23.05.2025 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এখন এই পার থেকে ওই পারে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাণ্ডারী পেয়ে গেছো, তোমাদের চরণ এখন এই পুরানো দুনিয়াতে নেই, তোমাদের নোঙ্গর এখান থেকে উঠে গেছে"

প্রশ্নঃ -
জাদুকর বাবার ওয়ান্ডারফুল জাদু কি, যা দ্বিতীয় কেউ করতে পারে না?

উত্তরঃ  
কড়ি তুল্য আত্মাকে হীরে তুল্য বানিয়ে দেওয়া, মালি হয়ে কাঁটাকে ফুলে পরিণত করা - এ হলো অত্যন্ত ওয়ান্ডারফুল জাদু, যা একমাত্র জাদুকর বাবাই করেন, দ্বিতীয় কেউই নয় । মানুষ তো কেবল অর্থ উপার্জনের জন্য জাদুকর হয়, কিন্তু তারা বাবার মতো জাদু দেখাতে পারে না ।

ওম্ শান্তি ।
সম্পূর্ণ সৃষ্টচক্রে বা এই ড্রামাতে বাবা একবারই আসেন । আর কোনো সৎসঙ্গ ইত্যাদিতে এমনভাবে বোঝানো হয় না । সেখানে যারা ধর্মগ্রন্থ ইত্যাদি কথকতা তারা হলো বাবা, আর না তারা তার সন্তান । বাস্তবে ওরা তো ফলোয়ার্সও নয় । এখানে তো তোমরা সন্তানও, স্টুডেন্টও আবার ফলোয়ার্সও । বাবা তো বাচ্চাদের সাথে করে নিয়ে যাবেন । বাবা চলে যাবেন, তারপরই তো বাচ্চারা এই ছিঃ - ছিঃ দুনিয়া থেকে নিজেদের ফুলের মতো দুনিয়ায় গিয়ে রাজত্ব করবে । বাচ্চারা, এই কথা তোমাদের বুদ্ধিতে আসা উচিত । এই শরীরের ভিতরে অবস্থানকারী যে আত্মা আছে, সে খুবই খুশী হয় । তোমাদের আত্মার খুবই খুশী হওয়া উচিত যে, অসীম জগতের বাবা এসেছেন, যিনি সকলেরই বাবা, বাচ্চারা, এও তোমাদের বোঝার মতো কথা । বাকি সম্পূর্ণ দুনিয়াতে তো সবই অবুঝ । বাবা তোমাদের বসে বোঝান, রাবণ তোমাদের কতো অবুঝ বানিয়ে দিয়েছে । বাবা এসে তোমাদের বুদ্ধিমান বানান । বাবা তোমাদের সম্পূর্ণ বিশ্বে রাজ্য করার উপযুক্ত, এতো বুদ্ধিমান বানান । এই ছাত্র জীবনও একই বার হয়, যখন ভগবান এসে পড়ান । তোমাদের বুদ্ধিতে এই কথা আছে, বাকি যারা অনেকেই নিজস্ব কাজ কারবার ইত্যাদিতে আটকে থাকে, তাদের বুদ্ধিতে কখনোই এই কথা আসে না যে, ভগবান পড়ান । তাদের তো নিজস্ব কাজ কারবারই স্মরণে থাকে । তাই বাচ্চারা, তোমরা যখন জানো যে, ভগবান আমাদের পড়ান, তাই তোমাদের কতটা প্রফুল্লিত থাকা উচিত, আর তো সকলেই পাই পয়সার বাচ্চা, তোমরা তো ভগবানের সন্তান হয়েছো, তাই বাচ্চারা, তোমাদের অপার খুশী হওয়া উচিত । কেউ কেউ তো খুবই প্রফুল্ল থাকে । কেউ কেউ বলে, বাবা আমরা মুরলী বুঝতে পারি না - এই হয়, ওই হয় । আরে, এই মুরলীর জ্ঞান তেমন কঠিনও নয় । ভক্তিমার্গে যেমন কেউ সাধু-সন্ত ইত্যাদিদের জিজ্ঞাসা করে - আমরা কিভাবে ভগবানের সঙ্গে মিলিত হবো? কিন্তু তারা জানে না । তারা কেবল আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে যে, ভগবানকে স্মরণ করো । ব্যস্, তাতেই খুশী হয়ে যায় । তিনি কে - তা দুনিয়াতে কেউই জানে না । নিজের বাবাকে কেউই জানে না । এই ড্রামা এমনই বানানো আছে যে, মানুষ আবারও ভুলে যাবে । এমনও নয় যে, তোমাদের মধ্যে সকলেই বাবা আর রচনাকে জানে । কোথাও কোথাও তো এমন চলন হয় যে, সেকথা আর জিজ্ঞাসা করো না । এই নেশাই যেন নেই । বাচ্চারা, এখন তোমাদের পদ যেন এই দুনিয়াতেই নেই । তোমরা জানো যে, তোমাদের পা এখন এই কলিযুগী দুনিয়া থেকে উঠে গেছে, নৌকার নোঙ্গর তুলে দিয়েছে । এখন আমরা যাচ্ছি, বাবা আমাদের কোথায় নিয়ে যাবেন, এ আমাদের বুদ্ধিতে আছে, কেননা বাবা যেমন কাণ্ডারী, তেমনই মালি । তিনি কাঁটাকে ফুলে পরিণত করেন । তাঁর মতো মালি আর কেউই নেই যে কাঁটাকে ফুলে পরিণত করতে পারে । এই জাদু কোনো কমকিছু নয় । তিনি কড়ি তুল্য আত্মাকে হীরে তুল্য বানান । আজকাল অনেক জাদুকর বেরিয়েছে, এ হলো ঠগের দুনিয়া । বাবা হলেন সদ্গুরু । এও বলা হয় যে, সদ্গুরু হলেন অকাল । এ কথা তারা খুবই মত্ত অবস্থায় বলে । এখন তারা যখন নিজেরা বলে যে সদগুরু হলেন এক, সকলের সদগতিদাতা এক, তাহলে নিজেদের কেন গুরু বলা উচিত? না তারা কিছু বুঝতে পারে, আর না মানুষ কিছু বুঝতে পারে । এই পুরানো দুনিয়াতে কি আর আছে? বাচ্চারা যখন জানতে পারে যে, বাবা নতুন ঘর তৈরী করছেন, তাহলে এমন কে আছে যে, নতুন ঘরকে ঘৃণা আর পুরানো ঘরকে ভালোবাসবে? বুদ্ধিতে তো নতুন ঘরের কথাই স্মরণ থাকে । তোমরা তো অসীম জগতের পিতার হয়েছো, তাই তোমাদের স্মৃতিতে থাকা চাই যে, বাবা আমাদের জন্য নতুন পৃথিবী বানাচ্ছেন । আমরা সেই নতুন পৃথিবীতে যাই । সেই নতুন পৃথিবীর অনেক নাম । সত্যযুগ, হেভেন, প্যারাডাইস, বৈকুন্ঠ ইত্যাদি - তোমাদের বুদ্ধি এখন পুরানো দুনিয়া থেকে উঠে গেছে, কেননা পুরানো দুনিয়াতে এখন দুঃখই দুঃখ । এর নামই হলো নরক, কাঁটার জঙ্গল, ভয়ানক নরক, কংসপুরী । এর অর্থও কেউ জানে না । সকলেই তো পাথর বুদ্ধির, তাই না । ভারতের হাল এখন কি, তাই দেখো । বাবা বলেন, এইসময় সব পাথর বুদ্ধির । সত্যযুগে সবাই পরশ পাথর বুদ্ধির, যথা রাজা - রানী, তথা প্রজা । এখানে তো হলো প্রজার উপর প্রজার রাজত্ব, তাই সকলেরই স্ট্যাম্প বানাতে থাকে ।

বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে এই কথা স্মরণ থাকা উচিত । উঁচুর থেকে উঁচু হলেন বাবা । তারপর দ্বিতীয় নম্বরে কে? ব্রহ্মা - বিষ্ণু - শঙ্করকে সেই উচ্চতার বলা হবে । শঙ্করের বেশভূষা কেমন দিয়ে দিয়েছে! বলে দেয় - উনি ভাং খান, ধুতরা খান এ তো তাকে অপমান করা হয়ে গেলো । এমন তো হয় না । এরা তো নিজেদের ধর্মকেই ভুলে আছে । নিজেদের দেবতাদের জন্য কি না বলে দেয়, কতো বেইজ্জত করে । বাবা তখন বলেন, আমারও অপমান, শঙ্কর এবং ব্রহ্মারও অপমান । বিষ্ণুর অপমান হয় না । বাস্তবে গুপ্তভাবে তাঁকেও করা হয়, কেননা বিষ্ণুই হলো রাধা - কৃষ্ণ । কৃষ্ণ হলো ছোটো বাচ্চা, কিন্তু সে মহাত্মাদের থেকেও উচ্চ, এমন মহিমা আছে । এই ব্রহ্মা তো পরে সন্ন্যাস নেন, ওই কৃষ্ণ তো ছোটো বাচ্চাই পবিত্র । সে তো পাপ ইত্যাদিকে জানেই না । তো উঁচুর থেকেও উঁচু হলেন শিববাবা, তবুও বেচারারা জানেই না যে, প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে কোথায় থাকা উচিত । প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে শরীরধারী দেখানো হয় । আজমীরে তাঁর মন্দির আছে । ব্রহ্মাকে দাড়ি - গোঁফ দেখানো হয়, শঙ্কর বা বিষ্ণুকে এমন দেখানো হয় না । তাই এ হলো বোঝার মতো কথা । প্রজাপিতা ব্রহ্মা সূক্ষ্মবতনে কিভাবে থাকবেন? তাঁর তো এখানে থাকা উচিত । এই সময় ব্রহ্মার কতো সন্তান? লেখা আছে যে প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার - কুমারীরা এতো সংখ্যায় আছে, তাহলে অবশ্যই প্রজাপিতা ব্রহ্মাও থাকবেন । চৈতন্য হলে অবশ্যই তিনি কিছু করবেন । প্রজাপিতা ব্রহ্মা কি কেবল সন্তানই জন্ম দেন, নাকি অন্য কিছুও করেন । যদিও আদি দেব ব্রহ্মা, আদি দেবী সরস্বতী বলা হয়, কিন্তু তাঁদের পার্ট কি, একথা কেউই জানে না । রচয়িতা যখন, তখন নিশ্চই এখান থেকে হয়েই গেছেন । শিববাবা নিশ্চই ব্রাহ্মণদের দত্তক নিয়েছিলেন । না হলে ব্রহ্মা কোথা থেকে আসবেন? এ নতুন কথা, তাই না । বাবা যতক্ষণ না আসেন, ততক্ষণ কেউই জানতে পারে না । যার যে পার্ট আছে, সে সেই পার্টি প্লে করে । বুদ্ধ কি পার্ট প্লে করেছিল, কবে এসেছিল, এসে কি করেছিল - কেউই তা জানে না । তোমরা এখন জানো যে, তিনি কি গুরু, টিচার, নাকি বাবা? তা নয় । তিনি তো সদগতি করাতে পারেন না । তিনি তো কেবল নিজের ধর্মের রচয়িতা, গুরু নয় । বাবা তাঁর বাচ্চাদের রচনা করেন । তারপর তিনি পড়ান । তিনি বাবা, টিচার এবং গুরু, এই তিনই । দ্বিতীয় কাউকে তিনি বলবেনই না যে, তুমি পড়াও । আর কারোর কাছে এই জ্ঞানই নেই । এই অসীম জগতের পিতাই হলেন জ্ঞানের সাগর । তাহলে অবশ্যই তিনি জ্ঞান শোনাবেন । বাবাই এই স্বর্গের রাজ্য - ভাগ্য দিয়েছিলেন । তিনি এখন আবার তা দিচ্ছেন । বাবা বলেন - বাচ্চারা, তোমরা পাঁচ হাজার বছর পরে আবার এসে মিলিত হয়েছো । বাচ্চারা বলে - হ্যাঁ বাবা, আমরা তোমার সঙ্গে অনেকবার মিলিত হয়েছি । যতই কেউ তোমাদের আঘাত করুক, তোমাদের ভিতরে তো খুশী আছে, তাই না । শিববাবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার স্মরণ তো আছে, তাই না । এই স্মরণেই কতো পাপ কেটে যায় । অবলা, বন্ধনে আছে যারা, তাদের তো আরো বেশী করে পাপ কাটে, কেননা তারা শিববাবাকে অনেক বেশী করে স্মরণ করে । তাদের উপর অত্যাচার হয়, তাই বুদ্ধি শিববাবার দিকে চলে যায় । শিববাবা রক্ষা করো । তাই স্মরণ করা তো খুব ভালো, তাই না । যদিও রোজ মার খাও, তবুও শিববাবাকে যদি স্মরণ করো, এ তো ভালো, তাই না । এমন মারের জন্য তো বলিহারি যাওয়া চাই । মার খেলেই তো স্মরণ করে । এমন বলা হয় যে - মুখে গঙ্গাজল আর গঙ্গার তটে যেন প্রাণ যায় । তোমরা যখন মার খাও, তখনই তোমাদের বুদ্ধিতে অল্ফ (আল্লাহ ), আর বে (বাদশাহী ) স্মরণে থাকে । ব্যস্, বাবা বললেই অবিনাশী উত্তরাধিকার অবশ্যই স্মরণে আসবে । এমন কেউই নেই যার বাবা স্মরণ আসাতে, তাঁর অবিনাশী উত্তরাধিকার স্মরণে আসে না । বাবার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সম্পত্তি অবশ্যই স্মরণে আসবে । তোমাদেরও শিব বাবার উত্তরাধিকার অবশ্যই স্মরণে আসবে । ওরা তো তোমাদের বিষের জন্য ( বিকারের জন্য ) আঘাত করে শিববাবাকে স্মরণ করায় । তোমরা বাবার থেকে অবিনাশী উত্তরাধিকার পাও, তখন তোমাদের পাপ কেটে যায় । এই এই নাটকে তোমাদের জন্য গুপ্ত কল্যাণ । যেমন বলা হয় যে, লড়াই কল্যাণকারী, তাহলে এই আঘাত করাও ভালোই হলো, তাই না ।

আজকাল বাচ্চাদের প্রদর্শনী মেলার সেবার উপর জোর দেওয়া হয় । নব নির্মাণ প্রদর্শনীর সাথে সাথে লেখো - গেট ওয়ে টু হেভেন । দুটো শব্দই থাকা উচিত । নতুন দুনিয়া কিভাবে স্থাপন হয়, তার প্রদর্শনী থাকলে মানুষ তা শুনে খুশী হবে । তোমরা বলো, নতুন দুনিয়া কিভাবে স্থাপন হয়, তারজন্য এই চিত্র বানানো হয়েছে । তোমরা এসে দেখো । গেট ওয়ে টু নিউ ওয়ার্ল্ড, এই শব্দটিও ঠিক । এই যে লড়াই হবে, এর দ্বারাই গেটস খুলে যায় । গীতাতেও এমন কথা আছে যে, ভগবান এসেছিলেন, তিনি এসে রাজযোগ শিখিয়েছিলেন । তিনি যখন মানুষ থেকে দেবতা বানিয়েছিলেন, তাহলে নিশ্চই নতুন দুনিয়া স্থাপন হয়েছিলো । মানুষ চাঁদে যাওয়ার জন্য কতো প্রচেষ্টা করে । সেখানে দেখে, মাটি ছাড়া আর কিছুই নেই । সে সম্বন্ধে এতো কথা শোনায় । এতে কি লাভ ! এখন তোমরা তো প্রকৃত সাইলেন্সে যাও, তাই না । তোমরা অশরীরী হও । সে হলো সাইলেন্স ওয়ার্ল্ড । তোমরা মৃত্যু চাও, এই শরীর ত্যাগ করে যেতে চাও । বাবাকেও তোমরা মৃত্যুর জন্যই ডাকো যে, তুমি এসে তোমার সঙ্গে মুক্তি আর জীবনমুক্তিতে নিয়ে চলো । মানুষ কিন্তু বুঝতেই পারে না, পতিত পাবন আসবেন, তারা মনে করে আমরা কালেরও কালকে ডাকি । এখন তোমরা বুঝতে পারো, বাবা এসেছেন, তিনি বলেন, তোমরা আমার.সঙ্গে ঘরে চলো, আর আমরা তাঁর সঙ্গে ঘরে ফিরে যাই । বুদ্ধি তো কাজ করে তাই না । এখানে কিছু বাচ্চা আছে, যাদের বুদ্ধি কাজ কারবারের দিকেই দৌড়াতে থাকে । অমুকে অসুস্থ, তার কি হবে । অনেক প্রকারের সঙ্কল্প এসে যায় । বাবা বলেন, তোমরা এখানে বসে আছো, তোমাদের বুদ্ধি যেন বাবা আর তাঁর অবিনাশী উত্তরাধিকারের প্রতিই থাকে । আত্মাই তো স্মরণ করে, তাই না । মনে করো, কোনো বাচ্চা লন্ডনে আছে, খবর এলো যে, সে অসুস্থ । ব্যস্, তোমাদের বুদ্ধি সেইদিকে চলে যাবে । তখন সেই বুদ্ধিতে জ্ঞান বসতে পারবে না । এখানে বসেও বুদ্ধিতে তার কথা স্মরণ করতে থাকবে । কারোর পতি অসুস্থ হয়ে গেলে স্ত্রীর মনেও উথালপাথাল হতে থাকবে । বুদ্ধি তো সেইদিকে যায়, তাই না । তাই তোমরাও এখানে বসে সবকিছু করেও শিববাবাকে স্মরণ করতে থাকো । তাও অহো কি সৌভাগ্য ! ওরা যেমন পতিকে বা গুরুকে স্মরণ করে, স্মরণ করে, তোমরাও বাবাকে স্মরণ করো । তোমাদের এক মিনিটও সময় নষ্ট করা উচিত নয় । বাবাকে যত স্মরণ করবে, তখন সেবা করার সময়ও বাবাই স্মরণে আসবে । বাবা বলছেন, তোমরা আমার ভক্তদের বোঝাও । এ কথা কে বলছেন? শিববাবা বলছেন । কৃষ্ণের ভক্তদের কি বোঝাবে? তাদের বলো, কৃষ্ণ নতুন দুনিয়া স্থাপন করছেন । মানবে কি? সৃষ্টিকর্তা তো গড ফাদার, কৃষ্ণ তো নয়ই । পরমপিতা পরমাত্মাই পুরানো দুনিয়াকে নতুন বানাচ্ছেন, এ কথা মানবেই । নতুন থেকে পুরানো আবার পুরানো থেকে নতুন হয় । কেবল তা অনেক সময় দেওয়াতে মানুষ ঘোর অন্ধকারে আছে । তোমাদের জন্য তো এখন হাতের উপর স্বর্গের উপহার । বাবা বলেন, আমি তোমাদের সেই স্বর্গের মালিক বানাতে এসেছি । তোমরা তো মালিক হবে? বাঃ, কেন হবে না? আচ্ছা, তোমরা আমাকে স্মরণ করো আর পবিত্র হও । এই স্মরণেই তোমাদের পাপ ভস্ম হয়ে যাবে । বাচ্চারা, তোমরা তো জানো, এই বিকর্মের বোঝা আত্মার উপরেই আছে, নাকি শরীরের উপর? শরীরের উপর যদি পাপের বোঝা থাকে তাহলে শরীর যখন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তো তার সাথে সাথে পাপও জ্বলে যাবে । আত্মা তো হলো অবিনাশী, তাতেই খাদ জমা হয় । যেই খাদ দূর করার জন্য বাবাই যুক্তি বলে দেন যে, আমাকে স্মরণ করো । পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার যুক্তি কতো সুন্দর । মন্দির যারা বানায়, শিবের যারা পুজো করে, তারাও ভক্ত, তাই না । পূজারীকে কখনোই পূজ্য বলা যাবে না । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ ) যাকে সম্পূর্ণ দুনিয়া খুঁজছে, সেই বাবাকে আমরা পেয়ে গেছি - তোমাদের এই খুশীতে থাকতে হবে । স্মরণের দ্বারাই পাপ মুক্ত হওয়া যায়, তাই যে কোনো পরিস্থিতিতেই বাবা আর তাঁর অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে হবে । এক মিনিটও নিজের সময় নষ্ট করবে না ।

২ ) এই পুরানো দুনিয়া থেকে বুদ্ধির নোঙ্গর উঠিয়ে নিতে হবে । বাবা আমাদের জন্য নতুন ঘর নির্মাণ করছেন, এ হলো ভয়ানক নরক, কংস পুরী, আমরা বৈকুন্ঠপুরীতে যাই । সদা এই স্মৃতিতে থাকতে হবে ।

বরদান:-
বিহঙ্গ মার্গের সেবার দ্বারা বিশ্ব পরিবর্তনের কার্যকে সম্পন্ন করে সত্যিকারের সেবাধারী ভব

বিহঙ্গ মার্গের সেবা করার জন্য সংগঠিত রূপে “রূপ আর বসন্ত” অর্থাৎ জ্ঞান আর যোগ এই দুই বিষয়ের ব্যালেন্স চাই। যেরকম বসন্ত রূপের দ্বারা একই সময়ে অনেক আত্মাদেরকে সন্দেশ দেওয়ার কার্য করছো এরকমই রূপ অর্থাৎ স্মরণের বল দ্বারা, শ্রেষ্ঠ সংকল্পের বল দ্বারা বিহঙ্গ মার্গের সার্ভিস করছো। এরও ইনভেনশন বের করো। সাথে-সাথে সংগঠিত রূপে দৃঢ় সংকল্পের দ্বারা পুরানো সংস্কার, স্বভাব বা পুরানো চলনের তিল এবং যব যজ্ঞে স্বাহা করো, তখন বিশ্ব পরিবর্তনের কার্য সম্পন্ন হবে অথবা যজ্ঞের সমাপ্তি হবে।

স্লোগান:-
বালক আর মালিক ভাবের ব্যালেন্সের দ্বারা প্ল্যানকে প্র্যাক্টিক্যালে নিয়ে এসো।


অব্যক্ত ঈশারা : - আত্মিক রয়্যাল্টি আর পিওরিটির পার্সোনালিটি ধারণ করো

এই ঈশ্বরীয় সেবাতে সবথেকে বড় পূণ্য হল - পবিত্রতার দান দেওয়া। পবিত্র হওয়া আর পবিত্র বানানোই হলো পূণ্য আত্মা হওয়া কেননা কোনও আত্মাকে আত্মহত্যার মতো মহাপাপ কাজ করা থেকে মুক্ত করে থাকো। অপবিত্রতা হল আত্মহত্যা। পবিত্রতা হলো জীবনদান। কারোর দুঃখ নিয়ে সুখ দেওয়া, এটাই হলো সবথেকে বড় পূণ্যের কাজ। এইরকম পূণ্য করতে করতে পুণ্যাত্মা হয়ে যাবে।