22.06.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - এখানে তোমরা পরিবর্তন হওয়ার জন্য এসেছো, তোমাদেরকে আসুরি গুণ পরিত্যাগ করে দিব্যগুণ ধারণ করতে হবে, এ হলো দেবতা হওয়ার পড়াশোনা”

প্রশ্নঃ -
কোন্ পড়া তোমরা কেবল বাবার কাছ থেকেই পড়ো, যেটা অন্য কেউ পড়াতে পারবে না?

উত্তরঃ  
মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার পড়া, অপবিত্র থেকে পবিত্র হয়ে নুতন দুনিয়ায় যাওয়ার পড়া একমাত্র বাবা ছাড়া অন্য কেউ পড়াতে পারবে না। বাবা-ই সহজ জ্ঞান এবং রাজযোগের পাঠের দ্বারা পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গের স্থাপন করেন।

ওম্ শান্তি ।
বাবা বসে থেকে বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন। বাস্তবে দুইজন পিতাই রয়েছেন। এক হলো সাকার (হদের এর) দ্বিতীয় হলেন অসীম জগতের। ইনি বাবাও আবার তিনিও বাবা। অসীম জগতের বাবা এসে পড়ান। বাচ্চারা জানে যে আমরা নুতন দুনিয়া সত্যযুগের জন্য পড়াশুনা করছি। এইরকম শিক্ষা তো অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। তোমরা বাচ্চারা অনেক সৎসঙ্গ করেছো। তোমরাও আগে ভক্ত ছিলে। নিশ্চয়ই অনেক গুরু করেছো, শাস্ত্র অধ্যয়ন করেছো। কিন্তু বাবা এসেই এখন তোমাদেরকে জাগিয়েছেন। বাবা বলছেন, এখন এই পুরানো দুনিয়ার পরিবর্তন হবে। এখন আমি তোমাদেরকে নুতন দুনিয়ার জন্য পড়াচ্ছি। আমি হলাম তোমাদের টিচার। কোনো গুরুকে কখনো টিচার বলা যাবে না। স্কুলেও টিচার পড়ায়, যার দ্বারা উঁচু পদপ্রাপ্তি হয়। কিন্তু ওই টিচাররা তো কেবল এই দুনিয়ার পড়াই পড়ায়। তোমরা এখন জেনেছো যে আমরা যেসব পড়া পড়ছি, সে'সব হলো নুতন দুনিয়ার জন্য। গোল্ডেন এজেড ওয়ার্ল্ড বলা হয়। এটা তো তোমরা জানো যে এখন আসুরীক গুণ গুলিকে পরিত্যাগ করে দিব্যগুণ ধারণ করতে হবে। এখানে তোমরা পরিবর্তন হওয়ার জন্যই এসেছো। ক্যারেক্টারের মহিমা করা হয়। দেবতাদের সামনে গিয়ে বলে - 'তুমি এমন, আমরা এমন'। তোমাদের সামনে এখন এইম অবজেক্ট (লক্ষ্য বস্তু) রয়েছে। বাবা ভবিষ্যতের জন্য নুতন দুনিয়াও স্থাপন করছেন এবং সেইসঙ্গে তোমাদেরকে পড়নও। ওখানে তো কোনো বিকার থাকবে না। তোমরাই রাবণের ওপরে বিজয়ী হও। রাবণ-রাজ্যে তো সকলেই বিকারী। যেমন রাজা-রানী, তার প্রজাও সেইরকম। এখন তো পঞ্চায়েতের রাজত্ব চলছে। এর আগে রাজা-রানীর রাজত্ব ছিল। কিন্তু ওরাও বিকারী ছিল। ওইসব পতিত রাজাদের কাছে মন্দিরও ছিল। তারাও নির্বিকারী দেবী-দেবতাদের পূজা করতো। তারা জানতো যে অতীতে এইসব দেবী-দেবতারা ছিল এবং এখন আর তাদের সেই রাজত্ব নেই। বাবা আত্মাদেরকে পবিত্র বানাচ্ছেন এবং স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন যে তোমরাই দিব্য শরীরধারী ছিলে। তোমাদের আত্মা এবং শরীর দুটোই পবিত্র ছিল। এখন পুনরায় বাবা এসে পতিত থেকে পবিত্র বানাচ্ছেন। সেইজন্যেই তোমরা এখানে এসেছো।

বাবা অর্ডিনেন্স (নির্দেশিকা) জারি করেছেন - বাচ্চারা, কাম বিকার হলো মহাশত্রু। এটাই তোমাদেরকে আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ দিয়ে এসেছে। এখন তোমাদেরকে ঘর-গৃহস্থে থেকেই পবিত্র হতে হবে। এমন নয় যে দেবী-দেবতাদের পারস্পরিক ভালোবাসা থাকবে না, কিন্তু ওখানে কোনো বিকারী দৃষ্টিও থাকবে না। সম্পূর্ণ নির্বিকারী হবে। তাই বাবাও বলছেন, ঘর গৃহস্থে থেকেই কমল পুষ্পের মতো পবিত্র জীবনযাপন করো। অতীতে তোমাদের যেমন পবিত্র জুটি ছিল, ভবিষ্যতেও সেইরকম হতে হবে। প্রত্যেক আত্মা-ই বিভিন্ন নাম এবং রূপ ধারণ করে পার্ট প্লে করে এসেছে। এখন এটা হলো তোমাদের অন্তিম জন্ম। পবিত্রতার বিষয়েই অনেকে দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে যায়। বুঝতে পারে না যে কিভাবে কম্প্যানিয়ন হয়ে থাকা যায়। কেবল কম্প্যানিয়ন (সাথী) হয়ে থাকার অর্থই বা কি? বিদেশে যখন বৃদ্ধ হয়ে যায়, তখন একজন কম্প্যানিয়ন রাখার জন্য বিয়ে করে যে তার দেখাশুনা করবে। এইরকম অনেকেই আছে যারা ব্রহ্মচারী হয়ে থাকতে পছন্দ করে। সন্ন্যাসীদের কথা তো আলাদা, কিন্তু গৃহীদের মধ্যেও এমন অনেকেই আছে যারা বিয়ে করা পছন্দ করে না। বিয়ে করা, তারপর সন্তানদের লালন পালন করা - এইরকম জাল বিস্তার কেন করবো যাতে নিজেই ফেঁসে যাবো? এখানেও এইরকম অনেকেই আসে যাদের ব্রহ্মচারী অবস্থায় ৪০ বছর হয়ে গেছে। এরপরে কি আর বিয়ে করবে? স্বাধীন ভাবে থাকতে পছন্দ করে। বাবা তাদেরকে দেখে খুশি হন। এরা তো বন্ধনমুক্তই রয়েছে । বন্ধন বলতে কেবল শারীরিক বন্ধন রয়েছে। সেক্ষেত্রে দেহ সহ সবকিছু ভুলে কেবল বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। যীশুখ্রিস্ট বা অন্য কোনো দেহধারীকে স্মরণ করতে হবে না। নিরাকার শিববাবা কোনো দেহধারী নন। ওঁনার নামই হলো শিব। শিবের মন্দিরও আছে। আত্মাই ৮৪ জন্মের পার্ট প্রাপ্ত করেছে। এটা হলো অবিনাশী ড্রামা। এতে কোনো কিছুরই পরিবর্তন হওয়া সম্ভব নয়।

তোমরা জেনেছো যে আগে আমাদের ধর্ম-কর্ম শ্রেষ্ঠ ছিল, কিন্তু এখন তা পতিত হয়ে গেছে। এমন নয় যে দেবতা ধর্মই বিনষ্ট হয়ে গেছে। এখনো গাওয়াও হয়ে থাকে যে দেবতারা সর্বগুণ সম্পন্ন ছিল, লক্ষ্মী-নারায়ণ উভয়ই পবিত্র ছিল। সেটা ছিল পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ। এখন হলো অপবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ । ৮৪ জন্ম ধরে বিভিন্ন নাম রূপ ধারণ করেছে। বাবা বলেন, মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা নিজেদের জন্মকেই জানো না। আমি তোমাদেরকে ৮৪ জন্মের কাহিনী শোনাচ্ছি। তাহলে তো প্রথম জন্ম থেকেই বোঝাতে হবে। আগে তোমরাই পবিত্র ছিলে। এখন বিকারী হয়ে গেছো বলে দেবতাদের সামনে গিয়ে মাথা ঠুকতে থাকো। খ্রীস্টানরা যীশুখ্রিস্টের সামনে, বৌদ্ধরা বুদ্ধের সামনে এবং শিখরা গুরু নানকের দরবারে গিয়ে মাথা ঠুকতে থাকে। এর থেকেই বোঝা যায় যে কে কোন্ ধর্মের। তোমাদের ক্ষেত্রে বলা হয় যে এরা হলো হিন্দু। কেউই জানে না যে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম কোথায় গেল। প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। ভারতে তাদের অনেক ছবি রয়েছে। মানুষেরও নানান মত রয়েছে । শিবেরও অনেক নাম রেখে দিয়েছে। আসলে তো তাঁর একটাই নাম - শিব। এমন তো নয় যে তিনি পুনর্জন্ম নিয়েছেন বলে তাঁর নাম পাল্টে গেছে। না, মানুষের নানান মত হওয়ায় অনেক নাম রেখে দিয়েছে। শ্রীনাথ দ্বারেও লক্ষ্মী-নারায়ণ রয়েছে এবং জগন্নাথের মন্দিরেও সেই একই মূর্তি রয়েছে। কিন্তু আলাদা নাম রেখে দিয়েছে। তোমরা যখন সূর্যবংশী ছিলে তখন এইরকম পূজাপাঠ করতে না। তোমরা তখন সমগ্র বিশ্বের ওপরে রাজত্ব করতে, অনেক সুখী ছিলে। শ্রীমৎ অনুসারে তোমরা শ্রেষ্ঠ রাজত্বের স্থাপন করেছিলে। ওই দুনিয়াকে সুখধাম বলা হত। আর কেউই এইরকম বলতে পারবে না যে আমাদেরকে বাবা পড়ান, মানুষ থেকে দেবতা বানান। (দেবী-দেবতার) নিদর্শনও আছে। অবশ্যই তাদের রাজত্ব ছিল। ওখানে কোনো কেল্লা বা দুর্গ থাকবে না। কেল্লা বানানো হয় নিরাপত্তার জন্য। দেবী-দেবতাদের রাজত্বে কোনো কেল্লা থাকবে না। কারণ ওখানে আক্রমণ করার মতো কেউ থাকবে না। এখন তোমরা জানো যে আমরা সেই দেবী-দেবতা ধর্মেই ট্রান্সফার হচ্ছি। তার জন্য তোমরা রাজযোগের শিক্ষা গ্রহণ করছো। রাজত্ব পেতে হবে। ভগবানুবাচ - আমি তোমাদেরকে রাজাদের রাজা বানাচ্ছি। এখন আর কোনো রাজা-রানী নেই। কত লড়াই-ঝগড়া হচ্ছে। এটা হলো কলিযুগ, আয়রন এজেড ওয়ার্ল্ড। তোমরা গোল্ডেন এজ ছিলে। এখন আবার পুরুষোত্তম সঙ্গমযুগে এসে পৌঁছেছো। বাবা তোমাদেরকে প্রথম নম্বরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছেন, সকলের কল্যাণ করেন। তোমরা জানো যে আমাদেরও কল্যাণ হয়, সবার প্রথমে আমরাই সত্যযুগে আসি। বাকি যে যে ধর্ম রয়েছে, সেগুলো সব শান্তিধামে চলে যাবে। বাবা বলেন, সবাইকে পবিত্র তো হতেই হবে। তোমরা হলে পবিত্র দেশের নিবাসী, যাকে নির্বাণধাম বলা হয়। বাণীর থেকেও ওপরে কেবল অশরীরী আত্মারাই থাকে। বাবা এখন তোমাদেরকে বাণীর ঊর্ধ্বে নিয়ে যাচ্ছেন। কেউই এইরকম বলতে পারবে না যে আমি তোমাদেরকে শান্তিধাম বা নির্বাণধামে নিয়ে যাই। ওরা তো বলে যে আমরা ব্রহ্মে লীন হবো। তোমরা বাচ্চারা জানো যে এটা হলো তমোপ্রধান দুনিয়া, এই দুনিয়াতে তোমাদের কোনো স্বাদ আসবে না, তাই নুতন দুনিয়ার স্থাপন এবং পুরাতন দুনিয়ার বিনাশ করার জন্য ভগবানকে এখানে আসতে হয়। শিব জয়ন্তীও এখানেই পালন করা হয়। কিন্তু তিনি এসে কোন্ কর্তব্য করেন? কেউ তো বলুক? যেহেতু জয়ন্তী পালন করা হয়, সুতরাং তিনি অবশ্যই আসেন। রথের ওপর বিরাজমান হন। দুনিয়াতে তো ঘোড়ার গাড়ির রথ দেখানো হয়। বাবা এই রথে বসে বোঝাচ্ছেন যে তিনি আসলে কোন্ রথের ওপর বসেন। বাচ্চাদেরকেই সে'কথা বলি। এরপর এই জ্ঞান প্রায় লুপ্ত হয়ে যাবে। এনার ৮৪ জন্মের অন্তিম জন্মে বাবাকে আসতে হয়। ইনি কোনো জ্ঞান দিতে পারবেন না। জ্ঞান হলো দিন আর ভক্তি হলো রাত্রি। ক্রমশ নীচে নামতে থাকে। ভক্তির কতো শো রয়েছে। কুম্ভ মেলা থেকে শুরু করে কত রকমের মেলা হয়। কিন্তু এইরকম তো কেউই বলে না যে এখন তোমাদেরকে পবিত্র হয়ে নুতন দুনিয়াতে যেতে হবে। বাবা এসেই বলছেন যে এটা হলো সঙ্গমযুগ। আগের কল্পে যে শিক্ষা গ্রহন করে তোমরা মানুষ থেকে দেবতা হয়েছিলে, এখন পুনরায় সেই শিক্ষাই গ্রহণ করছো। মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার গায়নও আছে। নিশ্চয়ই বাবা-ই ওই রকম বানাবেন। তোমরা জানো যে আমরা অপবিত্র গৃহস্থ ধর্মের ছিলাম, এখন বাবা এসে পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গের বানাচ্ছেন। তোমরা খুব উঁচু পদ প্রাপ্ত করে থাকো। উঁচুর থেকেও উঁচু বাবা তোমাদেরকে কতই না শ্রেষ্ঠ বানাচ্ছেন। বাবার দেওয়া মত হলো শ্রী শ্রী অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ-র থেকেও শ্রেষ্ঠ মত। আমরা এখন শ্রেষ্ঠ হচ্ছি। কেউই এই শ্রী শ্রী কথার অর্থ বোঝে না। এই টাইটেল তো কেবল শিববাবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু অনেকে তো নিজেকেই শ্রী শ্রী বলে দেয়। মালা জপ করা হয়। ১০৮ রত্নের মালা হয়। কিন্তু ওরা তো ১৬ হাজার ১০৮ এর মালা বানিয়ে দিয়েছে। অষ্টরত্ন তো এর মধ্যেই রয়েছে। চারটে যুগল দানা এবং শিববাবা। আটটা রত্ন এবং নবম হলাম আমি। তাদেরকে রত্ন বলা হয়। ওদেরকে বাবা ঐরকম বানায়। বাবার দ্বারা-ই তোমরা পরশ বুদ্ধি সম্পন্ন হচ্ছো। রেঙ্গুনে একটা জলাশয় আছে। কথিত আছে যে ওতে স্নান করলে পরী হয়ে যাবে। বাস্তবে এটাই হলো সেই জ্ঞানস্নান যার দ্বারা তোমরা দেবতা হয়ে যাও। ওগুলো তো হলো সব ভক্তিমার্গের কাহিনী। এটা তো হতেই পারে না যে জলে স্নান করলেই পরী হয়ে যাবে। ও'সব হলো ভক্তিমার্গ। কতরকমের কাহিনী বানিয়ে দিয়েছে। কিছুই বোঝে না। তোমরা এখন বুঝতে পারো যে এই দিলওয়াড়া কিংবা গুরুশিখর আসলে তোমাদেরই স্মৃতিচিহ্ন। বাবা তো অনেক উঁচুতে থাকেন তাই না । তোমরা জানো যে বাবা এবং আমরা আত্মারা যেখানে থাকি, সেটা হলো মূলবতন। সুক্ষবতন তো কেবল সাক্ষাৎকারের জন্য, ওটা কোনো দুনিয়া নয়। সুক্ষবতন কিংবা মূলবতনের ক্ষেত্রে বলা যাবে না যে ওয়ার্ল্ডের ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হয়। ওয়ার্ল্ড তো কেবল একটাই। এই ওয়ার্ল্ডের জন্যই বলা যাবে যে ওয়ার্ল্ড হিস্ট্রি রিপিট হয়।

মানুষ চায় যাতে ওয়ার্ল্ড পীস হয় । ওরা এটা জানে না যে আত্মার স্ব-ধর্মই হলো শান্ত। জঙ্গলে গিয়ে তো কখনো শান্তি পাওয়া যাবে? তোমরা বাচ্চারা সুখ প্রাপ্ত করো, আর বাকি সবাই শান্তি প্রাপ্ত করে। যারা আসবে, তারা সকলেই আগে শান্তিধামে যাবে, তারপর সুখধামে আসবে। কেউ কেউ বলে যে আমি জ্ঞান নিতে চাইনা, পরের দিকে আসবো তাহলে অনেকটা সময় মুক্তিধামে থাকতে পারবো। এটা তো ভালো যে অনেকটা সময় মুক্তিধামে থাকতে পারবো। এখানে দু-এক জন্ম পদ পাবো। কিন্তু এটা কি কোনো কাজের কথা হলো? যেমন মশা জন্ম নিলো আর মরে গেলো। সেইরকম একটা জন্মের জন্য এখানে এসে কি কোনো সুখ পাওয়া যাবে? সেটা তো কোনো কাজেরই হলো না, যেন কোনো পার্টই নেই। তোমাদের পার্ট তো অনেক উচ্চ । তোমাদের মতো সুখ তো কেউ দেখতেও পারে না, সেইজন্য পুরুষার্থ করা উচিত । অনেকে করছেও। আগের কল্পেও তোমরা পুরুষার্থ করেছিলে। নিজের পুরুষার্থ অনুসারে ফল পেয়েছিলে। পুরুষার্থ না করলে তো কোনো ফল পাবে না। পুরুষার্থ তো অবশ্যই করতে হবে। বাবা বলছেন, এও ড্রামা বানানো রয়েছে । তোমরাও পুরুষার্থ করতে শুরু করবে। এমনি এমনি কিছুই হবে না। তোমাদেরকে অবশ্যই পুরুষার্থ করতে হবে। পুরুষার্থ ছাড়া কিছুই হবে না। কাশি হলে কি আপনা আপনি ভালো হয়ে যায়? ওষুধ খাওয়ার পুরুষার্থ তো করতেই হয়। অনেকে তো ড্রামার ওপর সবকিছু ছেড়ে দেয়। যা ড্রামাতে আছে সেটাই হবে। বুদ্ধিতে এইরকম উল্টোপাল্টা জ্ঞান বসানো উচিত নয়। এটাও হলো মায়াবী বিঘ্ন। অনেক বাচ্চা পড়াশুনাও ছেড়ে দেয়। এটাকে বলা হয় - মায়ার কাছে পরাজয়। এটা তো যুদ্ধ তাই না। মায়াও খুব শক্তিশালী। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) শ্রেষ্ঠ রাজত্ব স্থাপন করার জন্য শ্রীমৎ অনুসারে চলে বাবার সহযোগী হতে হবে। দেবতারা যেমন নির্বিকারী, সেইরকম ঘর-গৃহস্থে থেকে নির্বিকারী হতে হবে। পবিত্র প্রবৃত্তি বানাতে হবে।

২ ) ড্রামার পয়েন্টকে উল্টো ভাবে ইউজ করা উচিত নয়। ড্রামা বলে বসে গেলে চলবে না। পড়াশুনাতে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে। পুরুষার্থের দ্বারা নিজের শ্রেষ্ঠ প্রালব্ধ বানাতে হবে।

বরদান:-
কমল পুষ্পের সিম্বল (চিহ্ন) বুদ্ধিতে রেখে, নিজেকে স্যাম্পল্ (উদাহরণস্বরূপ) মনে করা ডিট্যাচ এবং প্রিয় ভব

প্রবৃত্তিতে থাকার সিম্বল হলো “কমল পুষ্প”। তো কমল হও আর অমল (বাস্তবায়িত) করে দেখাও। যদি বাস্তবায়িত না করতে পারো তাহলে কমল হতে পারবে না। তো কমল পুষ্পের সিম্বল বুদ্ধিতে রেখে নিজেকে স্যাম্পল্ মনে করে চলো। সেবা করার সময় নিজে সবকিছুর থেকে ডিট্যাচ থাকো আর প্রভুর প্রিয় হও। শুধু প্রিয় হবে না, সবকিছুর থেকে ডিট্যাচ হয়ে প্রভুর প্রিয় হও, কেননা প্রেম কখনও কখনও বন্ধনের রূপে পরিবর্তন হয়ে যায়। সেইজন্য যেকোনও সেবা করার সময় ডিট্যাচ এবং প্রিয় হও।

স্লোগান:-
স্নেহের ছত্রছায়ার অন্দরে মায়া আসতে পারে না।