23.07.2024
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
তোমাদের ঠিক টাইমে নিজের ঘরে ফিরে যেতে হবে, তাই স্মরণের গতিকে বাড়িয়ে দাও, এই
দুঃখধামকে ভুলে শান্তিধাম ও সুখধামকে স্মরণ করো"
প্রশ্নঃ -
কোন্ গুহ্য
রহস্যটি তোমরা লোকেদের শোনালে তাদের বুদ্ধিতে কৌতূহল জাগবে?
উত্তরঃ
তাদের এই
গূহ্য রহস্যটি শোনাও যে, আত্মা হলো অতীব ছোট্ট বিন্দু, তাতে ফর এভার পার্ট ভরা
রয়েছে, যে পার্ট নিরন্তর প্লে হতেই থাকে। কখনও ক্লান্ত হয় না। কারো মোক্ষ প্রাপ্তি
হয় না। মানুষ এত এত দুঃখ দেখে বলে মোক্ষ পেলেই ভালো। কিন্তু অবিনাশী আত্মা পার্ট
প্লে না করে থাকতে পারে না। এই কথা গুলো শুনে তাদের ভিতরে কৌতূহল জাগবে।
ওম্ শান্তি ।
মিষ্টি মিষ্টি
আত্মারূপী বাচ্চাদের বাবা বোঝাচ্ছেন, এখানে তো সব আত্মিক বাচ্চারাই রয়েছে । বাবা
প্রতিদিন বোঝান অবশ্যই এই দুনিয়ায় গরীব মানুষের অসীম দুঃখ, এখন এই ফ্লাডস ইত্যাদি
হলে গরীব মানুষের অশেষ দুঃখ হয়, তাদের জিনিসপত্র ইত্যাদির কি অবস্থা হয়। দুঃখ তো হয়
তাই না ! অপার দুঃখ রয়েছে । ধনী মানুষদেরও দুঃখ রয়েছে কিন্তু সেসব হলো অল্পকালের
জন্য। ধনী মানুষও অসুস্থ হয়, তাদের মৃত্যুও হয় - আজ অমুকে মারা গেছে, কাল অন্য কিছু
হয়েছে। আজ যে প্রেসিডেন্ট, কাল সিংহাসন ত্যাগ করতে হতে পারে। একজোট হয়ে সিংহাসন
থেকে বঞ্চিত করা হয়। এও হলো একপ্রকারের দুঃখ। বাবা বলেন দুঃখের লিস্ট বানাও, কত
রকমের দুঃখ রয়েছে - এই দুঃখধামে। তোমরা বাচ্চারা সুখধামকেও জানো, দুনিয়া কিছুই জানে
না। দুঃখধাম সুখধামের তুলনা তারা করতে পারে না। বাবা বলেন তোমরা সবকিছু জানো, তারা
এই কথা মানবে যে, কথাটা বলছে ঠিকই। এখানে যাদের বিশাল বাড়ি ইত্যাদি আছে, বিমান আছে,
তারা ভাবে কলিযুগ এখন ৪০ হাজার বছর চলবে। পরে সত্যযুগ আসবে। ঘোর অন্ধকারে আছে, তাই
না। এখন তাদের কাছে আনতে হবে। সময় খুব কম আছে। কোথায় তারা লক্ষ বছর বলে দেয় আর তোমরা
প্রমাণ দিয়ে ৫ হাজার বছর বলো। প্রতি ৫ হাজার বছর পর পর এই চক্র রিপিট হয়। ড্রামা
কখনো লক্ষ বছরের হবে নাকি। তোমরা বুঝে গেছো যে যা কিছু হয় সবই ৫ হাজার বছরের সময়
কালেই হয়। সুতরাং এখানে দুঃখধামে রোগ ইত্যাদি সব হয়। তোমরা কয়েকটি মুখ্য কথা লিখে
দাও। স্বর্গে দুঃখের নামটুকুও থাকে না। এখন বাবা বোঝাচ্ছেন মৃত্যু সামনে উপস্থিত,
এই সময় সেই গীতা এপিসোড চলছে। নিশ্চয়ই সঙ্গম যুগে সত্যযুগের স্থাপনা হয়েছে। বাবা
বলেন, আমি রাজার রাজা করি, তো নিশ্চয়ই সত্যযুগের রাজা করবো তাই না! বাবা খুব ভালো
ভাবে বোঝান।
এখন আমরা যাবো সুখধামে। বাবাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। যারা নিরন্তর স্মরণ করে তারা-ই
উঁচু পদের অধিকারী হবে, তাদের জন্য বাবা যুক্তি বলে দেন। স্মরণের গতিকে বাড়াও।
কুম্ভের মেলায়ও সঠিক টাইমে যেতে হয়। তোমাদেরও সময় মতন যেতে হবে। এমন নয় তাড়াতাড়ি
পৌঁছে যাবে। না, এই কাজ শীঘ্র করা তোমাদের হাতে নেই। এটা তো হলোই ড্রামাতে
নির্ধারিত । মহিমা সবটাই হলো ড্রামার। এখানে কত রকমের জীব জন্তু রয়েছে দুঃখ দেওয়ার
জন্য। সত্যযুগে এমন হয় না। মনে মনে চিন্তন করা উচিত - সেখানে এমন এমন হবে। সত্যযুগ
তো স্মরণে আসে, তাই না ! সত্যযুগের স্থাপনা বাবা করেন। শেষ সময়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান
নাটসেলে (সংক্ষিপ্ত সারে) বুদ্ধিতে এসে যায়। যেমন বীজ কত ছোট, বৃক্ষ কত বিশাল হয় ।
ওটা হলো জড় বস্তু, আর এ হলো চৈতন্য। এই কথা কারো জানা নেই, কল্পের আয়ু লম্বা চওড়া
করে দিয়েছে। ভারত অনেক সুখ পেয়েছে ফলে দুঃখও ভারতই পায়। রোগ ইত্যাদিও ভারতেই বেশি ।
এখানে মশার মতন মানুষের মৃত্যু হয়, কারণ আয়ু হয়ে গেছে ছোট। এখানকার সাফাইকর্মী এবং
বিদেশের সাফাইকর্মীদের মধ্যে কতো পার্থক্য রয়েছে । বিদেশের সমস্ত আবিষ্কার এইখানে
আসে। সত্যযুগের নাম-ই হলো প্যারাডাইজ। সেখানে সবাই সতোপ্রধান। তোমাদের সব
সাক্ষাৎকার হবে। বর্তমানে এ হলো সঙ্গম যুগ, যখন বাবা বসে বোঝান, বোঝাতেই থাকবেন,
নতুন নতুন কথা শোনাতেই থাকবেন। বাবা বলেন প্রতিদিন তোমাদেরকে গূহ্য গূহ্য কথা শোনাই।
আগে কি জানা ছিল যে, বাবা এমন ছোট্ট বিন্দু, তাঁর মধ্যে সম্পূর্ণ পার্ট ভরা রয়েছে
ফর এভার। তোমরা পার্ট প্লে করে এসেছো, তোমরা যাকেই বলবে তাদের মনে কৌতুহল জাগবে যে
এরা কি বলছে, এত ছোট বিন্দুর মধ্যে সম্পূর্ণ পার্ট ভরা রয়েছে, যা প্লে হতেই থাকে,
কখনও ক্লান্ত হয় না! কারো জানা নেই। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো যে অর্ধকল্প হলো সুখ,
অর্ধকল্প হল দুঃখ। অনেক দুঃখ ভোগ করে মানুষ বলে - এর চেয়ে মোক্ষ প্রাপ্তি ভালো। যখন
তোমরা সুখে, শান্তিতে থাকবে, তখন এমন কথা থোড়াই বলবে। এই সম্পূর্ণ নলেজ এখন তোমাদের
বুদ্ধিতে আছে। যেমন বাবা বীজ রূপ বলে তাঁর কাছে সম্পূর্ণ বৃক্ষের নলেজ আছে। বৃক্ষের
মডেল দেখানো হয়েছে। বিশাল রূপ কি দেখানো যায়? বুদ্ধিতে সমস্ত জ্ঞান এসে যায়। অতএব
বাচ্চারা তোমাদের কত বিশাল বুদ্ধি হওয়া উচিত। কত বোঝাতে হয়, অমুকে এত সময় বাদে
পুনরায় আসেন পার্ট প্লে করতে, এ হলো বিশালতম ড্রামা। এই ড্রামা সম্পূর্ণভাবে কেউ
কখনও দেখতে পারে না। অসম্ভব। দিব্য দৃষ্টি দ্বারা তো ভালো জিনিস দেখা হয়। গণেশ,
হনুমান এরা হলেন ভক্তিমার্গের। কিন্তু মানুষের ভাবনা এতই দৃঢ হয়েছে যে তারা ভক্তি
ছাড়তে পারে না। এখন বাচ্চারা, তোমাদের পুরুষার্থ করতে হবে, কল্প পূর্বের মতন পদ
প্রাপ্তির জন্য পড়তে হবে। তোমরা জানো পুনর্জন্ম তো প্রত্যেককে নিতে হবে । সিঁড়ি বেয়ে
কিভাবে নেমেছে, বাচ্চারা এই কথা জেনে গেছে। যা কিছু নিজেরা জেনেছে তা অন্যদের বোঝাতে
থাকবে। কল্প পূর্বেও এমন করেছিল হয়তো। এমন মিউজিয়াম তৈরি করে কল্প পূর্বেও
বাচ্চাদের শেখানো হয়েছিল হয়তো। বাচ্চারা পুরুষার্থ করতে থাকে, করতে থাকবে। ড্রামাতে
নির্ধারিত রয়েছে । এমন করেই অসংখ্য হয়ে যাবে। গলিতে গলিতে, ঘরে ঘরে এই স্কুল থাকবে।
শুধুমাত্র ধারণার কথা। বলো তোমাদের দুইজন পিতা, বড় কে? তাঁকেই আহ্বান করা হয় - দয়া
করো, কৃপা করো। বাবা বলেন চাইলে কিছুই পাবে না। আমি তো পথ বলে দিয়েছি। আমি এসেছি
রাস্তা বলে দিতে। সম্পূর্ণ বৃক্ষ তোমাদের বুদ্ধিতে আছে।
বাবা কত পরিশ্রম করতে থাকেন। খুব কম সময় আছে। আমার সার্ভিসেবল বাচ্চা চাই। ঘরে ঘরে
গীতা পাঠশালা চাই। চিত্র ইত্যাদি না রাখো শুধু বাইরে লিখে দাও। চিত্র তো হল এই
ব্যাজ । শেষ সময়ে এই ব্যাজ তোমাদের কাজে লাগবে। এটা হল ইঙ্গিতে বোঝানোর জন্য ।
জানাই যায় অসীম জগতের বাবা নিশ্চয়ই স্বর্গ রচনা করবেন । সুতরাং বাবাকে স্মরণ করবে
তবেই তো স্বর্গে যাবে, তাই না। এই কথা তো বুঝেছ যে আমরা পতিত, স্মরণ দ্বারাই পবিত্র
হব, অন্য কোনো উপায় নেই। স্বর্গ হলো পবিত্র দুনিয়া, স্বর্গের মালিক হতে হলে পবিত্র
নিশ্চয়ই হতে হবে। স্বর্গে যারা যাবে তারা নরকে ডুব দেবে কিভাবে ! তাই বলা হয়
মন্মনাভব। অসীম জগতের বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে অন্তিম কালে সদগতি হবে। স্বর্গে যারা
যাবে, তারা কি বিকার গ্রস্ত হতে পারে! ভক্ত মানুষ বিকার গ্রস্ত হয় না। সন্ন্যাসীরা
এমন বলবে না যে পবিত্র হও। কারণ তারা নিজেরাই তো বিবাহ করায়। তারা গৃহস্থদের বলবে
মাসে একবার বিকারে যাও । ব্রহ্মচারীদের এমন বলা হবে না যে তোমাদের বিয়ে করতে হবে।
তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ গন্ধর্ব বিবাহ করে, তবুও পরের দিন খেলা সমাপ্ত । মায়া খুব
আকৃষ্ট করে। তবুও পবিত্র হওয়ার পুরুষার্থ এই সময়েই করা হয়, তারপরে হলো প্রালব্ধ।
সেখানে তো রাবণ রাজ্য নেই। ক্রিমিনাল চিন্তনও থাকে না। ক্রিমিনাল বানায় রাবণ। সিভিল
বানান শিববাবা। এই কথাও স্মরণ করতে হবে। ঘরে-ঘরে ক্লাস হলে সবাই বোঝাতে পারবে।
ঘরে-ঘরে গীতা পাঠশালা তৈরি করে পরিবারের মানুষদের পরিবর্তন করতে হবে। এমন করেই
বৃদ্ধি হতে থাকবে। সাধারণ ও গরিব, প্রায় কাছাকাছি । কিন্তু ধনীরা গরিব মানুষের
সৎসঙ্গে যোগ দিতে লজ্জা বোধ করবে । কারণ তারাও শুনেছে যে এখানে জাদু আছে, এখানে
ভাই-বোন বানিয়ে দেয়। আরে, সে তো ভালো কথা তাইনা। গৃহস্থে কত রকমের ঝঞ্ঝাট ঝামেলা
রয়েছে । তাতে কতো মানুষ দুঃখী হয় । এটা হলোই দুঃখের দুনিয়া। এখানে অপার দুঃখ আছে
তারপরে সেখানে অপার সুখও থাকবে। তোমরা চেষ্টা করো তার একটা লিস্ট তৈরি করার। ২৫-৩০
টি প্রধান প্রধান দুঃখের কথা বের করো।
অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য কত পুরুষার্থ করা
উচিত। বাবা এই রথের দ্বারা আমাদের বোঝান। এই দাদা-ও (ব্রহ্মা) হলেন স্টুডেন্ট।
দেহধারী সবাই হলো স্টুডেন্ট। টিচার যিনি পড়াচ্ছেন তিনি হলেন বিদেহী। তোমাকেও বিদেহী
করছেন তাই বাবা বলেন শরীরের অনুভূতি ত্যাগ কর। এই বাড়ি ইত্যাদি কিছুই থাকবে না।
সেখানে সবকিছু নতুন পাবে, শেষের দিকে তোমাদের অনেক সাক্ষাৎকার হবে। এই কথা তো জানো
ওই দিকে অনেক বিনাশ হয়ে যাবে, অ্যাটমিক বম্ব দিয়ে। এইখানে রক্তের নদী বইবে, এর জন্যে
সময় লাগে। এখানকার মৃত্যু খুবই ভয়ংকর। এই হল অবিনাশী খন্ড, মানচিত্রে দেখবে ভারত হল
একটি কোণে। ড্রামা অনুযায়ী এইখানে বিনাশের প্রভাব পড়ে না। এখানে রক্তের নদী বয়। এখন
তৈয়ারী চলছে। হতে পারে পরের দিকে তাদের বোমা লোনে দেওয়া হবে। কিন্তু যে বম্ব মেরে
দুনিয়া শেষ হবে সেই বম্ব থোড়াই লোনে দেবে। হালকা কোয়ালিটির দেবে। কাজের জিনিস কেউ
কাউকে দেয় নাকি। বিনাশ তো কল্প পূর্বের মতন হয়েই যাবে। নতুন কথা নয়। অনেক ধর্মের
বিনাশ, একটি ধর্মের স্থাপনা। ভারত ভূমি খন্ড কখনো বিনাশ হয় না। একটু তো রয়েই যাবে।
সবাই মারা গেলে তো প্রলয় হয়ে যাবে। দিন দিন তোমাদের বুদ্ধি বিশাল হতে থাকবে। তোমরা
অনেক রিগার্ড রাখবে। এখন এত রিগার্ড নেই তাই কম পাস হয়। বুদ্ধিতে আসে না, কত দন্ড
ভোগ করতে হবে তখন আসবে দেরিতে। পতন হলে উপার্জিত ধন নষ্ট হয়ে যায়। অসুন্দরই থেকে
যায়। তারপরে আর দাঁড়াতে পারে না। কতজন চলে যায়, কতজন চলে যাবে। নিজেরাও বোঝে যে এই
অবস্থায় শরীর ত্যাগ হলে আমাদের কি গতি হবে। বুদ্ধির বিষয়, তাইনা। বাবা বলেন - তোমরা
বাচ্চারা হলে শান্তি স্থাপনকারী, তোমাদের মধ্যে যদি অশান্তি হয় তাহলে পদ ভ্রষ্ট হয়ে
যাবে। কাউকে দুঃখ দেওয়ার দরকার নেই। বাবা কত ভালোবেসে সবাইকে মিষ্টি বাচ্চারা
সম্বোধন করে কথা বলেন। তিনি হলেন অসীম জগতের পিতা, তাইনা। সম্পূর্ণ দুনিয়ার নলেজ আছে
তাঁর, তাই তো বোঝান। এই দুনিয়ায় কত রকমের দুঃখ আছে। অনেক দুঃখের কথা তোমরা লিখতে
পারো। যখন তোমরা এই কথা প্রমাণ করে বলবে তখন তারা বুঝবে এই কথা তো একবারে সঠিক। এই
অপার দুঃখ তো একমাত্র বাবা ছাড়া অন্য কেউ দূর করতে পারবেন না। দুঃখের লিস্ট থাকলে
বুদ্ধিতে কিছু ঢুকবে। বাকি সব কথা তো শুনেও শুনবে না, তাদের জন্যই কথিত আছে যে, ভেড়া
কি জানে অপার্থিব সাঙ্গীতিক সুরের মাধুর্য কী! বাবা বোঝান বাচ্চারা, তোমাদের এমন
সুন্দর সুন্দর ফুলে (গুলগুল) পরিণত হতে হবে। কোনও অশান্তি, নোংরা আবর্জনা থাকা উচিত
নয়। অশান্তি যারা ছড়ায় তারা হলো দেহ-অভিমানী, তাদের থেকে দূরে থাকবে। স্পর্শও করবে
না। আচ্ছা !
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর
সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১)
শিক্ষক রূপে যিনি পড়াচ্ছেন, তিনি যেমন বিদেহী, তাঁর দেহের অনুভূতি নেই, সেই রকম
বিদেহী হতে হবে। দেহের বোধ ত্যাগ করতে হবে। ক্রিমিনাল আই-কে বদলে সিভিল দৃষ্টি
বানাতে হবে।
২) নিজের বুদ্ধিকে
বিশাল বানাতে হবে, দন্ড ভোগ করার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য বাবার এবং পড়াশোনা দুইয়েরই
রিগার্ড রাখতে হবে। কখনও দুঃখ দেবে না। অশান্তি করবে না।
বরদান:-
ব্রাহ্মণ জীবনের ন্যাচারাল নেচারের দ্বারা পাথরকেও জল বানিয়ে দেওয়া মাস্টার
প্রেমের সাগর ভব
যেরকম দুনিয়ার মানুষ
বলে যে প্রেম পাথরকেও জল বানিয়ে দেয়, সেইরকম তোমাদের অর্থাৎ ব্রাহ্মণদের ন্যাচারাল
নেচার হলো মাস্টার প্রেমের সাগর। তোমাদের কাছে আত্মিক ভালোবাসা, পরমাত্ম ভালোবাসার
এমন শক্তি রয়েছে যে, যার দ্বারা ভিন্ন-ভিন্ন নেচার-কে পরিবর্তন করতে পারো। যেরকম
প্রেমের সাগর নিজের প্রেম স্বরূপের অনাদি নেচারের দ্বারা বাচ্চারা, তোমাদেরকে নিজের
বানিয়ে নিয়েছেন, সেইরকমই তোমরাও মাস্টার প্রেমের সাগর হয়ে বিশ্বের আত্মাদেরকে
সত্যিকারের নিঃস্বার্থ আত্মিক প্রেম দাও, তো তাদের নেচার পরিবর্তন হয়ে যাবে।
স্লোগান:-
নিজের
বিশেষত্বগুলিকে স্মৃতিতে রেখে সেগুলিকে সেবাতে প্রয়োগ করো তাহলে উড়ন্ত কলাতে উড়তে
থাকবে।