23.01.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - মুখ্য দুটি কথা সবাইকে বোঝাতে হবে - এক তো বাবাকে স্মরণ করো, দ্বিতীয় হলো ৮৪-র চক্রকে জানো তাহলে সব প্রশ্নের অবসান হবে"

প্রশ্নঃ -
বাবার মহিমায় কোন্ শব্দটি আসে যা কিনা শ্রীকৃষ্ণের মহিমায় হয় না?

উত্তরঃ  
বৃক্ষপতি হলেন একমাত্র বাবা, শ্রীকৃষ্ণকে বৃক্ষপতি বলা হবে না। পিতাদেরও পিতা বা পতিদেরও পতি এক নিরাকারকে বলা হয়, শ্রীকৃষ্ণকে নয়। দুইজনের মহিমা আলাদাভাবে স্পষ্ট করো ।

প্রশ্নঃ -
বাচ্চারা, তোমরা গ্রামে-গ্রামে কোন খবরটি ঢাকঢোল বাজিয়ে জানিয়ে দেবে?

উত্তরঃ -
গ্রামে-গ্রামে ঢাক বাজিয়ে সবাইকে জানাবে যে মাধব থেকে দেবতা, নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী কীভাবে হতে পারো, এসে বুঝে নাও। স্থাপনা, বিনাশ কীভাবে হয়, এসে বোঝো ।

গীতঃ-
তুমি মাতা, পিতা তুমিই ...

ওম্ শান্তি ।
এই গীতের শেষ লাইনে আছে - তুমিই নৌকো, তুমিই নৌকোর মাঝি... এ হলো রং। যেমন নিজেই পূজ্য, নিজেই পূজারী বলা হচ্ছে, এই কথাটিও সেইরকম হয়ে যায়। জ্ঞানের উজ্জ্বলতায় যারা উজ্জ্বল তারা এই গীত শুনেই বন্ধ করে দেবে, কারণ বাবার ইনসাল্ট হয়ে যাচ্ছে। এখন তোমরা বাচ্চারা তো নলেজ প্রাপ্ত করেছো, অন্য মানুষের তো এই নলেজ নেই । তোমরাও এখনই তা পেয়ে থাকো। আর কখনো হয়ও না। গীতার ভগবানের থেকে এই পুরুষোত্তম হওয়ার নলেজ প্রাপ্ত হয়, এই কথা বোঝে। কিন্তু কখন কীভাবে প্রাপ্ত হয়, সে কথা ভুলে গেছে। গীতা হলো ধর্ম স্থাপনের শাস্ত্র, অন্য কোনও শাস্ত্র ধর্ম স্থাপনার্থে হয় না। শাস্ত্র শব্দটিও ভারতেই কাজে আসে। সর্ব শাস্ত্রের শিরোমণি হলো গীতা। বাকি অন্য সব ধর্ম তো পরে আসবে। তাদের শিরোমণি বলা হবে না। বাচ্চারা জানে বৃক্ষপতি হলেন একমাত্র বাবা। তিনি হলেন আমাদের পিতা, পতিও তিনি, সকলের পিতাও তিনি। তাঁকে পতিদেরও পতি, পিতাদেরও পিতা.... বলা হয়। এইরূপ মহিমা একমাত্র নিরাকারের উদ্দেশ্যে গাওয়া হয়। কৃষ্ণের এবং নিরাকার বাবার মহিমা বর্ণনার তুলনা করা হয়। শ্রীকৃষ্ণ তো হলেন নতুন দুনিয়ার প্রিন্স। তিনি তাহলে পুরানো দুনিয়ায় সঙ্গম যুগে রাজযোগ শেখাবেন কীভাবে ! এখন বাচ্চারা বুঝেছে আমাদের ভগবান পড়াচ্ছেন। তোমরা পড়াশোনা করে এই দেবী-দেবতায় পরিণত হও। পরে এই জ্ঞান প্রচলনে থাকে না। প্রায় লুপ্ত হয়ে যায়। বাকি আটায় লবণ সম চিত্র গুলি রয়ে যায়। বাস্তবে কোনও চিত্রই যথার্থ নয়। সর্ব প্রথমে বাবার পরিচয় পেয়ে গেলে তোমরা বলবে এই কথা ভগবান বোঝাচ্ছেন। সে কথা তো স্বতঃ বলবে। তোমরা কি প্রশ্ন করবে ! প্রথমে বাবাকে তো জানো।

বাবা আত্মাদের বলেন - আমাকে স্মরণ করো। শুধুমাত্র দুইটি কথা স্মরণ করো। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো আর ৮৪-র চক্রকে স্মরণ করো, ব্যস্। এই দুটি মুখ্য কথা বোঝাতে হবে। বাবা বলেন তোমরা নিজেদের জন্ম গুলিকে জানো না। ব্রাহ্মণ বাচ্চাদেরই বলেন, অন্য কেউ তো বুঝবে না। প্রদর্শনীতে দেখো কত মানুষ এসে ভীড় করে। তারা ভাবে, এত মানুষ যায় নিশ্চয়ই কিছু দেখার জিনিস আছে। ঢুকে পড়ে। এক-একজনকে বোঝাতে গেলে মুখ ব্যথা হয়ে যাবে। তখন কি করা উচিত? প্রদর্শনী পুরো মাস চলতে থাকলে বলা যায় - আজ ভীড় আছে, কাল পরশু এসো। তাও যার পড়াশোনার ইচ্ছে থাকবে অথবা মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার ইচ্ছে থাকবে, তাকেই বোঝাবে। এক এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র অথবা ব্যাজ দেখানো উচিত। বাবার দ্বারা এই বিষ্ণুপুরীর মালিক হতে পারো, এখন ভীড় আছে সেন্টারে এসো। ঠিকানা তো লেখা আছে। বাকি এইভাবে বলে দেবে - এই হল স্বর্গ, এই হলো নরক, তো মানুষ কি বুঝবে ? সময় নষ্ট হয়ে যায়। এমন ভাবে তো চিনতে পারবে না, ইনি উচ্চ ব্যক্তি, এই ব্যক্তি ধনী না গরিব? আজকাল পোশাক এমন পরে যে কিছু বোঝা যায় না। সর্ব প্রথমে তো বাবার পরিচয় দিতে হবে। বাবা হলেন স্বর্গ স্থাপনকারী। এখন এই রকম হতে হবে। মুখ্য উদ্দেশ্য সামনে রয়েছে । বাবা বলেন আমি হলাম সর্বোচ্চ, সবচেয়ে উঁচুতে। আমাকে স্মরণ করো, এ হলো বশীভূত করার মন্ত্র। বাবা বলেন মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে এবং বিষ্ণুপুরীতে এসে যাবে - এই কথা তো নিশ্চয়ই বোঝানো উচিত। ৮-১০ দিনের প্রদর্শনী তো আয়োজন করা উচিত। তোমরা গ্রামে গ্রামে ঢাক বাজিয়ে খবর দিয়ে দাও যে মানুষ থেকে দেবতা, নরকবাসী থেকে স্বর্গবাসী কীভাবে হতে পারো, এসে বুঝে নাও। স্থাপনা, বিনাশ কীভাবে হয়, এসে বুঝে নাও। যুক্তি তো অনেক আছে।

তোমরা বাচ্চারা জানো যে সত্যযুগ আর কলিযুগে রাত-দিনের তফাৎ। ব্রহ্মার রাত ও ব্রহ্মার দিন বলা হয়। ব্রহ্মার দিন সেই আবার বিষ্ণুর দিন, যা বিষ্ণুর তা ব্রহ্মার। কথা তো একই। ব্রহ্মারও ৮৪ জন্ম, বিষ্ণুরও ৮৪ জন্ম। শুধুমাত্র এই লীপ জন্মের তফাৎ হয়ে যায়। এই কথা বুদ্ধিতে বসাতে হয়। ধারণা না হলে কাউকে কীভাবে বোঝাবে ? এই কথা বোঝানো তো খুবই সহজ। শুধুমাত্র লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রের সামনে এই পয়েন্টস বলো। বাবার সাহায্যে এই পদ মর্যাদা প্রাপ্ত হয়, নরকের বিনাশ সামনে রয়েছে। তারা তো নিজের মনুষ্য মত-ই শোনাবে। এখানে তো আছে ঈশ্বরীয় মতামত, যা আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের ঈশ্বর দ্বারা প্রাপ্ত হয়েছে। নিরাকার আত্মাদের নিরাকার পরমাত্মার মতামত প্রাপ্ত হয়। বাকি সবই হল মানব মত। রাত-দিনের তফাৎ আছে তাইনা। সন্ন্যাসী, উদাসী ইত্যাদি কেউ এই মত দিতে পারে না। ঈশ্বরীয় মতামত একবার ই প্রাপ্ত হয়। যখন ঈশ্বর আসেন তখন তাঁর মতামত দ্বারা আমরা এমন স্বরূপ প্রাপ্ত করি। তিনি আসেন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করতে। এই সব পয়েন্টস ধারণ করা উচিত, যাতে সময় পড়লে কাজে আসে। মুখ্য কথা কমের মধ্যে বুঝিয়ে দিলেই যথেষ্ট। এক লক্ষ্মী-নারায়ণের ছবি নিয়ে বোঝানোও যথেষ্ট। এই হল এইম অবজেক্টের চিত্র, ভগবান এই নতুন দুনিয়া রচনা করছেন। ভগবান পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগে এদের পড়িয়েছিলেন। এই পুরুষোত্তম যুগের কথা কারো জানা নেই। অতএব এই সব কথা শুনে বাচ্চাদের কত খুশী হওয়া উচিত। জ্ঞান শুনে অন্যদের শুনিয়ে আরও খুশী অনুভব হওয়া উচিত। সার্ভিস করে যারা তাদেরই ব্রাহ্মণ বলা হবে। তোমাদের কাঁখে রয়েছে প্রকৃত সত্য গীতা। ব্রাহ্মণদের মধ্যেও নম্বর অনুযায়ী স্টেজ আছে তাইনা। কোনো ব্রাহ্মণ তো খুব বিখ্যাত হয়, অনেক উপার্জন করে। কোনও ব্রাহ্মণের তো খাওয়া মুশকিলে জোটে। কোনও ব্রাহ্মণ তো লক্ষ পতি হয়। খুব খুশীতে, খুব নেশায় বলে আমরা ব্রাহ্মণ কুলের। প্রকৃত সত্য ব্রাহ্মণ কুলের কথা তো জানা নেই। ব্রাহ্মণ হলো উত্তম এইরকম বলা হয়, তবেই তো ব্রাহ্মণদের ভোজন করানো হয়। দেবতা, ক্ষত্রিয় বা বৈশ্য, শূদ্র ধর্মের মানুষদের খাওয়ানো হয় না। ব্রাহ্মণদেরই খাওয়ানো হয়, তাই বাবা বলেন - তোমরা ব্রাহ্মণদের ভালো ভাবে বোঝাও। ব্রাহ্মণদেরও সংগঠন থাকে, সেসব ভালো করে যাচাই করে সেখানে যাওয়া উচিত। ব্রাহ্মণ তো প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান হওয়া উচিত, আমরা ব্রহ্মারই সন্তান। ব্রহ্মা কার সন্তান, সে কথাও বোঝানো উচিত। ভালো করে খোঁজ খবর নেওয়া উচিত যে কোথায়-কোথায় তাদের সংগঠন আছে। তোমরা অনেকের কল্যাণ করতে পারো। বাণপ্রস্থ মহিলাদেরও সভা ইত্যাদি হয়। বাবাকে সবাই খবর থোড়াই কি দেয় যে, আমরা কোথায় গিয়েছিলাম ? সব জঙ্গলে ভরা, যেখানেই যাও শিকার করে আসবে, প্রজা বানিয়ে আসবে, রাজাও বানাতে পারো। সার্ভিস তো অনেক আছে। সন্ধ্যায় ৫ টায় ছুটি হয়, লিস্টে নোট করা উচিত - আজ এইখানে যেতে হবে। বাবা যুক্তি তো অনেক বলে দেন। বাবা বাচ্চাদের সঙ্গেই কথা বলেন। এই কথা পাকা ভাবে নিশ্চয় থাকা উচিত আমি আত্মা। বাবা (পরম আত্মা) আমাদের শোনান, ধারণ আমাদের করতে হবে। যেমন শাস্ত্র অধ্যয়ন করে এবং সেসব সংস্কার রূপে অন্য জন্মেও ইমার্য হয়ে যায়। বলা হয় -সংস্কার নিয়ে এসেছে। যারা অনেক শাস্ত্র পাঠ করে তাদের অথরিটি বলা হয়। তারা নিজেদের অলমাইটি ভাবে না। এই হল খেলা, যা বাবা বোঝান, নতুন কথা নয়। ড্রামা এমনই বানানো হয়েছে , যা বুঝতে হবে। মানুষ এইসব বোঝে না যে এই হল পুরানো দুনিয়া। বাবা বলেন আমি এসেছি । মহাভারতের যুদ্ধ সামনে উপস্থিত । মানুষ অজ্ঞানতার অন্ধকারে ঘুমিয়ে আছে। অজ্ঞান ভক্তিকে বলা হয়। জ্ঞান সাগর তো হলেন একমাত্র বাবা। যারা অনেক ভক্তি করে, তারা হলো ভক্তির সাগর। ভক্তদের মালাও আছে, তাইনা। ভক্ত মালার নামও একত্রিত করা উচিত। ভক্ত মালা দ্বাপর থেকে কলিযুগ পর্যন্ত হবে। বাচ্চাদের অনেক খুশী থাকা উচিত। অনেক খুশী তাদেরই হবে যারা সারা দিন সার্ভিস করতে থাকবে।

বাবা বুঝিয়েছেন মালা তো খুব লম্বা, হাজার হাজার সংখ্যায় আছে। যাকে কেউ এখান থেকে, কেউ ওখান থেকে আকৃষ্ট করে। কিছু তো হবে তাইনা, যে এত বড় মালা তৈরি হয়েছে। মুখে রাম-রাম বলতে থাকে, তখন জিজ্ঞাসা করা উচিত - কাকে উদ্দেশ্য করে রাম-রাম জপ করে স্মরণ করো ? তোমরা সৎসঙ্গ ইত্যাদিতে গিয়ে তাদের মধ্যে মিক্স হয়ে গিয়ে বসতে পারো। হনুমানের দৃষ্টান্ত দেওয়া হয় তাইনা যে - যেখানে সৎসঙ্গ হত, সেখানে জুতোর কাছে গিয়ে বসতো। তোমাদেরও চেষ্টা করা উচিত। তোমরা অনেক সার্ভিস করতে পারো। সার্ভিসে সফল তখনই হবে যখন জ্ঞানের পয়েন্ট বৃদ্ধি পাবে, জ্ঞানে মগ্ন থাকবে। সার্ভিসের অনেক যুক্তি আছে, রামায়ণ, ভগবৎ ইত্যাদি বিষয়েও নানান কথা আছে, সেসবের উপরে তোমরা দৃষ্টিপাত করতে পারো। শুধু অন্ধ শ্রদ্ধা থেকে গিয়ে বসবে না। বলো, আমরা তো আপনাদের কল্যাণ কামনা করি। ওই ভক্তি একেবারে আলাদা, এই জ্ঞান একদম আলাদা। জ্ঞান একমাত্র জ্ঞানেশ্বর পিতা-ই দিয়ে থাকেন। সার্ভিস তো অনেক আছে, শুধু এই কথা বলো উঁচু থেকে উঁচুতে কে অবস্থান করেন? উঁচুর থেকেও উঁচুতে হলেন একমাত্র ভগবান, অবিনাশী উত্তরাধিকার তাঁর কাছেই প্রাপ্ত হয়। বাকি তো সবই হল তাঁর রচনা। বাচ্চাদের সার্ভিস করার শখ থাকা উচিত। তোমাদের রাজত্ব করতে হলে প্রজাও বানাতে হবে। এই মহামন্ত্র কোনও অংশে কম নয় - বাবাকে স্মরণ করো তো অন্ত সময়ের যে রূপ মতি থাকবে সেইরূপ গতি হয়ে যাবে। আচ্ছা !

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । ঈশ্বরীয় পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) বাবা যে বশীভূত করার মন্ত্র দিয়েছেন, সেটা সবাইকে স্মরণ করাতে হবে। সার্ভিসের ভিন্ন ভিন্ন যুক্তি রচনা করতে হবে। ভীড়ে নিজের সময় নষ্ট করবে না।

২ ) জ্ঞানের পয়েন্টস বুদ্ধিতে রেখে জ্ঞানে মজে থাকতে হবে। হনুমানের মতন সৎসঙ্গে গিয়ে বসতে হবে এবং তাদের সেবা করতে হবে। খুশীতে থাকার জন্য সারা দিন সেবা করতে হবে।

বরদান:-
“আমি” আর “আমার”-ভাবকে বলিদান দিয়ে সম্পূর্ণ মহাবলী ভব

পার্থিব জগতের কোনও ব্যক্তি বা বৈভবের সাথে বন্ধন - এটাই হল আমার ভাব। এই আমারভাব-কে আর আমি করছি, আমি করেছি, এই আমিত্বভাবকে সম্পূর্ণ সমর্পণকারী অর্থাৎ বলিদান যে দেয় সে-ই হল মহাবলী। যখন পার্থিব জগতের আমি-আমার ভাব সমর্পণ হয়ে যাবে, তখন সম্পূর্ণ বা বাবার সমান হয়ে যাবে। আমি করছি, না। বাবা করাচ্ছেন, বাবা চালাচ্ছেন। যেকোনও কথাতে “আমার” পরিবর্তে সদা ন্যাচারাল ভাষাতেই বাবা শব্দ আসবে। ‘আমি’ শব্দ নয়।

স্লোগান:-
সংকল্পে এমন দৃঢ়তা ধারণ করো যার দ্বারা চিন্তা করা আর কর্মে রূপ দেওয়া সমান হয়ে যায়।

নিজের শক্তিশালী মন্সার দ্বারা সকাশ দেওয়ার সেবা করো :-

সময় অনুসারে এখন মন এবং বাণীর দ্বারা একসাথে সেবা করো। কিন্তু বাণীর দ্বারা সেবা হলো সহজ, মন্সা সেবায় অ্যাটেনশান দেওয়ার বিষয় আছে। এইজন্য সকল আত্মাদের প্রতি মন্সাতে শুভ ভাবনা, শুভ কামনার সংকল্প হবে। বাণীতে মধুরতা, সন্তুষ্টতা, সরলতার নবীনত্ব হবে তাহলে সহজেই সফলতা প্রাপ্ত হতে থাকবে।