24.03.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
এই জ্ঞান তোমাদের শীতল করে, এই জ্ঞানের দ্বারা কাম-ক্রোধের অগ্নি নির্বাপণ হয়ে যায়,
ভক্তির দ্বারা এই অগ্নি নির্বাপণ হয় না"
প্রশ্নঃ -
স্মরণের
ক্ষেত্রে মুখ্য পরিশ্রম কোনটি ?
উত্তরঃ
বাবার স্মরণে
বসার সময় দেহও যেন স্মরণে না আসে। আত্ম-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করো, এটাই হলো
পরিশ্রম। এতেই বিঘ্ন আসে, কারণ অর্ধ-কল্প দেহ-অভিমানী হয়ে রয়েছো। ভক্তি মানেই
দেহের স্মরণ করা।
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা,
তোমরা জানো যে স্মরণের জন্য একান্তে থাকা খুবই আবশ্যক। তোমরা একান্তে বা শান্ত ভাবে
যতোটা বাবার স্মরণে থাকতে পারবে, ভীড়ের মাঝে অতোটা থাকতে পারবে না। বাচ্চারা স্কুলে
পড়লেও একান্তে বা নির্জনে গিয়ে স্টাডি করে। এই ক্ষেত্রেও তোমাদের একান্তে বা
নির্জনে থাকা উচিত। ঘুরতে গেলেও সেখানে স্মরণের যাত্রা হলো মুখ্য। একদম প্রথম শত্রু
হলো দেহ-অভিমান। বাবাকে স্মরণ করার পরিবর্তে দেহকে স্মরণ করে নেয়। একেই
দেহ-সর্বস্ব অহংকার বলা হয়। যেখানে তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের বলা হয় আত্ম-অভিমানী
হও, এতেই পরিশ্রম হয়। ভক্তি তোএখন চলে গেছে। ভক্তি হয়ই শরীরের সাথে। তীর্থ
ইত্যাদিতে তো শরীরকে নিয়ে যেতে হয়। দর্শন করতে হবে, এটা করতে হবে। শরীরকে উপস্থিত
থাকতে হয়। এখানে তোমাদের এইরকম চিন্তা করতে হয় যে আমি হলাম আত্মা, আমাকে পরমপিতা
পরমাত্মা বাবাকে স্মরণ করতে হবে। ব্যাস, যতো স্মরণ করবে তো পাপ খন্ডন হবে। ভক্তি
মার্গে তো কখনো পাপ খন্ডন হয় না। কেউ বুড়ো ইত্যাদি হলে তো মনের ভিতর এই ভ্রান্ত
ধারণা চলে যে- আমি ভক্তি না করলে তো লোকসান হবে, নাস্তিক হয়ে যাবো। ভক্তিতে যেন
আগুণ লেগে থাকে আর জ্ঞানের মধ্যে আছে শীতলতা। এতে কাম-ক্রোধের আগুণ নিভে যায়। ভক্তি
মার্গে মানুষ কতো ভাবনা রাখে, পরিশ্রম করে। মনে করো বদ্রীনাথে গেছো, মূর্তির
সাক্ষাৎকার হলো, আবার কি ! দ্রুত ভাবনা তৈরী হয়ে যায়, আবার বদ্রীনাথ ব্যাতীত আর
কারোর স্মরণ বুদ্ধিতে থাকে না। পূর্বে তো পায়ে হেঁটে যেতো। বাবা বলেন আমি অল্প
সময়ের জন্য মনোস্কামনা পূর্ণ করে দিই অস্থায়ী ভাবে, সাক্ষাৎকার করিয়ে দিই। এছাড়া
আমি তাদের সাথে মিলিত হই না। আমি ছাড়া কি আর উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হতে পারে! তোমাদের
তো আমার থেকেই যে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না ! এরা তো সকলেই হলো দেহধারী।
উত্তরাধিকার একই রচয়িতা বাবার থেকে প্রাপ্ত হয়, এছাড়া যা কিছু জড় অথবা চৈতন্য আছে
সবই হলো রচনা। রচনার থেকে কখনো উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হতে পারে না। পতিত-পাবন একমাত্র
বাবা। কুমারীদের তো সঙ্গদোষ থেকে অনেক বাঁচতে হবে। বাবা বলেন এই পতিতপনা থেকে তোমরা
আদি-মধ্য-অন্ত দুঃখ পেয়ে থাকো। এখন হলো সব পতিত। তোমাদের এখন পবিত্র হতে হবে।
নিরাকার বাবা এসেই তোমাদের পড়ান। এরকম কখনো মনে করো না যে ব্রহ্মা পড়ান। সকলের
বুদ্ধি শিববাবার দিকে থাকা উচিত। শিববাবা এঁনার দ্বারা পড়ান। তোমাদের দাদীদেরও
পড়ানোর জন্য হলেন শিববাবা। ওঁনাকে কি খাতির করবে! তোমরা শিববাবার জন্য আঙুর, আম
নিয়ে আসো, শিববাবা বলেন- আমি তো হলাম অভোক্তা। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের জন্যই
সবকিছু। ভক্তিতে ভোগ নিবেদন করে আর ভাগ করে খায়। আমি কি আর খাই! বাবা বলেন আমি তো
আসিই তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের পড়াশুনা করিয়ে পবিত্র করতে। পবিত্র হয়ে তোমরা এতো
উঁচু পদ প্রাপ্ত করবে। এইটি হলো আমার ধান্ধা। বলেই শিব ভগবানুবাচ। ব্রহ্মা
ভগবানুবাচ তো বলে না। ব্রহ্মা বাচাও বলে না। যদিও ইনিই মুরলী চালান কিন্তু সর্বদা
মনে রেখো যে শিববাবা মুরলী চালান। কোনো বাচ্চার তীর ভালো মতো লাগলে নিজেই এসে পরে।
জ্ঞানের তীর গাওয়া হয় তীক্ষ্ণ। সায়েন্সের মধ্যেও কতো পাওয়ার। বম্বস্ ইত্যাদির কতো
প্রাচুর্য্য থাকে।তোমরা কতো সাইলেন্সে থাকো। সাইন্সের উপর সাইলেন্স বিজয় প্রাপ্ত করে।
তোমরা এই সৃষ্টিকে
পবিত্র করে তোলো। প্রথমে তো নিজেকে পবিত্র করে তুলতে হবে। ড্রামা অনুসারে পবিত্র তো
হতেই হবে, সেইজন্য বিনাশও স্থির হয়ে আছে। ড্রামা কে বুঝে নিয়ে খুব উল্লাসে থাকতে
হবে। এখন আমাদের শান্তিধামে যেতে হবে। বাবা বলেন ওইটি হলো তোমাদের গৃহ। গৃহে তো
খুশীর সাথে ফিরে যাওয়া উচিত। এতে দেহী-অভিমানী হওয়ার জন্য খুবই পরিশ্রম করতে হবে।
এই স্মরণের যাত্রার উপরই বাবা খুব জোর দেন, এতেই পরিশ্রম করতে হয়। বাবা জিজ্ঞাসা
করেন চলতে ফিরতে স্মরণ করা সহজ না এক জায়গায় বসে স্মরণ করা সহজ ? ভক্তি মার্গেও
কতো মালা আবর্তিত করে, রাম-রাম জপ করতে থাকে। লাভ তো কিছুই হয় না। বাচ্চারা, বাবা
তো তোমাদের একদম সহজ যুক্তির দ্বারা বলে দেন- ভোজন তৈরী করো, যা কিছুই করো, বাবাকে
স্মরণ করো। ভক্তি মার্গে শ্রীনাথ দ্বারে ভোগ তৈরী করে, মুখে পট্টি বেঁধে নেয়।
একটুও যেন আওয়াজ না হয়। সেটি হলো ভক্তি মার্গ। তোমাদের তো বাবাকে স্মরণ করতে হবে।
ওই লোকেরা এতো ভোগ দেয় আবার সেটা কি আর কেউ খায় ! পান্ডাদের কুটুম্ব থাকে, তারা
খায়। এক্ষেত্রে তোমরা জানো যে শিববাবা আমাদের পড়ান। ভক্তিতে কি আর এটা বোঝে যে
শিববাবা আমাদের পড়ান ! যদিও বা শিবপূরাণ তৈরী করেছে কিন্তু ওতে শিব-পার্বতী,
শিব-শঙ্কর সব মিলিয়ে দিয়েছে, সেটা পড়লে কোনো লাভ নেই। প্রত্যেকের নিজের শাস্ত্র
পড়া উচিত। ভারতবাসীর হলো এক গীতা। খ্রীস্টানদের বাইবেল এক হলো। দেবী-দেবতা ধর্মের
শাস্ত্র হলো গীতা। ওতেই নলেজ আছে। নলেজই পড়া হয়। তোমাদের নলেজ পড়তে হবে। লড়াই
ইত্যাদির কথা যেই বইতে আছে, ওই সবে তোমাদের কোনো কাজই নেই। আমরা হলাম যোগবলে
স্বশক্ত, তবে আবার বাহুবলে যারা স্বশক্ত তাদের কাহিনী কেন শুনতে যাব! বাস্তবে তো
তোমাদের কোনো লড়াই নেই। তোমরা যোগবলের দ্বারা ৫ বিকারের উপর বিজয় প্রাপ্ত করো।
তোমাদের লড়াই হলো ৫ বিকারের সাথে। সেটা তো মানুষ, মানুষের সাথে লড়াই করে। তোমরা
নিজেদের বিকারের সাথে লড়াই করো। এই কথা সন্ন্যাসী ইত্যাদি বোঝাতে পারে না। তোমাদের
কোনো ড্রিল ইত্যাদিও শেখানো হয় না। তোমাদের ড্রিল হলোই এক। তোমাদের হলোই যোগবল।
স্মরণের শক্তি দ্বারা ৫ বিকারের উপর বিজয় প্রাপ্ত করো। এই ৫ বিকার হলো শত্রু। ওর
মধ্যেও নম্বর ওয়ান হলো দেহ-অভিমান। বাবা বলেন তোমরা যে হলে আত্মা। তোমরা অর্থাৎ
আত্মারা আসো, এসে গর্ভে প্রবেশ করো। আমি তো এই শরীরে (ব্রহ্মার দেহে) বিরাজমান হয়ে
থাকি। আমি কি আর কোনো গর্ভে আসি ! সত্যযুগে তোমরা গর্ভমহলে থাকো। আবার রাবণ রাজ্যে
গর্ভজেলে যাও। আমি তো প্রবেশ করি। একে দিব্য জন্ম বলা হয়। ড্রামা অনুসারে আমাকে
এঁনার মধ্যে আসতে হয়। এঁনার নাম ব্রহ্মা রাখি, কারণ সে আমার হয়েছে। অ্যাডপ্ট হলে কতো
ভালো-ভালো নাম রাখা হয়। তোমাদেরও খুব ভালো ভালো নাম রাখা হয়। লিস্ট খুব
ওয়ান্ডারফুল এসেছিলো, সন্দেশী(সূক্ষ্মলোক ও মুক্তিধামের সংবাদ আনেন যাঁরা) দ্বারা।
বাবার কি আর সকলের নাম স্মরণে আছে! নাম দিয়ে তো কোনো কাজ নেই। শরীরের প্রতি তো নাম
রাখা হয়। এখন তো বাবা বলেন নিজেকে আত্মা মনে করো, বাবাকে স্মরণ করো। ব্যাস্, তোমরা
জানো যে, আমরা পূজ্য দেবতা হই আবার রাজত্ব করি। আবার ভক্তি মার্গে আমাদেরই চিত্র
তৈরী হয়। আত্মাদেরও পূজা করা হয়। মাটির শালগ্রাম তৈরী করা হয় আবার রাত্রে ভেঙে ফেলা
হয়। দেবীদেরও সাজিয়ে নিয়ে, পূজা করে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়। বাবা বলেন আমারই রূপ
তৈরী করে, খাইয়ে,পান করিয়ে আমাকে বলে দেয় নুড়িতে পাথরে আছে। সবচেয়ে দুর্দশা তো
আমার করে। তোমরা কতো গরীব হয়ে গেছো। গরীবই আবার উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে। বিত্তশালীদের
মুশকিল মনে হয়। বাবাও বিত্তশালীদের থেকে এতো নিয়ে কি করবেন! এখানে তো বাচ্চাদের
ফোঁটায় - ফোঁটায় অট্টালিকা ইত্যাদি তৈরী হয়। বলে যে বাবা আমার একটা ইট লাগিয়ে দাও।
মনে করে রিটার্নে আমাদের সোনা - রূপার মহল প্রাপ্ত হবে। সেখানে তো প্রচুর সোনা থাকে।
সোনার ইঁট থাকবে তবে তো অট্টালিকা তৈরী হবে। তাই বাবা অনেক ভালোবেসে বলেন- মিষ্টি
মিষ্টি বাচ্চারা, এখন আমাকে স্মরণ করো, এখন নাটক সম্পূর্ণ হচ্ছে।
বাবা গরীব বাচ্চাদের
বিত্তশালী হওয়ার যুক্তি বলে দেন- মিষ্টি বাচ্চারা, তোমাদের কাছে যা কিছু আছে
ট্র্যান্সফার করে দাও।এখানে কিচ্ছুটি থাকার নয়। এখানে যা ট্র্যান্সফার করবে সেই
নূতন দুনিয়াতে তোমাদের তা শতোগুণে প্রাপ্ত হবে। বাবা কিছু চায় না। তিনি তো হলেন
দাতা, এই যুক্তি বলা হয়ে থাকে। এখানে তো সর্বস্ব মাটিতে মিশে যাবে। কিছু
ট্র্যান্সফার করে দিলে তো তোমাদের নূতন দুনিয়াতে প্রাপ্তি হবে। এই পুরানো দুনিয়ার
বিনাশ আসন্ন। এই সমস্ত কিছুই কাজে আসবে না। সেইজন্য বাবা বলেন, বাড়ীতে-বাড়ীতে
ইউনিভার্সিটি কাম হসপিটাল খোলো, যাতে হেল্থ আর ওয়েল্থ প্রাপ্ত হবে। এটাই হলো মুখ্য।
আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত।
আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
রাত্রি ক্লাস-১২-০৩-৬৮
এই সময় তোমরা অর্থাৎ
গরীব মাতারা পুরুষার্থ করে উচ্চ পদ প্রাপ্ত করে নাও। যজ্ঞে সাহায্য ইত্যাদিও মাতা-রা
অনেক করে, অনেক কম পুরুষই আছে যারা সাহায্যকারী হয়ে ওঠে। মাতা-দের উত্তরাধিকারী
হওয়ার নেশা থাকে না। তারা বীজ বপন করে যেতে থাকে, নিজের জীবন তৈরী করতে থাকে।
তোমাদের জ্ঞান হলো যথার্থ এছাড়া হলো ভক্তি। আত্মাদের পিতা এসেই জ্ঞান প্রদান করেন।
বাবা কে জানলে বুঝলে বাবার থেকে অবশ্যই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারবে। বাবা
তোমাদের পুরুষার্থ করাতে থাকেন, বোঝাতে থাকেন। টাইম ওয়েস্ট করো না। বাবা জানেন যে
কেউ হলো ভালো পুরুষার্থী, কেউ মিডিয়াম, কেউ থার্ড। বাবাকে জিজ্ঞাসা করলে, বাবা
শীঘ্র বলে দেন- তুমি ফার্স্ট হও না সেকেন্ড না থার্ড হও। কাউকে জ্ঞান না দিলে থার্ড
ক্লাস নির্ধারিত হলে। প্রমাণ না দিলে তো বাবা অবশ্যই বলবেন যে না! ভগবান এসে যে
জ্ঞান প্রদান করেন সেটা আবার প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। এটা কারোরই জানা নেই। ড্রামার
প্ল্যান অনুসারে এটা হলো ভক্তি মার্গ, এর দ্বারা কেউ আমাকে প্রাপ্ত করতে পারে না,
সত্যযুগে কেউ যেতে পারে না। বাচ্চারা, তোমরা এখন পুরুষার্থ করছো। পূর্ব কল্পে যে
যেমন পুরুষার্থ করেছিলো, তেমনই করতে থাকবে। বাবা বুঝতে পারেন যে নিজের কল্যাণ কে
করছে। বাবা তো বলেন যে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রের সামনে এসে বসো। বাবা আপনার
শ্রীমতের উপর এই উত্তরাধিকার আমরা অবশ্যই প্রাপ্ত করবো। নিজের সমান তৈরী করার
সার্ভিসের শখ অবশ্যই থাকা চাই। সেন্টারে যারা থাকে তাদেরও লিখি, এতো বছর পড়লে,
কাউকে পড়াতে না পারলে তবে বাকি পড়ছো কেন! বাচ্চাদের তো উন্নতি করা উচিত যে না!
বুদ্ধিতে সারাদিন সার্ভিসের ভাবনা চলতে থাকা উচিত।
তোমরা যে হলে
বাণপ্রস্থী। বাণপ্রস্থীদেরও আশ্রম হয়। বাণপ্রস্থীদের কাছে যাওয়া উচিত, মৃত্যুর
পূর্বে তাদেরকে তাদের লক্ষ্য তো বলে দাও। বাণীর ওপারে তোমাদের আত্মা যাবে কীভাবে!
পতিত আত্মা তো যেতে পারবে না। ভগবানুবাচ - (মামেকম্) এক মাত্র আমাকে স্মরণ করলে
তোমরা বাণপ্রস্থে চলে যাবে। বেণারসেও প্রচুর সার্ভিস আছে। অনেক সাধুরা কাশীবাস করার
জন্য সেখানে থাকে, সারাদিন বলতে থাকে শিব কাশী বিশ্বনাথ গঙ্গা। তোমাদের মনের ভিতরে
সর্বদা খুশীর করধ্বনী বাজা উচিত। স্টুডেন্ট যে না! সার্ভিসও করে, পড়াশুনাও করে।বাবাকে
স্মরণ করতে হবে, উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। আমরা এখন শিববাবার কাছে যাবো। এটা
হলো মন্মনাভব। কিন্তু অনেকের স্মরণ থাকে না। পরনিন্দা পরচর্চা (ঝরমুই ঝগমুই) করতে
থাকে। মুখ্য ব্যাপার হলো স্মরণের। স্মরণই খুশীতে নিয়ে আসে। সকলেই তো চায় যে বিশ্বে
শান্তি থাকুক। বাবাও বলছেন ওদের বোঝাও যে বিশ্বে এখন শান্তি স্থাপন হচ্ছে, বাবা
সেইজন্য লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রকে বেশী রকম গুরুত্ব দেন। বলো, এই দুনিয়া স্থাপন
হচ্ছে, যেখানে সুখ-শান্তি, পবিত্রতা সব ছিলো। সকলেই বলে বিশ্বে শান্তি থাকুক।
প্রাইজও অনেকে পেতে থাকে। ওয়ার্ল্ডে শান্তি স্থাপন করতে সক্ষম যারা, তারা তো মালিক
হবে। এদের রাজ্যে বিশ্বে শান্তি ছিলো। এক ভাষা, এক রাজ্য, এক ধর্ম ছিলো। এছাড়া সব
আত্মারা নিরাকারী দুনিয়াতে ছিলো। এরকম দুনিয়া কে স্থাপন করেছিলো! পীস (শান্তি) কে
স্থাপন করেছিলো! ফরেনার্সও বুঝবে এটা প্যারাডাইস(স্বর্গ) ছিলো, এদের রাজ্য ছিলো।
ওয়ার্ল্ডে(বিশ্বে) পীস(শান্তি) তো এখন স্থাপন হচ্ছে। বাবা বুঝিয়েছিলেন যে,
প্রভাতফেরীতেও এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র বের করো। যেন সকলের কানেই এই শব্দ ঢোকে যে
এই রাজ্য স্থাপন হচ্ছে। নরকের বিনাশ সামনে আসন্ন। এটা তো জানে যে ড্রামা অনুসারে
হয়তো দেরী আছে। বড়ো-বড়োদের ভাগ্যে এখন নেই। তবুও বাবা পুরুষার্থ করাতে থাকেন।
ড্রামা অনুসারে সার্ভিস চলছে। আচ্ছা! গুডনাইট।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
সঙ্গদোষের থেকে নিজেকে খুব বেশী করে সতর্ক রাখতে হবে। কখনো পতিতদের সংস্পর্শে যেতে
নেই। সাইলেন্স বল দ্বারা সৃষ্টিকে পবিত্র করার সেবা করতে হবে।
২ ) ড্রামাকে ভালো
ভাবে বুঝে নিয়ে উৎফুল্ল থাকতে হবে। নিজের সব কিছু নূতন দুনিয়ার জন্য ট্র্যান্সফার
করতে হবে।
বরদান:-
বাবার
দ্বারা সফলতার তিলক প্রাপ্তকারী সদা আজ্ঞাকারী, হৃদয় সিংহাসনধারী ভব
ভাগ্যবিধাতা বাবা
প্রতিদিন অমৃতবেলায় নিজের আজ্ঞাকারী বাচ্চাদেরকে সফলতার তিলক লাগিয়ে দেন। আজ্ঞাকারী
ব্রাহ্মণ বাচ্চারা কখনও পরিশ্রম বা মুশকিল শব্দটি মুখ থেকে তো নয়ই, সংকল্পেও নিয়ে
আসে না। তারা সহযোগী হয়ে যায় এইজন্য কখনও হৃদয় থেকে ভেঙে পরে না। তাই সদা হৃদয়
সিংহাসনধারী হও, করুণাময় হও। অহম ভাব আর বহম ভাবকে সমাপ্ত করো।
স্লোগান:-
বিশ্ব
পরিবর্তনের ডেট নিয়ে চিন্তা করো না, নিজেকে পরিবর্তন করার মুহুর্ত নিশ্চিত করো।
অব্যক্ত ঈশারা -
সত্যতা আর সভ্যতারূপী কালচারকে ধারণ করো
পিউরিটির
পার্সোনালিটিতে সম্পন্ন আত্মাদেরকে সভ্যতার দেবী বলা হয়। তাদের মধ্যে ক্রোধ বিকারের
ইম্পিউরিটিও থাকবে না। ক্রোধের সূক্ষ্ম রূপ ঈর্ষা, দ্বেষ, ঘৃণাও যদি অন্দরে থাকে তো
সেইগুলিও অগ্নিরূপে ভিতরে জ্বলতে থাকবে। বাইরে থেকে লাল, হলুদ হবে না, কিন্তু কালো
হয়ে যাবে। তো এখন এই কালোভাবকে সমাপ্ত করে সত্য এবং সাফ থাকো।