25.01.2025
প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন
"মিষ্টি বাচ্চারা -
অনলস স্টুডেন্ট হয়ে ভালো মার্কস নিয়ে পাস করার পুরুষার্থ করো, অলস স্টুডেন্ট হয়ো
না, অলস তারাই, যাদের সারাদিন আত্মীয়-পরিজন স্মরণে আসে"
প্রশ্নঃ -
সঙ্গম যুগে
সবথেকে ভাগ্যবান কাদের বলা হবে?
উত্তরঃ
যারা নিজের তন
- মন - ধন সব সফল করেছে বা করছে - তারাই হলো ভাগ্যবান । কেউ কেউ তো খুবই অভাগা হয়,
তখন মনে করা হয় যে, এদের ভাগ্যে নেই । তারা বুঝতেই পারে না যে, বিনাশ সামনে
উপস্থিত, তাই কিছু তো করে নিই । ভাগ্যবান বাচ্চারা মনে করে, বাবা এখন সম্মুখে
এসেছেন, আমরা আমাদের সবকিছু সফল করে নিই । সাহস নিয়ে অনেকের ভাগ্য তৈরীর নিমিত্ত
হয়ে যাই ।
গীতঃ-
ভাগ্য জাগিয়ে
এসেছি...
ওম্ শান্তি ।
বাচ্চারা, এ
তো তোমরা তোমাদের ভাগ্য তৈরী করছো । গীতাতে শ্রীকৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে আর বলে
যে, ভগবানুবাচঃ - আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই । এখন কৃষ্ণ ভগবানুবাচঃ তো নয় । এই
শ্রীকৃষ্ণ তো এইম অবজেক্ট, তাই শিব ভগবানুবাচঃ হলো - আমি তোমাদের রাজার রাজা বানাই
। তাহলে প্রথম প্রিন্স অবশ্যই শ্রীকৃষ্ণ হবেন । বাকি কৃষ্ণ ভগবানুবাচঃ নয় । কৃষ্ণ
তো বাচ্চারা, তোমাদের এইম অবজেক্ট, এ হলো পাঠশালা । ভগবান পড়ান, তোমরা সবাই এখানে
প্রিন্স - প্রিন্সেজ তৈরী হও ।
বাবা বলেন, অনেক
জন্মের অন্তেরও অন্তে আমি তোমাদের শ্রীকৃষ্ণ হওয়ার জন্য এই জ্ঞান শোনাই । এই
পাঠশালার টিচার শিববাবা, শ্রীকৃষ্ণ নন । শিব বাবাই দৈবী ধর্মের স্থাপনা করেন ।
বাচ্চারা, তোমরা বলো যে, আমরা ভাগ্য বানাতে এসেছি । আত্মারা জানে যে, আমরা পরমপিতা
পরমাত্মার কাছে ভাগ্য বানাতে এসেছি । এ হলো প্রিন্স - প্রিন্সেজ হওয়ার ভাগ্য ।
রাজযোগ তো, তাই না । শিব বাবার দ্বারা প্রথমে স্বর্গের দুই পাতা রাধা - কৃষ্ণ
নির্গত হন । এই যে চিত্র বানানো হয়েছে, তা ঠিক, বোঝানোর জন্য খুব ভালো । গীতার
জ্ঞানের দ্বারাই ভাগ্য তৈরী হয় । ভাগ্য জাগ্রত হয়েছিলো, তা আবার নিভে গেলো । অনেক
জন্মের অন্তে তোমরা একদম তমোপ্রধান বেগার হয়ে গেছো । এখন আবার তোমাদের প্রিন্স হতে
হবে । প্রথমে তো অবশ্যই রাধা - কৃষ্ণই হবেন, তারপর তাদের রাজধানী চলতে থাকে । কেবল
একজন তো আর থাকবে না, তাই না । স্বয়ম্ভরের পরে রাধাকৃষ্ণই আবার লক্ষ্মী - নারায়ণ
হন । নর থেকে প্রিন্স বা নারায়ণ হওয়া একই কথা । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, এই
লক্ষ্মী - নারায়ণ স্বর্গের মালিক ছিলেন । অবশ্যই তা সঙ্গমেই স্থাপনা হবে, তাই
সঙ্গম যুগকে পুরুষোত্তম যুগ বলা হয় । এই সময় আদি সনাতন দেবী - দেবতা ধর্মের
স্থাপনা হয়, বাকি অন্য সব ধর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । সত্যযুগে বরাবর একই ধর্ম ছিলো ।
সেই হিস্ট্রি - জিওগ্রাফি অবশ্যই আবারও রিপিট হতে হবে । আবারও স্বর্গের স্থাপনা হবে
। যেই স্বর্গে লক্ষ্মী - নারায়ণের রাজত্ব ছিলো, যা পরীস্থান ছিলো, এখন তো তা
কবরস্থান । সবাই কাম চিতাতে বসে ভস্ম হয়ে গেছে । সত্যযুগে তোমরা মহল ইত্যাদি তৈরী
করবে । এমন নয় যে, নীচে থেকে কোনো সোনার দ্বারকা বা লঙ্কা বেড়িয়ে আসবে । দ্বারকা
হতে পারে, লঙ্কা তো আর হবে না । রাম রাজ্যকে গোল্ডেন এজ বলা হয় । প্রকৃত সোনা যা
ছিলো, সে সব লুঠ হয়ে গিয়েছিলো । তোমরা বুঝতে পারো যে, ভারত কতো ধনবান ছিলো । এখন
তো কাঙ্গাল । কাঙ্গাল অক্ষর লেখা কোনো খারাপ কথা নয় । তোমরা বোঝাতে পারো যে,
সত্যযুগে একই ধর্ম ছিলো । ওখানে অন্য কোনো ধর্ম আর থাকতে পারে না । কেউ বলে, এ
কিভাবে হতে পারে, কেবল কি দেবতারাই থাকবে ? অনেক মত - মতান্তর আছে, যা একে অপরের
সাথে মেলে না । এ কতো আশ্চর্যের । এখানে কতো অ্যাক্টর্স । এখন স্বর্গের স্থাপনা
হচ্ছে, আমরা স্বর্গবাসী হচ্ছি, একথা যদি স্মরণে থাকে তাহলে সদা হর্ষিতমুখ থাকবে ।
বাচ্চারা, তোমাদের খুবই খুশীতে থাকা উচিত । তোমাদের এইম অবজেক্ট তো উচ্চ, তাই না ।
আমরা মনুষ্য থেকে দেবতা, স্বর্গবাসী হই । এও তোমরা ব্রাহ্মণরাই জানো যে, এখন
স্বর্গের স্থাপনা হচ্ছে । একথা সদাই স্মরণে থাকা উচিত । মায়া কিন্তু প্রতি মুহূর্তে
ভুলিয়ে দেয় । ভাগ্যে না থাকলে তো শুধরে যায় না । মিথ্যা বলার অভ্যাস অর্ধেক কল্প
ধরে রয়েছে, তা আর দূর হয় না । মানুষ মিথ্যাকেও সম্পদ মনে করে, তা ত্যাগই করে না,
তাই মনে করা হয় যে, এদের ভাগ্যই এমন ।বাবাকে স্মরণই করে না । স্মরণও তখনই থাকবে,
যখন সম্পূর্ণ মমত্ব দূর হয়ে যাবে । সম্পূর্ণ দুনিয়া থেকে বৈরাগ্য । আত্মীয়
পরিজনদেরকে দেখেও যেন দেখেইনি । বুঝতে পারে যে, এরা সবাই নরকবাসী, কবরস্থানী । এ
সবই শেষ হয়ে যাবে । আমাদের এখন আবার ঘরে ফিরে যেতে হবে তাই সুখধাম - শান্তিধামকেই
স্মরণ করতে থাকে । আমরা কাল স্বর্গবাসী ছিলাম, রাজত্ব করতাম, তা হারিয়ে ফেলেছি,
আবার আমরা রাজত্ব গ্রহণ করছি । বাচ্চারা বুঝতে পারে, ভক্তিমার্গে কতো মাথা ঠুকতে হয়,
অর্থ নষ্ট করতে হয় । মানুষ চিৎকার করতেই থাকে, কিছুই পায় না । আত্মা ডাকতে থাকে -
বাবা এসো, আমাদের সুখধামে নিয়ে চলো, তাও তা যখন অন্তে খুব দুঃখ হয়, তখনই স্মরণ করে
।
তোমরা দেখছো যে, এখন
এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়ে যাবে । এখন এ হলো আমাদের অন্তিম জন্ম, এই জন্মে আমরা
সম্পূর্ণ নলেজ পেয়েছি । এই নলেজ সম্পূর্ণ ধারণ করতে হবে । আর্থকোয়েক ইত্যাদি তো
হঠাৎই হয়, তাই না । হিন্দুস্থান, পাকিস্থানের পার্টিশনে কতো মানুষের মৃত্যু
হয়েছিলো । বাচ্চারা, তোমরা শুরু থেকে অন্ত পর্যন্ত সবই জানতে পেরেছো । বাকি আর যা
রয়েছে, সেও জানতে থাকবে । কেবল এক সোমনাথের মন্দির সোনার হবে না, আরো অনেকেরই মহল,
মন্দির ইত্যাদি সোনার হবে । এরপর কি হয়, কোথায় হারিয়ে যায়? আর্থকোয়েকে কি এমনই
ভিতরে চলে যায়, যে আর নির্গত হয় না? ভিতরেই কি তার ক্ষয় হয়ে যায়? কি হয়?
ভবিষ্যতে তা তোমরা জানতে পারবে । মানুষ বলে থাকে - সোনার দ্বারকা শেষ হয়ে গেছে ।
তোমরা এখন বলবে যে, ড্রামাতে দ্বারকা নীচে চলে গিয়েছে, আবার চক্র ঘুরলে উপরে আসবে
। তাও আবার নতুন করে বানাতে হবে । এই চক্র বুদ্ধিতে মন্থন করার সময় খুবই খুশীতে
থাকা উচিত । এই চিত্র তো পকেটে রেখে দেওয়া উচিত । এই ব্যাজ খুবই সার্ভিসের যোগ্য
কিন্তু এতো সার্ভিস কেউই করে না । বাচ্চারা, তোমরা ট্রেনেও খুব সার্ভিস করতে পারো,
কিন্তু কেউই কোনো সমাচার লেখে না যে, ট্রেনে কি সার্ভিস করলো? থার্ড ক্লাসেও
সার্ভিস হতে পারে । যারা পূর্ব কল্পে বুঝেছে, যারা মনুষ্য থেকে দেবতা হয়েছিলো,
তারাই বুঝবে । মনুষ্য থেকে দেবতার গায়ন আছে । এমন কখনোই বলা হবে না যে, মনুষ্য থেকে
খ্রীস্টান, মনুষ্য থেকে শিখ । তা নয়, মনুষ্য থেকে দেবতা হয়েছিলো অর্থাৎ আদি সনাতন
দেবী - দেবতা ধর্মের স্থাপনা হয়েছিলো । বাকি সবাই নিজের নিজের ধর্মে চলে গেছে ।
কল্পবৃক্ষে (ঝাড়ে) দেখানো হয় অমুক - অমুক ধর্ম, তা আবার কবে স্থাপন হবে? দেবতারা
হিন্দু হয়ে গিয়েছে । হিন্দু থেকে আবার তারা অন্যান্য ধর্মে কনভার্ট হয়ে গেছে ।
এরাও অনেকেই বেড়িয়ে আসবে, যারা নিজের শ্রেষ্ঠ ধর্ম কর্ম ছেড়ে অন্য ধর্মে গিয়ে
রয়েছে, তারাও আবার বেড়িয়ে আসবে । শেষের দিকে যারা অল্প কিছু বুঝবে, তারা প্রজাতে
চলে আসবে । দেবী - দেবতা ধর্মে তো আর সবাই আসবে না । সবাই নিজের নিজের সেকশনে চলে
যাবে । তোমাদের বুদ্ধিতে এইসব বিষয় আছে । মানুষ দুনিয়াতে কি না কি করতে থাকে ।
আনাজের জন্য কতো ব্যবস্থা রাখে । বড় বড় মেশিনও লাগায় কিন্তু কিছুই হয় না ।
সৃষ্টিকে তমোপ্রধান হতেই হবে । সিঁড়ি নীচে নামতেই হবে । ড্রামাতে যা লিপিবদ্ধ আছে,
তা হতেই থাকে । নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হতেই হবে । সায়েন্স, যা আজ শিখছে, অল্প কিছু
বছরে তা খুবই হুঁশিয়ার হয়ে যাবে । যাতে সায়েন্সের দ্বারা নতুন নতুন জিনিস তৈরী
হবে । এই সায়েন্স ওখানে সুখ প্রদান করবে । এখানে তো সুখ অল্প, দুঃখ অনেক । এই
সায়েন্স আবিস্কার হয়েছে, তা কতো বছর হয়েছে । পূর্বে তো এই বিদ্যুৎ, গ্যাস ইত্যাদি
কিছুই ছিলো না । এখন তো দেখো কি হয়ে গেছে । ওখানে তো আবার এই শেখানোতেই চলবে ।
শীঘ্রই কাজ হয়ে যাবে । এখানে তো দেখো, কিভাবে বাড়ি তৈরী হয় । সবকিছুই রেডি থাকে ।
কতো বড় বাড়ি বানানো হয় । ওখানে এমন হবে না । ওখানে তো সকলেরই নিজেদের খেত থাকে ।
ট্যাক্স ইত্যাদি কিছুই দিতে হয় না । ওখানে তো অগাধ ধন থাকে । জমিও অনেক থাকে । নদী
তো সবই থাকবে, বাকি নালা থাকবে না, যা পরে খনন করা হয় ।
বাচ্চাদের কতো
আন্তরিক খুশীতে থাকা উচিত যে, আমরা ডবল ইঞ্জিন পেয়েছি । পাহাড়ে তো ট্রেন ডবল
ইঞ্জিনে চলে । বাচ্চারা, তোমরাও তো হাত লাগাও, তাই না । তোমরা তো কতো অল্প ।
তোমাদেরও মহিমা করা হয় । তোমরা জানো যে, আমরা ঈশ্বরের সাহায্যকারী । আমরা শ্রীমতে
চলে সেবা করছি । বাবাও তো সেবা করতে এসেছেন । তিনি এক ধর্মের স্থাপনা এবং অনেক
ধর্মের বিনাশ করিয়ে দেন, অল্পকিছু সময় পরে দেখবে, অনেক হাঙ্গামা হবে । এখনো
মানুষের ভয় থাকে যে - কোথাও লড়াই করে বোম্ব না ফেলে দেয় । আগুনের ফুলকি তো অনেকই
লাগতে থাকে । মানুষ প্রতি মুহূর্তে নিজেদের মধ্যে লড়াই করতে থাকে । বাচ্চারা জানে
যে, এই পুরানো দুনিয়া শেষ হয়েই যাবে । তারপর আমরা নিজেদের ঘরে ফিরে যাবো । এখন ৮৪
জন্মের চক্র সম্পূর্ণ হয়ে এসেছে । সবাই একত্রে চলে যাবে । তোমাদের মধ্যেও সামান্যই
আছে যাদের প্রতি মুহূর্তে স্মরণে থাকে । ড্রামা অনুসারে অনলস আর অলস, দুই প্রকারেরই
স্টুডেন্ট আছে । অনলস স্টুডেন্টরা ভালো নম্বর নিয়ে পাস করে যায় । আর যারা অলস
স্টুডেন্ট, তাদের সারাদিন লড়াই - ঝগড়া চলতে থাকে । তারা বাবাকে স্মরণই করে না ।
সারাদিন তাদের আত্মীয় পরিজন স্মরণে আসতে থাকে । এখানে তো সবকিছুই ভুলে যেতে হয় ।
আমরা হলাম আত্মা, আর এই শরীর রূপী লেজ ঝুলে রয়েছে । আমরা যখন কর্মাতীত অবস্থা
প্রাপ্ত করবো, তখন এই লেজ লোপ পাবে । এই কেবল চিন্তা, কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত হলে
তখন এই দেহ বোধ দূর হয়ে যাবে । আমরা শ্যাম থেকে সুন্দর হয়ে যাবো । পরিশ্রম তো
করতেই হবে, তাই না । প্রদর্শনীতেও দেখো, মানুষ কতো পরিশ্রম করে । মহেন্দ্রকে (ভোপাল)
দেখো, কতো হিম্মত দেখিয়েছে । একা কতো পরিশ্রম করে এই প্রদর্শনী ইত্যাদি করে ।
পরিশ্রমের ফলও তো প্রাপ্ত হবে, তাই না । একজন কতো ম্যাজিক করে দেখিয়েছে । কতজনের
কল্যাণ করেছে । আত্মীয় পরিজনদের সাহায্যেই কতো কাজ করেছে । এ তো জাদু । আত্মীয়
পরিজনদের সে বোঝায় যে, অর্থ ইত্যাদি সব এই কার্যে লাগাও, রেখে কি করবে? সাহস নিয়ে
সেন্টারও খুলেছে । কতজনের ভাগ্য তৈরী করেছে । এমন পাঁচ - সাতজন যদি বের হয় তাহলে
কতো সার্ভিস হয়ে যাবে । কেউ কেউ তো খুবই কৃপণ হয় । তখন বোঝা যায় যে, ভাগ্যে নেই
। তারা বুঝতেই পারে না যে, বিনাশ সামনে উপস্থিত, তাহলে কিছু তো করে নাও । এখন মানুষ
ঈশ্বরের জন্য যা কিছুই দান করবে, কিছুই প্রাপ্ত করবে না । ঈশ্বর তো এখনই এসেছেন
স্বর্গের রাজত্ব দান করতে । দান - পুণ্য যারা করছে তারা কিছুই পাবে না । সঙ্গমে যারা
নিজের তন - মন - ধন সব সফল করেছে বা করছে, তারাই হলো ভাগ্যবান, কিন্তু ভাগ্যে না
থাকলে বুঝতেই পারে না । তোমরা জানো যে, ওরাও ব্রাহ্মণ, আমরাও ব্রাহ্মণ । আমরা হলাম
প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার - কুমারী । এতো যে আরো ব্রাহ্মণ আছে, তারা হলো কুলজাত
বংশাবলী । তোমরা হলে মুখ বংশাবলী । শিবজয়ন্তী সঙ্গমে হয় । এখন স্বর্গ তৈরীর জন্য
বাবা মন্ত্র দান করেন - "মন্মনাভব" । আমাকে স্মরণ করলে তুমি পবিত্র হয়ে পবিত্র
দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে । এমনভাবে যুক্তির দ্বারা পর্চা ছাপানো উচিত । দুনিয়াতে
তো অনেকেরই মৃত্যু হয়, তাই না । যেখানেই কারোর মৃত্যু হবে, সেখানেই পর্চা বিলানো
উচিত । বাবা যখন আসেন তখনই পুরানো দুনিয়ার বিনাশ হয় আর তারপরে স্বর্গের দ্বার খুলে
যায় । কেউ যদি সুখধামে যেতে চায় তাহলে তার মন্ত্র হলো - মন্মনাভব । এমন রসযুক্ত
ছাপা পর্চা যেন সকলের কাছে থাকে । তোমরা শ্মশানেও বিতরণ করতে পারো । বাচ্চাদের
সার্ভিসের শখ থাকা চাই । সার্ভিসের উপায় তো অনেকই বলে দেওয়া হয় । এ তো খুব
ভালোভাবে লিখে দেওয়া উচিত । এইম অবজেক্ট তো লেখাই আছে । বোঝানোর জন্য খুব ভালো
যুক্তির প্রয়োজন । আচ্ছা ।
মিষ্টি - মিষ্টি
হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ - সুমন আর সুপ্রভাত ।
আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১ )
কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করার জন্য এই শরীর রূপী পুচ্ছকে ভুলে যেতে হবে । এক বাবা
ব্যতীত কোনো আত্মীয় পরিজন যাতে স্মরণে না আসে, তারজন্য পরিশ্রম করতে হবে ।
২ ) শ্রীমতে চলে
ঈশ্বরের সাহায্যকারী হতে হবে । তন - মন - ধন সব সফল করে নিজের উচ্চ ভাগ্য তৈরী করতে
হবে ।
বরদান:-
কর্মভোগ রূপী পরিস্থিতির আকর্ষণকেও সমাপ্ত করে সম্পূর্ণ নষ্টমোহ ভব
এখনো পর্যন্ত
প্রকৃতির দ্বারা পরিস্থিতি অবস্থাকে নিজের প্রতি কিছু না কিছু আকর্ষণ করে । সবথেকে
বেশী নিজের দেহের হিসেব - নিকেশ, বাকি থাকা কর্মভোগের রূপে আগত পরিস্থিতি নিজের
প্রতি আকৃষ্ট করে - এই আকর্ষণও যখন সমাপ্ত হয়ে যাবে, তখন বলা হবে সম্পূর্ণ নষ্টমোহ
। যে কোনো দেহের বা দেহের দুনিয়ার পরিস্থিতি স্থিতিকে টলাতে পারবে না - এ হলো
সম্পূর্ণ স্টেজ । এই স্টেজ পর্যন্ত যখন পৌঁছে যাবে তখন সেকেন্ডে নিজের মাস্টার
সর্বশক্তিমান স্বরূপে সহজেই স্থিত হতে পারবে ।
স্লোগান:-
পবিত্রতার ব্রত সবথেকে শ্রেষ্ঠ সত্যনারায়ণের ব্রত - এতেই অতীন্দ্রিয় সুখ সমাহিত
থাকে ।
নিজের শক্তিশালী
মন্সার দ্বারা সকাশ দেওয়ার সেবা করো :-
মনের সেবা হলো অসীম
জাগতিক সেবা । তোমরা যত মন্সার দ্বারা, বাণীর দ্বারা স্বয়ং স্যাম্পেল হতে পারবে,
তখন স্যাম্পেলকে দেখে সকলে শীঘ্রই আকৃষ্ট হবে । কোনো স্থূল কার্য করার সময় মনের
দ্বারা ভাইব্রেশন ছড়িয়ে দেওয়ার সেবা করো । কোনো বিজনেসম্যান যেমন স্বপ্নেও নিজের
বিজনেস দেখতে থাকে, তেমনই তোমাদের কাজ হলো - বিশ্ব কল্যাণ করা । এ হলো তোমাদের
অক্যুপেশন । এই অক্যুপেশনকে স্মৃতিতে রেখে সদা সেবাতে বিজি থাকো ।