25.06.2024 প্রাত: মুরলী ওম শান্তি "বাপদাদা" মধুবন


"মিষ্টি বাচ্চারা - দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত করো যে, আমরা হলাম আত্মা, আত্মা মনে করে প্রতিটা কাজ শুরু করো তাহলে বাবা স্মরণে আসবে, তখন পাপ হবে না"

প্রশ্নঃ -
কর্মাতীত স্থিতিকে প্রাপ্ত করার জন্য কোন্ পরিশ্রম প্রত্যেককেই করতে হবে? কর্মাতীত স্থিতির সমীপতার নিদর্শন কি?

উত্তরঃ  
কর্মাতীত হওয়ার জন্য স্মরণের বল এর দ্বারা নিজের কর্মেন্দ্রিয় গুলিকে বশে করার পরিশ্রম করো । এই অভ্যাস করো যে, আমি হলাম নিরাকার আত্মা, নিরাকার বাবার সন্তান । সব কর্মেন্দ্রিয় নিরাকারী হয়ে যাবে - এটাই হলো জবরদস্ত পরিশ্রম । কর্মাতীত অবস্থার যত সমীপে আসতে থাকবে, ততই প্রতিটি অঙ্গ শীতল, সুগন্ধিত হতে থাকবে । তার থেকে বিকারী দুর্গন্ধ দূর হয়ে যাবে । অতীন্দ্রিয় সুখের অনুভব হতে থাকবে ।

ওম্ শান্তি ।
শিব ভগবানুবাচ । এ তো বাচ্চারা বলবে না যে কার প্রতি । বাচ্চারা তো জানেই - শিববাবা হলেন জ্ঞানের সাগর । তিনি হলেন মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ । তাহলে অবশ্যই তিনি আত্মাদের সাথে কথা বলেন । বাচ্চারা জানে যে, শিববাবা আমাদের পড়াচ্ছেন । "বাবা" শব্দ থেকে বুঝতে পারে যে, পরমাত্মাকেই বাবা বলা হয় । সমস্ত মনুষ্য মাত্রই শিববাবাকেই বাবা বলে । বাবা পরমধামে থাকেন । সবার প্রথমে এই কথা পাকা করতে হবে । নিজেকে আত্মা মনে করতে হবে আর এই কথা পাক্কা নিশ্চিত করতে হবে । বাবা যা শোনান, তা আত্মাই ধারণ করে । যে জ্ঞান পরমাত্মার মধ্যে আছে, তা আত্মার মধ্যেও আসা চাই । যা আবার মুখ দিয়ে বর্ণনা করতে হয় । যা কিছু ঈশ্বরীয় পাঠ পড়ানো হয়, তা আত্মাই পড়ে । আত্মা যদি নির্গত হয়ে যায়, তাহলে এই পড়া ইত্যাদি কিছুই মনে থাকে না । আত্মা সংস্কার নিয়ে যায়, তারপর অন্য শরীরে অবস্থান করে । তাই প্রথমে নিজেকে নিশ্চিতভাবে আত্মা মনে করতে হবে । এখন দেহ - অভিমান ত্যাগ করতে হবে । আত্মা শোনে, আত্মাই ধারণ করে । আত্মা যদি শরীরে না থাকে তাহলে শরীর নড়তেও পারে না । বাচ্চারা, এখন তোমাদের একথা পাক্কা নিশ্চিত করতে হবে যে - পরমাত্মা, আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের জ্ঞান প্রদান করছেন । আমরা আত্মারা এই শরীরের দ্বারা শুনি আর পরমাত্মা এই শরীরের দ্বারা শোনাচ্ছেন - এ কথাই প্রতি মুহূর্তে ভুলে যায় । দেহ স্মরণে এসে যায় । এও তোমরা জানো যে, ভালো বা খারাপ সংস্কার আত্মার মধ্যেই থাকে । মদ্যপান করা, খারাপ কথা বলা - এও আত্মাই করে শরীরের দ্বারা । আত্মাই এই শরীরের দ্বারা পার্ট প্লে পালন করে। সবার প্রথমে আত্ম - অভিমানী অবশ্যই হতে হবে । বাবা আত্মাদেরই পড়ান । আত্মাই এরপর এই জ্ঞান সঙ্গে করে নিয়ে যাবে। যেমন ওখানে পরমাত্মা জ্ঞান সহ থাকেন, তেমনই তোমরা আত্মারাও আবার এই জ্ঞান সঙ্গে করে নিয়ে যাবে । বাচ্চারা, আমি তোমাদের এই জ্ঞানের সঙ্গেই নিয়ে যাই । তারপর আত্মারা, তোমাদের আবার পার্টে আসতে হবে, তোমাদের পার্ট হলো নতুন দুনিয়ায় প্রালব্ধ ভোগ করা । জ্ঞান ভুলে যায় । এ সমস্তই খুব ভালোভাবে ধারণ করতে হবে । সবার প্রথমে এ কথা খুব ভালোভাবে পাকা করতে হবে যে, আমি আত্মা, অনেকেই আছে যারা এই কথা ভুলে যায় । নিজেকে খুবই পরিশ্রম করতে হবে । বিশ্বের মালিক হতে হলে পরিশ্রম ছাড়া হবেই না । প্রতি মুহূর্তে এই পয়েন্টসই ভুলে যায়, কেননা এ হলো নতুন নলেজ । যখন নিজেকে আত্মা ভুলে গিয়ে দেহ - অভিমানে চলে আসে, তখন কিছু না কিছু পাপ হয়েই যায় । দেহী - অভিমানী হলে কখনোই পাপ হবে না । তখন পাপ মুক্ত হবে । এরপর অর্ধেক কল্প কোনো পাপ হবে না । তাই এ কথা নিশ্চিত রাখতে হবে যে, দেহ নয়, আমি আত্মাই পড়ি । পূর্বে এই দেহের মানুষের মত পাওয়া যেত এখন বাবা শ্রীমৎ দিচ্ছেন । এ হলো নতুন দুনিয়ার সম্পূর্ণ নতুন নলেজ । তোমরা সকলেই নতুন হয়ে যাবে, এতে দ্বিধার কোনো কথা নেই । অনেকবার তোমরা পুরানো থেকে নতুন আর নতুন থেকে পুরানো হয়ে এসেছো, তাই খুব ভালোভাবে পুরুষার্থ করতে হবে ।

আমরা আত্মারা কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা এই কাজ করি । অফিস ইত্যাদিতেও নিজেকে আত্মা মনে করে কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা যদি কাজ করো তাহলে শিক্ষক বাবাকে অবশ্যই স্মরণে আসবে । আত্মাই বাবাকে স্মরণ করে । যদিও তোমরা আগেও বলতে যে, আমরা ভগবানকে স্মরণ করি কিন্তু নিজেদের সাকার মনে করে নিরাকারকে স্মরণ করতে । নিজেকে নিরাকার মনে করে কখনোই নিরাকারকে স্মরণ করতে না । এখন তোমাদের নিজেদের নিরাকার আত্মা মনে করে নিরাকার বাবাকে স্মরণ করতে হবে । এ অত্যন্ত বিচার সাগর মন্থন করার মতো কথা । যদিও কেউ কেউ লেখে যে - আমি দুই ঘন্টা স্মরণে থাকি । কেউ আবার বলে - আমি সর্বদা শিববাবাকে স্মরণ করি কিন্তু সর্বদা কেউই স্মরণ করতে পারে না । যদি স্মরণ করে তাহলে প্রথম থেকেই কর্মাতীত অবস্থায় এসে যাবে । এই কর্মাতীত অবস্থা তো খুবই পরিশ্রমের ফলে হয় । এতে সব বিকারী কর্মেন্দ্রিয় বশ হয়ে যায় । সত্যযুগে সব কর্মেন্দ্রিয় নির্বিকারী হয়ে যায় । অঙ্গ - অঙ্গ সুগন্ধিত হয়ে যায় । এখন হলো বাসি দুর্গন্ধময় ছিঃ - ছিঃ অঙ্গ । সত্যযুগের মহিমা তো খুবই সুন্দর । তাকে বলা হয় হেভেন, নতুন দুনিয়া, বৈকুণ্ঠ । সেখানকার ফিচার্স, রাজমুকুট ইত্যাদি এখানে কেউই বানাতে পারবে না । যদিও তোমরা তা দেখেও আসো কিন্তু এখানে তা কেউই বানাতে পারবে না । সেখানে তো ন্যাচারাল শোভা থাকে। তাই বাচ্চারা, তোমাদের স্মরণের দ্বারাই পবিত্র হতে হবে । এই স্মরণের যাত্রা অনেক অনেক বেশী করে করতে হবে । এতেই অনেক পরিশ্রম । এই স্মরণ করতে করতে যখন কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করবে, তখন সমস্ত কর্মেন্দ্রিয় শীতল হয়ে যাবে । অঙ্গ - প্রত্যঙ্গ সুগন্ধিত হয়ে যাবে, কোনো দুর্গন্ধ থাকবে না । এখন তো সমস্ত কর্মেন্দ্রিয়তেই দুর্গন্ধ । এই শরীর কোনো কাজের নয় । তোমাদের আত্মা এখন পবিত্র হচ্ছে । শরীর তো পবিত্র হতে পারবে না । শরীর তখনই পবিত্র হবে, যখন তোমরা নতুন শরীর পাবে । অঙ্গ - অঙ্গ সুগন্ধিত - এমন মহিমা দেবতাদের । বাচ্চারা, তোমাদের অতীব খুশী হওয়া উচিত । বাবা এসেছেন, তাই তোমাদের খুশীর পারদ চড়তে থাকা উচিত ।

বাবা বলেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । গীতার শব্দ কতো পরিষ্কার । বাবা এও বলেছেন - আমার যারা ভক্ত, যারা গীতা পাঠক হবে, তারা অবশ্যই কৃষ্ণের পূজারী হবে । তাইতো বাবা বলেন, দেবতাদের পূজারীদেরও তোমরা শোনাও । মানুষ শিবের পূজা করে, তারপর বলে দেয়, ঈশ্বর সর্বব্যাপী । গ্লানি করেও তারা রোজ মন্দিরে যায় । শিবের মন্দিরে অনেক - অনেক মানুষ যায় । তারা অনেক উঁচু সিঁড়ি ভেঙ্গে উপরে যায় কারণ শিবের মন্দির উপরে বানানো হয় । শিববাবাও এসে সিঁড়ি বানান, তাই না । তাঁর নামও উঁচু আর তাঁর ধামও উঁচু । মানুষ কতো উপরে যায় । বদ্রীনাথ, অমরনাথ, ওখানেও শিবের মন্দির আছে । যিনি উপরে নিয়ে যান, তো তাঁর মন্দিরও অনেক উপরেই বানানো হয় । এখানে গুরু শিখরের মন্দিরও অনেক উপরে পাহাড়ের উপরে বানানো হয়েছে । উচ্চ বাবা তোমাদের বসে পড়ান । এই দুনিয়াতে আর কেউই জানে না যে, শিববাবা এসে পড়ান । ওরা তো সর্বব্যাপী বলে দেয় । এখন তোমাদের সামনে এইম অবজেক্টও আছে । বাবা ছাড়া আর কেই বা বলবেন - এই হলো তোমাদের এইম অবজেক্ট । বাচ্চারা, এ কথা বাবাই তোমাদের বলেন । তোমরা সত্য নারায়ণের কথাই শোনো । অতীতে যা ঘটে গেছে, ওরা তো সেই কথাই বলে যে, আগে কি কি ঘটেছিলো । যাকে কাহিনী বলা হয় । এই উঁচুর থেকে উঁচু বাবা বড়র থেকেও বড় কাহিনী শোনান । এই কাহিনী তোমাদের অনেক উঁচুতে তুলে দেবে । এইকথা সর্বদা তোমাদের মনে রাখা উচিত আর অনেককে শোনানো উচিত । এই কাহিনী শোনানোর জন্যই তোমরা প্রদর্শনী বা মিউজিয়াম তৈরী করো । পাঁচ হাজার বছর পূর্বে এই ভারতই ছিলো যেখানে দেবতারা রাজত্ব করতো । এই হলো প্রকৃত কাহিনী, যা অন্য কেউই বলতে পারে না । এই হলো আসল কাহিনী যা বৃক্ষপতি বাবা বসে বোঝান, যার দ্বারা তোমরা দেবতা হও । এখানে পবিত্রতাই হলো মুখ্য । পবিত্র না হলে ধারণা হবে না । বাঘিনীর দুধের জন্য সোনার বাসনই প্রয়োজন, তখনই ধারণা হতে পারবে । এই কান তো হলো বাসনের মতো । এ সোনার বাসন হওয়া চাই । এখন এ হলো পাথরের । সোনার হতে পারলেই ধারণা হতে পারবে । খুবই মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে আর ধারণ করতে হবে । এই কাহিনী তো খুবই সহজ, যা গীতায় লেখা আছে । ওরা তো কাহিনী শুনিয়ে রোজগার করে । যারা শ্রোতা, তাদের থেকে ওদের রোজগার হয় । এখানেও তোমাদের রোজগার আছে । দুই রোজগারই চলতে থাকে । দুইই ব্যবসা । তিনি পড়ান । তিনি বলেন "মনমনাভব", "পবিত্র হও"। এমন আর কেউই বলে না, না তারা মনমনাভব থাকে । কোনো মানুষই এখানে পবিত্র থাকতে পারে না কারণ ভ্রষ্টাচারের দ্বারা জন্ম । কলিযুগের অন্তিম সময় পর্যন্ত রাবণ রাজ্য চলবে, এই সময়ই পবিত্র হতে হবে । পবিত্র তো দেবতাদের বলা হয়, না কি মনুষ্যকে । সন্ন্যাসীরাও মানুষ, তাদের হলো নিবৃত্তি মার্গের ধর্ম । বাবা বলেন যে, আমাকে যদি তোমরা স্মরণ করো, তাহলে পবিত্র হয়ে যাবে । ভারতে প্রবৃত্তি মার্গের রাজ্যই চলে এসেছে । নিবৃত্তি মার্গের লোকেদের সঙ্গে তোমাদের কোনো সম্পর্ক নেই । এখানে তো স্ত্রী - পুরুষ উভয়কেই পবিত্র হতে হবে । গাড়ির দুটি চাকাই যদি চলে তাহলে ঠিক, নাহলে ঝগড়া লেগে যায় । এই পবিত্রতা নিয়েই ঝগড়া চলতে থাকে । আর কোনো সৎসঙ্গে পবিত্রতা নিয়ে ঝগড়া হয়, এমন কখনো শোনা যায়নি । এই একবারই যখন বাবা আসেন, তখন ঝগড়া লাগে । সাধু - সন্ত প্রমুখ কখনো কি বলে যে, অবলাদের উপরে অত্যাচার হবে! এখানে বাচ্চারা ডাকতে থাকে যে, বাবা আমাদের বাঁচাও । বাবাও জিজ্ঞেস করেন, তোমরা বিবস্ত্র হও না তো? কেননা কাম তো মহাশত্রু । একদম নীচে নেমে যায় । এই কাম বিকারই সবাইকে কানাকড়িও নয় এমন মূল্যহীন করে দিয়েছে । বাবা বলেন যে, ৬৩ জন্ম তোমরা বেশ্যালয়ে থাকো, এখন তোমাদের পবিত্র হয়ে শিবালয়ে যেতে হবে । এই এক জন্ম তোমরা পবিত্র হও । শিববাবাকে স্মরণ করলে তোমরা শিবালয় স্বর্গে যেতে পারবে । তাও কাম বিকার কতো জোরদার । এ কতো সমস্যায় ফেলে, এর আকর্ষণ কতো বেশী । এই আকর্ষণকে দূর করতে হবে । কেননা ঘরে ফিরে যেতে হলে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে । টিচার বসে থাকবে কি ? এই ঈশ্বরীয় পঠন - পাঠন তো অল্প সময়ের জন্য চলবে । বাবা বলে দেন, এই হলো আমাদের রথ । রথের আয়ু বলবেন । বাবা বলেন যে, আমি তো সর্বদা অমর, আমার নামই হলো অমরনাথ । আমি পুনর্জন্ম নিই না, তাই আমাকে অমরনাথ বলা হয় । আমি তোমাদের অর্ধেক কল্পের জন্য অমর বানিয়ে দিই । এরপর তোমরা পুনর্জন্ম নাও । তাই বাচ্চারা, এখন তোমাদের উপরে যেতে হবে । মুখ এইদিকে আর পা ওইদিকে করতে হবে । তাহলে আবার ওইদিকে মুখ কেন ঘোরাও । তখন বলে, বাবা ভুল হয়ে গেছে, মুক্ত এইদিকে হয়ে গেছে । তখন বিপরীত হয়ে যায় ।

তোমরা বাবাকে ভুলে দেহ - অভিমানী হয়ে যাও, ফলে বিপরীত হয়ে যাও । বাবা তোমাদের সবকিছুই বলে দেন । বাবার কাছে কিছুই চাইবে না যে - বল দাও, শক্তি দাও । বাবা তো তোমাদের পথ বলে দেন যে, যোগবলের দ্বারা তোমাদের এমন হতে হবে । তোমরা যোগবলের দ্বারা এতটাই বিত্তবান হয়ে যাও যে, তোমাদের ২১ জন্ম কখনোই কারোর থেকে চাওয়ার প্রয়োজন হয় না । তোমরা বাবার থেকে এতটাই গ্রহণ করো । তোমরা বুঝতে পারো যে, বাবা তো অথৈ কামাই করান, তিনি বলেন, তোমরা যা চাও, তাই নিয়ে নাও । এই লক্ষ্মী - নারায়ণ হলো সর্বোচ্চ । তাই যা চাও তোমরা, তাই পেতে পারো । সম্পূর্ণ পাঠ না করলে কিন্তু প্রজাতে চলে আসবে । প্রজাও অবশ্যই হতে হবে । ভবিষ্যতে তোমাদের মিউজিয়াম অনেক হয়ে যাবে, তোমরা অনেক হল পাবে, কলেজ পাবে, যেখানে তোমরা সার্ভিস করবে । এই যে বিয়ের জন্য হল বানানো হয়, এও তোমরা অবশ্যই পাবে । তোমরা বোঝাবে - শিব ভগবান উবাচঃ, আমি তোমাদের এমন পবিত্র বানাই - এই কথা শুনে ট্রাস্টি হল্ দিয়ে দেবে । তোমরা বলো, ভগবানুবাচ - কাম হলো মহাশত্রু, যাতে তোমরা দুঃখ পেয়ে এসেছো । এখন তোমাদের পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ায় যেতে হবে । তোমরা হল পেতেই থাকবে, তখন বলবে - অনেক দেরী হয়ে গেলো । বাবা বলেন, আমি কি এমনিতে কিছু নেবো, এর পরিবর্তে আমাকেও তোমাদের ভরপুর করে দিতে হবে । বাচ্চাদের এক এক পয়সায় পুকুর তৈরী হয় । বাকি তো সকলেরই মাটিতে মিশে যাবে । বাবা হলেন সবথেকে বড় বন্ধকী মহাজনও । সোনার ব্যবসায়ী, ধোপা আবার কারিগরও । আচ্ছা ।

মিষ্টি - মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা - পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্য মুখ্য সার :-
১) বাবা যে সত্যিকারের কাহিনী শোনান, তা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনতে এবং ধারণ করতে হবে, বাবার থেকে কিছুই চাইবে না । ২১ জন্মের জন্য নিজের উপার্জন জমা করতে হবে ।

২) এখন ঘরে যেতে হবে তাই যোগবলের দ্বারা শরীরের টানকে সমাপ্ত করতে হবে । কর্মেন্দ্রিয়কে শীতল করতে হবে । এই দেহের ভাব ত্যাগ করার পুরুষার্থ করতে হবে ।

বরদান:-
এক স্থানে স্থিত হয়ে অনেক আত্মাদের সেবা করা লাইট-মাইট সম্পন্ন ভব

যেরকম লাইট হাউস এক স্থানে স্থিত থেকে দূর-দূরান্তের সেবা করে, এইরকম তোমরা সবাই এক স্থানে থেকে অনেকের সেবার জন্য নিমিত্ত হতে পারো, এতে কেবল লাইট-মাইটের দ্বারা সম্পন্ন হওয়ার আবশ্যকতা আছে। মন-বুদ্ধিকে সদা ব্যর্থ চিন্তা করা থেকে মুক্ত রাখো, মন্মনা ভব-র মন্ত্রের সহজ স্বরূপ হলো - মন্সা শুভ ভাবনা, শ্রেষ্ঠ কামনা, শ্রেষ্ঠ বৃত্তি আর শ্রেষ্ঠ ভাইব্রেশনের দ্বারা সম্পন্ন হওয়া। তাহলে এই সেবা সহজেই করতে পারবে। এটাই হলো মন্সা সেবা।

স্লোগান:-
এখন তোমরা ব্রাহ্মণ আত্মারা লাইট হও আর অন্য আত্মাদেরকে মাইক বানাও।