো বলা হবে না। গীতার ভগবান কে?
এই চিত্রটি হলো খুব ভালো। বাবা এই চিত্র ইত্যাদি সব বানিয়েছেন, বাচ্চাদের কল্যাণের
জন্য। শিববাবার সম্পূর্ণ মহিমা তো লিখতে হবে। সমস্ত কিছু এর উপরে নির্ভর করছে। উপর
থেকে অর্থাৎ পরম ধাম থেকে যে আত্মারা আসে তারা পবিত্র হয়। পবিত্র না হয়ে কেউ ফিরতে
পারেনা। মুখ্য কথা হল পবিত্র হওয়া। ওই হল পবিত্র ধাম, যেখানে সব আত্মারা বাস করে।
এখানে তোমরা পার্ট প্লে করতে করতে পতিত হয়েছো। যে সবচেয়ে বেশি পবিত্র সেই পরে পতিত
হয়েছে। দেবী-দেবতা ধর্মের নাম চিহ্ন লুপ্ত হয়েছে। দেবতা ধর্মের নামে বদল হয়ে হিন্দু
ধর্ম নাম রেখে দিয়েছে। তোমরাই স্বর্গের রাজত্ব নাও পরে আবার সেই রাজত্ব হারাও। হার
জিতের এই হল খেলা। মায়ার কাছে হারলেই হার, মায়াকে জিতে নিলেই জিত। মানুষ তো রাবণের
বিশাল চিত্র বানায় খরচা করে তারপর একদিনেই নষ্ট করে দেয়। সে আমাদের শত্রু কিনা।
কিন্তু এইসব হল পুতুল খেলা। শিববাবার চিত্র বানিয়ে পুজো করে ভেঙে দেয়। দেবীদের
চিত্র ইত্যাদিও এমন করেই বানিয়ে জলে ভাসিয়ে দেয়। কিছুই বোঝে না। এখন তোমরা বাচ্চারা
অসীম জগতের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি জানো এই দুনিয়ার চক্র কীভাবে পরিক্রমণ করে। সত্যযুগ
- ত্রেতা যুগের কথা কারো জানা নেই। দেবতাদের চিত্র এমন বানিয়েছে সেই গুলিরও অসম্মান
করেছে।
বাবা বোঝান - মিষ্টি
বাচ্চারা, বিশ্বের মালিক হওয়ার জন্য বাবা তোমাদের যে সাবধান বাণী দিয়েছেন সেই গুলি
পালন করো, স্মরণে থেকে খাবার তৈরি করো, যোগে থেকে সেই খাবার গ্রহণ করো। বাবা নিজে
বলেন আমাকে স্মরণ করো তো তোমরা পুনরায় বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। বাবা আবার এসে গেছেন।
এখন বিশ্বের মালিক সম্পূর্ণ রূপে হতে হবে। শুধু ফাদার তো হতে পারেন না। সন্ন্যাসীরা
বলে আমরা সবাই ফাদার। আত্মা হলো পরমাত্মা, এই কথা তো ভুল । এখানে মাদার ফাদার দুই
জনই পুরুষার্থ করেন। ফলো মাদার ফাদার, এই কথাটি এখানকার। এখন তোমরা জানো যারা
বিশ্বের মালিক ছিলেন, পবিত্র ছিলেন, এখন তারা অপবিত্র হয়েছেন। আবার এখন পবিত্র
হচ্ছেন। আমরাও তাঁর শ্রীমৎ অনুসারে চলে এই পদ মর্যাদা প্রাপ্ত করি। তিনি ব্রহ্মার
দ্বারা ডাইরেকশন দেন সেই মতন চলতে হবে, ফলো যদি না করো তো শুধুমাত্র বাবা-বাবা বলে
মুখ মিষ্টি করো। ফলো যে করবে তাদেরকে সুপুত্র বলা হবে তাইনা। তোমরা জানো
মাম্মা-বাবাকে ফলো করে আমরা রাজত্ব প্রাপ্ত করবো। এই কথা বুঝতে হবে। বাবা শুধু বলেন
আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্ম বিনাশ হবে। অন্যদের এই কথাই বোঝাও যে কীভাবে তোমরা ৮৪
জন্ম নিয়ে অপবিত্র হয়েছো। এখন আবার পবিত্র হতে হবে। যত স্মরণ করবে ততই পবিত্র হতে
থাকবে। যারা বেশি স্মরণ করবে তারাই সর্ব প্রথমে নতুন দুনিয়ায় আসবে। অন্যদেরকেও
নিজের মতন তৈরি করতে হবে। প্রদর্শনীতে বাবা-মাম্মা বোঝাতে যেতে পারবেন না। বাইরে
থেকে কেউ বিখ্যাত ব্যক্তি এলে অসংখ্য মানুষ তাকে দেখতে যায় যে কে এসেছে। ইনি তো
হলেন গুপ্ত। বাবা বলেন আমি এই ব্রহ্মা দেহের দ্বারা কথা বলি, আমি-ই এই বাচ্চার (ব্রহ্মার)
প্রতি রেস্পন্সিবল। তোমরা সর্বদা বুঝবে শিববাবা বলেন, তিনিই পড়ান। তোমাদের শিববাবাকে
দেখতে হবে, ব্রহ্মা বাবাকে নয়। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো এবং পরমাত্মা পিতাকে স্মরণ
করো। আমরা আত্মা। আত্মার মধ্যে সম্পূর্ণ পার্ট ভরা আছে। এই নলেজ বুদ্ধিতে আবর্তিত
হওয়া উচিত। শুধু দুনিয়ার কথা বুদ্ধিতে থাকে তার মানে কিছুই জ্ঞান নেই। একেবারে অধম।
কিন্তু এমন আত্মাদের কল্যাণও করতে হবে। স্বর্গে তো যাবে কিন্তু উঁচু পদ পাবে না।
সাজা ভোগ করে যাবে। উঁচু পদ পাবে কীভাবে, সে কথাও বাবা বুঝিয়েছেন। এক নিজে স্বদর্শন
চক্রধারী হও এবং অন্যদের বানাও। নিজে পাকা যোগী হও এবং অন্যদের বানাও। বাবা বলেন
আমাকে স্মরণ করো। তোমরা যদিও বলো বাবা আমরা ভুলে যাই। লজ্জা লাগে কি বলতে ! অনেকে
সত্যি কথা বলে না, ভুলেও যায় অনেক। বাবা বুঝিয়েছেন যখন কেউ আসবে তাকে বাবার পরিচয়
দাও। এখন ৮৪-র চক্র পুরো হচ্ছে, ফিরতে হবে। রাম গেল রাবণ গেলো.... এর অর্থও খুব সহজ।
নিশ্চয়ই সঙ্গমযুগ হবে, যখন রাম ও রাবণের পরিবার আছে। এই কথাও জানো সবকিছু বিনাশ হয়ে
যাবে, সংখ্যায় কম রয়ে যাবে। তোমরা রাজত্ব পাও কীভাবে, সেসব ভবিষ্যতে সবই জানবে।
আগেই সব তো বলবনা তাইনা। তাহলে তো খেলাটাই হবে না। তোমাকে সাক্ষী হয়ে দেখতে হবে।
সাক্ষাৎকার হতে থাকবে। এই ৮৪-র চক্রকে দুনিয়ায় কেউ জানে না।
এখন বাচ্চারা,
তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমরা ফিরে যাব। রাবণ রাজ্য থেকে ছুটি পাই। তারপরে নিজের
রাজধানীতে আসব। আর কয়েকটা দিন বাকি আছে। এই চক্র ক্রমাগত ঘুরতে থাকে তাইনা। অনেক
বার চক্র ঘুরেছে, এখন বাবা বলেন যে কর্মবন্ধনে আবদ্ধ আছো সেসব ভুলে যাও। গৃহস্থে
থেকে ভুলে যাও। এখন নাটক পুরো হচ্ছে, নিজের ঘর পরমধাম ফিরতে হবে, এই মহাভারত
যুদ্ধের পরেই স্বর্গের দ্বার খুলে যায় তাই বাবা বলছেন এই নামটি খুব ভালো, গেট ওয়ে
টু হেভেন। কেউ বলে যুদ্ধ তো হতেই থাকে। তাদের বলো, মিসাইল দিয়ে যুদ্ধ কবে হয়েছে, এ
হলো মিসাইলের শেষ যুদ্ধ। ৫ হাজার বছর পূর্বেও যখন যুদ্ধ হয়েছিল তখন যজ্ঞও রচনা করা
হয়েছিল। এখন এই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হবে। নতুন রাজধানীর স্থাপনা হচ্ছে।
তোমরা এই পড়াশোনা করছো
রাজত্ব প্রাপ্তির জন্য। তোমাদের পেশা হল রূহানী বা আত্মিক। দেহের বিদ্যা তো কাজে
আসবে না, শাস্ত্র ইত্যাদিও কাজে লাগবে না তাহলে এই পেশাতেই ব্যস্ত হয়ে যাওয়া উচিত।
বাবা তো বিশ্বের মালিক বানান। বিচার করা উচিত - কোন্ পড়াশোনা করা উচিত। তারা তো
অল্প ডিগ্রির জন্য পড়াশোনা করে। তোমরা তো পড়ছো রাজত্বের জন্য। রাত-দিনের তফাৎ রয়েছে।
ওই পড়াশোনা করলে চানা অর্থাৎ বিনাশী অর্থ প্রাপ্ত হবেও কিনা, তা ঠিক জানা নেই। কারো
দেহ-ছাড়া হলে চানাও হারিয়ে যাবে। এই আত্মিক উপার্জন তো সঙ্গে নিয়ে যাবে। মৃত্যু তো
সামনে দাঁড়িয়ে আছে। প্রথমে আমরা নিজের উপার্জন সম্পূর্ণ করি। এই উপার্জন করতে করতে
দুনিয়া বিনাশ হয়ে যাবে। তোমাদের পড়াশোনা পুরো হবে তখনই বিনাশ হবে। তোমরা জানো মানুষ
মাত্রের মুঠোয় রয়েছে চানা। সেসব ধরে বসে আছে বানরের মতন। তোমরা এখন রত্ন নিচ্ছো। এই
চানা বা বিনাশী অর্থের প্রতি মমত্ব ত্যাগ করো। যখন ভালোভাবে বুঝতে পারে তখন মুঠোয়
ভরা চানা ত্যাগ করে। এইসব তো ছাই হয়ে যাবে। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
আধ্যাত্মিক পড়াশুনা করতে হবে ও পড়াতে হবে। অবিনাশী জ্ঞান রত্ন দিয়ে নিজের মুঠো ভরতে
হবে। বিনাশী টাকা পয়সা রুপী চানা জমা করতে সময় নষ্ট করবে না।
২ ) এখন নাটক
সম্পূর্ণ হচ্ছে, তাই নিজেকে কর্ম বন্ধন থেকে মুক্ত করতে হবে। স্ব দর্শন চক্রধারী হতে
হবে, অন্যদের করতে হবে।
বরদান:-
সংকল্পগুলিকে চেক করে ব্যর্থের খাতাগুলিকে সমাপ্তকারী শ্রেষ্ঠ সেবাধারী ভব
শ্রেষ্ঠ সেবাধারী হলো
সে, যার প্রত্যেক সংকল্প পাওয়ারফুল হবে। একটাও সংকল্প কোথাও ব্যর্থ যাবে না। কেননা
সেবাধারী অর্থাৎ বিশ্বের স্টেজে অ্যাক্টিং করা আত্মা। সমগ্র বিশ্ব তোমাদেরকে কপি
করছে। যদি তোমরা একটা সংকল্পও ব্যর্থ করো, তাহলে সেটা কেবল নিজের প্রতি করা নয়,
অনেকের নিমিত্ত হয়ে যাবে। এইজন্য এখন ব্যর্থের খাতাকে সমাপ্ত করে শ্রেষ্ঠ সেবাধারী
হও।
স্লোগান:-
সেবার
বায়ুমন্ডলের সাথে অসীম জগতের বৈরাগ্য বৃত্তির বায়ুমন্ডল বানাও।
অব্যক্ত ঈশারা :-
“কম্বাইন্ড স্বরূপের স্মৃতির দ্বারা সদা বিজয়ী হও”
সঙ্গম যুগ হলই
কম্বাইন্ড থাকার যুগ। বাবার থেকে বিচ্ছিন্ন হতে পারবে না। সবসময়ের সাথী। সদা বাবার
সাথে থাকা অর্থাৎ সদা সন্তুষ্ট থাকা। বাবা আর তোমরা সদা কম্বাইন্ড আছো তাই
কম্বাইন্ডের শক্তি হল অনেক বড়। একটা কাজের পরিবর্তে হাজার কাজ করতে পারো কেননা
হাজার বাহুবিশিষ্ট বাবা তোমাদের সাথে আছেন।