23-03-2025 প্রাতঃ
মুরলি ওম্ শান্তি "অব্যক্ত বাপদাদা" রিভাইসঃ
02-11-2004 মধুবন
“স্ব উপকারী হয়ে অপকারীর প্রতিও উপকার করো, সর্ব
শক্তি, সর্বগুণসম্পন্ন সম্মান দাতা হও”
আজ স্নেহের সাগর চতুর্দিকে নিজের স্নেহী বাচ্চাদের দেখে আনন্দিত হচ্ছেন। হয় তারা
সাকার রূপে সমুখে আছে, অথবা স্থূল রূপে দূরে বসে আছে, কিন্তু স্নেহ সবাইকে বাবার
কাছে বসে থাকার অনুভব করাচ্ছে। সব বাচ্চার স্নেহ বাবাকে সমীপে অনুভব করাচ্ছে। তোমরা
বাচ্চারাও সবাই বাবার স্নেহে সমুখে পৌঁছেছো। বাপদাদা দেখেছেন যে প্রত্যেক বাচ্চার
হৃদয়ে "আমার বাবা" স্নেহের এই গীত বাজছে। স্নেহই এই দেহ আর দেহের সম্বন্ধ থেকে
স্বতন্ত্র বানাচ্ছে। স্নেহই মায়াজিত বানাচ্ছে। যেখানে হৃদয়ের স্নেহ থাকে সেখানে
মায়া দূর থেকেই পালিয়ে যায়। স্নেহের সাবজেক্টে সব বাচ্চা পাশ। এক হলো স্নেহ,
আরেক হলো সর্বশক্তিমান বাবার দ্বারা সর্বশক্তির ভান্ডারের প্রাপ্তি।
তো আজ বাপদাদা একদিকে তো স্নেহ দেখছেন, আরেকদিকে শক্তি সেনার শক্তি দেখছেন। যত
স্নেহ সমাহিত হয়ে আছে সর্বশক্তিও ততটাই সমাহিত হয়ে আছে? বাপদাদা সব বাচ্চাকে
সর্বশক্তি একরকম দিয়েছেন, মাস্টার সর্বশক্তিমান বানিয়েছেন। কাউকে সর্বশক্তিমান,
কাউকে শক্তিমান বানাননি। হাজির বলার সাথে সাথেই যে শক্তিরই আহ্বান করো, যেমন সময়,
যেমন পরিস্থিতি তেমনই শক্তি যেন কার্যে প্রয়োগ করতে পারো। এরকম অধিকারী আত্মা
হয়েছ? কেননা, বাবা উত্তরাধিকার দিয়েছেন আর উত্তরাধিকার তোমরা নিজের বানিয়েছ,
নিজের বানিয়েছ তো না! তো নিজের উপর অধিকার থাকে। যে সময় যে বিধিতে আবশ্যকতা হবে
সেই সময় কার্যে যেন লেগে যায়। মনে করো, তোমার অন্তর্লীন করার শক্তির প্রয়োজন, আর
অন্তর্লীন করার শক্তি অর্ডার করলে তখন তোমার অর্ডার মেনে জী হাজির হয়ে যায়? যদি
হয় তবে কাঁধ নাড়াও, হাত নাড়াও। কখনো কখনো হয়, নাকি সদা হয়? অন্তর্লীন করার
শক্তি হাজির হয়, কিন্তু অন্তর্লীন করছ ১০ বার আর ১১তম বারে সামান্য উপর নিচে হয়ে
যায়? সদা এবং সহজভাবে যেন হাজির হয়ে যায়, সময় পার হয়ে যাওয়ার পর যেন না আসে -
করতে তো এটাই চেয়েছিলাম কিন্তু হয়ে গেছে, এটা এরকম যেন না হয়। এক বলা হয়ে থাকে
সর্ব শক্তির অধিকারী। এই অধিকার বাপদাদা তো সবাইকে দিয়েছেন, কিন্তু দেখা যায় যে
সদা অধিকারী হওয়ার বিষয়ে নম্বরক্রমে হয়ে যায়। সদা আর সহজ হবে, ন্যাচারাল হতে
দাও, তোমাদের নেচার হতে দাও, তার বিধি হলো, যেমন বাবাকে হুজুরও বলা হয়ে থাকে, বলা
হয় হুজুর হাজির। তারা হাজির হুজুর বলে, তো যে বাচ্চা হুজুরের সব শ্রীমতে হাজির
হুজুর করে চলে তার সামনে সর্বশক্তিও হুজুর হাজির করে - সব আজ্ঞাতে জী হাজির, প্রতি
কদমে জী হাজির। যদি সব শ্রীমৎ অনুসরণে জী হাজির না হয় তবে সব শক্তিও সবসময় হাজির
হতে পারবে না। যদি তোমরা বাবার শ্রীমৎ বা আজ্ঞা কখনো কখনো পালন করো, তবে শক্তিও
হাজির হওয়ার জন্য তোমাদের অর্ডার কখনো কখনো পালন করবে। সেই সময় তোমরা অধিকারী
হওয়ার পরিবর্তে অধীন হয়ে যাও। তো বাপদাদা এই রেজাল্ট চেক করেছেন, তো কী দেখেছেন?
তোমরা নম্বরক্রমে আছ। সবাই নম্বর ওয়ান নয়, নম্বরক্রমে আছে এবং সদা সহজ নয়। কখনো
কখনো সহজ হয়ে যায়, কখনো সামান্য মুস্কিল ভাবে শক্তি ইমার্জ হয়।
বাপদাদা প্রত্যেক বাচ্চাকে বাবা সমান দেখতে চান। নম্বরক্রমে দেখতে চান না, তাছাড়া,
তোমাদের লক্ষ্যও বাবা সমান হওয়ার। সমান হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে, নাকি নম্বরক্রম
হওয়ার লক্ষ্য রয়েছে? যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তো সবাই বলবে সমান হতে হবে। তাহলে, চেক
করো - এক, সর্বশক্তি আছে? সর্ব-এতে আন্ডারলাইন করো। সর্ব গুণ আছে? বাবা সমান স্থিতি
আছে? কখনো নিজের স্থিতি, কখনো কোনো পরিস্থিতি বিজয় প্রাপ্ত ক'রে নেয় না তো? পর
স্থিতি যদি বিজয় প্রাপ্ত করে নেয় তবে তার কারণ তোমরা জানো তো না? স্থিতি দুর্বল
তাইতো পরিস্থিতি আঘাত করতে পারে। সদা স্ব স্থিতি যাতে বিজয়ী থাকে তার সাধন হলো -
সদা স্বমান আর সম্মানের ব্যালেন্স। স্বমানধারী আত্মা আপনা থেকেই সম্মান দেওয়ার দাতা।
বাস্তবে, কাউকে সম্মান দেওয়া, দেওয়া নয়, সম্মান দেওয়া মানে সমাদর নেওয়া। যারা
সম্মান দেয় তারা আপনা থেকেই সবার হৃদয়ে মাননীয় হয়ে যায়। ব্রহ্মা বাবাকে দেখেছ
তোমরা, আদি দেব হয়েও ড্রামার ফার্স্ট আত্মা হওয়া সত্ত্বেও সদা বাচ্চাদের সম্মান
দিয়েছেন। আত্মাদের দ্বারা তিনি নিজের থেকেও বেশি মান বাচ্চাদেরকে দিয়েছেন।
সেইজন্য প্রত্যেক বাচ্চার হৃদয়ে ব্রহ্মা বাবা মাননীয় হয়েছেন। তাহলে, মান দিয়েছ,
নাকি নিয়েছো? সম্মান দেওয়া অর্থাৎ অন্যের হৃদয়ে হৃদয়ের স্নেহের বীজ বপন করা।
বিশ্বের সামনেও বিশ্ব কল্যাণকারী আত্মা, এটা তখন অনুভব করতে পারবে যখন আত্মাদের
সস্নেহে সম্মান দেবে।
তো বাপদাদা দেখেছেন, বর্তমান সময়ে পরস্পরকে সম্মান দেওয়ার আবশ্যকতা রয়েছে। যারা
সম্মান দেয় তারাই বিধাতা আত্মা রূপে প্রতীয়মান হয়। যারা সম্মান দেয় তারাই
বাপদাদার শ্রীমৎ (শুভ ভাবনা, শুভ কামনা) মানা আজ্ঞাকারী বাচ্চা। সম্মান দেওয়াই
ঈশ্বরীয় পরিবারের হৃদয়ের ভালবাসা। যারা সম্মান দেয় তারা সহজেই স্বমানে স্থিত হতে
পারে। কেন? যে আত্মাদের সম্মান দেয় সেই আত্মাদের দ্বারা হৃদয়ের কল্যাণকারী যে
শুভকামনা তার লাভ হয়, সেই শুভকামনার ভান্ডার সহজভাবে এবং আপনা থেকেই তাকে স্বমান
স্মরণ করিয়ে দেয়। সেইজন্য বাপদাদা চতুর্দিকের বাচ্চাদের বিশেষ আন্ডারলাইন
করাচ্ছেন - সম্মান দাতা হও।
বাপদাদার কাছে কোনো বাচ্চা সে যেমন প্রকারেরই এসেছে, হয় দুর্বল এসেছে অথবা সংস্কার
বশে এসেছে, কিংবা পাপের বোঝা নিয়ে এসেছে, কড়া সংস্কার নিয়ে এসেছে, বাপদাদা সব
বাচ্চাকে কী নজরে দেখেছেন! আমার হারানিধি অত্যন্ত প্রিয় বাচ্চা, ঈশ্বরীয় পরিবারের
বাচ্চা। তো ইনি সম্মান দিয়েছেন আর তোমরা স্বমানধারী হয়ে গেছ। অতএব, ফলো ফাদার। যদি
সহজভাবে সর্বগুণ সম্পন্ন হতে চাও তো সম্মান দাতা হও। বুঝেছ! সহজ তো না? সহজ নাকি
কঠিন? টিচার্স কী মনে করছো, সহজ? কাউকে কাউকে দেওয়া সহজ, কাউকে কাউকে দেওয়া
মুস্কিল হয়, নাকি সবাইকে দেওয়া সহজ? তোমাদের টাইটেল হলো - সর্ব উপকারী। যারা
অপকার করে তাদের জন্যও উপকারকারী। সুতরাং চেক করো - সর্ব উপকারী দৃষ্টি, বৃত্তি,
স্মৃতি থাকে? অন্যের জন্য উপকার করা নিজের প্রতিই উপকার করা। তো কী করতে হবে?
সম্মান দিতে হবে তো না! আলাদা আলাদা বিষয়ে ধারণা করার জন্য তোমরা যে পরিশ্রম করো,
তার থেকে রেহাই পেয়ে যাবে, কেননা বাপদাদা দেখছেন যে, সময়ের গতি তীব্র হচ্ছে। সময়
অপেক্ষা করছে, তো তোমাদের সবাইকে নির্ধারণ করতে হবে। সময়ের প্রতীক্ষা সমাপ্ত করতে
হবে। কী নির্ধারণ করতে হবে? নিজের সম্পূর্ণতা এবং সমতার গতি তীব্র করতে হবে। করছ এটা
নয়, তীব্রগতি চেক করো - তীব্রগতি হয়েছে?
আর তো স্নেহের সাথে নতুন নতুন বাচ্চারাও পৌঁছেছে, বাপদাদা নতুন নতুন বাচ্চাদের দেখে
খুশি হন। যারা প্রথমবার এসেছ তারা হাত তোলো। অনেক। যদিও বা তোমরা এসেছো বাবার ঘরে
নিজের ঘরে, তোমাদের অভিনন্দন। আচ্ছা।
সেবার টার্ন - কর্ণাটক:-
যারা কর্ণাটক থেকে তারা ওঠো। সেবার গোল্ডেন চান্সের অভিনন্দন।
দেখো, তোমরা প্রথম নম্বর নিয়েছ তো প্রথম নম্বরই থাকতে চাও তো না! পুরুষার্থে, বিজয়ী
হওয়ায় সর্বাগ্রে তোমরা প্রথম নম্বর নাও, দ্বিতীয় নম্বর নাও না, প্রথম নম্বর।
সাহস আছে! সাহস আছে তোমাদের? তো সাহস তোমাদের আর হাজার গুন সহায়তা বাবার। ভালো
চান্স নিয়েছ। নিজেদের পুণ্যের খাতা অনেক অনেক সঞ্চয় করে নিয়েছো। আচ্ছা কর্নাটকে
মেগা প্রোগ্রাম করেছো? করনি, কেন? কেন করনি? কর্নাটকের সবকিছুতে প্রথম নম্বর নেওয়া
উচিত। (বাঙ্গালোরে করবো) আচ্ছা, যারাই বড় প্রোগ্রাম করেছ তারা ওঠো। কত প্রোগ্রাম
করা হয়ে গেছে? (৮-১০টা হয়ে গেছে) তো বাপদাদা বড় প্রোগ্রামের জন্য বিপুল অভিনন্দন
জানাচ্ছেন। কত জোন আছে! প্রতিটা জোনের বড় প্রোগ্রাম করা দরকার। কেননা, তোমাদের শহরে
যারা অভিযোগ করার তখন তারা কিন্তু অভিযোগ করবে না। বড় প্রোগ্রামে তোমরা বিপুলভাবে
অ্যাডভার্টাইজ্ও তো করো তো না! তা' মিডিয়া দ্বারা হোক বা পোস্টার, হোর্ডিং ইত্যাদি
ভিন্ন ভিন্ন সাধনের দ্বারা, তখন অভিযোগ কম হয়ে যায়। এই সেবা বাপদাদার পছন্দ,
কিন্তু একটা কিন্তু আছে। প্রোগ্রাম তো বিশাল রূপে করেছ তার জন্য তো অভিনন্দন আছেই
কিন্তু প্রতিটা প্রোগ্রামে কমপক্ষে ১০৮-এর মালা তো হওয়া উচিত! সেটা কোথায় হয়েছে,
কমপক্ষে ১০৮, অধিকতর ১৬ হাজার? কিন্তু এতটা এনার্জি যে লাগিয়েছ, এত সম্পত্তি
লাগিয়েছ তার রেজাল্ট ন্যূনতম ১০৮ তো তৈরি হবে! যারা এসেছিল তাদের সবার অ্যাড্রেস
তো তোমাদের কাছে থাকা উচিত! বড় প্রোগ্রামে যারা অন্যদের নিয়ে এসেছিল তাদের কাছে
উপস্থিতদের পরিচয় তো থাকাই উচিত। সুতরাং তাদেরকে আবারও সমীপে নিয়ে আসা উচিত। এরকম
ভেবো না যে আমরা আমাদের কাজ করে নিয়েছি, কিন্তু যে কার্য করা হয়ে থাকে তার ফল
বেরনো উচিত তো না! সুতরাং যারা বড় প্রোগ্রাম করেছ তাদের এই রেজাল্ট দিতে হবে
বাপদাদাকে। হতে পারে তারা বিভিন্ন সেন্টারে যায়, তারা যে শহর থেকেই সেখানে যাক না
কেন কিন্তু রেজাল্ট বেরনো উচিত। ঠিক আছে তো না! হতে পারে তো না! সামান্য অ্যাটেনশন
দিলে তো তারা বের হয়ে আসবে, ১০৮ তো কিছুই না। বাপদাদা কিন্তু রেজাল্ট দেখতে চান,
অন্ততপক্ষে তারা স্টুডেন্ট তো হোক। সহযোগ দিতে তারা যেন সামনে এগিয়ে আসে, তোমরা কে
কে কত সংখ্যক বের করতে পারো সেটা এই সিজনে বাপদাদা দেখতে চান। ঠিক আছে না? পান্ডব
এটা ঠিক আছে? তো দেখব নম্বর ওয়ান কে? যে সংখ্যকই বের করো, কিন্তু বের করো অবশ্যই।
কী হয়, প্রোগ্রাম তো হয়ে যায় কিন্তু পরবর্তীতে সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে
অ্যাটেনশন একটু কম হয়ে যায়, তাছাড়া, তাদের বের করে আনা কোনো কঠিন কিছু না। আর তো
বাপদাদা বাচ্চাদের সাহস দেখে খুশি হন। বুঝেছ। আচ্ছা -
আচ্ছা - এখন এক সেকেন্ডে, এক সেকেন্ড এক মিনিট নয়, এক
সেকেন্ডে সবাই "আমি ফরিস্তা তথা দেবতা"- এই মন্সা ড্রিল সেকেন্ডে অনুভব করো। এরকম
ড্রিল দিনে এক সেকেন্ডে বারবার করো। শারীরিক ড্রিল যেমন শরীরকে শক্তিশালী বানায়,
সেরকম মনের এই ড্রিল মনকে শক্তিশালী বানায়। আমি ফরিস্তা, এই পুরানো দুনিয়া, পুরানো
দেহ, পুরানো দেহের সংস্কার থেকে ডিট্যাচ (স্বতন্ত্র) ফরিস্তা আত্মা আমি। আচ্ছা -
চতুর্দিকের অতি স্নেহী, সদা স্নেহের সাগরে লাভলীন আত্মাদের,
সদা সর্ব শক্তির অধিকারী শ্রেষ্ঠ আত্মাদের, যারা সদা বাবা সমান হয়, বাবার প্রিয়
সেই আত্মাদের, যারা সদা স্বমানে থাকে এবং সব আত্মাকে সম্মান দেয়, সকলের কাছে
মাননীয় হয়, তেমন আত্মাদের, সদা সর্ব উপকারী আত্মাদের বাপদাদার হৃদয়ের স্মরণ
স্নেহ এবং সবাই যেন হৃদয়ের আশীর্বাদ স্বীকার করে। আর সেইসঙ্গে বিশ্বের মালিক
আত্মাদের নমস্কার।
দাদীজীর সাথে :-
সম্মান দেওয়াতে নম্বর ওয়ান হিসেবে পাশ হয়েছো। এটা ভালো,
দাদীদের কারণেই মধুবনের শোভা। (সভার প্রতি) তোমাদের সকলের দাদীদের জ্যোতির্ময়ী
সৌন্দর্য ভালো লাগে তো না! তোমরা সবাই দাদী নও, কিন্তু দিদি এবং দাদা তো বটে! যেমন,
দাদীদের দীপ্তিতে মধুবন শোভামন্ডিত হয়ে যায়, তেমনই তোমরা সব দিদি এবং সব দাদা,
সবাইকে এটা ভাবতে হবে, করতে হবে, যেখানেই তোমরা থাকো সেখানে যেন দীপ্তির প্রকাশ
বিদ্যমান থাকে। ঠিক যেমন দাদীদের দীপ্তি বা আলোয় পরিপূর্ণ, তেমনই সব স্থান যেন
দীপ্তিময় আলো হয়। কেননা, দাদীদের পিছনে দিদিরা আছ তো না, তোমরা কম নও। দাদারাও আছ,
দিদিরাও আছ। তো কোনও সেন্টারে রুক্ষ শুষ্ক পরিবেশ হওয়া উচিত নয়, দ্যুতিময় হওয়া
চাই। তোমরা প্রত্যেক আত্মা বিশ্বকে উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় ক'রে তোলো। তো যে স্থানেই
থাকো সেটা যেন আলোকপূর্ণ স্থান হিসেবে নজরে আসে। ঠিক আছে তো না? কেননা, দুনিয়ায়
সীমাবদ্ধতার ঔজ্জ্বল্য বিদ্যমান আর তোমাদের প্রত্যেকের সাথে রয়েছে অসীম দুনিয়ার
জ্যোতির্ময়ী সৌন্দর্য। যদি স্বয়ং খুশি, শান্তি আর অতীন্দ্রিয় সুখের দীপ্তিতে
পূর্ণ থাকো তবে স্থানও উজ্জ্বল হয়ে যাবে। কারণ স্থিতি দ্বারা স্থানে বায়ুমন্ডল
ছড়িয়ে পড়ে। সুতরাং সবাইকে চেক করতে হবে যে, যেখানে আমি থাকি সেখানে উজ্জ্বলতা
রয়েছে কিনা! নৈরাশ্য নেই তো! সবাই খুশিতে নাচছে, এরকমই হয় তো না! তোমরা সব দাদীর
এটাই তো কাজ, তাই না! ফলো দিদিদের এবং দাদাদের। আচ্ছা।
সবদিক থেকে স্নেহী বাচ্চা যারাই বাপদাদাকে হৃদয়ে স্মরণ করছে,
কিংবা পত্র, ই-মেল দ্বারা স্মরণ পাঠিয়েছে, চতুর্দিকের সেই বাচ্চাদের বাপদাদা দূরে
দেখছেন না, বরং হৃদয় সিংহাসনে দেখছেন। সব থেকে কাছে হৃদয়। তো হৃদয় থেকে যারা
স্মরণ পাঠিয়েছে তাদেরকে এবং স্মরণ পাঠায়নি কিন্তু স্মরণে আছে তাদেরও সবাইকে
বাপদাদা হৃদয় সিংহাসনাসীন দেখছেন। রেসপন্স দিচ্ছেন। দূরে বসেও নম্বর ওয়ান তীব্র
পুরুষার্থী ভব।
বরদান:-
দীর্ঘসূত্রিতার নিদ্রাকে তালাক দিয়ে নিদ্রাজিত,
চক্রবর্তী ভব
সাক্ষাৎকার মূর্ত হয়ে ভক্তদের সাক্ষাৎকার করানোর
জন্য এবং চক্রবর্তী হওয়ার জন্য নিদ্রাজিত হও। যখন তোমরা বিনাশকাল ভুলে যাও তখন
গড়িমসি ভাব এসে যায়। ভক্তদের আর্তস্বরের আহ্বান শোনো, দুঃখী আত্মাদের দুঃখের
আর্তনাদ শোনো, তৃষ্ণার্ত আত্মাদের প্রার্থণার আওয়াজ শোনো, তাহলে কখনও
দীর্ঘসূত্রিতার নিদ্রা আসবে না। উদ্দীপ্ত জ্যোতি হয়ে দীর্ঘসূত্রিতার নিদ্রাকে
তালাক দিয়ে দাও এবং সাক্ষাৎকার মূর্ত হও।
স্লোগান:-
তন-মন-ধন, মন-বাণী-কর্ম - যে কোনও প্রকারে বাবার
কর্তব্যে সহযোগী হও, তাহলে সহজ যোগী হয়ে যাবে।
অব্যক্ত ইশারা : - সত্যতা আর সভ্যতারূপী কালচারকে
ধারণ করো যেমন বাবাকে বলা হয়ে থাকে 'গড ইজ্ ট্রুথ', সত্যই বাবার প্রিয়। সত্য
হৃদয়ের প্রতি সাহেব সহায়। তো হৃদয় সিংহাসনাসীন সার্ভিসেবল বাচ্চাদের সম্বন্ধে-
সম্পর্কে, প্রতিটি সংকল্পে এবং বোলে সত্যতা এবং স্বচ্ছতা প্রতীয়মান হবে। তাদের সব
সংকল্প, সব বচন সত্য হবে।