22-09-2024 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
18-01-2002 মধুবন
"স্নেহের শক্তির দ্বারা সমর্থ হও, সর্ব আত্মাকে
প্রতিটি ফোঁটায় ফোঁটায় সুখ-শান্তি দাও"
আজ সমর্থ বাবা নিজের স্মৃতি স্বরূপ, সমর্থ স্বরূপ বাচ্চাদের সাথে মিলনের জন্য
এসেছেন। আজ চতুর্দিকের বাচ্চাদের মধ্যে বিশেষ স্নেহের তরঙ্গ তরঙ্গিত হচ্ছে। ব্রহ্মা
বাবার বিশেষ স্নেহের স্মরণে সমাহিত হয়ে আছে। এই স্নেহ প্রত্যেক বাচ্চার এই জীবনের
বরদান। পরমাত্ম-স্নেহই তোমাদের সবাইকে নতুন জীবন দিয়েছে। স্নেহের শক্তিই প্রত্যেক
বাচ্চাকে বাবার বানিয়েছে। এই স্নেহের শক্তি সব সহজ করে দেয়। যখন তোমরা স্নেহে
সমাহিত হও তখন যে কোনও পরিস্থিতি সহজ অনুভব করো। বাপদাদাও বলেন যে, সদা স্নেহের
সাগরে সমাহিত থাকো। স্নেহ ছত্রছায়া, যে ছত্রছায়ার ভিতরে মায়ার কোনো ছায়া পড়তে
পারে না। সহজে মায়জিৎ হয়ে যাও। যে নিরন্তর স্নেহে থাকে তার কোনও বিষয়ে পরিশ্রম
করতে হয় না। স্নেহ সহজে বাবা সমান বানিয়ে দেয়। স্নেহের যে কোনো কিছু সমর্পণ করা
সহজ হয়।
তো আজও অমৃতবেলা থেকে প্রত্যেক বাচ্চা বাবাকে স্নেহের মালা পরিয়েছে আর বাবাও স্নেহী
বাচ্চাকে স্নেহের মালা পরিয়েছেন। যেভাবে এই বিশেষ স্মৃতি দিবসে অর্থাৎ স্নেহের দিনে
স্নেহে নিমজ্জিত থেকেছ, ঠিক সেভাবেই সদা নিমজ্জিত থাকো, তাহলে পরিশ্রমের পুরুষার্থ
করতে হবে না। এক হলো স্নেহের সাগরে ডুবে যাওয়া আরেক হলো স্নেহের সাগরে অল্প সময়ের
জন্য ডুব দেওয়া। তো কোনো কোনো বাচ্চা ডুবে থাকে না, তাড়াতাড়ি করে বাইরে বেরিয়ে
আসে। সেইজন্য সহজ কঠিন হয়ে যায়। তো কীভাবে ডুবে থাকতে হয় জানো তোমরা? ডুবে
থাকাতেই মজা। ব্রহ্মা বাবা সদা বাবার স্নেহ হৃদয়ে সমাহিত করেছেন, এর স্মৃতিচিহ্ন
কোলকাতায় দেখানো হয়েছে।
বাবার প্রতি ভালবাসার প্রমাণ সমান হওয়া, এখন বাপদাদা চান সব বাচ্চা প্রমাণ দেখাও।
সদা সংকল্পে সমর্থ হও, এখন ব্যর্থের সমাপ্তি সমারোহ উদযাপন করো, কেননা ব্যর্থ সমর্থ
হতে দেবে না, আর যতক্ষণ তোমরা ৪৯ বাচ্চা যারা নিমিত্ত হয়েছো, যতক্ষণ না পর্যন্ত সদা
সমর্থ হচ্ছ ততক্ষণ বিশ্বের আত্মাদের শক্তি কীভাবে প্রাপ্ত করাবে! সর্ব আত্মা শক্তি
থেকে একেবারে খালি হয়ে শক্তির ভিখারী হয়ে গেছে। হে সমর্থ আত্মারা! এমন ভিখারী
আত্মাদেরকে এই ভিখারীভাব থেকে মুক্ত করো। আত্মারা তোমরা সব সমর্থ আত্মাকে আহ্বান
করছে - হে মুক্তিদাতার বাচ্চা মাস্টার মুক্তিদাতা, আমাদের মুক্তি দাও। এই আওয়াজ কি
তোমাদের কানে পৌঁছাচ্ছে না? শুনতে পাচ্ছো না? এখনো পর্যন্ত নিজেকেই মুক্ত করতে বিজি
আছো কি? বিশ্বের আত্মাদের জন্য তোমাদের অসীম স্বরূপ দ্বারা মাস্টার মুক্তিদাতা হলে
নিজের ছোট ছোট সমস্ত বিষয় আপনা থেকেই মুক্ত হয়ে যাবে। এখন আত্মাদের আহ্বান শোনার
সময়। আর্ত চিৎকার শুনতে পাও কি পাও না? অসহায় আত্মাদের ফোঁটায় ফোঁটায় সুখ-শান্তি
দাও। এটাই হলো ব্রহ্মা বাবাকে ফলো করা।
আজ বিশেষভাবে ব্রহ্মা বাবাকে তোমরা বেশি স্মরণ করেছো, তাই না! ব্রহ্মা বাবাও সব
বাচ্চাকে তাদের স্মৃতি আর শক্তি স্বরূপে স্মরণ করেছেন। কিছু বাচ্চা ব্রহ্মা বাবার
সাথে আধ্যাত্মিক বার্তালাপ করার সময় মিষ্টি মিষ্টি অনুযোগ করেছে যে, আমরা সব
বাচ্চার থেকে ছুটি নিয়ে কেন যাননি? তো ব্রহ্মা বাবা বলেন যে আমিও শিব বাবার কাছে
জিজ্ঞাসা করেছি আমাকে হঠাৎ কেন ডেকে নিয়েছেন? তখন বাবা বললেন - যদি তোমাকে বলতাম
ছুটি নিয়ে এসো, তবে কি তুমি বাচ্চাদের ছাড়তে পারতে, নাকি বাচ্চারা তোমাকে ছাড়তে
পারত? অর্জুন হিসেবে এটাই তো তোমার স্মৃতিচিহ্ন, অন্তে তুমিই নষ্টমোহা স্মৃতি
স্বরূপ ছিলে। তো ব্রহ্মা বাবা মৃদু হেসেছেন এবং বলেছেন যে এটা তো চমৎকার ছিল,
বাচ্চারাও বুঝতে পারেনি যে চলে যাচ্ছি আর ব্রহ্মাও বুঝতে পারেননি যে চলে যাচ্ছেন।
সামনে থেকেও উভয় তরফই চুপ ছিল কেননা, সময় অনুসারে সন শোজ্ ফাদারের পার্ট ড্রামায়
নির্ধারিত ছিল, একেই বলে, বাঃ ড্রামা বাঃ! সেবার পরিবর্তন নির্ধারিত ছিল। বাচ্চাদের
জন্য ব্রহ্মা বাবার ব্যাকবোন হওয়ার ছিল। তাইতো, অব্যক্ত রূপে ফাস্ট সেবার পার্ট
প্লে করারই ছিল।
বিশেষ করে আজ ডবল বিদেশিরা খুব মিষ্টি মিষ্টি নালিশ জানিয়েছে। ডবল ফরেনার্স তোমরা
নালিশ জানিয়েছো? ডবল ফরেনার্স ব্রহ্মা বাবাকে বলেছে, তিন বছর আপনি যদি অপেক্ষা করে
যেতেন তবে আমরা দেখে তো নিতাম! তো ব্রহ্মা বাবা হেসে বলেন, হাসলেন - তো ড্রামার সাথে
কথা বলো, ড্রামা এরকম কেন করেছে? কিন্তু এটা ''লাস্ট সো ফাস্ট''- এর এক্সাম্পল
হওয়ারই ছিল - তা' ভারতেই হোক বা বিদেশে। সেইজন্য এখন লাস্ট সো ফাস্ট-এর প্রত্যক্ষ
প্রমাণ দেখাও। যেভাবে আজ সমর্থ দিবস উদযাপন করেছ, ঠিক সেভাবেই এখন প্রতিটা দিন
সমর্থ দিবস হোক। কোনও প্রকারের অস্থিরতা যেন না হয়। যা আজকের দিনে ব্রহ্মা বাবা
তিন শব্দে শিক্ষা দিয়েছেন ( নিরাকারী, নির্বিকারী এবং নিরহংকারী) এই তিন শব্দের
শিক্ষা স্বরূপ হও। মন্সাতে নিরকারী, বাচাতে নিরহংকারী, কর্মণায় নির্বিকারী।
সেকেন্ডে সাকার স্বরূপে এসো, সেকেন্ডে নিরাকারী স্বরূপে স্থিত হয়ে যাও। এই অভ্যাস
সারাদিনে বার বার করো। এমন নয় যে স্মরণে বসার টাইমে নিরাকারী স্টেজে স্থিত থাকবে,
বরং মাঝে মাঝে সময় বের করে এই দেহবোধ থেকে স্বতন্ত্র নিরাকারী আত্মা স্বরূপে স্থিত
হওয়ার অভ্যাস করো। যে কোনো কার্যই করো, কার্য করতে করতেও এই অভ্যাস করো যে, আমি
নিরাকার আত্মা এই সাকার কর্মেন্দ্রিয়র আধার দ্বারা কর্ম করাচ্ছি। নিরাকার স্থিতি
হলো করাবনহার স্থিতি। কর্মেন্দ্রিয় করণহার, আত্মা করাবনহার। সুতরাং নিরাকারী আত্ম
স্থিতিতে নিরাকার বাবা আপনা থেকেই স্মরণ আসে। যেমন বাবা করাবনহার তেমন আমি আত্মাও
করাবনহার। সেইজন্য কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ হলেই সমস্যা উৎপন্ন হয়। সারাদিনে চেক করো -
করাবনহার হয়ে কর্ম করছি? আচ্ছা! এখন মুক্তি দেওয়ার মেশিনারিকে তীব্র করো।
আচ্ছা - এই কল্পে এই প্রথম বার যারা এসেছো, তারা হাত তোলো। তো নতুন নতুন আগত
বাচ্চাদের বাপদাদা বিশেষ স্মরণ-স্নেহ দিচ্ছেন, সময়মতো বাবাকে চিনে বাবার থেকে
অবিনাশী উত্তরাধিকারের অধিকারী হয়ে গেছো। সদা নিজের এই ভাগ্যকে স্মরণে রেখো - আমরা
বাবাকে চিনে নিয়েছি।
আচ্ছা - ডবল ফরেনার্স হাত তোলো। খুব ভালো। ডবল ফরেনার্সকে বাপদাদা বলেন ব্রহ্মার
সংকল্পে জন্ম। এক হলো ডাইরেক্ট মুখ দ্বারা বংশাবলি আরেক হলো সংকল্প দ্বারা বংশাবলি।
তো সংকল্প শক্তি অনেক মহান হয়। তোমাদের রচনা সংকল্প শক্তি যেমন ফাস্ট তেমনই ডবল
ফরেনার্স ফাস্ট পুরুষার্থ করে এবং ফাস্ট প্রালব্ধ অনুভব করে, সেইজন্য সমগ্র
ব্রাহ্মণ পরিবারে ডবল ফরেনার্স তোমরা ডবল হারানিধি। ভারতের ভাই- বোনেরা তোমাদের দেখে
খুশি হয়, বাঃ ডবল ফরেনার্স বাঃ! ডবল ফরেনার্সের খুশি হয় তো না? তোমাদের কত খুশি
আছে? অনেক আছে? এমন কোনো জিনিস নেই যার সাথে তুলনা করা যায়! ডবল ফরেনে শুনছেও,
দেখছেও। এটা ভালো, সায়েন্সের এই সাধন অসীম সেবা করতে তোমাদেরকে অনেক সহযোগ দেবে আর
সহজভাবে সেবা করাবে। তোমাদের স্থাপনের কানেকশন দ্বারাই এই সায়েন্সেরও তীব্রগতি
হয়েছে।
আচ্ছা - পান্ডবরা সবাই তোমরা সমর্থ তো না? হীনবল নও তো, সবাই সমর্থ? আর শক্তিরা,
বাবা সমান তোমরা? শক্তি সেনা তোমরা। শক্তিদের শক্তি ময়াজিত বানায়। আচ্ছা।
আজ বিশেষ অলঙ্করণ করতে ওরাও এসেছে। (কোলকাতার ভাই-বোনেরা ফুল নিয়ে এসেছে, সব জায়গা
ফুল দিয়ে খুব ভালো সাজিয়েছে।) এটাও স্নেহের লক্ষণ। এটা ভালো, তোমরা নিজেদের
স্নেহের প্রমাণ দিয়েছ। আচ্ছা। টিচার্স হাত তোলো। প্রতিটা গ্রুপে অনেক টিচার আসে।
টিচারদের ভালো চান্স প্রাপ্ত হয়। সেটা ভালো, এখন নিজের ফিচার্স দ্বারা সবাইকে
ফিউচারের সাক্ষাৎকার করাও। শুনেছো, কী করতে হবে? আচ্ছা।
মধুবনের তোমরা হাত তোলো - খুব ভালো। মধুবন নিবাসীরা অনেক চান্স পায়। সেইজন্য
বাপদাদা বলেন, মধুবন নিবাসী অধ্যাত্ম চ্যান্সেলর। তোমরা চ্যান্সেলর তো না? সেবা করতে
হবে। যদিও সবাইকে মধুবন নিবাসী সন্তুষ্ট করে, তাই তো না! সেইজন্য বাপদাদা মধুবন
নিবাসীকে কখনো ভোলেন না। মধুবন নিবাসীদের বিশেষভাবে স্মরণ করেন। মধুবন নিবাসীদের
তিনি কেন স্মরণ করেন? কারণ মধুবন নিবাসীর মেজরিটি বাবার ভালোবাসায় পাশ হয়েছে।
বাবার প্রতি মেজরিটির ভালবাসা অটুট। মধুবন কম নয়, খুব ভালো।
ইন্দোর জোনের সেবাধারী এসেছে - যারা ইন্দোরের তারা হাত তোলো। অনেকে রয়েছো, ভালো।
সেবা করা অর্থাৎ সমীপে আসার ফল খাওয়া। সেবার চান্স নেওয়া অর্থাৎ পুণ্য জমা করা।
তো সব সেবাধারী নিজের পুণ্যের খাতা জমা করেছে। এই শুভ আশিস বা পুণ্য লিফটের কাজ করে।
আচ্ছা - দেশ ও বিদেশের যারা দূরে বসেও সমীপে রয়েছে, সব বাচ্চাকে বাপদাদা স্নেহের
দিবসের রিটার্নে পদ্ম গুন স্নেহের স্মরণ- ভালবাসা দিচ্ছেন। বাপদাদা দেখেন, কোথায়
ক'টা বাজে, কোথায় কত টাইম হয়েছে, কিন্তু জাগ্রত জ্যোতি অক্লান্ত হয়ে শুনছে আর
খুশি হচ্ছে। বাপদাদা বাচ্চাদের খুশি দেখছেন। বলো, সবাই খুশিতে নাচছ তো না? সবাই
কাঁধ নাড়াচ্ছে, হ্যাঁ বাবা। জনক বচ্চিও খুব মিষ্টি মিষ্টি হাসছে। বাস্তবে তো সবাইকে
বাবার স্মরণ আছে, কিন্তু কতজনের নাম নেবেন! অনেক বাচ্চা আছে, সেইজন্য বাপদাদা বলেন,
তোমরা প্রত্যেক বাচ্চা নিজের নামে পার্সোনাল স্মরণ-স্নেহ স্বীকার করছ আর করতে থাকো।
আচ্ছা - এখন এক সেকেন্ডে নিরাকারী স্থিতিতে স্থিত হয়ে যাও। (বাপদাদা ড্রিল
করিয়েছেন)
লিভিং ভ্যাল্যুজ এর ট্রেনিং চলছে - সেবার জন্য এটা ভালো সাধন। লিভিং ভ্যাল্যু
পরিচালনা করতে করতে নিজের লাভলি লিভিংয়ের অভ্যাস নিরন্তর বাড়াও।
আচ্ছা - বাপদাদা আজ একটা বিষয় গুলজার বচ্চিকে বলছিলেন, বিশেষ অভিনন্দন জানাচ্ছিলেন,
ব্রহ্মা তনের সেবার মতো এই রথও ৩৩ বছর পূর্ণ করেছে। এই পার্টও ড্রামাতে আছে। বাবার
সহযোগ আর বচ্চির সাহস, উভয়ে মিলে পার্ট প্লে করেন। আচ্ছা -
সদা স্নেহের সাগরে সমাহিত হওয়া সকলকে, যারা সদা লাভে লীন থাকে, সদা করাবনহার আত্মা
স্বরূপে স্থিত থাকে, সদা তিন শব্দের "শিব মন্ত্র" প্রত্যক্ষ জীবনে নিয়ে আসে, সদা
বাবার সমান মাস্টার মুক্তিদাতা হয়ে বিশ্বের আত্মাদের মুক্তি প্রাপ্ত করায় এমন
সর্ব শ্রেষ্ঠ আত্মাদের বাপদাদার স্মরণের স্নেহ- সুমন আর নমস্কার।
দাদিজির সাথে - আজকের দিনে বাবা বাচ্চাদেরকে বিশেষভাবে বিশ্বের সামনে প্রত্যক্ষ
করিয়েছেন। বাবা করাবনহার হয়েছেন এবং বাচ্চাদের করণহার বানিয়েছেন। এটা ভালো, এই
স্নেহের তরঙ্গ সবাইকে সমাহিত করে। আচ্ছা - শরীর চালানোর বিধি শিখে নিয়েছ তো না! এটা
দ্বারা কাজ করাতে করাতে বাবা সমান অব্যক্ত হয়ে যাবে। সহজ পুরুষার্থ হলো শুভ আশিস।
সারাদিনে কেউই যেন অসন্তুষ্ট না হয়, আশীর্বাদ প্রাপ্ত হয় - এটাই হলো ফার্স্ট
ক্লাস পুরুষার্থ। সহজও, ফার্স্টও। ঠিক আছে তো না! শরীর যেমনই হোক কিন্তু আত্মা তো
শক্তিশালী, তাই না! তো তোমরা সবাই যে ১৪ বছর তপস্যা করেছো, সেই তপস্যার বল সেবা
করাচ্ছে। এখন তো তোমার অনেক সাথী হয়ে গেছে। ভালো ভালো সেবার সাথী। শুধু তোমাকে দেখে
খুশি হয়, এটাই অনেক। ঠিক আছে!
(বরিষ্ঠ বড় ভাইদের সাথে) - ড্রামা অনুসারে যে প্ল্যান তৈরি হয় তা' ভালো হচ্ছে এবং
প্রত্যেকে সদা সংগঠনে স্নেহ বা স্নেহাশিস নেওয়ার জন্য বালক তথা মালিক এর পাঠ পাকা
করে পরস্পরকে অগ্রচালিত করতে করতে, পরস্পরের ধারণাকেও সম্মান দিয়ে যদি অগ্রচালিত
হও, তবে শুধু সফলতা আর সফলতা। সফলতা তো হওয়ারই আছে। কিন্তু এখন যে নিমিত্ত আত্মারা
রয়েছে তাদেরকে স্নেহের সম্বন্ধে নিয়ে এসো; প্রত্যেকের এই পুরুষার্থ তীব্র বানাতে
হবে। স্নেহ যেন নিঃস্বার্থ স্নেহ হয়, যেখানে নিঃস্বার্থ স্নেহ থাকবে তারা সম্মান
দেবেও আর নেবেও। বর্তমান সময়ে সবাইকে স্নেহের মালায় গাঁথতে হবে, এটাই বিশেষ
আত্মাদের কার্য আর এর জন্যই এই স্নেহ সংস্কারকে পরিবর্তনও করাতে পারে। প্রত্যেকের
কাছে জ্ঞান আছে কিন্তু স্নেহ যে কোনো সংস্কারের কাউকে সমীপে নিয়ে আসতে পারে। শুধু
স্নেহের দুটো কথা সদাসর্বদার জন্য তাদের জীবনের সহায় হতে পারে। নিঃস্বার্থ স্নেহ
শীঘ্রাতিশিঘ্র মালা তৈরি করে দেবে। ব্রহ্মা বাবা কী করেছেন? স্নেহ দিয়ে তোমাদের
আপন বানিয়েছেন। সুতরাং আজ এর আবশ্যকতা রয়েছে। এটা এরকমই তো না!
(সোনিপতের জন্য মিটিং হচ্ছে, ওখানে অনুভব করানোর জন্য সমূহ সাধনের ব্যবহার কীভাবে
করবে)
সেই প্ল্যান তো তোমরা বানাচ্ছো, প্রত্যেকের সংকল্প, ধারণা যা মেজরিটি দ্বারা
বিশেষভাবে স্বীকৃত হবে, সেটা বানাও। অনুভব তখনই করাতে পারবে যখন অনুভব স্বরূপ হবে।
আচ্ছা।
বরদান:-
দৃঢ়তার শক্তির দ্বারা সফলতা প্রাপ্ত করে
ত্রিকালদর্শী আসনধারী ভব
দৃঢ়তার শক্তি হলো শ্রেষ্ঠ শক্তি যা অসতর্কতামূলক
শক্তিকে সহজে পরিবর্তন করে দেয়। বাপদাদার বরদান হলো - যেখানে দৃঢ়তা আছে সেখানে
সফলতা আছেই। শুধু যেমন সময়, তেমন নিয়মে সিদ্ধি স্বরূপ হও। যে কোনও কর্ম করার আগে
আদি মধ্য অন্ত ভেবেচিন্তে কার্য করো এবং করাও অর্থাৎ ত্রিকালদর্শী আসনধারী হও, তবে
অসতর্কতা সহজে সমাপ্ত হয়ে যাবে। সংকল্প রূপী বীজ শক্তিশালী দৃঢ়তা সম্পন্ন হোক, তবে
বাণী আর কর্মে সহজ সাফল্য আছেই।
স্লোগান:-
সদা সন্তুষ্ট থেকে যারা সবাইকে সন্তুষ্ট করে তারাই
সন্তুষ্টমণি।